এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ten thousand miles without a cloud.

    indo
    বইপত্তর | ০১ জুন ২০০৭ | ৯৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • indo | 195.10.45.200 | ০১ জুন ২০০৭ ০১:০০401553
  • নির্মেঘ দশ হাজার মাইল একটি বৌদ্ধ কহাবত। অস্যার্থ দ্বিধাদ্বন্দহীন চিত্তের খোঁজে যাত্রা।
    যাত্রী এক চীনা তরুনী, নাম সান শুয়ান।

    ষাটের দশকের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের চীনে যাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। সে বড় সুখের সময় নয়, বলছেন সান। চরিদিকে মূর্তি ভাঙ্গার শব্দ। যে যত পড়ে সে তত মূর্খ হয়। প্রতিবিপ্লবীর খোঁজে চিরুনী-তল্লাশী চালাচ্ছে রেড গার্ড, রাস্তা দিয়ে মিছিল করিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গণশত্রুদের, পুরনো জমিদার, বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, চরিত্রহীনা মেয়েদের। প্রকাশ্য জমায়েতে থুতু ও চাবুক জোটে, বাচ্চারা ভিড় জমায় বড়দের সঙ্গে।

    তারপরে তো দিন বদলালো , দিনেদের যেমন স্বভাব। মাও মূর্তি হলেন, গুঁড়ো হবেন বলে। চীন একটু খোলামেলা হলো, বেইজিং ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গেলো শান; সেখান থেকে অক্সফোর্ড।কট্টর কমিউনিস্ট বাবা মারা গেলে পরে ফিরে এসে মেয়েটি ছুঁয়ে দেখে অথিরবিজুরী সময়; চীনা ল্যান্ডস্কেপের কুয়াশা ঝুলে রয়েছে খাড়াই পাহাড়চূড়া থেকে,আমরা যেমন দেখতাম ছোটবেলার চীনা ছবির বইতে-মনে করুন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আর মধ্য চীনের আধোঘুমন্ত শহরের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়া শানের মনে হয়,এবার কোথাও একটা পৌঁছনো দরকার।
    শেকড়ের কাছে পৌঁছনোর এই গল্পই হল দশ হাজার মাইল….

    ….। গন্তব্য ভারতবর্ষ। রেশম পথ ধরে, যে রাস্তা আমাদের কাছে খুব একটা অচেনা ছিল না এককালে।এই রাস্তা ধরে চীনা রেশম এসে পৌঁছত চীনা তুর্কীস্তান, কাশগড়, খোটান, সমরখন্দ , বুখারা ,বামিয়ান-কান্দাহার-পেশোয়ার পেরিয়ে মেইনল্যান্ড ভারতে,ভারতীয় মশলা, হাতির দাঁত পৌছে যেতো মধ্য প্রাচ্য, ইউরেশিয়ার স্তেপ থেকে শুরু করে সূদুর তুরস্ক পেরিয়ে রোম অবধি । এই পথ বেয়েই এসেছিল শক, হুন, কুষাণ, মোগল,আফগান। এবং হিউয়েন সাং।চীনা ভাষায় xuanzang
    হিউয়েন সাং-এর পায়ে চলা পথ ধরেই শান এসেছেন ভারতে, যা কিনা পাবলিশারের(হার্পার কলিন্স) ভাষায় An epic journey-one woman’s search for her roots

    হিউয়েন সাং তাঁর দীর্ঘ পথপরিক্রমা শেষ করেছিলেন আঠারো বছরে, যেখানে এই এপিক জার্নির সময়কাল ৬ মাস, তা-ও শান এড়িয়ে গেছেন তালিবান-শাসিত আফগানিস্তান। ভিসা পান নি উজবেকিস্তানের।সর্বমোট পেরিয়েছেন চীন তুর্কীস্তান, তাকলামাকান মরুভূমির কিয়দংশ সহ কিরঘিজস্তান, পাকিস্তান ও অবশেষে ভারত-বিহারের পাটনা, রাজগীর নালন্দা, কুশীনগর(লুম্বিনী বাদ, পোস্ট ইলেকশন থমথমে বিহারে , কার্ফিউকবলিত বিহারে কি করেই বা ভরসা পান মহাকাব্যিক যাত্রায় বেরোনো অবলা চীনা মহিলা, এ তো আর মহাপ্রস্থানের পথে যাত্রা নয়!),বারানসী, কাঞ্চী। মালবে যান নি; কেন কে জানে,গরম পড়েছিলো হয়তো, কিম্বা প্রবল ধূলো।

    আপাদমস্তক ঝরঝরে ইংরেজীতে সুলিখিত এই বইটি শেষমেশ একটি অসম্ভব পলিটিক্যালি কারেক্ট সুখপাঠ্য ভ্রমণ কাহিনী হিসেবেই রয়ে যায়, মহাকাব্য আর হয়ে ওঠেনা। বইয়ের টার্গেট রিডার পশ্চিমী পাঠককুল, অতএব তাক বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ মত মশলা-কমিউনিস্ট বিরোধিতা, ভারতবর্ষের দারিদ্র, গঙ্গাদূষণের ভয়াবহতা- এসব ভালৈ আয়ত্ত করেছেন একদা অক্সফোর্ড ছাত্রী, অধুনা বিবিসির ডকুছবি নির্মাতা শান সুইয়ান। মাওকে খিস্তি করে ভূত ভাগিয়ে দিয়েছেন-সে করুন,কিন্তু এতোটাই মাত্রাছাড়া যে কখনো মনে হয় বুঝি শত্রুরূপে ভজনাই উদ্দেশ্য

    চীনের সকল দু:খ-দুর্দশার মূলে যে মাও, উনি না জন্মালে যে ঐ মহান দেশ জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিতো, সে ব্যাপারে আমার সব দ্বিধাদ্বন্দ দূর হতে চললো; আমারো দশ হাজার মাইল পথ চলা সার্থক।শুধু ঐ যা এক-আধবার মুখ ফসকে বলে ফেলেন কমিউনিস্ট চীনে মেয়েদের অন্তত লোহার জুতো পড়িয়ে পা ছোট করে রাখা হতো না। আর একবার, যখন মধ্য বিহারের প্রাইভেট সেনার নৃশংসতার কথা জানতে পারেন, লেখিকার মনে হয়, যেন ছোটবেলার সেই সব প্রোপাগ্যান্ডা ছবি, প্রি-কমিউনিস্ট চীনের জমিদারদের অত্যাচারের ছবি জ্যান্ত হয়ে উঠলো।

    কমিক রিলিফ হিসেবে যথারীতি রয়েছেন লালুপ্রসাদ ।এসেছে বাবাসাহেব আম্বেদকরের কথাও। কিন্তু খোদ বিহারের বুকে দাঁড়িয়ে বামপন্থী আন্দোলন-দলিত সমস্যা-বৌদ্ধ পুনরত্থান এইসব নিয়ে আলোচনা করতে করতে মহাকাব্যলিখনপ্রয়াসী লেখিকা যখন রাহুল সাংকৃত্যায়নের নাম বেমালুম ভুলে মেরে দ্যান- বেমালুম আশ্চর্য লাগে।মাইরি মাক্কালি।

    কিন্তু ঐ যে বললাম-সুখপাঠ্য। পড়ুন, ভালো লাগবে। ভারতবর্ষে জন্মেছি, ছোট্টবেলা থেকে রেশম পথ নিয়ে কত আঁকিবুকি, এখনো পারলেই পা বাড়াই, সে জন্যে হয়তো। সমরখন্দ-বুখারা শুনলেই মুজতবা আলি। হায়, শান নন মুজতবা আলি, এই বইও নয় দেশে বিদেশে। ঝরঝরে লেখা, এই মাত্র।

    তাকলামাকানের রি রি করা বালিরাশির মধ্যে সবুজ তরমুজ খেতের প্রথম ভেজা আশ্বাস, পোলারাইজিং ফিল্টারের নীল বর্ণের মত ঘননীল অকাশ আর হলুদ বালির ব্যাকড্রপে লাল আগুনের মত তুরফানের ফ্লেমিং মাউন্টেন, বিয়ের আসরে কিজিল উপজাতির নাচ, পশ্চিম চীনের উইঘুর স্বাতন্ত্রবাদীদের দৌরাত্ম্য আর চীনা সরকারের প্রবল দমননীতি, লেক ইসাক কুলের ঘন নীল জল, জেড পাথর আর সিল্কের সওদা, ঠিক যেমনটা হত দুহাজার বছর আগের রেশম পথের দুধারে-এই সব নিয়ে জমজমাট বই। থ্রিলারের মত। মধ্যপ্রাচ্যময় ভারত, অমিতাভ বুদ্ধ, জাতককাহিনী, হিউয়েন সাং আর অগণিত বোধিসঙ্কÄ, অগণিত মার-মার-কাট কাট গুহাচিত্র-ট্রাভেলগ হিসেবে জমজমাট ।
    কিন্তু মহাকাব্যের লোভ দেখিয়েছিলো যে!
    আশায় মরে চাষা।

  • indo | 195.10.45.200 | ০১ জুন ২০০৭ ০২:০০401558
  • মেঘ সব চেরাপুঞ্জি আর গোবি সাহারা ভাগাভাগি করে নে নেছে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০১ জুন ২০০৭ ০২:০০401557
  • দশ হাজার মইল বুঝলাম,কিন্তু নাই মেঘ কেন? :-)
  • ranjan roy | 122.168.70.166 | ০২ জুন ২০০৭ ২১:৫৫401559
  • নির্মেঘ নীল আকাশের নীচে দশ হাজার মাইল পদযাত্রা-- এ সুধু জম্‌জমাট ট্র্যাভেলগ? আর কিছু নয়?
    ------------------------------------
    মার্ক্স বলেছিলেন( কোথায় বলেছিলেন মনে নেই) যে যদিও ইতিহাসের গতি বিচারে পুঁজিবাদ সামন্ততন্ত্রের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে কিন্তু সাধারণ জনতার কাছে সে আসে রক্ত-ঘাম-অশ্রুর মধ্য দিয়ে তার ক্রুর রূপ নিয়ে। আদৌ " মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর" রূপে নয়।
    ষাটের দশকের শেষে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছোট্ট মেয়ে সান শুয়ানের চোখে কেমন দেখাচ্ছিল?
    আসুন, আমাদের চোখে না দেখে একটু ওর চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করি।
    পিএল আর্মির একনিষ্ঠ সৈনিক বাবা পুত্রসন্তান চেয়েছিলেন।বাবার অবহেলা ছোট্ট মেয়ে সান ঠিকই বুঝতে পারতো। আশ্রয় আর স্নেহ পেতো দিদিমার কাছে। দিদিমা (এবং সেই যুগের বুড়োবুড়িরা) ছিলেন অমিতাভ বুদ্ধের পূজারী। দু:খ-কষ্টের মাঝাখানে আঁকড়ে ধরতেন
    বুদ্ধের জাতক কথা, আর একটি বিশেষ মন্ত্রের জপ।( হাতের কাছে বইটি না থাকায় ঐ বিখ্যাত মন্ত্রের নামটি মনে করতে পারছি না। indo নিশ্চয়ই সাহায্য করতে পারবেন।)
    ও আঘাত পেত কেন ঐ "বিপ্লব"এর সময় দিদিমাকে অমিতাভর মূর্তি বা জপমালা লুকিয়ে রাখতে হবে? কেন কিছু চ্যাংড়া ছেলের(বিশেষণটি আমার) গা' জোয়ারির সামনে একজন বয়স্ক লোককে মাথা নুইয়ে পাপস্বীকার করতে হবে।
    পরে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়ে অক্সফোর্ডের পড়াশুনো সেরে দেখেন ভেঙ্গে পড়া বাবাকে। সারাজীবন লালফৌজের জন্য জীবন উৎসর্গ করে বাবা দেখলেন --অনেকেই কথা রাখেনি। আমলাতন্ত্র, করাপ্‌শন থেকে চীন মুক্ত হয়নি। এ'রোগ গুলো নব নব রূপে এসেছে। স্বপ্নভঙ্গের ধাকাটা বাবা আর সামলাতে পারলেন না। ( পাশাপাশি আপনার মনে পড়বে- স্বাধীনতোত্তর ভারতে এক প্রজন্মের স্বপ্নভঙ্গের বা সত্তরের দশকে মুক্তির স্বপ্ন দেখা আর এক প্রজন্মের স্বপ্নভঙ্গের স্মৃতি।)
    কিন্তু, তরুণী সান খেয়াল করে যে অমিতাভ আর বোধিসঙ্কÄ মৈত্রেয়তে আস্থাশীল দিদিমা কেমন অবিচলিত থকেন।
    তখনই সে নতুন করে তাকায় বৌদ্ধধর্মের দিকে। এক অনির্বচনীয় শক্তির উৎস হিসেবে। খুঁজে বেড়ায় পুরনো ভাঙ্গা মঠ। মন দিয়ে পড়ে হিউয়েন সাঙ্গের বইপত্তর। বুঝতে চায় কি সেই তঙ্কÄ যা শক্তি দিয়েছিলো হিউয়েন সাঙ্গকে রাজশক্তির রক্তচক্ষু এড়িয়ে ভারতে যেতে, বৌদ্ধধর্মের প্রামাণ্য পুঁথি চীনে নিয়ে আসতে।
    সে বুঝতে পারে যে হিউয়েন সাঙ্গ বৌদ্ধধর্মের মহাযানী পন্থার "বিজ্ঞানবাদী" দর্শনের অনুগত
    ছিলেন। কাজেই তাকে ও ভারতে যেতে হবে ঐ শাখার মূল আচার্য্য অসঙ্গ ও বসুবন্ধু- এই দুই ভাইয়ের জন্মস্থানে, যদি ওদের মূলসূত্রগুলোর মানে কেউ বুঝিয়ে দেয়! কারণ, আজকের চীনে অন্যেরা মঠ গুলোতে অন্ধ আনুগত্যে মানে না বুঝে কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করে চলেছে মাত্র।
    ভারতযাত্রাটাও হয় রাজশক্তির আনুকুল্য ছাড়াই। তবে আজকের এশিয়া আর হিউয়েন সাঙ্গের সময়ের এশিয়া? তুলনা করাই অসমীচীন। তবু অক্সফোর্ডশিক্ষিত ডকুমেন্টারি- বানানো সান দুই যুগের দুই যাত্রীর যাত্রাপথের বর্নণায় মন্তাজের এফেক্ট আনেন।
    কিন্তু, আসল কথা হল নালন্দা ঘুরে বা একমাস বৌদ্ধশ্রমণদের সঙ্গে ভিক্ষুণীর জীবন যাপন করে দেখলেন-"তবু ভরিল না চিত্ত"।
    হিউয়েন সঙ্গ বা বৌদ্ধ ধর্মের আর্যসত্য এবং মধ্যপন্থার ওপর শ্রদ্ধাশীল হয়েও ভরসা হল না যে এই পথে নিপীড়িতমানুষের মুক্তি আসবে। এই লেখা আসলে নেতি নেতি করে সেই মুক্তিপথের সন্ধান এবং মোহমুক্তির গল্প। শুনেছি যে সান শুয়ানের পরের বইটি বেড়িয়েছে। আমি হাতে পাওয়ার আশায় দিন গুনছি।
    রঞ্জন রায়, বিলসপুর, ভারত
  • d | 122.162.105.201 | ০৩ জুন ২০০৭ ১০:১১401560
  • সান শুয়ানের পরের বইটা ( The Longe March) এখনও বেরোয় নি, বেরোবে 12th জুন, হার্ডকভার। পেপারব্যাক কবে বেরোয় দেখা যাক ...... ততদিন অপেক্ষা।

    এই বই সম্পর্কে আমার মতামতও অনেকটাই রঞ্জনদার মত। ইন্দ্রর সাথে একবার আলোচনাও হয়েছিল এই নিয়ে। তারপর ল্যাদের জন্য আর লিখে ফেলা হয় নি।
  • tan | 131.95.121.135 | ০৩ জুন ২০০৭ ২০:৫০401561
  • বইয়ের নামটা কি LONG MARCH? নাকি একটু ভিন্ন বানান?
  • tan | 131.95.121.135 | ০৩ জুন ২০০৭ ২১:০৫401562
  • বৌদ্ধমত(মতান্তরে বৌদ্ধধর্ম) প্রসঙ্গে আমার একটা প্রশ্ন ছিলো,কোথায় করবো,ভাবলাম এই থ্রেডেই করি। করি, হ্যাঁ?
    বৌদ্ধধর্ম প্রথম প্রচারিত হয়েছিলো মগধে(আজকে যে ভূমিখন্ড ভারত নামক দেশের অন্তর্গত),বোধিলাভের পরে বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের কাছে প্রচার করেন, ক্রমে অন্যেরাও গ্রহণ করে।সে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের কথা।তাই তো?
    কিন্তু দেখা যায় ইন দ্য লং রান,এই ধর্ম ভারতের মূল সমাজ সেভাবে গ্রহণ করে নি,এটি একটি ছোটো সম্প্রদায় হয়েই রয়ে গেছে,বরং পরে চীনে ও জাপানে এটি অনেক সমাদরের সঙ্গে গৃহীত হয়েছে।
    এর কারণ কি? মানে কেন ওই মত এখানে,জন্মভূমিতে, তত জোর পেলো না,বাইরে অন্যদেশে অন্য সমাজে জোর পেলো?
  • d | 122.162.103.145 | ০৩ জুন ২০০৭ ২১:২৪401563
  • ঠিক ওটা বাজে টাইপো। বইটার নাম The Long March

    বৌদ্ধধর্ম নিয়ে এই প্রশ্নটা আমারও তবে পড়াশোনা খুব সামান্য। অন্য কেউ বলুন। আরো একটা কথা হল চীনা, জাপানীরা খুব একটা অহিংস কি? না বোধহয়।
  • tan | 131.95.121.135 | ০৩ জুন ২০০৭ ২১:২৯401564
  • দুনিয়ার কোনো জাতিই বোধহয় পুরোপুরি অহিংস নয়।হয়তো সম্ভবও নয় হওয়া,আদতে তো আমরা সেই কিবলে অনিম্যাল কিংডমেই পড়ে যাই।:-)))
    কিন্তু কোনো একটা জাতি বিশেষ একটা মতবাদ বা ধর্ম অন্য মতগুলোর তুলনায় বেশী উৎসুকভাবে গ্রহণ করে কেন,এটা একটা বিরাট প্রশ্ন।
  • dd | 202.122.20.242 | ০৩ জুন ২০০৭ ২১:৩১401554
  • নেহেরুজী discovery of India"তে এই বিষয় নিয়ে লিখেছেন,
    এর বেশী আলোকপাত করা যাবে না, কেননা
    1. এই থ্রেডটা ঘেঁটে যাবে
    2. নেহেরুর প্রবন্ধটা বেশ বড়
    3. আর বইটা সবাই পড়েছেন
  • tan | 131.95.121.135 | ০৩ জুন ২০০৭ ২১:৩৬401555
  • ওনার মত নেওয়া যাবে না,ভদ্রলোক খুব ইয়ে।:-)))
    মাউন্টব্যাটেনের সামনে আতাক্যালানের মতো...ছি ছি ছি। এই লোকের মত গ্রাহ্য করিনা।
    অন্য সত্য চাই।

  • Tim | 71.67.115.14 | ০৯ জুন ২০০৭ ১১:১৭401556
  • অনেক সময় কিন্তু শাসকের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রজাদের ধর্ম পাল্টায়। আমাদের দেশে বৌদ্ধধর্মের (প্রায়) বিলোপ এবং চীনে প্রভূত জনপ্রিয় হবার এটাও একটা কারণ বলে মনে হয়। সেক্ষেত্রে গ্রহন বা বর্জনের প্রশ্ন গুরুত্ব হারায়, কারণ বিশেষ কিছু সুযোগের জন্যে বা অসুবিধে এড়ানোর জন্যে অনেকেই ধর্মান্তরিত হন, আদর্শগত কারণে নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন