মাছ প্রসঙ্গে আসি। ছিপ দিয়ে মাছ ধরা একটা ফ্যাশন।এরচে নৃশংস কিছু হয় না। বিদেশী চ্যানেল গুলোতে ফিশিং একটা বিরাট এন্টারটেইনমেন্ট। বড় হুইল ছিপে,মাছটাকে বোঁড়শি তে গেঁথে ঘণ্টার পর ঘন্টা চললো খেলা।মাছটা ক্লান্ত হয়ে এলিয়ে পড়ার পর,নৌকোয় তোলা হলো।নিয়ে আধঘন্টা ধরে, বিশ কেজি মাছটার গুণাগুণ বর্ণনা করে ;ছেড়ে দেওয়া হলো।
এতো নৃশংসতা কেন?খাওয়ারg জন্য হলে, জাল দিয়ে ধরো।খেলানোর দরকার নেই।মুরগি কাটো,ছাগল কাটো, কষ্ট কম দিয়ে মারো।বিদেশে মুরগিকে কার্বন মনোক্সাইড চেম্বারে ঢুকিয়ে মারে,এমন টা শুনেছিলাম।
সুতরাং বড় প্রাণী,ছোট প্রাণী কোন ব্যাপার নয়। খাওয়ার জন্য মারতে হলে কম কষ্ট দিয়ে মারো আর নৃশংসতার ডিসপ্লে কম করো।
হাতি নিশ্চয় খাওয়া র জন্য মারা হয় নি
যেটা করা হয়েছে,সেটা নৃশংসতা।যদিও পাগলা হাতি কে গুলি করে মারাই দস্তুর।
জাপানিরা সবচে বড় প্রাণী,এই পৃথিবীতে,নীল তিমি --( যা,কিনা সবচে বড় ডাইনোসরের চাইতেও বড়),সেটিকেও হারপুন বিঁধিয়ে নৃশংস ভাবে মারে।অবশ্যই খাওয়ার জন্য।কিন্তু নীল তিমি শিকার টাই নিষিদ্ধ।
ন্যায্য কথা
কিন্তু বড়ো প্রাণী মানে ঠিক কত বড়ো ?
11 কেজি র কাতলা তো সাড়ে সাত কিলো দুষ্টুমিষ্টি বেড়াল এর থেকে বড়ো
হ্যাঁ
ওই টৈ তো একেবারে যাকে বলে টইটুম্বুর
আরেকটা হাতি সম্বন্ধীয় টৈ তে কে যেন আবার ছবি বিশ্বাস ইত্যাদি নামিয়ে গ্যাছে
কতোই রঙ্গ দেখবো .........
হাতীর শুঁড়টা বিশেষত শিককাবাব বানানোর জন্য একদম আদর্শ, ফুটো করার দরকার নেই। ফুটো একেবারে ইনবিল্ট।
এ আবার কি ?
বেগুন আর সর্ষেবাটা দিয়ে হাতির ঝোল হচ্ছিলো নাকি?
''We don't accept Trump as our president''
ওরে ব্যাটা স্লোগান তৈরী করার আগে গাঁজা টা কম খা , তোরা আমেরিকায় নয় যাদবপুর এ আছিস
কি জ্বালা রে ভাই , এইট বি বাস স্ট্যান্ড এর পাশ দিয়ে আর যাতায়াত করা যাবেনা দেখছি
সার্চ করলাম কিন্তু পেলাম না।
খাওয়াদাওয়ার অভ্যেস নিয়ে একটা লেখা
মরাল হাই গ্রাউন্ড জায়গাটা দেখছি মোটে সুবিধের নয়। উপর থেকে ভিউটা চমৎকার, কিন্তু জায়গাটা ভারি স্লিপারি।
এই তো সেদিন মাছছাগমুরগিপিগুখেকোরা সেখানে চড়তে চড়তে গোখেকোদের গাল-টাল পাড়ছিল! এর মাঝে দূরে ইঁদুরবাদুড়সাপখেকোদের দেখতে পেয়ে গোমাছামুপি একসাথে মিলে মহাগ্রার টঙে উঠে সে কী গালাগালি! কিন্তু বলেছি কিনা জায়গাটা সুবিধের না। গাছমাশরুমদুধডিমখেকোরা আজ তাদের ঠেলে ফেলে দিয়েছে।
গামাদুডিরাও অবশ্য আজ নয় কাল পড়বে। কারণ তাদের ঠেলে মহাগ্রায় সিংহাসন পাততে চাইবে হাওয়ায়দোলাগাছদুধভুকরা। হাদোগাদুরা মুহূর্তের স্বস্তিও পাবেনা বলে রাখলাম। লক্ষ্যই করবেনা ওদের ঠিক পিছন পিছন উঠে আসছে গাছমাশরুমসাপ্লিমেন্টখোরের দল।
তারপর তো মহাগ্রার মাঠে ভয়ানক যুদ্ধ হবে হাদোগাদু আর গামাসাদের। দুধ না মাশরুম, কে নেবে সিংহাসন? সে এক টানটান উত্তেজনা! বস্তা বস্তা কল্কে নিয়ে দেখতে উঠে আসবে শুকনোপাতাখোরের দল। কী দেখবে, কতক্ষণ দেখবে বলা মুশকিল। কারণ ততক্ষণে দেখা যাবে ওদের ল্যাজে ল্যাজে দলে দলে ওনলিসাপ্লিমেন্টভুক এসে পড়েছে বদলডটকমে লেখা বিরাট এক ম্যানিফেস্টো নিয়ে।
ওসাদের বিশাল ঠেলায় গড়িয়ে পড়বে হাদোগাদু আর গামাসারা। শুপারা নির্লিপ্ত, সদানন্দ। ফেলে দিলেও স্বভাবহাই। ওদের নিয়ে ওসারা মাথা ঘামাবেনা। তাছাড়া শুপাও একরকম সাপ্লিমেন্টই বলা চলে।
শুপাদের আসল বিপদ ঘনিয়ে আসবে যখন হাওয়াবাতাসভুকের গোষ্ঠী আসবে মহাগ্রার মাঠে। তবে হাবাদের পক্ষে মহাগ্রা অধিকার করে রাখা মুশকিল। এমনিতেই তারা সংখ্যায় কম। তার উপর কয়েকদিন শুধু হাওয়ার জীবাণু খেয়ে তারপর অটোফাজিতে নিজেরাই নিজেদের খেয়ে হাবাদের সংখ্যা আরও কম হয়ে যাবে।
তারপর মহাগ্রায় যে কে থাকবে আর কে থাকবে না বলা মুশকিল। আমার ধারণা এবার মরালের ধার না ধেরে সর্বভুকের দল, বা নিদেন পক্ষে লেকটার ঠাকুরের অনুগামীরা মহাগ্রায় উঠে আসবে। আর নামবে না। অন্য কেউ উঠতে চাইলে ডিপ ফ্রাই করে খেয়ে ফেলবে।
আপনারা বলতেই পারেন, ওরা কি নিজেরাই নিজেদের খেয়ে সংখ্যাবল কমিয়ে ফেলবে না?
হ্যাঁ, সে রিস্ক তো আছেই। তবে কিনা ওদের বহুদিন সে প্রয়োজন পড়বে না। মহাগ্রায় চড়তে চাওয়া লোকের অভাব হবে না কিনা। তাছাড়া তদ্দিন পৃথিবী থাকে কিনা দেখুন?
(মহাগ্রা: মরাল হাই গ্রাউন্ড; গোমাছামুপি: গোমাছছাগমুরগিপিগুখেকো; গামাদুডি: গাছমাশরুমদুধডিমখেকো; হাদোগাদু: হাওয়ায়দোলাগাছদুধভুক; গামাসা: গাছমাশরুমসাপ্লিমেন্টখোর; শুপা: শুকনোপাতাখোর; হাবা: হাওয়াবাতাসভুক)