এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন | 162.158.227.55 | ১৫ মার্চ ২০২০ ১০:৪০435720
  • রবীন্দ্র গান নিয়ে যদি নানারকম পরিবর্তন হতে পারে তাহলে বাংলা বানান নিয়েই বা হবেনা কেন? সবার ওপরে  স্বাধীনতা তাহার উপরে নাই! :-) @আতোজ @ :-( :-)

  • dc | 172.69.134.26 | ১৫ মার্চ ২০২০ ১০:৩৮435719
  • আরে ছি ছি ছি বুকের খাঁজে এসব কথা লিখেছে? এরপর তো কোনদিন পিঠেও লিখে বসবে! রাম রাম! মেয়েরা নিজেদের শরীর নিজেদের মনে করলে কিন্তু সমাজের পক্ষে ঘোর অমঙ্গল। এক্ষুনি ওর গান গাওয়া বন্ধ করা হোক আর যে লিখেছে তার বিরুদ্ধে সেস্কুয়াল হ্যারাসমেন্টের কমপ্লেন করা হোক।

    (ইয়ে, ঘরের কোনে গিয়ে একটু ইয়ে করে আসি)
  • | 162.158.159.101 | ১৫ মার্চ ২০২০ ১০:৩৩435718
  • সুকি
    মৌস্ট ওয়েলখাম। ঃ-)
  • π | ১৫ মার্চ ২০২০ ১০:২৯435716
  • আর এখানে ছোটাইদির বই
    পাড়াতুতো চাঁদ (সংকলন - ছোট গল্প) - ইন্দ্রাণী
    শঙ্খ ঘোষ বলেছিলেন, 'আমরা যখন সত্যিকারের সংযোগ চাই, আমরা যখন কথা বলি, আমরা ঠিক এমনই কিছু শব্দ খুঁজে নিতে চাই, এমনই কিছু কথা, যা অন্ধের স্পর্শের মতো একেবারে বুকের ভিতরে গিয়ে পৌঁছয়। পারি না হয়তো, কিন্তু খুঁজতে তবু হয়, সবসময়েই খুঁজে যেতে হয় শব্দের সেই অভ্যন্তরীণ স্পর্শ।" ইন্দ্রাণী খুঁজে চলেছেন।
    https://www.guruchandali.com/book.php?&page=৪

    লেখার জন্য, আর কী বলি ছোটাইদি!
  • সুকি | 172.68.167.15 | ১৫ মার্চ ২০২০ ১০:১৬435715
  • ধন্যবাদ দমু-দি - একলহমা ছাড়াও আমাদেরও আবার ফিরে দেখা হয়ে যাবে। ইন্দ্রাণী-দি কেন আরো বেশী বেশী লেখে না কে জানে!
  • অপু | 162.158.22.147 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৯:৫৬435713
  • জিলিপি কিনে ঠান্ডা লেগে করোনা হবে না তো জিগাতে ভদ্রলোক এমন কটকট করে দেখলেন সত্য যুগ হলে সিউর ভস্ম হয়ে যেতাম :)))
  • হখগ | 162.158.227.55 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৯:০৭435711
  • সুপ্রভাত ব্রতীন
  • অপু | 162.158.23.100 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৯:০১435710
  • সুপ্রভাত
  • একলহমা | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৮:৩১435708
  • i | 108.162.249.33 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৭:২১

    বাঃ! মায়াময়, মনভরানো। আরো এমন পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।
    আপনার টল্প কোথায় পাব?
  • Atoz | 162.158.187.184 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৮:২১435707
  • খুব ভালো লেগেছে, খুব খুব।
  • i | 108.162.250.74 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৮:১৩435706
  • এটুজেড,
    কিছু না ভেবে চিন্তেই হুড়হুড়িয়ে লিখে গেছি। তবু তোমার ভালো লেগেছে, পুরোনো কথা মনে হয়েছে- খুশি হলাম।
  • i | 108.162.249.129 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৮:০৩435705
  • উদয়পুরে সহেলিয়ো কি বাড়ি, বাগোর কি হাভেলির নাচগানের গল্প , শিল্পগ্রামে নাচের দলের মেয়েদের ক্লান্তিভরা মুখ, তাদের আঁচলধরা শিশুরা- সে সব অনেক গল্প। পুতুলনাচের কথাও বলা হয় নি -
    যশবন্ত থাডার কাছে তরুণটি রাবণহাত্তায় বাজায় দ্দমাদ্দম মস্তকলান্দর, বিদেশী টুরিস্ট ভীড় করে শোনে, টাকা দেয়। আমি ২৩ বছর আগের স্মৃতি মনে করে বলি, কেশরিয়া বালাম বাজাও, বাজাবে? জানো?
    সেই যে ট্র‌্যানজিশনের মুহূর্তটা -ছড়ের এক মোচড়ে মস্তকলান্দর থেকে পাধারো মহারে দেশ -

    মানুষ রতন
  • Atoz | 162.158.187.154 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৭:৪৯435704
  • সব মনে পড়ে গেল। সেই "মাধবীলতার বারান্দা", তোমার দেওয়া নাম। সেইখানে কতজন ছিলেন। গভীর দশ ছিলেন, গোরা রায় ছিলেন, মেঘ ছিলেন, বাপ্পাদিত্য ছিলেন। আরো কতজন ! তোমরা বিচিত্রানুষ্ঠান আর সঙ্গীতায়োজন করতে, মাদুরের একপাশে গুটিসুটি বসে থাকতো অঙ্গনা, শুনতে আসতো ও। মাঝে মাঝে একটা দুটো কথা বলত। ঃ-)
  • Atoz | 162.158.187.154 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৭:৪৪435703
  • ঈশ, কী ভালো কী ভালো! ছোটাইদি, সেই কতকাল আগের বাংলালাইভের দিনগুলো মনে পড়ছে। তখন তোমার লেখাগুলো এইরকমই ছুঁয়ে দিত ভেতরের কোনো তন্ত্রী। রিনরিন ঝিনঝিন করে বাজতে থাকতো সারাদিন। এই লেখাটা সেইরকম।
  • i | 108.162.250.74 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৭:৩৩435702
  • একটানে লিখে গেছি। 'জমা দিন' করে দিয়ে এখন পড়তে গিয়ে দেখছি বিস্তর টাইপো- যাগ্গে
  • i | 108.162.249.33 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৭:২১435701
  • দীপাঞ্জন,
    লিংকের জন্য ধন্যবাদ। এই কথা গুলো আমার বন্ধুবান্ধবদের জিগ্যেস করে উত্তর পাই নি-এই সবের জন্যই গুরুতে আসা, আর থেকে যাওয়া-
    আবারও ধন্যবাদ।

    পাই বললেন রাজস্থানের গল্প লিখতে। কিন্তু রাজস্থানের কথা তো আমার টল্প ইত্যাদিতে মাঝে মাঝে ঢুকিয়ে দেব ঠিক করেছি -অলরেডি একটি টল্পে ব্যবহারও করেছি। এখানে লিখে দিলে , আর আমার টল্প কেউ পড়বে না-
    আমি শহুরে ভীতু মানুষ, তদুপরি এনারাই ( হাস্যকার এক হাঁসজারু আর কি) জানা শোনা জ্ঞানের পরিধি খুবই ছোটো। যা দেখি, যা শুনি -জানি খন্ড দর্শন। তবু যা পাই টুকিয়ে রাখি টল্পে ঢোকাবো বলে।
    অর্জুন যা বলেছেন, অতি ন্যায্য কথা -রাজস্থান মানে করণী সেনা বা রূপ কানোয়ার নন- রাজস্থান কেন- কোনো রাজ্য, দেশ, বিদেশ এমনকি পাড়া বা নিতান্ত নিজের ঘরের মানুষজনেরও কত বিচিত্র বহু দিক। সুধীর চক্রবর্তী মশাইয়ের কথায় বলতে গেলে, 'মানুষের ফুঁপি ফুরায় না-আমি সেই মানুষের অনন্ত ফুঁপি ধরে কেবলই ঘুরি। স্বজনে, নির্জনে।'

    এই যেমন আজমের শরীফের গলি, অটোতে যাচ্ছি আমি আর আমার মেয়ে, সঙ্গে সম্পূর্ণ অপরিচিত দু জন মানুষ যাঁরা আমাদের দরগা দেখাবেন - গলিতে আলো, কুকুর, উজ্জ্বল রঙীন কাপড়ের টুকরো, শিককাবাব ঝুলছে, জিলিপির স্তূপ, ডালা ডালা গোলাপ , ড্রেন উপচে জল গড়াচ্ছে- গন্ধ রং শব্দ সব জড়াজড়ি করে রয়েছে - আলাদা করা যায় না তাদের-
    রাতের দরগায় তখনও কত যে মানুষ- বুক চাপড়ে কাঁদছে, ( জগন্নাথের মন্দিরের দৃশ্য মনে পড়ছে আমার) মাথা ঠুকছে, একপাশে চাঁদোয়ার তলায় কাওয়ালি, বিশাল বিশাল দুই হাঁড়িতে লঙ্গরের উপকরণ জমা পড়ছে, খালি পায়ের তলায় গোলাপের পাপড়ি, ধুলো, কাদা - ওদিকে খাদিমের মুখে বিবিধ কাহিনী- কখনও তা মৈনুদ্দিন চিস্তির, কখনও তা আকবর বাদশার পুত্রসন্তান ভিক্ষার , অথবা শা জাহান বা তুঘলকের তৈরি করে দেওয়া দরজার-
    রাতে আজমীরেই যে বাড়িতে রয়েছি তার মালিকের হাতে বালা, চুমড়ানো গোফ, কানে দুল, চমৎকার ইংরিজি বলছেন (মীরা বাইয়ের বংশধর বলে শুনলাম)- সে বাড়ির বাগানে ভোরবেলা পোহা খাচ্ছি-দূর থেকে আজান ভেসে আসছে-একটু পরেই পৌঁছে যাচ্ছি পুষ্কর-্সেখানকার সিঁড়ি, জল, শ্যাওলা ব্রহ্মার মন্দিরের বিবিধ কিৎসা, লঙ্কা বড়া, জিলিপি আর গোবর , গোবর এবং গোবর-

    আবার মনে করুন যোধপুর, জয়শলমীরে যেখানে টুরিসম কেবলমাত্র চার মাসের - আশে পাশের গ্রামের বহু ছেলে মেয়ে হোটেলে কাজ করছে- হয়তও সামান্যই ট্রেনিং, কিছু আদবকায়দা- সামান্য কদিনের চেনায় সে তরুণ আমার মেয়েকে বলছে ভালো করে খেতে , বলছে, আমাদের গ্রামে গেলে এত কম খেলে চলবেই না, বলছে, আমার ঠাকুমা এই পদটা এই রকম করে রাঁধেন- তার গ্রামের গল্প শুরু করছে-
    রাস্তার দুপাশে ধু ধু এলাকা-তার মাঝেই গ্রাম-্কতদূর যেতে হয় হাট বাজার করতে, কী বা চাষ হয় এ অঞ্চলে? উত্তর আসে , টাটকা কিছু খায় না-সব শুক্নো শুকনো-পাঁপড়ের সব্জী, ডাল, কের সাঙ্গ্রি, গাট্টে কি সবজি.. আবার এই খাবারাই দেখবেন হোটেল রেস্তাউর‌্যান্টে বিকোচ্ছে রাজস্থানী দেলিক্যাসি হিসেবে-

    খাবা ফোর্টে ঢুকতে টিকিট কাটব- কিল্লার মূল দরজার পাশে ছোটো ঘরে টিকিট দিতে দিতে সাত পুরোনো ট্র‌্যানজিস্টরে বক্তৃতা শুনছেন বৃদ্ধ- রেডিওয় চেনা গলা । বললাম- এন আর সি , সি এ এ সাপোর্ট করেন বুঝি? তিনি হ্যাঁ বলেই ক্ষান্ত হন না- আরো কত কী বলে চলেন- আমাকে বোঝাতে চান- তাঁর ঘোলা চোখ, পাখা গোঁফ জোড়ায় এক প্রাচীন গড় রক্ষককে দেখতে পাই- তারিখটাই শুধু বদলে গেছে।
    উড ফসিলপার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যিনি তিনি যে তাঁর কাজে খুব উৎসাহী ও মনোযোগী তা বোধ হয় না- সমস্ত মনোযোগ তাঁর পোষা এমু আর হরিণছানাটির ওপর -জিগ্যেস করি-নাম কি দিলেন? নাম ? নাম নেই। আমরা নাম দি-সোনা আর রূপা। তিনি বেজায় খুশি হয়ে -আ আ আ যা সোনা বলে ডাকাডাকি শুরু করেন- হরিণছানাও আনন্দে দৌড়োদৌড়ি করে-

    আবার রনথম্বোর কিল্লায় ওঠার মুখে স্থানীয় যুবক গাইড হতে চাইছে, বারণ করলে গালি দিচ্ছে, আমি হাত জোড় করে অপারগতা জানাচ্ছি, বয়স্করা তাকে টেনে এনে বোঝাচ্ছে- আমিও বুঝতে পারছি তার অসহায়তা-কেন সে এত রেগে যাচ্ছে-
    ওখানেই ত্রিনেত্র গণেশ দেখতে যাচ্ছে কত মানুষ-্লম্বা পথ, উঁচু নিচু- কলসী ভরা জল নিয়ে বসে এক বৃদ্ধা, মুখে শত সহস্র ভাঁজ, ভাঁজে ভাঁজে কত ধুলো আর কত গল্প - জল দিচ্ছেন আর বাঁদর তাড়াচ্ছেন লম্বা লাঠি দিয়ে-

    আমাদের যিনি ড্রাইভার সাহেব- রাজপুত চৌহান- জাতপাত সব কিছুর সমর্থক, কট্টর বিজেপি- নিজেই বললেন, আমাদের গ্রামের ছেলে ছোকরারা সব ১০ ১২ ক্লাস পাশ করেই আর্মিতে ঢুকতে চায়-্খুব বেশি পড়তে কেউ চায় না- যে ঢুকে গেল তো গেল- যে পারল না সে টুরিসমে আসে- রাজপুতে রাজপুতেও কত বিভেদ -এখনও এই বংশে ঐ বংশে বিয়ে হয় না - বিশ্বাসঘাতকের বংশ বলে, মুঘলের পদলেহী বলে-তিনিও বলেন তাঁর গ্রামের গল্প, নানা অপ্রাপ্তির গল্প- তর্ক করি , আমার বোঝা তাঁর বোঝায় মেলে না-তিনি গম্ভীর হয়ে যান। আবার তিনি ই আগাগোড়া আমার মেয়ের হাজারো খ্যাপামিতে সায় দিয়ে বারেবারে গাড়ি থামান হাসিমুখে - এই তো জানার বয়স, এই ভাবেই তো শিখবে -আমি তো কিছু শিখি নি -ছেলে মেয়েকে ভালো স্কুলে দিয়েছি-অনেক পড়ুক। পনের দিনের শেষে নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ান তিনি আর স্ত্রী- পালক পনীর, বেগুনের তরকারি, ভাত। আমরা মাংস খাইনা জেনে হতাশ হন।

    আবার চিতৌরে আলাপ হয় এক গাইডদম্পতির সঙ্গে - রাজপরিবারের পুরোহিতের বংশ- কেল্লার মধ্যেই বাড়ি- সেখানে রাত্রিবাস ও ভোজন আমাদের - রান্নাঘর থেকে গরম গরম রুটি, আলুর সব্জী, আসছে- পরম পরিতোষে খচ্ছি- উঠোনে বুগেন্ভিলিয়া গাছ থেকে টুপটাপ ফুল ঝরছে -
    সে বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উঠে সিঁড়ির ঘর, ছাদ- লং শটে টানা ছাদে কাপড় শুকোচ্ছে সমস্ত পরিবারের, দম্পতির বালক পুত্রটি ঘুড়ি ওড়ায় - ছাদের পাঁচিলে কাগজ রেখে আমার মেয়ে স্কেচ করে, রং দেয় - এই লং শটের মধ্যে ছোটো ফ্রেমে আঁকা ছবিটি- চিত্তোরের গোধূলির রং, আকাশে ঘুড়ি, মন্দিরের চূড়া -বালক আমার কাছে এসে বলছে, দিদি ভালো আঁকে, দিদি হিন্দি জানে না, তাই না?
    আসার আগে কোলে বাচ্চা নিয়ে নিতান্ত আপনার জনের মত দম্পতি বিদায় জানাচ্ছেন, হাতে গুঁজে দিচ্ছেন কার্ড- বলছেন- শুধু চিত্তোর দেখলেই চলবে? এরপর সময় নিয়ে আসবেন- আফিমের চাষ দেখাবো।

    এই সব-
  • অরিন | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৭:০৯435700
  • https://edition.cnn.com/2020/03/14/health/coronavirus-asymptomatic-spread/index.হত্ম্য

    থেকে,
    " CDC officials have said that while it's clear asymptomatic spread does happen, it does not appear to be the driver of the outbreak -- or as the CDC says on its website, asymptomatic transmission "is not thought to be the main way the virus spreads."
    "If I were writing that CDC webpage today, I would phrase that a little more towards transmission before symptoms show up," Colijn said."

    এই ব্যাপারটা কিন্তু তুচ্ছ নয় । কারো ncovid19 ইনফেকশন হয়েছে কিন্তু লক্ষণ বেরোয়নি এই অবস্থ্যায় দুটি ব্যাপার হতে পারে । এক, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, ভাইরাস শরীরে বাড়ছে কিন্তু না কোনো লক্ষণ বেরিয়েছে, না তিনি কোনো ভাবে অন্যকে সংক্রামিত করতে পারবেন, এই স্টেজ টিকে বলা হয় লেটেন্ট পিরিয়ড --ধরুন সাত কি আট দিন মতন । এর পর দুদিন কোন লক্ষণ বেরোয়নি কিন্তু অন্যকে রোগএর জীবাণু দিয়ে দিতে সক্ষম, এই অবস্থাকে বলা হয় infectious প্রিরিয়ড, এবং এটি খুব সম্ভবত এক কি দুই দিন, তবে সঠিক জানা যায় না। এই সাত আটদিনের গোটা সময়টা incubation প্রিরিয়ড ।

    এ জেনে হাতিঘোড়া হবেটাকি?

    এটাই, যদি সন্দেহ হয় যে আক্রান্ত হয়েছি তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মিউকাস পরীক্ষা করিয়ে লাভ নেই, অপেক্ষা করে দেখুন গা ম্যাজ ম্যাজ সর্দি, হচ্ছে কি না, কিন্তু অতি অবশ্যই হাত ধোয়া কাউকে সংক্রমণ না করার চেষ্টায় ত্রুটি রাখবেন না । এ জিনিস কিন্তু SARS থেকেও ছোয়াঁচে, যদিও অল্পবয়েসী লোকের জন্যে প্রাণঘাতী নয় তেমন ।
  • Atoz | 162.158.186.35 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৬:০৬435699
  • দুশন দেখে আমি মনে করেছিলাম দুশমন। ঃ-)
  • S | 108.162.246.244 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৫৬435698
  • "তাই ট্যাক্স-এর পয়সায় ফ্রি টিউশন আসলে আপয়ার্ড ট্রান্সফার অফ মানি"।

    এটা ঠিক নয়। মার্জিনাল ট্যাক্স বসবে বড়লোকদের উপর। প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্স পলিসিই তাই। বড়লোকদের থেকে বাকী সমাজে ওয়েলথ ট্রান্সফার। ধরুন ঠিক করা হল ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্যাপিটাল গেইনের উপর ট্যাক্স বসবে। বাদ যাবে ৪০১(কে) আর ১ মিলিয়নের কম পেনশান ফান্ডএর বেনিফিশিয়ারিরা।
  • :-( | 172.69.69.111 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৫৩435697
  • আই মিন, তিনটি অক্ষর
  • :-) | 172.69.69.111 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৫২435696
  • দূষণ। তিন শব্দের বানানে তিনটিই ভুল দুর্লভ!
  • Atoz | 162.158.187.184 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৮435695
  • এই দেখুন, নেতাজীকে নিয়ে আর এক ভিডিও। রাশিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ যেখানে যেখানে বড় বড় যুদ্ধ টুদ্ধ --সর্বত্র ঢুকিয়ে দিয়েছে নেতাজীকে। সোনালি কাজকরা লাল পাঞ্জাবি পরা ভদ্রলোক বলছেন," তিনি তো বসে থাকার লোক নন!" ঃ-)
  • S | 108.162.246.244 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৮435694
  • এইজন্যই বলেছি বড় কলেজ দেখে হিসাব করলে গন্ডগোল হবেই।

    সব সরকারি কলেজের ইনস্টেট টিউশান ১২০০০ নয়। অনেক কম। সাধারণত ৮০০০ (সাধারনত আন্ডারগ্র‌্যাডে পার ক্রেডিট ২০০-২৫০ ডলার)। এই সামান্য টাকাটাও দিতে অসুবিধে হয়, অথচ কলেজ শেষ করার ইচ্ছে প্রবল, এরকম প্রচুর ছেলেমেয়ে আছে। ফলে ছোট কলেজে কমপ্লিশান রেট কমছে।

    অপর্টুনিটি কস্ট ৩০০০০ নয়, সাধারণত অনেক কম। আমার প্রায় প্রত্যেকজন ছাত্র ছাত্রী পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কাজ করে। অনেকেই সেই কাজ করে নিজের থাকা খাওয়া পড়াশুনা বইপত্তর সব খরচ চালায়। এদের অনেকের ফ্যামিলিও থাকে। সিঙ্গল মমও আছে।

    আবার মনে করুন একজন স্কুল শিক্ষক। হয়ত ৫০০০০ মাইনে পান। বৌ এবং তিন সন্তানকে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। বাড়ি-গাড়ির ইনস্টলমেন্ট, ইন্সিওরেন্স, হেল্থ ইন্সিওরেন্স দিয়ে কলেজের টিউশান দিতে দিতে হাঁফিয়ে উঠছেন।

    ভারতবর্ষের মতন গরীব দেশের ততটাও বড়লোক নয় এরকম একটা রাজ্যের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্জিনিয়ারিং পড়তে কত লাগে? ভালই তো ইন্জিনিয়ার তৈরী হয়। বুঝলাম যে যদুপুরে খরচও কম। কিন্তু আমেরিকা তো এত বড়লোক দেশ। সেখানে এত টিউশান দেবে কেন কলেজ পড়ুয়ারা?

    বন্ধ হোক শিক্ষা নিয়ে এই ব্যবসা। সরকারি কলেজে টিউশান বাড়ানো হচ্ছে প্রাইভেট কলেজকে লুক্রেটিভ করানোর জন্য। সবাই ভাবছে আর একটু বেশি লোন নিলেই প্রাইভেট কলেজে যেতে পারবো।

    আমি ট্যাক্সের পক্ষপাতি। ট্যাক্স বাড়াও, সরকারি কলেজের টিউশান বন্ধ কর।
  • দীপাঞ্জন | 172.68.142.52 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:২১435693
  • "সরকারি কলেজ অবিলম্বে বিনা পয়সায় না করে দিলে" -

    ইহা কঠিন বিষয়। একটু ভেঙে দেখা যাক । চার বছরের ইন-স্টেট্ টিউশন ১২,০০০ x ৪ = ৪৮,০০০। চার বছর কাজ না করার অপর্চুনিটি কস্ট = ৩০,০০০ (হাই-স্কুল পাস করে কাজ নিলে গড় বার্ষিক রোজগার) x ৪ = ১২০,০০০ । মোট খরচ ১৬৮,০০০ ।

    সরকারি কলেজ ফ্রি করার পক্ষে বলা যায় - কিছু স্টুডেন্ট আছে
    ১) যারা কলেজ যাচ্ছে না ১৬৮,০০০ খরচের জন্য, কিন্তু যেত ১২০,০০০ খরচ হলে, এবংথবা ২) যাদের চার বছরে ৪৮,০০০ দেবার কোনো উপায়ই নেই
    বিরুদ্ধে বলা যায়, ফ্রি তো আর না, ট্যাক্স-পেয়ারের পয়সা । ওই ৪৮০০০ ট্যাক্স-পেয়ারদের ফিরিয়ে দিলে সেটা ইকোনোমিতে ফিরে যেত । যেহেতু মাত্র ১/৩ আমেরিকানদের কলেজ ডিগ্রি আছে আর যেহেতু কলেজ গ্রাজুয়েটদের আয় হাই স্কুল গ্রাজুয়েটদের থেকে ৭০% বেশি, তাই ট্যাক্স-এর পয়সায় ফ্রি টিউশন আসলে আপয়ার্ড ট্রান্সফার অফ মানি, যেটা মনে হয় না যারা ফ্রি কলেজ চান, তাদের উদ্দেশ্য।
    পক্ষের কথাটা ঠিক, অর্থাৎ এরকম পোটেনশিয়াল কলেজ স্টুডেন্ট অনেক আছে যারা এখন কলেজে যাচ্ছে না ৪৮,০০০ লোনের ভয়ে, যদিও মনে রাখতে হবে ৪৮,০০০ খরচটা অপর্চুনিটি কস্ট-এর ১/৩, কাজেই কলেজ না যাবার প্রধান কারণ যে টিউশন, সেটা সব সময় ঠিক নাও হতে পারে । আর বিরোধিতাটাও উড়িয়ে দেবার মতো না ।
    আমার ব্যক্তিগত মত্, বিনা পয়সা না করে বিলম্বিত পয়সা করা হোক । ব্যাঙ্ক লোন না, ইন্টারেস্ট নেই । টিউশন রিফান্ড ভবিষ্যতের আয়ের ভিত্তিতে, যারা অ্যাভারেজ আয় করবে তারা টিউশন + ইনফ্লেশন দেবে, যারা NGO বা স্কুল-এ পড়িয়ে কম আয় করবে, তারা কিছু দেব না, আর যারা ক্যাপিটালিজম-এর লটারি জিতবে, তারা ওই দ্বিতীয় গ্রুপের- টিউশন দিয়ে দেবে । অনেকটা প্রাইভেট কলেজ অ্যালুমনি ডোনেশন-এর মতো, যেটা রিইউনিয়ন বা বিল্ডিং-এর নাম দিয়ে সেলিব্রেট করা হয়, সেটাই সিস্টেমেটিক্যালি করা আক্রোস হাইয়ার এডুকেশন ।
  • Atoz | 162.158.187.192 | ১৫ মার্চ ২০২০ ০৫:০৩435692
  • ভাগ্যিস মনে করালেন! যাই ভবের হাটের শুরুর দিকের কয়েকটা এপিসোড দেখতে বসি। সেই বিখ্যাত ফিজা স্যর, চ্যাম্পিয়ন প্রাইভেট মাস্টার। ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত