এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ঐতিহ্যমন্ডিত বাংলা চটি সিরিজ

    sumeru
    বইপত্তর | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৮২৮৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গুরুচন্ডালি | ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:৪৩434724
  • পুরুষ এবং নারীর একমাত্রিক যৌন আখ্যানের আড়ালে অজস্র দৃশ্যের জন্ম হয়। জন্ম হয় পাওয়া, অপ্রাপ্তি,নিঃসঙ্গতা এবং বেদনার। "আমার যৌনতা"র এই দ্বিতীয় সংস্করণে আরও বড়ো আকারে নিজেদের এসব অভিজ্ঞতা, অনুভূতির কথা লিখেছেন এইসব মানুষরা, যাঁরা “স্ট্রেট” নন।'

    দ্বিতীয় সংস্করণ, শেষের পথে।



    প্রচ্ছদঃ সায়ন কর ভৌমিক
  • গুরুচন্ডালি | ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:২২434725
  • অ(ন)ন্য মহীন (১) এ দেবজ্যোতি মিশ্রের লেখা থেকে কিছু অংশ ঃ

    'সত্তরের দশক এক আগুন লাগার দশক। আগুনে পুড়ে যাওয়া, স্বপ্ন ছাই হয়ে যাওয়ার দশক। সত্তরের দশক, সেই আগুনে পুড়ে যা ছাই হলনা, যা সোনা হয়ে উঠল, সেই কবিতার দশক, যেখানে আমরা পরপর পাই কবিদের -- জয় গোস্বামী, শ্যামলকান্তি দাস, মৃদুল দাশগুপ্ত, সুব্রত সরকার, গৌতম চৌধুরি, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সত্তর লিটল ম্যাগাজিনের বেড়ে ওঠার দশক। সেই দশকেই খাঁটি সোনা বেরিয়ে এসেছিল আগুনে পুড়ে। সেই এক বিশেষ সময়ে সোনা হয়ে ওঠার স্বপ্ন হবার দেখিয়েছিল যা, তা হল নতুন গান, তাজা গান, জ্যান্ত গান। সময়ের গান, সময়কে পেরিয়ে যাবার গান।
    সত্তর পেরিয়ে আজ ২০১৫। কিন্তু সেই সমস্ত গান শুধু স্মৃতির মনিকোঠায় জায়গা নিয়েই নিশ্চিন্তে থেকে গেছে তা নয়। বরং কোনো নতুন কবির লেখনীতে কিংবা আজ যাঁরা গাইছেন, তরুণ প্রজন্ম, তাদের মূল অনুপ্রেরণা হয়েই থেকে গেছে সেসব। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, মহীনের গানের উত্তরাধিকার নিয়েই চলছে আজ সব কিছু। আর সেই মহীনের মোহিনী বাঁশিটি বাজিয়েছিল যে, সে যেন বিটলসের জন লেনন। হ্যাঁ, বিটলসে জন লেনন দর্শনের জায়গা থেকে যে জায়গা নিয়েছিলেন, মহীনের ক্ষেত্রেও গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকাও ছিল সেরকম।
    কিন্তু আজ মহীন যে প্রবাদপ্রতিম মহীরুহ, সত্তরের দশকেই সে নিজের সেরকম জায়গা করে নিতে পেরেছিল বললে ভুল হবে। সত্তরে তাকে সহ্য করতে হয়েছে আগুনের দহন, পুড়ে সোনা হবার যন্ত্রণা। আসলে সৃষ্টির সবচেয়ে বড়ো যুদ্ধ নিজের সময়ের সঙ্গে, আর সময় বড়ো নিষ্ঠুর সমকালীনের সাথে। তাই পুড়ে যা সোনা হয়ে উঠছে ক্রমশ, তাকে নিয়েই ‘ছাইভস্ম কী হচ্ছে সব’ বলে তুমুল কলরব তুলেছিল সমসাময়িকতাই। আবার মজা হল, সেই বহমান সময়ই কোনো এক ভবিষ্যতের প্রান্তে দাঁড়িয়ে সমকালীনতার নিষ্ঠুরতার হাত থেকে কোমল হাতে তুলে এনেছিল তাকে। এইসব গানই তাই সময়কে ছাপিয়ে যেতে পারে, বিদীর্ণ করে চলে যেতে পারে, তৈরি করতে পারে প্রকৃত উত্তরাধিকার।

    সত্তরের দশকে, তখন সাতাত্তরই বোধহয়। আমি প্রথম মহীনের গান শুনলাম আমার বন্ধু বরুণ এবং মহারাজ, এদের কাছে, যারা আত্মীয়তা এবং বন্ধুত্বের সূত্রে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তখন সদ্য আমার ভায়োলিনবেলা, অনেক পরিশ্রম করে বাবা এবং গুরুদের কাছে শিখছি। জীবনের সেই শুরুর দিনগুলোয় এরাই আমাকে প্রথম দিয়েছিল সেই মোহিনী মন্ত্র, যা আজ অনুভব করি, আরও উদার, আরও আলোয় বুকের ভিতর ধুকপুক করে -- ভালোলাগার কামরাগুলো পেরিয়ে সে এখন আরও উত্তেজনাময়, আরও জীবন্ত। ইতিহাসের ইট দিয়ে গাঁথা প্রত্নতত্ত্ব নয়, সমকালীনতার সুর দিয়ে মহীন আমাকে ছুঁয়েছিল। জীবন উজ্জীবনের গল্পে আমাদেরকেও দোসর করেছিল। আজকের সুখস্মৃতি নয়, সেই সময়ই আমি তাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যেতাম, বিস্মিত হতাম। কী ছিল বয়স, তখন তো আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রয়েছে সলিল চৌধুরির গান । কিন্তু কী ছিল গানে, যা বলল, উত্তরাধিকার যাই থাকুক এই নতুনকে বুকে জড়িয়ে নাও। পতঙ্গরা যেভাবে আগুনের দিকে ধায়, সেভাবে ছুটে গিয়েছিলাম্ আমরা। ওদের রিহার্সালে যেতাম প্রায়ই। কী অদ্ভুত রিহার্সাল করত ওরা, আমাদের তার সঙ্গে কোনো পরিচয় ছিলনা। কী অদ্ভুত জায়গায় ঘটেছে সেসব কান্ডকারখানা। সদর স্ট্রিটের এক গাড়িবারান্দায় তুমুল রিহার্সাল চলছে বিসর্জনের (হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন)। ছুটে গিয়েছি বন্ধুরা। আমি মহরাজ, বিতান, বুবু। আমরা কীরকম ভাবে পিছু নিতাম ওদের কনসার্টে। গিয়ে যেন মনে হত, এই তো, এই তো আমাদের গান। এইভাবেই তো ভাবতে চাই। কিন্তু বয়সে আমরা অনেক ছোটো। এখন দেখলে বুঝতে পারি, আসলে সামগ্রিকভাবে তখন নির্মানের পথ পেরিয়ে এক পুনর্বিন্যাস চলছিল। মহীন তখন শুধু গান নয়, তাদের সমস্ত আর্টফর্ম নিয়ে কাজ করছে। ভাবছে কীকরে জীবনকে ছোঁয়া যায়, কীকরে জীবনের কথা বলা যায়। ক্লাসিকসকে নিয়ে কীকরে, তার মূলকে রেখে ফর্মকে ভাঙা যায়। নাটক, সিনেমা, গান সমস্ত কিছুকে নিয়ে তাদের সেই সময়ের যে কাজ, তা আজ এক বিরাট বটবৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। বলাবাহুল্য, বটবৃক্ষের দায়িত্ব আছে অনেক, সবকিছুকে ছায়া দেবার। সে কখনও কোনো তুচ্ছতাকে দেখে না। তার দায় নেই ছোটোখাটো বালখিল্য তুচ্ছতা, ত্রুটিকে দেখার। তাচ্ছিল্যের বিনিময়েও সে দেয় আদর, ভালোবাসা। প্রশ্রয় দেয় ছেলেমানুষী উক্তিকে। তাদেরকেও সে অকাতরে ছায়া দেয়, যারা তার পিতৃত্বকে অস্বীকার করছে।
    এসব পরের কথা, কিন্তু সেদিন, সেই শুরুর দিনে মহীনের ছোট্টো চারাগাছের মধ্যেই কিন্তু দেখা গিয়েছিল এই বটবৃক্ষের চিহ্ন। সেই ছোটো চারাটির মধ্যে নিহিত ছিল সেই সবকিছু যা একদিন রূপকথার গল্পকে ছাপিয়ে যাবে, বড়ো রাস্তার্ মোড়ে হাত ধরে দাঁড় করাবে গানকে, চেনাবে ইতিহাসকে। আমাদের নগরজীবনের সঙ্গীত, যা আছে আমাদের্ ধ্রুপদী ঘরানায়, যা আছে উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে ইউরোপের সঙ্গীতের ছায়ায়, যা রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে আমাদের প্রাপ্তি, যে প্রাপ্তি আমাদের সলিল চৌধুরির হাত দিয়ে, তাকে বিনির্মানের মধ্য দিয়ে আবার নতুন ভাবে মানুষের গান করে, মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে, নতুন ভাষায় তাকে প্রকাশ করার সাহসের মধ্য দিয়ে।
    একটু খোলসা করে বলি। গান আবহমান। গানে কোনো দেশ নেই। যেমন পাখির কোনো দেশ নেই। গানেরও তেমন থাকেনা। সে সমস্ত বাধা পেরিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে গান হাত ধরে গানের, গান গানের চোখ মুছিয়ে দেয়, গান গানকে জাপ্টে জড়িয়ে ধরে। তদের গল্প হয়। তারা ঘর বাঁধে। সেখন থেকে আবার গানের জন্ম হয়। এই তো আদি অনন্ত কাল ধরে চলেছে পৃথিবীতে। গানের এই অনন্ত পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে সত্তরের দশক বাংলাকে কী দিল? দিল গানের ভিতর বেঁচে থাকার, গানের ভিতর জীবনকে উজ্জাপনের মন্ত্র। চল্লিশের দশকে কল্লোলের উচ্চকিত ঘোষণায়, জীবনানন্দ, বিষ্ণু দে,বুদ্ধদেব বসুর মতো কবিদের উদ্ধত পদচারণায়, যে কবিতা তৎকালীন গানের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল, এই সত্তরে দশক সেই পৃথিবীর কবিদের ছায়া পড়ল গানে। গানের ভাষায়, গানের প্রকাশে আমরা শুনতে পেলাম নতুন হারমনি, নতুন অ্যারেঞ্জমেন্ট, এবং শুধু আর বাংলা নয়, শুধু ইউরোপিয়ান্ ক্লাসিকস নয়, গানের গা বেয়ে এঁকে বেঁকে চলল, গানে এসে ঢুকল রক, ব্লুজ, জ্যাজ, কান্ট্রি -- ফ্লেমিংকো আর লাতিনোর পৃথিবী মিলে মিশে গেল। নিপুণ ভাবে গৌতম চট্টোপাধ্যায় এই সব কিছুকে গাঁথলেন নিজস্ব ঘরানায়, মহীন ঘরানায়(অবশ্যই তাঁর সঙ্গী সাথীদের কুর্নিশ করতে হয়, কারণ এই নেতৃত্বকে তাঁরা শিরোধার্য করেছিলেন)। বাংলা গান আরও প্রবল হল প্রখর ও তীব্র হল। নস্টালজিক না হয়েও কীভাবে সারা পৃথিবীর ঋণ স্বীকার করা যায়, কিকরে স্মৃতিমেদুরতাহীন পিতৃতর্পণ করা যায়, মহীন দেখাল তার ‘হায় ভালবাসি’ গানটিতে। ‘ভালোবাসি পিকাসো বুনুয়েল দান্তে/ বিটলস ডিলান আর বেটোফেন শুনতে/রবিশংকর আর আলি আকবর শুনে/ভালোবাসি ভোরে কুয়াশায় ঘরে ফিরতে’ -- পাঠক মার্জনা করবেন, এ তর্পণ এমন গভীর এক তর্পণ, ভারতীয় সঙ্গীতে সারা পৃথিবীর প্রবাহকে গ্রহণ করার যে ক্ষমতা, তা আর কারো গানে, কোনো তর্পণে উচ্চারিত হয়নি। এই সুরে যে হারমনি বেজে উঠল আমি একজন সলিল শিষ্য, সলিল অনুরাগী হয়েও বলতে পারি, এই হারমনি স্ট্রাকচার কিন্তু আমাদের ধারায় ছিলনা। আমরা সকলেই বিপ্লবের উত্তরাধিকারী। কোনো বৈপ্লবিক কর্মকান্ড না ঘটলে আমরা তার উত্তরাধিকারী হয়ে উঠতে পারিনা। সাতের দশক গানের্ জগতে পশ্চিমে যা ঘটেছিল, তা সমস্ত কিছু নিজস্ব হয়ে ওঠার দাবী রাখল মহীনের গানে। এই হারমনি, এর গঠন, এই অ্যারেঞ্জমেন্টের গঠন, আজকে যদি বলি, এর দেশ কোথায়? মহীনের গান শুনে এর একটি দেশ নির্ধারণ করা কঠিন। এ গান কখনও লালনের পায়ে মাথা ছুঁইয়েছে। অ্যাবে রোড পার করছে বিটলসের যে চার যুবক, রাস্তা পার হয়ে কোনো এক ভবিষ্যতের মোড়ে তারাও যেন কখনও ছায়ার মতো এসে হাত ধরেছে মহীনের। এভাবেই লম্বা দৌড়ের ব্যাটন আসছে পরের প্রজন্মের হাতে, মহীনও যে দৌড়ের অংশীদার। ‘বাঁশি তোমায় দিয়ে যাব কাহার হাতে?’ রবীন্দ্রগানের এ প্রশ্নের উত্তরেই যেন একসময় মহীনের বাঁশিও চলে আসবে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে। অনুজদের দিয়ে যেতে পারার মধ্যে যে অনাবিল আনন্দ, মহীনও তার অংশীদার। সে দুহাতে নিয়েছে পৃথিবী থেকে, আর অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে সারির পরের মানুষগুলিকে। এ এক দূরপাল্লার যাত্রাপথ, লিগাসিকে স্বীকার করে, এবং অস্বীকারের মধ্যেও মূলসুরটিকে বজায় রেখে, যা নিয়েছি দিয়ে যেতে হবে এখানে।
    হায় ভালোবাসি গানটির সুর শুনলে আমরা সলিলের উত্তরাধিকার চিনতে পারি এর হার্মনিক প্রগ্রেশানে। প্রথম কটি পংক্তির সুররচনায় পাওয়া যায় সলিলের এক মিউজিকাল কোট। এবং তার পরেই গানটি নিজস্ব দাপট ও স্বাক্ষর সহ ঝাঁপিয়ে পড়ে ‘যখন দেখি ওরা কাজ করে/মাঠে বন্দরে’র নিজস্বতায়। এই নিজস্বতাই গণচেতনা ও গণআন্দোলনের গাথাকে দেয় নিজসময়ের উত্তাপ। কোনোরকম বিভ্রান্তির অবকাশ না রাখার জন্য এখানে বলা দরকার, যে, গণচেতনা মহীনের একার বিষয় নয়, যেমন নয় একা সলিল চৌধুরির। সলিল এই গণচেতনার উত্তরাধিকার পেয়েছেন নজরুলের কাছ থেকে, মহীন যেমন পায় সলিলের থেকে। এবং একই সঙ্গে সে সরে আসে সলিল থেকেও, কারণ, পৃথিবীর সমস্ত বিপ্লবের উত্তরাধিকার সহ সে নিজস্ব সময়ের ছাপ আলাদা করে রাখে, কথায় ও সুরে। আরও স্পষ্ট করে বললে, গণচেতনা, গণবিপ্লব বিশ্বের নানা চিন্তার মধ্যে আছে, যেমন আছে সলিলের মধ্যে তেমনই মহীনের গানেও। মানবমুক্তির কথা, মানবচেতনার কথা, শ্রমজীবন, মুক্তির কথা বলা আছে মহীনের গানেও, কিন্তু তার প্রকরণ আলাদা। ‘হেই সামালো’ থেকে, ‘ঢেউ উঠছে কারা টুটছে’ থেকে সরে এসেছে সে। যখন সে বলছে ‘সুদিন কাছে এসো’, তখন তার মধ্যে এক গভীর অনুশোচনা দেখা যায়, যে, এখনও আনতে পারিনি সুদিন। এই সুরটি সলিলে অনুপস্থিত।
    এই সুরের মধ্যে এক ধরণের ল্যামেন্ট আছে। সে শুধু বিপ্লবের কথাই বলেনা, এক ধরণের বিলাপগাথাও গেয়ে যায়। তীব্র বিষণ্ণতার সঙ্গে গণচেতনাকে সে জড়িয়ে দেয় সুরে, উত্তরসূরী হয়ে ওঠে জীবনানন্দীয় গাঢ় বেদনারও। জীবনানন্দের কবিতার মর্মে যে বেদনার অক্ষরগুলি থাকে তা সুর হয়ে ওঠে গানে, অক্ষরের মর্মবেদনা যেন স্বরলিপিতে ধরা পড়ে মহীন সঙ্গীতে। বিপ্লব না আসার যন্ত্রণা, বহুবছরের অপেক্ষা, সময়ের বৃষ্টির মতো এসে পড়ে গানে। ‘সুদিন কাছে এসো’ আর বিপ্লবের গান থাকেনা, এই আকুতি বিরহের আকুতিতে পরিণত হয়, বিপ্লব আর প্রেম এখানে এখানে একাকার হয়ে যায়।
    সুধী পাঠক জানেন, এই গানটির আগে এক অনন্য ভায়োলিন প্রিলুড বাজানো আছে। এ এক এমন কম্পোজিশন যার হাত মুষ্টিবদ্ধ, কিন্তু চোখ দিয়ে দরদরিয়ে ঝরে জল। আমি একজন ভায়োলিনিস্ট হয়ে, নিজের শোনা এবং জানার ভিত্তিতে একথা বলতে পারি, যে, ভারতবর্ষ থেকে উঠে আসা গানে আমি এইরকম কম্পোজিশন কখনও কোনোদিন শুনিনি। এই ভায়োলিনের সুরে কী ছিল?...'
  • গুরুচন্ডালি | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:২৯434726
  • তৃতীয় সংস্করণ আগের বইমেলাতেই শেষ হয়ে গেছিল।

    এই বইমেলায় আসতে চলেছে চতুর্থ সংস্করণ। সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাম্বার।

    'হাম্বা কী?
    আমরা পন্ডিতদের সম্মান করি, আঁতেলদের ভয় পাই, পুলিশকে স্যার বলি, ঝাঁকড়াচুলো ব্যান্ডবাদক আর ক্যাটখুকিদের ফাটবাজি দেখে কুঁকড়ে যাই। আমরা লেখালিখি বলতে মাস্টারের নোটবই বুঝি, আইন বলতে পুলিশের ধাতানি। আমরা উড়ালপুলকে উন্নয়ন বলি, মার্কসবাদকে প্রগতি। আঁতলামি বলতে গোদার বুঝি আর (সুইট ইংলিশে) হাউ-আর-ইউ-ডুয়িং বলাকে স্মার্টনেস। আমাদের যাপন মানে চর্বিত চর্বন। জীবন মানে মেগা-সিরিয়াল। পরিশীলন মানে গরু রচনা।
    এই পরিশীলন নামক গরু রচনার বিরুদ্ধে গরুদের এক নিজস্ব বিদ্রোহের বুলি হল হাম্বা। হাম্বা একই সঙ্গে নিপীড়িতজনের দীর্ঘশ্বাস এবং হৃদয়হীন জগতের হৃদয়। একই সঙ্গে অভব্যতা ও আকাটপনা। হাম্বা বিদ্রোহের এক গোপন কোড। আত্মাহীন অবস্থার আত্মা, জনতার আফিম।
    গরু রচনা আমাদের ভবিতব্য হলেও হাম্বাই আমাদের ভিত্তি। হাম্বা সর্বশক্তিমান, কারণ ইহা হাম্বা।
    হাম্বা কেন?
    এই বইকে কেউ ভুলেও ফুক্কুড়ি ভাববেন না। এটি আসলে একটি গম্ভীর প্রবন্ধ সংকলন। এর প্রতিটি লেখাতেই হাইভোল্টেজ ফিলসফি আছে। লেখাগুলিও এলোপাথাড়ি সাজানো হয়নি। একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই বেছে নেওয়া হয়েহে এই চারটি লেখা। প্রথম লেখা কঞ্চটিতে পাবেন গরু রচনার উদাহরণ, যা আমাদের ভবিতব্য। ক্রমশ, খেয়াল করলে এদের মধ্যে দূরাগত হাম্বাধ্বনিও একটু একটু করে স্পষ্ট হবে। আর শেষ লেখাটিতে এসে খুঁজে পাবেন গরু রচনার মধ্যে হাম্বাকে, ভবিতব্যের মধ্যে ভিত্তিকে গুঁজে দেবার তাত্ত্বিক প্রকল্প। দেখবেন, গরু রচনা ও হাম্বার মধ্যের পার্থক্য ক্রমশই কমে আসছে।
    লোকে যতই ভাট বলুক, এ সবই সিরিয়াস তত্ত্বকথা। এই বই আসলে গরু রচনার মধ্যে অপরিশীলিত হাম্বাধ্বনিকে গুঁজে দেবার সুচিন্তিত ষড়যন্ত্রের ব্লু-প্রিন্ট। জাবর-কাটায় ব্যস্ত কোনো তরুণী গবেষিকা, সমাজবিদ্যা মুখস্থরত কোনো কলুর বলদ, সুট-কোট-টাই পরে ঘানি-টেনে-যাওয়া কোনো ঘ্যামা এক্সিকিউটিভ এই বইখানি পড়ে কোনো এক বসন্ত বিকেলে পড়ন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে আপনমনে হাম্বা বলে ওঠার সাহস সঞ্চয় করতে পারবেন, আশা এরকমই।
    '
  • গুরুচন্ডালি | ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৪434727
  • 'এখানে একটা কনফিউশন তৈরি হতে পারে, যে, ন্যানো প্রসঙ্গে বারবার ১৯৯৬ সালের কথা আসছে কেন। ন্যানো তো ২০০৬ সালের কারবার, বিশুদ্ধ নিউজ চ্যানেল সিদ্ধান্ত মতে যখন সিঙ্গুরের ইতিহাসের সূচনা হল। সিঙ্গুর বাজার থেকে মাইল দুই দূরে শুরু হল যুগান্তকারী টাটা কারখানার কাজ। টাই পরা কর্পোরেট জেন্টলমেনদেরকে ঝাঁটা ও জুতো নিয়ে তাড়া করল বিক্ষুব্ধ কৃষককুল। পরবর্তী দুইবছরে কড়ক্কড় বাজ পড়িল, কুকুর-বিড়াল বৃষ্টি হইল, বঙ্গের ভাগ্যাকাশে লোডশেডিং হল, একযোগে শুরু হল শিল্পবিপ্লব এবং কৃষকবিদ্রোহ। কৃষি থেকে শিল্প হল, টিভিচ্যানেল ফুলে কলাগাছ হল, রাজায়-রাজায় জোরদার পাঞ্জা লড়াই শেষে ঘুড়ি উড়ল বাঙালিটোলায়, বেড়াবেড়ি-বাজেমেলিয়া-গোপালনগর-ছআনি-রতনপুর ইত্যাদি অশ্রুতপূর্ব বিচিত্র নামে ভরে গেল জগৎ চরাচর, চ্যানেলে চ্যানেলে দেখা গেল লাল-নীল ন্যানো গাড়ি আর বেচারাম মান্নার মুখ। কলকাত্তাইয়া আঁতেলদের মতে, এই হল সিঙ্গুরের ইতিহাসের সূচনাবিন্দু। বিগ ব্যাং। প্রথম আদি তব সৃষ্টি। ইহার পূর্বে ছিল অন্ধকার। মধ্যযুগ। অবাঙ্‌মানসগোচর ইতিহাসহীনতা। ব্ল্যাকহোল ও সিঙ্গুলারিটি। এইসব।
    পরিষ্কার বলে রাখা ভালো, এসব মূলত কলকাত্তাইয়া আঁতেলদের কনফিউশন। যাঁরা সমাজবিজ্ঞানী ও বিদেশফেরত, টিভিতে মুখ দেখান ও একে অপরের সঙ্গে ঝাড়পিট করেন, কলেজে ও ইউনিভার্সিটিতে দেদার লেকচার দেন, কিন্তু ইতিহাসের কিস্যু জানেননা তাঁরাই এই কনফিউশনের জনক। এই মেনলি নিজভূমে-পরবাসী স্পিসিসের জন্য ঝট করে জানিয়ে দেওয়া যাক, যে, ওসব শহুরে গুজবের এই লেখায় কোনো জায়গা নেই। ওসব আতুপুতু আদিখ্যেতা জানতে হলে খবরের কাগজ পড়ুন গে। এদিকে আসবেননা। এ হল লিমিটেড এডিশন ঠাকুরমার ঝুলি, বিশুদ্ধ ন্যানোপুরাণ, সিঙ্গুরবাসীদের জন্য লিখিত সিঙ্গুরবাসী বরদাচরণ রচিত সিঙ্গুরের ভূমিপুত্রের ইতিহাস, এ খাঁটি দিশি মাল টাগরায় জোর থাকলে তবেই খাওয়া যাবে।'

    শারদীয়া প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়েছিল, এবার বইমেলায় বই আকারে আসতে চলেছে।
  • গুরুচন্ডালি | ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ১০:৫৫434728
  • এ সেই ১৯৯৬ সালের মে মাসের কথা, যখন কথা নেই বার্তা নেই, দুম করে ন্যানো আবিষ্কার হয়ে গেল। আবিষ্কারটা ওই সময়ে হবার কথাই ছিলনা, কারণ উচ্চফলনশীল শাকসব্জি যেমত রবিশস্য সাধারণত শীতে ফলে। কিন্তু শীত হোক বা গ্রীষ্ম, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, ন্যানো আবিষ্কার ১৯৯৬ সালের কথা। কলেজ ইউনিভার্সিটির পণ্ডিত, টিভি চ্যানেলের পার্ট-টাইম পাল্টিবাজ, রঙচঙে সিরিয়াল থেকে দুম করে গাড়ি বিশেষজ্ঞ হয়ে যাওয়া অভিনেতারা, যাঁদের ধারণা ন্যানো ২০০৬ সালের কেচ্ছা, নিঃসন্দেহে সবাই পরীক্ষায় গোল্লা।

  • pi | 174.100.177.10 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৫০434729
  • ফেবুস্মৃতি ভাসিয়ে নিয়ে এল। ২০১২ র লিটল ম্যাগ মেলায়। ছাপা গুরু তখন গুটিগুটি হাঁটছে। নেট থেকে কেন ছাপা পত্রিকা, বাংলা প্রকাশনার সমস্যা ইত্যাদি প্রভৃতি নিয়ে সৈকতদার, ঐ যাকে বলে বক্তৃতা। যারা শোনেনি আগে, তাদের জন্য।

  • সৌভিক | 57.15.18.35 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ২২:২৪434730
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাণ্ডবদাহন সেই সময়ের আখ্যান যখন বইমেলা পুড়ে যায়। দেরিদা কোলকাতায় আসেন, বক্তৃতা দেন। মার্কসবাদ সর্বশক্তিমান কারণ ইহা বিজ্ঞান দেওয়ালে লেখা হয়, কিন্তু যারা লেখে তারাই মানে না। সোভিয়েত ভেঙে যায়, ধারা পালটায় মাও সে তুং এর চিন। কারো কারো মনে হয় মার্কসবাদ ধরতে পারছে না আজকের ওয়ার্ল্ড অর্ডারকে, বুঝতে হবে উত্তর আধুনিকতার টুলগুলি দিয়ে। কারো কারো এত আশা ভরসাও নেই। এক মহাদর্শনের প্রস্থান হয়েছে, মঞ্চে আর কোনও মহা শক্তিধর আবির্ভূত হতে পারে নি মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে। ইতস্তত তাই কথন আর বয়ানের ফাঁক খুঁজে ফেরা। বুনোটকে ফাঁসিয়ে যাওয়া।
    আবার এই একই সময়ে বিপ্লবী মন ঘুরে দাঁড়াতে চায়। বলে যায় পোস্ট মর্ডানিজম ইজ দ্য কালচারাল লজিক অব লেট ক্যাপিটালিজম। বিপ্লব যদি নাই বা আগামী ক্ষণের বাস্তব হয়, তবু সাবভার্সন জরুর সম্ভব। দেওয়াল গেঁথে হুন আটকায় চিন আর দেয়ালতত্ত্বের কাল্পনিক মৌতাতে আখ্যান জমিয়ে তোলেন সৈকত। বিপ্লবী পার্টির তাত্ত্বিক বিশ্বস্ত সেনানীকুল নিয়ে দেরিদার মঞ্চকে ব্যবহার করে নেবেন বলেই প্ল্যান সাজান আর তারপর বিশ্বের লাইমলাইট তো নেহাৎ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু প্ল্যান ভেস্তে যায়। ডাক্তার জেকিল আর মিস্টার হাইড, প্রগতিশীল বিপ্লবী আর প্রতিক্রিয়াশীল নেশাখোর যে পরস্পরের মধ্যে ঘনসন্নিবিষ্ট। নেশার জগৎ তত্ত্বের জগৎ অ্যাক্টিভিজম বিপ্লবের স্বপ্ন আর স্বপ্নের টুকরো হয়ে যাওয়ার সময়টা সৈকতের অনতি দীর্ঘ আখ্যানে ধরা রইলো, যাকে অনেকেই নিজের চারপাশের আর চিন্তাধারার আখ্যান বলে চিনে নিতে পারবেন।
  • অভিষেক | 52.110.148.169 | ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫০434732
  • কাঠপাতার ঘর, আগান কথা-বাগান কথা--> কুলদা রায়

    সম্প্রতি এই বাঙালি লেখকের আশ্চর্য মায়াময় বাংলা গদ্যকথনের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়েছে। লেখক জন্মসূত্রে আজকের বাংলাদেশী হলেও বেশ কিছু দিন ধরে কর্মসূত্রে আমেরিকাবাসী। ওয়েবজিনের পাঠকদের কাছে ওনার লেখাপত্তর হয়ত সুপরিচিতও। কিন্তু আমার সাথে পরিচয় ছিল না। কেন যে এতদিন ছিল না ? সেটা একটু আপসোসও তৈরি করছে বটে...
    লিটিল ম্যাগাজিন মেলা থেকে লেখকের একটা বই হাতে এসেছে -কলকাতার গুরুচন্ডালী প্রকাশনার- কাঠ পাতার ঘর,আগান কথা-বাগান কথা।

    ৪১টা ছোটো ছোটো কারুমিতি দুই মলাটের মধ্যে। শৈল্পিক ঐশ্বর্য বা লেখনশক্তির ব্যাপ্তি নিয়ে কিছুই বলতে চাইনা। এই জাতের লেখা থেকে তাহলে সমস্ত জ্যোৎস্নারস -সমস্ত রামধনু প্রজাপতির থিরথির কাঁপন- সমস্ত জোনাকির নরম আলো- লেখকের সমস্ত শ্বাস প্রশ্বাস হারিয়ে যাবে। দু চার কথায় জানাই বরং কী পেলাম এই বইয়ে যে সময় করে এতটা লিখতে হচ্ছে।
    এ যেন টুকরো টুকরো করে কিছু স্মৃতিকথার টানায় আর সময়ের পোড়েনে বোনা এক দরবেশের মিঠা রঙের আলখাল্লা। বাঙলার প্রাচীন প্রকৃতির নিজে হাতে পাতা শীতলপাটিতে বসে সেই সব কথা শুনে আসার অভিজ্ঞতা ঠিক যেন পরিবারের প্রাচীন কুলমাতার কাছে প্রদীপশিখায় ছায়াময় রাতে শোনা অরূপকথার তুলো ভাসিয়ে দেওয়ার মতন।
    ফুল-গাছ-নদী-বক-সারস-মাঠ-ধান-হাওর-বিল-মানুষ-কুকুর-বেড়াল-পাখী-দাদু-ঠাকুমা-পিসি-কাকা-বাবা-মা-ভাই-দাদা-মেয়ের কথা। পরীদের -পাগলের - শিউলি ফুল-হিজল গাছের- ছাতিম পাতার কথা। ফজরের নামাজ -মুছি পাটালি - মহালয়ার স্তোত্র- পাক পাক হাঁস - উচ্ছেদে ভ্রষ্ট হওয়া এক পরিবারের ভুলে যাওয়া কিছু শ্বাস- জয় বাংলার ডাক - তোরঙ্গে থাকা রাজার তলোয়ারের কথা। আজিমা - পুড়ে যাওয়া দুই ছেলের মা- না খোলা এক ছাতা - যশোর রোডের কথা। এক শান্ত একান্নবর্তী নমঃশূদ্র পরিবারের মায়ার বন্ধনে থাকা মানুষদের আশকথা পাশকথা বিশেষ।
    চরিত্রের দিক থেকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ যে কিছু পরিচিত গ্রন্থের কথা মনে পড়েছে ,এই বই পড়ে সেগুলোর মধ্যে সবার প্রিয়তম হোল ছিন্নপত্রাবলী আর রূপসী বাংলা। কিছুটা মিহির সেনগুপ্তের বিষাদবৃক্ষও। কিছুটা মনে পড়ে অবন ঠাকুর,লীলা মজুমদার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের কথাও। তবে কুলদা ছবি আঁকেন একদম নিজস্ব তুলি দিয়েই।
    রঙ্গে-রূপে-রসে সেখানে এসে দাঁড়ায় বাংলার নদী-ব্রতকথা-পাঁচালির নরম আবহমান আলোরকণারা। বয়ে চলা বাংলার নদীর শীতল জলের ছিটে লাগে পাঠকের তপ্ত কপালে। এগুলো যেন আলাদা আলাদা গল্প নয়। এও যেন ছিন্ন পত্রাবলীর মতন লেখা চিঠির সুরে আত্মকথন। মহাকালকেই উদ্দেশ্য করে বলা, তবে পাঠকের দিকে তাকিয়ে।
    লেখকের কথাগুলো পড়ে পৌঁছে যাওয়া যায় আজকের বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের গ্রামে সেই সত্তরের শুরুর দিকে। হাত মেলানো যায় দুর্গাদিদি ডাকা পাখী-কাঠবেড়ালী-বৃক্ষ-ভুলু কুকুর-পাকপাক হাঁস- নদী ছুঁয়ে থাকা হিজলের ডালের অস্তিত্বে। লেখকের কন্যার স্বননে "মানুত" উচ্চারণ এবং প্রবাসে থেকে "বাবাবাড়ি" যাওয়ার দরকার চিনিয়ে দেয় উপমহাদেশের শেষ সত্তর বছরের বাস্তব চিত্রটাও। পৃথিবীজোড়া ডায়াস্পোরা আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে লেখক নিজেও একজন। বাংলাদেশের নদীর ছলছলাত্‌- হাওয়ায় দোলা ধানের শীষের হুহু ডাক, নিউইয়র্কের বিত্ত - বৈভব এবং আরাম ছাপিয়েও লেখকের বোধ এবং সত্তাকে ছাড়বেনা তা উনিও গভীর ভাবে বোঝেন। সন্তানদেরও আদর করে বোঝান। লেখা পড়েই বললাম।
    কুলদা রায়ের আরও আরও লেখা পড়তে আগ্রহী হয়ে থাকলাম। GALPOPATH.COMএ আছেও বেশ কিছু। কুলদার প্রথম গ্রন্থের প্রকাশক হয়ে বাঙ্গালী পাঠকের ধন্যবাদ জানবেন গুরুচন্ডালী প্রকাশনা।

    ২০১৭ কোলকাতা বইমেলায় মিলবে -- ১৮২ নম্বর স্টলে।
  • pi | 192.66.180.159 | ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:৩২434734
  • কুলদা রায় লিখেছেন,

    বাংলা ছোটগল্প কি মরে যাচ্ছে? এই প্রশ্নটি করেছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। তখন সবে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী, এক কোটি মানুষ পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থী শিবির থেকে ফিরেছে স্বাধীন বাংলাদেশে। নকশাল বাড়ি জিন্দাবাদ বলতে বলতে চারু মজুমদার ঢলে পড়েছেন-- পশ্চিমবঙ্গে জারী হয়েছে জরুরী পরিস্থিতি।
    দুর্ভিক্ষের শিকার হয়ে মরতে মরতে আট কোটি মানুষ বিস্মিত হয়ে দেখছে ঢাকায় সামরিক শাসন নেমে এসেছে। দণ্ডকারণ্য থেকে পালিয়ে এসেছে নিরন্ন হাজার হাজার মানুষ মরিচঝাপিতে। তারা গুলি খেতে খেতে বুঝতে পারছে, যে তুলসীগাছটিকে রাতারাতি ফেলে রেখেই তারা দেশ ছেড়েছিলেন ১৯৪৭, ১৯৫০, ১৯৫৪, অথবা ১৯৬৪ সালের এক তরফা দাঙ্গায়, সেই ছেড়ে আসা তুলসীগাছটিকে আবার উপড়ে ফেলা হচ্ছে নোয়াখালিতে, খুলনায়, বরিশালে, রাজশাহীতে। সেখানে লাগানো হচ্ছে তাজা করবীগাছ। এইগাছে ভয়ানক বিষফল ধরে। সেই গাছটিকে পুষ্টি দিচ্ছে কিছু ধর্মান্ধ মানুষ। সিঙ্গুরে নতুন করে ভূমিচ্যুত হয়ে হাহাকার করছে তাদেরই উত্তর পুরুষ। আর সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমা নামের একটি তের বছরের মেয়ের মা কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে বলছে, দোহাই বাবারা, আমার মেয়েটি ছোটো। তোমরা এক একজন এসো।
    আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তখন নড়ে চড়ে উঠেছেন। বুঝতে পারছেন মস্কোতে বৃষ্টি থেমে গেছে। বার্লিনের দেওয়ালটি ধ্বসে যাচ্ছে। তার নিজের বাম পাটি কাটা গেছে। সেই কাটা পায়ের শূন্য জায়গাটিতে একটি লাল বই দিয়ে হাওয়া করতে করতে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বলে উঠছেন, তার কাটা পায়ে মশা কামড়াচ্ছে।
    ঠিক এইখানে এসে ঢাকায় লাশ পড়ছে শাহবাগের মুক্তমনা রাজিব হায়দার শোভন অথবা বিজ্ঞানমনস্ক ভিজিত রায়ের। ইন্টারনেটে সেই রক্ত দেখে কলকাতার উপকণ্ঠে একটি অবোধ শিশু মেয়ে উদ্ভান্ত হয়ে তার বাবা সাদিক হোসেনকে জিজ্ঞেস করছে, বাবা, ওই লাল রঙ কী? ওই লাল কী?
    সাদিক হোসেন মেয়েটির চোখ দুহাত দিয়ে বন্ধ করতে করতে জবাব দিচ্ছেন, টমেটো কেচাপ। টক টকে লাল টমেটো কেচাপ।
    ঠিক তখনি বুঝতে পারা যায়, না, বাংলা ছোটোগল্প মারা যায়নি। প্রতিদিনই নতুন নতুন করে ছোটো গল্পের জন্ম হচ্ছে মানুষের হাতে। হয়ে উঠেছে মানবিক দলিল।
    এই লেখক মানুষদের লেখা নিয়ে রচিত নির্বাচিত গল্পপাঠ ক্রাউন সাইজে ছাপা হয়ে আসছে কলকাতা বইমেলায়। দু মলা্টে ৮৫টি তাজা গল্প, আর ৮৫ টি গল্পকারের গল্পভুবন। এই ৮৫টি গলভুবনগুলো বইটিকে করে তুলেছে আর্ট অফ ফিকশন। এই নির্বাচিত গল্পপাঠ সে অর্থে লেখকদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বই।
    গল্পপাঠ ওয়েব ম্যাগাজিনের নির্বাচিত গল্পপাঠ সংকলনটি প্রকাশ করেছে ওয়েব সাইট গুরুচণ্ডা৯
  • Guruchandali | 192.66.1.34 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:০৬434735
  • 'যে সময়ে আমাদের আরো ধৈর্য্যশীল, আরো মমতাময় হয়ে ওঠার কথা ছিল, সেই সময়েই আমরা আরো বেশি করে অসহিষ্ণুতার চর্চা করে চলেছি।
    আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, এই অসহিষ্ণুতার পেছনে এক পৌরুষ-সাধনার চালচিত্র রয়েছে। মানিয়ে নেওয়া, নরমভাবে সমাধানের পথ খোঁজা, ক্ষেত্র বিশেষে মেনে নেওয়া এইসব মিনমিনে ভাব আমরা সজ্ঞানে বর্জন করেছি। আমাদের সমাজজীবনে আমরা একটা সহজ সমীকরণ করে নিয়েছি, নমনীয়তা ইক্যুয়াল টু মেয়েলি ইক্যুয়াল টু দুর্বলতা। মেয়ে মাত্রই দুর্বল, তাই যা কিছু মেয়েলি তাই পরিত্যাজ্য। আমরা প্রথমে আবেগপ্রবণতা আর চোখের জলকে মেয়েলি বলে দাগিয়ে দিয়েছিলাম, ক্রমে মায়া-মমতা-সহানুভূতি এগুলোও আস্তে আস্তে সেই তালিকায় ঢুকে গেছে। সেই কারণেই আমরা নেতা হিসেবে দেখতে চাই এমন একজনকে যিনি নির্মম, কঠোর, বলদর্পী হয়ত বা হিংস্রও। তাই যখন ইন্দিরা গান্ধী দয়াহীন, কঠোর হন তখন তাঁকে তাঁর ক্যাবিনেটের “ওনলি ম্যান” বলে ভূষিত করা হয়, সাহসের বীরগাথা রচিত হয়। কিন্তু আমাদের শেখান হয় না সাহস মানে শুধুই আক্রমণ নয়, সাহস মানে সহিষ্ণুতাও। কিন্তু দেখুন, সহিষ্ণুতাও কখন যেন মেয়েলি তালিকায় ঢুকে গেছে। আমরা ভুলে গেছি, সহিষ্ণুতা যদি মেয়েলি হয় তবে যীশু এবং গান্ধী দুই সর্বোত্তম মেয়েলি পুরুষ, যাদের সামনে পৌরুষের যাবতীয় দম্ভকে নতজানু হতে হয়।
    এ লেখা পুরুষদের বিরুদ্ধে নয় এমনকি পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধেও নয়। এ লেখা পৌরুষের যে নিষ্ঠুর সামাজিক নির্মাণ, তার বিরুদ্ধে। সমস্যা হল, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমরা সবাই সেই অকমনীয় পৌরুষকেই আমাদের আদর্শ বলে ধরে নিয়েছি। তাই শেয়ারিং আর কেয়ারিং-এর বদলে ফাইটিং স্পিরিট আমাদের মূলমন্ত্র হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে মনে হয়, সমাজটা যদি শুরু থেকে পিতৃতান্ত্রিক না হয়ে নারীতান্ত্রিক হত, তাহলে কি আমরা আরো একটু নমনীয়, কমনীয়, মায়াময় সমাজ-ব্যবস্থা দেখতাম, না কি সেই ব্যবস্থাতেও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবীরত্বই আদর্শ নারীত্বের অভিজ্ঞান হয়ে উঠত? শুনেছি দিনের শেষে সব ক্ষমতাই একই ভাষায় কথা বলে।'

    বস্টনে বংগে থেকে।
    এই বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে , লেখক বর্ন ফ্রি ।

    প্রচ্ছদশিল্পীঃ সায়ন কর ভৌমিক

  • dc | 181.60.208.178 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:১৮434736
  • পাইরেটবের মটো হলো "শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং"। আমার ফেভারিট টিশার্টেও ওটা লেখা আছেঃ

    https://www.redwolf.in/the-pirate-bay-t-shirt-india
  • গুরুচণ্ডা৯ | 37.63.221.16 | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ২৩:৩৫434737
  • নির্বাচিত গল্পপাঠ দুই খণ্ড কোলকাতা বইমেলায় গুরুচণ্ডা৯ স্টলে সামনের হপ্তায় পাওয়া যাবে। পূর্ণাঙ্গ লেখক তালিকা--

    প্রথম খণ্ড--
    দেবেশ রায়, অনিতা অগ্নিহোত্রী, অভিজিৎ সেন, অমর মিত্র, অম্লানকুসুম চক্রবর্তী, অরিন্দম বসু, আনোয়ার শাহাদাত, আফসার আমেদ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, আহমেদ খান হীরক, ইমতিয়ার শামীম, এমদাদ রহমান, কাজল শাহনেওয়াজ, কুলদা রায়, জয়ন্ত দে, জাকির তালুকদার, ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু পালিত, দীপেন ভট্টাচার্য, নাসরীন জাহান, নাহার মনিকা, পাপড়ি রহমান, প্রশান্ত মৃধা, বিপুল দাস, বিশ্বদীপ চক্রবর্তী, বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্য, মাসুদা ভাট্টি, মাহবুব লীলেন, মেহেদী উল্লাহ, মোজাফ্ফর হোসেন, রবিশংকর বল, রুমা মোদক, শমীক ঘোষ, শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য, শামসুজ্জামান হীরা, শামিম আহমেদ, শাহনাজ মুন্নী, শাহাদুজ্জামান, শিমুল মাহমুদ, শিপা সুলতানা, সাগুফতা শারমিন তানিয়া ও সাদিক হোসেন।

    দ্বিতীয় খণ্ড--
    হাসান আজিজুল হক, অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, অর্ণব রায়, অলোক গোস্বামী, ইকবাল তাজওলী, ইন্দ্রাণী, কৌশিক দত্ত, গৌতম সেনগুপ্ত, জয়া মিত্র, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, তপন বন্দ্যোপাধ্যয়, তাপস গঙ্গোপাধ্যায়, তুহিন দাস, দীপ্তেন, দেবর্ষি সারোগি, দেবীপ্রসাদ সিংহ, নলিনী বেরা, নীহারুল ইসলাম, বিশ্বদীপ দে, ভগীরথ মিশ্র, মশিউল আলম, মুরাদুল ইসলাম, মোমিনুল আজম, রমানাথ রায়, রামকুমার মুখোপাধ্যায়, , রিজিয়া রহমান, রিমি মুৎসুদ্দী, রেজা ঘটক, রুখসানা কাজল, শঙ্খদ্বীপ ভট্টাচার্য, শাশ্বত নিপ্পন, শেখ লুৎফর, সম্বিত চক্রবর্তী, সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম, সাধন চট্টোপাধ্যায়, সালেহা চৌধুরী, সেলিনা হোসেন, সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, সোমনাথ রায়, স্বকৃত নোমান ও স্বপ্নময় চক্রবর্তী।

    গুরুচণ্ডাল৯ স্টল নং ১৮২, ২ নং হলের সামনে প্যাভিলিয়নে সামনে। বই নিয়ে অনুষ্ঠান ২ তারিখ বিকেল ৪ঃ৩০-৫ঃ৩০, মমার্ত, কোলকাতা বইমেলা ।
  • গুরুচণ্ডা৯ | 233.176.29.183 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৮:০৫434738
  • আজ আসছে।

  • গুরুচণ্ডা৯ | 233.176.29.183 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৮:০৬434739
  • প্রচ্ছদঃ সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন কর ভৌমিক
  • অভিষেক | 127.194.227.187 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৫434740
  • অত্যন্ত সুখপাঠ্য করে দরকারি কিছু কথার আলোচনা করা হয়েছে ঝরঝরে গদ্যে।
    লেখকের কথন পাঠককে একদম নিয়ে গ্যাছে তার ঠিক পাশে। মর্মস্পর্শী - আবেগঘন হয়েও লেখকের বক্তব্য যুক্তি হারায়নি। রাগের তীব্রতা যদিও অনেক কাটছাঁট করে প্রকাশ- কে জানে হয়ত প্রকাশনা বাঙালী পাঠকদের জন্যে বলেই!
    শেষের প্রশ্নগুলো শুধুই একা লেখকের নয় এবং গুরুচণ্ডালীরই আর এক অসাধারণ প্রকাশনা - আমার যৌনতার - পাঠ প্রতিক্রিয়ায় এই পাঠকের মনেও তার বেশ কিছুটা ঘুরপাক খেয়েছিল- আজও খায়। তবে ওই আর কি- উত্তর মেলেনি।
    আরও পড়তে ইচ্ছা করছিল।শেষ হতে তাই মনে হয় আরও লিখবেন কবে এই লেখক? এটা লেখক হিসেবে ওনার কৃতিত্ব স্পষ্ট করে।
    অভিজিৎ এবং ঋতুপর্ণরাই নন- কে জানে এই লেখকও কত জনের এই পাঠের পরে - তাদের সিঁড়ি হয়ে ওঠেন।
    লেখককে বলব সময় পেলে আরও লিখবেন। যুক্তি দেখিয়েছেন,রাগটাও থাক না হয়। আবেগটাও কিন্তু যেকোনো ডিস্কোর্সের দরকারি অংশ বটে।

    গুরুচণ্ডালীর - আমার যৌনতা- অসুখ সারান- বস্টনে বংগে- এই তিনটে বইয়ের গুরুত্ব বড় করে বলা উচিত। অতি সুলভ মূল্যে তথাকথিত অপরজনদের কথা পাঠকদের কাছে পৌঁছে অপর শব্দের মানবিক বিনির্মাণ করার প্রচেষ্টা- প্রকাশনার দায়িত্ববোধ পাঠকদের খুব কাছে টেনে নিচ্ছে-নেবে -- এই পাঠকের তাতে যথেষ্ট প্রত্যয় আছে- থাকবে।
  • অভিষেক | 127.194.227.187 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৮434741
  • অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় দু:খিত- পাঠ প্রতিক্রিয়া
    ----------------------------------------------------------------------

    শাক্যজিতের বই পড়ে দু কথা ছোটো করে বলি- একদমই রিলেট করতে পারিনি। পারিবারিক গঠন অনেকদুর আলাদা- এইটা বোধহয় তার সবচেয়ে বড় কারণ। গদ্য চমৎকার এবং সুবোধ্য হয়েও মাঝে মধ্যেই হাইওয়ে ছেড়ে ভোরের আলপথে গিয়ে মায়াবি। শাক্যজিৎ খুব বড় নন বয়েসে কিন্তু তাও বেশ কিছু জায়গায় সময়ের ফারাক চোখে পড়ার মতন বড়। এইটা কিন্তু বেশ করে বোঝার জন্যে এমন একটা পাঠের দরকার ছিল। তিন চার বছরের ফারাকে দুনিয়াটা কেমন অদ্ভুত ভাবে অন্যতর! প্রচ্ছদ ভালো লেগেছে বেশ! হরফ নিয়ে অখুশী নই দাম নজরে রাখলে। যেটা কম ভালো লেগেছে তা হল প্রবন্ধ বা আত্মকথন যেন বড় অগোছালো। বোধহয় সময় করে শাক্যজিতের এই লেখা আরও বড় ক্যানভাসে করা উচিৎ। একটু যেন পরিমার্জন বেশী হয়ে গ্যাছে। মাঝে মাঝে পাঠকের জন্যে স্পেসের অভাব। কে জানে নিজেরই পুরোনো ব্লগ থেকে তুলে নেওয়ার কারণে কিনা! হয়ত পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশনার জন্যে লেখা হলে এমন হোতো না।

    তবে একটু অমনোযোগী মানুষেরা যারা এই বই পড়বেন - কিছুটা ডিসিপ্লিন্ড হবেন নিজের নজর এবং আত্মাবস্থান মেপে নিতে।লেখাটা পাঠককেও দৃষ্টিশীল করে তুলবে সময়ের স্পেসটা বুঝে নিতে।হয়ত নিজেরই একান্ত প্রয়োজনমাফিক ভাবে।
    তবে প্রকাশনার বিপণনের দিক থেকে এটা একটা অত্যন্ত ধীময়ি সিদ্ধান্ত। কাকতালীয় কিনা জানা নেই অবশ্য। না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী মনে হয়! এক ব্যাগ নব্বইএর সুঠাম টিসার শাক্যজিতের এই বই। এইটা নিয়ে সমান্তরাল ফেলো প্রকাশনাদের অনেক কিছু শেখার আছে, নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি না করে।
  • pi | 57.29.134.62 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:০০434742
  • ত্রিপুরায় আগরতলা বইমেলায় উবুদশ আর বইঘরে আছে গুরুর চটি বইয়ের প্যানেল। মেলা চলবে আরো এক হপ্তা।
  • pi | 57.29.135.93 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:১৬434743
  • এক ব্যাগ ৯০ থাকছে লিটল ম্যাগের স্টলেও।
  • pi | 192.66.37.8 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:২৭434745
  • 'অবান্তর পাঠশালা' নিয়ে তিতি রায় লিখেছিলেন,

    'Arek dombondho kore deoa lekha sesh holo.. Jaya Mitrer onubad Obantor Pathshaala LIttle School..Argentinar military shason cholakaleen ek bondi Alicia Partnoy er obhiggota.. One Day in the life of Ivan Denisovitch ke mone poriye dey..Guruchandali r onobodyo procheshta.. Onekke porate ichchhe korchhe.''
  • pi | 174.100.177.10 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৩:৫৫434746
  • যশোধরা রায়চৌধুরী লিখেছিলেন, বিপুল দাসের বর্ণসংকর নিয়ে।

    'আমরা গাড়োলের দল।.... আমরা স্কোয়ার ফুট দরে বাঁচি মরি। আর বৈশাখূ আকালু সাত্যকি পিলিপিলি আরতি বিড্ডু রা দিন আনে, দিন খায়। আমাদের নাগরিক জটিলতার আশপাশেই এই এদের মফস্বল জীবন ও জটিল হতে হতে যায়। প্রেম আসে রিফিউজির তেরপলের মত, আসে আর উড়ে যায়। মাঝে মাঝে সারমেয় ভূতেরা ককিয়ে ওঠে। সব নিয়ে বর্ণসংকর। গুরুচণ্ডালী থেকে প্রকাশিত বিপুল দাসের চটি।'
  • pi | 57.29.134.142 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৫৮434747
  • প্রবীরেন্দ্র চ্যাটার্জি লিখেছেন,

    'কাকে বলে বই, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কাফকা নাকি বলেছিলেন একটা বই হল সেই কুড়ুল যা আমাদের ভেতরের বরফজমা সমুদ্রকে টুকরো টুকরো করতে পারে। কাফকা নৈরাশ্যবাদী, সে কথা নতুন করে বলার দরকার নেই। কিন্তু কখনো সখনো বরফ সত্যিই জমে, জমে পাথর হয়, এবং সে পাথরকে গলানো সম্ভব নয় বলে কুড়ুলই দরকার।

    ১৯৯০ থেকে ২০১৪, এই চোদ্দ বছরে বহুবারই এদিক সেদিক থেকে ফিসফিসে গলার স্বরগুলো কানে এসেছে, "গন্ডগোল তো একটা আছেই", "ঘটনাটা অত স্ট্রেটফরোয়ার্ডও নয়", "ফাঁসি?! প্রমাণ কোথায়?"......মুশকিল হল সেই গলার স্বরগুলো কখনই দানা বাঁধতে পারেনি। ফলে শেষ দিন ধনঞ্জয় পোস্তর বড়া খেতে পেরেছিলেন এই স্মৃতিটুকুই তাজা হয়ে থাকে। আর মাঝে মাঝে বীভৎসরসের খোঁজে নিজেদের গলা খাঁকারি দিয়ে বলতে শুনি, 'খুন করার পরেই তাহলে কাজটা করেছিল? ভাবা যায় না!"।

    দেবাশিস সেনগুপ্ত, প্রবাল চৌধুরী, পরমেশ গোস্বামীদের সম্ভবত একটা কুড়ুলই দরকার ছিল। ফলে 'আদালত-মিডিয়া-সমাজ এবং ধনঞ্জয়ের ফাঁসি' বইটিতে তাঁদের প্রতিপাদ্যগুলি সপাটে বলেছেন, কোনোরকম রাখঢাক ছাড়াই। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় যে নির্দোষ, সে কথা সূচনা থেকে উপসংহার সব জায়গাতেই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন লেখকত্রয়। আরো জানিয়েছেন ( অগুন্তি circumstantial evidences দেখিয়ে) যে হয়ত হেতাল পারেখের মৃত্যুর কারণও সেই honor killing। গ্রহণযোগ্য যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন ধনঞ্জয় নয়, খুনী হওয়ার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা যশোমতী পারেখ এর। কে যশোমতী? হেতালের মা।

    বুদ্ধিমান পাঠকরা ভ্রূ তুলবেন, লোয়ার কোর্ট - হাই কোর্ট - সুপ্রিম কোর্ট তিনটি আদালতেই যেখানে ধনঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সেখানে এইসব circumstantial evidences এর মূল্য কি? এ বই দেখাচ্ছে তিনটে আদালতেই কিন্তু বিচারকদের অনুমিতি একটি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে (ঠিক যেমনটি নিয়েছে আরুষি তলোয়ার মামলায়)। আর এই প্রসঙ্গেই দেবাশিসরা জানিয়েছেন স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট জনৈক সাক্ষীর মুখে প্রচুর কথা বসিয়েছেন যা সেই সাক্ষী আদপেই বলেন নি। ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট ধনঞ্জয় মামলার রায় দেয়, এ বই পড়েই জানলাম তার ঊনিশ বছর পরে সুপ্রিম কোর্টেরই আরেক বেঞ্চ সন্দেহ প্রকাশ করে জানায় শাস্তিবিধানের যথাযোগ্য প্রক্রিয়া ধনঞ্জয়ের মামলায় গ্রহণ করা হয়নি।

    দেবাশিস এবং প্রবাল রাশিবিজ্ঞানের শিক্ষক, প্রোবাবিলিটি নিয়েই তাঁদের রুটিরোজগার। তাঁরা নিজেরা লেখেননি কিন্তু এ বই পড়তে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে মিডিয়া, আদালত, সমাজ এই সমস্ত ইন্সটিটিউশনগুলির একত্রিত বিরোধিতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা নেহাত তুচ্ছ নয়। ধনঞ্জয়ের আর্থিক ও শ্রেণীগত সামর্থ্যের কথা মাথায় রাখলে সম্ভাবনাটি শর্তাধীন হয়ে পড়ে, এবং হয়ত আরো প্রগাঢ়। পরোক্ষ প্রমাণ এবং অনুমিতি বাদ দিয়ে হেতালের খুন নিয়ে বিশেষ কিছুই বলা সম্ভব নয় কিন্তু দেবাশিসদের বইটি পড়লে একটা অপরাধবোধে আচ্ছন্ন হতেই হবে। অপরাধী হওয়ার সম্ভাবনা ধনঞ্জয়ের যদি সবথেকে বেশিও থাকে তাহলেও যে সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে তার ভিত্তিতে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট কোনোমতেই হওয়া উচিত ছিল না। তাই উৎসর্গপত্রেই দেবাশিসরা লিখে দেন, "হেতাল পারেখ এবং ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে, যাঁর কাছে কয়েক কোটি মানুষের ক্ষমা চাওয়া বাকি"।

    এ বই ট্রুম্যান কাপোটির 'ইন কোল্ড ব্লাড' নয়, সাহিত্যরস খুঁজতে না যাওয়াই ভালো। কিন্তু গল্প বাদ দিয়ে যুক্তি এবং তর্কের যে আকরটি দেবাশিস-প্রবাল-পরমেশরা আমাদের জন্য রেখে গেলেন সেটি মহৎ প্রয়াস তো বটেই। ভবিষ্যৎ এর মীরা ভট্টাচার্যদের সমস্ত অনুভূতির কথা মাথায় রেখেই বলছি এ বই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রবল দরকার। লেখকদের কাছে কৃতজ্ঞতা রইল, গুরুচন্ডাঌ প্রকাশনাকেও ধন্যবাদ বছর কুড়ি পরে হলেও সেই ফিসফিসে গলার স্বরগুলোকে দানা বাঁধতে দেওয়ার জন্য।
    '
  • pi | 57.29.129.194 | ১৩ মার্চ ২০১৭ ১২:৪৮434748
  • “যে তোমার পিছু নেবে সেও এক বিদেহী স্তবক”
    সুকান্ত দে
    বড় যত্নে কবিতা বেছেছো মিতুল। “উইকএন্ড” এর মাত্র বারোটি কবিতা পড়তে পড়তেই পাতার ভাঁজে পাখীর রঙিন পালক আবিস্কার করলাম। সেই ২০০১ থেকে জমিয়েছো এই ২০১৬য় তার যত্নের ডি এন এ বদলায়নি এতটুকু। " নতুন ভ্রূণের দেহে পরস্পর জড়িয়ে রয়েছে... ", কাঙ্ক্ষিত "ট্রেনযাত্রীদের গল্প... তাস খেলার গল্প", সেই সব ট্রেন চলে যায় একটা অনিবার্য জটিল গহ্বরের দিকে আর সেই অন্ধকার একটি নারীর শান্ত মহাকাল গর্ভ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মেনে নিতে গিয়েই মনে হল সেদিন মুক্তমঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন "উইকএন্ড" কবিতাটি পড়ছিলে আশেপাশের থেকে ছিটকে আসা গান, কথা, চিৎকার আমাদের মাঝে একটা আয়তক্ষেত্রের ব্যবধান রেখে দিয়েছিল। কতটুকুই বা চিনি তোমার, বড়জোর জিজ্ঞাসা করি -- অমুক স্টলটা কোথায় জানো ? তাই বইটা পড়ার পর মনে হল একটা চিঠিই লিখি। অনেক আগে যখন যোগাযোগের এত উপরি সুবিধে ছিলনা তখন তো এরকমই চিঠি যেতো তখনও তো “নীল ডাকবাক্সে ছেয়ে” যায়নিকো পাড়া। বড়জোর তোমার চোখের দিকে আমার থমকানো চোখ, তাই ইচ্ছে হলো “স্বপ্নে যার চিঠি আসে... স্বপ্নে সে-ও চিঠি হয়ে যায়...” (রাজার চিঠি) এর মতো চিঠি হয়ে যেতে। একবার ভেবেছিলাম না লেখাই ভালো একদিন আমারওতো-- “সন্ধি বয়সের দিকে মুখ ছিল, করুণার দিকে” তাই যদি তুমি ভাব তুমি “মিছরির ছুরির মতো আলো” হয়ে “শরীরের খানাখন্দে, যুবক,” ( সিয়েস্তা) করে তুলছো আমায়। যদি ভুল বুঝে বলে ওঠো – “সম্পর্ক আসলে সেই তেরাত্রি-পোহানো হত্যালিপি” বা একদিন “সমস্ত জরুরী কথা দাঁত থেকে উঠে আসে দাঁতে”(উইকএন্ড) । কিন্তু কি করি বলো তুমিই তো মনে করিয়ে দিলে আমাদের বাসরঘর, ছিদ্র আর সাপ আর ফিসফিস করে বললে – “মৃত্যুর বাসরঘরে মৃত্যুহীন বাসনাসংহিতা” (জাতিস্বর) আর দ্যাখো আমিও সেই কলার ভেলার থেকে প্রাণ পেয়ে উঠে এলাম তোমার লখিন্দর। এসব ব্যক্তিগত কথা আমাদের। আমরা বলতে গিয়ে থমকাই । সমাজ গোল হয়ে ঘিরে ধরে আর মাতব্বরের মতো উঠে দাঁড়ায় আমরা মানতে চাইনা প্রেমে কোনও অন্যায় আর আমাদের শাস্তি হয়। একটা গাছে একসাথে বেঁধে আমাদের পুড়িয়ে ফেলা হয় আর আমাদের সাথে পুড়ে যায় একটা গাছ তখন সত্যি বলছি সবচেয়ে কষ্ট হয় সেই গাছটির জন্য যে শুধু আমাদের সম্পর্কের অগ্নিসাক্ষী হবে বলে পুড়ে গেলো। চিৎকার করে বলি –“আলু-পটলের দামে বিক্রি হয়ে যাবে এই দেশ/ এই ভূমি, পাললিক, আমাদের জাতীয় শ্মশান” (শীতকালের কথা) সবাই ভাবে বুঝি অভিশাপ, অথচ আমরা তখন একই দর্শনের শিক্ষার্থী। আমরাই তো জানি এই অশ্রুই আদতে রঙ। তেলে মেশে, জলে মেশে আর ছড়িয়ে যায়। “যে জলে পাহাড় ভাসে / সে জলে জাহাজ ডুবে যায়”(তুলো-ডেটলের কবিতা)। তাই (মায়া বৌদির কেস-২০০৪) আমার ভালো লাগেনি পড়তে। কারনটা অন্য কিছু নয় যখন আমি আর তুমি একটাই নৌকায় আর আমাদের চারপাশে জল আর জল ঠোঁটে ঠোঁট রেখেই শুধু তৃষ্ণার জল মেলে তখন “চরিত্র বলেছো যাকে তাও নেই সাপের নিঃশ্বাসে” (আমি)। ওদিকে মাতব্বরেরা চিৎকার করে
    বিন্দুও নেবে না তোকে, সিন্ধুও নেবেনা
    অন্ধকার গিলে নেবে তোর মৃতদেহ
    সহ্যও হবে না তার, উগরে দেবে সব
    নষ্ট হাড়... ভ্রষ্ট প্রেম... অসুখ ... সন্দেহ...” (স্নানযাত্রা)।
    আর এটাই আশীর্বাদের মতো ধরে নিই আমরা। পুড়ে যেতে যেতে, কষ্ট পেতে পেতে আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হতে থাকে সেই অমৃত। মন্থিত হতে থাকে অমৃত। তোমার রক্তে বেড়ে যাওয়া শর্করা মেশে আমার রক্তের হিমোগ্লোবিনে আমার রক্তের ক্লিভেজ মেশে তোমার আঁচলে অথচ দ্যাখো একটাও সেলফি নেই আমাদের, ব্যক্তিগত চিত্রপট নেই, যা যা থাকে কাছের মানুষের তার কিছুই নেই অথচ একটা আলোকবর্ষ থেকে ছুটে যাচ্ছে আরেকটা আলোকবর্ষের দিকে আমাদের মন সোল্লাসে পাক খাচ্ছে জোড়-লাগা নক্ষত্রের মতো আর বিজ্ঞান চিৎকার করে বলছে এই দ্যাখো স্বপ্নের প্রমান... এই পূনর্জন্ম... এই বেঁচে থাকার... তখন তোমার চারপাশে আমি আর আমার চারপাশে তুমি পাক খাচ্ছি আর আর আমাদের বন্ধু অনন্ত একের পর এক ছবি তুলছে আর গাইছে আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর...।
    উইকএন্ড- মিতুল দত্ত
    প্রকাশক – গুরুচণ্ডা৯
    ২০/-
  • pi | 57.29.241.8 | ২৭ মার্চ ২০১৭ ০৯:৪৮434749
  • প্রচ্ছদগুলো সব দেওয়া হয়নি এখানে। এক এক করে তুলবো। এক ব্যাগ ৯০ এর বইগুলির প্রচ্ছদ।
    সবকটি বইয়ের প্রচ্ছদ নামাঙ্কণ ও চিত্রঃ চিরঞ্জিত সামন্ত, প্রচ্ছদ সহায়তাঃ সায়ন কর ভৌমিক




  • pi | 57.29.241.8 | ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৯:৪০434750
  • Mahbub Leelen : আমি বই দুইটা পড়া শুরু করেছি। চিন্তা আছে দুই বাংলা গল্পের মনস্তত্বের একটা তুলনামূলক আলোচনা করার। এই সংকলনের জুনিয়র লেখক থেকে সিনিয়র লেখকের বয়স প্রায় তিনগুণের বেশি; এটা যেমন একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য বইটার; তেমনি সবচে বড়ো বিষয়টা হলো একই প্রশ্নপত্রে ৮৫জন লেখকের সাক্ষাৎকার। এখন পর্যন্ত যা পড়েছি তাতে 'গল্পকারের কোনো আদর্শ গল্পকার থাকে না' এই বিষয়টা ছাড়া মিল পাইনি কোথাও। তবে 'গল্পকারদের মতে ভালো গল্পকারের' একটা দারুণ তালিকা পাওয়া যাচ্ছে। আবার গল্পের চরিত্রের ধরনে দুই বাংলার পার্থক্যের সীমারেখা এখন পর্যন্ত বেশ পরিষ্কার ভাবেই দেখা যাচ্ছে। দেখি কাজটা কতটা করতে পারি
  • pi | 37.63.197.45 | ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ২২:৪৬434751
  • কাল। রুবিতে মনোবিকাশ কেন্দ্রের পাশেই। ১২ঃ০০-৬ঃ০০। যে যে পারবেন, চলে আসুন। অন্যদের জানান।



    https://s11.postimg.org/7lh9ei9eb/17797631_10212379738390369_72119521_
    o.jpg

    তিনতলায় না, এক ও দোতলায় হবে।
  • কল্লোল | 233.186.42.95 | ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ১১:১৪434752
  • গতকাল খুব সুন্দর আলোচনা হলো - সবার জন্য স্বাস্থ্য। বইটা প্রকাশ পেলো পূণ্যব্রত গুণ ও শেখরবাবুর হাত দিয়ে।
    স্বাস্থ্য পলিসি আর সাম্প্রতিক ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট নিয়ে বহু কথা হলো।
    সবই ভালো। স্বাস্থ্য নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কথাও হলো। প্রশ্ন হলো করবে কে বা কারা? আজকাল খুব হতাশ লাগে। সেদিন নাগরিক মঞ্চের বন্ধুদের সাথে কথা হচ্ছিলো। নানান বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। ভালো রায় বেরুচ্ছে। ঐ অব্দিই। তারপর আর কিচ্ছু হচ্ছে না। একেবারে কিছু হচ্ছে না ত নয়। কিন্তু যা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য।
    কোন রাজনৈতিক দলেরই স্বাস্থ্য বা পরিবেশ নিয়ে কোন রকম কোন উৎসাহ নেই। যতক্ষন না বিষয়টির রাজনীতিকরণ হচ্ছে ততক্ষন মিডিয়া বা রাজনীতির লোকেরা এসব নিয়ে মাথা ঘামান না।
    আর এবারও অন্য এই ধরনের নানান সমাবেশের মতো এই সমাবেশেও বয়ষ্ক ও প্রায় বয়ষ্কদের ভিড়। এবং অবশ্যই চেনা মুখেদের সারি।
  • * | 183.39.121.42 | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:২৬434753
  • চটি বই গুলো কলকাতায় কলেজ স্ট্রিটের কোন দোকানে পাওয়া যাবে কি?
  • Pi | 167.51.90.247 | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ১৫:০৭434754
  • হুম।
    ধ্যানবিন্দু দেজ দে বুক স্টোর বইচিত্র ক্যাম্প।

    উবুদশের সুমন্ত্রবাবুকে ফোন করে নিলে খুব ভাল হয়, কোন কারণে এসব দোকানে কোন অই ফুরিয়ে গেলেও ওনার কছে সব বই থাকে

    ৯১৪৩৭৮৬১৩৪

    এছাড়াও কাল থেকে ১৮ অব্দি কলেজ স্কোয়ারের বইমেলায় গুরুর স্টল থাকছে।সব বই পাওয়া যাবে।
  • গুরুচন্ডালি | ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ১৩:৪৩434756
  • মঙ্গলযাত্রা হয়ে গেল দক্ষিণে। মিস করে গেলে আসতে পারেন পার্কস্ট্রিট, নন্দন চত্বরে। কীসব আছে যেন। আর বিকেলের ঝোঁকে জুলুসের ঠিকানা, অতি অবশ্যই কলেজ স্ট্রিট। কলেজ স্কোয়্যারে হইহই করে চলছে বইমেলা। আমরা আছি হাত বাড়ানোর দূরত্বে। আলুদ্দমের ঝালে বা কচি পাঁঠার ঝোলে, জুলুসই হোক বা যেকোনোরকম মোচ্ছব, গুরুচন্ডালি আছে বাঙালির নববর্ষে।
    কলেজ স্কোয়ারের বইমেলা, ১১ থেকে ১৮ এপ্রিল, ২ টো - ৮ টা।
    থাকছে ঐতিহ্যমণ্ডিত চটি সিরিজের সব বই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন