এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আমার কথা ও গল্পগাছা

    Mousumi Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৪৪৭ বার পঠিত
  • পর্ব ৬
    বেনারস পর্ব ৬

    পায়ে পায়ে পৌঁছে গেলাম মন্দির চত্বরে। এইবার অবশ্য সরু গলি দিয়েই গেলাম। মহারাজদের ঐ ভদ্রলোক নিয়ে গেলেন। আমরা চারজন ওঁর কথা মতোই পূজার সামগ্রী নিয়ে লাইনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ভীড় তুলনামূলকভাবে কম এই লাইনে। মন্দির তখন বন্ধ। একটু পরেই লাইন চলতে শুরু করল। এক হাতে পূজার থালা, ফল, অন্য হাতে দুধের গ্লাস – চারিদিকে বাঁদর লাফালাফি করছে – বেশ টেনশনে আমি আর মঞ্জুলাদি। মঞ্জুলাদি মুখে সমানেই বিড়বিড় করে বলে চলেছেন "ও বাবা! বাবা গো! দয়া করো বাবা! নির্বিঘ্নে তোমার কাছে যেন পৌঁছতে পারি।" মেয়ে, সৌমিতা বাঁদরের লাফালাফি দেখে বেশ কৌতুক বোধ করছিল। শুধু সৌমিতা নয়। আমিও। পুঁচকে বাঁদরের কেরামতি আমার মনকে বেশ ভালোমতোই আকর্ষণ করছিল। ভারী মজা লাগছিল। এদিকে মঞ্জুলাদি মেয়েকে সমানেই বলছেন "নাম করো, মাগো!" আমিও খুব মন দিয়ে ইষ্টনাম করবার চেষ্টা শুরু করলাম। নজর শুধু চলে যাচ্ছে বাঁদর দের দিকে। মন্দির চত্বরে খোলা আকাশের নীচে লাইনে আমরা। অন্য দিকের লাইন তখন এগোচ্ছে। রোদের তাপে বেশ গরম বোধ হচ্ছে। দাঁড়িয়ে ছিলাম উঁচু প্রাচীর ঘেঁষে। ছায়া ছিল সেই জায়গায়। একটু দূরেই শ্রী মন্দিরের দ্বার দেখা যাচ্ছে। ' হর হর মহাদেব', 'জয় শিবশম্ভু' ধ্বনিতে মুখর মন্দির চত্বর। মন্দিরের চূড়ায় রোদ্দুর পড়ে ঝলমল করছে। মঞ্জুলাদি বলে চলেছেন "বাবা গো! দেখা দাও বাবা! লাইন এগিয়ে দাও বাবা! বেশ কাছেই কিছুক্ষণ ধরে দুটি বড় বাঁদর বেশ লড়াই করছিল। আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম কোথা থেকে অন্য একটি বড় বাঁদর মুখ বিকৃত করে তেড়ে এল প্রায় সেখানেই। ভয় পাচ্ছি তখন হাতের পূজোর ডালার জিনিসপত্র নিয়ে। বাঁদর দের ধস্তাধস্তি দেখে সৌমিতা হেসে ফেলতেই মঞ্জুলাদি বললেন, "ওদিকে দেখো না, মাগো! বাবাকে দর্শন করবে সে কথা ভাব। বাবাকে ঠিকমতো স্পর্শ করো, মাগো!" বলেই তিনি আবার বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন "বাবা গো! পূজোর ডালা নিয়ে ঠিকমতো তোমার কাছে পৌঁছে দাও, বাবা!" শুনে ঐ একই প্রার্থনা মনে মনে আমিও করা শুরু করে দিলাম।

    আমাদের লাইন এগিয়ে একেবারেই গর্ভগৃহের কাছাকাছি যেতেই মন্দিরের দরজা আবার বন্ধ হয়ে গেল। নাট মন্দিরের পাশ দিয়ে লাইনের ব্যবস্থা বেশ ভালো। কোনও ধাক্কাধাক্কি বা লাইন ভেঙে চলে যাওয়ার সুযোগ নেই। খুব রোদ্দুর এইখানে। একহাতে দুধের গ্লাস আর একহাতে পূজোর ডালা নিয়ে সকলেই মন্দিরের দ্বার খোলার অপেক্ষায়। লাইনে সৌমিতা ও মঞ্জুলাদির পরে আমি, আমার স্বামী এবং তারপর তমলুক রামকৃষ্ণ মিশন থেকে আসা দুই মহারাজ। বেশ কয়েকটি বাচ্চা বাঁদর লাফালাফি করছে, মন্দিরের চূড়া বেয়ে নীচে নেমে ডিগবাজি খাচ্ছে। আমাদের পাশ দিয়ে ঘেঁষে পায়ের উপর দিয়ে আসা যাওয়া করছে। অনেকদিন আগে একজনের মুখে শুনেছিলাম বাঁদর বা হনুমানের দিকে তাকালে তারা নাকি বেশী বেশী উৎসাহী হয়ে পড়ে। তাই যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থাকবার চেষ্টা করছি।

    এরই মধ্যে অল্প ঠেলাঠেলি শুরু হল। পিছনে এক দক্ষিণী ভদ্রমহিলা, সামান্য ভারী শরীর নিয়ে বহু কষ্টে এগিয়ে আসছেন সামনের দিকে। আমার কাছাকাছি এলে কিছু দুর্বোধ্য কথার মধ্যে husband কথাটি বোঝা গেল। ওদিকে সৌমিতার আগে দক্ষিণীদের বড়সড় দল। হাঁটু পর্যন্ত ধুতি আর মাথা থেকে শাল জড়িয়ে দাঁড়িয়ে এক ভদ্রলোক দুর্বোধ্য ভাষায় আমাদেরকে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিছুটা আন্দাজে বোঝা গেল পিছনের ঐ ভদ্রমহিলা ঐ দলটির সদস্য। কোনও কারণে ছেড়ে গিয়েছেন বা অন্য কিছু। ভদ্রমহিলা যাবেন তাঁর স্বামী যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে। নাট মন্দিরের থাম চেপে দাঁড়িয়ে ভদ্রমহিলা কে জায়গা করে দিতে ভদ্রমহিলা পৌঁছে গেলেন তাঁর জায়গায়। এদিকে নাট মন্দিরের থাম চেপে দাঁড়াতে আমি টের পেলাম আমার পায়ের পাতায় কিছু একটা নড়ছে। ঐ অবস্থাতেই পায়ের দিকে তাকিয়ে চোখ ছানাবড়া। পায়ের পাতায় ছোটখাটো একটি বাঁদর। সে কারোও কাছ থেকে একটি কলা পেয়েছে। সেটিকে আমার স্বামীর পায়ের পাতায় রেখে ছাড়িয়ে খাচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে চুপ করে থাকতে ইশারা করলেন। কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। তার খাওয়া শেষ হতে এদিকে ওদিক দিয়ে সে গলে বেরিয়ে যেতে হাঁফ ছাড়লাম।

    আরোও একবার লাইন এগিয়ে যেতে আমরাও এগোলাম । শ্রী মন্দির আর নাট মন্দিরের মাঝামাঝি আমরা তখন। আবার শ্রী মন্দিরের দ্বার বন্ধ হল। স্বভাবতঃই একটু অধীরতা মনে প্রাণে তখন সকলেরই। দক্ষিণী দলটিতে একটি অল্পবয়সী বৌয়ের কোলে বছরখানেকের একটি বাচ্চা। ঐ ভীড়ে, গরমে বাচ্চাটি কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছে। দলটির অনেকে মিলেই কোল বদল করে, কথায় বার্তায় বাচ্চাটিকে শান্ত করবার চেষ্টা করছেন। ভালো রকমের হৈ চৈ চলছে। দ্বাররক্ষীরা সকলকে শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। মঞ্জুলাদি বৌ টিকে ভাঙা হিন্দীতে বললেন লাইন ছেড়ে পাশে দাঁড়াতে। সেখানে ছায়া আছে। কষ্ট হচ্ছে বাচ্চাটির। বৌ টি কিছুটা বুঝলেও গোল বাধল সেই ভদ্রলোকটির সঙ্গে। তিনি মন্দিরকে তেরছাভাবে পিছনে রেখে আমাদের উদ্দেশ্যে কিছু দুর্বোধ্য ভাষা প্রয়োগ করতে শুরু করলেন – ধরণধারণ দেখে সকলেই বুঝলাম যে তিনি বেশ উত্তেজিত । মাথা থেকে গরম শাল জড়ানোয় ভদ্রলোক প্রচুর ঘামছেন তখন। মঞ্জুলাদি, আমি, আমার স্বামী সকলেই আপ্রাণ চেষ্টা করলাম বুঝতে আর বোঝাতে।গোটা দলটায় কেউই হিন্দী, ইংরেজী কিছুই বোঝেন না। মাথায় জড়ানো শাল দেখিয়ে দুর্বোধ্য বাক্যের মাঝে একটি কথাই বোধগম্য হল – hot । মঞ্জুলাদি তখন বললেন, "বাবা কে ডাক। বাবা ঠিক কর দেগা। ও বাবা! এরা ভুল বুঝছে ,বাবা! বাচ্চার কষ্ট হচ্ছে বলেই তো বললাম, তুমি তো জান বাবা! দরজা খোল বাবা! আমি দিদিকে বললাম শান্ত হতে। পিছনে দাঁড়ানো মহারাজরাও বললেন। ৺বিশ্বনাথের দর্শনের অপেক্ষায় তখন অধীর সকলেই। মন শান্ত করে তাঁকেই স্মরণ করবার চেষ্টা করছি। এর মধ্যেই আবার শোরগোল। ছোট্ট একটি বাঁদর লাইনের মধ্যে ঢুকে রয়েছে। রেলিং এর বাইরে থেকে তার মা তাকে টানাটানি করছে, আমাদের দিকে দাঁত খিচোচ্ছে। ভয় পাব না হাসব বুঝছি না। মঞ্জুলাদি আর আমার মাঝামাঝি এই কাণ্ডটি ঘটছিল। আমি হেসেই ফেলছিলাম। ওদিকে ঐ ভদ্রলোক টি কেন যেন রেগেমেগে আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। মঞ্জুলাদি মন্দিরের দরজা দেখিয়ে তাঁকে বললেন, "বাবা কো দেখ। ইধার বান্দর হ্যায়। মৎ দেখো এসব।" সে কি বুঝল, সেই জানে। দ্বাররক্ষীদের ডেকে কি কি সব বোঝানোর চেষ্টা করলেন আমাদের কে দেখিয়ে। দুটি কথা বোঝা গেল – indisciplin আর action. মহা মুশকিল। না বুঝছে দক্ষিণীরা, এদিকে বাঁদর আর তার মাও নাছোড়বান্দা। মন্দিরের দরজা খোলবার সময় হয়ে আসছে এদিকে। পুঁচকে বাঁদর টিকে পূজোর থালা থেকেই একটি লাড্ডু দিতে সে দিব্যি হাতে করে নিয়ে লাইন ছেড়ে তার মায়ের কাছে চলে গেলেও সেই ভদ্রলোক চালিয়েই যাচ্ছেন। তাঁর কথা বিন্দুমাত্র কিছু না বুঝলেও এইটুকু বোঝা যাচ্ছিল যে তিনি আমাদের উপর বেশ রেগে গিয়েছেন। কেন তা বোঝবার আগেই মন্দিরের দরজা খুলে গেল। ভদ্রলোক তখন আমাদের দিকে রাগী মুখ করে কি সব বলে চলেছেন।

    ভদ্রলোকের বারবার action র অনুরোধে এবার সত্যিই action নিলেন দ্বাররক্ষীরা। তবে অদ্ভুতভাবে। গর্ভগৃহের মুখে দ্বাররক্ষীদের দলটি এসে দক্ষিণী দের জনাদশেকের দলটিকে অজানা কোনোও কারণে বকা দিয়ে পুরোপুরি আটকে দিয়ে আমাদের বাকি লাইনটিকে মূল দরজার উদ্দেশ্যে যেতে দিলেন। কি ঘটল, কেনই বা ঘটল তখন আর ভাববার অবকাশ কোথায়? ধাক্কা খেয়ে পৌঁছে গিয়েছি মহিমময় রাজরাজেশ্বর এর মূল সভাগৃহের চৌকাঠে । নিজের অজান্তেই তখন সকলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে জয়ধ্বনি দিচ্ছি। দু গাল বেয়ে নামছে আনন্দের অশ্রুধারা। হাত দিয়ে পাশের রড শক্ত করে ধরে আছি। অন্য হাতে পূজার ডালি। সুযোগ হল পরম করুণাময় শ্রী বিশ্বনাথ-এর একেবারে সামনে পৌঁছনর। দুধের গ্লাস তখনও হাতেই আছে। অপরদিকে বসে থাকা পূজারীর নির্দেশমতো পূজো দেওয়া হল। জল, দুধ দিয়ে রাজরাজেশ্বর কে স্পর্শও করা হল। নির্দেশ অনুযায়ী পাশের দ্বার দিয়ে বেরিয়ে এলাম। প্রণাম জানালাম শ্রীবিশ্বনাথের উদ্দ্যেশ্যে।
    মন্দির থেকে বেরোলাম মনে আনন্দ নিয়ে। মঞ্জুলা দি খুব খুশি। সেদিন রাতেই ওঁদের ফেরবার ট্রেন। দিদি মেয়েকে নিয়ে গেলেন কোনোও একটি নির্দিষ্ট দোকানে। আগে থেকেই কিছু জিনিসপত্র সেখানে কেনাকাটার কথা স্থির করেছিলেন বলে। আমরা বেরোলাম বেনারসের গলিপথের দোকানে দোকানে।

    ক্রমশঃ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ৬
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.251.161.181 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৯523922
  • যা:! এতো কষ্ট করে নৈবেদ্য নিয়ে অতো দূর গিয়ে শেষ মুহূর্তে, পুজো দেবার আগেই পুজোর থালা থেকে অগ্রভাগ বাঁদরকে দিয়ে দিলেন?! কথামৃতে এই ​​​​​​​আগভাগ ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​শ্রীরামকৃষ্ণের ​​​​​​​গল্প ​​​​​​​আছে। 
    বাঁদরের মধ্যেও "বাবা" আছেন বলা যায় কিন্তু তাহলে নাটমন্দিরে বাঁদর দেখে ফিরে এলেই হতো। গর্ভগৃহ অবধি যাবার দরকার কী!
  • kk | 2607:fb91:140e:8383:c8c0:2cbc:7668:b35f | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৫৩523934
  • আজকের পর্বটা পড়ার পরে একটা প্রশ্ন মনে জাগছে। আগেই ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি যে আমার কিন্তু ঠেস দেওয়া, বা উপহাস করা বা, কারুরই কোনো বিশ্বাসকে সন্দেহ করার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ্য নেই। আমি সত্যি করে একটা জিনিষ বুঝতে চাই। এখানে এই যে মঞ্জুলাদি'র বিশ্বাস যে "বাবা সব ঠিক কর দেগা", অন্য কোনো দিকে মন না দিয়ে বাবাকে ডাকলেই সব কষ্টের অবসান হবে, এত গভীর বিশ্বাস কোথা থেকে আসে? এটা কি পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া? বাবা, মা, দাদু, দিদা/ঠাকুমা সবাইকে দেখেছেন এভাবেই বিশ্বাস করতে তাই জানেন যে এটাই করতে হয়? নাকি এই ফিল্ডে জ্ঞানী বা এক্সপার্ট কেউ বলেছেন (যেমন কোনো ধর্মগ্রন্থ বা গুরু)? কিম্বা বারেবারে প্রমাণ পেয়েছেন যে "বাবা" বা "মা" বা "ঠাকুর" কেউ সব বিপদে রক্ষা করেছেন বা সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন? নাকি যেখানে নিজেকে ক্ষমতাহীণ ও অসহায় মনে হয় সেখানে এমনি কাউকে সর্বশক্তিমান  ধরে নিয়ে তাঁর ওপর প্রোটেকশনের ভার চাপিয়ে কিছুটা নিশ্চিন্ত হবার প্রয়াস?
    বলা বাহুল্য যে এটা শুধু মঞ্জুলাদি'র কথাই বলছিনা। অনেক এরকম বিশ্বাসী মানুষ আমাদের চারপাশেই আছেন। নির্মাল্য বাবুর 'রাজধানী লোকাল' লেখায় সেই বিদেশী মানুষটির "টীচার নো'জ" পড়ার সময়েও এই কথা মনে হয়েছিলো। এখানে অনেক ওয়েল রেড মানুষ আছেন। থিওলজি সম্পর্কে অনেক জানাবোঝা আছে এমন মানুষ আছেন। কেউ যদি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেন তো খুব ভালো হয়। আমার মত একজন আদ্যন্ত ট্রাস্ট ইস্যু ওয়ালা মানুষের মনে এই প্রশ্নটা এসে বারবার খোঁচা দেয় -- হায় বিশ্বাস, কোথা বিশ্বাস?
  • :|: | 174.251.161.181 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৩523936
  • যে কোনও কিছুতেই "বিশ্বাস"টা, যদ্দুর বুঝি, ঠিক "বোঝাবার" বস্তু না। কবিতা যেমন। ছবি যেমন। ভালোবাসা যেমন।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3615:849d:bb11:40b4 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:১৫523937
  • আমার তো মনে হয় বিশ্বাসটা হেজিং দি বেট। বাবা না থাকলে কয়েক সাইকল প্রার্থনা বেকার গেল, অল্প ক্ষতি। কিন্তু থাকলে লাভ আছে।
     
    নইলে বাবার ওপরে বিশ্বাস করে কাউকে কাজকর্ম মামলা মোকদ্দমা বাদ দিয়ে গাছের তলায় বসে থাকতে দেখিনা তো। বাবার ভয়ে মিথ্যে বলা ছেড়ে দিয়েছে সেটাও মনে হয় কেউ করেনা।
     
    তবে আপনি লিখে যান মৌসুমী। পড়তে খুব ভাল লাগছে।
  • Mousumi Banerjee | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩২523977
  • অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহ পেলাম। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন