এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরনো বাংলা (যখন তিনোমুল ছিলোনা, এমনকি সিপিয়েম ও না)

    Blank
    অন্যান্য | ২৪ মার্চ ২০১০ | ২২৩১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 203.110.246.230 | ২৯ মার্চ ২০১০ ১৭:১১442704
  • বোড়ালের ত্রিপুরেশ্বরি মন্দিরের পুজোপাঠ অবিশ্যি সম্পুর্ণ হিন্দু বিধি-বিধান মেনেই হয়।
  • . | 115.117.230.51 | ২৯ মার্চ ২০১০ ২০:৫৮442705
  • জটার দেউল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে যেটুকু টুকে দিতে পারি:

    সুন্দরবনের জঙ্গল পরিষ্কার করার সময়ে মণি নদীর তীরে মথুরাপুর থানার ১১৬ নম্বর লটে একটি মন্দির পাওয়া যায়, যার গঠন পদ্ধতি উত্তর ভারতের নাগররীতির অনুসারী। পালযুগে নির্মিত এই মন্দিরকে স্থানীয় লোকেরা বলে জটার দেউল। এটি ছিল আদতে শিবমন্দির। শিবের আরেক নাম জটাধর থেকে জটার দেউল নাম হয়েছে। প্রাপ্ত লিপি থেকে জানাঅ যায় ৯৭৫ সালে মন্দিরটি নির্মান করেন রাজা জয়ন্তচন্দ্র।

    মন্দিরের গর্ভগৃহে পাওয়া অসংখ্য কঙ্কালকে অনেকে বাঘের শিকার হিসেবে অনুমান করেন। বর্তমানে ভাঙা মন্দিরটির উচ্চতা ৮০-৮৫ ফিট। এটি সম্ভবত: শতাধিক ফিট উঁচু ছিল। চারকোণা মন্দিরটি প্রতিপাশে প্রস্থে ৩২ ফিট। প্রবেশ পথের উচ্চতা ১৬ ফিট এবং প্রস্থে সাড়ে ৯ ফিট। ইটের সিঁড়ি বেয়ে গর্ভগৃহে নামতে হয়।

    ১১৬ নম্বর লটের অন্যান্য অংশে খনন করে পাথর ও ধাতু নির্মিত মূর্তি পাওয়া গেছে। কাছাকাছি অন্যান্য লটে ইটের স্তূপ, গড় ও মন্দিরের ভগ্নস্তূপ রয়েছে। জটার দেউলের পশ্চিম পাশে ২৬ নম্বর লটে কঙ্কনদীঘি খননের সময়ে ইটের তৈরি ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। জটার দেউলের ইট ও এই ধ্বংসস্তূপের ইট একই রকম। অঞ্চলটি একসময় সমৃদ্ধিশালী জনপদ ছিল। সম্ভবত জলপ্লাবন, ভূকম্পন বা জলদস্যুদের অত্যাচারে জনপদটি ধ্বংস হয়।

    রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে: "Very few temples belonging to the Pala period have survived in Bengal and the only known examples are the temple Bahulara in the Bankura district and that of Ichai Ghosh in the Burdwan district. The deserted temple in Sunderbans called the Jatar Deul, must also belong to to the Pala period."

    ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত সরকারী বই "List of Ancient Monuments in Bengal" বলছে: "The Deputy Collector of Diamond Harbour reported in 1875 that a capper plate, discovered in a place little to the North of Jatar Deul fixes the date of erection of the temple by Raja Jayanta Chandra in the year 897 of the Bengali Saka era corresponding to AD 975. The copper plate was discovered at the clearing of the jungle by the graantee Durgaprosad Choudhury. The inscription is in Sanskrit and the dates as usual was given in an enigma with the name of the founder".
  • SB | 115.117.227.125 | ২৯ মার্চ ২০১০ ২২:৪৮442706
  • ব্ল্যাঙ্কি কে জিগিয়েছিলাম সোর্সটা কী, সে তো বলেনি, ওদিকে নীহাররঞ্জন রায়ের বাঙালীর ইতিহাসে দেখছি, "দক্ষিণ হইতে গঙ্গবংশীয় রাজারা আরম্য (= বর্তমান আরামবাগ) দুর্গ জয় করিয়া মেদিনীপুরের (মিধুনপুর) ভিতর দিয়া গঙ্গাতীর পর্যন্ত ঠেলিয়া চলিয়া আসিলেন।"

    ভেরিফাই করলাম কারণ নাম দুটো নিয়ে কনফিউশন হয়েছিল, এতক্ষণে দেখার সময় পেলাম :)

    কল্লোলদা, নীহাররঞ্জন রায়ের বাঙালীর ইতিহাসে বলছে, আদি গঙ্গা মোটেও আদি নয় আর, " অষ্টাদশ শতকের আগেই এই অর্বাচীন নদীটি হেজে মজে মরে গেল, এবং গঙ্গা তার প্রাচীনতম ভাগীরথী (সরস্বতী) প্রবাহপথেই ফিরে গেল।" মানে এই আদি গঙ্গা হলো গিয়ে অর্বাচীন নদি, আর বর্তমান হুগলি/গঙ্গা/ভাগীরথী'র প্রবাহটাই আসল গঙ্গা, মাঝখানে আদি গঙ্গা কয়েক শতক মূল স্রোত ছিল!!

    বিটিডাব্লিউ, নীহাররঞ্জন রায়ের বাঙালীর ইতিহাস কেই বেশি অথেনটিক বলে মনে হয় বোধয়।
  • Netai | 122.161.1.153 | ২৯ মার্চ ২০১০ ২২:৫৬442707
  • ফুটকিকে অজস্র ধন্যবাদ
  • Blank | 59.93.212.144 | ২৯ মার্চ ২০১০ ২৩:৩২442708
  • আমার নামে একি সিপিয়েমের চক্কান্ত। এই তো আমি বল্লুম যে কৈবর্ত সমাজের ইতিহাস পড়তে গিয়ে ঐ নাম দুটো পেয়েছিলাম।
  • Blank | 59.93.212.144 | ২৯ মার্চ ২০১০ ২৩:৪৯442709
  • রঙ্গন দার জটার দেউল বর্ননার সাথে আমি কয়েক লাইন জোগাতে চাই। মুলত এটা হিন্দু স্থাপত্য কিনা তাই নিয়ে।
    ৯৭৫ খৃষ্টাব্দে জটার দেউল বানান চন্দ্রবংশীয় রাজা জয়ন্তচন্দ্র। কিন্তু এদের তাম্রলিপি থেকে জানা যায় এই বংশ মুলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন। Hunter এর Statistical Accounts (Vol I) বলছে যে এটি একটি বৌদ্ধ মন্দির। এশিয়াটিক সোসাইটির বিবরনেও Swinhoe সাহেব (১৮৬৮) একে বৌদ্ধ স্থাপত্যরীতির নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন।
    মুল কারন হলো
    ১) জটার দেউল পুর্বমুখী, হিন্দু মন্দির সাধারনত তা হয় না (যদিও জানি না আমি যে বৌদ্ধ মন্দির পুর্ব মুখী হয় কিনা)
    ২) খিলান গুলি হিন্দু মন্দিরের মতন নয়, বরং অনেকটা গীর্জার মতন
    ৩) মন্দীরের প্রাচীর হিন্দু মন্দিরের মতন নয়। একদম গর্ভগৃহের প্রাচীর থেকে গেঁথে তোলা
    ৪) গর্ভ গৃহে অনেক র‌্যাক বানানো, প্রদীপ রাখার মতন, যা বৌদ্ধ মন্দিরে বেশী দেখা যায়
    ৫) বাইশ হাটা এবং ঘোষের চক, যা প্রায় এই মন্দিরের নিকটবর্তী অঞ্চল, সেই সব জায়গায় বৌদ্ধ স্তুপের অংশ সাংঘারামের ধ্বংসাবশেষ
    ৬) নিকটবর্তী ছাটুয়া নদী থেকে প্রাপ্ত কষ্ঠি পাথরের বৌদ্ধ মুর্তি
    ৭) জটা, রায়দীঘি, কঙ্কন দীঘি, মনির তট, নলগোড়া প্রভৃতি অঞ্চলে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের প্রসার।
    ৮) জটার দেউলের দক্ষিন পুর্বে ঠাকুরানী নদীর পুর্বে ১১৭ নং লাট (মইপীঠে) বৌদ্ধ মঠের আবিষ্কার
    ৯) কঙ্কন দীঘি থেকে প্রাপ্ত বৌদ্ধ ও জৈন মুর্তি ও লিপি।

    (৯ টা পয়েন লিখিচি, আর কি চাই অ্যাঁ?)
  • dri | 117.194.237.234 | ৩০ মার্চ ২০১০ ০০:৪১442710
  • বা:, বা:। গঙ্গারিডুম, জঠ্যার ডেউল ক্ষুবই হিন্টারেস্টিং হটেছে।

    ৯৭৫ এডি এই সময়টাকে আরেকটু বেশী করে কনটেক্সটে প্লেস করা যাবে? এই সময়ে সুন্দরবনে বাঘ ছিল না, জঙ্গল ছিল না? ছিল মন্দির আর সভ্যতা? তারপর প্রাকৃতিক বিপর্য্যয়? জঙ্গল হল। বাঘ এল কোত্থেকে? ৯৭৫ মোটামুটি কেমন সময়? চর্যাপদের সময়? সংস্কৃতে লেখা কপার প্লেট!?

    চলুক, চলুক।
  • Netai | 122.161.1.153 | ৩০ মার্চ ২০১০ ০১:১৬442711
  • ২০০ বছর ৫০০ বছর তাহলে নয়, জটার দেউল এক্কেরে হাজার বৎসর পুরোনো!!!

    জটার দেউল এর ৩-৪ কিমি র মধ্যে আমাদের একটা অস্থায়ী বাড়ী ছিল। চাষ আবাদ দেখাশোনার কারনেই ছিল বাড়ীটা। শেষ গিয়েছি বছর কুড়ি পহেলে। ছোটোবেলায়।

    ঐ তল্লাটে পপুলেশন ডেনসিটির অবস্থা খুবই খারাপ। তখোনো পর্যন্ত।

    যতদুর মনে পড়ছে মন্দিরের তলাটা ৪-৫ ফুট নীচুতে। আর প্রবেশ দ্বারের ঠিক উপরে প্রদীপ রাখবার মতন জায়গা। অন্তত: ৮-৯ ফুট উপরে হবেই। কে যে বুঝিয়েছিলো- আগেকার দিনে লোকেরা লম্বা ছিলো তো, তাই অতটা উপোরে বানানো, পিদীমদানী।
    :)
  • kallol | 115.184.123.131 | ৩০ মার্চ ২০১০ ০৫:৫৯442712
  • এসবি - আদিগঙ্গা নিয়ে আমার তা মনে হয় না।
    ১) আদি গঙ্গা বিদ্যাসাগর সেতুর পরে ভাটির দিকে বাদিকে বাঁক নিয়েছে প্রায় ৯০ডিগ্রি কোনে।
    ২) যদি ভাগীরথী/সরস্বতী প্রবাহই মূল ধারা হয়ে থাকে তবে তার থেকে কয়েক শতাব্দীর জন্য ৯০ ডিগ্রী কোনে নদী সরে যাওয়ার কারন খুব বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় (প্রচন্ড বড় মাপের ভূমিকম্প)। তেমন কোন ইতিহাস নেই।
    ৩) আবার কয়েক শতাব্দী পরে ৯০ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তার ""পুরোনো"" খাতে ফিরে যাওয়াও বিনা প্রাকৃতিক বিপর্যয় (বিশাল মাপের) সম্ভব নয়। তারও কোন ইতিহাস নাই।
    ৪) গঙ্গা থেকে সরস্বতী খাল কেটে যুক্ত করার কথাটার প্রমান ""কাটি গঙ্গা"" নামে।

  • SB | 115.117.230.32 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১০:২৩442714
  • কল্লোলদা, প্রথমত ভাগীরথীর প্রবাহের বর্ণনা মৎস পুরাণে যা আছে, সেই বর্ণনা অনুযায়ী, গঙ্গার প্রাচীনতম প্রবাহ এই ভাগীরথী, যার পশ্চিমে তম্রলিপ্ত, আর পূর্বে Gangaridae/গঙ্গারীডি। এর থেকে পুরনো কোন বিবরণ নেই গঙ্গার, তাই এটাই প্রাচীনতম প্রবাহ।

    এটা উল্লেখযোগ্য যে এই প্রবাহ একটা সময়ের পরে আর মূল প্রবাহ থাকলো না, আবার একই সাথে গঙ্গারীডি ও তাম্রলিপ্ত নগরী দ্বয় ও ধ্বংস হয়ে গেল, কেন কে জানে।

    অনেক পরে নবাব আলীবর্দী এই বর্তমান প্রবাহটা আবার খুলে দেন, যখন আদি গঙ্গার খাত পলি পড়ে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে যায়। মাঝখানের সময় টুকু এই আদি গঙ্গাই মূল স্রোত ছিল।

    ৪০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে চথুর্ত শতক পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যায় এই গঙ্গারীডি আর তাম্রলিপ্ত শহর ছিল, গঙ্গারীডির (= গঙ্গা রাষ্ট্র) অঞ্চলে বর্তমান সুন্দরবনের একটা বড় অংশে মানুষ বাস করত, তাদের নিজেস্ব সৈন্য ছিল, স্বাধিন রাষ্ট্র ছিল। কুমার নদীর (=kamberikhon) পারে এই রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল, নাম গঙ্গানগর। আমার ধারণা এই গঙ্গার খাত পরিবর্তনের সাথে সাথে এই অঞ্চলটা পরিত্যক্ত হয়। ভাগীরথীর খাতের বদলে আদি গঙ্গার প্রবাহে গঙ্গা বইতে শুরু করলে গঙ্গারাষ্ট্রর গঙ্গাপ্রাপ্তি হয়, সুন্দরবন জঙ্গল হয়ে যায়।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১০:৫২442716
  • এসবি - তাহলে যেটা মানতে হয় :
    ১) আদিগঙ্গা নামে যে খাতটি বিদ্যাসাগর সেতুর পর বাঁদিকে ঘুরে গেছে, সেটা আগেও ছিলো, যখন গঙ্গা সরস্বতী/ভাগীরথীর ""মূল"" খাতে বইতো।
    ২) তাই কোন কারনে সরস্বতী/ভাগীরথীর ""মূল"" খাতটা শুকিয়ে যেতে গঙ্গা ""আদিগঙ্গা"" দিয়ে বইতে শুরু করে।
    আর হ্যাঁ, কপিল মুনির আশ্রম, যাকে গঙ্গা সাগর বলে সেটা কিন্তু আদিগঙ্গার সাম্ভাব্য মোহনায়।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১০:৫৫442717
  • ভৌগলিকভাবে একটা নদী শর্ট র‌্যুটে যেতে যেতে ঘুরে গিয়ে লং র‌্যুটে যেতে পারে না। বরং উল্টোটা হয়। মানে যেটা বলতে চাইছি সেটা হল হর্স শু লেক কনসেপ্টের সাথে আদিগঙ্গা গঙ্গার মূল খাত হওয়াটা মিলে যায়। অন্যটা নয়।
  • dipu | 61.12.12.83 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১০:৫৬442718
  • ছবিগুলো কে কবে তুলেছিল/এঁকেছিল, কোথায় বেরিয়েছিল (বই/খবরের কাগজ), কোন এলাকার ছবি - এইসব চাই।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:০০442719
  • সাধুবাবার ফটোটা তো কালীঘাট মন্দির - অ্যাপারেন্টলি ১৯৪৫ সালের।। এই ছবিটা অনেক জায়গায় দেখেছি।

    http://www.ancient-rome.info/Adi_Ganga
  • Samik | 122.162.75.53 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:০১442720
  • ছবির ক্যাপশনগুলো জুড়ে দিলাম।
  • Samik | 122.162.75.53 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:০২442721
  • অজ্জিত - কেওড়াতলা। এটা কালীঘাট নয়।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:০৫442722
  • তা হবে - দুটোর কোনোটাই দেখিনি। সাইটটার নাম দেখে বল্লুম।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:১৯442725
  • ১ম - স্যটেলাইট ম্যাপ - লাল রেখা আদিগঙ্গার আনুমানিক খাত।
    ২য় ছবি - হাতে আঁকা। ১৮৩৫ এ আলিপুর ব্রিজ। আজ যার পূবে কালীঘাটের লালবাতি এলাকা। পশ্চিমে আলিপুর সে¾ট্রাল জেল ও বি জি প্রেস।
    ৩য় ছবি - আবার আলিপুর ব্রিজ ১৯১০। চেতলার দিক থেকে তোলা, প্রায় কালীবাড়ির ঘাটের বিপরীত পাড়ে।
    ৪র্থ ছবি - ১৯২৫ এর পর কেওড়াতলা শ্মশানের পাড় থেকে তোলা। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সমাধি দেখা যাচ্ছে।
    ৫ম ছবি - ১৯০০। এটাও কালী বাড়ির ঘাট। সম্ভবত: নৌকা থেকে তোলা।
    ৬ষ্ঠ ছবি - আজকের কালী বাড়ির ঘাট।
    ৭ম ছবি - ১৮৮০ কালী বাড়ির ঘাট।
    ৮ষ্টম ছবি - ১৮৯০। এটা আদিগঙ্গা নয়। এটাকে বলা হয় পোর্ট কমিশনারের খাল। আদিগঙ্গা ও কলকাতা ডকের সংযোগকারী খাল। আদিগঙ্গায় এসে মিলেছে আজকের ডালডা কারখানার পিছনে। একটু এগিয়ে যার পাড়ে পূর্ব রেলের কালিঘাট স্টেশন। এর উপরেই দূর্গাপুর ব্রিজ, মাঝেরহাট ব্রিজ। এটিও শুকিয়ে গেছে।
    ৯ম ছবি - ১৯৪৫ চেতলা জেলেপাড়ার দিক থেকে তোলা কেওড়াতলার মহীশুর রাজার বাগানের স্থাপত্য।
    সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি (সম্ভবত: জেলেপাড়ার মানুষ) স্রেফ অসাধারণ।
  • dipu | 61.12.12.83 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:১৯442723
  • এই থ্রেডের জন্য একটা ভালো বই ....http://tinyurl.com/yf4gjb5
  • Blank | 203.99.212.54 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:৫২442727
  • কল্লোলদা
    আদি গঙ্গা দেখতে গেলে বারুইপুরে চলে এসো। এখানে নদী খাত খুব স্পষ্ট আর লম্বায় অনেকটা। মোটামুটি জল থাকে। এখন আবার নদী খাত সংস্কার হচ্ছে। পলি তোলা হচ্ছে, মনে হয় আদি গঙ্গা খাত নতুন করে বানানোর চেষ্টা চলছে। বর্ষা পরলে এ বছর জলে ভরে যাবে অনেকটা।
    নতুন বাইপাস হয়েছে আদি গঙ্গার দু পার দিয়ে, হু হু করে হাওয়া দেয়।
  • Blank | 203.99.212.54 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:৫২442726
  • কল্লোলদা
    আদি গঙ্গা দেখতে গেলে বারুইপুরে চলে এসো। এখানে নদী খাত খুব স্পষ্ট আর লম্বায় অনেকটা। মোটামুটি জল থাকে। এখন আবার নদী খাত সংস্কার হচ্ছে। পলি তোলা হচ্ছে, মনে হয় আদি গঙ্গা খাত নতুন করে বানানোর চেষ্টা চলছে। বর্ষা পরলে এ বছর জলে ভরে যাবে অনেকটা।
    নতুন বাইপাস হয়েছে আদি গঙ্গার দু পার দিয়ে, হু হু করে হাওয়া দেয়।
  • Blank | 203.99.212.54 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:৫৮442728
  • গঙ্গা নিয়ে একটা ব্যপক কন্সপিরেসি থিওরি আছে। সে আবার পৌরাণিক কনস্পিরেসি। সেটাও কপিল মুনি কে নিয়ে। ভগীরথ যে ভাগীরথী কে নিয়ে এসেছিলেন এদিকে, সেটা আসলে নদী খাত সংস্কার টাইপ কিছু। কপিল মুনির কাছে যুদ্ধে হেরে (অথবা কপিল মুনির পরিচালিত স্থানীত উপজাতিদের কাছে)যায় সগর, বন্দী হয় ষাট হাজার সৈন্য। নিজের সন্মান বাঁচানোর জন্য সগর রাজা কপিল মুনির সাথে সন্ধি করতে বাধ্য হন। সন্ধির শর্ত থাকে যে উত্তর ভারত থেকে গঙ্গার নতুন খাত খনন, যাতে দক্ষিন বঙ্গে জলের সাপ্লাই বাড়ে। সগর শুরু করেন কাজ, পরে ভগীরথ শেষ করেন ওটা। আর ঐ খাত ই আধুনিক হুগলী নদীর খাত। তার আগে ছিলো আদি গঙ্গা, হুগলীর চেয়ে তার খাত ছোট ছিলো।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১১:৫৯442729
  • ব্ল্যাঙ্কি - মে মাসে যাবো ৭ তারিখে। ১৪তে ফিরে আসবো। তার মধ্যে সময় করতে পারলে......। আমার মেইল [email protected] তোমার ফোন্নং পাঠিও।
  • SB | 114.31.249.105 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১২:৫৬442730
  • ব্ল্যাঙ্কি, এই অভিযানে আম্মো যেতে চাই, কল্লোলদার যদি সময় না হয়, তাহলে আলাদা করেই যাওয়া যায়। কল করে নেব।

    কল্লোলদা, এটা ঠিকই বলেছেন, শুধু তাইই না, পুরাণে নাকি বলেছে যে গঙ্গার আটটা অববাহিকা ছিল, বা স্রোত ছিল বলা যায়, এবং তার মধ্যে পদ্মা ছিল না। তাই এই আদি গঙ্গার সেই আটটার মধ্যে একটা হতে পারে। তবে ওই গঙ্গারাষ্ট্র আর আদি গঙ্গা - ভাগীরথীর স্রোত দুটোর মধ্যে একটা সম্পর্ক থাকা অসম্ভব নয়।

    অরিজিত, পুরোটাই অনুমান, পুরাণের ডেস্ক্রিপশন অনুযায়ী। ভৌগলিক প্রমাণ কিছু তো নেই।
  • Blank | 170.153.65.102 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১৩:০৬442731
  • কাকদ্বীপের গঙ্গারিডি গবেষনা কেন্দ্রে যাওয়ার ও ইচ্ছে আছে। ওদের নিজস্ব ছোট্ট মিউজিয়াম ও আছে। আর দরকার বই পত্তর, ওদের প্রকাশিত পত্রিকা।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১৩:০৮442733
  • ভৌগলিক বলতে আমি বলছিলুম ভূগোলের থিওরি খাটছে না তোমার ওই থিওরিতে।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১৩:০৮442732
  • ফেরা পেছালুম ১৪ থেকে ১৭। যাতে একদিন বারুইপুরে যাওয়া যায়। ফোন্নং দাও।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১৩:০৯442736
  • চলো, তাও হবে। কাকদ্বীপও।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ৩০ মার্চ ২০১০ ১৩:০৯442734
  • এই আম্মো যাবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন