এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বর্বরিক ওরফে খাটু শ্যামের উপাখ্যান  (চতুর্থ ও শেষ পর্ব)

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৪৯৪ বার পঠিত
  • এই বালকই যে আমার আসল গন্তব্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাক্ষসকুলে জন্ম নিলেও সে যে প্রকৃত কৃষ্ণ ভক্ত সেটা বোঝাই যায়। যে বালক শ্রীকৃষ্ণের হাতে মৃত্যুবরণ করে মোক্ষলাভ করার আশায় তপস্যা করতে পারে, দেবতাদের সন্তুষ্ট করতে পারে, তাকে দেবতারাই বা বর না দিয়ে কি করে থাকে আর আমিই বা কি করে তাকে ইষ্ট না মেনে থাকতে পারি? একদিকে যেমন তার ধমনীতে বইছে ক্ষত্রিয় কুলের রক্ত, আর একদিকে বইছে রাক্ষসকুলের রক্ত আর মনে বইছে মোক্ষলাভের অদম্য বাসনা। সেই বালক যে কুরুক্ষেত্রের শ্রেষ্ঠ বীর হবে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু সেই বালকের প্রতিজ্ঞা বা সংকল্পের কারণে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অংশ নেওয়া পাণ্ডব বা কৌরবদের পক্ষে সুখকর হতো না। সর্বোপরি, সেই বালকের নিষ্পাপ মনে রাজনীতির কোনো কুটকাচালি ছিল না, সে নিষ্পাপ একজন কৃষ্ণভক্ত। কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে রাজনীতির কুটকাচালির পরিপূর্ণতা ছিল। তাই শ্রীকৃষ্ণ তাঁর এই সর্বোৎকৃষ্ট ভক্তটিকে সমরাঙ্গনে আসতে দিতে চাননি।
     
    অথচ বালকের ইচ্ছে সে যুদ্ধে অংশ নেবে কারণ শ্রীকৃষ্ণের হাতে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। অনেক বুঝিয়েও ব্যর্থ হওয়ার পরে শ্রীকৃষ্ণ এবার তার মোক্ষম চালটি চাললেন। ব্রাহ্মনবেশী শ্রীকৃষ্ণ বলে উঠলেন, ‘ভবতি ভিক্ষাং দেহি’। অর্থাৎ, যেহেতু তিনি দরিদ্র ব্রাহ্মন ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে তার সাথে কথা বলছিলেন তাই তিনি এবার ভিক্ষা চাইলেন। বালকটি বললেন, বলুন ব্রাহ্মনদেব, কী ভিক্ষা চাই আপনার? উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন ‘তোমার মস্তক’। বিস্মিত হলেন বালক, বুঝলেন এই ব্রাহ্মণ সাধারণ কেউ নন। তিনি বললেন, অবশ্যই আপনি আমার মস্তক ভিক্ষা হিসেবে পাবেন, কিন্তু তার আগে আপনার আসল পরিচয় বলুন। শ্রীকৃষ্ণ এবার স্বরূপে আবির্ভূত হলেন বালকের সামনে। স্বয়ং জগৎপতিকে চোখের সামনে দেখে আনন্দের আতিশয্যে চোখ দিয়ে আনন্দাশ্রু নির্গত হতে থাকল বালকের। তার সারা জীবনের সাধনা যার হাতে বীরগতি প্রাপ্ত হওয়ার, আজ তিনি নিজে তার মস্তক ভিক্ষা চেয়েছেন। এর থেকে বড় প্রাপ্তি তার জীবনে আর কিই বা হতে পারে। বালক বললেন “ প্রভু, আপনার আদেশ শিরোধার্য। কিন্তু আমি যে নিজের চোখে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ দেখব বলে অনেক আশা নিয়ে এসেছি। আপনি তো করুনাসিন্ধু, আপনি কি আমার মৃত্যুর পরেও আমাকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন না?” ক্ষুদ্র বালকের তার প্রতি এত গভীর ভক্তি দেখে করুনার উদ্রেক হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মনে। তিনি তাকে আশির্বাদ করে বললেন, “হে বালক, তোমার শরীর থেকে মস্তক আলাদা হয়ে গেলেও, তোমার মস্তক জীবিত থাকবে এবং তা স্বাভাবিকভাবে দেখতে ও শুনতে পাবে। 
     
    এছাড়াও তোমার ছিন্ন মস্তক স্থাপন করা হবে কুরুক্ষেত্রের সবচেয়ে উচু স্থানে, যেখান থেকে তুমি কুরুক্ষেত্রে সংগঠিত সমস্ত ক্রিয়াকলাপ আমার দেওয়া দিব্যচক্ষু দিয়ে অবলোকন করতে পারবে এবং কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করতে পারবে"। এবার বালক খুশিমনে তার মস্তক ছিন্ন করে শ্রীকৃষ্ণের হাতে দিলেন। শ্রীকৃষ্ণও তার কথামত সেই মস্তক স্থাপন করলেন কুরুক্ষেত্রের সুউচ্চ স্থানে।
     
    শ্রীকৃষ্ণ ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেছিলেন। ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণের অনেক ঘটনাই পাওয়া যায় পুরাণ বা মহাকাব্যগুলোতে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের শরণ পাওয়ার ইচ্ছে এবং উপায়ের পদ্ধতি ও ঘটনাক্রম অন্যান্য ঘটনাগুলোর থেকে এই বালককে অনেকটাই পৃথক করে দেয়। পাঁচ হাজার একশ বছর আগের ভীমের পৌত্রের এই কাহিনী আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন কোনায় শুনতে পাওয়া যায়। সেই বালক আজও পূজিত হন ভারতবর্ষের বিভিন্ন কোনায়। ঘটোৎকচ এখনও কুরুক্ষেত্রে আবির্ভূত না হলেও তার সুপুত্র, মাতা এবং পিতমহীর আশীর্বাদ নিয়ে হাজির হয়েছেন রণাঙ্গনে। অভীষ্ট একটাই, শ্রীকৃষ্ণের হাতে মৃত্যুবরণ করা। বয়সে বালক বা বড়জোর কিশোর। একনিষ্ঠ শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সেই বালকের নাম বর্বরিক। শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করার অনুমতি না দিলেও তার মস্তকটিকে নিজহাতে রেখে দিয়েছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রের কোনার উঁচু টিলাটিতে। সঙ্গে দিব্য দৃষ্টি এবং শ্রবণ ক্ষমতা। সঞ্জয় এবং হনুমানের সাথে বর্বরিকও দেখেছিল গোটা কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ। দিব্য দৃষ্টি দিয়ে বর্বরিক দেখেছিল বিভিন্ন যোদ্ধাদের বীরত্ব। সঞ্জয় দেখতে পেয়েছিল ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে পারার জন্য, হনুমান দেখেছিল কলিযুগের প্রারম্ভে তার প্রভুর লীলাখেলা আর বর্বরিক দেখেছিল মোক্ষলাভের পরে আশা, নিরাশা, স্বার্থ, দ্বন্দ্বের উর্ধ্বে উঠে এক অপার্থিব দৃষ্টিতে। ফলে ঘটনা সেই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হলেও প্রত্যেকের দেখার মধ্যে পার্থক্য ছিল এবং বর্বরিকের দেখার মধ্যে সত্য ছিল অনেক বেশী।
     
    কুরুক্ষেত্রের মহারণের শেষে বিজয় আসল পাণ্ডব শিবিরে এবং পরাজিত হল কৌরবগন। যুদ্ধাবসানের পর কে বেশি বীরত্ব দেখিয়েছে? অর্জুন নাকি ভীম যখন এই নিয়ে সবাই যখন তর্কে ব্যস্ত, তখন শ্রীকৃষ্ণ তাদের নিয়ে যান বর্বরিকের মাথার কাছে। তারা বর্বরিককে বললেন, “যেহেতু তুমি সম্পুর্ন যুদ্ধ দেখেছ, তুমিই বল, কে এই যুদ্ধের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর?” প্রশ্ন শুনে ঈষৎ হাসলেন বর্বরিক, বললেন, ‘আমি শুধু শ্রীকৃষ্ণকেই দেখেছি। নিহত ও নিধনকারী – সবাই আসলে কৃষ্ণ। সুতরাং তিনিই এই যুদ্ধের শ্রেষ্ঠতম বীর! আমি দেখেছি অর্জুনের তীর বা ভীমসেনের গদা শত্রুর প্রাণ নেয়ার আগেই কৃষ্ণের চক্র শত্রুর সংহার করে ফেলেছে। আমি দেখেছি পুরো রণক্ষেত্রে মাতা দ্রৌপদী মাতা মহাকালীর রূপ ধারন করে শত্রুর রক্তপান করছেন। তোমরা যে তোমাদের পরাক্রম নিয়ে এত প্রশংসা করছ, কিন্তু আমি তো একজনকেও কোনো পরাক্রম দেখাতে দেখলাম না। সুদর্শন চক্র ভীষ্মর দেহ ছিদ্র করছিল, আর অর্জুনের নিরর্থক বানগুলো সেই ছিদ্রের ভিতর দিয়ে ঢুকছিল’ এইভাবে সমগ্র গীতার সারাংশ অতি সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেয় বর্বরিক। এসময় শ্রীকৃষ্ণ তাকে বাধা দিয়ে বললেন, তুমি তোমার দিব্য দৃষ্টিতে যা দেখেছ, এরা চর্ম চক্ষুতে তা দেখতে পারেনি। সে কারনেই এরা নিজেদের বীরত্বের প্রতি এতটা গর্বিত। কিন্তু তারা জানেনা সমস্ত কারনের আদি কারন একমাত্র আমি।
     
    আঠারো দিন ধরে চলা কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হয়েছে, কলিযুগ শুরু হতে চলেছে। কলিযুগে যে মহামানবের উপস্থিতির প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশী, সেই মহামানব মস্তক ছিন্ন করে যুগবসানের ধ্বনি ছড়িয়ে দিয়েছেন চারিদিকে। মন আজ বড়ই উদাস। চতুর্দিকে মৃত মানুষের সারি, প্রিয়জনদের হাহাকার। শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় বর্বরিকের যে মোক্ষলাভ হয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।অন্যমতে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে মানস সরোবরে রক্ষিত বর্বরিকের বাকি দেহ আনা হল। অশ্বিনী কুমার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে সেই মস্তক আর দেহ আবার জুড়ে দিলেন। নিজের সম্পুর্ন দেহ ফিরে পেয়ে বর্বরিক জানালেন, এই যুদ্ধ দেখে তার সংসারের আসক্তি নাশ হয়েছে। তাই তিনি বাকি জীবন হিমালয়ে তপস্যা করে কাটাতে চান। তারপর সবার আশীর্বাদ নিয়ে বর্বরিক বেরিয়ে পড়লেন হিমালয়ের উদ্দেশ্যে। আর একটি মতে, বর্বরিকের মৃতদেহ আগেই ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল নদীতে, এখন তার মাথা পুঁতে দেওয়া হয় মাটিতে। শ্রীকৃষ্ণ বর্বরিকের এই আত্মত্যাগে সন্তুষ্ট হয়ে বর দেন ‘কলিযুগে আমার জায়গা নিয়ে তুমি দুষ্টের দমন করবে। আমার নামেই লোকে চিনবে তোমায়।’ সেই বরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে  খাটুশ্যামজী নামেই পূজিত হন বর্বরিক। রাজস্থানের খাটু নামক একটি ছোট্ট গ্রামের খাটুশ্যামজী মন্দিরে একটি ছিন্ন মস্তক পূজিত হয় খাটুশ্যামজী নামে। আবার শ্যামবাবা নামেও তিনি পরিচিত অনেকের কাছে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 2402:8100:25ca:a06b:b01f:2dbd:258e:1bb4 | ২৮ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫০517952
  • ডিএ বাড়ানো নিয়ে আর বাজে বকবেন না ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন