এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নারীদের ভোটাধিকার ও মুক্তির পথ

    Antara Mondal লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৮৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • নারীকে তার মৌলিক অধিকার অর্জনের জন্য বহু পথ পেরোতে হয়েছে। তাঁদের এই অধিকার আন্দোলনগুলো আঁকাবাঁকা পথে এগিয়েছিলো, এগিয়ে পিছিয়ে,আবার কখনওবা মুখ থুবড়ে পড়েছে আবার উঠে দাঁড়িয়েছে।তবে, এগুলো সমান্তরাল ভাবে চলা বিপ্লবী আন্দোলন থেকে পুষ্ট হয়েছে বরাবরই।আমরা সমাজতান্ত্রিক চীনের ক্ষেত্রে দেখেছি, মৌলিক অধিকার অর্থাৎ ভোটাধিকার, জীবনসঙ্গী নির্বাচনের স্বাধীনতা, সম্পত্তির মালিকানা, বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার ইত্যাদির দাবীতে চলা নারীদের আন্দোলন চীনের জনসাধারণের জাতীয় মুক্তির দাবিতে তৈরী চীনের বিপ্লবী আন্দোলন থেকে সহায়তা পেয়েছিলো।
     
    নারীদের একটি অন্যতম মৌলিক অধিকার হলো ভোটাধিকার। বিভিন্ন দেশে নারী ভোটাধিকার অর্জন করেছে বিভিন্ন সময়ে‌। যদিও এটা তারা সহজে পায়নি। নারীর ভোটাধিকার অর্জন দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। গত শতকের শুরুতেও প্রথম বিশ্ব অর্থাৎ ইউরোপের দেশগুলোতে নারীর ভোটাধিকার ছিলো না। ইউরোপের দেশগুলোতে সর্বপ্রথমে নারী পূর্ণ ভোটাধিকার অর্জন করে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়াতে কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে বিপ্লবের পরে। 
     
    নারীর ভোটাধিকার অর্জন গুরুত্বপূর্ণ কেন? 
     
    নারীর ভোটাধিকার অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার।সম রাজনৈতিক অধিকার ছাড়া কেউই - কোন রাষ্ট্রই নারীকে তার প্রাপ্য জায়গা বাকি মৌলিক অধিকার দেয়নি। রাষ্ট্র সবসময় চেয়েছে নারীকে তার জীবনের রাজনৈতিক দায়িত্ব কর্তব্য থেকে সবসময় দূরে সরিয়ে রাখতে। কিন্তু পারেনি। গত শতকের শুরু থেকেই প্রায় সমস্ত দেশেই নারী এগিয়ে এসেছে ধীরপায়ে তার সম রাজনৈতিক অধিকার অর্জনে। শ্রেনী বিভাজিত সমাজে পুরুষের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে, রাজনৈতিক অধিকারহীন দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে না থেকে নারী এগিয়ে এসেছে সমাজে, পার্টিতে, সরকার গঠনে ,সংসদে তাঁদের ভূমিকা বজায় রাখতে, তাঁদের মৌলিকত্ব রক্ষার্থে এবং পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়তে এবং সমাজের উপরিকাঠামোয় পরিবর্তন তৈরীতে নারী মুক্তির দাবিতে।গত শতকের শুরুর দিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলগুলির ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ নারীর এই মৌলিক অধিকার অর্জনে। ক্রমশঃ ইউরোপীয় দেশগুলোতে এবং আমেরিকায় নারী ভোটাধিকার পায় তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যেগুলো মূলত ইউরোপীয় দেশগুলোর কলোনী ছিলো সেখানে নারীর ভোটাধিকার তখনও স্বীকৃত হয়নি। 
     
    ভোটাধিকার অর্জন আন্দোলনের ইতিহাস: 
     
    সমগ্ৰ পৃথিবীতে নারী ভোটাধিকার পেয়েছে লড়াই করে। আমেরিকা, ইউরোপসহ সমস্ত জায়গাতেই।১৮৯৩ সালে নিউজিল্যান্ড এর নারীরা ভোটের অধিকার অর্জন করেন,এটাই ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে নারীর সর্ব প্রথম ভোটের অধিকার অর্জন।

    ব্রিটেনের এমেলিন প্যাঙ্কহার্স্ট ১৯০৩ সালে নারীর ভোট দেওয়ার মৌলিক অধিকারের জন্য Women's Social and Political Union নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।এই সংগঠনের মহিলা কর্মীরা বহু ব্যঙ্গ বিদ্রুপের এবং ঘৃণা বিদ্ধেষের শিকার হন এবং শেষ পর্যন্ত ১৯১৮ সালে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান প্রথমবারের মতন তাও শর্তের বিনিময়ে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট শর্ত দিয়েছিলো সম্পত্তির মালিকানা থাকলেই তবে ভোট দেওয়া যাবে। পূর্ণ ভোটের অধিকার পেতে আরো পথ পেরোতে হয়েছে ব্রিটিশ নারীকে।

    এরপরে,১৯২০ সালে আমেরিকার নারীরা ভোট দেওয়ার অধিকার লাভ করেন।তবে তীব্র বর্ণ বিদ্ধেষের কারণে কালো বর্ণের নারীদের ভোট দিতে দেওয়া তখনও হতো না নানারকম ছুতোয়।
    সোভিয়েত ইউনিয়নে বিপ্লবের বিজয়ের পর নারীর পূর্ণ ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছিলো এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমস্ত দেশেই নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়।

    এছাড়াও জাপানের নারী ১৯৪৭ সালে, সুইজারল্যান্ডের নারীরা ১৯৭১ সালে ভোটাধিকার পান। সুইজারল্যান্ডের মতন প্রথম বিশ্বের দেশেও নারীর ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়েছে মাত্র কিছু বছর আগেই। সেখানে দাঁড়িয়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশে নারীর ভোটাধিকার স্বীকৃত হলেও তারা কতটা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারতো সেই বিষয়ে একটি আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

    ভারতবর্ষে নারী ভোটাধিকার পায় স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালে দেশের সংবিধান স্বীকৃত হবার পরই। ইংল্যান্ডের কলোনী হওয়ায় সেদেশের মতনই শুধুমাত্র তাঁরাই ভোট দিতে পারতো যাদের জমির মালিকানা ছিলো। পরবর্তীকালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই নীতির পরিবর্তন করা হয়। 
     
    ভোটাধিকার অর্জনের মাধ্যমে নারীর কী সত্যিই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে? 
     
    আমার দেশ ভারতবর্ষ। এখানে নারী ভোটাধিকার পায় ১৯৫০ সালে। কিন্তু ভোটাধিকার কী দেশের নারীর অবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটিয়েছে? পরাধীন থাকার পর দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালন ও করে ফেলেছে বিগত বছরে। হয়েছে বিরাট উদযাপন, প্রচার। কিন্তু আমাদের মেয়েদের মায়েদের অবস্থা এখন কেমন? আসুন দেখি- 
     
    ১. সাল ২০২৩, মাস জুলাই। হঠাৎই সারাদেশে তোলপাড়, ছি ছি। খবরে শিরোনামে তখন দগদগে ক্ষতর মতন দেখাচ্ছে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ও পরে গণধর্ষণের হেডলাইন।এক্স হ্যান্ডেলে ভাইরাল সেই ভিডিও। শিউরে উঠেছিলাম খবরটা ছড়িয়ে গেছিল বিশ্বজুড়ে।
     
    ২. স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে জেল থেকে ছাড়া পেলেন বিলকিস বানোর গণধর্ষণকারীরা। কি অজুহাতে? তারা ক্ষমতার মাথায়, ব্রাহ্মণ। গুজরাট সরকারের তৈরী মাননীয় উপদেষ্টা দলের মতে ব্রাহ্মণরা এরূপ কোন অন্যায় করতেই পারেন না। ভাবা যায়? একটি গণতান্ত্রিক দেশে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে কারণ তারা জাতে উচ্চবর্ণের হিন্দু তাই। এই কী গণতন্ত্র, নারীর পক্ষে সমাজ? 
     
    ৩. নদীয়া জেলার হাঁসখালিতে ধর্ষণ এবং পরে খুনের ঘটনার শিকার এক নাবালিকা। গণধর্ষনের পর খুন করে তার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। রাজ্যে রয়েছে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন “মেয়েটি আদৌ ধর্ষিতা হয়েছে নাকি প্রেগন্যান্ট নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিলো?”
     
    ৪. চুরির অপরাধে বিবস্ত্র করে মারধর করা হলো মালদহের দুই নারীকে। 
     
    ৫. ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলায় চার জন উচ্চবর্ণের পুরুষ ১৯ বছর বয়সী দলিত তরুনী মেয়েকে গণধর্ষণ করে হত্যা করে। অভিযোগ ওঠে,ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ পরিবারের অনুমতি ছাড়াই মেয়েটির সৎকার করে দেয়। এ নিয়ে খবর যে সাংবাদিক করেন তাঁর শাস্তি হয় কালাআইন, ইউএপিএ-তে।
     
    ৬. বিজেপির নেতা ও লোকসভার সদস্য এবং ভারতের রেসলিং ফেডারেশন এর সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে বসেন অলিম্পিক পদক পাওয়া সাক্ষী মালিক সহ আরো বহু নারী এবং পুরুষ। প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড়। প্রতিবাদে সামিল হন ভিনেশ ফোগট এবং গীতা ফোগট’রাও।
     
    এগুলো ছাড়াও অহরহ ধর্ষণ, ইভটিজিং,যৌন নির্যাতনের মতন ঘটনা ঘটে চলেছে‌ প্রতিনিয়ত। পশ্চিমবঙ্গের বুকে কামদুনি - পার্কস্ট্রিট এর মতন ঘটনা, হায়দ্রাবাদে ডাক্তারি ছাত্রীর গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারা,কাশ্মীরে নাবালিকা আসিফার ধর্ষণ এবং খুন সহ বিভিন্ন সময়ে দলিত নারীদের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা অহরহই বেড়ে চলেছে দেশে। এছাড়াও রয়েছে ডাইনি বলে গনপিটুনি, বধূহত্যা, অ্যাসিড অ্যাটাক, নাবালিকা পাচার, অফিসের সহকর্মীর দ্বারা যৌন নির্যাতনের ঘটনা, কন্যা ভ্রুণ হত্যার মতন ঘটনা। সামনে এসেছে স্ত্রীর সাফল্য রুখতে স্বামীর দ্বারা স্ত্রীর হাত কেটে নেয়ার মতন ঘটনাও‌। খবরে দেখেছিলাম, সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে টিউশনে যাওয়া বন্ধ করেছে উত্তরপ্রদেশের সরকার, তাতে নাকি মেয়েদের সম্মানহানির ভয় থাকবে না। করোনার পর স্কুলছুট, অল্প বয়সে বিয়ে ইত্যাদিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

    তাহলে আমরা দেখলাম, ভোটাধিকার পাওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতার এত বছর পরেও নারীদের অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। পিছনে ফিরলে দেখতে পাই, গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষের গর্ব সেনাবাহিনীর (আসাম রাইফেলস) দ্বারা মণিপুরে মনোরমা নামক এক নারীর গণধর্ষণ ও গুলি করে হত্যার ঘটনা। পরবর্তীকালে মণিপুরের মায়েদের প্রতিবাদ এবং ইরাম শর্মিলা চানু’র অনশনের ঘটনাও বিখ্যাত। 

    আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মহিলাদের অবস্থা আরো অথৈবচ, পুলিশ-সেনাবাহিনীর হাতে যৌন নির্যাতন ও হেনস্থার ঘটনা আজকাল কমন হয়ে গেছে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে। স্থানীয় সংবাদপত্র গুলিতে দেখা যায়, মাওবাদী সন্দেহে নারীদের স্নানের জায়গার মতন ব্যক্তিগত গোপনীয় স্পেসেও পুলিশের ঢুকে পড়ার, উঁকিঝুঁকি মারার খবর।
     
    উপসংহার: সেই সুদূর অতীত থেকে আজ অব্দি নারীকে তার রাজনৈতিক সামাজিক অধিকার রক্ষায় যখনই প্রতিবাদে নামতে হয়েছে তখনই তারা আক্রান্ত হয়েছে রাষ্ট্রের দ্বারা, কখনও বা রাষ্ট্রের কারবারিদের দ্বারা।

    নারী ভোটাধিকার পেয়েছে বহু বছর পার হয়েছে কিন্তু আজ ও সমাজে রাষ্ট্রে নারীর নায্য সামাজিক অধিকার রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে কী? পেরেছে কী নারী পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়তে? পুরুষতন্ত্রকে সমূলে উৎপাটন করতে? 

    উপরের উদাহরণগুলো মনে হয় সেদিকে ইঙ্গিত করে না। সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব থাকলেও নারীর অবস্থার সেরূপ উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন ঘটে নি। আজও তাঁরা আক্রান্ত, অসহায়, ধর্ষিতা।

    তাহলে কী নারীর অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়? 

    অবশ্যই সম্ভব। নারীর সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন তখনই সম্ভব যখন সমাজের উপরিকাঠামোয় পরিবর্তন‌ না হয়ে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ভিত্তিতে পরিবর্তন হবে। পুরুষের মতন শুধু ভোটাধিকার নয়, পুরুষের মতন নারী যখন সম্পত্তিতে ও উৎপাদনের ভিত্তিতে সমান অধিকার অর্জন করবে তখনই তার সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়া সম্ভব বাস্তবিক অর্থেই। নারী স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন উৎপাদন যন্ত্রে নারীর অধিকার, সমকাজে সম মজুরি, শিক্ষার সমান অধিকার,বালিকা বয়সে বিবাহ বন্ধ করা, শিশু শ্রম বন্ধ করা, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে সমানতা স্বীকৃত হওয়া ইত্যাদি। এগুলোর একটিও উৎপাদনের ভিত্তিতে পরিবর্তন না আসা অব্দি পুরোপুরিভাবে সম্ভব নয়। এরজন্য প্রয়োজন সর্বহারা নারীর বিপ্লবে অংশগ্ৰহণ, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে। বুর্জোয়াশ্রেণীর মহিলাদের ভোটাধিকার আন্দোলন উপরিকাঠামোয় পরিবর্তন‌ আনলেও তা সমাজের সর্বস্তরের পরিবর্তন আনতে পারেনি এর কারণটাই হলো শাসকশ্রেণীর মহিলারা শাসকের হাতের পুতুলমাত্র এবং এরাও শাসকের হাতে নির্যাতিত। সাম্প্রতিক ভারতবর্ষের কুস্তিগির আন্দোলন সেকথাই প্রমাণ করে আবার। কারণ বিদ্রোহী কুস্তিগিররা প্রত্যেকেই ছিলেন শাসকশ্রেণীর সমর্থক, এদের হয়ে তারা ভোট প্রচারও করেছেন একসময় কিন্তু যৌন নির্যাতিত হয়ে আজ তাঁদেরই প্রতিবাদে নামতে হয়েছে।

    বিশ্ববিপ্লবের মহান শিক্ষক এঙ্গেলস বলেছেন: 
    “নারীদের মুক্তি এবং পুরুষের সঙ্গে তাঁদের সমতা অসম্ভব, এবং সেটাই থাকবে যতদিন তাঁদের সামাজিক উৎপাদন থেকে বাদ রাখা হবে। মুক্তি বাস্তব হবে একমাত্র যখন নারীদের ব্যাপকভাবে সামাজিক উৎপাদনে নিয়ে আসা সম্ভব হবে”।

    সমাজতান্ত্রিক চীনে কমরেড মাও এর নেতৃত্বে “যা কিছু পুরুষেরা করতে পারে তা একজন নারীও করতে পারে” - এই স্লোগানকে সামনে রেখে সামাজিক উৎপাদনে নারীদের প্রবেশ ঘটেছিলো। এইভাবেই সমাজতান্ত্রিক চীনে নারী সামন্ততান্ত্রিক বন্ধন গুলি থেকে নিজেদের বের করে এনেছিলো।

    ঠিক একইভাবে ভারতবর্ষেও নারীদের সামাজিক উৎপাদনের ভিত্তিতে নিয়ে আসতে হবে, নিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে এখনই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন