এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e265:2806:f469:a336 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৫৫740806
  • cheeky
  • Amit | 163.116.203.89 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:১০740808
  • সিওর পুরো ভেজাল মাল মাইরি। নাহলে সুকি ঢপ দিচ্ছে। নাহলে ৭৫০ এমএল এর একটা পুরো বোতল হুইস্কি অত তাড়াতাড়ি শেষ করলে হাতিরও নেশা চড়ে যাবে। 
     
    :) :) 
  • সুকি | 49.206.133.2 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫১740810
  • আরে অমিতাভ দা তাড়াতাড়ি মানে কি অত তাড়াতাড়ি নাকি! তবে একবোতল ৭৫০ খেয়ে কিছুই হয় না এমন ছেলে বেশ ছড়াছড়ি! মন্ডলের দোকান থেকে কেনা মাল - ভেজাল কিনা বলতে পারবো না!
     
    যাই হোক এবারে এপ্রিল মাসে নিমো গিয়েছিলাম গাজন দেখতে, সেই গল্পও লিখে ফেলা যাক।
  • সুকি | 49.206.133.2 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫২740811
  • এমন দিনও দেখতে হবে সেটা বুঝতেই পারিনি! গাজন শুরু হয়ে গেল আর ওদিকে বলছে নাকি চেনাশোনা লোক ছাড়া গাঁজা দিচ্ছে না। সকালে সেই শুনে আমি প্রায় চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার যোগাড়! নিমো গ্রামে বসে গাঁজার আকাল দেখার চেয়ে বানপ্রস্থে যাওয়া ভালো! 

    প্রশাসন নাকি এত কড়াকড়ি শুরু করেছে যে সকালে দুশো টাকা নিয়ে গাঁজা কিনতে গেছে এক ভাই আর তাকে বলা হয়েছে এখানে তো গাঁজা পাওয়া যায় না! পরে আবার অন্য ভাই গেল তাকেও বলা হয়েছে এখানে গাজা বিক্রি হয় ন! শেষে বোঝা গেল যে একদম রেগুলার কাষ্টমার ছাড়া গাঁজার হাতফের হচ্ছে না! যাই হোক শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা করা গেল। আটচল্লিশ জন সন্ন্যাসীর গাঁজার ব্যবস্থা করা কম চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার নয়! 
     


    কিন্তু লাইফে টেনশনের কি শেষ আছে! ফাংশানের বাজেট বেড়ে আকাশ ছুঁই ছুঁই, আর ওদিকে চরকী বোর্ড ফোন ধরছে না! জুয়া ছাড়া ফাংশান এক অসম্ভব ব্যাপার - হিন্দী সিনেমার ডনকে ধরার থেকেও জটিল। এত বাজেট আসবে কোত্থেকে! 

    জুয়া ভাই নাকি এলাকায় গত তিন সপ্তাহ ধরে জুয়া খেলে খেলে ক্লান্ত হয়ে গেছে এখন একটু রেস্ট নিচ্ছে। ফোন যখন ধরছে না, তখন জুয়া ভাইয়ের বাড়িতে হামলা করার জন্য রাত বারোটায় ভাইসকল রওয়ানা দিল। ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে নাকি তার বাড়ি! 

    সবকিছু পেরোবার সব শেষ চ্যালেঞ্জ নাকি এলো একটা নালা যার উপর বাঁশের ব্রিজ তার উপর বাইক নিয়ে যেতে হবে বাশেঁর মাঝখানে ফাঁক। দিনের বেলায় বাঁশের উপর দিয়ে বাইক চালানো এক, আর রাতের বেলায় ঢুলুঢুলু নেশাড়ু চোখে বাঁশ আরেক! 

     গিয়ে দেখা গেল জঙ্গলের মধ্যে তার বাড়িতে জুয়া ভাই তখন সবে চোলাই বানাতে বসেছে।  ফার্ষট কাটের মাল নামবো নামবো করছে।  আমাদের ছেলেপুলেকে দেখে সে তো বলল, "ভাইরা এসে গেছো তো একটু টেস্ট করতেই হবে"। সে টেস্ট করার জন্য পুরো ঝুলো ঝুলি -  গলা দিয়ে নামবে একটু কষ্ট হবে কিন্তু যা সর্দি কাশি আছে সব ভ্যানিশ! 

    ছেলেরা বলল যে চোলাই খেলে এত রাত্রে হবে না - ফিরতে হবে বাইক চালিয়ে। তখন তাদের জন্য আবার রয়েল স্ট্যাগ তারপর নাকি আপেলের টুকরো থালা করে তার সাথে পাতি লেবু কি সব দিয়ে সাজিয়ে দিলো রাত সাড়ে বারোটার সময়।  বলল, "ভাই তোমরা এত দূর থেকে এসেছে আমার বাড়িতে এই না খেয়ে কি করে তোমাদের যেতে দিই!"

    মোটামুটি সে রাজি হয়েছে কিছু অ্যাডভান্স করেছে এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়। ফাংশানের আপডেট সামনেই দেবক্ষণ কেউ সেই গল্প শুনতে চাইলে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dddb:dbb3:7cdd:7e5a | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৮740812
  • 'নাহলে সুকি ঢপ দিচ্ছে'
    - ঢপ নয়, কল্পনা। বাস্তব আর কল্পনা মিশিয়েই তো লেখা :-) 
     
    টু গুড সব গল্প। নিমো রকস, এ এখন আর শুধু সুকির গ্রাম নয়, আমাদের সবার 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:dddb:dbb3:7cdd:7e5a | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৮740813
  • আমি অবিশ্যি, বিপি বলতে বাংলা পাঁইট ভেবেছিলেম :-)
  • সুকি | 49.206.133.2 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৯740814
  • কাল ভালোয় ভালোয় ফাংশান মিটে গেল। কেবল রাত দেড়-টার দিকে হালকা টেনশন নিয়ে ব্যস্ত কর্মকর্তাদের সাথে বোর্ডের আসরের সামনে দেখা হয়ে গেল – সব পরিদর্শনে এসেছে। আমাকে বলল, “বুঝলে সুকান-দা, এটাই আমাদের লক্ষ্মী। বোর্ড যদি না জমে ঝট করে ফাংশানে হাজার পনেরো টাকার ঘাটতি – তাই এত রাতেও হালকা চাপে আছি”। 

    এর মাঝে রাজু গেল রেগে – দুই একজন লোক আসর ছেড়ে উঠে বাড়ির দিকে যাচ্ছে, রাত দুটো তখন। কিন্তু রাজু এর ইন্টারপ্রিটেশন করল যে ফাংশানের দল আসর জমাতে পারছে না। পকেট থেকে ফোন বের করে গ্রীন্রুমে হুঙ্কার দিল, “ওই বাঁড়া, তোদের ওই আর্টিষ্ট-কে পাবলিকের মাঝে নেমে গিয়ে গান গাইতে বল। কত শেখাবো আর? অরিজিৎ সিং পর্যন্ত পাবলিকে মাঝে গিয়ে গান গাইছে, আর উনি বাঁড়া শুধু স্টেজে হাত পা নাড়ছেন! এই করলে ফাংশান জমবে!” 

    তারপর আমার দিকে ঘুরে, “তুমি বুঝছো না সুকান-দা, ফাংশান না জমলে পরের বার চাঁদা উঠবে? বাজে ফাংশান হলে কেউ চাঁদা দেবে না – প্রেসটিজের ব্যাপার। আর এরা তো এখনো নাচাতেই পারছে না! এদের ম্যানেজার-টাও বাঁড়া হয়েছে ফালতু – প্রতিবার এসে বলবে, রাজুদা একটা চান্স দাও আমাকে। নে, এবার তো দিলাম চান্স – এতো মনে হচ্ছে পুরো ছড়াচ্ছে! রাত দুটোর সময় মঙ্গলদীপ জ্বেলে গাইলে হবে!”।
     


     যাই হোক, কালকের ফাংশান ছিল এবারের আই পি এলের ম্যাচ গুলোর মত – শেষ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখে ম্যাচ ঘুরে যাচ্ছে! তাই হল ফাংশানেও – একদম শেষ দিকে গিয়ে ম্যাচ ঘুরে গেল – শুরু হল উদ্দাম নাচ ইত্যাদি – পৌনে চারটে নাগাদ রাজুর মনের শান্তি এনে বিনা বাওয়ালি-তে ফাংশান শেষ হল। যাঁরা এই ফাংশান কালচারের সাথে জড়িত, তাঁরাই জানবেন যে বিনা বাওয়ালে অনুষ্ঠান শেষ করা কি চাপের! প্রায় শোনায় যায় না এমন দূর্লভ জিনিস এ –

    এবারের ফাংশানে স্টেজ, লাইট, সাউন্ড একদম ঝক্কাস! কোলেপাড়ার যে উদয়-দা আগে বাঁশের খুঁটির উপর পাটা দিয়ে স্টেজ বানাতো – মানে যে স্টেজে নাচা হাঁটুর ভাগ্য হাতে করে – এত উঁচুনীচু স্টেজ – সে সব দিন শেষ। পুরো মেটাল স্ট্রাকচারে স্টেজ হচ্ছে যেমন কলকাতার শিল্পীরা গায়। স্টেজের পিছনে এল ই ডি স্ক্রীণ – সাউন্ড বক্সের আওয়াজ শুনে গ্রামের হার্টের রুগী যাদের পেসমেকার লাগানো আছে, তারা পুরো চাঙ্গা হয়ে প্রাক-পেসমেকার সময়ের অ্যাক্টিভিটিতে ফিরে গেছে। আবার সাথে এসেছে ড্রোণ – লাইভ টেলিকাষ্ট হচ্ছে ড্রোণের ছবি বড় স্ক্রীণে।
     


     যে ড্রোণ হ্যান্ডেল করছে তাকে রাজু ইন্সট্রাকশন দিচ্ছে কি কি জিনিস লাইভ করা যাবে না – ছেলেটিকে বলছে,

     
    - শোন, যেখানে সেখানে ড্রোণ ঢুকিয়ে দিবি না। বাঁদিকে মেয়েদের বসার জায়গা আছে, সেখানে মেয়েরা বসে ফাংশান দেখবে। সেখানে গিয়ে যেন ড্রোণ মারাবি না একদম!

    - আচ্ছা, আর কোথায় দেখাবো না? 

    - তারপর এই ধর সুকান-দা অনেক ক্ষণ ফাংশান দেখে পেচ্ছাপ বসতে গেল বাঁশতলার দিকে, তার পিছনে পিছনে ড্রোন পাঠিয়ে দিলাম, সেটা যেন না হয়।

    - আর কি?

    - আবার কি? মারপিট যখন শুরু হবে তখন ড্রোণ একদম বন্ধ। না হলেই ড্রোণে ছবি তোলার জন্য আরো বেশী লোক মারপিট করতে চাইবে বেশী সময় ধরে।
     
    তবে এগুলো রাতের দিকের ব্যাপার। এই ফাংশান হয় দুই ভাগে – সন্ধ্যের দিকে, মানে রাত নটা পর্যন্ত গ্রামের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অনুষ্ঠান, কেউ গান গায়, কেউ আবৃত্তি ইত্যাদি। রাত নটা থেকে এগারোটা ব্রেক টাইম – এই সময় সন্ন্যাসীরা মহাহব্বিষ্যি করে। কানে তাদের কোন শব্দ যেতে নেই – খেতে বসে কানে শব্দ গেলেই সে নাকি আর খেতে পারবে না! তাই চুপচাপ থাকে গ্রাম – সন্ন্যসীদের খাওয়া শেষ হলে শুরু হয় আসল ফাংশান।

     প্রতিবারের মত এই বারেও গ্রামের কচি কাঁচা-দের অনুষ্ঠান আমার খুব ভালো লাগলো। সবাই শ্রেয়া, অরিজিত হবে না – এটা তারাও জানে – কিন্তু তবুও এই যে বাচ্ছাদের উৎসাহ তাদের মায়েরা এই যে সময়ে গিয়ে নাচ, গান, আবৃত্তি শেখাতে নিয়ে যায় – এগুলো খুব ভাল লাগে। তেমনি কালকের কিছু ছবি আর ভিডিও কালকের অনুষ্ঠানের যেখানে নিমোর কচি-কাঁচারা অংশগ্রহণ করেছে।
     
     
  • সুকি | 49.206.133.2 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০৩740815
  • শোনা গেল যেটা, গগা বামুন  মারা যাওয়ার পর সন্ন্যাসীদের এক্সসেপশন ভিত্তিক জল খাওয়া নিয়ে খুব চাপ - কেউ সাহস করে সন্ন্যাসীদের মুখে জল তুলে দিতে পারছে না! কি অভিশাপ নেমে আসে! গগা নেহাত ডাকাবুকো ছিল বলে নিজের জীবন দাঁওয়ে লাগিয়ে জল খাওয়াতো, কিন্তু বাকি সংসারী বামুনরা সে রিস্ক নিচ্ছে না! 

    দুদিন নির্জলা উপবাস তার উপর এই গরমে সারাদিন পালকি কাঁধে হেঁটে আসা এক মারাত্মক কষ্ট। তা এই ছেলে ছোকরার দল যারা এই নতুন সন্ন্যাসী করছে তাদের পক্ষে এটা করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না সে যতই তুমি গাঁজা টানো! এ কষ্ট গাঁজা লিমিটের বাইরে। 
     


    আর এদিকে তো আগেই বলেছি গাঁজারও প্রবলেম। আগে ধরলে পুলিশে দশ দিন জেলে দিত এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ছ মাস। যে ছেলেটা খৈনি বিক্রি করে তার কাছে গাঁজা কিনতে গিয়ে সে বলল, ওরে  বাপরে আমি গাঁজার ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি, এই ছয় মাস জেল খেটে এলাম। দশ দিন জেল হত আগে - বিক্রি করতাম, জেলে যেতাম, আসতাম আবার বেচতে থাকতাম। এখন এই ৬ মাস যদি আমাকে জেলে বসে থাকতে হয় তাহলে গাঁজার যা দাম হবে তোমরা দিতে পারবে?

     রাত্রেবেলা দেখলাম নতুন সন্ন্যাসী সারাদিন এত কষ্ট নিতে পারেনি, প্রচুর গাঁজা খেয়েছে - কিন্তু সে জিনিসও সইতে পারে নি! সন্ধ্যা বেলা রাস্তার ধারে ওয়াক ওয়াক ওয়াক করছে দেখলাম

    তো সেই দেখে বাবু আমাকে বলল, "একি ওয়াক ওয়াক শুনছিস! গতবারে এ সারাদিন এসব টানতে না পেরে সন্ধ্যাবেলায় এমন বমি শুরু করল মুখ দিয়ে কুচো চিংড়ি বেরিয়ে এলো"। 

    আমি বললাম যে মুখ দিয়ে কচু চিংড়ি বেরুচ্ছে মানে? 

    উত্তর এল,  হবে না কেন! ব্যাটা আর এই নির্জলা জিনিস টানতে না পেরে সবাইকে লুকিয়ে চুপিচুপি পুকুরের জল খেয়ে এসেছে। 
    সেই পুকুরের জলে ছিল কুচো চিংড়ি আর এই বমি যখন করছে কুচো চিংড়ি বেরিয়ে আসছে বমির সাথে পুকুরের জলে সমেত!

    আমি জিজ্ঞেস করলাম,:হ্যাঁরে গগা যে মারা গেল - তাহলে গগা মারা যাওয়ার পর কি সন্ন্যাসীদের খুব কষ্ট পেলে জল খাওয়ার কোন উপায় নেই? 

     বলল যে, কে জল খাওয়াবে সে নিয়ে এখন প্রচুর ক্যাওস। কেউ ঠিক নিয়ম বলতে পারছে না  একজন নাকি ফ্রিজের জল খেতেও দিয়েছে। কিন্তু সে ফ্রিজে তো আবার একই সাথে আমিষ ছিল! আমিষ ছোঁয়া জল খেয়ে  তার নাকি রাতে বেলা পইতে ভুলে গেছে! বাবার নজর চারিদিকে। ভগবানের এমন অপার মহিমা!  আমিষ খেতে নেই আর সে আমিষ ছোঁয়া জল খেয়েছে! পইতে খুলবে নাতো কি হবে! 

    এরই মধ্যে কে একটা নতুন বামুন নাকি এসেছে তার হাতে পায়ে ধরে যারা পারছে না তারা বলছে বাঁচাও বাবা বাঁচাও আমাদের জল দাও।  সেই ফ্রিজের জল তো খাওয়া যাবেনা, তাই সে গঙ্গা জল খেয়ে তারা নিজেদের প্রাণ বাঁচাচ্ছে। কালকে নাকি দুজন মিলে পাঁচ লিটার পুরো গঙ্গা জলের জ্যারিকেনটা শেষ করে দিয়েছে এক দমে!

    আর রাতের দিকে হলো শিবপূজো, বহুদিন পর খানিকক্ষণ শিবপুজো দেখলাম। সাথে ছবিও রইল শিব পুজো আর তারপরে শিব পূজার পর কালকে হল ফল। ফল মানে সন্ন্যাসীরা আর কি নিজের বাড়ি ফল খাবে তারপর গ্রামের তো আজকাল প্রচুর বাড়ি থেকে সন্ন্যাসীদের ফল খাওয়ার জন্য ডাকছে।
     


    আমরা শিব তলায় সোনার বাংলা ক্লাবেরও ফল খাবার ডাক পড়ল।   প্রায় ছটা বাড়ি ডাক পড়লো - এদিকে ডাকল নটা মানে মানিককা ওদিকে ডাকল ভুলুরা এদিকে বনি, সনৎদা  ইত্যাদি ইত্যাদি। এবারে কত বাড়িতে গিয়ে ফল খাওয়া যায়! 

    শেষ পর্যন্ত বাপন বুদ্ধি দিল ওরে কারো বাড়ি যেতে হয় না সবাইকে বল বড় জামবাটি গামলা যাতে করে হোক এ ফল পাঠিয়ে দিতে। আমরা শিবতলায় বসে আছি এখানে বসে বসে খাই। তো দেখা গেল সেই বুদ্ধি খুব কাজ করছে। বাড়ি থেকে বাড়ি করে গাদাগাদা ফল চলে এল সন্ধ্যা বেলা 

    রাত পর্যন্ত চলল ফল খাওয়া। ফল খেয়ে পেট এত ভরে গেল যে বাড়ি যাওয়ার কিছু খেতেই পারলাম না। তো সেই ফল খেয়ে ফলের দিনটা শেষ পর্যন্ত শেষ হলো।

    তবে যা শুনলুম বাজারে ফলের দাম প্রচুর -  প্রায় দ্বিগুণ। এদিকে এখনো রোজার মাস ওদিকে গতকাল ছিল আবার শিব পূজার ফল। এই দুই মিলিয়ে যা তা অবস্থা আমাকে ছেলেরা বলল যে বাঁদরের নুনুর মত কাটালি কলার ডজন নাকি ৯০ টাকা বাজারে বিক্রি হয়েছে। তাই মনে হয় কলা আর বেশী পেলাম না, তবে সেটা দামের জন্য নাকি বাঁদরের নুনুর মতন সাইজের জন্য সেটা বলতে পারবো না!
     
  • যোষিতা | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৩740816
  • সলিড
  • Amit | 163.116.203.24 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:২৭740825
  • আরে সুকি - জাস্ট ঠাট্টা করছিলাম। অনেকেই থাকবে যারা ​​​​​​​প্রচুর ​​​​​​​টেনেও ​​​​​​​মাতাল ​​​​​​​হয়না। আবার কেউ দুপেগ টেনেই শুরু করে। :) 
     
    তবে জালি মাল প্রচুর বিক্রি হয় এইটা কিন্তু সত্যি। ভাইজাগ এ চাকরি করার সময় কয়েকটা নেভির ছেলের সাথে দোস্তি হয়ে গেছিলো। তখন ওল্ড মঙ্ক রাম আমাদের ফেবারিট ছিল। তখনই দেখেছি এমনি বাইরের দোকান থেকে কেনা রাম আর নেভি ক্যান্টিন এর রামের কোয়ালিটির পুরো আসমান-জমিন ফারাক।   
     
    এই স্নিপেট সিরিজ গুলো জব্বর হচ্ছে। 
  • Amit | 220.240.246.36 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৭740834
  • আচ্ছা এই সন্ন্যাসী দের মহাহবিষ্যি টা কি ধরণের কেস ?খেতে বসে কোনো শব্দ কানে গেলে খেতে পারবে না বললে। তো খেতে গিয়ে কারোর দাঁতে আওয়াজ হলে বা ঢেকুর তুললেও খাওয়া থামিয়ে সব পাবলিক উঠে পড়ে নাকি ? গ্লাসে জল দিলে বা খেলেও তো আওয়াজ হতে পারে। 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২৩740835
  • আমার একটা প্রশ্ন ছিল, গান - বাজনা - অনুষ্ঠান - গাজন - ড্রোন ইত্যাদিতে পলিটিক্যাল মদত কতখানি ? ফাণ্ডিং বা "উৎসাহ" দেওয়াতে ? সুকির লেখা পড়ে মনে হল, পুরোটাই শুধু গ্রামের লোকের পরিশ্রমে কিন্তু কলকাতা শহরে অন্তত এখন একটা বিশ্বকর্মা পুজোও হয়না পলিটিক্যাল সাপোর্ট ছাড়া। আইডেন্টিটিটি পলিটিক্সের প্রধান দিক এটি, বিভিন্ন গ্রুপকে পুজো - অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুশী রাখা।

    নিমো গ্রাম এর কতখানি ভেতরে বা বাইরে ?
  • সুকি | 2401:4900:4e60:3a19:5995:c737:728b:53cc | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৪740836
  • অমিতাভদা, আরে মহাহব্যিষ্যিতে শুধু বাইরের শব্দ কানে আসা কনসিডার করা হয়
  • সুকি | 2401:4900:4e60:3a19:5995:c737:728b:53cc | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৪740837
  • অমিতাভদা, আরে মহাহব্যিষ্যিতে শুধু বাইরের শব্দ কানে আসা কনসিডার করা হয়
  • সুকি | 106.196.26.155 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৬740838
  • সি এস, নিমোতে এখনো কোন অনুষ্ঠানে পলিটিক্যাল অবদান প্রায় শূন্য। সবটাই চাঁদা, জুয়ার বোর্ড, বিজ্ঞাপন, আর দোকান বসানোর ইনকাম থেকে উঠানো। গত কিছু বছর দিদি ৫০ হাজার করে দিচ্ছে দুর্গাপুজোতে - পুলিশ, দমকল, ইলেকট্রিক বোর্ডে পারমিশন করাতে হাজার দশেক খসে, বাকিটা পুজোয় কাজে লাগে। এ ছাড়া আর কোথাও পলিটিক্যাল অবদান নেই।

    শিবের কিছু দেবোত্তর জমি আছে, তার চাষবাস থেকে পুজোর খরচা এবং আড়ম্বর হয়। ফাংশন ইত্যাদি আমাদের তোলা পয়সায়
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:217d:a401:d47:fd4e | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:২৬740849
  • মহাহবিষ‍্যিতে কি খায়? মানে নামটা শুনে একটু লোভ হচ্ছে।
  • Bratin Das | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৭740851
  • ওহ সুকি ইজ ব্যাক .
     
    নিমো জিন্দাবাদ heartheart
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন