এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শ‍্যামা

    Sabita Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • গুরুপদ নষ্করের সম্পত্তি বলতে ছিলো বাপ-ঠাকুরদার আমলের একটা ভাঙ্গাচোরা বাড়ী - নদীর ধার ঘেঁষে। আর ছিলো বাড়ীর লাগোয়া কয়েক বিঘা চাষের জমি। এছাড়াও ছিলো ওর বুকের একটা পাষাণভার -একটা কালো মেয়ে ঢলঢলে দুটি চোখ কিন্তু কপালে শ্বেতীর দাগ জ্বল জ্বল করে । তাই গুরুপদ মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারছে না। ঘটকরা ওকে দেখলে অন্য রাস্তায় হাটে, কারণ গুরুপদ ওর শ্বেতীওয়ালা কালো মেয়ের বিয়ের পণের জন্য দু'লাখ টাকা খরচ করতে পারবে না। কিন্তু এ বিয়েতো এর কমে হয় না। তবু গুরুপদ ঘটকদের কাছে কাকুতি মিনতি করে একটা ভালো পাত্রের জন্য ।

    গুরুপদ ভাঙ্গাচোরা বাড়ীর ভাঙ্গাচোরা সংসার চালায়, ওর মা-মরা মেয়ে শ্যামা। দু'বেলা রান্নাবান্না করে, সন্ধ্যা হলে বাড়ীর আনাচে কানাচে ধুপধূনো দেয়, তুলসী তলায় সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালায়। তুলসী মঞ্চ থেকে সামান্য দূরে মঞ্চটি ঘিরে মাঝারি আকারের নানা রকমের ফুলের ঝোপ। ফুল ফোটে অজস্র। সুগন্ধে ভরপুর তুলসী মঞ্চে প্রদীপ হাতে ও একদিন দেখতে পেলো, কাঞ্চন ফুলের ঝোপের পাশে কুচকুচে কালো এক কালনাগ স্থির হয়ে ফণা তুলে, ওর প্রদীপের আলোর দিকে চেয়ে আছে। প্রথমটায় ভয় পেলেও শ্যামা বুঝলো এটা নিশ্চয়ই বাস্তু সাপ। কারো ক্ষতি করবে না।

    এর পর থেকে শ্যামা খেয়াল করলো, সাপটা রোজই আসে - ফণা তুলে স্থির হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। ও আর সাপটাকে ভয় পায় না - এটার কথা কাউকে বলেও না। ও যেন ওর গোপন অতিথি - রোজ অভিসারে আসে । একদিন না এলে খালি খালি লাগে। কার যে কিসে সুখ, কে জানে !

    এমনি করেই ঘষে ঘষে দিনগুলো কাটছিলো। বৈশাখের মাঝামাঝি, শ্যামার ভাগ্যে চন্দ্রোদয় হলো - হঠাৎ ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো। পাত্র একটু বয়স্ক - পায়ে একটা খুঁত আছে - খুঁড়িয়ে হাটে । বিয়েতে কোন দাবী দাওয়া নেই। গরীব কিন্তু ভালো বংশ, ভালো ঘর।

    খবরটা পেয়ে ঘটকদাদু থেকে গ্রামের সরলা পিসী পর্য্যন্ত সবাই খুশী । গাঁশুদ্ধ লোকের নেমন্তন্ন হয়েছে - পুই চচ্চড়ি, মাঝের ঝোল, ভাত আর বোঁদে - ভরা পেট খেয়ে আশীর্বাদ করো মা- মরা মেয়েটাকে । মাছওয়ালা মাছের দাম নেবে না বলেছে। মিষ্টির দোকানদারের দরাজ হাত - যতো ইচ্ছা বোঁদে খাও। জমিদার বাড়ী থেকে গিন্নীমা পাঠিয়েছেন - লাল বেনারসী আর সোনা বাধানো শাঁখা "আহা ! মা-মরা অভাগী মেয়েটা অবশেষে সংসার করতে যাবে !"

    বৈশাখের বাইশ তারিখে, সন্ধ্যার লগ্নে বিয়ে । গায়ে হলুদ হয়ে গেছে, হাতে, গালে আর মোটা লালপাড় শাড়ীতে হলুদের ছোপ, গলায় তুলসীর তাগা - সারা মুখে সৌভাগ্যের লাবণ্য । বেনারসীটা পরার আগে, শ্যামা প্রদীপ হাতে তুলসী তলায় এলো। ওই তো কাঞ্চনফুল গাছের পাশে চকচক করছে কালো মানিক। আজ যেন একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে। ফণা থেকে ঝরে পড়ছে পুরুষালী রাগ। কালোমানিক একটু একটু দূলছে। অন্দর মহল থেকে উলুধ্বনি শোনা যাচ্ছে, শ্যামাকে ডাকছে সবাই। আর থাকা যাবেনা এখানে। মুদু হেসে, শরীরে হিল্লোল তুলে শ্যামা প্রণাম সেরে প্রদীপ নিয়ে ঘরে চলে এলো। সেখানে এয়োরা নানান মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের কাজে ব্যস্ত। গুরুপদ তোরঙ্গ থেকে বের করেছে ওর একমাত্র পুরোনো তসরের ধুতি পাঞ্জাবী জোড়া - সেটা পরে গর্বিত পিতার মতো এদিক ওদিক দেখাশোনা করছে।

    সন্ধ্যে হয়ে গেলো। সূর্যদেব পাটে বসেছেন । নদীর পার থেকে একটা হৈ চৈ শোনা গেলো। নৌকো করে বর এসে পৌছেছে নদীর ঘাটে। উলুধ্বনি আর শঙ্খবাদনে বরকে নামানো হলো । দু'পা হাঁটলেই বিয়েবাড়ী। সরু পায়ে চলা পথ, দু'পাশে ঘেটু গাছের জঙ্গল। চলতে চলতে বরের পায়ে গোড়ালির কাছে কি যেন কামড়ালো। হ্যাজাকের আলোয় কিছু দেখা গেলো না স্পষ্টভাবে। বরকে বরণ করলেন, নব্বুই বছর বয়সী দিদা ঠাকরুণ। প্রদীপের আলোয় মুখ দেখে বরণডালা দিয়ে বরণ হোলো।

    মিষ্টিমুখ করাতে গিয়ে দিদাঠাকরুণ ভয়ে চিৎকার করে উঠলেন - "একি, জামাই এর ঠোঁট নীল হয়ে গেছে কেন?" এবার গোড়ালীর কাছ থেকে বয়ে পড়া রক্তধারা সবার নজরে এলো। কি সর্বনাশ! এতো কাল সর্পের দংশন! সারা শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়েছে! ভীড় থেকে চিৎকার উঠলো, "ওঝাকে ডাকো"। ওঝা পাশের গ্রামে থাকে। বরযাত্রীরা একটুও দেরী না করে, যে নৌকোয় বর এসেছিলো বিয়ে করতে, তাতেই রওনা হোলো সাপে কাটা বরকে নিয়ে ওঝার বাড়ীর দিকে। বাড়ীতে কান্নার রোল। গুরুপদ জ্ঞান হারিয়ে বরাসনের কাছে পড়ে আছে। কেবল শ্যামার চোখে জল নেই। চোখে ভাসতে থাকে কালো মানিকের হিংস্র চোখদুটি। মনে মনে বলে "এটা তুমি কি করলে কালো মানিক? এ সবের কি কোন দরকার ছিলো?"

    বাড়ীর কেউ সারারাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারলো না। যতো দুঃখেরই হোক সব রাত্রিই একদিন শেষ হয়। ভোর হবার মুখে, গ্রামের দুটি ছেলে ফিরে এলো ওঝার বাড়ী থেকে দুঃসংবাদ নিয়ে - সব শেষ। কিছু করতে পারলো না ওঝা। বরযাত্রীরা এখনও সেখানে বসে আছে।

    আর তো কোন আশা নেই। শ্যামা এখন কি করে ? বেনারসী খুলে, খোঁপার জুঁই ফুলের মালাটা ছিড়ে বিছানায় উপুড় হয়ে কাদতে লাগলো। সৌভাগ্য কাছে এসেও হারিয়ে গেলো। গুরুপদ এ যে মূর্ছা গিয়েছিলো আর সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে পারলো না - বিছানাতেই এলিয়ে পড়লো ।

    আবার সূর্য ওঠে, রাত হয়। বেদনার কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ ভাঙ্গাবাড়ীতে দিন যেন আর কাটেনা। অসুস্থ পিতা আর লগ্নভ্রষ্টা কন্যা - আশাহীন দিশাহীন জীবন যাপন করে। চোখের জলও শুকিয়ে গেছে।

    তবু শ্যামা তুলসীতলায় প্রদীপ দেখাতে যায় প্রতি সন্ধ্যায়। সেই হিংস্র সরীসৃপ রোজ দেখা দেয়। শ্যামা সেদিকে ফিরেও তাকায় না। রাগে অপমানে শ্যামার চোখে আগুন জ্বলে। একদিন যায়, দু'দিন যায়, দিনের পর দিন যায় একই ভাবে ।

    সময়মতো বসন্ত এসে গেলো। বকুল গাছের নীচে ফুল ছড়িয়ে আছে। কৃষ্ণচড়া গাছ লাল হয়ে যেন নেশা ধরাচ্ছে। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস - প্রাণটা উদাস উদাস লাগে। যে মানুষটা ওর জীবনে আসতে গিয়েও এলো না, যাকে ও কখনও চোখে দেখলো না, তার কথা ভেবে বুকটা ভারী লাগে। বাবার কথা মনে হলেই সব চিন্তা এলোমেলো হয়ে যায়। শোক থিতু হলে লোকজনের ভীড়ও কমে যায়। মাঝেমাঝে কেউ কেউ আসে - রোজ আসে কেবল একজন। শ্যামার বাচ্চাবেলার খেলার সাথী গোপাল। শ্যামার জীবন নিয়ে ভাগ্যের ছিনিমিনি খেলা - ওদের দুজনকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। শ্যামার কাছে বসে পাঁচরকম কথা বলে ওর দুঃখ ভোলায়। মুখে হাসি ফোটায়। শ্যামার বাবার ওষুধপত্র মনে করে কিনে আনে। ওদের হাটবাজার করে দেয়। সবসময় ছেলেটা পুরোনো বন্ধুর পাশে থাকে।

    এখনও প্রতি সন্ধ্যায় শ্যামা প্রদীপ দেখাতে আসে। সঙ্গে থাকে গোপাল, আর একটু দূরে গাছের আড়ালে উপস্থিত থাকে সেই কালসর্প - স্থির, হিংস্র। তক্কে তকে আছে যেন অসহ্য বিদ্বেষ - রোজ প্রতিনিয়ত।

    সেদিন শনিবার - গোপাল গেছে ভগবানপুরের হাটে। শ্যামাদের জন্য বাজার করতে। সন্ধ্যে নামে নামে। গোপাল এখনও ফিরলো না কেন কে জানে! শ্যামা একাই গেলো তুলসী তলায় প্রদীপ হাতে। মনে অনেক ভাবনা - বাবার জন্য, গোপালের জন্য। এই ভাবনার জালের মধ্যে থেকেই হঠাৎ দেখতে পেলো - কালোমানিক ওর দিকে বিদ্যুতের গতিতে এগিয়ে আসছে। কিন্ত কেন? ভয় পেয়েও শ্যামা কিছু করতে পারলো না। ওর হাঁটু পর্য্যন্ত পাদুটি জড়িয়ে ধরে, কালো মানিক ওর বুকে মারলে একটা হিংশ্র ছোবল। তারপর আরও একটা। আবার .... বারংবার দংশনে মেয়েটি নেতিয়ে পড়লো। চিৎকার করারও সময় পেলো না, ঢলে পড়লো মৃত্যুর কোলে। ওর অসুস্থ বাবা বারবার ডাকছে শ্যামার নাম ধরে - কিন্তু হায়, সে ডাক, এলোমেলো বাতাসে হারিয়ে গেলো । শ্যামা তুলসীতলার মাটিতে শুয়ে রইলো। একা, মৃতা অনাদৃতা, সারা রাত।

    সকালে যারা ওদের বাগানে ফুল তুলতে আসে, তারা আবিষ্কার করলো মৃত্যুর আলিঙ্গনে নীল হয়ে যাওয়া শ্যামার মৃতদেহ। ধীরে ধীরে সারা গ্রামের মানুষ এসে ভীড় করছে। সম্ভব অসম্ভব নানা কথা আলোচনা হচ্ছিলো। ওর বাবাকে খবর দিতে গিয়ে দেখলো পঙ্গু মানুষটি উৎ্কর্ণ হয়ে আছে শ্যামার খবর জানবার জন্য, তাকে জানানো হলো মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা। বৃদ্ধ অশক্ত পিতা একবার ক্ষীণ কণ্ঠে শ্যামা বলে ডেকে, সেই যে চোখ বন্ধ করলো, আর চোখ মেললো না।

    গ্রামের লোকেরা এবার চিন্তা করতে লাগলো এই মৃত মানুষ দুটির অন্ত্যেষ্টির কথা। এর মধ্যেই গাড়ী করে বড়োবাবু সমেত একদল পুলিশ হাজির ৷ অনেককে জিজ্ঞাসা-বাদ করলো, দেখলো, শুনলো - তারপর যথাযথ শেষকৃত্যের অনুমতি দিয়ে চলে গেলো ।

    গ্রামের মেয়ে বউরা শ্যামাকে বড় ভালবাসতো। ওরা একসঙ্গে হয়ে শ্যামার নীল হয়ে যাওয়া শরীরে চন্দন মাখিয়ে দিলো। পরিয়ে দিল সেই লাল বেনারসীটা, যেটা পরে ওর বিয়ে হবার কথা ছিলো। গ্রামের ছেলেরা কলাগাছ কেটে তৈরী করলো একটা সুন্দর ভেলা ৷ তাতে শোয়ানো হলো শ্যামার সুগন্ধী দেহ। গ্রামের সব ফুলগাছ খালি করে অজস্র ফুল দিয়ে সাজানো হলো শ্যামার শরীর। কাঠি পোঁতা হলো ভেলার চারদিকে, তাতে ঝোলানো হলো ফুলের লম্বা মালা, শেকলের মতো করে, যাতে কোন অশুভ শক্তি শ্যামাকে স্পর্শ করতে না পারে। পুরুত মশাই মন্ত্র উচ্চারণ করে শান্তিজল ছিটিয়ে দিলো। নদীর ধারে অপেক্ষমান মানুষগুলো সজলনয়নে তাকিয়ে আছে। ভেলাটিকে ঠেলে নদীর স্রোতের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হোলো। কিন্ত ওটা কী? কী করে হয়?

    সবাই অবাক হয়ে দেখলো, শ্যামার বুকে যে সাদা ফুল ছড়ানো আছে, তার ওপর শুয়ে এক দীর্ঘ কুচকুচে কালো সরীসৃপ, গুটিয়ে গোল হয়ে।

    একটা দমকা বাতাসে ভেলাটা আরও অনেকটা এগিয়ে গেলো মাঝ নদীতে নিয়তির স্রোতের টানে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 165.1.200.97 | ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৭530361
  • এই গল্পটা আপাতদৃষ্টিতে খুব সাদাসিধে, কিন্তু এর মধ্যে নিয়তি ও দৈব নিয়ে একটা পরাবাস্তব অন্ধকার আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন