এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সাইবার ক্রাইম : মানব জাতির অস্তিত্বে প্রশ্ন ?

    Zaheed Rudro লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ জানুয়ারি ২০২৩ | ৪০২ বার পঠিত

  • ১।
    তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে সাইবার অপরাধ ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের মতো। সাম্প্রতিককালে সমগ্র বিশ্ববাসী সাইবার অপরাধের বৰ্ধিত দুঃশ্চিন্তায় আক্রান্ত। প্রতিনিয়ত বড় বড় সাইবার অপরাধের পরও দেশের কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। প্রযুক্তির আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষিত-দক্ষ জনবল ও সচেতনতার অভাবেই সাইবার অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। কম্পিউটার এবং ইণ্টারনেটের উপরে মানুষের নিৰ্ভরশীলতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, একইভাবে তৎপর হয়ে উঠছে সাইবার অপরাধীর চক্রসমূহ। সাইবার সংক্রান্ত সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধ কে বলা হয় সাইবার টেররিজম (Cyberterrorism)বলে। সাইবার পর্নোগ্রাফি, সাইবার স্টকিং, সাইবার ডিফেমেশনের মতো ইত্যাদি ঘটনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের তালিকায় পরে। অনলাইনে জুয়া, ফিশিং, কপিরাইট উল্লঙ্ঘণ, ক্রেডিট কার্ড ফ্রডের মতো ঘটনা পড়ে সম্পত্তি সংক্রান্ত সাইবার ক্রাইমের আওতায়।

    ভারতে সাইবার অপরাধে দায়ের করা অভিযোগ দিন দিন বাড়ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে সাইবার অপরাধসংক্রান্ত মামলা ১১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সৰ্বসাধারণের মস্তিষ্কগত চিন্তার অগোচরেই কিছু সূক্ষ্ম কাজ দ্বারা এই অপরাধ সম্ভবপর হয়। কিছুসংখ্যক এই শ্ৰেণীর অপরাধীদের কম্পিউটার এবং ইণ্টারনেটের অসাধু ব্যবহারই ধীরে ধীরে এর উৎপত্তি। তাঁরা এই জ্ঞান কল্যাণমূলক কাজে প্ৰয়োগ করে সমাজ উত্তরণে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারতো। কিন্তু তা না করে নিজ বিদ্যা-বুদ্ধি ট্রেপের গেড়াকলে খাটিয়ে গোটা বিশ্বব্যাপি সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। 

    বর্তমানে সাইবার অপরাধ সারা বিশ্বে অপরাধ তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায় যে, বার্ষিক ৯০ মিলিয়ন সাইবার হামলায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৭৫ বিলিয়ন ডলারের সমান। নিত্যনতুন সাইবার অপরাধের কৌশলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যবসাও বেড়ে চলেছে। ব্যাংক অব আমেরিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সাল নাগাদ এটি ১৭০ বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত হয়েছে। এই অপরধী চক্ৰসমূহকে 'হেকার' (Hacker) নামে সাধারণত আমরা জানি। ইংরেজী Hack শব্দের অৰ্থ হচ্ছে অন্যের কম্পিউটার থেকে অবৈধভাবে তথ্য আহরণ করা, অর্থাৎ তথ্য চুরি করা। এই অসাধু কাৰ্য অতি ক্ষুদ্ৰ স্তর থেকে বৃহত্তম স্তরে ঘটতে পারে। সেজন্য একজন হেকার সাইবার অপরাধী। অবশ্য তাদের মধ্যেও মাত্ৰার ব্যাপক তারতম্য আছে। পুতুল চোর থেকে হাতি চোর পর্যন্ত সকল স্তরের হেকার বৰ্তমান সময়ে নিরিহ জনসাধারণের নিদ্ৰাহরণ করছে। সঙ্গে সাইবার অপরাধের মাত্ৰা হ্ৰাস করতে কর্তৃ পক্ষসমূহও নানান প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা উদ্ভাবন তথা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যদি গাছের শাখায় শাখায় অনুসন্ধান করে , তো হেকার পাতায় পাতায়। সাধারণ হেকারের চোখ যদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বেংক একাউন্টের উপর থাকে। কিন্তু তার বিপরীতে হাতিচোররূপী হেকার-চক্ৰ  একটি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করে তুলতে পারে।

    ছোট্ট পরিসরে যে হেকারগুলো আছে এদের কবলে একবারও পড়েন নাই সম্ভবতঃ এমন খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন। সাইবার অপরাধী চক্র সাধারণ মানুষকে অতি সহজেই প্ৰবঞ্চনায় ফেলে। প্রবঞ্চনায় ফেলতে নানা ধরনের ট্রেপ তৈরি করে। এই জালে ফেলতে এই হেকার সাধারণ মানুষকে নানা প্রলোভন দেখায়। তারপর একবার ঠগা খেয়ে অনেকের চোখ খুলে। সজাগতা সকল সমস্যার শেষ সমাধান নয়। সাধারণ মানুষকে লুট করার না না কৌশল উদ্ভাবনে একজন সাইবার অপরাধীর প্ৰচুর সময় এবং মেধা ব্যয় করতে হয়। ফলে সাইবার অপরাধ রোধে কর্তৃপক্ষসমূহও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পাসওয়ার্ড’, ’অ টি পি ইত্যাদি পদ্ধতিসমূহ প্রারম্ভে প্ৰচলিত থাকা সত্ত্বেও হেকারের হাতে বহু মানুষ প্ৰবঞ্চিত হয়েছেন। অনেক মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে যাওয়ার খবরও শোনা যায়। ক্ষুদ্র পরিসরের এই সাইবার ক্রাইম রোধ করতে প্রসাশনের সাইবার শাখা রয়েছে সত্য। কিন্তু এইসব অপরাধীদের ধরতে কতটা সফল হয়েছে তা সন্দেহের বিষয়। সমীক্ষায় দেখা যায় প্রায় নিরানব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে এই অপরাধের বলি হওয়া সাধারণ মানুষ সুবিচার পায় না। প্রশাসন নিয়ম মাফিক অভিযোগ গ্রহণ করেন ঠিকই কিন্তু অপরাধী ধরার দৃষ্টান্ত খুব বিরল।

    ২।
    এখন কথা হলো, সাইবার অপরাধীদের এইসব দৌরাত্ম্য অব্যাহত থাকলে সমগ্র ইন্টারনেট ব্যবস্থার উপরে জনগণ আস্থা রাখবে না। যার ফলে গ্রাহকদের সাথে সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লক্ষণীয় যে, দেশের বেংকিং সিস্টেম ইতিমধ্যে একশো শতাংশ কম্পিউটার - ইন্টারনেট নির্ভর এবং এর নির্ভরযোগ্যতা অটুট রাখা বেংক কতৃপক্ষের অতি প্রয়োজনীয়। যদিও বেংকের তরফ থেকে গ্রাহকদের শতর্কতামূলক বার্তা দেয়া হয়, যেকোনো পরিস্থিতিতে অ টি পি, পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা যেন ভঙ্গ না করা হয়। কিন্তু এরপরও কিছু সংখ্যক মানুষ সাইবার অপরাধীর শিকার হয়ে পড়েন - এমন কিছু ঘটনা সংঘটিত হয় যা স্বাভাবিক মানুষ অতি সহজেই জালে ফেঁসে যান। এখানে আমার সঙ্গে ঘটা একটা ঘটনা পাঠক মহল শেয়ার করতে চাই। তিন বা চার মাস হবে এই ঘটনার। আমার হোয়াটসঅ্যাপে বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ (APDCL) থেকে এধরণের একটা মেসেজ আসে। যেহেতু আমার মোবাইল নাম্বার টা রেজিস্ট্রার ছিল, আমি ভাবলাম হয়তো হোয়াটসঅ্যাপে এসেছে। এই মেসেজে লিখা ছিল ইংরেজিতে, বাংলায় এর অনুবাদ হলো 'আপনার বিলটি আপডেট হয়নি একটা ভেরিফিকেশন করতে হবে, ইমেল আপডেটের মাধ্যমে তা করতে হবে।' নিচে দেয়া ছিল একটা মোবাইল নাম্বার আর বন্ধনীতে লিখা ছিল ডিসট্রিক ম্যানেজার (District Manager)। তো যেই মেসেজটা পড়লাম তখনই বিলের রিসিভ কপি টা নিয়েও দেখি এটা তো ঠিকই ছিল, বিল দেয়া হয়েছে আগেই। তারপর ভাবলাম এমন বোধহয় হতে পারে, ভেরিফিকেশন তো এখন অনেক ক্ষেত্রেই দিতে হয়। তাই হয়তো, ফোন করে নেই। একজন হিন্দিভাষী ফোন রিসিভ করলেন। উপরের উল্লেখিত পুরো ঘটনা বলার পর ঐ ব্যক্তি আমার ইমেইল চেয়ে নিয়ে একটা লিংক পাঠালেন। এই লিংকে ক্লিক করার পর দেখি ঐ ব্যক্তি আমার ফোন সে নিজে ওপারেট করছে। সঙ্গে সঙ্গেই একটা ভেরিফিকেশন স্ক্রীণ আমার সামনে আসলো। সেখানে আমরা নাম, ঠিকানা, ইমেইল, পেন নং (PAN), আধার নং(AADHAR) এসব দেয়ার অপশন ছিল। আমিও ওর ট্রেপে পড়তে থাকি। যখনই পেন নংটা লিখতে যাই হঠাৎ মনে আসলো একবার আমার বন্ধু যে ইলেক্ট্রিক অফিসে চাকরিরত তাকে ফোন করে নেই। আর এদিকে আমি কি করছি না করছি সব দেখছে হিন্দিভাষী ঐ মানুষটি। বন্ধুটি সেদিন কতবড় হেলপ করেছে তাকে কিভাবে যে ধন্যবাদ জানাই, এর ভাষা আমার জানা নেই। সেদিন খুব বকে ছিল আমাকে - 'স্যার কি অবসর, তোর সাথে এতো সময় ফোনে কথা বলার!' সাথে সাথে ওর ফোন কেটে মোবাইল সুইচ অফ করি।

    ৩।
    উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও সাইবার অপরাধ-সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা হু-হু করে বেড়েই চলছে। এ অপরাধের রাশ টেনে ধরতে সরকার নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। Federal Bureau of Investigation (FBI) থেকে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়। কারণ, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাইবার ক্রাইমে বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২০১৭ সালে সাইবার অপরাধের ২১ হাজার ৭৯৬টি মামলা ছিল, ২০১৮ সালে ২৭ হাজার ২৪৮টি এবং ২০১৯ সালে সংখ্যাটি বেড়ে ৪৪ হাজার ৭৩৫টি মামলা হয়েছিল। সাইবার মামলার বিষয়ে ভারতের এ-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২০ সালে দেশে সাইবার অপরাধসংক্রান্ত মোট ৫০ হাজার ৩৫টি মামলা হয়েছে। যেখানে ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৪৪ হাজার ৭৩৫টি। ২০২০ সালের সাইবার অপরাধের এই তথ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া, ২০২০’ প্রতিবেদন থেকে নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মামলার ১১.৮ শতাংশ বেড়েছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২০১৭ সালে সাইবার অপরাধের ২১ হাজার ৭৯৬টি মামলা ছিল, ২০১৮ সালে ২৭ হাজার ২৪৮টি এবং ২০১৯ সালে সংখ্যাটি বেড়ে ৪৪ হাজার ৭৩৫টি মামলা হয়েছিল। ২০১৯ সালে মোট অপরাধের মধ্যে সাইবার ক্রাইমের হার ছিল ৩.৩ শতাংশ, যা এখন ৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে রেজিস্ট্রীকৃত সাইবার অপরাধ মামলার ৬০.২ শতাংশ (৩০ হাজার ১৪২টি মামলা) প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য সম্পর্কিত, যেখানে ৬.৬ শতাংশ (৩ হাজার ২৯৩টি মামলা) যৌন নির্যাতনের মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সাইবার অপরাধের নতুন পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া পাঞ্জাব, রাজস্থান, গোয়া ও আসামের মতো কয়েকটি রাজ্যে একটিও সাইবার সেল না থাকায় অপরাধ বন্ধ না করার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিটির একটি রিপোর্টে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলোতে মাত্র একটি বা দুটি সাইবার সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

    ভারতে সাইবার ক্রাইম কমানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি Indian Computer Emergency Response Team (CERT-In) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্রতারণার ঘটনাগুলি খুব গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করছে এই সংস্থা। সমীক্ষা বলছে, ভারতীয়রাই সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের শিকার। এই দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশই সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে ৬৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই সাইবার অপরাধের শিকার। সেখানে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই অপরাধের শিকার ৭৬ শতাংশ। তবে শুধু পুলিশের মাধ্যমে নয়, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ব্যবহারকারীদের সতর্ক হতে হবে আগে। ভারতে সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এবছর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ৮২টি মামলা দায়ের হয়েছে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত। সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও একটা বড় তথ্য। ভারতে একটি সাইবার অপরাধ সমাধানের জন্য যেখানে গড়ে ৪৪ দিন সময় লাগে, সেখানে অন্যান্য দেশে এই মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে গড়ে মাত্র ২৮ দিন। সুতরাং লড়াইটা যে মোটেও সহজ নয়, তা বলাই বাহুল্য। লক্ষণীয় যে এখন ব্যাপকভাবে প্রসারিত সাইবার ক্রাইম কি মানব জাতির অস্তিত্বে প্রশ্ন করতে ভাবায় ?

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন