এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কোলকাতা জিপিও এবং অন্ধকূপ হত্যার কলঙ্ক (দ্বিতীয় পর্ব)

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ মে ২০২৩ | ১৯৭ বার পঠিত
  • প্রথম পর্বের পরে......
     
    এতো গেলো নতুন আর পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের ইতিহাস। ১৭৫৬ সালে পুরনো দুর্গ যখন আক্রমণ করেছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং ইংরেজরা দুর্গ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল, তখন থেকেই পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ বাতিলের খাতায়। দুর্গ থেকে ইংরেজদের তাড়াতে নবাবকে কে খুব কষ্ট করতে হয়েছিল তার প্রমাণ ইতিহাসে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, ইতিহাসের অন্যান্য দুর্গের মতো দুর্ভেদ্য ছিল না পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ। একদিকে যেমন ইংরেজরা দুর্গ ছেড়ে পালিয়ে ফলতায় আশ্রয় নিয়েছিল, তেমনি বেশ কিছু ইংরেজ সেনানী মারা পড়েছিল সেই অল্প সময়ের যুদ্ধে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ আক্রমণের কিছুকালের মধ্যেই হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ এবং পাল্টে গিয়েছিল বাংলার মসনদের ইতিহাস। রাজদণ্ড ইংরেজদের হাতে গেলেও ফোর্ট উইলিয়ামের পরাজয় তাদের পক্ষে মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর ছিল। আগেই বলেছি, ঐতিহাসিকদের মত হলো, ফোর্ট উইলিয়মের গভর্নর রজার ড্রেক নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে কলকাতা আক্রমণে প্ররোচিত করেছিলেন। যুক্তি হিসেবে তারা বলেন যে, সিরাজউদ্দৌলা বাংলার মসনদে বসার পর থেকেই তিনি বিব্রত ছিলেন চারিপাশের লোকেদের, সে আত্মীয় হোক আর সেনাপতি বা মন্ত্রী হোক, ষড়যন্ত্রের কারণে। ইংরেজরা সিরাজের আত্মীয়, সেনাপতি, মন্ত্রী ইত্যাদি অনেককেই অর্থ এবং লোভ দেখিয়ে নিজেদের দিকে আনতে বা নবাবের বিপক্ষে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছিল। ইচ্ছে করেই ইংরেজরা নবাবের বিভিন্ন ফরমান অমান্য করে চলছিল কারণ তাদের দৃঢ় ধারণা ছিল, নবাব মসনদ অরক্ষিত থাকবে বলে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে বেরোবেন না। সেই কারণেই ড্রেক সাহেব সিরাজকে প্ররোচিত করেছিল কোলকাতা আক্রমণের। তাদের হিসেব ছিল, নবাব মুর্শিদাবাদ ছাড়লে মসনদে অন্য কেউ বসে নিজেকে নবাব বলে ঘোষণা করবে। আর কোলকাতায় এলে নিশ্চিতভাবে পরাজিত হবে। সুতরাং দুইকুলই যাবে নবাবের। অন্যদিকে কোলকাতায় না এলে তারা নিজেদের খুশিমতো কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে। কিন্তু ইংরেজরা হিসেব উল্টে গিয়ে নবাবের কাছে পরাজয় এবং ফলতায় পালিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি। 

    সিরাজের ত্রিশ হাজার সেনার বহর দেখে ড্রেক সাহেব ফলতায় পালিয়ে গেলেও ইংরেজ সেনাপতি জে জেড হলওয়েল কিছু শ্বেতাঙ্গ সেনা আর কিছু ইউরোপীয় ও আর্মেনীয় সেনা নিয়ে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে থেকে যায়। যুদ্ধ শেষের অনেক পরে সেই হলওয়েল সাহেব দাবী করেন সিরাজ ইংরেজদের ১৪৬ জন সেনাকে দুর্গের একটি ১৮ ফুট বাই ১৪ ফুট ১০ ইঞ্চি মাপের ঘরে বন্দী করে রাখেন, যে ঘরে মাত্র একটি ক্ষুদ্র জানালা ছিল। ফলে সেই ১৪৬ জনের মধ্যে ১২৩ জন সেনা দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। অনেকে আবার এই সংখ্যাকে বাড়িয়ে ২০০ অব্দি বলেন। হলওয়েল সাহেব কোনরকমে বেঁচে যায়। সে সময় থেকে একশো বছর পর্যন্ত বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। পরবর্তীকালে হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া (১৮৫৮) গ্রন্থের প্রণেতা ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেমস মিলের লেখাতে বিষয়টি প্রথম গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়। তারপর থেকে এর ওপর এত বেশি আলোকপাত করা হতে থাকে যে পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) এবং সিপাহি বিপ্লব (১৮৫৭) এর পাশাপাশি এ কাহিনীও ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে ইংল্যান্ডের স্কুল ছাত্রদের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়। হলওয়েল সাহেব বর্ণিত এই ঘটনাকেই ইতিহাসে অন্ধকূপ হত্যা নাম দেওয়া হয়েছে। 

    পরবর্তীকালে যখন ব্রিটিশ সরকার জিপিও - র জন্য একটি স্থায়ী বাসস্থানের কথা ভাবতে শুরু করে, তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, পরিত্যক্ত ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের একটি অংশেই বানানো হবে সেই স্থায়ী ঠিকানা। ১৮৬৪ সালে জিপিও - র বর্তমান বাড়ীটি যখন তৈরী করা হয় তখন অন্ধকূপ হত্যার তথাকথিত সেই ঘরটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামোর মধ্যে রেখে দেওয়া হয়। জিপিও - র বর্তমান বাড়ীটিতে পুরনো দুর্গের এইরকম অনেককিছুই আজও রয়ে গেছে। ফলে 'হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া' প্রকাশের পর থেকে যখন অন্ধকূপ হত্যা নিয়ে চতুর্দিকে আলোড়ন সৃষ্টি হতে থাকে, সেইসময় থেকেই চাঁদের কলঙ্কের মত জিপিও - র গায়েও কলঙ্ক লাগে। তার দিকে তাকিয়ে সকলে বলতে থাকে, এখানেই অন্ধকূপ হত্যা হয়েছিল। সেই কলঙ্ক আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে জিপিও - কে। যদিও ইতিহাস এরমধ্যে অন্যরকমের প্রমানকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে, তবুও আমরা এখনও সেই ইংরেজদের কথাকেই ধরে রেখেছি।

    বিভিন্ন ঐতিহাসিকের মতে, ১৭৫৬ সালের ১৬ জুন ত্রিশ হাজার সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে ইংরেজদের হাত থেকে কলকাতা জয়ের লক্ষ্যে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ফোর্ট উইলিয়মের প্রবেশদ্বারে উপনীত হন। দুদিন যুদ্ধের পর ইংরেজ গভর্নর রজার ড্রেক নিশ্চিত হন যে, নবাবের সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই তিনি ১৯ জুন দুর্গের ইংরেজ বাসিন্দাদের বড় অংশ নিয়ে ফলতা পালিয়ে যান। হলওয়েল ইউরোপীয় এবং আর্মেনীয় সেনা ছাড়াও প্রায় ১৭০ জন শ্বেতাঙ্গ সৈন্যের একটি দল নিয়ে ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গে থেকে যান। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের পরিস্থিতি বহাল রেখে ড্রেকের নেতৃত্বে ফলতাগামী ইংরেজ বাহিনীকে কোলকাতায় প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করা এবং পরের দিন ফলতা থেকে তাদের জন্য যে নির্দেশ আসবে তা কার্যকর করা। কিন্তু ইংরেজদের এ ক্ষুদ্র বাহিনী ফোর্ট উইলিয়ম এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকার মধ্যে নিজেদের অবস্থান সরিয়ে আনে। হলওয়েল সিরাজের বাহিনীকে রুখে দাঁড়াতে সচেষ্ট হন, কিন্তু সিরাজের বন্দুকধারী সৈন্যবাহিনী তাকে সফল হতে দেয় নি। ক্ষুদ্র শ্বেতাঙ্গ ক্লাইভ বাহিনীর ৫৩ জন সৈন্য (যার অধিকাংশ ছিল ওলন্দাজ) রাতের আঁধারে পালিয়ে সিরাজ বাহিনীতে যোগ দেয়। ২০ জুনের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যুদ্ধে ২৫ জন ইংরেজ সৈন্য নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়। ইংরেজদের পক্ষে কামান ব্যবহারে সমর্থ আর মাত্র ১৪ জন সৈন্য অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু তাদের মালপত্র পরিবহণের জন্য কাউকে পাওয়া যায় নি। ২০ জুনের সন্ধ্যায় নবাবের সৈন্যরা সব দিক থেকে দুর্গের দেয়ালসমূহে সরাসরি আঘাত হানতে থাকলে একজন বিশ্বাসঘাতক ওলন্দাজ সার্জেন্ট নদীর মুখের দিকের দুর্গ তোরণটিকে নবাব বাহিনীর জন্য খুলে দেয়। নবাব বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গিয়ে তখন কিছু ইংরেজ সৈন্য নিহত হয়। এমতাবস্থায় ইংরেজ বাহিনীর নেতা হলওয়েল আত্মসমর্পণ করেন। সিরাজের সৈন্যরা তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে। হলওয়েল নবাবের সাথে তিনবার সাক্ষাৎকার করেন এবং নবাবের কাছ থেকে তাঁর নিরাপত্তার আশ্বাস লাভ করেন। নবাবের বিজয়ী সৈন্যরা ইউরোপীয়দের মূল্যবান সম্পদ লুণ্ঠন করল বটে, কিন্তু তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে নি। তবে রাতের দিকে কিছু বন্দি ইউরোপীয় সৈন্য নবাব বাহিনীর প্রহরীদের আক্রমণ করে বসলে তাদের ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ সম্পর্কে নবাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নবাব হলওয়েলের পক্ষের যে সকল ইউরোপীয় সৈন্য স্থানীয় প্রহরীদের আক্রমণ করেছিল তাদের আটক রাখতে নির্দেশ দেন। 

    ঐতিহাসিক এবং পন্ডিত ভোলানাথ চন্দ্রের বৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিনির্ভর পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে, অন্ধকূপ হত্যা যদি ঘটেও থাকে তবে হলওয়েল বর্ণিত সংখ্যা কোনোভাবেই ঠিক নয়। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, অন্ধকূপের ২৬৭ বর্গফুট আয়তন ১৪৬ জন পূর্ণবয়স্ক ইউরোপীয় সৈন্যের ধারণ ক্ষমতার বাইরে ছিলো। তিনি একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ইউরোপীয় বা ইংরেজদের অভিযোগের অসারতা প্রমাণ করেন। ১৮ ফুট × ১৫ ফুট আয়তনবিশিষ্ট একটি স্থানকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে সেখানে ইউরোপীয়দের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির ১৪৬ জন বাঙালি কৃষককে ঠাসাঠাসি করেও ঢোকাতে তিনি ব্যর্থ হন। ইউরোপীয় বা ইংরেজদের তুলনায় শারীরিক দিক থেকে খর্বকায় সমসংখ্যক বাঙালিকেও তথাকথিত অন্ধকূপের নির্দিষ্ট আয়তনে প্রবেশ করানো সম্ভব ছিলো না। অতএব একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ইংরেজদের বর্ণিত সংখ্যা ঠিক নয় কোনোভাবেই। পার্সিভাল স্পিয়ারও তাঁর 'হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া' (১৯৫৮) গ্রন্থে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে হলওয়েলের দাবি সমর্থন করেন নি; তবে তিনি মনে করেন যে, অন্ধকূপ হত্যার কাহিনীতে কিছুটা সত্য আছে, এবং পুরোপুরি সঠিক না হলেও সে ধরনের কিছু একটা ঘটেছে। স্পিয়ার বলেন যে, হলওয়েলের যুক্তিতে অতিরঞ্জন থাকলেও কোলকাতা রক্ষার জন্য নিয়োজিত ১২৩ জন ইউরোপীয় সৈন্যের হিসাবতো দেখাতেই হয়। সে কারণেই এ সকল সৈন্যের অন্ধকূপে মৃত্যুর চেয়ে যুদ্ধে নিহত হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন