এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • ২০১৪ থেকে ২০২৪, ২০২৪ থেকে ২০৩৪ঃ রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও সম্ভাব্য ভবিষ্যত 

    dc
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২২৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ২০১৪ কে ভারতীয় রাজনীতিতে, আর সাধারনভাবে পুরো ভারত দেশটার জন্যই, একটা ওয়াটারশেড ইয়ার বলা যেতে পারে। ২০১৪ তে বিজেপি নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের নেতৃত্বে প্রবলভাবে ক্ষমতা দখল করে। এর আগেও বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল, প্রধানত বাজপেয়ী আর আদবানীর নেতৃত্বে, কিন্তু সেই আগের বিজেপি সরকারের আর এখনকার বিজেপি সরকারের কিছু তফাত আছে। বাজপেয়ী আর আদবানী হিন্দুত্ব প্রোজেক্ট শুরু করলেও নানা কারনে সেটা পুরোটা ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেননি। অন্যদিকে, ২০১৪ এর পর থেকে মোদী আর শাহ সর্বশক্তি দিয়ে হিন্দুত্ব ইমপ্লিমেন্ট করতে শুরু করেছেন, অনেক দিক দিয়েই সফলও হয়েছেন ও হচ্ছেন। কয়েকটা উদাহরনঃ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জমি দখল ও সেখানে রাম জন্মভূমি মন্দির বানানো, কাশ্মীরে আর্টিকেল ৩৭০ রদ করা, সিএএ ইমপ্লিমেন্ট করার দিকে ধাপে ধাপে এগনো, বেশ কিছু পাবলিক পলিসি বদল করা, যায় প্রায় পুরো লক্ষ্যই হলো মুসলমানদের পাবলিক স্পেস থেকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া ও সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেনে পরিণত করা, ইত্যাদি। বাজপেয়ী ও আদবানী ১৯৯২ তে যে বিষবৃক্ষ রোপন করেছিলেন, তাকে ২০১৪ পর থেকে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় মহীরুহের আকার ধারন করেছে। ২০২৪ এ বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারলে হয়তো অফিসিয়ালি সংবিধান পাল্টে দেশটাকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষনা করা হবে। যার ফলে বিজেপি সমর্থক ও বিজেপি বিরোধী, দু দলই মনে করে ২০১৪ হলো ওয়াটারশেড ইয়ার। 

    তো ২০১৪ র পর থেকে বিজেপির উত্থান আর বিরোধী দলগুলোর পতনের প্রধান কারনগুলো কি কি? এই টইতে গত দশ বছরের পলিটিকাল ল্যান্ডস্কেপ পর্যালোচনার চেষ্টা করবো, আর আগামী দশ বছর, বা অন্তত পাঁচ বছরে কি হতে পারে সে নিয়েও কিছু আন্দাজ করার চেষ্টা করবো। অবশ্যই বড়ো করে ডিসক্লেমারঃ এখানে যা কিছু লিখছি তার প্রায় সবই আমার ব্যাক্তিগত মতামত, আমি একেবারেই মিডিয়ার থেকে আমার তথ্য সংগ্রহ করি, গ্রাসরুটসে কারুর সাথেই আমার কোন যোগাযোগ নেই, ফলে আমার বোঝায় বহু অসম্পূর্ণতা আর ভুল থাকতে পারে।  

    প্রথমে দেখা যাক ২০১৪ আর তার পরে বিজেপির উত্থানের পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারন। 

    ১। প্রথম কারন অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহ জুটি। মোদির মতো নৃশংস, ধূর্ত, ডমিনিয়ারিং, উচ্চাকাঙ্খী, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, বাগ্মী, আর ভয়ানক পরিশ্রমী পলিটিশিয়ান ভারতে খুব কমই এসেছে। গুজরাটে প্রায় চোদ্দ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালীন নিজের রাজনৈতিক বোধ ক্ষুরধার করেন, যার একটা উদাহরন "গুজরাটি অস্মিতা"। ২০০২ এর গণ্যহত্যার পর এমনকি বাজপেয়ীও যখন একটু লজ্জা পেয়ে রাজধর্ম ইত্যাদি আউড়াতে শুরু করেছেন (বাজপেয়ী সম্ভবত আসামের নেলী গণহত্যার কথা ভুলে গেছিলেন), তখন মোদী এই অস্মিতা নামক খরগোশটি নিজের টুপি থেকে বার করে জনসমক্ষে তুলে ধরেন আর পরের ভোটে জয়ী হন। মোদীর রাজনৈতিক বোধের আর রুথলেসনেসের দ্বিতীয় উদাহরন বিজেপির ভেতর ক্ষমতা ক্যাপচার করা, এবং আদবানী, মুরলি মনোহর জোশী, যশোবন্ত সিনহা, যশবন্ত সিং এর মতো প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের হটিয়ে (মার্গদর্শক বানিয়ে) দলে নিজের একচ্ছত্র প্রতিপত্তি তৈরি করা। 
    তৃতীয় উদাহরন "গুজরাট মডেল" - একটা বেলুন কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেশের সামনে হাজির করা, আর সেটা দিয়ে নিজেকে ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রোজেক্ট করা। 

    মোদীর সাথে যোগ্য সংগত করেন অমিত শাহ, যাঁর মতো স্ট্র‌্যাটেজি আর ইমপ্লিমেন্টেশানে দক্ষ পলিটিশিয়ান ভারতে খুব কমই এসেছেন। শাহের সাংগঠনিক দক্ষতার কোন তুলনা হয়না, যার একটা উদাহরন ২০১৪ তে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দুর্দান্ত সাফল্য। কিছু ফেমাস পলিটিশিয়ান আছেন যাঁরা স্ট্র‌্যাটেজি বানাতে ওস্তাদ, আবার কিছু ফেমাস পলিটিশিয়ান আছেন যাঁরা সেই স্ট্র‌্যাটেজি ইম্প্লিমেন্ট করতে ওস্তাদ। অমিত শাহ এই দুই ক্ষেত্রেই বিরল প্রতিভার অধিকারী। আর মোদী আর শাহের নিজেদের মধ্যেও বোঝাপড়া দেখার মতো। 

    এই জুটির আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো অক্লান্তভাবে কাজ করে যাওয়া আর ক্রমাগত ভুলের পর্যালোচনা করা আর ভুলের থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা। একটা ইলেকশান শেষ হওয়ামাত্র, বা তার আগেই, বিজেপি পরের ইলেকশানের জন্য গ্রাউন্ড লেভেলে কাজ শুরু করে দেয়, যার ফলে বিজেপি পলিটিকাল পার্টির থেকেও বোধায় ইলেকশান মেশিনে পরিণত হয়েছে। আর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সাম্প্রতিকতম উদাহরন কর্ণাটকে হার। যখনই মনে হলো যে কংগ্রেসের সোশ্যাল প্রমিস কর্ণাটকে বিজেপির হারের একটা কারন, তখনই এমপি আর অন্যান্য রাজ্যে "মোদি প্রমিস" এর প্রচার শুরু হলো।  

    ২। দ্বিতীয় কারন মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট - ট্র‌্যাডিশ্নাল মিডিয়া (খবরের কাগজ, রেডিও, টিভি) আর সোশ্যাল মিডিয়া, দুটোই। ইন্ডিয়াতে রাজনীতির ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রথম লার্জ স্কেল প্রয়োগের উদারহরনও ২০১৪ সালে - প্রশান্ত কিশোর, নরেন্দ্র মোদি, আর অমিত শাহের পরিচালনায়। তার পর প্রশান্ত কিশোর সরে যাওয়ার পরেও বিজেপির মিডিয়া ম্যানেমেজমেন্ট দেখার মতো। এই মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের ফলে নরেন্দ্র মোদি আজ নর্থ আর ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ার একটা বড়ো অংশের মানুষের কাছে লার্জার দ্যান লাইফ ক্যারেক্টার হয়ে উঠেছেন। লোক সভা প্রচারে তো বটেই, বিধান সভার নির্বাচনেও বিজেপির একমাত্র মুখ হলো মোদি। প্রতিটা জনসভায় গিয়ে মোদি বলেন আপনারা আমাকে ভোট দিন, ক্যান্ডিডেট দেখার দরকার নেই। আর মোদি নিজের এমন ভাবমূর্তি তৈরি করতে পেরেছেন যে অনেক সময়েই সফলও হন। 

    ৩। তৃতীয় বড়ো কারন হলো আরেসেস। অবশ্য বলা যেতে পারে যে বহু দশক ধরেই আরেসেস আর তার বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলো হিন্দুত্ব প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করে চলেছে। তাও আমার মনে হয় মোটামুটি ১৯৮০ র দশক থেকে আরেসেস ক্রমশ সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করে (যার একটা বড়ো কারন ছিল রাজীব গান্ধি আর কংগ্রেসের তথাকথিত সফট হিন্দুত্ব বা মেজরিটি অ্যাপিসমেন্ট)। আর মোতামুটি ২০০০ এর পর থেকে, এনডিএ সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকে, আরেসেস প্যান ইন্ডিয়া কাজকর্ম বিস্তার করতে শুরু করে। আরেসেস যেহেতু ক্যাডার বেসড সংগঠন, তার ফলে বহু কর্মী দেশের প্রায় সমস্ত কোনায় ছড়িয়ে পড়ে গ্রাসরুট লেভেলে নিরলস কাজ করে চলেছেন, হিন্দুত্বর একটা বাতাবরন তৈরি করে চলেছেন, যা কিনা বিজেপি ভোটে জিতবার জন্য কাজে লাগাতে পারছে। 

    মোদীশাহ-মিডিয়া-আরেসেস যদি বিজেপির ধারাবাহিকভাবে ভোটে জেতার প্রধান কারন হয়, তাহলে দেখা যাক অপোজিশান পার্টিগুলোর ব্যার্থতার কারন কি কি 

    ১। অপোজিশান পার্টিগুলোর মধ্যে প্রধান হলো কংগ্রেস, আর কংগ্রেসের ব্যর্থতার প্রধান কারন অবশ্যই গান্ধী পরিবার বা ডাইনাস্টিইজম। ন্যাশনাল লেভেলে, আর বিশেষত কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় পলিটিকাল পার্টির পরিচালকের ভূমিকায়, রাহুল গান্ধীর মতো অপরিণত, রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিহীন, অলস, আর খারাপ বক্তা পলিটিক্সে কমই এসেছেন। রাহুল গান্ধী বোধায় ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ভালো (অনেকেই এটা বলেন), কিন্তু ওনার নিজের পলিটিক্সে আগ্রহ নেই, উনি দূরে থাকতে চান, কিন্তু সোনিয়া গান্ধী ওনাকে বাধ্য করেছেন কংগ্রেসের মালিক হিসেবে থেকে যেতে, আর কংগ্রেসের ধূর্ত বয়স্ক নেতারা (বা ওল্ড গার্ড) ওনাকে ব্যবহার করেছেন নিজেদের আড়াল করতে। নরেন্দ্র মোদী যেখানে  নিজের ১১০% সময় ব্যয় করছেন পলিটিক্সে, সেখানে রাহুল গান্ধী মাঝে মাঝেই হাওয়া হয়ে যান, এমনকি ভোটের প্রচারেও তাঁকে সেভাবে পাওয়া যায় না। ফলে, মোদীর বা বিজেপির স্ট্র‌্যাটেজিক লিডারশিপের, বড়ো উদ্দেশ্য হলো যতোটা পারা যায় মোদি বনাম রাহুল একটা বাইনারি তৈরি করার, আর রাহুল গান্ধী অবধারিতভাবে বারবার সেই ফাঁদে পা দেন। বস্তুত, নরেন্দ্র মোদির মতো ধুরন্ধর রাজনীতিক আর রাহুল গান্ধীর মতো অপদার্থ রাজনীতিক, এরকম অদ্ভুত যুগলবন্দী ভারতীয় পলিটিক্সে আগে কখনো দেখা যায়নি। 

    ২। দ্বিতীয় কারন হলো ন্যাশনাল লেভেলে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা। তার পেছনেও অবশ্য কংগ্রেসের ডাইনাস্টিক পলিটিক্স আর দরবার কালচার, যার ফলে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের গ্রাসরুট সংগঠন বহু বছর ধরে ক্ষয়ে চলেছে। এর একটা পরিণতি হলো, কংগ্রেস কোন রাজ্যে একবার ক্ষমতা হারালে সেখানে আর ফিরে আসতে পারে না। আর যেসব রাজ্যে কংগ্রেস ভোটে জিতছে, সেখানে অনেক সময়েই লোকাল লিডারশিপের দক্ষতার ফলে জিতছে, যেমন কর্ণাটক আর তেলেঙ্গানা। 

    ৩। তৃতীয় কারন, বিশেষত নর্থ, ইস্ট, আর ওয়েস্ট ইন্ডিয়াতে, অপোজিশান পার্টিগুলোর আইডিওলজির অভাব। বিজেপি এখন প্রবলভাবে আইডিওলজির দিকে ঝুঁকে পড়েছে, ওদের মেসেজিং খুব পরিষ্কার - হিন্দুত্ব আর উগ্র ন্যাশলাজিম এর ওপর ভিত্তি করে ভোট চাওয়া হয়। হিন্দুদের জুজু দেখানো হয়, বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় যে বিজেপিকে ভোট না দিলে মুসলমানরা বা "সেকুলার"রা এসে হিন্দুদের সর্বনাশ করে দেবে। উল্টোদিকে কংগ্রেসের ব্যর্থ অনুকরন, যার নাম "সফট হিন্দুত্ব", আর এসপি, তৃণমূল ইত্যাদিদের কোন আউডিওলজি নেই, আপ ঘোষিতভাবেই আইডিওলজি বিরোধী। আপ অবশ্য নিজেদের কংগ্রেসের অলটার্নেটিভ হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছে, যার ফলে বিজেপিও সর্বশক্তি নিয়ে আপকে আক্রমন করে চলেছে।        
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দীমু | 223.191.53.18 | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:১৭741633
  • বিজেপি এখনো নতুন ইস্তাহার বের করেনি। ২০১৯ র টা দেখছিলাম। যা যা বলেছিল ৩৭০ ছাড়া আর কিছুই পুরোটা করতে পারেনি। মাঝখান থেকে অগ্নিবীর , কোভিড , ডিপফেক , NPE 2020 কত কিছু চলে এসেছে। এই ৮০ কোটির ফ্রি রেশন টা তো কোভিডের জন্য শুরু হয়েছিল , বাজেট / ইস্তাহারে ছিল না। কৃষক বিল পেশ করে ক্যানসেল করতে হয়েছে। 
     
     
     
    আধার নির্ভর ভোটের ব্যাপারটা কোথাও দেখলাম না।  
  • দীমু | 223.191.53.18 | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:২৭741634
  • ফ্রি ইলেকট্রিক ব্যাপারটা আপ বাজারে এনেছিল। লক্ষ্মীর ভান্ডার , স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড এইসব তৃণমূল। তামিলনাড়ুতে ডি এম কে। এদের দেখাদেখি কংগ্রেস এখন সবজায়গায় এইগুলো নিজেদের ইস্তাহারে রাখছে। 
  • dc | 122.164.86.49 | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৭741636
  • জয়ন্তবাবু, হ্যাঁ, সরকার ইনফ্রার পেছনে খরচ করলে এমপ্লয়মেন্ট বাড়বে, রোজগারও বাড়বে। সারা দেশে অনেকগুলো হাইওয়ে, গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে, পোর্ট, বিমানবন্দর, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে, এই সব প্রোজেক্টগুলোতে অনেকে কাজ করছেন। আর এই ইনফ্রাগুলো বানানো হয়ে গেলে ইকোনমিক অ্যাক্টিভিটিও বাড়বে। 
     
    দীমু, এই পেজটা দেখুন, এখানে তামিল নাড়ুর ভোটাররা আধার কার্ডের সাথে ভোটার আইডি লিংক করতে পারবেন। তবে এটা এখনও বাধ্যতামূলক হয়নিঃ 
     
     
    ভারতের ইলেকশান কমিশান এই লিংকিং এর ব্যপারে বেশ কিছুদিন ধরেই চিন্তাভাবনা করছে। কেসি যেমন বল্লেন, এটা  বাধ্যতামূলক করার আগে বোধায় লোকসভায় বিল পাশ করাতে হবে। এই খবরটা পড়ে দেখতে পারেনঃ 
     
    THE ELECTION Commission (EC) has told the Supreme Court that it is not mandatory to provide Aadhaar numbers for linking with the electoral roll, and it is considering issuing “appropriate clarificatory changes” in enrolment forms to reflect this.
    Appearing for the EC, Senior Advocate Sukumar Pattjoshi and Advocate Amit Sharma told a three-judge Bench presided by Chief Justice of India D Y Chandrachud that submission of Aadhaar number is not mandatory under Rule 26-B of the Registration of Electors (Amendment) Rules 2022.
     
     
    আর সবকিছুই যে ম্যানিফেস্টোয় থাকে, তা কিন্তু নয়। যেমন ধরুন, ডিমনিটাইজেশান ম্যানিফেস্টোয় ছিলো না। 
  • দীমু | 223.191.41.40 | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৭741639
  • হ্যাঁ সে তো অগ্নিবীরও ম্যানিফেস্টোতে ছিল না। পাবলিকের নাড়ি বুঝে অনেক এড হক সিদ্ধান্ত নিতে হয় নিশ্চয়। সেরকম প্রোটেস্ট হলে বাতিলও হয়। প্রোটেস্ট করার স্পেস কেড়ে নিলে ...
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন