এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুজোর ধারাবিবরণী ২০০৮

    d
    অন্যান্য | ০২ অক্টোবর ২০০৮ | ৫০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 117.195.32.111 | ০২ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৩৯407087
  • ২০০৮ এর পুজোও এসেই গেলো শেষ পর্যন্ত। ২০০৭ এর ধারাবিবরণীতে দেখলাম রঙ্গন নাকি জানত মহালয়া ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়, তাই গতবছর মিস করেছিল। এরকমই আরো ২-৪ টুকরো এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গল্পসল্পগুলো নিয়ে এসে এখানে তুলে দিন।
    আরে লিখুন লিখুন। লিখে রাখুন সব। স-অ-ব। আপনারই আত্মজীবনী লেখার সময় কাজে লাগবে।
  • Tim | 24.127.39.26 | ০২ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:২২407098
  • এখন তো মহালয়া মিস করার কোনো সম্ভাবনাই নেই। এক বন্ধুকে দেখলাম ঘুমোতে যাওয়ার আগে, মাঝরাতেই মহালয়া শুনে নিলো। পরেরদিন বল্লো, ""বারোটার পর যেকোনো সময় হলেই হলো। ভোর হচ্চে কিনা সেটাই আসল ""।
    এবার দলবেঁধে পুজো দেখতে যাওয়ার কথা আমাদের।
  • Paramaita | 63.82.71.141 | ০২ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৩৯407108
  • আমাদের এখানে এবছরের কোটা সঅঅব একবার করে হয়ে গেছে। প্রথমে সপ্তমী-অষ্টমী হলো, আর দুটোর মাঝামাঝি কোন একটা সময় মহালয়াও হল, লাইভ, হুঁ হুঁ। তারপরের দিন নবমী-দশমী আর বিসর্জন। এই শনিবার আবার সপ্তমী অষ্টমী। সোমবার আরো দু জায়গায় সপ্তমী, তবে সে একদম পাঁজিপুঁথি মিলিয়ে।

    ও হ্যাঁ, তারও পরের শনিবার আবার সপ্তমী আরো একবার।
  • d | 203.143.184.10 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৩৯407109
  • অ্যাঁ!! হয়ে ফুরিয়েও গেছে?
  • shrabani | 124.30.233.101 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ১০:০৫407110
  • পুজো - ২০০৮, নয়ডা:

    এবারে বর্ষাটাও ঠিক প্রতিবারের মত হয়নি, অসময়ে যখন তখন বিনা নোটিসে এসেছে, থেকেছেও সময়ের কোটা পার করে। শরতেরও সেই একই ধরন, বেখেয়ালী। আকাশটা ঠিক অন্যান্য বছরের মত নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা টাইপের নয়। তবু পুজো এসে গেছে আর চারিদিকে সাজ সাজ রব, ছুটি ছুটি , এ সেক্টরে ও সেক্টরে প্যান্ডেলের বাঁশ।

    এবারে নয়ডা কালীবাড়ীর প্রধান আকর্ষণ নচিকেতার গান, আছে অষ্টমীর দিন। সপ্তমীর দিনে বম্বের কেউ তবে নাম ঘোষণা করা হচ্ছেনা আগে থেকে। নবমীতে মোনালী ঠাকুর, সুদেব দে। সেক্টর ৬২ তে ও নচিকেতা গাইবে একদিন।পুজোর আগে আজ শেষ অফিস, আকাশটা খুললে আরো ভালো হয়।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ১০:০৬407111
  • এই জন্যেই তো আম্রিকার পুজো বোরিং - সারাবছর শারদীয়া পত্রিকার মতন। বিলেতে অ্যাটলিস্ট দিনক্ষণ মেনে বছরে একবারই হয়। তবে সেও বোরিং, কারণ সেখানে ওই কদিন এদেশে আছোর জ্বালায় বদহজম হয়।
  • r | 125.18.104.1 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:০৭407112
  • আর পুজো! খল্‌খলিয়ে বৃষ্টি পড়ছে, যখন পড়ছে না তখন চতুর্থীর আকাশে ছাইগোলা অন্ধকার। যেদিন বৃষ্টি নেই, সেদিন হুহু গরম হাওয়া, দর্‌দরিয়ে ঘাম। এখন পুজো মানে রাস্তার আশে পাশে অজস্র ব্যানার আর হোর্ডিঙে পুজোর অ্যাড। অ্যাড দেখে দেখেই বুঝে ফেলা যায় কোথায় কি হচ্ছে। আমাদের ওদিকে মাজারের উল্টোদিকের মসজিদ আলোয় আলো। কাল বিল্ডিংগুলোর গায়ে গায়ে টুনির মালা টাঙিয়ে গেছে। পাশের যে পুকুরটা বুঁজিয়ে হাউজিং কমপ্লেক্স হবে, তার মধ্যে কয়েকগোছা কাশফুল দেখতে পেলাম।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:১৫407113
  • পুজো নিয়ে এফএমের একটা অ্যাড বেশ মজার -

    "আমাদের প্যাণ্ডেলের সিল্পনির্দেসনায় আছেন লিওনার্ডো দা ভিঞ্চি, প্রতিমাসজ্জায় মাইকেলেঞ্জেলো, আলোকসজ্জায় টমাস আলভা এডিসন, গানবাজনার দায়িত্বে বীঠোভেন ও তানসেন, নিরাপত্তর দায়িত্বে নেপোলিয়ন বোনাপার্টি...ভলান্টিয়ার ন্যাপলা, ও নেপোলিয়ন - তুমি যেখানেই থাকো...'

    :-))
  • tania | 65.115.93.98 | ০৬ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:২৩407114
  • কথায় আছে দুজন বাঙালি থাকলেই একটা দুর্গা পুজো হয়। অর বে এরিয়ায় তো শুনি পাঁচ হাজার আছে। তো, ফি বছর একটা নতুন পুজো কেন বাজারে আসেনা ভাবি মাঝে মাঝে। যাই হোক, এ বছর অন্তত সে দু:খ নেই। হাতে গরম বে-বাসীর পুজো। বে-বাসী নামটা শুনতে যেন কেমন একটা, যাগ্গে। পুজো তো! তো শনিবার তো গেলাম সেখানে। নতুনত্ব কিছু নেই। উইকেন্ডের বাকি পুজোর মত এটাও। মায় পুরুত ঠাকুর পজ্জন্ত সেম সেম! মাঝে দেখলাম, সন্ধ্যেবেলা অন্য দুটো পুজোয় ১০৮ টা প্রদীপ জ্বালানোর ফান্ডাটা কচি করে 'নতুন আইডিয়া' বলে চালানো হল। তা বেশ।
    সন্ধ্যেবেলা লোকাল আটিস্টদের কাল্‌চারাল পোগ্গাম শুরু হল। বে এরিয়ার একজন রিনাউন্ড গায়িকা একটা ভৈরবীর গৎ প্রভূত ছড়ালেন। বরং ওনার সঙ্গীরা তবলা ও সরোদে মাতিয়ে দিলেন।
    এরপর একজন আধুনিক গাইতে উঠলেন। তিনি উঠলেন বটে, তবে তাঁর গলা উঠলোনা। খানিক চেষ্টা করে প্রথমোক্ত গায়িকাকে ডেকে গানটা শেষ হল। তারপরে আবার যাবার সময় বলে গেলেন 'ভেরি সরি, আমার গলা খারাপ আজ, নইলে যারা আমার গান আগে শুনেছে তারা জানে, আমি এরকম গাই না' :-( :-(
    গত হপ্তায় দেখা (অন্য একটা পুজোয়) একটা নাচের পোগ্গামের থেকে দুটো নাচ টুকলি হল। সেম সেম। খান দুই বাংলা ভাষায় হিন্দি গান হল। 'চোকখে চোকখে কত্থা বল্ল মুকখে কিচ্ছু বোল্লো ন্নাআআআআ' আর 'চিরদিনই তুমি যে আমার' (শেষেরটা বাংলা আর হিন্দি মিশিয়ে)।

    আর সহ্য হলনি, বাড়ি চলে এলাম। :-(

  • rimi | 168.26.191.117 | ০৭ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৫৫407088
  • দুর্গা পুজোয় এবার যাওয়া হয় নি। ঘটনা নতুন কিছু নয়; গতবার আর এক্কেবারে সেই ২০০০ সালে ছাড়া আর কোনোবারই দুর্গা পুজোয় যাওয়া হয় নি। কিন্তু তাতে কি? পুজো মানে তো আর শুধুই দুগ্গা প্রতিমা, সাজগোজ আর কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়? পুজো মানে শরৎকাল, পুজো মানে ঝকঝকে আকাশ, সোনা সোনা রোদ, মিঠে মিঠে হাওয়া, গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুল - এসবও তো? ঘর থেকে দুই পা ফেলে শুধু বেরিয়ে পড়লেই হল!! তারপরে পুজোর গন্ধ শুষে নাও বাতাস থেকে।ডুবে যাও পুরোনো স্মৃতির মধ্যে। বুকের মধ্যে চিন চিন করুক একটা ছোট্টো ব্যথা আর অনেকখানি আনন্দ।

    দুগ্গা প্রতিমা দেখা হয় নি ঠিকই, কিন্তু ইন্টারনেটের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংএর দৌলতে আজ আদ্ধেক বেলা কাটল বিভিন্ন প্রবাসের পুজোর ছবি দেখে, সাজগোজ দেখে। খড়ের দুর্গা তিরিশ বছর ধরে দেখে দেখে বোর হয়ে গেছি। কিন্তু জ্যান্ত দুর্গাদের যতই দেখি পুরোনো হয় না। ফোটোতে দেখাটা বেশি সুবিধা জনক, ফোটোরা নড়ে না, অতএব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা যায় শাড়ির রং, গয়নার ডিজাইন, মেকাপ।

    খাওয়া দাওয়াটা মিস হল অবশ্য, কিন্তু ভাবো তো কতো এম্পটি ক্যালোরি, কতো কার্ব-এর হাত থেকে বাঁচলাম!! আর টাকাও বাঁচলো কম নয়। টিকেট তো এখন ২০০ ডলার ছুঁয়েছে বোধ হয়। ইকোনমির যা হাল, তাতে পুজোয় গেলে এক মাস গিল্টি ফিলিং-এ ভুগতে হত!!!

    না: পুজোয় না যেতে পারা ব্যপারটা তেমন খারাপ কিছু নয় মোটেও।
  • subha | 128.252.20.65 | ০৭ অক্টোবর ২০০৮ ০১:০৪407089
  • আবাপ এর আর্কাইভএ এই লেখা টা মন টানলো, কালই বেরিয়েছে--ভাবলাম সবাইকে পড়াই, যদি চোখে না পড়ে থাকে

    হ্‌ত্‌ত্‌প://য়্‌ব্‌ব।অনন্দবঅর।ওম/অর্চিএ/১০৮১০০৫/৫এদিত২।হ্‌ত্‌ম
  • aniket | 68.38.143.109 | ০৭ অক্টোবর ২০০৮ ০৮:৫৮407091
  • হুম, বাঙ্গালীর পুজো, তাও আবার পোবাসি মানে 'এনারাই' আর কি - যাকে বলে হই হই কান্ড, রই রই ব্যাপার। তো গত বছর মমতাশঙ্করঁ তার দলবল নিয়ে এসেছিলেন। program শুরুর এক ঘন্টা আগে থেকে isle এর ধারে একটা সিট পেয়েছি শেষের অগের rowতে - আমার পাশে এবং সামনে প্রায় ৬-৭ টাঁ ফাকা - তা জনাচারেক বয়স্ক মানুষ, আমর রো তে বসলেন। তা তার মধ্যে একজন ভদ্রমহিলা এসে, 'এই, তোমাদের এখানে জায়্‌গাটা একটু রাখতো, আমরা সামনে দেখছি।' বলে, চলে গেলেন। এরপর পরের প্রায় এক্‌ঘন্টা ধরে বিভিন্ন মানুষ এসে জিজ্ঞেস করে একই উত্তর পেলেন -'ওখানে আমাদের লোক আছে, এখনি ফিরবে।' এক ভদ্রলোক বাচ্চা মেয়ে কোলে দু-তিনবার এসে জিজ্ঞেস করে হেসে ফেল্লেন। পুরো সময় ঐ সিট্‌গুলো খালি-ই রইল। আমিও এই মানুষ্‌গুলো দীর্ঘ প্রবাসেও বাঙ্গালিয়ানা ভোলেননি দেখে অভিভুত হয়ে গেলাম। আমি একরকম নিশ্চিত যে,ঁ এরা আজো দেশে গিয়ে Train এ চড়লে রুমাল দিয়ে জায়গা রাখার চেষ্টা করবেন। দুগ্গা, দুগ্গা!
  • P | 78.16.31.127 | ০৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:৪৮407092
  • ধুরো আর পুজো নে আদিখ্যেতা করব না।
    গেল বছর অষ্টমীতেও পোড়া ডুবলিনের বসে লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের জল ফেলেছিলুম , ফেলব না ফেলব না ভেবেও। সারাদিন আপিস-টাপিস করে চাবি খুলে ফাঁকা ঘরে ঢুকতেই কেমন করে যেন মনে পড়ে গেছিল সোনামুখীর দরদালানে এখন কত্ত ভীড় , ধোঁয়া-ধোঁয়া মা দুগ্গা ,কালোকোলো ঢাকীদের রোগাসোগা হাতে তোলা কান-ফাটানো-বুক-কাঁপানো ঢাকের বোল আর ডোমপাড়ার না-খেতে পাওয়া ল্যাংটাপুটো পুঁটকেগুলোর গায়ের সস্তার নতুন জামার রংবেরং ফুলছাপ। ব্যাস আর যাই কোথায় , দুচক্ষু দিয়ে জলের দরদরানি সেই যে শুরু হল...........

    এইবার আর ওসব ন্যাকামি-ট্যাকামি করব না আগেই ঠিক করে রেখেছি। অত কিসের মনখারাপ এই বয়সে। আর এবারে তো ঘরদোর সব ভরাভরা , পুঁটি আছে , পুঁটির দাদু-ঠাম্মা আছেন , মাদারকেয়ার থেকে কেনা পুঁটির প্রথম দামী জামা কেনা আছে , লুচির ময়দা আর ম্যারিনেট মাংস আছেও ফ্রীজে রাখা সযতনে। সপ্তমীর রাতে বেশ খুশী মনেই তো শুতে গেলুম।

    আর আজ ঘুম থেকে উঠেই মনে মনে বেশ ঝালিয়ে নিলুম প্ল্যানপত্তর , নতুন জামা পরিয়ে পুঁটির ফোটোশুট , দুপুরে লুচি-মাংস , বিকেলে গাদাগাদা ফোনে গদগদ গপ্প ব্যাস। আর পরের উইকেন্ডে তো পোর্টমারনকের হলে আমার প্রথম প্রবাসে পুজো দেখা তো আছেই। ও হো , পরের উইকেন্ড তো নয় , তার পরের উইকেন্ড , মূর্তি আনতে নাকি দেরী হবে এবার। যায্‌যা তদ্দিনে তো মনের পুজো পুজো ভাব মরে ভুত। যাগ্গে। সকালে উঠেই পুঁটীকে নে বেরব ভেবেছিলাম , বেশ প্র্যাম ঠেলে পাইন বনের ধারে ধারে। বেরলাম ও । ও মা , আমাদের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে ঢোকার মুখেই সেই কায়্‌দার পাথরে খোদা অ্যাপার্টমেন্টের নাম লেখা আছে না , তার পেছনে দেখি ক-ছড়া কাশফুল। মাক্কালী একদম কাশফুল। পোড়া ডুবলিনের ম্যাড়মেড়ে আকাশ, টিপটিপ বৃষ্টি আর শীত-শীত বাতাস ভরা একটা পুজোর সকালে চোখে পড়ল কয়েকছড়া কাশফুল। ঠিক আমাদের সোনামুখীর শালীনদীর বালিপাড়ের ধারের কাশবনে যেমন হয়। সেই শালীনদী , যেখানে গোলাপীজামা পরে পা-কামড়ানো নতুন জুতো পরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ঠিক পৌঁছে যেতাম , তারপর জুতো হাতে পা টিপে টিপে পায়েরপাতা ভেজা জলে , যেখনে দাঁড়ালেই মনে হয় মাটী যেন সরে সরে যায় পায়ের তলা থেকে , ছোটো-ছোটো আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে রাখতে হয় নদীর বালি , যেখানে পাড়ার গুন্ডাছেলেগুলো বাঁহাতে চকলেট বোম ধরে ডানহাতের ধূপ দিয়ে জ্বালিয়েই ছুঁড়ে দিত ফাঁকা ধানমাঠের দিকে , আমনধানের পাকা চারার মাথা দুলিয়ে প্রতিবাদ সঙ্কেÄও।
    শালীনদীর জলের খানিকটা বোধহয় আমি আজও বয়ে বেড়াই , মনের সব চরা পার করে তার ক-ফোঁটা আজও বেরিয়ে আসতে চায় দুচোখের কোন বেয়ে। ইচ্ছে করে আবার খানিক আদিখ্যেতা করি পুজো নিয়ে , মনে মনে। থাক ফোটোশুট ,সন্ধ্যেতে হবে সব। থাক ম্যারিনেটেড মাংস আর মাখা ময়্‌দার তাল , আপিসফেরত কত্তাকে বলে দেব কাবাবিশের সস্তা-গন্ডার নান আর মুর্গী আনতে। বাড়ি ফিরেই আনন্দউৎসব আর গুরুচন্ডালী। আর চালিয়ে দিই কনফুর দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোডিত সাহানা বাজপাই এর আদো-আদো গলার "কোন পুরাতন প্রাণের টানে..." . পুজো নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা করতে না পাই , একটু আলসেমি করতে দোষ কি ?

  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ০১:০৬407093
  • কলম দিয়ে এত সুন্দর ছবি আঁকা যায় আগে জানতুম না। পাল্লিন কে সেলাম পুজোর গন্ধমাখা এক টুকরো রোদ্দুর উপহার দেওয়ার জন্য।
  • I | 59.93.202.155 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৪৫407094
  • না:, পাল্লিন বোকা আর হিংসুটে আর রাগী আর ঘটি হলে কি হবে, লেখে ভালো ।
  • Tim | 24.127.39.26 | ০৮ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৩১407095
  • :-))))
    লেখাটা দারুণ হয়েছে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০৩407096
  • আমি কখনো গ্রামের পুজো দেখিনি। কলকাতায় শেষ পুজো দেখেছিলাম বারো বছর আগে। তো এইবার ফের বারো বছর পর পুজো দেখবো ভেবে মনের মধ্যে বেশ কাতুকুতু লাগছিলো। কিন্তু কোথায় কি?

    আগে নেতাজীনগর/অশোকনগর/আজাদগড় এলাকায় সেই নানারকম আলো লাগাতো - দুগ্গার হাত থেকে বর্শা ছুটে গেলো, অসুরের বুকে লাগলো, অসুরটা উল্টে পড়ে গেলো...এখন আলো বলতে গাম্বাট বাড়িগুলো থেকে ঝুলতে থাকা বাল্ব, তাও জ্বলা-নেভা টাইপ টুনিবাল্ব নয়, ফ্যাটফ্যাটে হলুদ বড় বড় বাল্ব। রাস্তায় বেলুন ফাটানোর দোকান দেখলুম একটা মোটে, বাকি সব খাবার দোকান - আর পেল্লায় ভিড় - লোকে শুধু খায়, শুধুই খায়। আগে লোকে লাইন দিয়ে বিজয়গড় ভারতমাতা দেখতে যেত - হেঁটে হেঁটে। এখন শুধু অটো আর গাড়ির ভিড়। ওই ধাক্কা খেতে খেতে হেঁটে গিয়ে মনে হল মাঠটা ছোট হয়ে গেছে। বুঝলাম না যে আগে আমি ছোট ছিলাম বলে মাঠটা বড় লাগতো, নাকি সত্যিই মাঠটা ছোট হয়ে গেছে...ভারতমাতার আগের নতুনত্বটাও নেই, এবং সেখানেও দুগ্গাঠাকুর বা গানের প্রোগ্রামের চেয়ে বেশি ভিড় খাবারের স্টলে। তবে ওই একটা বেলুন ফাটানোর স্টল যে দেখলুম, সেটা ওখানেই। ঋক দশটা গুলি ছুঁড়ে আটটা ফাটালো - অবশ্যই তাক না করে - ওর পক্ষে বন্দুকটা বড়ই।

    একদিন গেলুম একডালিয়া দেখতে - নামকরা পুজো। মা গো মা - কি গাড়ির ভিড়। গড়িয়াহাটের পিছনদিকে একজায়গায় গাড়ি রেখে হেঁটে গেলুম - ওই একটা ঠাকুর দেখতে পাক্কা দেড় ঘন্টা লাগলো - এত লোক!!! আগে কখনো একডালিয়া দেখিনি, তবে এবার দেখে মনে হল এই ভিড় ঠেঙিয়ে দেখার অর্থ নাই। তাচ্চেয়ে উত্তর কলকাতায় গেলে কাজে দিত - কিন্তু তার পর আর এন্থু ছিলো না।

    এর পরের বার বেরোলে ভোর তিনটের সময় বেরোব, রাত দশটায় কদাপি নয়।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ১১:১৫407097
  • যারা উত্তর কোলকাতার পুজো দেখেনি তারা এবচ্ছর মহাপাপ করেছে কিন্তু
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ১১:২০407099
  • আসছে বছর আবার হবে। তখন একখান হোভারবোর্ড কিনে নেবো - বেঞ্জামিন টেনিসনকে বল্লে ওরটা ধার দেবে লিচ্চয়, বা একখান ফায়ারবোল্ট।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ১১:২৭407100
  • আর আমি বৌবাজার পেরোলে উত্তর কলকাতা একদম চিনি না। যাবো যে, কাউকে তো রাস্তা চেনাতে হবে। বাবাকে বল্লুম, তো বাবাও এন্থু পেলো না।
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:১৫407101
  • পুজো নিয়ে আদিখ্যেতা করব না এবার - সে তো আমিও ভেবেছিলাম। এমন কি আনন্দ উৎসবের সাইটটাও খুলে দেখিনি এবারে। কিন্তু পাল্লিন সব গন্ডগোল করে দিল এই একাদশীর সকালে।
  • M | 75.185.102.148 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ২১:২৬407102
  • আমি presentlycolumbus এ আছি। দু:খের বিষয় হ ল জে এখানে এখ নো দুর্গা পুজা হ য় নি। তাই পুজোর আস ল দিন গুলিতে internet এ পুজোর ছ বি দেখে কাটালাম । আর কোল কাতার জ ন্নো খুব ম ন কেম ন ক র্ছিলো ।
  • MM | 24.70.95.205 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ২২:১৪407103
  • সকল্কে জানাই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
  • Dev | 170.213.132.253 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৪৪407104
  • তানিআ,
    পসচিমির পুজো টা শুন্‌লাম ভালো হোয়েছে?আজ মনে হোয় শেষ দিন। journey from calcutta to kolkatadvd টা biswas er stall এ পাওআ যাচ্ছে।
    দেবা
  • tania | 65.115.93.98 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৪১407105
  • পশ্চিমীর পুজো সত্যিই ভালো হচ্ছে। ইন ফ্যাক্ট এবার লিভারমোরের পুজো-ও অন্যান্যবারের তুলনায় বেশী জমজমাট।

    DVDটা তো গতবছর বেরোনোর কথা ছিল, না? ভাস্করদা তো সেরকমই বলেছিলেন। যাক, বেটার লেট দ্যান নেভার :-)
  • dd | 122.167.30.85 | ১০ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৫০407106
  • পঞ্চমী থেকে দশমী। ছদিনের পূজাথন। একটানা। ভাবলেও শিউড়ে উঠি। উ:।

    খেলাম : মেইনলি রোল, কিছুটা চীনে,একবার ফিস চপ আর মটন কাটলিস (অখাদ্য),প্রচুর খিচুড়ি।। আপনেরা বন্ধু মানুষ, অকপটেই স্বীকার করি - একদিন তালেগোলে ক্যামন করে জানি একটা পনীর রোল ও খেয়ে ফেল্লাম। ভগবান।

    শুনলাম, অনূপ ঘোষাল আর ইন্দ্রানী সেন। দেখলাম ডোনা গাংগুলির নেত্য। চটকদার।

    আগামী কাল আমার বাড়ীতে বিজয়ার গেট টুগেদার। কুল্লে চৌত্রিশজন।

    এখনো ভাবলে বুক কাঁপে - আবার বছর না ঘুড়তেই নেকস্ট পুজো। মাগো।

  • Tim | 24.127.39.26 | ১৩ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০৯407107
  • নর্থ ক্যারোলিনায় ঝটিকা সফরে পুজো দেখে এলুম। ওখানে এবার চন্দ্রবিন্দু এসেছিলো অনুষ্ঠান করতে। শুক্রবার (কম্বাইন্ড ষষ্ঠী-সপ্তমী) সারা সন্ধ্যে সেইসব হলো। তারপর রাতভর আড্ডা। সব মিলিয়ে বেশ জমজমাট একখানা পুজো কাটলো অনেকদিন পর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন