এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ডভিড কপার্ফিল্‌দ

    e
    অন্যান্য | ১১ জুলাই ২০০৯ | ৪৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • e | 128.122.140.111 | ১১ জুলাই ২০০৯ ০১:৫৬416071
  • অনুবাদ: চার্লস ডিকেন্স

    প্রথমেই বলে নেই যে আমি ডিকেন্সের লেখা খুব বেশি পড়িনি।
    একটা বই পড়তে শুরু করেছি, ডেভিড কপারফিল্ড।

  • e | 128.122.140.111 | ১১ জুলাই ২০০৯ ০৩:০৮416072
  • ডেভিড কপার-ফিল্ড গল্পটা এই ভাবে শুরু হল।
    ডেভিডের জন্ম হচ্ছে।
    মানে হব হব কর-ছে।
    ডেভিডের মায়ের সঙ্গে আছে পুরানো এক কাজের মাসি,
    বাবা মারা গেছেন মাস কায়েক আগে।
    ডেভিডের জন্ম উপলক্ষে তার পিসি এসেছেন।

  • pi | 128.231.22.89 | ১১ জুলাই ২০০৯ ০৬:২৮416073
  • ইয়ে, অনুবাদ টা তো চার্লস ডিকেন্স করেছেন বুঝলাম। মূল লেখাটা কার সেটাও একটু বলে দিন না । :)

  • kd | 59.93.162.251 | ১১ জুলাই ২০০৯ ১০:৫৬416074
  • ডেভিড কপারফিল্ড তাঁর আত্মজীবনী লিখেছিলেন ম্যাজিকের ভাষায়। আমার মত জনসাধারণের উপকারার্থে চার্লস ডিকেন্স সাহেব ইঞ্জিরিতে অনুবাদ করেন। আর ইস্কুল আমাদের র‌্যাপিড রিডার্স হিসেবে ঐটি পড়তে বাধ্য করে। সে রাগ আমার এখনও যায় নি - আয় বেটা ডিকু, আজ তোরই একদিন না আমারই একদিন!

    এখন হ্যারী পটার পড়ে ম্যাজিকের ভাষা শিখে ফেলেছি - এবার অরিজিনালটা পড়ে ফেলবো।

    ওপরের লেখাটি পাইএর কোশ্নের উত্তর।
  • ranjan roy | 122.168.68.118 | ১১ জুলাই ২০০৯ ২৩:২৮416075
  • ডিকু মানে ডিকেন্স এর পর গোলিয়াথ আয়রন-ফিল্ড ও অনুবাদ করেছিলেন। তবে সেটা স্কুলে পড়ানো হয় নি।
    তাই কেডিদা ওটার গল্প আমাদের শোনাতেই পারেন।
  • bubu | 218.186.12.234 | ১১ জুলাই ২০০৯ ২৩:৪৩416076
  • ডেভিড কপারফিল্ড নামের একপিস হ্যান্ডু ম্যাজিসিআন আছে না ...... তাজ মহল ভ্যানিশ করে দিয়েছিলো একবার।
  • MM | 68.150.62.171 | ১৪ জুলাই ২০০৯ ০৭:১২416077
  • তাজমহল ভ্যানিশ আমাদের পি সি সরকার জুনিয়ার করেছিলেন, ডেভিড কপারফিল্ড করে নি।
  • bubu | 218.186.12.227 | ১৪ জুলাই ২০০৯ ১০:৫৬416078
  • থুরি, তাহলে ওটা স্টাচু অফ লিবার্টি হবে।
  • e | 128.122.140.117 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০৫:৩২416079
  • আমি নবু। পড়েছি ক্লাস থ্রী অবধি। পড়তে অতটা ভালো লাগতো না। তবে ইস্কুলে যেতে ভালো লাগতো, টিফিনের সময় খেলতে ভালো লাগতো। আব্দুল খেলতাম, কতো গুলো আমগাছ ছিল ইস্কুলের চারধারে। কতবার কতো উঁচু উঁচু ডাল থেকে লাফ দিয়েছি নিচে মাটিতে। বেশ ভালো খেলতাম। আমাকে সবাই দলে নিতে চাইত।

    এখন তো শুনেছি ইস্কুলে খেতেও দেয়। আমি বেশির ভাগ দিন আগের দিনের জলে ভেজানো ভাত খেয়ে যেতাম। নিজেই হাঁড়ি থেকে নিয়ে নিতাম। মা তো তখন বোসবাবুদের বাড়িতে কাজে যেতো। আমার বোনও মায়ের সঙ্গে যেত। ওদের ফিরতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে যেত।

    এখন আমি দোকানে কাজ করি। মালিক আমাকে পছন্দ করে। আমি বেশ তাড়াতাড়ি কাজ করি। প্রথম প্রথম শুধু মালপত্র হাতের কাছে এনে দিতাম। দৌড়ে গিয়ে তাক থেকে সাবান, শ্যাম্পু, দাঁ তের মাজন নামিয়ে আনতাম। উঁচু তাকের জিনিস নামাতাম টুল নিয়ে। শহরে যে কত ভ্যারাইটির জিনিস। আমাদের গ্রামের শম্ভু জ্যাঠার দোকানে মাত্র কটা জিনিস। বেশির ভাগ সময়ে দোকানে কেনাকাটা হয় না। তবে দোকানের সামনের বেঞ্চি দুটো ভর্তি থাকে।

    এই দোকানের সামনেও বেঞ্চ আছে। তবে সেটা বেশির ভাগ সময়ই ফাঁকা পড়ে থাকে। সকালে মালিকের সঙ্গে এসে যখন দোকান খুলি, আমিই ওটা বের করি। মালিক তখন ধূপ জ্বালে। গনেশ ঠাকুরের থালায় পয়সা দেয়। তারপরে ক্যাসবাক্সের সামনে চেয়ারে বসে। আমি বসি লম্বা টুলটায়। মালিক হাই তুলতে আগের দিনের খবরের কাগজ দেখে। আমিও দেখি, তবে ওই খবরে আমার উৎসাহ নেই।

    সকালের ফাঁকা দোকানে বসে আমি রাস্তার লোক দেখি। ভাবি মালিকের কখন খিদে পাবে। ভাবি মা এখন কোথায়, শেফু কোথায়। হয়ত তারা বোসবাবুদের বাড়িতে সবে ঢুকেছে। তাদের কুকুরটাকে শেফু হয়ত আজো ভয় পায়। কুকুরটাতো সকালে বাঁধা থাকতো। মালিক বলে, "নব যাও তো, মতির মায়ের কাছ থেকে মুড়ি চানাচুর নিয়ে এস, কাঁচা লঙ্কা দিতে বোলবে।'

    আমি পা চালিয়ে হেঁটে যাই। আরো আগে দৌড়ে যেতাম। হাঁফাতে হাঁফাতে গিয়ে বলতাম, "কাকু দুটো মুড়ি দিতে বোলেছে।' মতির মায়ের হাত থেকে দুটো ঠোঙা নিয়ে আবার দৌড় দিতাম। একদিন হাত থেকে একটা ঠোঙা পড়ে গেল। আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। মালিক বকেছিল, মারেনি। পাসের দোকানের বাসুটা সেদিন মার খেল। তেলের শিশি পড়ে গেছিল তার হাত থেকে। তবে মাইনে থেকে ওর পয়সা কাটেনি।

    আমার মালিক আমাকে কখোনো মারেনি। বাবা মারত। বাবা অনেকদিন হল আর বাড়ি আসেনা। রেললাইনের ওপারে চাঁপাপিসির সঙ্গে থাকে। মার খেতে আমার তেমন কষ্ট হোত না। তবে কেনো মারতো সব সময় টের পেতাম না। রাতে হ্যারিকেন লণ্ঠনের সামনে বই খুলে ঢুলতাম। মা ভাত বসিয়ে দিত। কাঠের আগুনে মার মুখ লাল দেখাত। শেফুটা আমার গা ঘেঁষে ঘুমিয়ে পড়ত। বাবা বাড়ি ফিরত।

    "নব ওঠ, হাফ ডজন চাকুলিয়া সাবান দাও।' মালিকের গলা শুনে ঘোর কাটে।

    সাবান আনি। মালিক আর কাষ্টোমারের কথা বার্তা শুনি। ঘড়ি দেখি। সাদা জামা নীল প্যান্ট পরা তিনটে ছেলেকে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যেতে দেখি। আমার থেকে ওরা ছোটোই হবে হয়ত। অথচ পিঠে কত ভারি ভারি ব্যাগ। এরা কি ইস্কুলে গিয়ে খেলে? কি খেলে? এদের মায়েরা নিশ্চই অন্য বাড়িতে কাজ করতে যায় না। মা যেখানে কাজ করে সেই বোসগিন্নি তো তার ছেলেকে ইস্কুলে যাবার আগে খাইয়ে দিতো। মাও খাইয়ে দিত। রাতে। না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম যখন। চোখ না খুলেই খেয়ে নিতাম।

    আরো কত ইস্কুলের ছেলে মেয়ে গেল। এদের ইস্কুল দূরে। আর ঘন্টাখানেক পরে আসবে আরেক দল। তারা পায়ে হেঁটেই যাবে। এদের করো পায়ে চটি, করো কেডস। দু এক জন খালি চকচকা কালো জুতো। মাঝে মাঝে তাদের কেউ কেউ এই দোকানেও আসে। পেনের রিফিল কেনে, দিস্তা কাগজ কেনে, লজেন্সও কেনে। ওদের কেউ এলে কেমন লজ্জা লজ্জা লাগে। সেই লজ্জা ঢাকার জন্যে গলাটা তখন গম্ভীর করে রাখি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন