এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কিরীটেশ্বরী - সতীপীঠ থেকে দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩০৫ বার পঠিত
  • যদিও আমার পিতৃপুরুষেরা ফরিদপুর জেলার আদি বাসিন্দা ছিলেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তর্গত, কিন্তু তাঁরা দেশভাগের প্রাক্কালেই এদেশে চলে এসেছিলেন এবং পাকাপাকিভাবে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে সেই ভিটের সাথে নাড়ীর যোগ ছিন্ন হয়েছিল। এদেশে এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে থিতু হতে না পেরে শেষ অব্দি বহরমপুরে থিতু হয়েছিলেন সেই পঞ্চাশের দশকের শুরুতে। আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সেই বহরমপুর শহরেই। সেকারণে পিতৃপুরুষ বঙ্গবাসী হলেও আমাকে বাঙাল বললে ছোটবেলা থেকেই ভীষণ রাগ হতো। এই রাগের কারণেই আমার নামের সাথে শব্দটি জুড়ে গিয়েছিল মাতৃকুলের বদান্যতায়। আমি মনে প্রাণে এদেশীয় মানে ঘটি। যে দেশ চোখে দেখিনি তার সম্পর্কে অনুরাগ থাকা আমার একেবারেই না পসন্দ তা সে যতই পিতৃপুরুষের দেশ হোক না কেনো। 

    মুর্শিদাবাদ জেলা ও বহরমপুর শহর সম্পর্কে আমার অনুরাগ অনেকেরই রাগের কারণ হয় মাঝেমাঝে। এতে আমি কোনোদিন রাগ করিনা বা দুঃখ পাই না। কারণ এ আমার জন্মভূমির অহংকার, আমার কর্মভূমির গর্ব। আমার বিবাহিত জীবনও শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলাতেই। বহরমপুরে বাড়ী থাকলেও তাদের নিবাস ছিল বহরমপুর শহরের খুব কাছের নগরা গ্রামে। তাদের আদি নিবাস যদিও আর কিছুটা দূরের পাশলা গ্রামে, তবুও নগরা গ্রামেও তাদের অনেক পুরুষ কেটে গেছে। বিয়ের পরে দ্বিচক্রযানে আমরা দুজনে চেপে বহরমপুর থেকে নগরা যেতাম। বাড়ী থেকে বেড়িয়ে গঙ্গার ধারের রাস্তা বরাবর লালবাগ। তারপরে লালবাগ সদরঘাটে গঙ্গা পেরিয়ে আবার দ্বিচক্রযানে করে সোজা নারকেলবাগান, সীমানাপাড়া হয়ে বড়বাথান। এবার ডানদিকে ঘুরে হরিপুর গ্রাম হয়ে নগরা যেতে হতো। যাওয়ার পথে হরিপুর গ্রাম পেরোলেই একটা মোরাম রাস্তা  ডানদিকে চলে গিয়েছে, সেখানে কপালে হাত ঠেকিয়ে দেবীর স্মরণ করে নেওয়া। দেবী, মানে "মা কিরীটেশ্বরী", ডানদিকের রাস্তা দিয়ে মাইল খানেক গেলেই তাঁর অধিষ্ঠান। মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র সতীপীঠ। আবার মাঝেমাঝে শ্বশুরবাড়ী থেকে ফেরার সময় মা কিরীটেশ্বরীর দর্শন করে বাড়ী এসেছি। মুর্শিদাবাদ জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে সতী মায়ের কিরিট মানে মুকুট পড়েছিল বলেই মানুষের বিশ্বাস। শিবচরিত গ্রন্থ অনুযায়ী কিরিট মানে মাথার মুকুট কিন্তু অন্য মতে কিরিট মানে কপালের ওপরে শিরের নীচের অংশ। রেলপথে যেতে গেলে হাওড়া-আজিমগঞ্জ লাইনে লালবাগ কোর্ট রোড বা ডাহাপাড়া স্টেশনে নেমে যেতে হয়। টোটো বা রিক্সা পাওয়া যায় অহরহ।

    গ্রামের আদি নাম কিরিটকনা, মায়ের মুকুটের এক কণা থেকেই এইরকম নাম। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নাম চাপা পড়ে গিয়েছে, কিরীটেশ্বরী বলেই দীর্ঘদিন থেকে পরিচিত এই গ্রাম। তন্ত্রচুড়ামনি গ্রন্থে কিরীটেশ্বরী সতীপীঠ বলেই উল্লেখিত কিন্তু শিবচরিত গ্রন্থে কিরীটেশ্বরী উপপীঠ বলে পরিচিত। যেহেতু সতীর কোনো অঙ্গ এখানে পড়েনি তাই মূল সতীপীঠের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। দেবী মা কিরীটেশ্বরী আবার মুকুটেশ্বরী বলেও সম্বোধিতা বা পরিচিতা। বর্তমান মন্দির চত্বরেই প্রাচীন মন্দিরটি রয়েছে। কিন্তু সেই মন্দিরের ইতিহাস পাওয়া যায় না কিছু। কথিত আছে যে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের সমসাময়িক মঙ্গল বৈষ্ণব এবং তাঁর পূর্বপুরুষেরা দেবী মায়ের সেবাইত ছিলেন। তারও আগে মন্দির এলাকা ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল, মাঝে মাঝে কেবল কিছু সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারীরা এই মন্দিরে আসতেন। এরপরে যখন বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, এই তিন প্রদেশের কানুনগো পদে বাঙালিরা অধিষ্ঠিত হন, তখন থেকেই এই মন্দিরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। প্রথম এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ভগবান রায়, মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে। ভগবান রায়ের পরে তাঁর ভাই বঙ্গবিনোদ রায় কানুনগো পদ লাভ করেন এবং মোঘল সম্রাটের কাছ থেকে অনেক দেবোত্তর সম্পত্তিও লাভ করেন। এই সম্পত্তির মধ্যে কিরীটেশ্বরীর উল্লেখ আছে, "ভবানীনাথ" নামে। বঙ্গবিনোদের পরে ভগবান রায়ের পুত্র হরিনারায়ণ এবং তারপরে হরিনারায়নের পুত্র দর্পনারায়ণ কানুনগো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ওদিকে বাংলার দেওয়ানী পদে মুর্শিদকুলি খান নিযুক্ত হলে কিছু কারণের জন্য তিনি বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে সরিয়ে মুর্শিদাবাদে নিয়ে আসেন। সেইসময়ে দর্পনারায়ণও মুর্শিদাবাদে চলে আসেন এবং ডাহাপাড়া গ্রামে বসতি গড়ে তোলেন। ডাহাপাড়া গ্রামটি কিরীটেশ্বরী গ্রামের খুব কাছে। এই দর্পনারায়ণই কিরীটেশ্বরীর ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে, গুপ্তমঠটির সংস্কার সাধন, নতুন মন্দির তৈরী, শিব ও ভৈরব মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। চন্দ্রমতে দেবীর নাম বিমলা, ভৈরব সম্বর্ত। মা কিরীটেশ্বরী এখানে দক্ষিণাকালী ধ্যানে পূজিতা। মা কিরীটেশ্বরী সকলের, ধর্মের ভেদাভেদ নেই, তাঁর কাছে সব সন্তানেরাই সমান।

    কথিত আছে, নাটোরের রাণী ভবানীর দত্তক পুত্র রাজা রামকৃষ্ণ এই স্থানে পঞ্চমুন্ডির আসন স্থাপন করে সাধনা শুরু করেছিলেন মা কালীর দর্শনের আশায়। কিন্তু সাধনা শেষেও তিনি মায়ের দর্শন পাননি, তাই তিনি প্রাণ বিসর্জন দিতে উদ্যোগী হন। এই সময়ে দৈবযোগে মা, রাজা রামকৃষ্ণকে বলেন তিনি সময় হলে নিশ্চয়ই তাঁকে দেখা দেবেন। এরপরে রাজা রামকৃষ্ণ নাটোরে ফিরে যান এবং কঠোর সাধনা শুরু করেন। এবার মা তাঁকে দর্শন দেন। মা রাণী ভবানীকে স্বপ্নে আদেশ দেন, কিরীটকনা গ্রামে মন্দির স্থাপনা করে মাকে প্রতিষ্ঠিত করতে। এরপরে রাণী ভবানী কিরীটকনা গ্রামে মায়ের মন্দির স্থাপনা করেন। রাজা রামকৃষ্ণের পঞ্চমুন্ডি আসনের খানিক ওপরে গর্ভ তৈরী করে মায়ের শিলামূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। রাজা রামকৃষ্ণ মুর্শিদাবাদের বড়নগর (আজিমগঞ্জ থেকে একটু দূরে এবং কথিত আছে যে রানী ভবানী পলাশীর যুদ্ধের কিছু আগে এইখানে বসবাসের উদ্দ্যেশ্য নিয়েই নাটোর থেকে এসেছিলেন এবং প্রথমে চার বাংলা মন্দির স্থাপনা করেছিলেন। পরবর্তীতে নবাব সিরাজদ্দৌলার চোখ গিয়ে পড়েছিলো রানীর একমাত্র বাল্য বিধবা মেয়ে তারাসুন্দরীর ওপরে। সেই কারণে মেয়েকে কাশীতে পাঠিয়ে তিনিও এখান থেকে ফিরে গিয়েছিলেন নাটোরে।) থেকে মাঝেমাঝেই এই কিরীটকনা মন্দিরে আসতেন। এখনও মন্দির চত্বরে দুটি পাথরখন্ড দেখতে পাওয়া যায় যার ওপরে বসে রাজা রামকৃষ্ণ সাধনা করতেন। কথিত যে, ১১০৪ বঙ্গাব্দে রানী ভবানী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তথ্য অনুযায়ী পরবর্তীতে ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে লালগোলার রাজা যোগেন্দ্র নারায়ণ রাই (বা রায়) মন্দিরটির পুনঃসংস্কার করেন। সুতরাং মধ্যবর্তী সময়ে মন্দিরটির সংস্কার হয়ে থাকতে পারে কিন্তু তার কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ইতিহাস অনুযায়ী ১৪০৫ বঙ্গাব্দে দেবীর প্রাচীন মন্দিরটি ভেঙে পড়ে, কিন্তু কোনো সংস্কার হয়েছিল কিনা তার তথ্য পাওয়া যায় না। এরপরে একেবারে কয়েক দশকের নিশ্চুপ ইতিহাস পেরিয়ে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে চলে আসতে হয়, মুর্শিদকুলি খান, মীরজাফরের সময়কালে। রাজা রাজবল্লভ এই মন্দির প্রাঙ্গণে দুটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম ধর্মের স্থাপত্যের মিশ্রণে।

    খোলা প্রান্তরের মধ্যে দূরে দূরে একগুচ্ছ শিব মন্দির নিয়ে পশ্চিমমুখী বর্তমানের দেবী মায়ের মূল মন্দিরটি। ভগ্নদশা প্রাপ্ত প্রাচীন মন্দিরটি দক্ষিণমুখী। অন্যান্য পীঠস্থানের মতই দেবী মায়ের চিহ্নস্বরূপ প্রস্তরীভুত অংশ লোকচক্ষুর আড়ালে। পশ্চিমমুখী নতুন মন্দিরটি মুর্শিদকুলি খানের কানুনগো দর্পনারায়নের তৈরী করা উনিশ শতকে। গুপ্তমঠটিও দেবীর মন্দিরের কাছেই অবস্থিত। কথিত আছে, গুপ্তমঠটির আশেপাশে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে ১৭২ ঘর পান্ডা ও অন্যান্য জাতি-উপজাতির লোক বসবাস করতেন। প্রায় ৩০০ বছর আগে আফগান আক্রমণের আশঙ্কায় পান্ডারা দেবীমায়ের মূর্তিকে পশ্চিমমুখী মন্দির থেকে গুপ্তমঠে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থান পরিবর্তন করার সময় সেই পান্ডারা দেবী মায়ের মূর্তি চাক্ষুষ দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মায়ের মূর্তি দেখামাত্রই যারা দেখেছিল তারা অন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাকীরা মায়ের মূর্তি চাক্ষুষ করা থেকে বিরত থাকে, কিন্তু মায়ের রোষানলে পরে সেই ১৭২ ঘর পান্ডাই পরিবারসহ বিনাশ হয়ে যায়।

    কিরীটেশ্বরীতে মায়ের কোনো মূর্তি নেই, এমনকি কোনো ছবিও নেই। শিলা মূর্তিকেই এখানে মাতৃরূপে পূজা করা হয়। এই শিলার রং লাল এবং একটি আবরণে সেই শিলা মূর্তি ঢাকা থাকে। প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে সেই আবরণ পরিবর্তন করা হয়। দেবী মায়ের পূজায় প্রতিদিন মাছ ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। গ্রামের কেউ না কেউ সেই মাছ মন্দিরে দিয়ে আসেন প্রতিদিন। কথিত আছে যে, সতীমায়ের কিরিটটি মূল মন্দিরের কাছেই গুপ্তমঠে রাখা আছে। যেমন প্রত্যেক সতীপীঠ ও শক্তিপীঠে দেবীমায়ের পাশাপাশি ভৈরবের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তেমনি এখানেও ভৈরব অধিষ্ঠিত আছেন। দেবী মা হলেন সতী মায়ের রূপ আর ভৈরব হলেন তাঁর স্বামী। অনেকের মতে, এখানে ভৈরবের যে মূর্তিটি পূজিত হয় সেটি একটি প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি। এই মূর্তিটি "ধ্যান বুদ্ধমূর্তি" নামে পরিচিত। কালী পুজোর দিনে এখানে সারারাত ধরে দেবী মায়ের পূজা করা হয়, ছাগ বলি দেওয়া হয়। আবার দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতেও গুপ্তমঠে দেবী মায়ের পূজা করা হয়। যাগযজ্ঞ সহ অষ্টমী তিথিতেও ছাগবলীর প্রচলন আছে।

    দেবী মায়ের জাগ্রত রূপের অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে লোকমুখে। পলাশীর যুদ্ধের পরে মীরজাফর যখন রাজবল্লভকে নির্মমভাবে হত্যা করে তখন এই মন্দিরের একটি শিবলিঙ্গ নিজে থেকেই ফেটে গিয়েছিল। আবার মীরজাফর শেষ জীবনে কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি অনুশোচনায় পীড়িত ছিলেন। শেষ জীবনে মীরজাফরের বিশ্বাস জন্মেছিল যে তিনি কিরীটেশ্বরী মায়ের চরণামৃত পান করলেই রোগমুক্ত হবেন। সেই ইচ্ছে অনুযায়ী দেবী মায়ের চরণামৃত মীরজাফরকে পান করানোর পরেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কাহিনীগুলোর সত্য মিথ্যা যাচাই না করেও এটা বলা যায় যে দেবী মাকে বাংলার হিন্দু - মুসলমান উভয়েই তাদের নিজেদের বলেই ভেবেছে। নইলে পার্শ্ববর্তী মুকুন্দবাগ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত (মরহুম) আব্দুল হাকিম মন্ডল কেনো মন্দিরের জন্য জমি দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করবেন আর তার ছেলেরা বাবার সেই ইচ্ছে পূরণ করবেন।

    এই কিরীটেশ্বরী দেবী মায়ের মন্দিরের কারণেই এই গ্রামে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আসেন, দেবী মায়ের পূজা করেন, বিভিন্ন রকমের মানত করেন। আবার ভক্তের ইচ্ছে দেবী মা পূরণ করলে পুনরায় দেবী মায়ের পূজা দিতে আসেন এই গ্রামে। বিভিন্ন তিথিতে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয় এই গ্রামে, দেবী মায়ের পূজা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে। গ্রামের লোকের উপার্জন হয় দেবী মায়ের কল্যাণে। দেবী মায়ের কল্যাণেই এই গ্রামের পর্যটন যা বর্তমানে ভারতবর্ষের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেবী মায়ের কল্যাণে আমাদের জেলার কিরীটেশ্বরী গ্রাম ভারতবর্ষের ৭৯৫ টি গ্রামকে হারিয়ে দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের পুরস্কার জিতে নিয়েছে। জেলাবাসী হিসেবে আমাদের আবারও গর্বিত হওয়ার সুযোগ দিলেন কিরীটেশ্বরী দেবী মা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন