এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 42.110.152.3 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:১১459786
  • আবার মিথ্যের বেসাতি খুলে বসা হয়েছে।আগের বারে লিখেছিল,বামের ভোট রামে যায় নি।এমনি এমনি,বামেদের ভোট ভোট 17পার্সেন্ট কমেছিল আর বিজেপির ভোট 22পার্সেন্ট বেড়েছিল।

  • আহা | 190.90.160.162 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৪৬459785
  • মাথায় অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছে না বোধায়।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::bb5:ef26 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৪৬459784
  • আর এই বিজেপির জয়ের পিছনে বাঙালদের দায়ী করার ব্যাপারটা অত্যন্ত অসত্য এবং রাজনৈতীক চিন্তাভাবনার দৈনতারও লক্ষণ বটে। তবে এলেবেলেবাবু প্রথম না, আগে ঈশানদাও বোধয় এই একই বক্তব্য রেখেছিলেন।

    তখন আমি এখানেই একটা টইতে সীট ধরে ধরে দেখিয়ে দিয়েছিলাম যে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি = বামেদের ভোট হ্রাস + নতুন ভোটের পুরোটা। বিজেপি এতদিন ধরে পবে রয়েছে, আর হঠাত ২০১৯এ এসে বাঙালদের তৃতীয় প্রজন্মের হঠাত সাম্প্রদায়িক হওয়ার ইচ্ছা উঠলো সেটা সম্ভব নয়। বিশেষ করে যেখানে দেশভাগের প্রজন্ম আজ সামান্যই রয়েছে। পবে ২০১৯ সালে তিনোরা ভোট পেয়েছিল ৪৩.৬৯%। ধরা যেতেই পারে যে এর একটা বিশাল বড় অংশ এসেছে মাইনরিটিদের থেকে। সেক্ষেত্রে ধরতে হয় যে পবে আর ঘটিরা বসবাস করেনা (হয়ত সবাই এনারাই হয়ে গেছে, বলা যায় না)। বাঙালরা যদি সব বিজেপিতে ভোট দিত তাহলে দমদমে বা শ্রীরামপুরে তিনোরা জিততো না। আর পুরুলিয়া, বাঁকুরা, মিদনাপুর, বিষ্ণুপুরে বিজেপি জেতে কি করে?

    আমি জানিনা যে আজকে কজন লোক বাঙাল ঘটি ভেবে ভোট দেয়। তবে যারা দেয় দুটো কারণে দিতে পারে বলে মনে হয়। বাঙালর চায় বিজেপি এসে মুসলমানদের টাইট দিক। ঘটিরা চায় বাঙালদের বাঙলাদেশে পাঠিয়ে দিক। ঘুঁটে পোড়ে, গোবর হাসে।
  • souvik ghoshal | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩৮459783
  • ভাবলুম অ্যাপ হয়ে সুবিধে হল। তা না আরো জটিল হয়ে গেল। কিছুই খুঁজে পাই না, কেবল পাই (পাল ইপ্সিতার) এর বকাঝকা খাই কিছু খুঁজে না পেয়ে :-( 

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::37c:35c0 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩৭459782
  • ভেবেছিলাম এই নিয়ে লিখবোনা। কিন্তু অনেকে এই ব্যাপারগুলো বোঝেনা, তাই লিখতেই হচ্ছে। বাঙালদের নিয়ে "ঘেটো" বা "কলোনি" গাল বা বিদ্রূপের মধ্যে একটা দুঃখজনক ইতিহাস রয়েছে। বহু লোকের জীবন এবং জীবনযন্ত্রনার ইতিহাস আছে। এবারে তারা পূর্ববঙ্গে থাকতে যেসব দূরাচার করেছে, সেগুলো দিয়ে এইসব গালাগালি ডিফেন্ড করাটা আরো দুঃখজনক কাজ। বাঙালরা মুসলমান এবং নিম্নবর্গদের অত্যাচার করেছে, অতেব বেশ হয়েছে তোদের বাড়ি-ভিটা গেছে, বেশ হয়েছে তোদের মান-সন্মান গেছে - এগুলো কুযুক্তি তো বটেই, একটা প্রতিহিংসার ছাপও থাকে। তবে এগুলো বিভিন্ন লোকের সেনসিটিভিটির জায়্গা।
  • T | 146.196.46.99 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩১459781
  • এইসব পুঁথির অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের লেখা। যাঁরা সেসময় টোল চতুষ্পাঠীতে পড়তেন। এবং এঁদের সংস্কৃতজ্ঞান এবং বানাম জ্ঞান প্রাচীন শিক্ষার গৌরবোজ্জ্বল দিকটি আমাদিগের সামনে তুলিয়া ধরে না। একই পুঁথিতে একবার 'পৃথিবী' আরেকেবার 'পৃতিবি'। একবার ইচ্ছা, তো আরেকবার ইতশা। উচ্চারণ অনুযায়ী বানান একক বা ব্ল্যানকির লীলা হতে পারে, তাইবলে ওঁনাদেরও একই ব্যাপার! অ্যাঁ! এই যে আমরা অ্যাডাম সায়েব ইস্তক অ্যাত কথা শুনে আসছি! এই শিক্ষার্থীরা প্রায়শই পুঁথির শুরুতে সংস্কৃত শ্লোক লিখে দিতেন। দেখা গেছে প্রায় কোনো শ্লোকই শুদ্ধ নয়। অকারণে ঈ-কার ং  আর ঃ ইউজ করা। এবার এটাকে ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচ বা ডিসিপ্লিনের অভাব বলা যাবে না, কেননা এঁরা অন্য ব্যাপারে ছিলেন খুব খুব পার্টিকুলার। যেমন, 'জিতু হালদারের দোকানঘরের পিড়ায় পশ্চিমমুখে বসিয়া পুস্তক লিখিলাম ইতি।' বুঝে দেখুন সুধী।

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.81.153 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩০459780
  • টেকোবুড়ো দা, আমি সবার ভালো নাম জানি না। ওঁদের জে কজন আমাকে চেনেন, বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত বললে কিসুই বুঝতে পারবেন না, অমুকের ছেলে বা তমুক(্পিসি) র ভাইপো বললে তাও যদি বোঝেনঃ-))) ওনাদের অবশ্য বড় পরিবার , সবাই কে চিনি না হতে পারে।
    সংস্কৃত র অধ্যাপিকা, কল্পিকাদি একটা ইনটারভিউ দিয়েছেন, সম্প্রতি, তাতে কণিকা দের গুরুপল্লীর বাড়ির কথা আছে। হ্যাঁ এখন আমাদের সবার ই যা পাঁয়তারা, ওনাদের পারিবারিক জীবনের একেবারে সাধারণ যাপন, কল্পনার বাইরে এখন।
    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.81.153 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২১459779
  • এলেবেলে এখনো অব্দি মাইরি যা লিখলেন, আপনার নিজসঅ ভাষা বা স্থান আইডেন্টিটি সহ, আপনার আপত্তিকর কমেন্টের কোনো ডিফেন্স হিসেবে দাঁড়ায় না। মানে হয় নি আর কি। ফাল্তু ঘেঁটে লাভ নেই। ইউ আর জাস্ট প্লেয়িং বল। তেতো সত্য এটাই আপনি এখনো একটা সামান্য ক্ষমাপ্রার্থনা করতে পারেন নি। ক্ষমাপ্রার্থনা কাজটা যদিও খুব ই সোজা। ফাইন , সবাই সব সময় পারে না। কিন্তু এগুলো কে ডিফেন্স বলে চালিয়ে লাভ নেই। এসব কেসে আপনার অভিজ্ঞতা আনইম্পর্টান্ট এবং আপনার ল্যাঞগোয়েজ যদি রেস ইসু তে আপনার অভিজ্ঞতা কে অতিক্রম না করতে পারে, এই বিষয়ে আপনার ব্যর্থতা রয়েছে। ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে। ব্যান্টার আমি কিছু কম করি না, বুলি দের কে একটু বেশি ই করে আসছি, এটাই ঐতিহ্য, কিন্তু আপনি যে কান্ড করেছেন, তাতে রঞ্জনদা কিছু মাইন্ড না করলেও , আপনি গর্বিত ঘট্স না হলেও, সেটা অ্যাডমিসিবল না, অথচ সরি বলাটা খুব ই সোজা, আমি কেন, কেউ ই মনে রাখবে না, অল অফ আস আর ফাইটিং উইথ আওআর ওন প্রেজুডিসেস।

    আর অক্সিজেন কেস টা কি হল? এই বয়সে সি ও পি ডি আছে নাকি, খুব ই সাবধানে থাকবেন। অকারণে উত্তেজিত বোধ করবেন না। একটা কমেন্ট দিয়ে কেউ কারো বিচার করছে না, কিন্তু এটা ক্ষমা চাইলে আপনার ই হেবি ভালো লাগত।
    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • রঞ্জন | 182.69.64.235 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:১২459778
  • বাক  আপ এলেবেলে! দ্যাটস দ্য স্পিরিট!    দেশভাগের এক বছর আগে ১৯৪৬ সালে যারা এপারে এসেছেন-- তাঁরা আমাদের মতই। 

    আর এই পোস্ট থেকে বিদ্যাসাগর, রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ --সবার সম্বন্ধে তোমার তেতো কমেন্টের পেছনের দৃষ্টিভঙ্গীটা বুঝতে পারছি ।

    একটাই অনুরোধ, আমি বাবুর বদলে 'দা জুড়লে বেশি খুশি হই। আর ইস্যু নিয়ে বিতর্কে আমাকে একদম  ছাড় দেবেনা। আমার লজ্জা লাগে, অস্বস্তি হয় । আমি সম্মানের নই , ভালোবাসার ভিখারি। সমস্ত সম্পর্কের মধ্যে--স্বামীস্ত্রী/ ভাইবোন/ বাপ-ছেল্মেয়ে -- বন্ধুকেই খুঁজি। ওটাই মানব সম্পর্কের কোর এলিমেন্ট বোলে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস।

    একটু সেন্টি হয়ে গেলাম কি? (মেলোড্রামা আমার পচ্ছন্দ--বৌয়ের অবজার্ভেশন)।

  • T | 146.196.46.99 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:০৯459777
  • প্রাচীন পুঁথি তো সিংহভাগই পদ্য। সেখানে দাঁড়ি বাদে অন্য যতিচিহ্ন না থাকলেও চলে যায়। গদ্যের জায়গাগুলো, মানে পুঁথি গুলোর পুষ্পিকাতে লিপিকররা যে ভাষা লিখে গেছেন, সেটা পড়ে বহুক্ষেত্রে কিছু বোঝা যায় না, বা সহজবোধ্য নয়, পাঠকের আন্দাজের তো ব্যাপারই নেই। যেমন, শ্রীমতির মানভঞ্জন - এই পুঁথির পুষ্পিকাতে লেখা 'সঅক্ষর মিদং শ্রী চৈতনে সেন সাকীম বাষুদেবপুর পরগণে বালিগড়ি সরকার সেলামাবাদ ফাড়ি গোরগঞ্জ এই পুস্তক নিজের হৈল জে চুরি করিবেন সে সাষুড়ে হইবেক ইতি সন ১২২৪ সাল তারিখ ১০ বেলা ভাদ্র বেলা দণ্ড তিন থাকিতে সায় হৈল শ্রী রাম মোনশ খুড়ার চালায় বসিয়া সায় হৈল জল সেই উক্তে ঝিম ২ পড়ে।' মোটামুটি আন্দাজ করা যায় যে অমুক জায়গায় ১২২৪ সালের ১০ই ভাদ্র এই পুঁথি লিপিকর লিপিবদ্ধ করেছেন। লিপিটি পবিত্র হিসেবে ডিক্রি জারি হচ্ছে, কেননা যে চুরি করিবেক সে সাষুড়ে হইবেক। এইসবই সায় হইল মানে সাব্যস্ত হইল, বাট হোয়াট ইজ 'জল সেই উক্তে ঝিম ২ পড়ে'? এইটা সম্ভবতঃ এরকম যে আগেকার সময়ে পুঁথি রচনাকালে বৃষ্টি পড়া কে ঈশ্বরের সার্টিফিকেশন হিসেবে ধরা হ'ত। যেকারণে ঝিম ঝিম করে বৃষ্টি পড়ছে বলে আনন্দের চোটে লিপিকর সেটা তুলে দিয়েছে পুঁথিতে। একটানা পড়ে গেলে এইটার আলাদা উদ্দেশ্য কী বোঝা যায় না। এখন এরকম নয় যে ছোটো বাক্য লেখার নিদর্শন ছিল না। যেহেতু লিপিকররা, যিনি পাঠ করছেন তাঁর কথা শুনে লিখতেন, একটানা হয়ত বলে যাচ্ছেন এবং যখন যেমন থামছেন সেই বিরতির মাপ অনুযায়ী লিপিকর দাঁড়ি ফেলেছে। তাই উচ্চারণ ভঙ্গি ধরা পড়ত, এখানে পাঠকের আন্দাজের পক্ষে পয়েন্টস সেরকম নেই। এবাদে বানানের গোলমালেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে পাঠোদ্ধারে গোলমাল হয়।

    পদ্য  ব্যতীত অন্য যে ধরণের বাক্যরীতি পাওয়া যায়, সেখানে জটিল বাক্য কিছু নেই। যেমন,
    তুমি কে। আমি কে। আমি জিব।
    কোন জিব। তটস্থ জিব। থাক কথা।
    ভাণ্ডে। ভাণ্ড কি রূপে হইল। তত্ত্ব বস্তুতে
    হৈল। কি কি তত্ত্ব বস্তু। পঞ্চ ভূতাত্ম।
    ইত্যাদি (আপ্তজিজ্ঞাসা, ১২৫৪)

    এখানে বাক্যের ভঙ্গী দিয়ে যতিচিহ্নের প্রয়োজন সিদ্ধ হচ্ছে। এধরণের বাণীমূলক রচনাতে খুব কিশু দরকারও থাকে না। রবীন্দ্রনাথ সম্ভবতঃ এইরকম কিছুকে ইঙ্গিত করেছিলেন। কিন্তু এই দিয়ে খুব বেশী কিছু হয় না। যতিচিহ্ন বিহীন এই ধরণের প্রাচীন পুঁথির ভাষায় যদি গদ্য রচনা হ'ত তাহলে পাঠককে সেই আন্দাজ দেওয়া ও বাক্যপথে বাঁকে বাঁকে গাইড করা এসব বিচ্ছিরি রকম চাপের। ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স আছে। ঃ)
    বিদ্যাসাগর এই উপকারটি করে বাঁচিয়েছেন।
     

  • রঞ্জন | 182.69.64.235 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:০১459776
  • বোধি,

       কণিকা ম্যামের নাতি (শোভন ও পৃথার ছেলে, নামটা ভুলে গেছি) আজকাল প্রফেশনালি গাইছে, শুনেছ? টেকনিক্যালি খুব ভালো। কিন্তু অন্যরকম গায়কী। কণিকা ঘরানার নয় । আমার অবশ্য একনম্বর লাগে--প্রয়াত বিক্রম সিং। আর মোহন সিং যখন "প্রভাতে বিমল আনন্দে"  গান, কি বোলব?

  • এলেবেলে | 202.142.71.30 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৫৮459775
  • আমি গুরুতে প্রথম দিন থেকে মানে যে সময়ে আমাকে কেউ চিনত না, আমি কোথায় থাকি, কী নাম, কী করি-টরি - অ্যানোনিমিটি থাকার পরেও যখন সেই নিয়ে কারও কৌতূহল ছিল না; সেই দিন থেকে যে তিনজনকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে 'বাবু' সম্বোধন করে এখনও সে অভ্যেস ছাড়তে পারিনি - তাঁরা হলেন কল্লোলবাবু, শিবাংশুবাবু এবং রঞ্জনবাবু। খুবই খারাপ লাগছে আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে বলে।

    এখন কথাটা আমি কোন প্রসঙ্গে বলেছিলাম? রঞ্জনবাবু 'ময়মনসিংহের লোক' শব্দদ্বয় উল্লেখ করার পরে। মানে এখনও বরিশালের, পাবনার, ময়মনসিংহের মানুষ বলার যে স্বাভাবিক প্রবণতা পূর্ববঙ্গের মানুষদের আছে, তাকে সামান্য ঠাট্টা করে বলা। তার এমতি অর্থ হবে সেটা বুঝতে পারিনি। আর তাঁকে রেসিস্ট বা কাস্টিস্ট মন্তব্য করার দুর্দশা যেন আমার এ জীবনে না আসে।

    প্রসঙ্গত আমি গর্বিত ঘটস-ও নই, নিন্দিত বাঙালও বলা যাবে কি না জানি না। আমি ঘোল। ঠাকুরদা ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত নদীয়ার কুষ্টিয়ার আজইল গ্রাম থেকে তাঁর নবদ্বীপের মামাবাড়িতে সমস্ত কিছু ছেড়ে চলে আসেন। নবদ্বীপের শিরোমণি মামারা তাঁকে তাঁদের বাড়ি সংলগ্ন জমিতে মাথা গোঁজার আশ্রয় দেন। এখনও আমি সেই বাড়িতেই থাকি। বাবা তখন নাইন, পিসি ক্লাস ফোর।

    কিন্তু পূর্ববঙ্গের মানুষরা কি ধোওয়া তুলসিপাতা ছিলেন (এর সঙ্গে রঞ্জনবাবুর কোনও সম্পর্কই নেই)? আমি আমার পূর্বপুরুষদের বিরুদ্ধে দ্রোহে ফেটে পড়ছি। তাঁরা কি চরম ব্রাহ্মণ্যবাদী ছিলেন না? মুসলমান বিদ্বেষী ছিলেন না? নমঃশূদ্র বিদ্বেষী ছিলেন না? যতদিন ওই বঙ্গে ছিলেন ততদিন দাপটে রাজ করেছেন। যাঁরা এখানে ফরিদপুরের, তাঁরা জানবেন গুরুচাঁদ ঠাকুরকে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা পাঠশালায় পড়তেই দেননি। ফলে তাঁকে মক্তবে ভর্তি হতে হয়। তাঁদের সংখ্যা কত ছিল? ১৮৮১-৮২র সেন্সাস অনুযায়ী ১.৫ কোটি। তাঁদের শিক্ষার জন্য, সামাজিক ট্যাবু ভাঙার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা কোন বাঙিটা ফাটিয়েছিলেন?

    কিন্তু যেই বঙ্গভঙ্গ হচ্ছে অমনি তাদের কথা মনে পড়ল। মুসলমানদের হাতে রাখি বেঁধে দেওয়ার নৌটঙ্কিবাজি শুরু হল। তারা পাত্তা দিয়েছিল আমাদের ঠাকুরদাদের? দেশটা ভাগ কাদের জন্য হল? কাদের জন্য নমঃশূদ্র-মুসলমান জোট হল? সেই জোটের সম্পর্কে আমাদের কী মানসিকতা ছিল? শুধু ব্রিটিশকে দোষ দিলে হবে? আমরা সাধুপুরুষ?

    এবারে নিখাদ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শুনুন। গত তিরিশ-একতিরিশ বছর আমি একটি 'কলোনি' এলাকায় চাকরি করি। সেখানে আমার ৪০% ছাত্র মুসলমান, ২৫% ছাত্র নমঃশূদ্র। আমি 'কলোনি' মানসিকতা দেখে দেখে বুড়ো হয়ে গেলাম। পাড়ার নাম ঢাকাপাড়া, বরিশাল পাড়া, পাবনা পাড়া, ত্রিপুরা পাড়া। আরও শুনবেন? দুই পাড়ায় চরম রেষারেষি, তীব্র মুসলমান বিদ্বেষ এখনও যথেষ্ট উপ্ত। নদীয়ার দু-দুটো লোকসভার সিটে বিজেপি এমনি এমনি জেতেনি। কৃষ্ণনগরের অন্তর্গত শক্তিনগরের নাম শুনেছেন? একদা নকশালদের ঘাঁটি ছিল। সেখানে পাবনার মানুষ অবিকল তাঁর পূর্ববঙ্গের বসতির মতো বসতি স্থাপন করেছে। অন্য জেলার হিন্দুরা ঢুকতে অবধি পারেনি, মুসলমান তো নামুমকিন। কাজেই সবাইকে রঞ্জনবাবু-কল্লোলবাবুকে দিয়ে রিপ্লেস করতে চাইলে সেটা নিরেট বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

    এগুলো তেতো সত্য, এর জন্য আমি নিজে আমার পূর্বপুরুষকেও রেয়াত করতে রাজি নই এবং তার সঙ্গে রঞ্জনবাবুর মতো মানুষকে হাস্যকর বাইনারি ঘটি-বাঙালে খোপবন্দি করার দুর্মতি নেই। রঞ্জনবাবু কোথাকার মানুষ সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র উৎসাহীই নই। মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করি, ওই বাউনগিরির ১০৮।

  • রঞ্জন | 182.69.64.235 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৫৭459774
  •  আরে আরে! নো ঝগড়া! 

    আমি নিশ্চিত এলেবেলে আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপের সুবাদে চিমটি কাটার  উদ্দেশে কমেন্টটি করেছেন। অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয় । 

    এই দেখুন না, হানু আমায় "টেকো বুড়ো" বলল! আপনারা কেউ প্রটেস্ট করেননি। জানি, আপনারা ওর মোটিভকে ভুল বোঝেননি। ঠিকই করেছেন। চুপি চুপি জানিয়ে দিই --ক'দিন আগে ফোনেও এটা বলেছে এবং সঙ্গে ব্যাটম্যান ফিলিমের ওই জোকারের মত বিচ্ছিরি হ্যা-হ্যা করে হেসেছে।

    @এলেবেলে,

       আমার বাবা রিটায়ারের সময় ভিলাইয়ে দু'বন্ধুতে মিলে আধাএকর জমি কিনে খালি পূববঙ্গের কলীগদের বসিয়ে কলোনী বানাতে চেয়েছিল। আমরা দু'ভাই প্রতিবাদ করে  বলি--ঘেট্টো বানিও না। সেফটির জন্যে স্থানীয় ছত্তিশগড়ি মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে ওদের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়ালেই হবে।

       আর বাঙাল-ঘটি নিয়ে একটা ফরমাইশি হাল্কা লেখা কয়েকবছর আগে  দিল্লির  পূজো সংখ্যা আউটলুকের পাতায় বেরিয়েছিল। সেটা নাহয় নির্মল আনন্দের জন্যে টই পত্তরে পোস্ট করে দিচ্ছি।

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.81.153 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৫২459773
  • বিক্রম যে গান রেকর্ড করেছেন, এটা আমি জানতাম ই না। সিরিয়াসলি , প্রথম জানতে পারি বৈজয়ন্তর কাছ থেকে। ও বোধ হয় সুকন্যাদি দের পেপার কি যেন নাম, যেটা উঠে গেছে, সেখানে একটা ডিপ অ্যাপ্রিসিয়েশন লিখেছিল। বিক্রম কে আমার ছোটোবেলাতেই বেশি মনে ছিল, বড় হয়ে ভেগলি জানতাম কবিতা লিখছিল, ওরা কয়েকজন, কিন্তু জানতাম ই না যে ও গান গাইছে পুরো পুরি, বা সৌগত সরোদ বাজাচ্ছে পুরোপুরি। তার পরে তো বিক্রম শোনা হল, স্টান্ড এমন হলাম, এখনো ছেলেটা চলে গেছে বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ওদের গানের যে ডিসটিন্কটিভনেস, সেটা কিন্তু কণিকার রেকর্ডেড মিউজিক কে ধরে না। ওটা ওরা ওখানে যা শুনেছে, শান্তিদেব, নীলিমা, কণিকা, সীতাংশু রায়, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়, অশেষ বাবু, অশেষ বাবুর মেয়ে লাবু দি (ভালো নাম ভুলে গেছি), তমাল বাবু, শীতল বাবু, চৈতি বাবু (ক্ষমা দির স্বামী), বিজয় (বিজয় কুমার সিংহ) দের কাছে সেটাকে ধরে রাখার একটা সচেতন প্রয়াস করেছে, প্রথম দিকের গান শুনলে মনে হবে ব্রাহ্মসমাজে যে উচআরণে, অ্যাফেকটেড কিন্তু ডিসটিন্কটিভ, সেরকম ভাবে গাইবার চেষ্টা করছে। পরে সেটা থেকে সরে এসেছে কিছুটা, নিজেদের ভাষা নিজেদের মত করে খুঁজে পেয়েছে হয়তো। বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.81.153 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:২৫459772
  • একক, নিশীথ রাতের বাদল ধারা টা অ্যাপার্ট ফ্রম দ্য লেজেন্ডারি এস এম, আমাদের প্রজন্মে, শর্মিলা রায় পোমো নব্বই য়ের দশকে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে এসে কয়েকটা গান রেকর্ড করেন। আমরা স্টান্ড হয়ে গেছিলাম। 'আঁধার রাতের একলা পাগল' ইত্যাদি সহ, পরে সাহানা যখন গেয়েছেন, এগুলো কে গেয়েছেন। আমার ধারণা , একেবারেই আন্তাচে, এসব জিজ্ঞেস করার মত, আলাপ , দেখা কোন টাই নেই, সাহানা এগুলো কে গেয়েছেন, কোন এক দিক থেকে শান্তিনিকেতনের ঘরানা কে রেকগনাইজ করার জন্য, যেটা হয়তো ওনাদের কাছে, দক্ষিনী ইত্যাদির থেকে আলাদা।
    আর বলছিলাম, যে অর্নব নয়ন তোমারে যখন রেকর্ড প্রথম দিকের শুধু এসরাজ থেকে সরে এসে, পরে পিয়ানো, খঞ্জনি(?), মেটাল ফ্লুট (?), ক্ল্যারিনেট, স্যাকসোফোন এসব নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছিল, একটা ডিসটিন্কটিভ সাউন্ড স্কেপ তৈরী করার প্রচেষ্টা করেছিল। তখন একটু হই হই করেছিলাম আমরা।
    আসলে ঘটনাটা ঐ, অর্নব বোধ্হয় একটা ইনটারভিউ তে বলেওছিল, ফিউসন করব কিনা ভাবতেই ভাবতেই নিজেদের ইডিয়ম খোঁজার চেষ্টা চলছিল। ইন্টারেস্টিং লেগেছিল আমার অবসারভেশন। তৌফিক, অর্নব তখন নিজেদের গান ও করতো। সাহানা নিজে কবিতা লিখতো, প্রচুর লিরিক লিখেছে শুনেছি, সেগুলো রেকর্ড করেছে কিনা জানি না।
    তো যাই হোক, আগের লম্বা পোস্টে যাদের কথা বলছিলাম, তাঁরা ইনটেলেকচুয়াল নন, থিয়োরী করেন নি, মিজিউক সম্পর্কে নিজেদের পার্সপেক্টিভ মূলতঃ অব্যক্ত, সে জায়্গায় এই ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েরা, যারা কটাদিন আগেও গুড় গুড়ে ছিল, ভেবেছে, এবং চেষ্টা করেছে, ধরুন, পঞ্কজ মল্লিক, ভি বালসারা, দূর্বাদল, অশেষ বাবু , চইতি দা র যে ডিসটিন্কটিভ অ্যাকমপানিমেন্ট সেগুলোর মত করে ই আলাদা সিগনেচার করবে। এখনো উচ্ছ্বসিত হচ্ছি না, তবে প্রচুর ভালো ঘন্টা কেটেছে, বিক্রম এবং এই শিল্পী দের নিয়ে, আরো সময় যাক, কারণা ওরা অনেকেই মনে হয় নিজেদের আরো প্রচুর চেঞ্জ করবে। কারণ মিউজ্কাল এবং ব্যক্তিগত অভিবাসনের , সেটলমেন্ট এর ফ্লিটিং এক্সপেরিয়েন্স কেই অথেন্টিক এক্সপেরিয়েন্সে না হোক অথেন্টিক এক্সপ্রেসন এ নিয়ে আসা টাই এদের মেন কন্ট্রিবিউশন, উইদিন দ্য কনটেক্স্ট অফ রবি বাবুর গান এবং কিছুটা লোক গান এবং বাংলা ব্যান্ড মিউজিক।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • এলেবেলে | 202.142.71.30 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:২৫459771
  • এবারে একাধিক ব্যক্তির একই অভিযোগের (সময়ানুসারে) একটাই উত্তর ---

    ১. | 2601:247:4280:d10:192c:b86b:a4aa:4e71 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:২৯

    //"এবং রঞ্জনবাবুর কথাতে মনে হল পূর্ববঙ্গের মানুষদের এই ঘেটো মানসিকতা এখনও মনের গহনে বর্তমান!"

    এই বাক্যটির লেখকের মানসিক দৈন্যের পরিচয় পেয়ে বাক্যহারা হয়ে গেলাম! এর আগেও এনারাইদের সম্পর্কে ওনার বক্তব্যে চমৎকৃত হয়েছি, কিন্তু এটা পড়ে আশ্চর্য হতেও ভুলে গেলাম!

    ছি://

    ২. বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 42.110.141.114 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৩০ 

    //এলেবেলে | 202.142.71.209 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪০

    এলে, এই উল্লেখিত কমেন্ট টি আউটরাইট রেসিস্ট। আপনার দিক থেকে কৃষ্ণা প্রার্থনা আশা করব। আমার ধারণা সেটা করে ফেলতে পারলে আপনার ই হালকা লাগবে, কারণ নোয়িং টেকো বুড়ো, হি উইল স্টিল ফাইন্ড আ ওয়ে টু বি নাইস।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 42.110.136.183 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৫২459734

    এবং আশা করা যিয় তখন লোকজন এ পক্ষ সে পক্ষ নিয়ে কথা বলবেন, তখন তে কোন গালাগালের সঙ্গে, বুলিং বা টন্টের সঙ্গে রেসিস্ট মন্তব্যের তুলনা করবেন না, এমনকি দ্বিতীয় টি অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে, ইন আ জেস্ট করা কমেন্ট মনে‌ হলেও, রেসিস্ট পজিশন, এর ক্যাটিগোরি টি আলাদা।//

    ৩. S | 2405:8100:8000:5ca1::372:9224 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৫৩459735

    //এলেবেলেবাবুর এই মন্তব্যটা ঠিক বুঝিনি। যদি সবাই যেটা মনে করছে সেটাই হয়, তাহলে সত্যিই অত্যন্ত আপত্তিজনক।

    তবে এনারাইদের নিয়ে যত গাল দেওয়া যায়, আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, ততই কম হয়। এই দুটো গোষ্ঠির মধ্যে লাইনটানাকে আজকাল ফলস ইকুইভ্যালেন্স বলে।//

    যেহেতু এনারাই প্রসঙ্গটা এসেছে, সঙ্গে একটা জোরালো 'ছিঃ' আছে এবং তিনিই যেহেতু এ বিষয়ে আমাকে প্রথম অভিযুক্ত করেছেন, তাই সবার আগে নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে নেওয়া ভালো।

    আমার এনারাই বা এনারাই নন, তাঁদের কারও প্রতি কোনও অসূয়াজনিত বিদ্বেষ কোনও কালে ছিল না, নেই এবং থাকবে না। কারণ থাকারই কোনও কারণ নেই। প্রথম যখন এই কথাটা বলেছিলাম, তখন 'সম্ভবত' জীবনানন্দের লাইন কোট করে বলেছিলাম সব এনারাই এনারাই নন, কেউ কেই এনারাই। এখন কী সব কল-ফল এসে গেছে, ফলত দেখে নেওয়া যেতে পারে।

    এখন এই কথাটাই বা হঠাৎ আসল কেন? সেটা বিবৃত করা দরকার। নাহলে দাড়িদাদুর 'একের কথা অন্যের মানে' কেস হচ্ছে আর কি। বিশেষত খ এবং বড়েস অভিযোগ করেছেন মানে সেটা সিরিয়াস ইস্যু। তো আমার নিজের একাধিক ক্ষেত্রে মনে হয়েছে অন্তত ভাটে এই এনারাইদের একটা ঘেটো মানসিকতা মনের গভীরে নিহিত আছে এবং সেটা নিছকই মনে হওয়া-সঞ্জাত নয়।

    এখন সুরুচি সংঘের কিংবা নাকতলা উদয়ন সংঘের দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা তো বহুদিন হল মাটির সঙ্গে যোগাযোগরহিত, ফলে তাদের ওই ভুলে মেরে দেওয়া মাটি নিয়ে একটা আদিখ্যেতা এই সময়টায় চাগিয়ে ওঠে। তাই বিকট বাঁকুড়ার ঘোড়া কিংবা হাঁড়িকলসি তাঁদের প্যান্ডেলে 'ইন্সটলড' হয় এবং তাঁরা 'ড্রিঙ্ক' করে সামান্য টিপসি অবস্থায় আড়ি অথবা ঝাড়ি মেরে থাকেন। এবং এই থাকবন্দি অবস্থা বা হায়ারার্কিটা সবাই নতমস্তকে মেনে-টেনে ঠাকুর দেখবেন, আন্দো করবেন এমনটাই আশা করেন। 

    এখন হয়েছে কি, আমি তো একে 'চাঁড়াল' তায় নবদ্বীপের 'গেঁয়ো ভুত' মানে যাকে বলে 'টোটাল ধুর'। ফলে আমাদের রাসে 'মাল' খেয়ে লোড হয়ে সব ভুলে যাওয়ার অভ্যাস থেকে তাঁদেরই প্যান্ডেলে চাঁড়ালের মতো আন্দো করছি, নাচানাচি করছি (যদিও ঝাড়িও মারছি না এবং কারও পা-ও মাড়িয়ে দিচ্ছি না) মানে সোজা কথায় তাঁদের সযত্ননির্মিত হায়ারার্কিকে চরম দুয়ো দিচ্ছি আর কি, এটা তাঁদের ইন্সটলড প্যান্ডেলের পক্ষে ঠিক মানানসই 'লাগছে' না। কারই বা ভালো লাগে? ফলে সেন্টার স্টেজে কেন ব্যাটা নাচবে? তাই মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে গাধার পিঠে উল্টো করে চাপিয়ে দাও ব্যাটাকে দূর করে মার্কা ফতোয়া মাঝেমধ্যেই ভেসে ওঠে।

    এই সংখ্যাটা বড্ড কম এবং তাঁদের থাকবন্দি মানসিকতাকে পাত্তা দিতে বয়েই গেছে।

    নাঃ, পরের দু'জনের অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আরেকবার লিখতেই হচ্ছে। 

  • রঞ্জন | 182.69.64.235 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:২৫459770
  • এলেবেলে,

     আমি ঠিক জানিনা, তবে ভাতঘুম তাড়াতে গিয়ে ভাবছি। একই শব্দের একাধিক ব্যাসবাক্য ও সমাস হতেই পারে, অর্থভেদে এবং কোথায় জোর দিচ্ছি তা বুঝে। কিন্তু বর্তমান উদাহরণে?

    ১ যদি তোমার কথা মেনে  প্রাজ্ঞদর্শী শব্দের অর্থ  'প্রাজ্ঞব্যক্তি দর্শন করেন যাহা ' ধরা যায় তাহলে ব্যাসবাক্য প্রাজ্ঞব্যক্তির দর্শন হয়ে সমাসটি ষষ্ঠী তৎপুরুষ হবে। এবং তার আগে 'প্রাজ্ঞ' শব্দের সমাস নির্ণয় করতে হবে -অজ্ঞ/বিজ্ঞের মত সেটাও বহুব্রীহি হবে বলেই মনে হয়।

     এক্ষেত্রে  'দর্শী' যোগে এটা বহুব্রীহি-- মানে ওই বহুদর্শী/ভূয়োদর্শীর মত-- হবে বলেই মনে হয়।

    আন্দাজে ঢিল ছুঁড়লাম। পালটা ঢেলা খাওয়ার অপেক্ষায় , যাতে ঘুম পালায়।

    ২ শোন,  বহুপ্রতীক্ষিত ২৬শে সেপ্টেম্বর এগিয়ে আসছে। আমি অপেক্ষায় আছি।  একটি জিনিসকে নানা দিক থেকে দেখতে পছন্দ করি। তায় বৌদ্ধ ক্ষণিকবাদে বিশ্বাসী। তোমার দেওয়া অসম্ভব ভালো সব তথ্য আমাকে ঋদ্ধ করবে--আশা রাখি। বিদ্যাসাগরের ভাবমূর্তিতে একটু চিড় ধরতেই পারে, কিন্তু ভেঙে পড়বেনা বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ 'কেসি'র মত আমারও বিশ্বাস উনি যা করে গেছেন তার পাল্লা যা করেননি বা ভুল করেছেন তার থেকে অনেক ভারি।

    ধর, কাল যদি আমার মেয়েরা জানতে পারে যে ওদের বাবা নিয়মিত সোনাগাছি যায় বা অন্য শহরে আর একটি সংসার প্রতিপালন করছে ( ডিঃ ইহা একটি কাল্পনিক উদাহরণ্মাত্র)--- তাতে ওদের চোখে আমার হাইট অনেকখানি কমবে, কিন্তু সম্পর্ক ছিন্ন হবেনা বলেই আমার ধারণা।

  • এলেবেলে | 202.142.71.30 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৫০459769
  • :|: | 174.254.192.170 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৫

    //আরে এলেবেলেবাবু, ২০টা৫৭, ভুয়োদর্শী মানে সত্য দেখতে পান যিনি, রূপ দেখতে পান যিনি তিনি রূপদর্শী আর সেই অর্থে আপনা কথার ব্যাখ্যা হয় প্রাজ্ঞকে দেখতে পান যিনি। তো, সেই অর্থ প্রয়োগ করে আবার লেখাটার, মানে সামগ্রিকভাবে আপনার ঐ প্যারাটার মানে একটু ক্যামন যেন হয়ে যাচ্ছে।//

    আগেই করজোড়ে অনুরোধ করি, অনেক বলা-কওয়ার পরে নামটা যখন নিচ্ছেনই তখন কেবল নামটাই নিন, ল্যাজটুকু ছেঁটে দিন। 

    প্রথমত বানানটা 'ভূয়োদর্শী' এবং তার অর্থ 'বহুদর্শন' (বঙ্গীয় শব্দকোষ)। সেই অর্থে বহুদর্শনক্ষম ব্যক্তি, মানে যিনি একজন ব্যক্তিকে বা বস্তুকে বহুদিক থেকে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতাশালী। এর সঙ্গে 'সত্য দেখতে' পাওয়া বা না পাওয়ার সম্পোক্কো থাকতেও পারে, না-ও পারে।

    দ্বিতীয়ত, সব শব্দের সমাস কি একই রকম হবে এমন কোনও নিয়ম আছে? প্রাজ্ঞ ব্যক্তি দর্শন করেন যাহা - মানে এমনটা হবেই না বলছেন? তো বুলাও সমাসজ্ঞ ব্যক্তিদের। তাঁহারা যাহা বলিবেন, তাহা আমরা উভয়েই যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন করিয়া মানিয়া লইব।

    //খুব খুশী হয়েছি এখন আপনি কি এবং কী-এর পার্থক্য জানেন দেখে। নমস্কার।//

    এ মা, ১২ই সেপ্টেটাও জানতাম তো! আদাব।

  • এলেবেলে | 202.142.71.30 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৩৩459768
  • আমি সকালে খুব ব্যস্ত ছিলাম, মানে সামান্য অক্সিজেন নেওয়ার নেশায় ভাটে আসার কারণে কাল সামান্য ফাঁকিবাজিই হয়ে গিয়েছিল নিজের কাজে। তো এতক্ষণে অনলাইন হয়ে বেশ কিছু মন্তব্য দেখলাম। বলা বাহুল্য, তিনটে বিষয়ে মন্তব্য করতে হবে বলে আমি সময়ের পারম্পর্য রক্ষা করে এক এক করে যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তার প্রথম দুটোতে সুর সামান্য হালকা থাকবে, যদিও তৃতীয়টায় আমার প্রিয়তম যতিচিহ্নটি ব্যাভার করা থেকে বিরত থাকব।

    রেডি, অনিমা, গো...

    kc | 188.70.46.238 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:২৭

    //এলেবেলে বাবু, কিন্তু তাই বলে রবি ঠাকুর যাঁর কাছ থেকে বাংলায় পাংচুয়েশনের দীক্ষা নিলেন, তাকেই কাটবেন রবি ঠাকুরের ছুরি ধার নিয়ে? বলি কত্তা, ধম্মে সইবে?//

    এ একেবারে যাকে বলে সাধ করে সেমসাইড গোল খাওয়া! বস্তুতপক্ষে দাড়িদাদু বিদুকে বিভিন্ন বিষয়ে এমন ভো কাট্টা করে ছেড়েছেন যে কহতব্য নয়। এখন বিদ্যাসাগরচরিতটা ছিল নেহাতই গ্যালারি শো। এমারেল্ড থিয়েটারে গুচ্ছের লোকের সামনে কিছু ভালো ভালো কথা বলতে হবে, ফলে সে হিসেবে সেটাকে ট্রিট করাই ভালো। এখন বাঙালি যদি সেটাকেই পরম সত্য বলে মনে করে তাহলে কিছু বলার নেই।

    একটু নমুনা দিই। ওই ভাষণের এই দুটো অংশ ব্যাপক চালু।

    ১. বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যভাষার উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সুবিভক্ত, সুবিন্যস্ত, সুপরিচ্ছন্ন এবং সুসংযত করিয়া তাহাকে সহজ গতি এবং কার্যকুশলতা দান করিয়াছেন।

    ২. বাংলাভাষাকে পূর্বপ্রচলিত অনাবশ্যক সমাসাড়ম্বরভার হইতে মুক্ত করিয়া, তাহার পদগুলির মধ্যে অংশযোজনার সুনিয়ম স্থাপন করিয়া, বিদ্যাসাগর যে বাংলা গদ্যকে কেবলমাত্র সর্বপ্রকার-ব্যবহার-যোগ্য করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন তাহা নহে, তিনি তাহাকে শোভন করিবার জন্যও সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। গদ্যের পদগুলির মধ্যে একটা ধ্বনিসামঞ্জস্য স্থাপন করিয়া তাহার গতির মধ্যে একটি অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত রক্ষা করিয়া, সৌম্য এবং সরল শব্দগুলি নির্বাচন করিয়া, বিদ্যাসাগর বাংলা-গদ্যকে সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতা দান করিয়াছেন।

    মানে এখান থেকেই লোকে মনে করেন দাড়িদাদু শুধু বিদুর গদ্যরীতিরই ভক্ত ছিলেন না, তাঁর প্রবর্তিত (!) যতিচিহ্নেরও ব্যাপক পাখা ছিলেন।

    এবার শোকেসের দাদু নন, তাঁর গুদামে ঢুকুন। 

    সঞ্চয়িতার প্রুফ রিডার জীবনময় রায়কে ১৯৩১-এর ৫ নভেম্বর তিনি জানান, ইদানীং পাঠককে যে ‘চিহ্ন-মৌতাতে পেয়ে বসেছে’ তিনি তাকে আশকারা দিতে রাজি নন। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, ‘প্রাচীন পুঁথিতে দাঁড়ি ছাড়া আর কোনো উপসর্গ’ না থাকায় ভাষা যেমন ‘নিজেরই বাক্যগত ভঙ্গীদ্বারাই নিজের সমস্ত প্রয়োজন সিদ্ধ করত’, তেমনি ‘পাঠকের আন্দাজ ছিল পাকা, বাক্যপথে কোথায় কোথায় বাঁক তা সহজেই বুঝে নিত’। বরং ইংরেজদের আসার ও ছাপাখানার জন্য এমন ‘হাকিমী  সাহেবিয়ানা’ এসেছে যার ফলে লেখক ধরে নেয় তাঁর ‘পাঠক আফিমখোর’।

    কী বুঝলেন? বিদুর অতিরিক্ত মাত্রায় যতিচিহ্ন ব্যবহারকে প্রশংসা করছেন? তাঁর কাছে পাংচুয়েশনের দীক্ষা নিচ্ছেন? ওই কারণে আমি ইমোজি ব্যবহারই করি না! মানে সাইটে দিতে পারি না সে ঠিক আছে, ফেবুতেও দিই না। মানে বাক্য লিখে পাঠককে কান ধরে বুঝিয়ে দিতে হবে যে 'বাপু ইহা হাসির বাক্য, সুতরাং হাসো তো দিকি' আমি এই অবস্থানকে সমর্থন করি না। 

    কিংবা ধরুন ওই ভাষণটাতে এটা আছে --- সংস্কৃতকলেজের কর্ম ছাড়িয়া দিবার পর বিদ্যাসাগরের প্রধানকীর্তি মেট্রোপলিটান ইনস্টিস্ট্যুশন্।

    তো এটাকে বেদবাক্য মনে করতেন নাকি দাদু? তিনি তো ওখানেই তাঁর আপত্তিটা লিপিবদ্ধ করে গেছেন --- সুবোধ ছেলেগুলি পাস করিয়া ভালো চাকরি-বাকরি ও বিবাহকালে প্রচুর পণ লাভ করে সন্দেহ নাই, কিন্তু দুষ্ট অবাধ্য অশান্ত ছেলেগুলির কাছে স্বদেশের জন্য অনেক আশা করা যায়। বহুকাল পূর্বে একদা নবদ্বীপের শচীমাতার এক প্রবল দুরন্ত ছেলে এই আশা পূর্ণ করিয়াছিলেন।

    কী বুইলেন কত্তা! দাদুর গোডাউনে এত ধারালো মাঞ্জাওয়ালা সুতো মজুত আছে যে বিদুর ঘুড়ি বলে বলে ভো কাট্টা করে দেওয়া যাবে!!

  • সুকি | 49.207.206.16 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৩৬459766
  • বোধিদার যে লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারি (মানে যেগুলো আমার এলেমের মধ্যে আরকি). সে গুলো বড় ভালো লাগে। 

  • একক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:২৯459765
  • * রিডল অফ পোয়েট্রি।
  • একক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:২৯459764
  • ব্যার্থতার কথাই লিখুন্না ঃঃ) আরটের জগতে ব্যার্থতা বল্লে, হেল্পলেস্লি একটা লাইন মনে পরে বারবার, রিডক অফ পোয়েট্রি শীর্ষক লেকচারে, হারভারড এ, বোরহেস বলছেন একদম শেষ বয়েসে ঃঃ আই হ্যাভ অনলি মাই পারপ্লেক্সিটিস টু অফার ইউ!

    পরে, বই হয় ক্রাফট অফ ভার্স নামে। খনি জিনিসপত্র ছ টা লেকচার ই।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c82b:154f:5dda:7b1d:3f4e | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:১২459763
  • একটু বেশি ই পার্সোনাল হয়ে গেলো। যাক সে কথা ঃ-))) মামুর কল আমাদের অনেক লজ্জার সাক্ষী ঃ-))) তবে আমার ইচ্ছে আছে শান্তিনিকেতনে গান ও সুর বলতে যা বুজেছিলাম, সেটা রবীন্দ্র সংগীতের বাইরেও প্রচুর সরকারী বেসরকারী লোকায়ত একটা ইন্ফ্লুয়েন্স ছিল, অথচ সেটা বাংআলি আর্বান সংস্কৃতি চর্চার অনেকটাই বাইরে ছিল, এই অসম্পূর্ণতা আমার ধারণা আমাকে আরো রিসেপটিভ হতে সাহায্য করা উচিত ছিল, কিন্তু সেটা হয় নি, এই ব্যর্থতা টা নিয়ে, যদি প্রকাশ করতে পারি, আমার লেখার ইচ্ছে আছে।
    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • একক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:১১459762
  • হ্যাঁ, ফ্রিডম অফ চয়েস। সাহানার ভারশনে সোজা হয়ে থাকা আংগুল বলতে ওটাই বলছিলুম। আপনি বেটার উপস্থাপন করলেন।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c82b:154f:5dda:7b1d:3f4e | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:০১459761
  • একটু পার্সোনাল হয়ে যাবে। কিছু ছেলেমেয়ে অন্তত শুধু গান দিয়েই কমিউনিকেট করতে শিখে যেত, এরকম একটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি। গান নাচ, বিশেষতঃ মেয়েদের গান নাচ তার প্রথম এবং প্রাইমর্ডিয়াল কথা অনেক সময়ে, রিয়ালাইজেশন অফ জেন্ডার অর সেকসুয়াল ফ্রিডম, সেকসুয়াল বলতে শুধুই যৌনতার এক্সপ্রেসন না, জেন্ডার বলতে শুধু অধিকার এর প্রশ্ন না, অথচ পশ্চিমি অর্থের হেডোনিজম ও না, কিন্তু মানুষ, প্রকৃতি, সমাজ সবার সংগে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে একটা আপোশহীন স্বাধীনতার স্বাদ।
    এটা আমি কিছু টা লক্ষ্য করেছি।

    এবং এটা র একটা স্থান কাল পাত্রহীন আনরিপেন্টেন্ট প্রকাশ এবং সেলিব্রেশন।

    আমার মায়ের বয়সী বা তার থেকেও বড় দের থেকে আমাদের অনেক ছোটো দের মধ্যে। গান গাইতে যে পারছে গলা ছেড়ে সেটাই তার একাধারে ব্যক্তিগত আড়াল এবং কমিউনিকেশনের মাধ্যম হয়েছে। দাদুর গান তো এই প্রয়োজনীয়তাটাকে প্যাম্পার করে।
    আমি যে মেয়েটিকে ভালো বাসতাম, মানে প্রথমে বুঝিনি, পরে মনে হয়েছিল যথেষ্ট ভালো বাসতাম, তার সংগে আমার সম্পর্ক টেঁকার মত ছিল না। কোন দিক থেকে শেয়ার করার মত বিশেষ কিছু ছিল না, আমি খুব ই রেসপন্সিবল প্রেমিক হলেও, শেয়ার করার এলাকা বাড়ানোর পরিশ্রম টা যে করছিনা সেটা সে বুঝতে পেরেই সরে যায় , সে যা হয়েছে ভাল হয়েছে, কিন্তু ঘটনা হল, সরে যাবার পরে কোন একদিন তোমার সংগে বেঁধেছি আমার প্রাণ গানটা য়া হয়েছিল, কোন আড্ডায় এবং সত্যি কথা বলতে কি আমাকে ওরকম ভাবে কাঠগড়ায় আর কখনো দাঁড়াতে হয় নি, অনেক কাব্যই ভেসে গেছিল। আমার এক আত্মীয়া, যাঁর সংগে কোন মতেই কোন দিন সখ্য স্থাপন বিশেষ হয় নি, হওয়ার সুযোগ ঘটে নি, তাঁর পরম বন্ধুর বিয়োগের দিনের পরে কিছুদিন একটা শক্ড স্টেটে চলে যান, কোন কথা বলতে পারছিলেন না, এবং বেদনার এক ধরণের সামাজিকতা আছে, তার তোয়াক্কা না করে বলবো না, তোয়াকা করতে না পেরে, ঐ কয়েক সপ্তাহ সারাদিন গান গাইতেন। আর কোন ভাবে তিনি নিজেকে তখন প্রকাশ করতে পারছিলেন না, হয়তো শেখেন ও নি। আমার প্রিয়তম দিদি তাঅর বিবাহ পূর্ব জীবনেও গান গেয়েই লোকের হৃদয়ে জায়গা করে নিত, কিন্তু এএশঅরের মারে, তার সন্তান বিয়োগ ঘট্ছে এবং আমাদের পরিবারের পাড়ার হাজার বাতি এক সংগে যেদিন থেকে নিভে গেছে, সেদিন থেকে একমাত্র এই দাদুর গান গেয়েই সে বেঁচে আছে। এবং এখন যে 'ভালো' গান আমরা তার কাছে পাছি, সেই ভাবনার গভীরতা , উচ্চারণ ও সুর ক্ষেপনের স্থৈর্য্য তাকে বড় মূল্য দিয়ে পেতে হয়েছে এটাই যা দুঃখের।
    যাঁদের কথা বললাম, আমার প্রয়াত আরেক আত্মীয়া সহ, তাঁদের কে কোন একটা বিষয়ে বলতে বা লিখতে হলে তাঁদের অনেক অনেক সাহায্য লাগবে, সায়ন্ত্বনী বা সাহানার মত তারা নিজেরা ঘটনাচক্রে ইনটেলেকচুয়াল না, অর্ণব , বিক্রম দের মত, গান নিয়ে ভাবন থাকলেও সেটা নিজেরা গাওয়া ছাড়া আর কোন ভাবে প্রকাশ করতে পুরোপুরি সরগড় নন। কিন্তু আশচর্য্যা ভাবে নিজেদের প্রকাশ করার , সব রকম ভাবনা কমিউনিকেট করার একটা মাধ্যম তারা , শান্তিনিকেতনের সংগীত শিক্ষার অনেক ত্রুটি সত্ত্বেও পেয়েছেন। এটার সংগে সুরের কথার আলাদা করে সমর্ক আছে কিনা জানি না। দাদুর একটা সম্পর্ক হয়তো আছে, এবং শুধু দাদুর গানেই এই জিনিস আছে তা না, সোশাল রিলেশন এর কিছুটা জেন্ডার ইকুয়ালিটি যে সেখানকার শিক্ষায় অন্তত কিছুদিনের জন্য এসেচিল, এটা তার চিহ্ন বলেই মনে হয়। এবং যাঁদের কথা বললাম, আরেকটা মেয়ে আমাদের ক্লাসের, আরো অন্তত একজন দিদির বন্ধু
    এরা সকলেই গান করেন, কিন্তু শিল্পী হিসেবে রেকগনাইজ্ড নন, সকলে এখন গাইতেও পারেন না, চর্চা চলে গেছে, (দিদি ছাড়া, দিদি চর্চায় আছে) জানিনা কে কি অবস্থায় আছে, কিন্তু ঘটনা হল যে কমিউনিকেসন এর কথা বলছে টিম বা একক, সেটা আসলে ফ্রিডম অফ চয়েসের , ভিলিফায়েড শব্দ হলেও আধুনিকতার একটা ডেরিভেটিভ। থিয়োরাইজ করতে গেলে এই শব্দটা থেকে ধার নিতে হবে। মায়ের বেলাতে একই জিনিস দেখেছি , পত্রিকা সম্পাদনা, আল্পনা আর সেলাইয়ে। আই থিংক দোজ আর দ্যা প্লেসেস হোয়ার শি ফিল্স ফ্রী , আদার ওয়াইজ শি ইজ বিট অফ আ বোরিং মাম। আমি মিন আই অ্যাম বিইঙ্গ আনবিলিভেবলি পোলাইট ঃ-)) বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • একক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৩৫459760
  • টিম, রবিবাবুর গান মাল্টিডাইমেনশনাল করেই তইরী, খুব কাছাকাছি কিন্তু আলাদা এরকম ডিভাইসের ব্যবহার করেচেন একিসংগে, একাধিক সম্ভাবনার দরজা খোলা রেখে।

    এবার আমাদের প্রজন্ম, যাদের ধরো লারজ সোরস অফ কগ্নিটিভ ইনপুট ভিডিও কাইনেসথেটিক, সিনেমা র প্রভাবে, তাদের কাছে রবিবাবুর গানের ভিজুয়াল ফুটে ওঠে অন্যভাবে। যাঁরা বয়স্ক অনেক, যাঁদের " জেনেছিলেম অনুভবে " ফেজ টা মুলত অডিও, তাঁদের হয়ত, বিক্রমের ভারসন বেশি টাচ করবে, ওই প্রৌঢ়ত্বের সাবমিসনের কারণে। কারন মাথার মধ্যে অনুষন্গ গুলো, প্রৌঢ় শান্ত নিবেদনের। সাহানার ভারশনে একটা আংগুল সোজা হয়ে উঠে আচে, যা ঠিক দোষ দেয়না বটে, কিন্তু পুরুষকে অস্বস্তিতে ফেলে।
  • একক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:১৪459759
  • আমিও।মাথা খারাপ করে দেয়। একটা উইদাউট কন্সেন্ট জায়গা থেকে শুরু হয়, যখন কন্সেন্ট এর গ্যান তৈরি হয়নি, এবং সে ফান্ডামেন্টালি বদলে দেয় প্রটাগনিস্ট কে, এবং যখন চাঁদ ওঠে, চোখ খোলে, সে দেখে পারমানেন্ট স্কার রয়ে গ্যাছে।

    অপরদিকে " গানের তারে " - র পাশেই "কন্ঠহার" রেখে কন্ঠ কে যদি আলাদা করে শুনি, অন্য লিটেরারি ডিভাইস ইউস করে,তাহলে তা সুরের জগতের মধ্যে দিয়ে জীবনদেবতার হাত ধরে জার্নি।

    শুরু তে প্রচন্ড যুডো ক্রিসচিয়ান গস্পেলের নায়ক, শেষটা প্রাচ্যের রাজাধিরাজ। এ থেকে যে কত গল্পের সুত্র বেরয়!!

    সবকিছুই গানের মধ্যে ছিল, যাস্ট এক্টা পরিবেশন, বৈপরিত্যগুলো বের করে আনল।
  • Tim | 2607:fcc8:ec45:b800:b194:6d4e:e571:725c | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:০১459758
  • এই ভিশুয়াল কোয়ালিটির কথায় একককে প্ৰবল ক। ধর নিশীথ রাতের বাদল ধারা গানটা। ওই গানের সংগীতায়োজন, অর্ণবের, অসাধারণ। একেবারে ধরে গানের মধ্যে চুবিয়ে দেয়, এত ইন্টেন্স আবহ।

    ওই অ্যালবামেরই আরেকটা কোন গান যেন, এসরাজ ছিল। আমিও গানের কিছুই বুঝিনা, কিন্তু এরকম লোককেও সাহানা খুব ভালো ভাবে গানের গল্পটা বলতে পেরেছেন।

  • i | 59.102.68.165 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:৪৩459757
  • একক,
    হ্যাঁ-খুবই..
    বহুবার শুনেছি- এখনও সম্পূর্ণ বুঝে উঠতে পারি নি- একটা ছোটো গল্প লুকিয়ে আছে-
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত