এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নিখোঁজ যন্ত্রণা 

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ মে ২০২৪ | ৪৭৩ বার পঠিত
  • মানুষ কেন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, বলা কঠিন। অনেক দুঃখকষ্ট, অনেক অভিমান বুকের মধ্যে সে পুষে রাখে। তারপর এক দিন কোথায় যেন চলে যায়। দূর থেকে সুদূরে। হয়তো দিকচক্রবাল ছাড়িয়ে কোনো অজানা জায়গা তার গন্তব্য। বাড়ির লোক কিছু দিন খোঁজে। পুলিসের কাছে যায়। মিসিং পার্সনস স্কোয়াড সক্রিয় হয়ে ওঠে। কাউকে কাউকে বাড়ি ফেরানো যায়। কাউকে কাউকে কোনো দিনও খুঁজে পাওয়া যায় না। বাড়ির লোক এক সময় হাল ছেড়ে দেয়। মিসিং পার্সনস স্কোয়াডে গিয়ে আর খোঁজ নেয় না। ফাইলে ধুলো জমে। সবাই তাকে ভুলে যায়। শুধু ভুলতে পারে না হারিয়ে যাওয়া মানুষটির সবচেয়ে প্রিয়জন। রাতে শুয়ে শুয়ে বিনিদ্র মা অপেক্ষা করে, দরজায় শব্দ হবে। হারিয়ে যাওয়া সন্তান ফিরে আসবে। কারো বা স্ত্রী অপেক্ষা করে। নানা রকম কাজে সারা দিন ব্যস্ত থাকার পর রাতে তার মনে হয়, আজও এল না। কাল হয়তো আসবে।

    যে কারুর অন্তর্ধানের পর নানা রকম গুজব রটে। এখানে ওখানে কেউ কেউ তাকে দেখতে পায়। কিন্তু নিখোঁজ মানুষটি আর ফেরে না।

    একটি ছেলে চুরাশি কী পঁচাশি সালে মাধ্যমিক পাশ করার পর আর্টস নিয়ে পড়তে শুরু করেছিল।তার কম্বিনেশনে ইতিহাস ছিল। "ছেলে হয়ে" আর্টস নেওয়া তাও ইতিহাস বেছে নেওয়ার জন্য লোকজন তাকে খোঁচা মারতে শুরু করে। সমবয়সীরা, প্রতিবেশীরা এমন কী আত্মীয়স্বজনও ক্রমাগত কথা শোনাচ্ছিল। ব্যাপারটা এক সময় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে ছেলেটি নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করে লাভ হয়নি। কখনোই সে ফিরে আসেনি।

    এই ছেলেটির অন্তর্ধানের জন্য দায়ী কে? ভাবতে বসলে দেখব, নির্দিষ্ট কেউ দায়ী নয়। সম্ভবত ছেলেটার মনের জোর কম ছিল। তবু বলব, পরিবারের লোকেদের অনেকটাই দায়। তারা কী বুঝতে পারেনি যে ছেলে ক্রমশ অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে, সব সময় মুখ ভার করে থাকছে, অবসাদে ভুগছে! লোকের কথায় কান না দেওয়ার জন্য তার বাবা মা কী তাকে বোঝাননি? কেউ ইতিহাস পড়লে প্রমাণ হয় না যে সে খারাপ ছাত্র। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে সায়েন্স নিয়ে পড়ছে। তারা সবাই কি বিরাট কিছু হচ্ছে? এই সব কথা তাকে বোঝানো উচিত ছিল। এক বার নয়, হাজারবার বোঝানো উচিত ছিল। চিন্তা করলে দুঃখ লাগে। এই ভাবে একটি কিশোরের হারিয়ে যাওয়া বিচলিত করে দেওয়ার মতো ঘটনা বৈকি।

    সাতাত্তর কী আটাত্তর সালের একটা ঘটনা বলছি যা পরিচিত এক কাকিমার মুখে অনেক পরে শুনেছি। মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে দেখতে ভালো, লেখাপড়া জানে, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় বাড়ি। ওই এলাকার বাসিন্দা একটি ছেলের সঙ্গে তার ভালোবাসা ছিল। ছেলেটির পারিবারিক শেকড় মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে তাদের অনেক জমিজায়গা। বাবা মায়ের মৃত্যুর পর ছেলেটি দাদার সঙ্গে কলকাতায় থাকত। দাদা বা ভাই জমিজায়গা দেখার জন্য পালা করে দেশে যেত।

    ছেলেটি এক দিন তার প্রেমিকাকে বলল, "আজ দেশে যাচ্ছি। ফিরে এসে বাড়িতে বিয়ের কথা বলব।" সেই তাদের শেষ দেখা। ছেলেটি আর কখনোই মেয়েটির কাছে ফিরে আসেনি। প্রেমিকের দাদার কাছে গিয়েও মেয়েটি বিশেষ কিছু খোঁজখবর নিতে পারেনি। তবে ছেলেটি ফিরে এলে সে খবর তার কাছে পৌঁছতই কারণ তারা এক পাড়ায় থাকত। অন্য দিকে বাস কী ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা পড়লে কিছু একটা তো জানা যেত। কিন্তু কখনোই ছেলেটির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এসবের কিছু দিন পরেই রহস্যজনকভাবে তার দাদা বৌদি ওই এলাকা থেকে কেটে পড়েছিল।

    এই ঘটনার কোনো তদন্ত হয়নি। কিচ্ছু জানা যায়নি৷ সে ছেলে যদি সন্ন্যাসী হয়ে গিয়ে থাকে, সেটা অবশ্য আলাদা কথা। কিন্তু যে ছেলে শিগগিরি বিয়ের কথা ভাবছিল, তার মধ্যে হঠাৎ করে এত বেশি বৈরাগ্য এসে যাবে, এটাও অস্বাভাবিক।

    ও দিকে মেয়েটি আশঙ্কা করতে শুরু করেছিল, দাদা সম্পত্তির জন্য ভাইকে খুন করে দিয়ে থাকতে পারে। হয়তো নিজে কাজটা করেনি, লোক দিয়ে খুন করিয়েছিল। গ্রামেগঞ্জে থানা অনেক দূরে দূরে। কাউকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হ'লে কী নদীতে ভাসিয়ে দিলে কে টের পাচ্ছে? টের পেলেই বা কে পুলিসের কাছে যাচ্ছে? থানা পুলিসের ঝামেলায় কেউ পড়তে চায় না। তার ওপর ছেলের বাবা মা নেই। কেউ তাকে খোঁজার গরজ দেখায়নি।

    বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করার পর মেয়েটি বিয়ে করে নেয়। সে এখন ঘোর সংসারী। প্রেমিকের এই অদ্ভুত অন্তর্ধান হয়তো এখনো তাকে কষ্ট দেয়।

    আমাদের পাড়ার এক বয়স্ক ভদ্রলোক স্ত্রী'র মৃত্যুর পর থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনো তিনি ফিরে আসেননি। হয়তো আর আসবেনও না। স্ত্রীর মৃত্যুর পর পরিবারে তাঁকে অবহেলা করা হচ্ছিল, এমন নয় কিন্তু। অনেকে বলে, শেষবার তাঁকে দমদম স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একটা বেঞ্চে বসে থাকতে গিয়েছিল। আবার কেউ বলে, ক্রমে ক্রমে ভদ্রলোকের স্মৃতিশক্তি ক্ষীণ হয়ে অাসছিল।

    সম্ভবত রাস্তায় বেরিয়ে তিনি বাড়ির ঠিকানা ভুলে গিয়েছিলেন। রাস্তায় হয়তো সাহায্য করার মতো কাউকে পাননি যে বাড়ি ফিরিয়ে দেবে। হয়তো এত দিনে তাঁর স্মৃতি পুরোপুরি লোপ পেয়েছে এবং এখনো উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে চলেছেন। সম্ভাবনার প্রতিটি জায়গাতেই হয়তো, সম্ভবত, হয়তো। নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।

    তার ওপর, স্মৃতিহীন মানুষ নিজের অস্তিত্ব থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তো বাড়ির ঠিকানা কী করে মনে রাখবে? তবে এ কথা সত্যি যে ভদ্রলোককে অনেক খোঁজা হয়েছিল।

    আমাদের পরিচিত একটি পরিবারে একজন হারিয়ে গিয়েছিল। তারা মেহনতি মানুষের পরিবার, সবাই খেটে খায়। মেয়েটি তিন ভাইবোনের সবার বড়। তাকে স্কুলে পড়ানো হয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতে পারেনি।

    বাড়ির কাজকর্ম করে তার দিন কাটছিল। নিচে একটা বোন, একটা ভাই। হঠাৎ এক দিন সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। সে দিন বেরোবার আগে মা-কে তিনবার বলেছিল, মা আসছি। তখন মায়ের কিছু মনে হয়নি। পরে গন্ডগোল বোঝা গেল।

    মেয়েটি হারিয়ে যাওয়ার পর থানাপুলিস, পার্টি সব কিছুর মাধ্যমে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি চলেছিল। পুলিস গুরুত্ব দেয়নি এমন নয়। নিখোঁজ হওয়ার তিন মাস পরে মেয়েটি বাড়িতে ফোন করে। শেষ পর্যন্ত পুনে শহরের এক নিষিদ্ধ পল্লী থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পুলিসের সহযোগিতা ছাড়া এটা হ'ত না।

    মেয়েটির প্রেমিক তাকে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর সেই মেয়ে পাচারকারী তথা নকল প্রেমিক মেয়েটিকে পুনের নিষিদ্ধ পল্লীর এক ম্যাডামের কাছে বিক্রি করে দেয়। কোনো এক দরদী কাস্টোমারকে অনেক বলে তার ফোন থেকে মেয়েটি বাড়িতে ফোন করতে পেরেছিল।

    যারা হারিয়ে যায়, হারিয়ে যাবে তাদের বড় কষ্ট। যন্ত্রণার সেই অতল দীঘির জলে আমরা কেউই সাঁতার কাটতে যাইনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য আমরা কিছু করতেও পারি না। তবু চাইব, তাঁদের মধ্যে যাঁরা বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক, তাঁরা যেন ফিরে আসতে পারেন। আর অসহনীয় অভিমান নিয়ে যাঁরা ফিরতে চান না, তাঁদের যেন চরম খারাপ না হয়। বাইরে থেকে যে রকমই মনে হো'ক না কেন, কারুর জন্যই নিজের সংসার সব সময় সদয় জায়গা নয়। সেই সঙ্গে বাইরের দুনিয়াও সোজা জায়গা নয়। তাও তো, কারুর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আমরা নাক গলাতে পারি না। স্বেচ্ছায় ফিরতে না চাইলে বেপাত্তা মানুষটি দূরেই থাকুন কিন্তু নিরাপদে। তবে কেউ কোথাও কোনো অপরাধের শিকার হয়ে থাকলে, কে সেই রহস্য ভেদ করবে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাপাঙ্গুল | ২১ মে ২০২৪ ২৩:৫৭532102
  • রমাপদ চৌধুরীর বীজ, দিব্যেন্দু পালিতের অন্তর্ধান। 
     
    আরো কিছু লেখা এ বিষয়ে আছে নিশ্চয়, এক্ষুনি মনে পড়ছে না।
  • Suvasri Roy | ২২ মে ২০২৪ ০৫:১৪532126
  • @পাপাঙ্গুল
    অন্তর্ধান উপন্যাসটা পড়েছি। বীজ পড়া হয়নি। 
    ভালো থাকবেন 
  • শমীক | 2409:40e0:1013:c727:8000:: | ২২ মে ২০২৪ ১৩:২১532147
  • কম বেশি সবারই পরিচিতি কারো হারিয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার কথা শোনার অভিজ্ঞতা আছে। আমার মামার শাশুড়ি নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন। মামার শ্বশুড়বাড়ির অবস্থা ভালো ছিল। অভাব কিছু ছিল না। বা হয়তো ছিল। বাহ্যিক না হোক মানসিক। তিনি আরও কখনও ফিরে আসেননি। আমার জেঠিমাও তাই। তবে তাঁর মাথায় গণ্ডগোল ছিল। খুব সুন্দর ভাবে আপনার লেখায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেলো। ভালো থাকবেন। আরও লেখা চাই এমন।
  • Suvasri Roy | ২২ মে ২০২৪ ১৩:২৩532149
  • @শমীক
    অনেক ধন্যবাদ।
    মত প্রকাশ অব্যাহত রাখা চাই।
  • চিত্তরঞ্জন হীরা। | 2409:4060:2e97:cffc:6cf2:15e3:e190:ade2 | ২৪ মে ২০২৪ ১৮:১৬532298
  • একটি চমৎকার স্মৃতিচারণ। ঘটনাবহুল জীবনের এইসব স্মৃতি ধরে রাখা একটি মূল্যবান কাজ।
  • Suvasri Roy | ২৫ মে ২০২৪ ০৮:০০532302
  • @চিত্তরঞ্জন হীরা
    মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। এখানে প্রধানত নিখোঁজ মানুষের কথাই বলেছি।
  • Subhas Ghosal | 49.36.181.238 | ১৫ জুলাই ২০২৪ ১২:০৭534715
  • বড়ো সুন্দার লেখা , ভাবায় কেন এমন hoi. 
  • Suvasri Roy | ১৫ জুলাই ২০২৪ ১৩:০৩534721
  • @ Subhas Ghoshal
    মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন