এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ডাকঘরে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ মার্চ ২০২৩ | ৩৫১ বার পঠিত
  • বিগত বেশকিছু বছর ধরে উন্নত প্রযুক্তিতে সেজে উঠছে ডাক বিভাগ। এই শতকের প্রথম দিক থেকে ডাক বিভাগে কম্পিউটার প্রবেশ করলেও বিভাগের সমস্ত ধরনের কাজকে যান্ত্রিক কাজে রূপান্তরিত করা ছিল ডাক বিভাগের কাছে এক প্রাচীরপ্রমাণ বাধা। বিভাগে উপলব্ধ মানব সম্পদ, কাজের ধরন এই অন্তরায়ের মূল কারণ। ভারতবর্ষের মধ্যে ডাক বিভাগই হলো একমাত্র বিভাগ যেখানে একদিকে রেজিস্ট্রি, পার্সেল, স্পিড পোস্ট, মনি অর্ডার ইত্যাদি বুক হয় এবং বিলি হয়, পাশাপাশি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ও বীমা পরিষেবার কাজ হয়। চিঠিপত্রের বুক হওয়া থেকে বিলি অব্দি প্রতিটি স্তরে হিসেব রাখা আবার টাকা জমা নেওয়া, গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা তোলা, নতুন কোনো ফিক্সড ডিপোজিট চালু করা থেকে মেয়াদান্তের টাকা ফেরৎ দেওয়া, মাসিক বা ত্রৈমাসিক সুদ প্রদান করা, গ্রাহকের নতুন বীমা করা থেকে মেয়াদান্তে বীমার টাকা ফেরৎ দেওয়া, এই সমস্ত কাজকে একই ছাতার তলায় নিয়ে আসা খুব সহজ কাজ ছিল না। এরপরে আছে বিভাগের নিজস্ব কর্মীদের ছুটি থেকে ছুটি বিক্রি, পেনশন থেকে অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা প্রদান, ভবিষ্যনিধি থেকে মাসিক মাহিনা প্রদান, চাকুরীতে নিয়োগ ইত্যাদি। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম কথা হলো ব্যবহারকারী বান্ধব হওয়া, অর্থাৎ সরকারী ক্ষেত্রের বা বেসরকারি ক্ষেত্রের উপলব্ধ কর্মচারীরা যেনো সেই প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিতে পারে আবার গ্রাহকেরাও যেনো সেই প্রযুক্তিতে অসুবিধায় না পড়ে। বিভাগের এতগুলো ব্যবসায়িক এবং অভ্যন্তরীণ দিককে মাথায় রেখে ডাক বিভাগ এক লাফে প্রযুক্তির শীর্ষে পৌঁছতে চায়নি বরং ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছে লক্ষ্যের দিকে। অনেকপথ পেরিয়ে এসে আজকে ডাক বিভাগ তার সমস্ত গ্রাহকদের জন্য একদিকে যেমন রেজিস্ট্রি, পার্সেল, স্পিড পোস্ট ইত্যাদি বুক করার পর থেকে বিলি হওয়া অব্দি প্রতিটি স্তরের তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদান করে থাকে, তেমনি যে কোনো গ্রাহকের অভিযোগের সমাধান করে প্রযুক্তির মাধ্যমে আবার সমস্ত ধরনের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করে Core Banking Solution এর মাধ্যমে। পাশাপাশি কর্মচারী নিয়োগ থেকে কর্মচারীদের ছুটি, মাহিনা থেকে বিভিন্ন রকমের পাওনাগণ্ডা মেটায় প্রযুক্তির মাধ্যমে। আজকের ডাক বিভাগ সম্পূর্ণরূপে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর। 
     
    যে কোনো গ্রাহকের ডাকঘরে একটি সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট থাকলে তিনি সেই একাউন্টের মাধ্যমে পেতে পারেন এক বা একাধিক ATM কার্ড, যার মাধ্যমে সরাসরি পোস্ট অফিসের ATM মেশিন বা যে কোনো ব্যাঙ্কের ATM মেশিন থেকে টাকা তুলতে পারবেন, ডাকঘরে আসার প্রয়োজন নেই। আবার তিনি সেই একাউন্টে মোবাইল ব্যাঙ্কিং এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। এই সুবিধা গ্রহণ করতে গেলে যে ডাকঘরে সেই একাউন্টটি আছে সেখানে নতুন করে একটি KYC ফর্ম দাখিল করতে হবে। KYC ফর্মে ATM Card, Mobile Banking এবং Internet Banking-এর ঘরে টিক দিতে হবে, গ্রাহকের মোবাইল নম্বর লিখতে হবে এবং গ্রাহকের ইমেল ঠিকানা দিতে হবে। তাহলেই কিছুদিনের মধ্যে গ্রাহকের বাড়ীতে ATM Card পৌঁছে যাবে, আর যদি সেই ডাকঘরে কমন ATM Card এর স্টক থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গেই সেই গ্রাহক ATM Card পেয়ে যাবেন। এরপরে গ্রাহকের রেজিস্টার্ড মোবাইলে একটি বার্তা যাবে মোবাইল ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত আর একটি বার্তা যাবে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত। এরপরে গুগল প্লে স্টোর থেকে India Post Mobile Banking Application ডাউনলোড করে নিয়ে প্রাথমিক যে সমস্ত তথ্য জানতে চাইবে সেই সমস্ত তথ্য দিলেই গ্রাহক ডাক বিভাগে চালু থাকা তার সমস্ত একাউন্টগুলো দেখতে পাবেন। এখানে অবশ্য একটা কথা বলার আছে যে গ্রাহক শুধু সেই একাউন্টগুলোই দেখতে পাবেন যেগুলোয় তার CIF ID অর্থাৎ কাস্টমার আইডেন্টিটি নম্বর একই আছে। যদি গ্রাহকের CIF ID আলাদা আলাদা থাকে তবে ডাকঘরে গিয়ে CIF মার্জ করিয়ে নিতে হবে। CIF মার্জ করার পরে গ্রাহক তার সমস্ত একাউন্ট দেখতে পারবেন মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে। গ্রাহকের ফোনে যেমন বার্তা যাবে, যার অর্থ গ্রাহকের মোবাইল ব্যাঙ্কিং এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং অ্যাক্টিভ হয়েছে, তেমনি গ্রাহকের ইমেল ঠিকানায় বার্তা যাবে যেখানে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের ডিফল্ট ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড থাকবে। এবার গ্রাহক সরাসরি ডাক বিভাগের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের ওয়েবসাইট https://ebanking.indiapost.gov.in এ যেতে পারেন অথবা ডাক বিভাগের ওয়েবসাইট https://indiapost.gov.in এ গিয়ে বামদিকের মেনুগুলোর মধ্যে Banking & Remittance মেনু সিলেক্ট করে তারপরে Net Banking মেনু সিলেক্ট করলেই ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। প্রথমে গ্রাহককে তার CIF ID দিতে হবে তার ইউজার আইডি হিসেবে (CIF ID হলো গ্রাহকের বরাবরের ইউজার আইডি) এবং ক্যাপচা দিতে হবে। তাহলে গ্রাহকের মোবাইলে OTP যাবে এবং সেই OTP পোর্টালে দিলেই গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং শুরু হয়ে যাবে। এরপরে প্রথম কাজ হলো পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নেওয়া। এখানেও গ্রাহক তার সেই একাউন্টগুলোই দেখতে পাবেন যেগুলোর কাস্টমার আইডেন্টিটি নম্বর একই আছে। নচেৎ যে যে ডাকঘরে সেই একাউন্টগুলো আছে সেখানে গিয়ে CIF মার্জ করিয়ে নিতে হবে। এখন গ্রাহকের কাছে তার সেভিংস পাশবইয়ের কারণে এক বা একাধিক ATM Card, মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধাপ্রাপ্ত আছে। এছাড়াও গ্রাহকের যদি MIS, TD, KVP, NSC, SCSS, SSA একাউন্ট থেকে তাহলে সেই MIS, TD বা SCSS একাউন্টের অর্জিত সুদ নিয়মমতো তার পাশবইতে নিয়মিত জমা হয়ে যায়। গ্রাহক চাইলেই মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে তার MIS, TD, KVP, NSC, SCSS, SSA একাউন্টের মেয়াদান্তের টাকা গ্রাহকের সেভিংস একাউন্টে জমা করতে পারেন। আবার মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে তার সেভিংস একাউন্ট থেকে নতুন যে কোনো ধরনের একাউন্ট খুলতে পারেন (একমাত্র SCSS একাউন্ট খুলতে পারবেন না)। গ্রাহকের সেভিংস একাউন্টে যদি নির্দেশ দেওয়া থাকে তাহলে প্রতি মাসের ১৫ তারিখে তার সেভিংস একাউন্ট থেকে টাকা তার RD একাউন্টে জমা হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র SCSS একাউন্ট ছাড়া গ্রাহক বাড়ীতে বসেই পোস্ট অফিসে থাকা তার সমস্ত ধরনের একাউন্টের লেনদেন করতে পারবেন। এরপরের প্রশ্ন হলো, যদি গ্রাহকের কোনো ধরনের বীমা (PLI বা RPLI) করা থাকে। এর সুবিধা পেতে গেলে গ্রাহককে একটি IPPB একাউন্ট খুলতে হবে। India Post Payment Bank ডাক বিভাগেরই একটি শাখা সংস্থা। প্রতিটি ডাকঘরে এমনকি গ্রামাঞ্চলের ব্র্যাঞ্চ পোস্ট অফিসেও IPPB-র কাজ হয়ে থাকে। সুতরাং গ্রাহককে নিকটস্থ ডাকঘরে গেলেই হবে। একটি IPPB একাউন্ট খুললে গ্রাহক সঙ্গে সঙ্গে এক বা একাধিক ATM Card পাবেন। এরপরে গুগল প্লে স্টোর থেকে IPPB Mobile Banking Application ডাউনলোড করে নিয়ে প্রাথমিক যে সমস্ত তথ্য জানতে চাইবে সেই সমস্ত তথ্য দিলেই গ্রাহক সেই IPPB একাউন্টের পরিচালনা করতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে। পাশাপাশি IPPB র নিজস্ব ওয়েবসাইট https://www.ippbonline.com এ গিয়ে গ্রাহকের একাউন্ট নম্বর, ATM Card নম্বর বা জন্মতারিখ, রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর এবং কাস্টমার আইডি দিলেই গ্রাহকের মোবাইলে OTP আসবে। এবার OTP দিলেই তার ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। গ্রাহককে এবার তার পোস্ট অফিস সেভিংস ব্যাঙ্ক একাউন্টটি IPPB একাউন্টের সাথে লিংক করে নিতে হবে IPPB র অফিস থেকে।
     
    এবার বলবো এতকিছু করে গ্রাহকের কি লাভ হবে। এতকিছু করার পরে গ্রাহকের হাতে থাকবে পোস্ট অফিসের একটি সেভিংস একাউন্ট আর একটি IPPB র একটি সেভিংস একাউন্ট। দুটো একাউন্টেরই এক বা একাধিক ATM Card, মোবাইল ব্যাঙ্কিং ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সুবিধা। ডাক বিভাগের বর্তমান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এইগুলো হলো একেবারে প্রাথমিক সুবিধা। এরফলে যে কোনো গ্রাহক পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কের ATM মেশিন থেকে যে কোনো সময়ে টাকা তুলতে পারবেন। মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে IPPB একাউন্ট থেকে যে কোনো একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন NEFT বা RTGS প্রথায়, পোস্ট অফিস সেভিংস একাউন্ট থেকে IPPB একাউন্টে টাকা টেনে নিতে পারবেন। IPPB একাউন্টে যেহেতু টাকা রাখার সর্বাধিক সীমা দুই লক্ষ টাকা সেই কারণে যদি টাকার পরিমাণ বেশী হয়ে যায় কোনো সময়ে তাহলে অতিরিক্ত টাকা বা গোটা টাকাটাই IPPB একাউন্ট থেকে পোস্ট অফিসের একাউন্টে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়াও IPPB একাউন্টের সাথে গ্রাহকের নামে থাকা PLI, RPLI, RD ইত্যাদি একাউন্ট যোগ করে নিলে রেকারিং ডিপোজিটের মাসিক প্রদেয় টাকা বা বীমার কিস্তি সবকিছুই পেমেন্ট করা যাবে ওই IPPB একাউন্ট থেকে। গ্রাহকের গ্যাসের বিল, টেলিফোনের বিল, মিউনিসিপ্যালিটির বিল, মোবাইলের রিচার্জ, কেবল টিভির বিল, ফাস্টট্যাগের বিল ইত্যাদি যে কোনো ধরনের বিল পেমেন্ট করা যায় IPPB মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে। আর যদি কোনো গ্রাহক সরকারী কোনো অনুদান (DBT) প্রাপক হন তাহলে সেই অনুদানের টাকা সরাসরি গ্রাহকের IPPB একাউন্টে জমা হয়ে যাবে যখন সরকার সেই টাকা প্রদান করবে। বর্তমানে অনেকদিন ধরেই পোস্ট অফিস কোনো গ্রাহককেই আর সরাসরি টাকা হাতে তুলে দেয়না যদিনা সেই টাকা খুব কম অঙ্কের হয় (২০০০০ টাকা সীমারেখা)। হয় গ্রাহকের একাউন্টে প্রদান করে নতুবা চেক প্রদান করে। ফলে গ্রাহকের একাউন্ট থাকা বাঞ্ছনীয় কারণ চেক পেলেও সেই চেক কোনো একাউন্টে জমা না দিলে টাকা পাওয়া যাবে না। সুতরাং গ্রাহকের পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে টাকা থাকলে সেভিংস একাউন্ট থাকাটাও সুবিধার নইলে মেয়াদ শেষের টাকা হাতে পেতে অনেক কষ্ট করতে হবে। ব্যাংকেও একই নিয়ম, তাই যে কোনো স্কিমে টাকা রাখতে গেলে আগে সেভিংস একাউন্ট খুলতে হবে। এরপরে যে কোনো স্কিমে টাকা রাখলে সেই একাউন্টকে পোস্ট অফিস সেভিংস একাউন্টের সাথে লিংক করে নিতে হবে। লিংক করে নিলে সেইসমস্ত একাউন্টের মাসিক বা ত্রৈমাসিক সুদ গ্রাহকের সেভিংস একাউন্টে সরাসরি জমা হয়ে যাবে, পোস্ট অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ গ্রাহকের সেভিংস একাউন্টে টাকার যোগান বহাল থাকছে এবং তিনি মোবাইল ব্যাঙ্কিং ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা থেকে টাকা প্রয়োজনমতো খরচ করতেও পারছেন। সেই একাউন্টে যদি টাকা কমে যায় তবে অন্য একাউন্ট থেকে সেই একাউন্টে NEFT বা RTGS প্রথায় টাকা পাঠাতেও পারছেন। মোবাইল ব্যাঙ্কিং ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে গ্রাহক যতখুশি (অবশ্যই সর্বাধিক টাকার সীমা যেসমস্ত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা বজায় রেখে) ডাকঘরে চালু থাকা বিভিন্ন রকমের একাউন্ট খুলতে পারেন বাড়ীতে বসেই। সেইসব একাউন্টগুলোকে মূল সেভিংস একাউন্টের সাথে লিংক করতে পারবেন বাড়ীতে বসেই। আবার বাড়ীতে বসেই গ্রাহকের নামে থাকা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন একাউন্টের মেয়াদশেষের টাকা তার সেভিংস একাউন্টে নিয়ে নিতে পারবেন।
     
    বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশী সুদ প্রদান করে ডাক বিভাগ। তাদের যে কোনো স্কিমে সুদের পরিমাণ যে কোনো ব্যাঙ্কের থেকে বেশ কিছুটা বেশী। ফলে জনসাধারণের আগমন ডাকঘরে খুব বেশী পরিমাণেই ঘটে প্রতিদিন। বিশেষ করে বয়স্ক লোকেদের এই অতিরিক্ত সুদ খুব লাভজনক হয়। তাই বিশেষ করে MIS বা SCSS বা TD একাউন্টে বয়স্কদের টাকা রাখার ঝোঁক অনেকটাই বেশী। আবার এই অতিরিক্ত ভিড়, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের সমস্যা তৈরী করে এবং তিতিবিরক্ত করে তোলে গ্রাহকদের। তাই ডাকঘরের এই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রাহকেরা অনেক বেশী সুবিধা পাবেন, কারণ তাদের ডাকঘরে আসার প্রয়োজন ফুরোবে। নতুন একাউন্ট খোলা বা পুরনো একাউন্ট ম্যাচিওর করলেও ডাকঘরে আসার প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র সেভিংস একাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার জন্য কালেভদ্রে ডাকঘরে আসার প্রয়োজন পড়বে। অন্যথায় যেসব ব্যাঙ্কের ATM মেশিনে টাকা জমা দেওয়ার সুবিধা আছে গ্রাহকেরা সেইসব ATM মেশিনের সাহায্যেও তাদের সেভিংস একাউন্টে টাকা জমাও করতে পারবেন। ফলে ডাকঘরের বর্তমান প্রযুক্তি শুধুমাত্র গ্রাহককে ডাকঘরের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো থেকে রক্ষা করবে তাই নয়, ঘরে বসে উচ্চহারে সুদ পেতেও সাহায্য করবে। নিকটবর্তী ডাকঘরে যোগাযোগ করুন এবং উন্নত প্রযুক্তির সাথে হাত মেলান, ভিড় এড়িয়ে চলুন। উন্নত ডাকঘর - উন্নত ভবিষ্যত।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন