এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • উন্নত বিজ্ঞান বনাম রাজনৈতিক এবং ধার্মিক ব্যূহ

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৬১ বার পঠিত
  • বর্তমানকালে বিজ্ঞানকে বোধহয় এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা আদিকালের ইতিহাস জানি যখন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে বলার জন্য গ্যালিলিওকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। আজ হয়তো সেই পর্যায়ের বিরোধিতা হচ্ছে না কিন্তু এত উন্নতির পরেও যে পরিমাণ বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের তা যথেষ্ট আশ্চর্য্যের। বিজ্ঞানের উন্নতি ছাড়া মানব সভ্যতা এগিয়ে যেতে পারবে না, এই আপ্তবাক্যটি বোধহয় আমরা ভুলে গিয়েছি। বিজ্ঞানের ধর্ম্মায়নও কিন্তু বিজ্ঞানকে বিরোধিতার মুখে ফেলে দেওয়া। কারণ ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের বিরোধিতা চিরকালের। প্রাচীনকালে ইউরোপ এবং অন্যান্য জায়গায় বিজ্ঞানকে লড়াই করতে হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মের সাথে। এশিয়া অঞ্চলে সেই বিরোধিতা ছিল হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের সাথে। আরব বা প্রাচ্য এলাকায় ইসলাম ধর্মের সাথে বিরোধিতা এমন পর্যায়ের যে সেখানে বিজ্ঞান এগোতেই পারেনা। তবুও সারা বিশ্বে বেশ কিছু নিরলস ব্যক্তি আছেন যাঁদের চেষ্টায় বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে। বিজ্ঞানের সুবিধা নেবো আবার বিজ্ঞানকে এগোতে দেবনা, ধর্মের সাথে গুলিয়ে দেবো, এতে নিজেদের ক্ষতি, বিশ্বের ক্ষতি, মনুষ্য জাতির ক্ষতি।

    বর্তমান বিশ্বের দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা জীবনে বিজ্ঞানের যে স্পর্শ, সেটা না বুঝেই বেশ কিছু লোক নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে ধর্মের সাথে গুলিয়ে দিতে বা বিজ্ঞানে যা আছে তারচেয়ে বেশী ধর্মে আছে বলে মানুষকে বোঝাতে। আবার বেশ কিছু লোক এই কাজটা জেনে বুঝেই করছে। হয়তো কোনো শক্তির কাছে তারা মাথা বিক্রি করে দিয়েছে বা তাৎক্ষণিক কিছু লাভের আশায়। ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম নামাজ পড়ছেন এবং সেই নামাজ পড়া অবস্থায় তাঁর ছবি তোলা হলো। এই পর্য্যন্ত ঠিকই আছে, তিনি বিজ্ঞানী হলেও বা রাষ্ট্রপতি হলেও তাঁর নামাজ পড়াতে তো কোনো বাধা নেই, এটা তাঁর নিতান্তই ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ। কিন্তু এই ছবিকেই বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নিজস্ব মতামতসহ এবং তাতে বলা হচ্ছে, আল্লাহর কাছে বিজ্ঞান মাথানত করেছে। আল্লাহর ইচ্ছে ছাড়া কালাম বা বিজ্ঞান কেউই এগোতে পারে না। অথবা আল্লাহর দোয়া পেয়েই কালাম বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা একটা উদাহরণ মাত্র, অন্যান্য ধর্মেরও একই অবস্থা।

    সবচেয়ে হাস্যকর হলো, যে বা যারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের অবান্তর মন্তব্য ছবিসহ ছড়িয়ে দিচ্ছেন সেই মাধ্যম কিন্তু বিজ্ঞানের আবিষ্কার। অর্থাৎ তারা বিজ্ঞান ছাড়া বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন না, এই আপ্তবাক্যটাও তাদের মাথায় ঢোকে না। মানুষ কৃষিকাজ আপন করে নেওয়ার পর থেকেই চেষ্টা শুরু করেছিল সহজ পদ্ধতিতে বিভিন্ন কাজ করার। নিজের পরিশ্রমকে লঘু করার। এইভাবেই সে আবিষ্কার করেছিল বিভিন্ন যন্ত্রের। এইভাবেই মানব সভ্যতার সাথে জীবন যুদ্ধকে সহজ করার চেষ্টা এবং আবিষ্কারের নেশা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। মানুষ যেমন বুঝেছিল ধরিত্রী, জল, বায়ু, অগ্নি তার ইচ্ছের অধীন নয়, এই শক্তিগুলোকে সে ভয় পেয়েছে মানব সভ্যতার শুরু থেকেই এবং তার কাছে সে নিজেকে সমর্পণ করতে চেয়েছে ঈশ্বরের স্থান দিয়ে তেমনি অন্যদিকে সেই শক্তিগুলোকে জয় করার বাসনা বা চেষ্টাও করে গেছে আদিমকাল থেকেই। এইভাবেই ধর্ম এবং বিজ্ঞান পাশাপাশি তাদের জয়যাত্রা চালিয়ে গেছে। আবার তাদের বিরোধিতাও এইখানেই। মানব সভ্যতা যত এগিয়েছে ততই সমাজে বিভাজন বেড়েছে। ধর্মাচরণ এবং বিজ্ঞান নিয়ে মানুষ বিভাজিত হয়ে পড়েছে। আস্তিক-নাস্তিক, শিক্ষিত-অশিক্ষিত ইত্যাদি অনেক নামেই মানুষের বিভাজন বেড়েছে।

    পৃথিবীতে মানব জাতির স্থায়িত্বের সাথে সাথে জাত-পাতের নামে, গরীব-বড়লোকের নামে, সাদা-কালো চামড়ার নামে এবং আরও অনেক নামেই মানুষ বিভাজিত হয়ে পড়েছে। আবার বিজ্ঞান-ধর্মের নামেও বিভাজিত হয়ে পড়েছে। মানুষ যদি নিজের উন্নত অস্তিত্বের কারণে লড়াই করে নিজেদের মধ্যে বা বিভাজিত হয়ে পড়ে, সে সম্পর্কে কিছু বলার থাকে না। কিন্তু সেই লড়াইয়ের কারণে যদি নিজের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে বা মানব সভ্যতার অগ্রগতি বিঘ্নিত হয় তাহলে তা অবশ্যই বিপদের।

    আজকের দিনে যখন আমরা চাঁদে পৌঁছে গিয়েছি, মঙ্গলগ্রহে পৌঁছে গিয়েছি, মহাবিশ্ব জুড়ে যখন আমাদের মহাকাশ যান ঘুরে বেড়াচ্ছে, সূর্যের কাছাকাছি অব্দি আমাদের জয়যাত্রা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি তখন একদল লোক বিভিন্ন রকমের মন্তব্যের ফুলঝুরি ছড়াচ্ছে। এত এত করদাতাদের টাকার শ্রাদ্ধ না করে যদি এই টাকা আমাদের সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হতো তাহলে আমাদের একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকতো। অথবা আরও দশটা রামমন্দির বানাতে পারতাম আমরা। অথবা আরও হাজারটা মসজিদ বা গীর্জা বানাতে পারতাম। অবশ্য কেউ কেউ হাসপাতাল, স্কুলের কথাও বলছে, খাদ্য সংকট নিরসনের কথাও বলছে। 

    আর একটা প্রচেষ্টার কথা না বললেই নয়। প্রত্যেক ধর্মের লোকজনেরাই নিরলস চেষ্টা করে চলেছে প্রমাণ করার যে বিজ্ঞান আজ যে কথাগুলো বলছে সেইগুলো নাকি পুরাণ, কোরান বা বাইবেলে বলাই ছিল। অর্থাৎ, বিজ্ঞান এখনও ধর্মের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি, ধর্মের কথাগুলোই নতুন করে বলছে মাত্র। এই ধূপে ধুনো দিচ্ছে কালাম সাহেবের ছবি বা হালের ইসরোর প্রধান সোমনাথ সাহেবের ধর্মাচরনের ছবি। এখন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে বিজ্ঞান চাঁদে বা সূর্যে বা অন্য গ্রহে যেতে। আগে তো আমরা হাঁসের পিঠে চেপেই বিনা খরচে চলে যেতাম। এইধরনের কথাবার্তায় বিভিন্ন মাধ্যম ভরে যাচ্ছে। 

    এই ধরনের কথাবার্তা বা আচরণ যে নিতান্তই বাল্যখিল্য এবং যারা বলছে তাদের বিজ্ঞান বা ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধিটা যে নিতান্তই ক্ষুদ্র তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানব সভ্যতার ইতিহাস যদি দেখি আমরা তাহলে দেখতে পাই বিভিন্ন অজানা শক্তির অযাচিত ভয় থেকেই ধর্মের উৎপত্তি। আর সেই অজানা শক্তিকে জয় করার ইচ্ছা থেকেই বিজ্ঞানের উৎপত্তি। সুতরাং বিজ্ঞান এবং ধর্ম পরস্পর বিরোধী ছিল এবং থাকবে। আমরা যে উদাহরণগুলো দিয়ে থাকি, সেইগুলো নিতান্তই কল্প বিজ্ঞানের অংশ। অজানা শক্তিকে জয় করার ইচ্ছা বা প্রয়াস থেকেই বিভিন্ন জনে বিভিন্ন রকম কথা বলেছেন বা ছবি এঁকেছেন। সে আকাশে ওড়ার ইচ্ছে থেকে এরপ্লেনের নকশা আঁকা হোক বা মহাবিশ্বে বিচরণ করার ইচ্ছে থেকে হাঁসের পিঠে চাপার গল্প হোক।

    আবার বিজ্ঞানের কথা দেখতে গেলেও দেখা যায়, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মাথায় কিছু তত্ত্বের আবির্ভাব হয়েছে প্রথমে, পরে গবেষণাগারে সেই তত্ত্বের প্রমাণ মিলেছে এবং বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সেই তত্ত্বগুলো। এতেও কল্প বিজ্ঞানের বাজার বেড়েছে বই কমেনি। আসলে পৃথিবীতে নাস্তিক লোকের সংখ্যা খুব কম। বিজ্ঞানের ছাত্র মানেই যে নাস্তিক, এটা অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। যেহেতু আস্তিকের সংখ্যাই বেশী এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানেই সেই অজানা শক্তি সম্পর্কে ভয়ের ব্যাপার কমে আসা, ফলে পরিণাম সেই ধর্মের জারিজুরি কমে যাওয়া, যা আস্তিকের অস্তিত্বে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেয়। সেই কারণেই যুগ যুগ ধরে আস্তিকদের চেষ্টা চলে আসছে বিজ্ঞানের সাথে কল্প বিজ্ঞানের মিশ্রণ করে দেওয়া এবং কল্প বিজ্ঞানকে ধর্মের মোড়কে বাজারে প্রতিযোগী হিসেবে ছেড়ে দেওয়ার।

    এই কাজে মাদ্রাসা, মন্দির এবং বৌদ্ধ মঠগুলোর অবদানও রয়েছে প্রভূত পরিমাণে। যে মাদ্রাসায় আজ অব্দি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রবেশ ঘটেনি সেই মাদ্রাসায় মক্তব বা আলিম বা হাফিজ পাশ করে মৌলবীরা বিজ্ঞানের সমালোচনা করছেন আকছার। বৌদ্ধ মঠের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। হিন্দুদের এক্ষেত্রে অনেকটাই ভালো অবস্থা, কারণ টোল শিক্ষা দীর্ঘকাল আগেই উঠে গিয়েছে। স্কুল, কলেজগুলোয় বিজ্ঞান শিক্ষা হয় খুব ভালোভাবেই। কিন্তু হিন্দু মন্দিরগুলোর পুরোহিতেরা নিয়মিত ভাবেই বিজ্ঞানের সমালোচনা করে থাকেন। বর্তমানকালে আবার বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যা খুশি লিখে বা ভিডিও করে দিয়ে দেওয়া যায়। কেউ নিয়ন্ত্রণ করার নেই। লেখার বা ভিডিওর বিষয়বস্তু সঠিক কিনা সেইসব দেখার কেউ নেই। ফলে নিজস্ব মতামত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সহজেই। সেই বিষয়বস্তুকে সঠিক বলে প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন রকমের ছলনার আশ্রয় নেওয়া হয় প্রতিক্ষেত্রেই।

    ধর্ম ছাড়াও বিজ্ঞানকে রাজনীতির সাথেও লড়াই করতে হচ্ছে এখন। এটাও নিশ্চয়ই আদিমকাল থেকেই চলে আসছে কারণ আদিকালে খ্রিস্টান মিশনারীদের বা হিন্দু পুরোহিত বা বৌদ্ধ লামা বা মুসলিম মৌলবীদের দ্বারাই পরিচালিত হতো রাজনীতি। গীর্জা বা মন্দির বা মঠ বা মসজিদ থেকেই রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। সেই প্রথার তীব্রতা বা প্রবলতা অনেক কমলেও এখনও সেই প্রথা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। বর্তমানকালে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সেটা হলো বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে রাজনৈতিকভাবে ধর্মের রং লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশেই এই প্রচেষ্টা ক্রমশঃ বাড়ছে। ফলে বিজ্ঞানের লড়াই দিন দিন অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। আদিকালে যেমন ধর্মীয় ব্যক্তিরা রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতো বা করতো বর্তমানে রাজনৈতিক নেতারা ধর্মকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠার চেষ্টা করে বা করছে। পার্থক্য এইটুকুই, তাই ধরনটা হয়তো পাল্টেছে আগের থেকে।

    বিজ্ঞানের মুশকিল হচ্ছে ব্যক্তিগত স্তরে এর উন্নতি হওয়ার সম্ভবনা খুব কম। কারণ পরিকাঠামোর জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থ, যা ব্যক্তিগত স্তরে সম্ভব নয়। পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার এবং নিয়মিত পরীক্ষা ও পরীক্ষালব্ধ ফলের ওপর গবেষণা ছাড়া বিজ্ঞান এগোতে পারে না। সরকারী স্তরে টাকার যোগান ছাড়া এত বিপুল খরচ চালানো সম্ভব নয়। আইনস্টাইন হয়তো নিজের ঘরে বসেই বিভিন্ন রকমের তত্ব উপহার দিয়ে গেছেন ঠিকই কিন্তু সেই তত্ত্বের গবেষণাগারে প্রমাণের প্রয়োজন ছিল এবং তারপরেই বিজ্ঞানীরা সেই তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে গেছে। এখানেই প্রয়োজন পয়সার। এই কারণেও সরকারী স্তরে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ক্ষেত্রগুলোর সাথে রাজনৈতিক ও ধর্মের রং লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের এই ব্যূহ থেকে বেড়িয়ে আসা মুশকিল। এই চক্রব্যূহর মধ্যে থেকেই এগিয়ে যেতে হবে তাদের।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন