এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • চলো

    Indo
    সিনেমা | ১৬ জুন ২০০৮ | ১০৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • omnath | 59.160.220.131 | ১৬ জুন ২০০৮ ১৪:৫৫401195
  • অঞ্জন দত্তের সিনেমা? চলো Lets Go? শুক্রবার দেখলাম। মিত্রায়।
  • d | 121.247.67.176 | ১৬ জুন ২০০৮ ১৯:৪৪401206
  • ও ইন্ডো, খুলে বসে রইলি ..... লেখ রে বাপু।
  • I | 218.248.70.235 | ১৬ জুন ২০০৮ ২১:৫৯401207
  • আরে, আমি লিখবো কেন..... আমি কি নিজে লেখার জন্য খুলেছি নাকি? আমি তো লোকের কথা ভেবে খুললাম, এমনি মহাপ্রাণ....তা ঈশেনের এমন পচা কল, let's go টুকু নিলই না; রেগে-মেগে শুধু চলো-ই চালিয়ে দিলাম।

    আর, আমি তো সিনেমাটা পজ্জন্ত দেখিনি, কি লিখবো? তবে যারা দেখেছে, তাদের কাছ থেকে শুনলাম খুব নাকি ঝুল হয়েছে বাপু।
    ওমনাথ লিখছে না কেন, ও তো দেখেছে।
  • Z | 117.194.192.243 | ১৭ জুন ২০০৮ ১৩:২৬401208
  • কে? কে বলল যে ঝুল হয়েছে??? আমার তো বেশ তরতরে - ঝকঝকে লেগেছে। কাছেপিঠে এরকম সিনেমা আর দেখেছি মলে মনে পড়ল না। বংলা সিনেমা মনে হয় পোসেনজিত মার্কা আগড়ুম-বাগড়ুম কিম্বা থমথমে চিত্রনাট্য জুড়ে শুধু বিশুদ্ধ আঁতলামির পরাকাষ্ঠা। এসবের বাইরে থেকে এই সিনেমা বেশ অন্যরকম একটা হাওয়া এনে দিল।

    কেন?

    ১) কোথাও মাত্রাতিরিক্ত আঁতলামি নেই। অকারণ কাব্যি নেই। কঠিন-কঠিন শব্দ দিয়ে দর্শকের দাঁত ভাঙ্গার চেষ্টা নেই। কথা বার্তা যেন আমাদেরই জীবন থেকে তুলে অন। শুনলে মনে হয় আরে, আমিও তো এভাবেই কথা বলি।

    ২) সজীব এবং তরতরে - ঝকঝকে চিত্রনাট্য। কোথাও থেমে থাকেনি তাই একমুহূর্তের জন্যও বোরিং লাগে না।

    ৩) চিত্রনাট্যের হঠাৎ হঠাৎ অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মধ্যে জাম্প। ঠিক আমরা যখন কোনো ঘটনা চিন্তা করি তখন যেমন ক্রোনোলজি অনুযায়ী ভাবি না, সেরকম এখানেও সুষ্পষ্ট ক্রোনোলজি নেই। এই ব্যপারটা অমার বড্ড ভালোলেগেছে।

    ৪) গান। বেশ ভাল। বং কনেকশানের পর তৈরী হওয়া প্রত্যশা পূরণ হয়েছে।

    ৫) হিউমার -- "ম্যাডাম ক্র্যাকারোলজি' অনেকদিন মনে থাকবে।

    বেশ ভালো ছবি
  • Z | 117.194.192.243 | ১৭ জুন ২০০৮ ১৩:৩৪401209
  • টাইপো:

    লাইন ১) মলে নয় --> বলে হবে।
    লাইন ২) "বংলা সিনেমা মনে হয় পোসেনজিত...' --> "বাংলা সিনেমা মানে, হয় পোসেনজিত...' হবে।

    এক নং পয়েন্টে অন এর জায়গায় --> আনা হবে।
  • Riju | 121.240.210.2 | ১৮ জুন ২০০৮ ০৯:৪৫401210
  • আম্মো দেখেছি। বেশ লেগেছে।ভালো এন্টার্টেনমেন্ট। নর্থ বেঙ্গল কে ক্যামেরায় সুন্দর ধরেছে। নীল দত্তের সঙ্গীত খুব ভালো লেগেছে।। আর অসীম,সঞ্জয়,শেখর হরির চরিত্র গুলো বেশ ইন্টারেস্টিং। মোট কথা কমার্শিয়াল ছবি কিন্তু বাস্তবের সাথে রিলেট করা যায়।গাঁজাখুরি নেই।
  • Somnath | 59.93.195.152 | ১৮ জুন ২০০৮ ১৮:৪২401211
  • আমার এক বন্ধুনী বলল:

    "বইটা কেমন হয়েছে? দেখবি মাঝে মাঝে পাটিসাপটা বানাতে গেলে পুরো জিনিসটা কড়াইতে ছড়িয়ে যায়। সবটা গুছিয়ে নিয়ে খেলে, খাওয়ার সময় কিন্তু খারাপ লাগে না। পাটিসাপটার মতোই লাগে। একইরকম টেস্ট। শুধু থালায় সাজিয়ে দেওয়ার সময় জিনিসটাকে পাটিসাপটার মতো দেখতে লাগে না। বাইরের লোককে ওটা খেতে দেওয়া যায় না। ওটা পরে আমরা নিজেরাই খেয়ে নিই, এবং চেটেপুটেই খাই। কি বুঝলি?"

    যেহেতু আমার পক্ষপাত আছে , আমি কিছুই বলব না। তবে গানগুলো জাস্ট গোলা। আজ হাতে পাব MP3

    একটু প্রচার করি:
    সব্বার হলে গিয়ে এই সিনেমা (এবং এইসব সিনেমা) অবশ্যই দেখা উচিত। সুস্থ বাংলা সিনেমাকে কমার্শিয়াল ও মাল্টিপ্লেক্স কালচারে পুরো মর্যাদায় ঢুকিয়ে আজকের গ্লোবালাইজড বাঙালী যৌবনের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্যেই কেবল এই সাধুবাদ নয়। অবাস্তবতা আর রুচীবিকৃতিকে জনতার এন্টারটেইনমেন্টের সাচ্চা ধ্বজাধারী বানিয়ে গ্রামে গঞ্জে সাফল্যের খতিয়ান দামড়ে "বাংলা সিনেমা" নামক ঘরানাটিকে প্রায় ডাস্টবিন বানিয়ে তোলার গত কয়েক দশকের অশিক্ষিত মুনাফাখোরির বাইরে দাঁড়ানোর সাহসের জন্যে শুধু নয়। স্রেফ বাংলা গান - সিনেমার বাংলা গান ও সিনেমায় বাংলা গান এই প্রসঙ্গে কথা বলতে হলেই অঞ্জন দত্ত ও নীল দত্ত কুর্নিশ পাবেন। আলবাৎ পাবেন।

    (ক্রমশ:) ;-)
  • shyamal | 67.60.254.15 | ১৯ জুন ২০০৮ ০৬:৫১401212
  • এই ছবিটি অরণ্যের দিনরাত্রির আরেকটি সিকুয়েল?
    সোমনাথবাবু, এক শ্রেনীর বাঙালি "মুনাফাখোর' কথাটা খিস্তি হিসাবে ব্যবহার করে। মুনাফা হল লাভ শব্দটির হিন্দি। তা বাংলা ছবির প্রযোজকরা কি দানছত্র খুলে বসেছে যে লাভ করবে না? আমি আপনার সঙ্গে এক মত যে অধিকাংশ বাংলা ছবি ঝুল। কিন্তু প্রযোজক যদি লাভ করার জন্য এরকম ছবি বানায় আর দর্শক পায় তাতে সে মুনাফা করছে এই দোষ দিয়ে কি কোন লাভ আছে? সে তো বেআইনি কিছু করছে না।
  • Somnath | 59.93.241.147 | ১৯ জুন ২০০৮ ০৮:৪৬401213
  • সুমন ও "জীবনমুখী" সঙ্গীত আন্দোলন আমরা দেখলাম চোখের সামনে মরে যেতে। মরে যাওয়াই বলব, এখন কেউ তো নতুন করে ও গান শুনতে শুরু করে না, প্রথম থেকে নিজের ইচ্ছেয়। কেন ভাবতে গেলে বলতে বাধ্য হব, এই নতুন ধারার বাংলা গান যে শিল্পমাধ্যমটাকে প্রত্যাশিত প্রভাবিত করতে পারল না - বংলা সিনেমা।

    সুমনের গান নিয়ে মহসংগ্রাম রিলিজ করল না। যখন করল, কেউ দেখল না।
    "ভয়" সিনেমায় সুমনের দুটো গান, সিনেমা চলেনি। হিন্দি অগ্নিসাক্ষী থেকে ঝাড়া রদ্দি মাল, চলার কথাও নয়।
    "সেদিন চৈত্রমাস" (সুমন) আর "হঠাৎ বৃষ্টি" (নচিকেতা) এই সিরিজে বোধহয় খানিক পরিচ্ছন্ন ও দেখা যায় গোছের মাঝারি জিনিস, দুটোই অন্য সিনেমার রিমেক। খুব ভালো গান অর্থাৎ ভালো অডিও কেবল সঙ্গীত পরিচালকদের নামে যেটুকু কেটেছে, ব্যস, ততটুকুই। বাংলা সিনেমার গানে ওভারঅল প্রভাব জিরো। কারণ হিসেবে আমি তো বলব, সুপারহিট হতে না পারা।
    "খেলাঘর" (নচিকতা) চলেনি, শুধু গান ভালো ছিল, কিন্তু অডিও ও চলেনি। আর কি?
    "চাকা" তে তখন নচিকেতার গান ও রদ্দি হয়ে গেছে, শোনা যায় না।
    সুমনের "অভিমানে অনুরাগে", "আত্মজা", "কৃষ্ণচূড়া", "যোদ্ধা", "সূর্যকন্যা", "কথা" কিছুই শুনতে পাই নি। তবে কথা বোধহয় মোটামুটি ভালো হয়েছিল, সিনেমা হিসেবে। চলেবেল টাইপ। লোকমুখে শোনা।

    ব্যাণ্ডের গান হিসেবে "নীল নির্জনে" ছাড়া আর কিচ্ছু মনে পড়ছে না।

    তো, ভদ্রস্থ বাংলা সিনেমায় ভালো গান কখন থেকে ঢুকল? লাস্ট মনে পড়ছে ঋতুপর্ণর "তিতলি" (দেবজ্যোতি মিশ্র) । তারপর "এক যে আছে কন্যা" (সেটাও বোধহয় দেবজ্যোতি)।

    অঞ্জন দত্ত সিনেমা বানাবার আগে মোটামুটি এই হাল সিনেমায় নতুন বাংলা গানের। রবীন্দ্রসঙ্গীত ধরলাম না বলে "উৎসব" বা আরো কিছু নাম বাদ গেল।

    অঞ্জনের প্রথম চেষ্টা বহুদ্দিন প্যাহলে হিন্দি "বড়াদিন" যদ্দুর মনে আছে মিউজিকালি হিট। সিনেমাটাও বেশ ভালো ই হয়েছিল, যদিও চলেনি। এমতাবস্থায় নতুন ঝকঝকে বাংলা ছবি উইথ দারুণ গান : "বং কানেকশান"। হিট। ইংরিজিতে বেশ ভালো কিছু গান সহ, "বো ব্যারাকস ফরএভার"। আর চকচকে গেট-আপে "অনুরণন" (হিট) যেখানে আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি" গানটা অন্তত ভালো নামানো গেছিল।

    ভালো সিনেমায় ভালো গান, বাংলা পপুলার গানের জমানায় এই যে অমোঘ ইকুয়েশন হেমন্ত-মান্না-সন্ধ্যা, তথা স্বর্ণযুগের সাফল্যের অন্যতম বুলেট পয়েন্ট - দেখাই যাচ্ছে, নতুন বাংলা গান, জীবনমুখী ট্যাগ দেগে সংকীর্ণ করে দেওয়ার সর্বনাশের পাশাপাশি এটাকেও ল্যাক করছিল। নিজের পয়সা খরচ করে প্রাইভেট অ্যালবাম প্রকাশ যখন থেকে পাতি মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে চলে এল, সেই ক্যাসেট বিস্ফোরণের যুগে যেমন বেশ কিছু ভালো সঙ্গীত প্রচেষ্টা হারিয়ে গেল, তেমনি বাঙালী মধ্যবিত্ত প্রাইভেট অ্যালবামে নতুন বাংলা গান কেনাও এক্কেবারে প্রায় বন্ধই করে দিল।

    তো, আমার বক্তব্য, এহেন পরিবেশে, বাংলা গান কে সৃষ্টিশীল রাখার একমাত্র উপায় ছিল কিছু হিট ফিল্ম, যাতে ভর করে নতুন সরেশ গান পাবলিকের হাতে পৌঁছবে। সেটা হতে হতে ২০০৭-০৮ হয়ে গেল। অঞ্জন ও দেখলেন, নিজেরা দয়িত্ব নিয়ে ফিল্ম না বানালে এইটে সম্ভব হবে না। অশিক্ষিত ও সস্তা চটকে প্রযোজকের টাকা ফেরত দেবার ক্যালিওয়ালা পরিচালকে বাজার ভরে রয়েছে। কমার্শিয়ালিটিকে সুস্থ রুচীর সাথে মিশিয়ে নেওয়ার মানসিকতারই অভাব বড্ড। তারা সিনেমায় ভালো গান ভরার চেষ্টাই করতেন না। নতুন বাংলা গান নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা সিনেমার চৌকাঠের বাইরেই থাকতে বাধ্য থাকতেন।

    চলো লেটস গো - সিনেমা হিসেবে খুব একটা খারাপ কিছু তো নয়। স্মার্ট, আজকের বাঙালী বাস্তবতার পাশে দাঁড়ানো। উপরি পাওনা দারুণ কিছু গান। হ্যাঁ বং কানেকশনের মতো অতখানি কমপ্যাক্ট নয়। তাতে কি? এই সব সিনেমা চললে তবেই না আরো আরো এরকম সিনেমা তৈরি হবে! নতুন বাংলা গান নিয়ে ভালো কাজ হবে!

    সক্কলকে অনুরোধ হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন।
  • Somnath | 59.93.247.227 | ১৯ জুন ২০০৮ ০৯:৩২401196
  • চলো লেটস গো একটা পুরো নতুন, স্বাধীন পরিষ্কার তরতাজা সিনেমা। কোনো সিক্যুয়েল-টিক্যুয়েল নয়।

    না:। বেআইনি কিছু কেন করবে? আমার কয়েনেজটা ছিল অশিক্ষিত মুনাফাখোরি। সিনেমা একটা দৃশ্যশিল্পমাধ্যম। যারা হোটেল খুলে,বা দাদের মলম বিক্রি করে বা তেলকল চালিয়ে বা আরো নানা পথে যথেষ্ট মুনাফা করতে পারেন, শিল্পের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা বা ভালোবাসা না থাকা সত্বেও তারা যখন সেই মুনাফাখোরি, তথা ব্যবসার আর একটা পথ হিসেবে সিনেমা তৈরির দিকে এগোন তখন যে মালটা তৈরি হয় তা নিছক একটা প্রফিট মেকিং সাবটেন্স। অথচ, টেকনিকাল অর্থে তাকে সিনেমাই বলতে হয়।

    পাবলিক এন্টারটেইনমেন্টের যে জায়গাতে "সিনেমা" শব্দটি দাঁড়িয়ে আছে, তাতে এই সমস্ত প্রফিট মেকিং সাবটেন্স ঢুকে এলে মাস-এর একটা সমস্যা হয়। যেহেতু এন্টারটেইনমেন্টের আলাদা ক্লাসিফিকেশন করা নেই, তাই দেখে ফেলা সব সিনেমাই তার রুচীকে প্রভাবিত করে। এটা একটা কারণ , যেখানে দঁড়িয়ে আজ গবেষণা হচ্ছে বলিউডি সিনেমায় মুসলিম দের ডেপিক্টেশন কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে। ৯/১১ বা ১৯৯২ এর পর থেকে স্রেফ পাবলিক খাবে বলে মুসলিম ফ্যামিলি ড্রামা বা পিরিয়ড পীস বানাবার চেয়ে বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে স্টিরিওটাইপ মুজাহিদ আর স্মাগলার/ডন চরিত্র চিত্রণে। সেই সব প্রোডিউসার, ডাইরেক্টর - তারাও কোনো বেআইনি কাজ করছেন না, ব্যবসা করছেন। কিন্তু মাস-এর টেস্ট কে কন্টিনিউয়াসলি পলিউট করার দায় তারা এড়াতে পারেন না। যারা আজ বাংলা সিনেমা বানান উইথ এইসব গান - "ও আমার টুকুন / তোমার মাথায় বাছব আমি ভালোবাসার উকুন" "মন্টু ঘটকের কথা শুইন্যা / অল্প বয়সেই করলাম বিয়া/ ছেলে তো নয় সে যে আগুনেরই গোলা" উইথ আরো সমস্ত জঘইন্য ডায়ালোগ, ফালতু কাতুকুতু, যারা অচেতনে বা সচেতনে পাবলিক কে সৌন্দর্য ও শিল্পের যাবতীয় ছোঁয়ার বাইরে রেখে শুধু মাত্র এন্টারটেইনমেন্ট বেচেন যাতে পয়সা কামানো যায় তাদেরও আমি দায়ি করব। তাদেরকে আমি অশিক্ষিত মুনাফাখোর বলে গালি দোবো। শুধুমাত্র পয়সা থাকাটাই যাতে সিনেমা বানিয়ে ফেলতে পারার যথেষ্ট যোগ্যতা হতে না পারে তার জন্যে চ্যাঁচাবো। এম এল এ ফাটাকেষ্ট বা স্বামী কেন আসামী বা বাবা কেন চাকর বা শ্বশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ তৈরি না হয়ে যাতে আরো বেশি বং কানেকশন, চলো লেটস গো, হারবার্ট তৈরি হয় তার জন্যে যেভাবে সম্ভব নির্লজ্জ প্রচার চালাবো।

    আর এই সিনেমায় (চলো Lets Go ) চারবন্ধুর মাল খাওয়ার সীনটা বানাবার জন্যে অঞ্জন দত্তকে হামাগুচি হাম্পি দোবো, হাতের কাছে পেলে প্রণাম ট্রণাম ও করে ফেলতে পারি।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২০ জুন ২০০৮ ০১:০৮401197
  • সোমনাথ দারুন ক্ষারখেয়ে অনেকটা লিখে ফেলেছে। আগেই বলে রাখি, প্রে গালি শুনতে না হয়, ওর মতে সঙ্গে আমি ৯০% একমত। ১০% কেন নয় তাই লিখছি।

    অনেকদিন বাংলা সিনেমা দেখা ছেড়ে দিয়েছি। সময় ও সুযোগের অভাব। তাও এখন দেখলে, ইউটিউবের বাংলা সিরিজ, ভালো করে বললে, বারবার করে দেখা, 'গনদেবতা','শ্রীমান প্‌ত্থীরাজ','ফুলেস্বরী এরকম তরুন মজুমদার ইত্যাদি, সত্যজিৎ সিরিজ, উত্তমের কিছু কিছু পুরোনো ভালো অভিনয় (সব গুলো নয় মোটেও)। আশি-নব্বই-এর দশকে সেরকম ভালো বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমা একেবারি হয়নি সেটা ঠিক। প্রসঙ্গত, সোমনাথের, তুলনাটা স্বপন সাহা-অঞ্জন চৌধুরি-হরনাথ চক্রবর্তি হিসাবে যাওয়াটা মানতে পারলাম না, কারণ ওগুলো সিনেমা নয় ব্যাবসা, আর সিনেমার সমালোচনা হয়, ব্যাবসা-র হয় না। আমি তুলনাটা চাইছি তরুন মজুমদার, দীনেন গুপ্ত দের সঙ্গে। ঋতুপর্ন -ও সাময়িক বাইরে থাকবে, কারণ, ঋতুপর্নের ঘরানাটা আমি মনে করি সত্যজিৎ টাইপ। প্রসঙ্গত, 'এক যে আছে কন্যা' বোধহয়, 'তিতলি'-র আগে হয়েছে।

    সেই হিসাবে সুব্রত দত্ত, অঞ্জন দত্ত, সুমন মুখোপাধ্যায় এদের প্রচেস্টাকে অত্যন্ত সাধুবাদ দিয়ে-ও কিছু প্রশ্ন করব। না, আমি এদের সিনেমা-ও আগ্রহ নিয়ে দেখি, ভাললাগে।

    ১) সুব্রত দত্ত, 'এক যে আছে কন্যা' খুব ভাল সুরু করেছিলো, কিন্তু 'নীল নির্জনে' বেশ ঝুল। অত্যন্ত আনপ্রফেশনাল ভাবে কিছু বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা। 'হঠাৎ নীরার জন্য' দেখিনি।
    ২) আমি অঞ্জন দত্তে-র 'বড়া দিন' দেখেছি। বেশ ভালো সিনেমা। তবে 'বং কানেকশন' সেরকম লাগেনি। 'পাগলা হাওয়া'-টা নিছক ইয়ার্কি মনে হয়েছে। তবে 'ছেলেবেলার নৌকা' গানটা অ্যাপিলিং।
    ৩) 'অনুরনন' নিয়ে অন্যন্য তই তে অনেক লেখা হয়েছে, কিছু বলার নেই, তবে রাহুল বোস অতি ঝুল।

    মোদ্দা কথা হল, সিনেমা করাটা কদের জন্য ? সুধু আইনক্সের পাবলিকের জন্য? তারা আর বাংলা সিনেমা দেখেছে না তাই এত হাহুতাস ? বাংলা সিনেমার বড় বাজার শহরতলি, পাড়াগাঁ, যেখানে 'পোসেনজিতে-র' বই চলে। সেই দর্শক কজন 'অনুরননের' সঙ্গে কোয়ালিফাই করতে পারবে ? অঞ্জন দত্ত-দের সেখানে-ও একটা দায়ীত্ব আছে কিনা ? নাহলে-ই তো সেই বাজার দখল নেবে স্বপন সাহা-রা। 'গনদেবতা' বা 'ফুলেস্বরী' সেই বাজারেও একনম্বর থাকতো, শীল্পের মর্যাদা রেখে-ও। নাহলে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্র-তে আসা মানুষদের মাইনে দেবে কে ?
  • Binary | 198.169.6.69 | ২০ জুন ২০০৮ ০১:১১401198
  • সরি --- সুব্রত সেন হবে 'দত্ত' নয়'
  • shyamal | 64.47.121.98 | ২০ জুন ২০০৮ ০১:৩৯401199
  • হঠাৎ নীরার জন্য হল অতি প্রিটেনশাস ঝুল ছবি। এক যে আছে কন্যা কঙ্কণার প্রথম ছবি। বেশ ভাল লেগেছিল।
  • S | 62.242.151.226 | ২০ জুন ২০০৮ ০১:৪৪401200
  • এক যে আছে কন্যা হলিউডি ফিল্ম দ্য ক্রাশ এর বাংলা অনুবাদ। ক্রাশে কঙ্কণার জায়গায় ছিলেন অ্যালিশিয়া সিলভারস্টোন। সেম স্টোরি।

    তবে সিনেমাটা অত্যন্ত ঝকঝকে স্মার্ট হয়েছিল। এমন বঙ্গানুবাদ হাজারবার স্বাগত।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২০ জুন ২০০৮ ০১:৫০401201
  • 'আসলে কেউ বড় হয় না, বড়-র মতো দেখায়' ----
  • Z | 117.194.194.208 | ২১ জুন ২০০৮ ১৮:৪১401202
  • তো এই সিনেমা মফ:স্বলে রিলিজ করল না কেন? বাংলার ফিল্ম পরিবেশকরা কি মফ:স্বলের দর্শকদের গাড়োল ভাবেন?

    <~><~><~><~><~><~><~><~><~><~><~><~><~>

    আর একটা কথা, এই বাংলা গানে হিন্দী লিরিক এর ব্যপারটা আমার কেমন যেন বড্ড আপত্তিজনক লাগে।
    "না জানে কিঁউ' টা বাংলায় করলে হত না? "কেন জানি না' টাইপ??
  • pi | 69.251.184.3 | ২৩ জুন ২০০৮ ০০:২৯401203
  • 'পাগলা হাওয়া' কিন্তু 'নিছক ইয়ার্কি' লাগেনি।
    ঐ 'উ লা লা' টুকু প্রথম প্রথম বেশ কানে লাগলেও, বিট নিয়ে এক্সপেরিমেন্টটা কিন্তু কানে বেশ লেগেছে ।
    বরং , অনুরনণে 'মোর ভাবনারে কি হাওয়ায়' আবহ বা ইন্সট্রুমেণ্টেশনের সাথে পুরো তেলে-জলে কেস মনে হয়েছে.... ঐ গীর্জায় ভক্তিমতী ঋতুপর্ণার চক্ষুমুদিত প্রার্থনার ব্যাকগ্রাউণ্ডে 'তাহারে দেখি না চেয়ে দেখিনা ..'
    আর তারপরে চার্চ করিডরে জিনস-পুলোভার-বুট পরে ক্যাটওয়াকিং এর সময় ' বাজে অলখিত তারি চরণে রুনু রুনু নূপুর ধ্বনি' ... সিম্পলি হাসি পেয়ে গেসলো।

  • r | 125.18.17.16 | ২৩ জুন ২০০৮ ১৮:২৫401204
  • "পাগলা হাওয়া"টা আমারও খাসা লেগেছে। বিশেষ করে নচি।
  • Somnath | 59.160.220.131 | ১৫ জুলাই ২০০৮ ১১:৩৫401205
  • নচি আর সুমন দুজনেই একটা করে গান গাইল ঋতুপর্ণ র নতুন ছবি "খেলা"-তে। বেশ ভাল গান।

    স্মার্ট বাংলা সিনেমার কথা হলে দুটো নাম বলতেই হয়, বলে রাখি, "আ m রা" আর "তিন ইয়ারী কথা"। আর একটা কথা মনে হল, লেগে থাকতে পারলে রুদ্রনীল বাংলা সিনেমায় পুওর ম্যানস রবি ঘোষ হয়ে উঠতে পারে। সময় লাগবে, তবে ঠিকঠাক চেষ্টা করলে পারবে।

    "হঠাৎ নীরার জন্যে" বাজে ছবি। "এক যে আছে কন্যা" ভালো ছবি। না জানে কিউ টা খুব ভালো হয়েছে। বাংলায় করলে হত না। চলো লেটস গো কেন মফ:স্বলে রিলিজ করল না তা নিয়ে পরিবেশকদের সাথে ডাইরেক্ট কথা বললে বেশ হয়। তবে সিনেমার যে মানেটা পপুলার হিন্দি সিনেমা বানিয়ে রেখেছে - হিরো, হিরোইন, ভিলেন, ডিস্যুম ঢিসুম, অন্যায়, বদলা - সেই প্রোটোটাইপ থেকে বেরোবার একটা চেষ্টা তো শুরু করাই উচিত। মুশকিল হল বেড়াল ও দেখা যচ্ছে, আর ঘন্টাও চাতালে পড়ে আছে, কিন্তু ...... ডিস্ট্রিবিউটাররা এখনো শুধু ব্যবসা করতেই ছবি বানান, ইত্যাদি ....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন