এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ধনতরাস ও গোপিকার দিনযাপন 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৩৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • প্রথম প্রহর 
     
    প্রতিদিনের খবরের কাগজটা গোপিকাই বাইরে থেকে তুলে এনে রাধাকান্তকে পৌঁছে দেয়। কর্তা মশাই তখনও গতর এলিয়ে আয়েশ করছেন রাত শয্যায়। গোপিকার সে সুযোগ কোথায়? সে মনে করে এমন সুখের জন্য অনেক কপাল করে আসতে হয়। সকাল মানেই গোপিকার কলের ইঞ্জিন হয়ে ছুটে চলা। কেবলই শতেক কাজের প্যাচে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা। কাজের কি আর অন্ত আছে? সদর দরজার তালা খোলা, ঘরের বন্ধ জানালাগুলো এক এক করে খুলে দেওয়া যাতে সকালরোদের নরম আলোয় ভরে ওঠে ঘরগুলো, বাসি ঘরগুলোয় একবার বারণ বুলিয়ে নেওয়া, একছুটে বাগানে গিয়ে ফুল তুলে আনা……। গোপিকা জানে রাধাকান্ত আরও কিছুক্ষণ নদীর চড়ে রোদ পোহানোর জন্য কাঠ হয়ে শুয়ে থাকা কুমীরের মতো বিছানা আগলে পড়ে থাকবে, খবরের কাগজটা পৌঁছে দিলে সেটাকে এক নজর দেখে নেবে, তারপর বাবু ধীরেসুস্থে বিছানা ছেড়ে মাটিতে পা রাখবেন। তখন থেকে তাঁর দিন শুরু হবে। এমনটাই দস্তুর এই মুখুজ্যে বাড়িতে। ব‌উ হয়ে এই পরিবারে আসা ইস্তক এমনটা দেখে দেখে গোপিকার সব সয়ে গেছে। এখন ক্ষণ,পল, দণ্ড, মিনিট ধরে চলবে গোপিকার কর্মযোগ।
    আজ বুঝি প্রতিদিনের রুটিনের চেনা ছন্দের তাল খানিকটা কেটে গেল ! খবরের কাগজটা রাধাকান্তকে পৌঁছে দিতে এতো সময় লাগছে কেন? সকালের কাগজে নজর না বোলালে রাধাকান্তর ঠিকঠাক পটি হয়না। সে আবার বড় অসোয়াস্তি! খবর কাগজ নিয়ে তো গোপিকার তেমন মাথা ব্যথা নেই। রাধাকান্ত জানে, মানে এতকাল দেখে দেখে যা শিখেছে, খবরের কাগজের তিনটি খবর গোপিকা খুব মন দিয়ে দেখে – এক রাশিফল, দুই আবহাওয়ার খবর আর তিন .. .. .। আজকে কি গোপিকার ডাগর ডাগর নয়ন দুখানি সেই তিন নম্বরেই আটকে গেল? মনে মনে প্রমাদ গুণতে থাকে রাধাকান্ত।
    খবরের কাগজটা ঠিক সময়ে না পাওয়ার উদ্বেগ আর ক্ষোভ যখন একেবারে চরম সীমায় ঠিক তখনই মঞ্চে হাজির হলেন শ্রীমতী গোপিকা। কেন এতটা দেরি হলো? সকালেই গিন্নির ওপর একপ্রস্থ হম্বিতম্বি করা যাবে ভেবে ঘাড় ঘুরিয়ে দরজার দিকে তাকাতেই মুখ বন্ধ হয়ে যায় রাধাকান্তর। একি!এ কাকে দেখছি!! এতো তাঁর এতোদিনের চেনা সদাই শশব্যস্ত হয়ে থাকা শ্রীমতী গোপিকা সুন্দরী নয়। এ কোন্ হুরি পরীর আগমন ঘটলো? ওদিক থেকে তখন সুরেলা কন্ঠের রিনরিন্ ।
    – হ্যাগো তুমি উঠে পড়েছো? ভালোই হয়েছে। এই, শোননা এক কাণ্ড হয়েছে।
    –কাণ্ড? তা কী এমন কাণ্ড হয়েছে শুনি?
    – আমিতো একমনে বাগানে ফুল তুলছিলুম রোজকার মতো। হঠাৎ শুনি দিদি দিদি করে কে আমায় ডাকছে। তাকিয়ে দেখি গাঙ্গুলি গিন্নি। আমিও হাসি হাসি মুখে বললুম - ছন্দা, আমাকে ডাকছো?
    – এই যে বলো গাঙ্গুলি গিন্নির বড়ো দেমাক, কথা কয়না। রাস্তাঘাটে দেখা হলে পাশ কাটিয়ে চলে যায় । তা কী এমন ঘটনা ঘটলো যে তিনি মানে তোমার ছন্দা এমন ডেকে ডেকে কথা ক‌ইছে! কী কথা ক‌ইলেন তিনি শুনি । 
    – সে কথা বলতেই তো এলুম। 
    রাধাকান্ত এইবার তার এতোদিনের চেনা সহধর্মিনীকে নতুন করে দেখে। এতো তার প্রতিদিনের চেনা গোপিকা নয় ! প্রতিদিনের মতো আজও সকালে স্নান সেরে একটা পাটভাঙা শাড়ি পরেছে তাও আবার সাবেকি বাংলা কায়দায়, টানা টানা দিঘল নয়নে কাজল রেখার আলতো রূপটান, একরাশ ভিজে চুল এলিয়ে রয়েছে পিঠের ওপর, দুই ভ্রুর মাঝখানে একটা ছোট্ট লাল টিপ আর মুখে একটা অপার্থিব হাসি। চোখ মুখে প্রতিদিনকার চেনা বিরক্তির সামান্যতম আভাস নেই। গোপিকার এমন মোহিনী রূপ দেখে তাঁকে সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমার মলিনা দেবী বলে মনে হয়।আর নিজেকে তুলসী চক্রবর্তী। কী বলবে বুঝে উঠতে পারেনা রাধাকান্ত।
     
    – অমন হাঁ করে চেয়ে আছো কেন? আমাকে কি নতুন দেখেছো নাকি? এই ! শোনোনা, আজ না খুব ভালো তিথি! আজ ধন ত্রয়োদশী। জানো! এই তিথিতেই অমৃত কলস হাতে নিয়ে ধন্বন্তরী স্বয়ম্ আবির্ভুত হয়েছিলেন সমুদ্র মন্থনের সময়। আজ কিছু কেনাকাটা করলে সারা বছর জুড়ে সংসার ধনসম্পদে পরিপূর্ণ থাকে। আজ আবার না বলে ঘাড় বেঁকিয়ো না।আমি ভট্টাজ গিন্নির কাছ থেকে শুভ সময়গুলো সব শুনে এসেছি। আর তাছাড়া পাঁজিতেতো দেওয়া আছে। ও আমি দেখে নেব। তোমায় ওসব নিয়ে একবিন্দুও ভাবতে হবে না। আমি ঝটপট ঠাকুরঘর থেকে ঘুরে আসি। ফিরে এসে যেন চা টা গরম গরম পাই।
     
    রাধাকান্তকে একরাশ ধাঁধার মধ্যে রেখে গোপিকা গুনগুন সুরে শ্রী কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম নিতে নিতে তিনতলার ঠাকুরঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। রাধাকান্ত জানে এরপরও বিছানায় পড়ে থাকলে গোপিকার গোঁসা হবে। তাই বিছানা ছেড়ে নেমে এসে মশারির খুঁটগুলো ব্যস্ত হাতে খুলতে থাকে।
     

    দ্বিতীয় প্রহর 
     
    চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে গোপিকা পঞ্জিকা দেখে শুভ যোগের সময়গুলো লিখে নিতে থাকে।
    এই তো কোজাগরী পূর্ণিমার দিন মহা ধুমধাম করে লক্ষ্মীমায়ের আরাধনা হলো। এক পক্ষকালের মধ্যে তাঁর কাছে আবার এটা দাও সেটা দাও করে হাত পাতলে সেটাকি খুব ভালো দেখায় ? গোপিকাকে এসব কথা বলতে মন চায় রাধাকান্তর কিন্তু তাঁর এমন তুরীয় অবস্থা দেখে সাহসে কুলোয় না।
     
    – শোনো, এই সন্ধের যোগটাই সবথেকে প্রশস্ত তার মানে বিকেল ৫ টা ৪০ গতে রাত ৯ টা ১০ এর মধ্যে। এটা অবশ্য বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার মতে। মুখে কথা সরছে না তো! বলি, সবকিছুরই তো একটা মহাক্ষণ থাকে নাকি! গোপিকার ঝটতি প্রশ্ন।
     
    রাধাকান্ত হ্যা - না কিছুই বলেনা। সে জানে, গাড়ির চাকা যখন ঢালে ঢলে পড়ে তখন কোনও কিছুতেই আর তাকে বাগে আনা যায়না। গোপিকার এখন এমনই দশা।
    চায়ের কাপে ঝড় তুলে রাধাকান্তকে একেবারে বিবশ করে ফেলেছে। অন্যদিন খবরের কাগজটা একনজর দেখে সরিয়ে দিলেও আজ একেবারে হামলে পড়েছে বাহারী সব বিজ্ঞাপনের টানে। কোথায় হীরের গয়নার মজুরি মাত্র ১ টাকা, কোথায় প্রতি গ্রাম সোনার দামে কতটা ছাড়, কোন্ দোকানে গয়নার মজুরিতে ব্যাপক ছুট এসব তথ্যে মন মজে আছে গোপিকার। সকালে যে খেল্ দেখিয়েছে সে, তার ঘোরেই মন ঘুরঘুর করছে রাধাকান্তর।

     

    তৃতীয়  প্রহর 
     
    ঘড়িতে পাঁচটা বাজতে না বাজতেই টোটো নিয়ে বলরাম হাজির। গোপিকাই বোধহয় ওকে আসতে বলেছে। গেটের সামনে গাড়ি রেখে বলরাম তার কাকিমার সঙ্গে ফিসফিসিয়ে কি সব কথা বলে। বলরাম ঘাড় নেড়ে চলে যাবার সময় গলা উঁচিয়ে বলে,
    – কাকু ৫ টা ২০ মিনিট গতে র‌ওনা দেবো। তুমি তৈরি হও। আমি বরং ততক্ষণে আটুলের দোকান থেকে এক কাপ চা পিটিয়ে আসি। 
    দে মা আমায় তবিলদারি, আমি নিমকহারাম ন‌ই
    শঙ্করী গাইতে গাইতে বলরাম চায়ের ঠেকের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। রাধাকান্ত বুঝতে পারে আজ মোগলের হাতে পড়েছে অত‌এব পিছিয়ে যাবার জো নেই।
     
    রাস্তায় আজ জনারণ্য। সবাই শুভ মুহূর্তে ধনলক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভের জন্য আকুল হয়ে পড়েছে। রাধাকান্তর ছোট বেলার বন্ধু শচীনন্দনের খুব বড়ো জুয়েলারি শপ্। এই তল্লাটে বিস্তর নামডাক। গোপিকার‌ও খুব পছন্দের প্রতিষ্ঠান। বলরাম অনেক অনেক কসরৎ করে তার গাড়িটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু যাবে কোথায়? আজ পশরার টানে লোকজন সব ক্ষেপে উঠেছে। গোপিকা অধৈর্য্য হয়ে ঘন ঘন ঘড়ি দেখতে থাকে পাছে, পরমলগন হাতছাড়া না হয়ে যায়।
     
    শেষমেষ অনেক হ্যাপা সামলে ধস্তাধস্তি করে ওরা শচীনন্দনের দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। আজ দোকানে তিলধারণের জায়গা নেই। সব বিপণিতেই আজ মৌচাকে ভিড় করে থাকা মানব মানবীরূপী মক্ষিকার জমায়েত। বিস্তর ঠেলাঠেলি করে দোকানে ঢুকতে গিয়ে বাধা পায় গোপিকা। ভিড়ের ভেতর থেকে একজন মহিলা হেঁকে বলেন -
    এই যে আন্টি, কোথায় যাচ্ছেন? বলি, কোন্ স্লটে বুকিং আছে আপনার? আগে থেকে সময় বুকিং না করলে ঢোকা যাবেনা। সরে যান‌। ভিড় করলে আমাদের স্লট ফসকে যাবে। পেছনে যান।
     
    লোকজনের ঠেলা খেয়ে বেশ দমে যায় গোপিকা। রাধাকান্তর উদ্দেশ্যে বলে – শুনছো! তুমি একবার শচীদাকে ফোন করে দেখোনা, যদি উনি আমাদের জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা করতে পারেন।
    সারাদিনের মধ্যে এই প্রথমবারের জন্য গোপিকাকে বড্ড অসহায় লাগে রাধাকান্তর। 
    ঠিক এইসময় দোকানের সিকিউরিটি স্টাফ হাত মাইকে ঘোষণা করে – ' শচীনন্দন জুয়েলার্সের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে আজ এই পুণ্য তিথিতে আপনাদের সকলকে আমাদের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাই। আমরা আপনাদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে সত্যিই অভিভূত। আজকের সমস্ত মাঙ্গলিক মুহূর্তের স্লট বুকিং হয়ে গেছে। কেবলমাত্র ভোর ৪ টা ১৯ মিনিট গতে ৫ টা ৫১ মিনিটের মধ্যে যে অতীব শুভ মুহূর্তের যোগ আছে তার জন্য কিছু মাননীয় গ্রাহককে নাম নথিভুক্ত করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।'
     
     – চলো, আমরা বাড়ি ফিরে যাই। এভাবে শুভ মুহূর্তে ধনলক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভের কোনো বাসনা বা আকাঙ্ক্ষা আর আমার নেই। চলো একবার কালী বাড়িটা ঘুরে যাই। অনেক দিন মাকে দেখিনি।


    গোপিকার গলার এই স্বরটা খুব খুব চেনা, খুব আপন মনে হয় রাধাকান্তর।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ritabrata gupta | ১০ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫৪525900
  • এক কথায় অপূর্ব। এর বেশি আর বলার কিছু নেই। সোমনাথবাবু উপন্যাস লেখা শুরু করুন। এতো ভালো গদ্য !
  • তপন কুমার | 2405:201:8000:b1a1:64b7:68d7:1d7a:2fc0 | ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৩৭525924
  • ক্লান্তিহীন ভাবে লেখক নানান স্বাদের সাহিত্য রসে আমাদের পরিপুষ্ট করে চলেছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এই লেখাটা যেন ঘর ঘরকী কহানি হয়ে উঠেছে। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 2409:4060:2d80:bc78:c000:cbe8:34f7:e758 | ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০২525931
  • ​​​দারুন! দারুন! এমন রসবোধের লেখা, পড়া শুরু করলে থামা যায়না। রূপকগুলোও অনবদ্য।
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b1a1:64b7:68d7:1d7a:2fc0 | ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৯525932
  • লেখাটা পড়তে পড়তে বেদম হাসলাম আমি আর আমার মা। কালকের বিকেলে আমাদের অভিজ্ঞতা আর লেখকের লেখা মিলেমিশে একাকার। রচনার সার্থকতা এখানেই। এইটি গুরুর পাতায় সম্ভবত লেখকের দ্বিতীয় রস রচনা।
  • সুবীর রায় | 115.187.62.170 | ১১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪৩525933
  • আপনি সঠিক ভাবেই আপনার গল্পের মাধ্যমে বাঙালী সমাজের হালফিলের বাস্তব চিত্রটা তুলে ধরেছেন। পশ্চিমবঙ্গে এই হুজুগটা আগে এতটা ছিল না। আপনার এই ছোট রম্য, সচেতনতামূলক গল্প নিয়ে কোনো কথা হবে না। শ্রদ্ধা, অভিনন্দন রইলো আপনাকে।
  • অনির্বাণ রায় | 2409:4061:2c48:6e04:168a:e389:2f83:dcc9 | ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২১525951
  • যাহ্, গোপিকার পুণ্যি করার সুযোগটা just মাঠে মারা গেলো। যত্ত দোষ ঐ রাধাকান্তবাবুর। দুগ্গা পুজোর পর থেকে এত্ত পাতাজুড়ে advertisement, ওনার তো গোপিকাকে আগেই idea দেওয়া উচিত ছিল। হুজুগে বাঙ্গালী, যুগ যুগ জিও। দারুন লাগল দাদা।
  • সুব্রত কুমার পাল | 117.227.38.172 | ১২ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৭525968
  • রাধাকান্ত খুবই ভাগ‍্যবান.....তার ওপর ভগবানের অসীম করুণা। নচেৎ ধনতেরাসের দিন সোনার দোকানে ভীড় দেখে কে আর কবে মাতৃ দর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে !!!!!!
  • soumya | ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৬526062
  • দারুন! দারুন! এমন মারাত্মক রসবোধের লেখা, পড়া শুরু করলে আর থামা যায় না। হুজুগে বাঙ্গালী, যুগ যুগ জিও। 
    দারুন ভালো লাগলো। 
  • অভিজিৎ চক্রবর্তী | 202.78.236.129 | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৬526182
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন