এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দেশ বিভাজনের খেলা (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২০০ বার পঠিত
  • দেশ বিভাজনের কথা বললে প্রথমে ভাবতে হবে আদিকাল থেকে মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা ধর্মীয় মনোভাব এবং তার ক্রম বিবর্তন। বিভিন্ন ধর্ম, উপ-ধর্মের সৃষ্টি এবং মনুষ্য জাতি, গোষ্ঠী, উপ-গোষ্ঠীর সৃষ্টি ও বিবর্তন। পৃথিবীতে এত বেশী গোষ্ঠী, উপ-গোষ্ঠী তৈরী হয়েছে ধর্ম এবং অন্যান্য কারণে তা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। বিভেদের ইতিহাস এত প্রকট যে বিভিন্ন গোষ্ঠী স্বতন্ত্রভাব রক্ষা করে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়,  অন্যান্য গোষ্ঠীর ওপরে নিজেদের কর্তৃত্ব ফলাতে চায়। রাজনৈতিক এবং অনুন্নতের ওপর উন্নতের শোষণও অনেকক্ষেত্রে দেশ বিভাজনের কারণ। পৃথিবীর বুকে মানুষের পদচারণ যত দৃঢ় হয়েছে, মানুষে মানুষে বিভেদ তত বেড়েছে। সহ্য শক্তি তত কমেছে, একসাথে চলার ইচ্ছে তত কমেছে।

    যদি অখন্ড ভারতবর্ষের কথা ধরা যায়, সেখানেও মানুষে-মানুষে, জাতিতে-জাতিতে বিরোধ ছিল না - একথা কোনোভাবেই বলা যাবে না। বরং যত দিন এগিয়েছে বিরোধ তত বেড়েছে। বিরোধের ছোট চারা গাছে নিয়মিত জলসিঞ্চন করেছে ব্রিটিশরা এবং এদেশের রাজনৈতিক নেতারা। কিছু নেতা অবশ্যই ছিলেন যারা বিরোধিতার আবহ মুছে দিয়ে একত্রিত ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছেন দেশ বিভাজন রুখতে। তবুও রাজনৈতিক কারবারিদের কারণে, তাদের উচ্চাভিলাষের কারণে শেষ অব্দি ভারতবর্ষের বিভাজন আটকানো যায়নি। মুসলমানের জন্য তৈরী হয়েছিল পাকিস্থান আর বাকী অংশ নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বলে দাবী করেছিল। সেই অংশের সংবিধানে অবশ্য "সেক্যুলার" কথাটির উল্লেখ আছে। কিন্তু পাকিস্থান জন্ম থেকেই ইসলামিক দেশ হিসেবে নিজেকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। যদি ধর্মের দিক থেকে ভাবা যায়, তাহলে খুব ভালো ছিল এই বিভাজন। মুসলিমদের জন্য আলাদা দেশ আর বাকীটা নিশ্চয়ই হিন্দুদের জন্য। নিজেরা নিজেদের মতো করে বসবাস কর। 

    কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখতে পেলাম? ভারতবর্ষ থেকে বেশ কিছু মুসলিম পাকিস্থানে চলে গেলো, মনে ইসলামের স্বর্গরাজ্যের স্বপ্ন নিয়ে। পাকিস্থান তাদের কাছে জন্নত। আবার বেশীরভাগ মুসলিমদের মনে সন্দেহ ছিল বলে তারা পাকিস্থানে যায়নি, এদেশেই থেকে গেছে। যারা এদেশ থেকে স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্থানে চলে গেল, তাদের সেখানে "মুজাহির" বলে ঘোষণা করা হল এবং তারা হয়ে গেল জন্নতের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। ইসলামী রাষ্ট্রে মুসলমানদের স্থান হলো না। বাংলার যে অংশটিকে পাকিস্থানের অংশ করে দেওয়া হল, সেখানে মুসলিমের সংখ্যা বেশী। সুতরাং তাদের ক্ষেত্রেও বলা যায়, তারা জন্নতে স্থান পেলো। বাস্তবে সেখানেও দেখা গেল, সংখ্যালঘু হিন্দুরা যেমন এদেশে পালিয়ে এলো ঘর-বাড়ি ছেড়ে, তেমনি প্রচুর মুসলমান এদেশে পালিয়ে এলো তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে। হিন্দুদের ক্ষেত্রে একটা ধার্মিক যুক্তি থাকলেও মুসলমানদের ক্ষেত্রে পালিয়ে আসার কারণ যাই হোক না কেনো, ধর্ম দিয়ে তা ব্যাখ্যা করা যায় না। স্বর্গ ছেড়ে নরকে আসার তো কোনো ধর্মীয় যুক্তি থাকতে পারে না। এরপরে দেখা গেলো পাকিস্থানে যে সংখ্যক মুসলমান বাস করে তার তিনগুণ মুসলমান ভারতবর্ষে বাস করে। তাহলে ধর্মের নামে দেশভাগের পরিণাম কি হল?

    ধর্মের নামেও শেষ অব্দি পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখা গেল না। ভেঙে দু-টুকরো হয়ে গেল। সৃষ্টি হলো বাংলাদেশের। ভাষা-সংস্কৃতি-অর্থনীতি ইত্যাদি বড় হয়ে দেখা দিল ধর্মের থেকে। পাকিস্থানের দুই অংশেই মুসলমান বাস করলেও তাদের সংস্কৃতি আলাদা, রুচি আলাদা, ভাষা আলাদা ইত্যাদি ইত্যাদি। পাকিস্থানের পশ্চিম অংশের থেকে পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক মজবুত। তবে কেনো পশ্চিম অংশের প্রাধান্য মেনে নিতে হবে? পূর্ব অংশের থেকে কেউ কেনো প্রধানমন্ত্রী হবে না? বাংলা ভাষা কেনো রাষ্ট্র-ভাষা হবে না? শেষ অব্দি পূর্ব-অংশে বিদ্রোহ তৈরী হল এবং পাকিস্থান ভেঙে দুই খন্ড হয়ে গেল। 

    পাকিস্থানের পশ্চিম অংশেও তৈরী হয়েছে সেই একইরকম বিদ্রোহ। কেনো শুধু সিন্ধু প্রদেশের প্রাধান্য থাকবে? বালুচিস্থান, পাক-অধিকৃত কাশ্মীর, গিলগিট-বালতিস্থান, সব জায়গাতেই ধীরে ধীরে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে এবং ক্রমশঃ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তারমানে শুধু ধর্ম নয়, আরও অনেক বিষয়েই মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরী হয়েছে এবং হচ্ছে। ধর্ম হয়তো প্রাথমিক বিষয় হতে পারে আবার নাও পারে (কারণ বাংলাদেশ থেকে মুসলিমদের এদেশে চলে আসাকে কিভাবে ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে?)। তবে ধর্ম যদি প্রথম বিষয় হয়, পরবর্তীতে অবশ্যই সংস্কৃতি, ভাষা, রুচির প্রাধান্য এবং আরও অনেক বিষয় চলে আসে যেখানে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি হয়। তারপরে একটা সময় আসে যখন সেই বিভেদের মাঝখানে পাঁচিল তুলতে হয়।

    আবার মনুষ্যজাতি স্বীকার করুক বা নাই করুক, দেশ বিভাজনের পেছনে রাজনৈতিক কারণও আছে। এখানে অবশ্য ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে ভাগ করে গেছে - এইধরনের উদাহরণ দিতে চাইছি না। রাজনৈতিক কারণ বলতে অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো বা অন্য দেশের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে প্রশ্রয় দেওয়া বা সম্ভাব্য শত্রুর শক্তিকে লঘু করার প্রচেষ্টার কথা বলতে চাইছি। পাকিস্থানের দু-ভাগ হওয়ার পেছনে ভারতবর্ষের হাত ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার পেছনে আমেরিকার হাত ছিল। জার্মান ভাগ হওয়ার পেছনে ব্রিটিশ ও আমেরিকার হাত ছিল। অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। নিজের প্রাধান্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন দেশ অনেকরকম কার্যকলাপ করে এসেছে আজ অব্দি।

    এককথায় যদি দেশ বিভাজনের কারণ ব্যাখ্যা করতে হয় তাহলে বলতে হয়, "Predominance of one over another". আরও অনেকভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো, বিজয়ীরা সাময়িক উল্লাস করলো হয়তো, বিজিতরা যে সমস্যার মধ্যে পড়লো বা বিজিতদের মানসিক অবস্থা-অর্থনৈতিক অবস্থা-সামাজিক অবস্থার যে চূড়ান্ত অবনতি হলো, আগামী দুই তিন প্রজন্ম যে সঠিকভাবে মনুষ্য-জীবনযাপন করতে পারবে না, তার হিসেব কে রাখবে? বিজয়ীরাও উল্লাস করলো বটে তবে নিতান্তই সাময়িক। মূল রাজনৈতিক দল ভেঙে কোনো দল তৈরী করে মূল দলকেই অপ্রাসঙ্গিক করতে একমাত্র ইন্দিরা গান্ধী পেরেছিলেন, তাছাড়া আজ অব্দি কেউ পারেনি। বরং নিজেরাই ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন রাজনীতিতে। একইভাবে মূল দেশ থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ব-মানচিত্রে উজ্জ্বল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে খুব কম দেশ। বেশীরভাগ দেশই রিকেটগ্রস্ত হয়ে পড়ে। 

    অখন্ড ভারতবর্ষের যে অংশটিকে ভারতবর্ষ নাম দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়েছিল নেহেরু-প্যাটেল-আজাদের হাতে, ১৫-ই আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখে, সেই দেশটি নতুন হলেও মূল দেশ ছিল বলে বিগত ৭৫ বছরে উন্নতি করতে পেরেছে। এখনও উন্নতি করে চলেছে, যা হয়তো অনেক দেশের কাছেই ঈর্ষার বিষয়। কিন্তু বাকী দুটি দেশ, পাকিস্থান এবং বাংলাদেশ ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলেন পাকিস্থান আশির দশক অব্দি ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল, তারপরে পেছোতে শুরু করে। তারা আমেরিকার অনুদানের কথা ভুলে যান বা চেপে যান। গত শতাব্দীর প্রায় পুরোটা জুড়েই পাকিস্থান আমেরিকার অনুদানে বেশ ভালই চলছিল। পঞ্চাশের দশক, ষাটের দশকে এশিয়া মহাদেশের (জাপান ছাড়া) কোন দেশের কত উন্নতি হয়েছে সেই তুলনামূলক চিত্র যাই থাক না কেন, সেটা কি সেই রাষ্ট্রের সঠিক বিকাশের চিত্র ছিল? মূল সমস্যা তো এসেছে আরও পরে, জনসংখ্যার বিস্ফোরণের পরে। জন বিস্ফোরণের পরেই তো বোঝা গিয়েছে সেই দেশের অর্থনীতি কতটা সেই বিস্ফোরণের চাপ নিতে পেরেছে বা পারছে। যেখানে ভারতবর্ষ ১৫০ কোটি জনসংখ্যার চাপ সহ্য করে উন্নতি করে চলেছে এখনও সেখানে পাকিস্থান বা বাংলাদেশ অনেক আগেই ঝিমিয়ে পড়েছে। চীনের আর্থিক সাহায্যে হয়তো তারা চাপ কিছুটা সহ্য করতে পারছে এখনও কিন্তু অন্যের সাহায্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যায় না কোনোদিন। ফলে বিপদের শঙ্কা যথেষ্ট এবং যে কোনোদিন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে তাদের অর্থনীতি। চীন মাথার ওপর থেকে হাত তুলে নিলেই ব্যাস। যেখানে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া এবং ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে, সরকার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, সেখানে মানুষজন কি ধর্ম ধুয়ে জল খাবে? নিত্য সংসার চালাতে নাগরিকদের নাভিশ্বাস উঠছে প্রতিদিন। এই সুযোগেই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে চারিদিকে। পাকিস্থান এবং বাংলাদেশের ঘটনাক্রম যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে বাংলাদেশের হয়তো আরও কিছুটা দেরী আছে কিন্তু পাকিস্থানের ভেঙে পড়তে খুব বেশী দেরী নেই (সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে)।

    তাহলে দেশ বিভাজন করে কি লাভ হল? এক বিপুল সংখ্যক নাগরিকের চূড়ান্ত অসুবিধা ছাড়া আর কি পাওয়া গেল? আরও কিছু সময় পরে হয় দু-তিনটে নতুন দেশের সৃষ্টি হবে না-হয় আবার অখন্ড ভারতবর্ষের  মানচিত্র ফিরে আসবে। যদি নতুন দেশের সৃষ্টি হয় তাদের অবস্থা মানে সেইসব দেশের এবং দেশের নাগরিকদের অবস্থা আরও করুণ হবে। বিকলাঙ্গ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হবে। আর যদি অখন্ড ভারতবর্ষের সৃষ্টি হয় আবার তাহলেও সেই ভারতবর্ষের অবস্থা আজকের মত শক্তিশালী থাকবে না। বিকলাঙ্গ শিশুদের ভার বইতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাবে। আবার কিছু খবরের কাগজের হেডিং হবে, ইতিহাস বইয়ে নতুন কয়েকটি বাক্যের সংযোজন হবে, কিছু পাথরকুচি গাছের জন্ম হবে, নীতার জন্ম হবে। তাহলে শেফার্ডস গাছগুলোকে নষ্ট করে কার লাভ হলো? উত্তর কিছু রাজনৈতিক নেতা, অস্ত্রের দালাল, অস্ত্র উৎপাদনকারী কিছু দেশ। আর কিছু সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগী সম্প্রদায়ের লোকেরা। ব্রিটিশরা দুশো বছর ধরে শোষণ করে দেশটাকে একটা মৃতপ্রায় দেশে পরিণত করেছিল, যদি সকলে মিলে বেঁচে ওঠার চেষ্টা করতাম আমরা তাহলে এতদিন একটা সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হতে পারতাম। কিন্তু মূল ভারতবর্ষ বাদ দিয়ে আমরা সেই মৃতপ্রায় দেশই থেকে গেলাম। ধর্মের নামে আমরা এতটাই নাচানাচি করেছি এবং এখনও করছি যে আমাদের কখনও মনে হয়নি যে পাকিস্থানের জনক, ফাদার অফ নেশন জিন্নাহর পরিবার কোনোদিন পাকিস্থানে বসবাস করেনি। জিন্নাহর উত্তরসূরিরা আজও ভারতবর্ষে বাস করে। এর মধ্যেই বোধহয় লুকিয়ে আছে দেশ বিভাজনের কারণে সাধারণ নাগরিকদের ভূত ও ভবিষ্যতের কুষ্টি-ঠিকুজি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন