এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা

    বকলমে
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৯৬০ বার পঠিত
  •  
    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫১
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ১ 
       
      ইসরায়েল সমর্থনে লন্ডনে আর ম্যানচেস্টারে দুটি মিছিল করেছে সংঘের লোকজন। বেশ বড়ো বড়ো এইদুটো মিছিলের (দুটোতেই ১০০ ২০০ লোক হয়েছিল) মোটামুটি সব লোকজন ৫০ উর্ধ। ওদের ভীষণ আক্ষেপ যে ওদের ছেলেমেয়েরা সবাই ট্রাফালগার স্কোয়ারে "জিওনবাদ নিপাত যাক, মুক্ত করো গাজা" মিছিলে যোগদান করেছে।


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫৮
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ২ 
       
      আমরিকী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে কথা বলছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনয়ামিন নিতান্যহুর সঙ্গে। নিতান্যহুর ভয় গাজাতে বোমা ফেলবার সময়ে পাচ্ছে ইরান লেবানন থেকে রকেট আর মিসাইল ছোড়ে। জো বাইডেন অভয় দিয়ে বললেন, "চিন্তা করবেননা, যত পারুন বোমা মারুন আমরা আপনাদের পাশে আছি।" প্রেসিডেন্ট ফোনটা রাখতেই তার কাছে আরেকটি ফোন। এবার ইরাক থেকে। ইরাকের আম্রিকি রাষ্ট্রদূত জানাচ্ছেন, "মিস্টার প্রেসিডেন্ট বড় সমস্যা। ইরানীরা ইস্রায়েল নয় আমাদের ইরাকি ঘাঁটিতে মিসাইল দিয়ে হামলা করছে বারবার।"


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০২
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৩ 
       
      কয়েকদিন আগে গাজার একটি খ্রীষ্টান হাসপাতাল আর প্রায় ৮০০ বছর পুরোনো একটি চার্চে ইসরায়েলের তরফ থেকে বোমা বর্ষণ করাতে বেশ কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে যে ইসরায়েলের সরকার (এর সঙ্গে আম্রিকার জো বাইডেন, ভারতের জামাই ঋষি সুনক, ফ্রান্সের মাক্রু) ইতিমধ্যেই এর জন্য হামাসকে দায়ী করে ফেলেছেন কিন্তু টুইটারে আমাদের সঙ্ঘের বীরেরা (এর সঙ্গে তাদের জিওনবাদী বন্ধুরা) অলরেডি ইসরায়েলকে এর ক্রেডিট দিয়ে বলছেন, "কি রে গাজার ইঁদুর ছুঁচোরা আর আমাদের জ্বালাতে আসবি? দেখলি তো বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর ইস্রায়েল ছুঁলে ৫০০০ ঘা"। তাহলে কে মেরেছে এদের?


    • guru |২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৮
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪

      বর্তমান ইসরায়েল প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে সবচেয়ে চাপে ​​​​​​​বোধহয় ​​​​​​​আরব ​​​​​​​ও ​​​​​​​মুসলীম ​​​​​​​আমেরিকানরা। এরা 9/11 এর ​​​​​​​ঘরপোড়া ​​​​​​​গোরু, তাই ​​​​​​​বেশ ​​​​​​​ভয়ে ​​​​​​​ভয়েই ​​​​​​​কাটান। গাজার খবর সামনে আসামাত্র একটি ৬ বছরের মুসলিম আমেরিকান শিশুর তার প্রতিবেশী এক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধের হাতে ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর  ঘটনা সামনে আসে। বর্তমান ইসরায়েল প্যালেস্টাইন ​​​​​​​সংঘর্ষের ​​​​​​​সময়ে ​​​​​​​তাই আপাতত ​​​​​​​এরা ​​​​​​​ভীষণভাবে ​​​​​​​নিজেদের ​​​​​​​কোনঠাসা ​​​​​​​ও ​​​​​​​একঘরে ​​​​​​​হিসেবে ​​​​​​​অনুভব ​​​​​​​করছেন। 2020 সালে ​​​​​​​এরা ​​​​​​​সবাই ​​​​​​​মিলে ​​​​​​​বাইডেনকে ​​​​​​​জিতিয়েছেন ​​​​​​​ট্রাম্পের ​​​​​​​বিরুদ্ধে ​​​​​​​অনেক ​​​​​​আশা ​​​​​​​নিয়ে যে 9/11 এর ​​​​​​​পরের ​​​​​​​ইসলামোফোবিয়া ​​​​​​​যা ​​​​​​​কিনা ​​​​​​​ট্রাম্পের ​​​​​​​আমলে ​​​​​​​ভয়াবহ ​​​​​​​রূপ ​​​​​​​ধারণ ​​​​​​​করেছিল ​​​​​​​সেটি ​​​​​​​কিছুটা ​​​​​​​কমবে ​​​​​​​ও ​​​​​​​প্যালেস্টাইন ​​​​​​​সুবিচার ​​​​​​​পাবে ​​​​​​​সে ​​​​​​​সবই ​​​​​​​এখন ​​​​​​​"আশার ​​​​​​​ছলনে ​​​​​​​ভুলি"। এখন কথা ​​​​​​​হলো ​​​​​​​এরা ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দেবেন ​​​​​​​কাকে ?? ট্রাম্প ​​​​​​​বা ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​রিপাবলিকান ​​​​​​​প্রার্থীদের ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দিলে ​​​​​​​কোনোই ​​​​​​​লাভ ​​​​​​​নেই ​​​​​​​যেহেতু ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​স্বার্থসিদ্ধি ​​​​​​​হবেনা ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​আবার ​​​​​​​বাইডেনকে ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দিলেও ​​​​​​​আশাভঙ্গ ​​​​​​​হোবে। তাহোলে ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​উপায় ​​​​​​​কি ?


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪৭
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৫ 
       
      মুসলিম আমেরিকানদের ডাইলেমার কথা আগের মিনি কড়চা তে লিখেছি। ঘটনা হচ্ছে আমেরিকাতে যেসব মুসলিম আমেরিকানরা থাকতে আসেন তারা নিজেদের দেশেই যথেষ্ট অত্যাচারিত এবং একপ্রকার বাধ্য হন শরণার্থী হিসেবে আমেরিকাতে আশ্রয় নিতে। প্যালেস্টাইন থেকে আশা এরকমই একটি পরিবারের ৬ বছরের ছেলে ওয়াদিয়া আল-ফাওয়ামে। গত অক্টোবরের প্রথম দিকে এই ইস্রায়েল প্যালেস্টাইন বর্তমান সংঘর্ষ শুরু হবার পরেই ছেলেটি ও তার মাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাদের উপরে চড়াও হয় বাড়িওলা ৭১ বছর বয়স্ক জোসেফ জুবা। এই জুবা ভদ্রলোকের মুখে একমাত্র চিৎকার ছিল, "আমার দেশ ছেড়ে চলে যা টেরোরিস্টরা"। প্রায় ২৬ বার ছুরির আঘাতের পরে যখন ছেলেটিকে তার মা (যিনি নিজেও আহত হয়েছিলেন) কোনো রকমে উদ্ধার করেন ছেলেটির মুখে একটাই কথা ছিল, "মা আমার জন্য ভেবোনা আমি ঠিক আছি"। এটাই ছিল ছেলেটির শেষ কথা।
       
      পুলিশ আপাতত ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে। ছেলেটির মা আপাতত প্রাণহানির আশংকার বাইরে কিন্তু মানসিকভাবে ডিপ্রেশনে।


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৯
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৬ 
       
      গাজাতে বর্তমান ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম আমেরিকানদের ভোটের প্রসঙ্গটি আস্তে আস্তে আমেরিকান প্রচারমাধ্যমে সামনে আসছে। দুটি প্রদেশ মিশিগান ও পেনসিলভানিয়াতে গতবার বাইডেন ট্রাম্পকে একচুলের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনা হচ্ছে সমগ্র আমেরিকাতে মুসলিমদের ডেমোগ্রাফিক পার্সেন্টেজ মাত্র ১ পার্সেন্টের মতো কিন্তু এদুটো প্রদেশে সংখ্যাটা কিছু বেশী যেকারণে ২০২৪ এর ভোটে অন্ততঃ এদুটো প্রদেশে বাইডেনকে মুসলিম ভোট পুরোটাই নিজের পক্ষে টানার দরকার। এর কারণ নির্বাচনী পাটিগণিত।
       
      পেনসিলভানিয়ার নির্বাচনে ২০১৬ সালে ট্রাম্প যেতেন ৪১ হাজার ভোটে আর 2020 সালে বাইডেন জেতেন প্রায় ৮১০০০ ভোটে। এই স্টেটটির রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটার এর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ্য ৮০ হাজার অর্থাৎ যে ব্যক্তি এই ভোট বেশি পাবেন তিনি জিতবেন এই সুইং স্টেট। এই সুইং স্টেট অন্তত ২০ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
       
      একই ভাবে মিশিগানে গতবার বাইডেন ট্রাম্পকে মাত্র দেড়লক্ষের ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। মিশিগানে রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটার এর সংখ্যা প্রায় ২  লক্ষ্য ৪০ হাজার অর্থাৎ এখানেও বাইডেনের ট্রাম্পকে হারাতে প্রায় পুরো মুসলিম ভোট হাতে দরকার। এই সুইং স্টেট অন্তত ১৬ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
       
      এখন দেখা যাক গাজাতে বর্তমান ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়েরই ইসরায়েলকে অকুন্ঠ সমর্থনের পরে মুসলিম আমেরিকানরা কাকে ভোট দেন !  


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩২
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৭ 
       
      ইউক্রেইন্ ও গাজার যুদ্ধের ব্যাপারে পশ্চিমা শক্তিদের মনোভাবের মধ্যে একটি তুলনা।
       
      পশ্চিমারা রাশিয়ার ইউক্রেইন্ আগ্রাসন  নিয়ে : ইউক্রেইন্ এর ব্যাপারে রাশিয়ানরা আগ্রাসনকারী ওরা ইউক্রেইন্ এর বিদ্যুৎ জ্বল বন্ধ করেছে বুচাতে অসংখ্য নিরপরাধ নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে।
       
      পশ্চিমারা গাজার ইসরায়েলি হামলাতে ব্যাপারে : ইসরায়েল এর অধিকার আছে যা খুশি করবার। প্যালেস্টিনিয়ানরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেনা কেন? আমরা ইসরাইলের পাশে আছি ছিলাম থাকবো।
       
      এখন পশ্চিমা মিডিয়াতে ইসরায়েল নিয়ে বেফাঁস কিছু বললেই চাকরি যাবার সম্ভাবনা !!!


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫৩
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৮ 
       
      আমি ব্যক্তিগত ভাবে গত প্রায় ২৩ বছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা নিয়ে পড়াশোনা করার ও পুরো ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত জানবার। তবে সত্যি কথা বলতেকি এবারের মতো এতো আলোড়ন এদেশে এই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা নিয়ে আমি আগে দেখিনি কখনোই।টুইটার দেখলে মনে হবে যে এদেশে এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে তাকেও ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েল প্যালেস্টাইন সমস্যা। আমার নিজের একজন সহকর্মী আমাকে সেদিন বললেন "কাটার বাচ্চা আর কতদিন থাকবি এদেশে " যখন আমি তাকে বলেছিলাম যে দেখুন ইস্রায়েল আর মোসাদ না থাকলে হামাসের নামই কেউ জানতোনা। হামাসকে মোসাদ সৃষ্টি করেছিল আরাফাতকে সাইজ করতে। এই প্রথম দেখছি এতো সুদূর বিদেশের একটি এতো জটিল বহুমাত্রিক সমস্যা এইভাবে এদেশেও মেরুকরণ তৈরী করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • guru | 160.238.92.171 | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১১:০১741362
  • @Sumit Roy

    আপনি লেবানন নিয়ে খুব ভালোই এনালিসিস করেছেন। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে এটাই সত্য যে যেভাবে আম্রিকা বা জার্মানীর মতো শ্বেতাঙ্গ প্রধান পশ্চিমা রাষ্ট্র ইসরায়েলের সপক্ষে দাঁড়িয়েছে সেভাবে আরবদুনিয়ার কোনো তথাকথিত শক্তিশালী রাষ্ট্র যেমন মিশর সৌদি UAE জর্ডন প্রায় কিছুই করেনি। এখন এটা সত্য যে আবেদন নিবেদন করে ইসরায়েলকে থামানো যাচ্ছেনা কাজেই এক্ষেত্রে আরেকটি যুদ্ধের ফ্রন্ট খোলবার কথা হেজবুল্লাহ ভেবেছে যাতে ইসরাইলকে একটু হলেও দুটো ফ্রন্টে বিভক্ত করে তার সমস্যা বাড়ানো যায় যাতে অন্তত গাজার বাচ্চাগুলো কিছুদিন বেশি বেঁচে থাকে। হ্যাঁ এটাও সত্য আর্থিক ভাবে লেবানন হয়তো ইসরায়েলের সঙ্গে লড়বার মতো শক্তি এখনো ধরেনি কিন্তু এছাড়া আর কোনো উপায় আছেকি গাজাতে ইসরায়েল যা করছে সেটাকে আটকানোর জন্য ?? আসলে হামাস বা হেজবুল্লাহ এদের মতো দলের মুশকিল হচ্ছে যে ইসরায়েলের মতো এয়ার পাওয়ার বা এয়ার ডিফেন্স এদের নেই কিন্তু যদি টিকে থাকতে হয় তাহলে এদের লড়তেই হবে এবং সেটাই তারা করতে চাইছে যদিও এতেও অনেক ক্ষয়ক্ষতির সামনে এদের পড়তে হচ্ছে।

    আপনার ইসরায়েল নিয়ে বিশ্লেষণ নিয়েও আমি একমত। তবে একটা প্রশ্ন আছে। আপনি যে t।mel।ne দিয়েছেন সেই নব্বই দশকের শেষ দিক থেকে আমরা যদি দেখি আস্তে আস্তে নেতানিয়াহুর মতো অতি দক্ষিণপন্থী নেতার উত্থান ও বাজারভিত্তিক অর্থনীতির আধিপত্য আসছে এবং একই সঙ্গে শান্তিকামী লেবার পার্টির যারা ১৯৭০ দশকের পর্যন্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি তাদের পলিটিকাল স্পেসটাই একটু একটু করে শেষ হয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিতে তারা ক্রমশঃ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে। এদুটো ব্যাপার একসঙ্গে ঘটার কারণ কি বলে আপনার মনে হয় ? শান্তিকামী ইসরায়েলের কি চিরমৃত্যু ঘটেছে ?
  • guru | 160.238.92.171 | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩১741363
  • @সুমিত ও CS
     
    শেষপর্যন্ত সত্যি কথাটি বলেই ফেললেন কোনো মুসলিম রাষ্ট্রনায়ক |
     
  • Sumit Roy | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৭741366
  • @সি এস, আপনি যে কার্ল ইয়ং এর তত্ত্ব ধরে গিল্টের কথা বলছেন, সেটা অনুসারেই জেনারেশনের পর জেনারেশন ধরে গিল্টটা আনরিজলভড থাকতে পারে যদি রিলেটেড রিপ্রেশনকে কন্টিনিউড রাখা হয়৷ আর জার্মানিতে সেই রিপ্রেশন ইন্টেলেকচুয়াল, সোশ্যাল ওয়ার্কার, পলিটিশিয়ানরা বছরের পর বছর ধরে টিকিয়ে রেখেছে। জার্মান পলিটিশিয়ানরা সেটা ইউজ করে রাজনীতি করেছে। সেটার এফেক্ট অন্যান্য অনেক বিষয়ে ঢুকেছে। একটা উদাহরণ দেই আপনাকে। ফ্রান্স আর জার্মানি দুটো পাশাপাশি দেশ। তাও কেন ফ্রেঞ্চদের মধ্যে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রতি এত সমর্থন, আর জার্মানদের মধ্যে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রতি এত বিরাগ? কেন চেরনোবিল, ফুকুশিমা ফ্রেঞ্চদের যতটা টাচ করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাচ করে জার্মানদের? কেন ফ্রেঞ্চরা যেখানে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বাড়াতে চায়, জার্মানরা সেখানে বন্ধ করতে চায়, আর বর্তমান রুলিং পার্টি কেন তা নিয়েই রাজনীতি করতে চায়? কেন ফ্রান্স যেখানে স্ট্র‍্যাটেজিক অটোনমির কথা বলে, সেখানে জার্মানি মিলে মিশে কাজ করা, ট্রেড রিলেশন বাড়ানো ইত্যাদির কথা বলে যেখানে ইতিমধ্যেই দেশটির এতদিনের নাম করা কার ও ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রির মারকেট চায়না কব্জা করে নিচ্ছে? কারণ নিউক্লিয়ার শব্দটাই জার্মানদেরকে খুব সহজেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা মনে করায়। অটোনমির কথা তাদেরকে নাৎসিবাদের কথা মনে করায়। আর এই কালেক্টিভ গিল্ট জার্মানদের কালেক্টিভ কনশাস ও আনকনশাসের অংশ বলেই রুলিং পার্টির মত পার্টিগুলো তা ব্যবহার করে রাজনীতি করে, দেশের পলিসি ঠিক করে। 
     
    এখানে আরও নুয়েন্সড ব্যাপার আছে যা এখানে আনব না। তবে বলে রাখছি, guru যেভাবে এর একটা রেশিয়াল ডিটারমিনিস্ট ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা বেশ সরলীকরণ। ফিলিস্তিনে তারুণ্যের সমর্থনের পোস্টেও উল্লেখ করেছি, হোয়াইটদের মধ্যে ইসরায়েল সমর্থন বেশি হলেও কালারডদের মধ্যে এই সমর্থন কম না। স্ট্যাটিস্টিকালি স্পিকিং আপনি ৫% সিগ্নিফিকেন্স লেভেলে কখনওই দেখাতে পারবে না, কেবল রেশিয়াল ব্যাপারগুলো এই গিল্ট ও ইসরায়েল সমর্থনকে ডিটারমিন করে। @guru 
  • Sumit Roy | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৮741367
  • @guru, একই কারণে এরদোয়ানের এই হলোকাস্ট গিল্টের কথা বলা আহামরি কিছুনা। একাডেমিক টু পলিটিকাল জগতে এগুলি প্রতিষ্ঠিত। এরদোয়ানের রাজনীতি বরাবরই ভোলবদলের রাজনীতি৷ বর্তমান ঘটনাকে ইরান সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাচ্ছে মিডল ইস্টে নিজেদের ডোমিনেন্স কায়েম করতে। এটা তুরস্কের সহ্য হবার কথা না। তবে এই কথা এরদোয়ান এতদিন পর তুলছে কেন সেটাই চিন্তার বিষয়। 
     
    আর ইরানের প্রসঙ্গ যখন এলো তখন আপনার লেবানন নিয়ে কমেন্ট নিয়েও কিছু বলে যাই। গাজাকে বাঁচানোর জন্য লেবাননকে ডোবানোটা এথিকাল কেন মনে হচ্ছে? ইসরায়েলকে চাপ দেয়ার ব্যাপারটাই যদি প্রধান হয় তাহলে তো সেই কাজ ইরানই করতে পারত। হেজবোল্লাহকে দিয়ে কাজ করিয়ে লেবাননকে ঢোবানোর ব্যাপারটা তো ভাল অপশন না। আর ইরানের ইকোনমি সংকটাপন্ন হলেও তা অন্তত লেবাননের মত খারাপ না, আর যুদ্ধ হলে ইতিমধ্যে যেটুকু খারাপ, তার চেয়ে বেশি খারাপ হবেনা। তাই ইসরায়েলকে চাপে ফেলার কাজটা তো হেজবোল্লাহ এর বদলে ইরান নিজে ঘোষণা দিয়েই করতে পারে। এই জায়গায় ইসরায়েলকে চাপে ফেলতে হেজবোল্লাহ এর আক্রমণকে পজিটিভলি কিভাবে নেই? 
     
    ইরানের প্রসঙ্গ নিয়ে লিখেছিলাম (গুরুতে দেইনি), আমার ফেইসবুক টাইমলাইনে গিয়ে দেখতে পারেন। লিংক দিয়ে যাচ্ছি।.. 
     
     
  • Sumit Roy | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০২741389
  • প্রাসঙ্গিক হবে বলে এখানে দিচ্ছি...

    ইউরোপে কোন দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী
     
    ৭ অক্টোবরের হামলার পর গাজার যুদ্ধ যখন বাড়ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ক্রমবর্ধমান বিভাজনের মুখোমুখি হচ্ছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একপক্ষ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করছে,  অন্যপক্ষ করছে গণহত্যার অভিযোগ। এই লেখায় এই বিভাজনগুলি অনুসন্ধান করা হবে, আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে ইসরায়েলপন্থী এবং ফিলিস্তিনপন্থী দেশগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে, আলোচনায় প্রতিটি ইউরোপীয় দেশের পরিবর্তে ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনের প্রতি স্পষ্ট অবস্থানের দেশগুলির দিকে মনোনিবেশ করা হবে। দ্বিতীয়ত, আগে থেকে বলে নেয়া হচ্ছে যে, দেশগুলিকে ইসরায়েলপন্থী বা বিরোধী হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করাটা আসলে একটি জটিল বিষয়কে সরলীকরণ করাই, যেখানে ইসরায়েলর প্রতি সমর্থনের বিষয়টি দেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন তাদের জাতি এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে।
    ইউরোপে, ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনের প্রতি অবস্থান প্রায়শই ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ডানপন্থী দলগুলি ইসরায়েলপন্থী, অন্যদিকে বামপন্থী দলগুলি সাধারণত ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে। উদাহরণস্বরূপ, স্পেন ফিলিস্তিনের একটি শক্তিশালী সমর্থক। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তার সরকারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তবুও, স্পেনের সাম্প্রতিক নির্বাচন যদি ডানপন্থী পিপলস পার্টির পক্ষে থাকত, তবে ইসরায়েলের প্রতি দেশটির অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হত। পিপলস পার্টি এবং তার সম্ভাব্য জোট অংশীদার ভোক্স অনেক বেশি ইসরায়েলপন্থী মনোভাব দেখিয়েছে।
    ২০০৯ সালে নেতানিয়াহু ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ইউরোপীয় ডানপন্থীদের ইসরায়েলপন্থী এবং বামপন্থীদের ফিলিস্তিনপন্থী হওয়ার বিস্তৃত প্রবণতা ইসরায়েলের রাজনৈতিক গতিপথের সাথে যুক্ত। ঐতিহাসিকভাবে, ইসরায়েলি রাজনীতি মূলত বামপন্থী ছিল, তবে ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপুর যুদ্ধের পরে ডানদিকে স্থানান্তর শুরু হয়েছিল। ইসরায়েলের এই রাজনৈতিক বিবর্তন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রতি ইউরোপীয় রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থানকে প্রভাবিত করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইসরায়েলি রাজনীতি উভয়ের মধ্যে গভীর এবং বিবর্তিত গতিশীলতাকেই প্রতিফলিত করে। গাজা সংঘাতের বিষয়ে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির জটিলতা এবং বৈদেশিক নীতির অবস্থানগুলিতে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাবকে তুলে ধরে।
    ইজরায়েলপন্থী দেশসমূহ
    জার্মানি : জার্মানি ইউরোপে ইসরায়েলের অন্যতম অবিচল সমর্থক। চ্যান্সেলর ওলাফ শুল্টজ সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে নিশ্চিত করেছেন এবং সমালোচনাকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। জার্মান কর্তৃপক্ষ মূলত ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে। দেশটি ইসরায়েলে ৩০৩ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। উপরন্তু, জার্মানির সর্বশেষ পুনঃসশস্ত্র মতবাদ বা রিআর্মামেন্ট ডকট্রিন ইসরায়েলের গুরুত্বকে তুলে ধরে, ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে তারা জার্মান জাতীয় স্বার্থ হিসাবে ঘোষণা করছে। জার্মান রাজনীতির অনন্য দিক হল ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের দ্বিপক্ষীয় প্রকৃতি। অন্যান্য দেশের বিপরীতে যেখানে রাজনৈতিক বামপন্থীরা ফিলিস্তিনপন্থী, জার্মানিতে বাম এবং ডানপন্থী উভয় দলই ইসরায়েলের প্রতি সমান সমর্থন প্রদর্শন করে। এই ঘটনাটি জার্মানির ঐতিহাসিক চেতনা, বিশেষত হলোকাস্টের সাথে গভীরভাবে জড়িত, যা ইসরায়েলি রাষ্ট্রকে সমর্থন করার জন্য একটি অনুভূত জাতীয় বাধ্যবাধকতা বা পারসিভড ন্যাশনাল অব্লিগেশনের দিকে পরিচালিত করে।
    অস্ট্রিয়া : অস্ট্রিয়া তার জটিল হলোকাস্ট ইতিহাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়েই ইসরায়েলের সাথে উল্লেখযোগ্য সংহতি দেখিয়েছে। এটি স্পষ্ট হয়েছিল যখন অস্ট্রিয়া ইসরায়েলের পক্ষে ইউএন এর সাধারণ পরিষদে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। অস্ট্রিয়া-ইসরায়েল সম্পর্ক ২০১০ এর দশকের শেষের দিকে গতি লাভ করে, বিশেষত পিপলস পার্টির নেতা সেবাস্তিয়ান কুর্টজের অধীনে। নব্য-নাৎসি উত্স এবং এন্টি-সেমেটিক ইতিহাসের জন্য পরিচিত ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির সাথে জোট গঠনের তার সিদ্ধান্তটি কৌশলগত ছিল। ইসরায়েলের সাথে জোটবদ্ধ হওয়া কুর্টজকে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ প্রতিহত করতে এবং ২০০০ এর দশকে ফ্রিডম পার্টির সরকারের সাথে অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এড়াতে সহায়তা করেছিল। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ফ্রিডম পার্টির মন্ত্রীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও অস্ট্রিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কুর্টজকে ইসরায়েল ও ইহুদি জনগণের সত্যিকারের বন্ধু বলে প্রশংসা করেছেন।
    এই ঘটনাগুলি উদাহরণ দেয় যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং রাজনৈতিক কৌশলগুলি কীভাবে ইউরোপীয় দেশগুলিতে ইসরায়েলপন্থী মনোভাবকে আকৃতি দান করে। জার্মানি ও অস্ট্রিয়া তাদের হলোকাস্টের ইতিহাস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন নীতি ও অবস্থান গ্রহণ করেছে যা ইসরায়েলের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে, সাধারণ বাম-ডান রাজনৈতিক বিভাজন অতিক্রম করে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ঐতিহাসিক দায়িত্বগুলিকে সম্বোধন করে।
    হাঙ্গেরি : অস্ট্রিয়ার প্রতিবেশী হাঙ্গেরি উল্লেখযোগ্যভাবে ইসরায়েলপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেছে, যা ইউএন এর সাধারণ পরিষদে তার কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট, যেখানে এটি ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশ নিষিদ্ধকারী প্রথম দেশগুলির মধ্যে ছিল। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন হিসেবে হাঙ্গেরি একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, এবং ফিলিস্তিনে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের নিন্দা জানানো একটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। মজার বিষয় হল, হাঙ্গেরি এই বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষে থাকা মাত্র সাতটি দেশের মধ্যে একটি ছিল। প্রথম নজরে, এই জোটটি পরস্পরবিরোধী বলে মনে হতে পারে, কারণ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সরকার মূলত জনহিতৈষী জর্জ সোরোসের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষী বক্তব্য ব্যবহার করার জন্য পশ্চিমা মিডিয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হাঙ্গেরিয়ান-ইসরায়েলি সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে, আংশিকভাবে কারণ ইসরায়েলের ডানপন্থী এবং হাঙ্গেরি উভয়ই সোরোসকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসাবে দেখে।
    ২০১৯ সালে, হাঙ্গেরি জেরুজালেমে একটি বাণিজ্য অফিস খোলার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা এমন একটি পদক্ষেপ ছিল যা জেরুজালেমকে ইসরায়েলের অংশ হিসাবে স্বীকার করেছিল। এরপর ২০২১ সালে হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান নিতে বাধা দেয়। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইইউকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন। হাঙ্গেরির ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের পেছনে যুক্তিটি ইসরায়েলের সাথে একটি অভিন্ন জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ থেকে উদ্ভূত বলে মনে হয়। ২০২০ সালে হাঙ্গেরি ও ইসরায়েল একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে অরবান ও নেতানিয়াহুর সরকারের মধ্যে মিল তুলে ধরে। এই বিবৃতিতে দেশাত্মবোধক জাতীয় মূল্যবোধের প্রচার, জাতীয় পরিচয় ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের গুরুত্ব এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলায় একটি সমন্বিত অবস্থানের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
    চেকিয়া : ইসরায়েলপন্থী আরেক দেশ চেকিয়ার ব্যাপারে বলা যাক। দেশটি ইউএন এর সাধারণ পরিষদে মানবিক যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষ নেয় এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন কমানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি হাঙ্গেরির আহ্বানের প্রতিধ্বনি দেয়। চেক প্রজাতন্ত্র ইসরায়েলের সাথে মতাদর্শগত সম্পর্ক রাখে, কেবল একটি জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র হিসাবে নয়, একটি ছোট জাতি হিসাবেও যা ঐতিহাসিকভাবে বৃহত্তর প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই এবং জাতীয় পরিচয় বজায় রাখার এই সম-অভিজ্ঞতা চেকিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ গড়ে তুলেছে।
    ফিলিস্তিনপন্থী দেশসমূহ
    আয়ারল্যান্ড : এই আলোচনার দ্বিতীয় অংশে গিয়ে, আমরা আয়ারল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউরোপের সবচেয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী দেশগুলির দিকে মনোনিবেশ করতে যাচ্ছি। আয়ারল্যান্ডের অবস্থান ফিলিস্তিনের উপনিবেশ-বিরোধী সংগ্রামের সাথে তার সংযুক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়। দক্ষিণ লেবাননে ইউএন এর শান্তিরক্ষা মিশনে আইরিশ সৈন্যদের মৃত্যু এবং হামাসের এক কর্মকর্তাকে হত্যায় ইসরায়েলি এজেন্টদের দ্বারা আইরিশ পাসপোর্টের অপব্যবহার সহ বেশ কয়েকটি ঘটনার কারণে ইসরায়েল ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
    স্পেন : স্পেন আরেকটি ইউরোপীয় দেশ যা উল্লেখযোগ্যভাবে ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেছে। দেশটি ফিলিস্তিনে ইইউ'র সহায়তা স্থগিতের বিরোধিতাকারী দেশগুলোর মধ্যে স্পেন অন্যতম। গাজায় ইসরায়েল গণহত্যার পরিকল্পনা করছে বলে স্পেনের এক মন্ত্রীর অভিযোগের পর হামাসের পক্ষে থাকার অভিযোগে ইসরায়েল স্পেনের সমালোচনা করে। এই অবস্থানটি মূলত এই সত্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে বর্তমানে ইসরায়েলপন্থী ডানপন্থীদের বিপরীতে ফিলিস্তিনপন্থী হিসাবে পরিচিত স্প্যানিশ বামপন্থীরা ক্ষমতায় রয়েছে।
    লুক্সেমবার্গ : লুক্সেমবার্গও ফিলিস্তিনি সহায়তা স্থগিতের বিরোধিতা করেছিল এবং কিছু সময়ের জন্য ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান বজায় রেখে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধবিরতির পক্ষে ছিল। লুক্সেমবার্গ আব্রাহাম চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধী কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি ছিল। ২০১৫ সাল থেকে লুক্সেমবার্গ ইউএন এর সাধারণ পরিষদে ইসরায়েল সম্পর্কিত ১৩৮টি প্রস্তাবের কোনোটিতে ইসরায়েলের সঙ্গে জোট করেনি। লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০০৪ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ দেননি। তিনি নেতানিয়াহুর বন্দোবস্ত কর্মসূচিরও সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের কার্যকারিতার জন্য ক্ষতিকারক হিসাবে দেখেছেন।
    এই দেশগুলির অবস্থানগুলি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রতি ইউরোপের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াকে চিত্রিত করে, এবং তাদের বৈদেশিক নীতির সিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করে এমন ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক এবং মতাদর্শগত কারণগুলির একটি জটিল পারস্পরিক ক্রিয়াকে প্রতিফলিত করে।
    তথ্যসূত্র
    1 - https://twitter.com/ragipsoylu/status/1724760830065942861?s=20
    2 - https://thediplomatinspain.com/en/2023/10/feijoo-accuses-the-government-of-making-a-fool-of-ourselves-with-its-positions-on-israel/
    3 - https://www.tabletmag.com/sections/news/articles/spains-pro-israel-far-right-party
    4 - https://www.dw.com/en/scholz-says-erdogan-accusing-israel-of-fascism-is-absurd/a-67400739
    5 - https://www.politico.eu/article/israel-hamas-war-germany-germany-berlin/
    6 - https://www.bmvg.de/resource/blob/5701724/eacb54dfc428b6808c9088402de91836/broschuere-verteidigungspolitische-richtlinien-2023-data.pdf
    7 - https://www.theguardian.com/commentisfree/2023/nov/04/germany-israel-hamas-war-peace
    8 - https://www.politico.eu/article/israel-hamas-war-germany-germany-berlin/
    9 - https://www.politico.eu/article/adolf-hitler-homeland-austria-became-israel-europe-bff-palestine-conflict/
    10 - https://www.reuters.com/world/europe/hungary-ban-rallies-supporting-terrorist-organisations-pm-orban-2023-10-13/
    11 - https://twitter.com/AlanRMacLeod/status/1723383366521688264?s=20
    12 - https://balkaninsight.com/2023/11/14/the-roots-of-orbans-strong-bond-with-israel-and-its-pm/
    13 - https://en.wikipedia.org/wiki/Hungary%E2%80%93Israel_relations
    14 - https://www.maariv.co.il/news/politics/Article-766829
    15 - http://www.conbiz.eu/information/articles/Czech-policy-towards-Israel
    16 - https://www.theguardian.com/commentisfree/2023/nov/02/ireland-criticism-israel-eu-palestinian-rights
    17 - https://www.aljazeera.com/news/2023/11/8/deafening-silence-spanish-minister-calls-on-europe-to-sanction-israel
    18 - https://www.aljazeera.com/news/2023/11/8/deafening-silence-spanish-minister-calls-on-europe-to-sanction-israel
    19 - https://www.aa.com.tr/en/europe/clear-that-gaza-cease-fire-must-be-reached-as-soon-as-possible-says-luxembourg-s-foreign-minister/3054088
    20 - https://unwatch.org/luxembourg-called-out-at-un-as-most-anti-israel-eu-member-state/
  • মনমাঝি | ২০ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫৬741391
  • @Sumit Roy  এবং @guru
    আপনাদের দু'জনের কাছেই layman হিসেবে দু'টি প্রশ্ন। ১। মধ্যপ্রাচ্যের তেল-সমৃদ্ধ আরব/মুসলিম দেশগুলির যদি ফিলিস্তিনিদের প্রতি এতই দরদ তাহলে তারা ইসরাইলে তেল বিক্রি বন্ধ করছে না কেন? সরাসরি যুদ্ধ করার শক্তি বা সাহস নেই নাহয় বুঝলাম বিশেষ করে ইজরাইলের প্রতি পুরো পশ্চিমা বিশ্বের তাৎক্ষণিক ও ব্ল্যাংকেট সমর্থন ঘোষণার কারনে।  কিন্তু তেলটাও বন্ধ করার শক্তি কি নাই? (আমি জানি না এইসব দেশ ইজরায়েলকে তেল বিক্রি করে কিনা বা করলে কতটুকু)। নাকি এটা নিছকই টাকার লোভ বা তাদের কাছে এতে যা লোকসান হবে ফিলিস্তিনিদের প্রাণের মূল্য তার থেকে কম? আর এদিকে এররদোগান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে / ইজরাইলের বিপক্ষে বেশ কিছু নরম-গরম কথাবার্তা বলেছেন শুনলাম। কিন্তু ওনার দেশের ভিতর দিয়েই আজারবাইজানি তেলের পাইপলাইন গেছে ইজরাইলে যা ইজরাইলি যুদ্ধ ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এ ব্যাপারে তাকে কোনোই উচ্চবাচ্য করতে শুনলাম না।  এই ব্যাপারে তার নীরবতার কারন কি? 
    ২। গাজা যুদ্ধের পরিণতিতে আরব দেশগুলির সাথে  ইজরাইলের Abraham Accords - পরবর্তী ব্যবসা-বানিজ্যে উন্নতি এবং প্রস্তাবিত IMEC করিডোরের উপর কি কোনো স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে? 
  • guru | 103.211.135.31 | ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৫০741394
  • @মনমাঝি
    ১। আপনি ভাই একেবারে ঠিক পয়েন্টটাই তুলে ধরেছেন। সত্যি কথা বলতেকি মুসলমান প্রধান দেশগুলোতে অনেকগুলোতেই কোনো গণতন্ত্র নেই বিশেষ করে এইসব GCC গালফ আরবদের দেশগুলোতে। এদের সবচেয়ে বড়ো দুর্বলতা হচ্ছে যে এরা সারা বিশ্বকে তেল বেচে যে সারপ্লাস ডলার গুলো পায় সেটা এরা হয় ইনভেস্ট করে আম্রিকার থেকে অস্ত্র কিনতে বা আম্রিকি ডলার বন্ড কিনতে। এদের পুরো পলিটিকাল ইকোনোমিটাই পুরোপুরি ঠিক এভাবেই নিয়ন্ত্রণ করে আম্রিকা। আমি এই GCC রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিশেষ করে সৌদি আর UAE কে নিয়ে বলবো। আমি আজ থেকে ১২ বছর আগে যখন আরব স্প্রিং এসেছিল এবং মিশর টিউনিসিয়া প্রভৃতিতে pro-amreeki ডিকটেটরগুলোর একে েএকে পতন হচ্ছিলো ঠিক সেসময়ই আমাকে বিখ্যাত আম্রিকি জায়নবাদী ড্যানিয়েল পাইপস বলেছিলেন যে ইসরায়েল ও আম্রিকার সবসময়েই দরকার ছিলো এসব ডিকটেটর দিয়ে এলাকাটি চালানো এবং পশ্চিম এশিয়াতে গণতন্ত্র কোনোভাবেই আম্রিকার স্বার্থে নেই। এদের দিয়ে সঠিক ভাবে প্যালেস্টাইনের ভালোর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যতদিন এই রাষ্ট্রগুলো টিকে থাকবে পৃথিবীর বুকে ততদিন পশ্চিম এশিয়াতে প্রকৃত গণতন্ত্র বা প্যালেস্টাইনে সুবিচার কোনো কিছুরই কোনো আশা নেই।
    এর্দোয়ান নিজে থেকে যতকিছুই বলুন না কেন তার পক্ষে খুব বেশি কিছুই করার ক্ষমতা নেই। তার কারণ তুর্কির অর্থনীতিও খুব ভালো জায়গাতে নেই উপরন্ত আমার ধারণা এরদোয়ানের নিজের বা তার পরিবারেরও অনেক অর্থ আম্রিকি ব্যাংকে আছে। এটা একটা বড়ো কারণ।
    বর্তমানে মুসলিম দুনিয়ার যে সময়টি চলছে এটিকে "সেঞ্চুরি অফ humiliation" বলে আমি মনে করি ঠিক যেভাবে গত শতাব্দী ছিল চীনের "সেঞ্চুরি অফ humiliation"। চীনের মানুষ এই সময় থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন যেহেতু তারা একসঙ্গে লড়তে শিখেছিলেন। কিন্তু মুসলিম দুনিয়া কি একসঙ্গে লড়তে শিখবে ?
    ২। GCC দেশগুলো এখনো চাইবে ইসরায়েলের সঙ্গে আব্রাহাম একোর্ডস চালু করতে। বর্তমানে কিছুদিন এরা হয়তো চুপচাপ থাকবে যেহেতু এদের নিজেদের দেশের জনগণ ভীষণভাবে প্যালেস্টাইনের পক্ষে ও আব্রাহাম একোর্ডস এর বিরোধী। কিন্তু যেহেতু এসব দেশগুলো একটাও প্রকৃত গণতন্ত্র নয় যেখানে জনগণের বক্তব্যের মর্যাদা থাকবে সেহেতু কিছুদিন পরেই এরা আবার ইসরায়েলের ও আম্রিকার সঙ্গে ডিল করতে শুরু করে দেবে।
    IMEC করিডোরের অনেক রকম সমস্যা আছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্টেবিলিটি দুটো বড় সমস্যা। UAE আর সৌদি রাজনীতি স্থিতিশীলতা খুব ইম্পরট্যান্ট একটা সমস্যা।
  • guru | 103.211.135.31 | ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১১:১০741395
  • @Sumit রায় 

    আপনি বেশ ভালোই এনালাইসিস করেছেন। ভীষণ বিচক্ষণ ও অনেক সঠিক তথ্য দিয়েছেন। আপনি জার্মান গিল্ট নিয়ে খুব ভালোই লিখেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন যে এই গিল্ট শুধুমাত্র কেন ইসরায়েলের ক্ষেত্রেই আসে?? নামিবিয়ার হেরেরোদের গণহত্যা করবার পরেও জার্মানদের এই ব্যাপারটা নিয়ে কোনো গিল্ট নেই কেন? আমার মনে হয় এই গিল্টটাও অনেকটা সিলেক্টিভ অর্থাৎ সব রকম মানুষের ক্ষেত্রে জেনোসাইড হলেই এই গিল্ট ট্রিগার করেনা।
  • guru | 103.211.135.31 | ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩৩741396
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪০ 
     
    বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও প্যালেস্টাইন 
     
    ১৯ নভেম্বর ২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে সবচেয়ে দুঃসাহসী কাজটি করে ফেললেন কোন অস্ট্রেলিয়ান ???  প্যাট কামিন্স নন ট্রাভিস হেড নন স্টার্ক বা হেজেলউড নন মাঠে থাকা ১১ জন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার নন , বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালের ময়দানে সবচেয়ে দুঃসাহসী কাজটি করলেন এক অখ্যাত অনামা অস্ট্রেলিয়ান যুবক (তার নাম অন্তর্জালে ঘুরছে "জন" বলে ) মুখে প্যালেস্টাইনের পতাকা আঁকা মাস্ক পরে আর "ফ্রি প্যালেস্টাইন" , "স্টপ জেনোসাইড" টি শার্ট পরে মাঠে নেমে সটান পিচে পৌঁছে স্বয়ং "কিং" কোহলিকে জড়িয়ে ধরে |  
     
    আর এই দুঃসাহসিক কাজটি করলেন কোথায় ? এমন একটি দেশে যেখানে প্যালেস্টাইনের সপক্ষে কিছু বললেই জেলে যাবার প্রচুর সম্ভাবনা এবং এমন একজন রাজনৈতিক নেতার নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে যিনি গাজার ব্যাপারটি সামনে আসতেই "বিবি" নেতানিয়াহুকে প্যালেস্টিনিয়ানদের উচিত শিক্ষা দেবার জন্য ধন্যবাদ ও অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলেন | 
     
    একেই বলে বোধয় বিগ ম্যাচ টেম্পেরামেন্ট |
     
  • guru | 103.211.135.31 | ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪১741397
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪১

    আহমেদাবাদের সবচেয়ে সাহসী অস্ট্রেলীয়

    আগের মিনি কড়চাতে যে অসমসাহসী অস্ট্রেলীয় যুবকের কথা বলেছিলাম তার নাম পাওয়া গেছে। এই যুবক হলেন ওয়েন জনসন, একজন ফিলিপিনো চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। ইনি একজন শান্তিকামী এর আগে খেলার মাঠে "ফ্রি ইউক্রেইনে" শার্ট পরে মাঠে নেমেছিলেন।
  • guru | 103.211.135.31 | ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪২741405
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪২

    এবার ময়দানে ইয়েমেন

    প্যালেস্টাইনের এই যুদ্ধের আসরে এবার নতুন খেলোয়াড়। ইয়েমেনের আনসারউল্লাহ দল যাদের পশ্চিমি মিডিয়া হাউথি নামে ডাকে, এবার শিরোনামে লোহিত সাগর থেকে একটি ইসরায়েলী মালিকানাধীন ভারতগামী জাহাজ দখল করে। প্রসংগতঃ উল্লেখ্য যে এই আনসারউল্লাহ দল গত বেশ কয়েকবছর ধরে ইয়েমেনে সৌদি ও আমিরশাহী বাহিনীদের সঙ্গে লড়ে বেশ পাকাপোক্ত হয়ে উঠেছে। গাজার বর্তমান যুদ্ধপরিস্থিতেও এরা এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ইসরায়েলে একাধিক রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং একটি আম্রিকি ড্রোনকেও মাটিতে নামিয়েছে। আনসারউল্লাহ দলের মুখপাত্রের বক্তব্য যে এসবই তারা করছেন যেহেতু সৌদির মতো ধনী আরব দেশগুলো প্যালেস্টাইনের জন্য কিছু করতে অক্ষম। ইসরায়েল অবশ্য যথারীতি ইরানকে এজন্য দায়ী করেছে।

    আমার এই মিনি কড়চার একজন পাঠক ভারত ইসরায়েল IMEC করিডোরের উপরে পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতির প্রভাব কি হতে পারে জানতে চেয়েছিলেন। ইয়েমেনের আনসারউল্লাহ দল দেখা যাচ্ছে এই IMEC করিডোরের ব্যাপারে আরেকটি সমস্যার সৃষ্টি করলো।
  • ফিরোজ | 72.52.87.60 | ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪১741445
  • অবশেষে হামাস আর ইসরাইলের মধ্যে বন্দীমুক্তি চুক্তি অনেকটাই কার্যকর হতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে হামাস ৫০ জন ইজরাইলিকে মুক্তি দেবে, তারপর ধাপে ধাপে অন্যদের। বিনিময়ে ৩০০ ​​​​​​​জন প্যালেস্টিনিয়ান ​​​​​​​মুক্তি ​​​​​​​পাবেন ​​​​​​​বলে ​​​​​​​মনে ​​​​​​​করা হচ্ছে। 
     
    এই চুক্তির পেছনে বড়ো ভূমিকা নিয়েছেন জো বাইডেন। প্রকৃতপক্ষে, হামাস এর ইজরাইল আক্রমনের অব্যবহিত পরেই কাতারি সরকার হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করে সব পক্ষের সঙ্গে কথা শুরু করতে। বাইডেনের মধ্যস্থতায় কাতার, ইজিপ্ট ও ইসরাইল সরকার হামাসের সাথে গোপনে কথা চালাচালি শুরু করে। সিআইএ এর ডিরেক্টর বিল বার্ণস ও অন্য পদস্থ কর্মচারীরাও যোগ দেন ও এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করতে থাকেন। দুজন আমেরিকান মুক্তিও পান। অবশেষে বাইডেন কাতারের এমিরকে ফোন করে বলেন অনেক হয়েছে, আর সময় নেই। তারপর ঈজিপ্ট এর গোয়েন্দা প্রধান ও মোসাদ এর কর্তাব্যক্তিরা হামাস এর সাথে জরুরি মিটিং এ বসে সমাধানসূত্র বার করেন। 
     
    ইসরাইল সরকার অবশ্য বলেছেন হামাস এর বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে। তবুও আশা করা যায় ক্রমশ স্থিতাবস্থা ফের বহাল হবে। যেসব যুদ্ধবাজরা আশা করেছিলেন যে লেবাননের হেজবোল্লা বা ইয়েমেনের আনসারউল্লাহ দল যাদের পশ্চিমি মিডিয়া হাউথি নামে ডাকে তারা ইজরাইলকে বিভিন্ন দিক দিয়ে আক্রমণ করবে ও যুদ্ধের ব্যাপকতা আরও বাড়বে তাদের আশায় আপাতত ছাই পড়লো বলে মনে করা হচ্ছে।   
     
    তথসূত্রঃ 
  • guru | 103.175.169.203 | ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১২:০৪741451
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৩

    শান্তির পথে নাকি আরো যুদ্ধের আগে একটি সাময়িক বিরতি?

    প্রায় দেড়মাসের পরে অবশেষে গাজাতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়েছে যেখানে ইসরায়েল ও হামাস কিছু বন্দী বিনিময় করবে (৫০ জন ইস্রায়েলীর বদলে ১৫০ বা কিছু বেশি প্যালেস্টিনি) এছাড়াও বলা হচ্ছে আপাতত চার পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে হতে যাচ্ছে যে যুদ্ধবিরতিটি আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে।

    আপাতদৃষ্টিতে দেখলে শান্তির পক্ষে এটি বেশ আশাব্যাঞ্জক একটা ব্যাপার। হামাসের দিক থেকে দেখলেও এটি একটি বড়ো জয় যেহেতু এই যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই ইসরায়েলের নেতারা বারবার বলে আসছিলেন যে হামাসের পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে। এপ্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে মাত্র ছয়দিনের যুদ্ধে বেশ কয়েকটি আরব দেশকে হারিয়ে দিয়েছিলো। কাজেই দীর্ঘ দেড়মাসের পরেও একটা ক্ষুদ্র মিলিশিয়া হামাসের ইসরায়েলের তীব্র সামরিক আক্রমণ সহ্য করে টিকে থাকা ও বন্দিবিনিময় চুক্তি এটাই প্রমান করে যে হামাস একটা লম্বা সময় ধরে ইসরায়েলের চরম আক্রমণের পরেও নিজের অস্তিত্ব রক্ষাতে সক্ষম। এটাই সবচেয়ে বড় জিৎ হামাসের পক্ষে এবং এর ফলে নিঃসন্দেহে হামাসের রাজনৈতিক সুবিধা অনেক আসবে।

    ইসরাইলের পক্ষে দেখলে বলা যাবে যে প্রথম দুএক সপ্তাহ প্রবল সর্বশক্তি নিয়ে ইসরায়েল বোমাবর্ষণ করেছিলো আস্তে আস্তে তার অবস্থান পরিবর্তন হয় যেহেতু এই পুরো সময়টাতে হামাস এর কব্জা থেকে ইসরায়েল তার পণবন্দিদের উদ্ধার করতে পারেনি। এছাড়া উত্তর গাজাতে যুদ্ধ চলাকালীন ইসরাইলের অন্তত ৬৫ জন (IDF অনুসারে) সৈন্যেরও মৃত্যু হয়েছে যেটি নিঃসন্দেহে হামাসের সঙ্গে এর আগের খুব বেশী যুদ্ধে ইসরায়েলকে এতো সৈন্য হারাতে হয়নি। অর্থাৎ পণবন্দী ও স্থলযুদ্ধে এতো বেশি সংখ্যক সৈন্যের মৃত্যু এদুটো ফ্যাক্টরই দায়ী ইসরায়েলের সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য।

    লেবাননের হেজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের আনসারুল্লাহের সঙ্গে ইসরায়েলের এখনো পর্যন্ত এরকম কোনো সমঝোতা হয়নি কাজেই এটা আশা করা যেতেই পারে যে ওই দুটো ফ্রন্টের থেকে এখনো সংঘর্ষের খবর আসতে থাকবে।

    পরিশেষে এটা বলা যেতেই পারে যেহেতু ইসরায়েলের জায়নবাদী রাষ্ট্রনীতি প্যালেস্টাইনের প্রতি "লৌহ প্রাচীর" নীতিতে বিশ্বাসী, যেটি আমি আমার এই লেখার আগের একটি মিনি কড়চার এপিসোডে (পড়ুন প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ২৬ ইসরায়েল কড়চা : জিওনবাদ ৩) উল্লেখ করেছি ("লৌহ প্রাচীর" নীতি অনুযায়ী জায়নবাদীরা পালেস্তিনীয়দের সঙ্গে কোনোরকম সমঝোতা করবেনা বরঞ্চ প্রবল সামরিক ও অসামরিক দমন নীতি প্রয়োগ করে পালেস্তিনীয়দের আত্মসমর্পনে বাধ্য করবে ) সেইহেতু আমি মনে করি না এই ইসরায়েল প্যালেস্টাইন বর্তমান যুদ্ধবিরতি খুব বেশীদিন স্থায়ী হবে। স্বয়ং নেতানিয়াহু নিজেও এইরকমই কথা বলেছেন।
  • Sumit Roy | ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৭741462
  • @guru 
     
    প্রচুর সংখ্যক জার্মানি নাৎসিবাদকে মনে প্রাণে ধারণ করর। হিটলার বিপুল ভোটে জয়ী ছিল। যেসব ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিল তারা সব জার্মানেরই কোন না কোনভাবে প্রতিবেশী, কলিগ ছিল। এগুলো থেকেই গিল্ট সর্বময় হয়। ন্যামিবিয়ার ক্ষেত্রে এই এক্সপোজার ছিলনা৷ তাই সেটা নিয়ে গিল্ট তেমন হবার কথাও না৷ 
  • guru | 103.151.156.160 | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪৬741550
  • @সুমিত 
     
    অনেক ধন্যবাদ সুমিতবাবু। আমার কথাটাই আপনি মেনে নিয়েছেন যে শেতাঙ্গ জার্মানরা শ্বেতাঙ্গ ইহুদীদের জেনোসাইড নিয়ে গিল্টে ভোগে কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ হেরেরোদের মৃত্যুদের নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই তাদের কোনো গিল্টও নেই। অর্থাৎ ইহুদী নিয়ে জার্মান গিল্ট আসলে হোয়াইট গিল্ট। এই নিচের ছবিটা একটা আম্রিকি প্রোগ্রেসিভ ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। এটা প্রমান করে যে আম্রিকিরা ইসরায়েল কে সাপোর্ট করে কারন জায়নবাদীরা শ্বেতাঙ্গ।
     
  • guru | 103.151.156.160 | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৫৩741551
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৪ 

    আবার যুদ্ধ শুরু প্যালেস্টাইনে
     
    আমার আগের মিনি করচাতে (প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৩ শান্তির পথে নাকি আরো যুদ্ধের আগে একটি সাময়িক বিরতি?)  আমি বলেছিলাম যে তৎকালীন যুদ্ধবিরতি একটি সাময়িক ব্যাপার মাত্র যেহেতু ইসরায়েলের এই যুদ্ধ থামাবার মতো কোনো সদিচ্ছাই নেই।
     
    আবার যুদ্ধ শুরু হলো প্যালেস্টাইনে যেহেতু ইসরায়েল কোনোভাবেই প্যালেস্টাইনের সঙ্গে শান্তিতে রাজী নয়।
  • s | 2605:6400:30:f920:f523:28ef:3617:8b86 | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৭741557
  • রাষ্ট্রপুঞ্জে হামাসের প্রতিষ্ঠাতার ছেলের খোলামেলা ভাষণ।
  • guru | 146.196.45.254 | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৩741558
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৫ 
     
    মৃত  শিশুটি কি মানুষ নাকি পুতুল 
     
    গাজাতে আবার ইসরায়েলী বোমাবাজি শুরু হবার পরে যথারীতি ইন্টারনেটে একটি ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। সেই ট্রেন্ডটি হচ্ছে যেইভাবে হোক ফেক নিউজ ছড়িয়ে গাজার হত্যালীলাকে লঘু করতে চাওয়া। এইভাবেই ইসরায়েলের বোমায় মৃত গাজার একটি শিশুকে একটি ভারতীয় টুইটার হ্যান্ডেল mr sinha একটা পুতুল বলে দাবি করে। অবশ্য পরে ইসরায়েলের নামকরা দক্ষিণপন্থী দৈনিক জেরুসালেম পোস্ট পুরো ব্যাপারটাকেই এই বলে দাবি করে যে গাজার এই মা একটা পুতুল কোলে নিয়ে সেটিকে ইসরাইলের বোমায় মৃত শিশু বলে দাবি করছেন।
     
     
    পরে জানা গেছে যে মৃতের নাম মহম্মদ হানি আল জোহর এবং ইসরায়েলের বোমাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হবার আগে এ একজন মানুষই ছিলো ।  জেরুসালেম পোস্টও নিজেদের আর্টিকেলটি ইন্টারনেট থেকে তুলে নিয়েছে। এখন নিচের এই মৃত শিশুটি কি মানুষ নাকি পুতুল ? আমি পাঠকদের উপরে ছেড়ে দিলাম।
     
  • guru | 160.238.93.107 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৮741571
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৬ 
     
    খন্ড বিখন্ড টুকরো টুকরো প্যালেস্টাইনে সেই ​​​​​​​শিশু
     
    প্যালেস্টাইনের এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তি কে? না ইয়াসের আরাফাত নন গাজার কোনো হামাস নেতা নন এডওয়ার্ড সাঈদ বা কানাফানিও নন প্যালেস্টাইনের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তি সেই মানুষটি আজ থেকে ২০২৩ বছর আগে জন্মেছিলেন বেথলেহেমের একটি অখ্যাত গোয়ালে। আজ থেকে ১৮ দিন পর আমরা আবার তার জন্মদিন পালন করবো আরেকবার।
     
    গাজার এসব ধ্বংসলীলার মধ্যে বেথলেহেমের সেই মানুষটির জন্মদিন এবছরের ২৫ ডিসেম্বরে নতুন ভাবে সাজানো হবে সেই শিশুটিকে। ভেড়ার যাবনা খাবার পাত্রের বদলে শিশু যীশুকে দেখা যাবে টুকরো টুকরো ইট পাথরের মধ্যে, গায়ে থাকবে প্যালেস্টাইনের চিরকালীন কাপড় কাফিয়ে। বেথলেমের খ্রিস্টানদের মতে ​​​​​​​আজকে জন্মালে শিশু যীশুকে এই টন টন ভাঙা ইঁট পাথরের কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই প্রথম নিশ্বাস নিতে হতো যেখানে হয়তো কিছু আগেই চিরকালের মতো চাপা পড়েছেন মাতা মেরী এবং জোসেফ, যীশুর বাবা মা চিরদিনের জন্য।
     
    (সূত্র আল জাজিরা )
     
  • guru | 115.187.51.133 | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৫১741596
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৭
     
    আবু ঘ্রাইব ২ 
     
    গাজার আক্রমণের বর্তমান সময়ে ইসরায়েলী বাহিনী একাধিক প্যালেস্টিনিয়ান মানুষকে গ্রেপ্তার করবার পরে এবার সামনে আনলো। কিভাবে আনলো পাঠকেরা নিজেরাই দেখেনিন। আমার শুধু এই ব্যাপারটা দেখে আবার আবু ঘ্রাইবের  কথা মনে পড়ে গেলো।
  • guru | 103.135.229.14 | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১২741618
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৮ 
     
    গাজার কবির মৃত্যু 
     
    গাজাতে কাল ইসরায়েলী বোমাতে মৃত্যু হলো খ্যাতনামা কবি ও স্কলার রেফাত আল আরারের | তিনি গাজার একমাত্র কবি যিনি লিখতেন ইংরেজিতে যাতে তার কবিতার মাধ্যমে সারা বিশ্ব গাজার ব্যাপারে জানতে পারে | হয়তো একারণেই ইসরায়েলের মোসাদের সর্বময় কর্তা তাকে ফোন করে জানান ঠিক কোন মুহূর্তে ইস্রায়েল তার ফ্ল্যাটের উপরে বোমা ফেলবে | কিন্তু এই হুমকি সত্ত্বেও তার কর্মক্ষেত্র ছাড়তে চাননি রেফাত আর বেছে নিলেন নিশ্চিন্ত মৃত্যুকে | মৃত্যুর আগে যে শেষ কবিতাটি লিখে গেলেন তিনি তার বাংলা করলে হবে এরকম |  (গুরুচন্ডালির পাঠকেরা নিজ গুনে ক্ষমা করবেন )
     
    যদি আমি না থাকি 
     
    রেফাত আল আরার
     
    যদি আমি না থাকি ,
     
    তুমি কিন্ত বেঁচে থেকো বন্ধু ,
     
    আমার গল্পটা বলতে |
     
    আমার সবকটা স্মৃতি বেচে 
     
    একটা ঘুড়ি কিনো |
     
    যাতে গাজার এককোনাতে ওই যে সেই বাচ্চাটা ,
     
    যার বাবা তাকে ছেড়ে চলে গেছে এই দুনিয়া থেকে চিরদিনের মতো ,
     
    বাবাকে শেষ বিদায় যে পারেনি জানাতে ,
     
    বাবার কবর কোথায় যে এখনো জানেনা ,
     
    সে যেন দেখে এই ঘুড়িটা ,
     
    আর একমুহূর্তের জন্য এটাকে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ মনে করে তার প্রতি |
     
    যেন ভাবতে পারে তাকেও কেউ ভালোবাসে এখনো |
     
    যেন তাই সেও ভালো বাসতে শেখে |
     
     
    যদি আমি না থাকি ,

    তুমি কিন্ত বেঁচে থেকো বন্ধু ,

    আমার গল্পটা বলতে |
     
    যেনো শেষ না হয় আশা ,
     
    যেন আমার চলে যাবার সঙ্গেই শুরু হয় নতুন একটা গল্প |
     
     
     
     
    রেফাত আল আরার (১৯৮২ - ২০২৩ )
     
     
     
     
     
     
     
  • guru | 103.135.229.33 | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৫৫741667
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪৯ 
     
    গাজাতে তিন ইসরায়েলী পণবন্দিদের মৃত্যু ...........  ইসরায়েলিদের হাতে 
     
     গাজাতে ইসরায়েলী সেনার হামলাতে মৃত্যু হলো তিনজন ইসরায়েলী পণবন্দির | এরা গাজাতে ইসরায়েলি সেনার সামনে খালি গায়ে হাতে শ্বেত পতাকা নিয়ে হিব্রু বলতে বলতে ইসরায়েলি সেনার সামনে এসেছিলেন কিন্তু ইসরায়েলি সেনা তাদেরকেও প্যালেস্টিনিয়ান ভেবে গুলি করে মেরে ফেলেছে !!! ইসরায়েলি সেনার হাতে দেখা যাচ্ছে কারুরই রক্ষা নেই তা ইসরায়েলি হলেও |
  • guru | 103.171.246.200 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৮741714
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৫০ 
     
    আজকে সারা পৃথিবী পালন করছে প্যালেস্টাইনের সেই সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষটির জন্মদিন যিনি সারা পৃথিবীর কাছে যীশু নামে পরিচিত | আচ্ছা আজকে জন্মালে কেমন ভাবে জন্মাতেন তিনি ? নাকি তিনি আবার জন্মেছেন আজকে গাজাতে !!!
     
     
    গাজার শিশু যীশুকে কোলে নিয়ে মাতা মেরি ও পিতা জোসেফ (তাদের আসল আরব প্যালেস্টিনিয়ান রূপে )
     
     
     
    গাজাতে জন্ম নেওয়া শিশু যীশু (পরনে শুধু একখণ্ড কাফিয়া , যীশু জন্মেছেন কেবলমাত্র খণ্ডবিখণ্ড পাথর আর সিমেন্টের মধ্যে )
     
    গাজার শিশু যীশু (গাজার অন্য শিশুদের মতোই জন্মেছেন এবং তাকে বাঁচাবার চেষ্টা করা হচ্ছে একটি ভেনটিলেটারে রেখে )
     
    নিচের ছবিটাতে গাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে শিশু যীশুকে খুঁজছেন তিনজন মাজাই বা দেবদূত 
  • guru | 103.165.115.157 | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৪741753
  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৫১ 
     
    গাজাতে এই বছরের শেষে দেখা যাচ্ছে ১০০এর বেশি সাংবাদিক মারা গেছেন ইসরায়েলের বুলেট বোমাতে | আজকে রবিবার সানডে সাস্পেন্সে জুদা বেন হুর শুনছিলাম | গাজাতে এই সাংবাদিকদের মৃত্যু মিছিলের মধ্যেও যেসব সাংবাদিকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর খবর দিচ্ছেন প্রতি মুহূর্তের তারা যেন এই যুগের জুদা বেন হুর |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন