এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:6348:d74e:59b0:626f:8060:7726 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:১১520385
  • আসলে সুকুমার রায়ের লেখা ছোটদের জন্য হলেও, আর সমস্ত লেখায় হাস্যরস জুড়ে থাকলেও, ওনার লেখা শুধু ছোটদের জন্য না, আর শুধু হাসির জন্য না। আরও একটা ব্যপার হলো, ওনার লেখা সাধারনত "ননসেন্স" লেখার উদাহরন হিসেবে তুলে ধরা হলেও, ওরকম সেন্সিবল লেখা খুবই কম লেখা হয়েছে। লুইস ক্যারল আর সুকুমার রায়, এই দুজনেরই লেখা শুধুমাত্র ম্যাজিক রিয়েলিজম বা ফ্যান্টাসি ছাপিয়ে একটা অল্টারনেটিভ রিয়েলিটির সন্ধান দেয়। (যদিও আমার মনে হয়েছে সুকুমার রায়ের লেখা লুইস ক্যারলের থেকেও কিছু ক্ষেত্রে বেশী ম্যাচিওর, বেশী লেয়ারড, বেশী কমপ্লেক্স)। 
     
    এই কিছুদিন আগেও একটা কোয়ান্টাম এক্সপেরিমেন্টের কথা পড়ছিলাম, যেখানে এক্সপেরিমেন্টাররা একটা ইলেকট্রনকে সেটার স্পিনকে আলাদা করে দেখিয়েছেন, অর্থাত ইলেকট্রনটা এক জায়গায় আর তার স্পিন আরেক জায়গায়, মানে সেই চেশায়ার ক্যাটের মতো, যে মিলিয়ে গেলেও অনেক সময়ে তার হাসিটা পড়ে থাকে। এটা পড়ে আমার সুকুমার রায়ের সেই বেড়ালের কথা মনে পড়ে গেলোঃ "বেড়ালও বলতে পারো, রুমালও বলতে পারো, চন্দ্রবিন্দুও বলতে পারো"। এশার আমার আরেক প্রিয় শিল্পী, ওনার সেই ইমপসিবল স্টেয়ার্স বা অন্যান্য ইমপ্রোব্যাবল ড্রয়িং এর মধ্যেও মনে হয় সুকুমার রায়ের  গল্পের মতো একটা অন্য রিয়েলিটি যেন উঁকি মারে। মনে হয় আমরা যা কিছু জানি বা এমনকি জানতে পারা সম্ভব, যা কিছু অনুভব করি বা এমনকি করতে পারা সম্ভব, তার বাইরেও যেন কতোরকম রিয়েলিটির লেয়ার লুকিয়ে আছে। 
     
    আয়  যেখানে ক্ষ্যাপার গানে নাইকো মানে নাইকো সুর, 
    আয়রে যেথায় উধাও হাওয়ায় মন ভেসে যায় কোন সুদূর :-)
  • পুরোটা | 173.62.207.237 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫১520383
  •  হ য ব র ল 
  • গূঢ় | 117.194.66.74 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫০520382
  •  তো বুঝলাম,  নলেন  না পাটালি ?
     
  • সমরেশবাবুর জন্যে  | 173.62.207.237 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৯520381
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১২520380
  • গূঢ় তাৎপর্য তো আছেই। 
     
    আপনিও একটা লেখা শুরু করে দিন এই সোলো ট্রাভেল নিয়ে। আমরা পাঠকরা উপকৃত হব। 500/day তে ঘোরা চাট্টিখানি কথা নয়। আসলেই ট্রাভেলগ হবে, টুরিস্ট এর দেখার বাইরে একটা অন্য অভিজ্ঞতা।
     
    আর কুমুদির গল্পের টই টা পড়তে শুরু করে দিন, আমিও পড়ছি। অসাম।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৬520379
  • @ রমিত,

    এযাবৎ আমার “একাকী ভ্রমণের” দৌড় মধ‍্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড। ভারতের বাইরে‌ই যেতে পারলাম না তো গ‍্যালাক্সি। তাই ঐ গাইড আক্ষরিক অর্থে আমার জন‍্য নয়। ওসব না পড়েও এযাবৎ অনেক হিচহাইক করেছি, মূলতঃ বাইকে, কয়েকবার গাড়িতে। সর্বাধিক একদিনে ৭ বার / ১৯ কিমি - উজ্জয়িনিতে। বাকি ৫ কিমি প‍্যয়দল নিয়ে সেদিন সারাদিনে ঘুরেছিলাম ২৪কিমি। 
     
    কোনো গাইড না পড়েই এযাবৎ ২/৩/৫/৮/৯ হপ্তার কয়েকটি Solo Trip করেছি 350/Day বাজেটে। শেষবার 2022-23 এ হয়ে গেল 513/Day ; All-inclusive - Home to Home. কারণ জুমকার বা Tempo Traveler বেড়ানো আমার প্রায়োরিটি নয়। 
     
    তাছাড়া বেড়ানোর জন‍্য আমার এযাবৎ গাইডবুকের External Motivation এর প্রয়োজন হয়নি। বেড়ানোর জন‍্য পা বাড়িয়ে‌ই থাকি।

    তবে অরিনবাবু যখন রেকোমেন্ড করেছেন, তখন মনে হয়েছে ও ব‌ইয়ের context and content ফেসভ‍্যালুতে নেওয়ার নয়। গুঢ় তাৎপর্য আছে। wink

     
  • Arindam Basu | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৩520378
  • " এখানে আসতে হবে ভয়েভয়ে, মুখ খুলতে হবে ভেবেচিন্তে।"
    উঁহু,
    একেবারেই উল্টো। 
    পুরনো আর্কাইভ ঘেঁটে দেখুন। 
    এক কাজ করুন। 
    যদি না পড়ে থাকেন এখনো, কুমুদির গপ্পের থ্রেডটা এক নম্বর পাতা থেকে পড়তে শুরু করুন।
    :-)
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৪520377
  • অর্থাৎ ডিসিসাহেব ঐ চারটি ব‌ই পড়ে, আত্মস্থ করে, তার সাথে আবোলতাবোল‌ সমগোত্রীয় লেভেলের ধরে ঐ পাঁচটি ব‌ইয়ের তালিকা বানিয়ে‌ছেন। তবে আরো কড়ক এলিয়েন হলে, যদি সে চল্লিশ‌টি ব‌ইয়ের নাম করতে বলতো, তাহলে‌‌ও ডিসিমশাই‌কে বেকায়দায় ফেলা অতো সহজ নয় - উনি হয়তো তখন তার সাথে সিম্পলি জুড়ে দিতেন প্লেটোর ৩৫টি ডায়ালগস - যার একটি অতি বিখ্যাত - The Republic. আমি অবশ‍্য আবোলতাবোল‌ই পড়িনি, তো প্লেটো। laugh

    বর্তমান আলোচনা‌য় বোঝা গেল - গুরুচণ্ডা৯ ঘোষিত‌ভাবে - “গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়” - হলেও এর ভাটিয়া৯ সেকশন হচ্ছে অঘোষিতভাবে যথেষ্ট গুরুভারী। আমার মতো নিম্ন‌মেধার পক্ষে যথেষ্ট গুরুপাক‌ও। এই ধরণের ভাটলিং এক্সক্লুসিভ সদস্যদের মধ‍্যে‌ই হতে পারে। তাই এখানে আসতে হবে ভয়েভয়ে, মুখ খুলতে হবে ভেবেচিন্তে। wink
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৪520376
  • @ সমরেশ বাবু , মায়াপাতায় কে কি বলল, অত গায়ে মাখবেন না। 

    তবে সুকুমার রায় এক্কেবারে মাস্ট রিড। এখানে কোনো কনসেশন দেওয়া যাবে না। আবোল তাবোল, হ য ব র ল, হেঁশরাম হুঁশিয়ার এর ডায়েরি, পাগলা দাশু, লক্ষণের শক্তিশেল, অবাক জলপান, ঝালাপালা সবকটা এক ধারসে পড়ে ফেলুন। প্রথমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার মতো আনন্দ হবে, কথা দিচ্ছি। 

    আর আপনি তো এদিক সেদিক ঘুরতে যান ই একা একা, তাহলে হিচহাইকর্স গাইড টু গ্যালাক্সি পড়ে রাখতে পারেন, কাজে দেবে। পড়ার পর দেখবেন সবচেয়ে আগে তোয়ালেটা প্যাক করে ঝোলায় ভরছেন কোথাও যাওয়ার আগে, আর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ শুনে মিটিমিটি হাসছেন।
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৮520375
  • আমি টুকে রাখলাম নামগুলো। কারণ প্রশ্নটা তো আপনাকে না করে আমাকেও করতে পারে!
  • dc | 2401:4900:6348:d74e:20b7:71bb:af41:dbe1 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৯520374
  • আমাকে যদি কোন এলিয়েন এসে বলে কাল তোমাদের পৃথিবী ভেঙে দিয়ে এখান দিয়ে একটা ইন্টারপ্ল্যানেটারি বাইপাস বানানো হবে, তবে তুমি যদি পাঁচটা বই এর নাম বলো যেগুলো পড়লে বুঝবো যে মানুষরা এক্কেবারে প্রিমিটিভ নয়, তাদের বাঁচিয়ে রাখা যেতেও পারে, তাহলে আমি এই পাঁচটা বই এর নাম দেবোঃ 
     
    ১। মেটাফিসিক্স, অ্যারিস্টোটল 
    ২। প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেম্যাটিকা, নিউটন 
    ৩। প্রিন্সিপলস অফ ম্যাথামেটিক্স, বার্ট্রান্ড রাসেল 
    ৪। আবোল তাবোল, সুকুমার রায় 
    ৫। গোডেল, এশার, বাখ, অ্যান ইটার্নাল গোল্ডেন ব্রেইড, ডগলাস হফস্ট্যাডটার 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫৭520373
  • @ অরিনবাবু
    (২৮.১/১৩:৩৯)

    "তবে নিম্নমেধা সত্ত্বে‌ও " - এই কথাটা কেন লিখলেন বা প্রায়ই দেখি লেখেন, কেন লেখেন, এইবার আমিও বুঝলাম না, :-), অন্তত আমার চোখে আপনার যতগুলো লেখা পড়েছি, তাদের একটিকেও "নিম্নমেধা" না কি বলছেন, তদ্গত, একেবারেই বলা যাবে না, কাজেই এই বিশেষণটি (অন্তত নিজের সম্বন্ধে), না লিখলেও চলে বলে আমার ধারণা।

    ওটা আপনার বর্তমান মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নয়। শুধু আমার সাথেই নয় - বিভিন্ন জনের সাথে আপনার মিথস্ক্রিয়া দেখে (গুরুতে আরো কয়েকজন সহ) আপনাকে এক নিপাট ভদ্রলোক বলে মনে হয়েছে। এটা আগেও এখানে  ওপেনলি বলেছি। 
     
     
    নিজের সম্পর্কে proper, dispassionate self assessment খুব কম লোকের‌ই থাকে বলে মনে হয়। কখনো তার প্রকাশ দেখে মনে হয় Overtly Underestimating or Subtly Superlative. যেমন ধরুন, যার ব‌ই প্রকাশ হচ্ছে এবং সেই ব‌ই নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রোমো এবং আলোচনা হচ্ছে তাকেও এই ভাটের পাতায় অতি বিনয়ের অবতারের মতো মন্তব্য করতে দেখেছি। বিপরীতে অনেকের মধ‍্যে দেখেছি Ostensibly Authoritative কমেন্ট করার প্রবণতা - যেন তা তাদের অভিমত নয় - ঐ বিষয়ে শেষ কথা।

    আমি আমার Strength & Weakness - দুটো বিষয়ে‌ই কিছুটা সচেতন।  পুরোপুরি নয় - পুরোপুরি সচেতন হলে তো মহাপুরুষ হয়ে যেতাম। কারণ নিজেকে জানা সবথেকে কঠিন। প্রথমটা প্রকটভাবে তো বটেই, আকারে, ইংগিতে‌ও ব‍্যক্ত করা‌ এক ধরণের  Bragging, unless it is a contextual requirement. তার থেকে বরং Humblebragging সেফ। কারণ যে লোক লড়াইয়ে‌র আগেই জমিতে শুয়ে হাত জোড় করে থাকে, তাকে আর যাই হোক কোনো বীরপুঙ্গব‌ই সপাটে লাথি কষাবে না। তবু কিছু বঙ্গবীর কষায় আমায় - ভার্চুয়াল লাথি - এই গুচের পাতা‌তেই। তবু ওটাই আমার সেফ স্ট‍্যাটেজি বলে মনে হয়। তাই বারংবার আমার মন্তব্যে নিম্নমেধা, বাংলায় বেয়াল্লিশ বা কম পড়াশোনা‌র উল্লেখ থাকে। যাতে ভুল করেও কেউ আমায় কখনো আঁতেল না ভেবে ফেলে।

    তবু আমার লেখা পড়ে আপনার যদি মনে হয়ে থাকে তা কোনো নিম্ন‌মেধার মানুষের নয় - সেটা আমার কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ।

    No hard feelings please.
    ভালো থাকবেন


     
  • dc | 2401:4900:6348:d74e:20b7:71bb:af41:dbe1 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৯520372
  • আচ্ছা, ফুল আর পেটদের পট্টি! জায়গাটার নাম ভুলে গেছি :-)
     
    প্রতিটা ছবি আপলোড করে ছবিটার ডানদিকে কার্সার রেখে এন্টার মারুন, ছবিগুলো আলাদা হয়ে যাবে। 
     
    সমরেশবাবু, সুকুমার রায় যদি নাও পড়ে থাকেন তো এইবেলা পড়ে নিন, মানুষের ইতিহাসের সেরা কাজগুলোর মধ্যে একটা। এখানে আমরা সবাই একদিক দিয়ে ভাগ্যবান যে বাঙালি হয়ে জন্মেছি, যাতে করে আমরা সুকুমার রায়ের রসআস্বাদন করতে পারি। ওনার কাজ অন্য কোন ভাষায় ট্রান্সলেট করা যায় না। 
     
    আর চাইলে হিচহাইকার্স গুইড টু দ্য গ্যালাক্সিও পড়ে ফেলতে পারেন। ডগলাস অ্যাডামসের লেখা, সাইফাই এর ছদ্মবেশে একটা মজারু :-)
  • যোষিতা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৫520371
  • সমরেশবাবু,
    নানান রকমের মন্তব্য পড়ে আগবাড়িয়ে দুটো কথা আপনাকে লিখছি। যদি কোনও মন্তব্য আপনার খারাপ লাগে, জাস্ট পাত্তা দেবেন না। আমিও আগে মানুষের মন্তব্যে আহত হয়েছি, পাল্টা মন্তব্য করেছি, রেগে গেছি, দুঃখ পেয়েছি, রাগের মাথায় তা ব্যক্ত করে ফেলেছি। এতে জিনিসটা বেড়েই গেছে, আখেরে আমারই ক্ষতি হয়েছে। এ দুনিয়ায় কারোকেই তার বিশ্বাস, যুক্তি, অবস্থান থেকে টলানো যায় না। তদুপরি এটা পাবলিক ফোরাম। এখানে ভালোবাসার থেকে আঘাত বিদ্রুপের প্রাবল্য বেশি হবেই। সমাজের প্রতিবিম্ব বলতে পারেন। ভদ্রতার মুখোশ সকলেই অল্পবিস্তর পরে থাকি, বিশেষতঃ একটা ড্রয়িংরুম গোছের ভদ্রলোকের আড্ডায়। যত সময় যাবে এটা বুঝবেন। কষ্ট পাবেন না। কষ্ট আমি আগে অনেক পেয়েছি। ক্রমে ক্রমে শক্ত হয়ে সেসব ঝেড়ে ফেলতে শিখে গেছি। একদম গায়ে মাখবেন না কোনও বিদ্রূপ। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১০520368
  • @ r2h
    (২৮.১/০১.০৪)
     
    কার্টুন আঁকতে স্বচ্ছন্দ আপনার মনে হয়েছে আমার স‍্যাটায়ার পছন্দ। রামমোহন, বিদ‍্যাসাগর নিয়ে সিরিয়াস নিবন্ধ লেখা এলেবেলের‌ও (দেবোত্তম চক্রবর্তী) মনে হয়েছে আমি আমুদে লোক। কার্টুনিস্ট থেকে সিরিয়া‌স প্রাবন্ধিক - দুজনের‌ই যখন মনে হয়েছে - তাহলে হয়তো আমি তাই। আমুদে, রসময়। তবে স্মাইলির মনে হয়েছে নিছক  ভাঁড়। 

    শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে ভালো চেয়েই আপনি সুকুমার রেকো করেছেন, যাতে আরো উন্নত‌মানের স‍্যাটায়ার করতে পারি। কিন্তু স‍্যাটায়ার হোক বা সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট - সব কিছুর‌ই একটা গুণগত এবং পরিমাণ‌গত  অর্থাৎ Qualitative & Quantitative ব‍্যাপার‌ থাকে। Natural Selection এর ফলে সেই Q&Q স্কেলে বিভিন্ন জনের অবস্থান বিভিন্ন জায়গায় হয়ে যায়। ইচ্ছা থাকলেও উত্তরণ সর্বদা সম্ভব নয়।

    অন‍্য একটা প্রেক্ষিতে বলি, ভারত স্বাধীনতার অর্মৃতকালে মাত্র ৫০০ কিমি পথে ৩২০ km/h গতিতে বুলেট ট্রেন চালু করতে চাইছে। তুলনায় চায়না - কোনো ইলেকশন গিমিক নয় - one size does not fit all - pragmatic theory মেনে, যেখানে যেমন সেখানে তেমন প্রয়োজন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ৪০ হাজার কিমি HSR নেটওয়ার্কে ২০০ থেকে ৩৮০ km/h গতি‌তে চালাচ্ছে বুলেট ট্রেন। প্রথমে বিদেশি সহায়তা নিয়ে শুরু করে, টেকনোলজি আত্মস্থ করে, পরে তা আরো উন্নত করে ঐ ৪০,০০০ কিমি HSR পথের অধিকাংশ‌‌ই আবার চায়না‌র নিজস্ব উদ্ভাবন। 

    তা‌ও ভারত এবং ভক্তকুল ৫০০ নিয়েই আবেগে আকুল। সুকুমার না পড়া আমার স‍্যাটায়ার - Q&Q analogy তে ঐরকম গোত্রের। আপনার শলা মেনে সুকুমার পড়ে, হজম না হলে, আরো ছড়াবো। আপনি নিজেই বলেছেন, কিছুই আত্মস্থ করতে পারেননি সুকুমার, শুধুই পড়ে‌ চলেন। তাহলেই ভাবুন, এযাবৎ “শিশিবোতল” না শোনা আমার এই বয়সে সুকুমার পড়তে গিয়ে কী দশা হবে। অরিন্দম‌বাবুর অবশ‍্য ধারণা যে কোনো বয়সে শুরু করা যায় সুকুমার। সেটা একটা ভরসার কথা। 
     

    প্রোটিন পাউডার খেয়ে জিমে গিয়ে কঠিন কসরৎ করে মাসল বিল্ড করার মতো অবশ‍্য‌ই বিখ্যাত মানুষের ব‌ই পড়ে অনেককিছু জানা, বোঝা যেতে পারে। তবে চোখ, কান, মন খোলা রেখে ভাবার অভ‍্যাস থাকলে, জীবনে চলার পথে মানুষের সাথে মিথস্ক্রিয়া‌তেও কিছু ব‍্যাপার Hands-on উপলব্ধি করা যায়। যায় না? সেটা হয়তো ফ্রী হ‍্যান্ড ব‍্যায়ামের মতো - তাতে জিমে গিয়ে বানানো সিক্স প‍্যাক জনগণকে সৈকতে গেঞ্জি খুলে দেখানো যাবে না। মোটামুটি সুস্থ শরীরে চলে ফিরে বেড়ানো যাবে। 

    আমার প্রফেশন‌ বছরের পর পর বছর ক্লাসরুম লেকচার বা অফিসে কাজ করার ছিল না - ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে কনস্ট্রাকশন প্রোজেক্টে কাজ করেছি। অবসরের পর একা একা দীর্ঘদিন ধরে ঘুরেছি। কর্মজীবনে এবং একাকী ভ্রমণ‌পথে নানা জনের সাথে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতা হয়েছে। তাই পড়াশোনা সেভাবে না করতে পারলে‌ও নানা রকমের মানুষ দেখেছি। তার থেকেও শিখেছি অনেক কিছু।

    যাক অনেক সিরিয়া‌স কথা বলে ফেললাম, চাইলে একটা হালকা গান শুনতে পারে‌ন।


     
  • অরিন | 119.224.61.73 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৯520367
  • সমরেশবাবু, আপনার বিশদে উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ | 
     
    আপনার বক্তব্য কিছুটা মনে হয় বুঝেছি। দু-একটা পয়েন্টের উত্তর দিই |
     
    "আপনার ফর্মুলা অনুযায়ী পাবলিক ফোরামে করা মন্তব্যে ইংগিত না বুঝলে চেপে যাওয়া উচিত ছিল। তাতে অন্ততঃ আমার বোকামি উন্মুক্ত হোতোনা।"
    না না , তা নয়।
    এটা আপনার কেন মনে হল কে জানে, হতে পারে আমি ঠিকমত গুছিয়ে লিখে উঠতে পারি নি, অন্তত আমার লেখার উদ্দেশ্য তা ছিল না, সত্যি তো, ঈঙ্গিত না বুঝলে জিজ্ঞেস করতেই হবে,  চেপে যাওযার কিছু নেই, এতে দ্বিমত দেখি না | আমি বলতে চাই ছিলাম যে অনেক সময় লোকজন শিশিবোতল বা ৪২  এর মতন শব্দ, শেয়ার্ড ভোকাবুলারি রূপে পাবলিক বিভিন্ন ফোরামে ভাসিয়ে দেয়, কনটেক্স্ট থেকে কিচুটা বোঝা যেতে পারে। এইটুকুই | অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়াতে এই রকম প্রচুর বাক্যবন্ধ দেখা যায়, প্রথমবার পড়ার পর ধাঁধার মতন লাগে, মানছি, এখন, YMMV |
     
    "তবে নিম্নমেধা সত্ত্বে‌ও "
     
    এই কথাটা কেন লিখলেন বা প্রায়ই দেখি লেখেন, কেন লেখেন, এইবার আমিও বুঝলাম না, :-), অন্তত আমার চোখে আপনার যতগুলো লেখা পড়েছি, তাদের একটিকেও "নিম্নমেধা" না কি বলছেন, তদ্গত, একেবারেই বলা যাবে না, কাজেই এই বিশেষণটি (অন্তত নিজের সম্বন্ধে), না লিখলেও চলে বলে আমার ধারণা। 
     
    "কিন্তু সুকুমার থেকে নবারুণে অবলীলায় যাতায়াতে সক্ষম উবের ইন্টেলেকচ‍্যুয়াল :-) টপাস করে আমায় বিদ্রুপ করলেন এই বলে -  “হযবরল কি পাগলা দাশুর রেফের সাথে যাদের মানেবই দিতে হয় তাদের মজা ঘাস বিচালি টাইপ।”
     
    আমার কাছেও স্মাইলির কমেন্টটি দৃষ্টিকটু লেগেছে, এই ধরণের বিদ্রূপ না লিখলেও চলে, তবে কি জানেন, এই ধরণের কমেন্টগুলো তো যে যার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লেখেন, কার কোন ধরণের "মজা" ভাল লাগবে খারাপ লাগবে, তার ওপর তো কারো নিয়ন্ত্রণ নেই | 
     
    কারুর ভাল লাগলে লাগবে, না লাগলে লাগবে না, আপনি আর কি করবেন। 
     
    চালিয়ে যান। 
     
  • dc | 2401:4900:634d:f06e:20b7:71bb:af41:dbe1 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৫520364
  • ও আচ্ছা। জিও গেসার এর নাম শুনিনি আগে। আমার মনে হচ্ছে কোন ফ্লাওয়ার শো বা বড়ো কোন নার্সারির ছবি। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৭520362
  • জিও গেসার বলে একটা গেম হয়না, যেখানে ছবি দেখে জায়গার লোকেশন গেস করতে হয়, সেটার কথা বলছি। কেউ যদি লোকেশন গেস করতে পারেন।
  • dc | 2401:4900:634d:f06e:c94e:4bae:da61:420e | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৮520361
  • ওহ, রমিতবাবুর ছবিটা অসাধারন! 
     
    "জিও গেসার, হার্ড এডিশান" কথাটার মানে বুঝলাম না। এটা কি ছবিটার রিলেটেড কিছু, না অন্য প্রসঙ্গ? 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৩520360
  • ঠিক হার্ড নয়, মিডিয়াম এডিশন বলা চলে। 
    না পারলেও ফুল গুলো দেখে মন ভালো করে নিন।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:২২520357
  • অরিন্দমবাবু,
    (Ref ২৮.১/০০:৪৩)

    “গুরুতে লেখালিখি, আলাপচারিতায় এমন বহু বাগবিধি আছে যেগুলো ঠিক ব্যাখ্যা করা যায় না, বুঝে নিতে হয়, … আমরা ধরে নিই পাঠক জানেন … যিনি হিচ হাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাকসি পড়েন নি, তাঁর কাছে কেউ যদি বলে মশাই, জগতে ৪২ ই শেষ কথা, জীবনের সারার্থ, তো যাঁকে বলা হল তাঁর কাছে কথাটা শিশিবোতল ঠেকবে বই কি। এটার মধ্যে কিন্তু উন্নাসিকতা বা কাউকে আঘাত করার ব্যাপার নেই, কিছু অব্যক্ত ব্যাপার বুঝে নিতে হয়।” 
     
     
    আপনার উপরোক্ত রেসপন্স থেকে মনে হয়েছে আপনি আমার মন্তব্যে “উন্নাসিক‌তা” প্রসঙ্গে‌র বুলস আইটা মিস করেছেন। অথচ আমি বিশদে, প্রাঞ্জল‌ভাবে বলেছিলাম। আবার এই ভাটের পাতাতেই একবার আপনার একটি জিজ্ঞাসা দেখে মনে হয়েছিল, এটা তো না বোঝার মতো কিছু নয়? সে প্রসঙ্গ‌টা শিশিবোতল বা ৪২ গোছের ইংগিতে ছিল না - সপাট আলোচনা ছিল। সামনের জন কিন্তু আপনার জিজ্ঞাসা‌র উত্তর ব‍্যঙ্গ না করে সহজ‌ভাবে দিয়ে‌ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ‌টা মনে পড়লে আপনাকে জানাবো।

     
    হযবরল পড়ি নি। ফলে বাঙ্গালী হিসেবে আমার সাংস্কৃতিক চেতনা অসম্পূর্ণ। মেনে নিচ্ছি। তাই আমি :।: এর মন্তব্যে “শিশিবোতল” শব্দ‌টা বুঝতে পারি‌নি। আপনার ফর্মুলা অনুযায়ী পাবলিক ফোরামে করা মন্তব্যে ইংগিত না বুঝলে চেপে যাওয়া উচিত ছিল। তাতে অন্ততঃ আমার বোকামি উন্মুক্ত হোতোনা। তবে জিজ্ঞাসা করলে আমার নিম্ন-বুদ্ধি‌মত্তা উন্মুক্ত হয়ে যাবে জেনেও লিখে‌ছিলাম - “শিশিবোতল” শব্দটি আগে শুনিনি। এর মর্মার্থ জানালে খুশি হবো।” - কারণ কনফুসিয়াসের বাণী‌টি মনে ধরেছি‌ল  The man who asks a question is a fool for a minute, the man who does not ask is a fool for life.  

     
    শিশিবোতল প্রসঙ্গে r2h কিন্তু বিদ্রুপ না করে সটান জানি‌য়েছিল - ওটা হযবরল তে নেড়ার গানের অংশে আছে। উনি শিশিবোতল-এর মর্মার্থ জানলেও আমায় তা জানাননি। শব্দ‌টা কোথায় আছে, শুধু‌মাত্র সেই সূত্রটুকু দিয়েছেন। তাতেই আমি‌ বিনীতভাবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে (@র২হ - সূত্র দেওয়ার জন‍্য ধন‍্যবাদ) লিখেছি‌লাম - এবার :।:- এর মন্তব্য “এইটা বেশ শিশিবোতল লাগলো।” - বোঝা গেল। অর্থাৎ আমার দেওয়া শিরোনাম‌ - “শংকর ভাষ‍্যে - বশী বন্দনা” - :।: এর কাছে হযবরল-তে নেড়ার গানে বর্ণিত শিশিবোতল সদৃশ মাথামুন্ডু‌হীন লেগেছে। অর্থাৎ ওটা থেকে - লেখাটির যে মূল প্রতিপাদ‍্য বিষয় - শংকরের লেখনী‌তে বশী বন্দনা - এটা বোঝার কোনো সম্ভাবনা‌ই নেই। বেশ। একটা নতুন পার্সপেক্টিভ পেলাম।”

     
    আমি তো মর্মার্থের বদলে “শিশিবোতল” এর সূত্র পেয়ে‌ মর্মাহত হ‌ইনি, তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে যা বোঝার আমার মতো করে বুঝে নিয়েছি‌লাম। তবু কেন যে আপনি সেটা “ব‍্যাখ‍্যা” অবধি টানলে‌ন বুঝলাম না। তবে নিম্নমেধা সত্ত্বে‌ও এটা বুঝেছি সব জিনিস সবাই‌কে পাবলিক‌লি বা প্রাইভেট‌লি‌ও ব‍্যাখ‍্যা করা যায় না। তাছাড়া মন্তব্যের মাঝে শিশিবোতল বা ৪২ গোছের কিছু শব্দবন্ধ ব‍্যবহার করাকেও আমি আপনার বর্ণিত “ভাষাগত উন্নাসিক‌তা” ভাবিনি। এখানে‌ আপনার চিন্তাতরঙ্গ বুলস আই থেকে ডিভিয়েট করে গেছে। বলেছি - কাউকে এমন শব্দ‌বন্ধ বোঝার সূত্র দিলে (ব‍্যাখ‍্যা নয় - যেমন আমি কায়দা না মেরে সরল‌ভাবে চেয়েছি ও r2h সহজভাবে দিয়েছে) যখন কেউ তা “মানে ব‌ই” বলে উল্লেখ করে, তখন   তাকে আর যাই হোক, আমার পক্ষে অন্ততঃ, কোনো প্রফেট অনুসরণকারী বলে মনে হয় না। 

     
    এই প্রেক্ষিতে‌ই এসেছে সুমন গুপ্তর - “অতীতচারী গর্বিত বাঙালি ও এক 'উড়ে'র গল্প” পোষ্টের উল্লেখ। বিহারী, ওড়িয়া, মাড়োয়ারীদের একদা আঁতেল বাঙ্গালী যথাক্রমে খোট্টা, উড়ে, মাওড়া বলে উল্লেখ ক‍রতো। এখনও কেউ কেউ ভাবে হয়তো। এই তাৎপর্যটা r2h ধরতে পারলেন না। তেমনই এক খোট্টা ইলেকশন স্ট্র‍্যাটেজিস্ট পিকে কখনো মোদী, কখনো মমতা‌কে ভোটে জেতাতে সাহায্য করে। আর ইন্টেলেকচুয়‍্যাল বাঙালি তা নিয়ে ভার্চুয়ালি ছদ্মবেশে আলোচনা করে। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
     

    বর্তমান প্রসঙ্গে বলি - ভাটে পাই ম‍্যাডামের ডেভিল খাওয়া‌র ছবি নিয়ে ডিসি‌র হালকা রসিকতার ওপর আমি‌ও একটা হালকা রসিকতা‌ই করেছি‌লাম। তো ডিসি কিছু বললেন না। যাঁকে নিয়ে রসিকতা করেছি‌লাম সেই পাই ম‍্যাডাম‌ও অফেন্স নিলেন না (এখনো অবধি) কিন্তু সুকুমার থেকে নবারুণে অবলীলায় যাতায়াতে সক্ষম উবের ইন্টেলেকচ‍্যুয়াল :-) টপাস করে আমায় বিদ্রুপ করলেন এই বলে -  “হযবরল কি পাগলা দাশুর রেফের সাথে যাদের মানেবই দিতে হয় তাদের মজা ঘাস বিচালি টাইপ।” 
     
     
    অর্থাৎ স্মাইলিবাবুর (বা বিবির বা অন‍্যকিছুর) দর্শন‌ ভিন্ন -  On stupid question - sarcastic answer is obligatory.  (বাণী‌টা নেট থেকে নেওয়া)। তবে কিনা হলেই বা নিম্ন‌মেধার তবু ৬৩+ কোনো বয়স্ক‌জনকে নিকের আড়াল থেকে পাবলিক‌লি হিউমিলিয়েট করার উদগ্ৰ বাসনা দমন করা‌ও কবীর সুমন বর্ণিত, r2h উল্লেখিত,  প্রফেট সুকুমার রায়ে সংম্পৃক্ত কারুর পক্ষে কঠিন। সুমন‌ও পারেননি। তাই রেকর্ড হচ্ছে না জেনে ফোনে অকথ‍্য গালাগালি দিয়ে সুমন যথেষ্ট ট্রোলড্ হয়েছিলেন। স্মাইলি থেকে সুমন - পাবলিকলি এমন আচরণ আবার আমার চোখে হাঁসজারু বা বকচ্ছপ গোছের লাগে। তাই অধমের মনে হয় - Acquiring knowledge is relatively difficult but imbibing its essence is far more difficult. এটা নেট থেকে ঝাড়িনি, আমার নিজস্ব অনুভব, ৩৮% প্রেক্ষাপট থেকে ব‍্যক্ত করলাম।
     

    বিগত চার বছর ধরে গুরুচণ্ডালিতে এলেও ভাটের পাতায় কালেভদ্রে গিয়ে‌ই মনে হয়েছে ওখানে আলপিন থেকে এ্যাটম বম্ব অবধি বিস্তৃত ক্ষেত্রে এবং সদা পরিবর্তন‌শীল কারেন্ট টপিকে আলোচনা হয়। বানভাসি শ‍্যাওলার মতো টপিক বদলাতে থাকে। বহুজন তাদের বিবিধ এবং অমেয় জ্ঞানের ভাণ্ডার তথায় উজাড় করে দেন। আমার কাছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে‌ই ধরাছোঁয়ার অতীত এবং distraction বলে মনে হয়। তাই ওখানে বিশেষ যাই না, মন্তব্য‌ও করি না। 
     

    বরং নিজের বা অন‍্যের লেখা‌র ওপর মন্তব্য পড়তে পছন্দ করি। তার ফলে ঐ লেখা‌র ওপর নানা‌বিধ পার্সপেক্টিভ পাওয়া যায়। কখনো অন‍্যের লেখা‌র ওপর মন্তব্য ক‍রতে‌ও স্বচ্ছন্দ বোধ করি।  তবু তখন‌ও যথাসম্ভব Appreciative comment or constructive feedback দিতে চেষ্টা করি। এবং কেউ খোঁচামারা কথা না বললে আমি‌ও অযথা শ্লেষাত্মক আঙ্গিক এড়িয়ে চলি। সেখানে তবু একটু ফোকাসড্ আলোচনা হয়। যেমন আমার সাম্প্রতিক লেখা - “শংকর ভাষ‍্যে - বশী বন্দনা”। ওখানে বেশ কিছু সুচিন্তিত মন্তব্য দেখলাম। আপনার‌ও ছিল। শেষে জনৈক =)) ২৪.১/১৮:৩০ বেশ কিছু রেফারেন্স দিলেন। মনে হয় বেশ অন্বেষণ করতে হয়েছে তাকে। তাই তাকে জানাই কুর্নিশ। 
     

    তবে কখনো পাঠকের মন্তব্য লেখার বিষয়বস্তু ছেড়ে স্টিয়ারিং রড কাটা গাড়ির মতো এদিক ওদিক দৌড়ায়‌। যেমন - আগেও বলেছি - রঞ্জন রায়ের “কন‍্যাকুমারী” লেখায় কিছু পাঠক লেখার একটি ছোট্ট বিষয় - উপোষ নিয়ে উদোম আলোচনা শুরু করে দিলেন। এইসব দেখে, নিম্ন‌মেধার আমার‌ও হাসি পায় তবে পাবলিক‌লি হাসি না। সুকুমার বোঝা এবং না বোঝা পাবলিকের মধ‍্যে লেভেলের নানা তফাতের মাঝে - এটাও একটা। কখন কীভাবে হাসতে হয়।
  • dc | 2401:4900:634d:f06e:7d61:7591:94b7:7462 | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:১৪520356
  • ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স ভেঙে গেল। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত