এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ছোটো গল্প (আজব লোক) 

    Mousumi GhoshDas লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ৫৯০ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)
  • আজব লোক 
     মৌসুমী ঘোষ দাস  

    “দেকেন দাদা, আমাকে আরও ছয় বাড়ি যেতি হবে, অত হিসাব করি জল মেপি আপনের কতা মতো লিটিরপিটির করি কাজ করলি তো চলবে নি! পচন্দ না হলি নোক দেকে নেবেন!”- মালা ঝমঝমিয়ে উঠল। 
    না, হরিবাবু তেমন ভারি কথা কিছুই বলেন নি মালাকে। শুধু বলেছিলেন, “কলটা কয়েক প্যাঁচ কম খুললেও তো জল পাওয়া যায়, তাহলে জল এত নষ্ট হয় না, বা একটা গামলায় মগ দিয়ে জল নিয়েও তো ধুতে পারো”। 

    আসলে মালা রান্নাঘরের বেসিনের খোলা কলের নিচে একটা করে মাছের পিস নিয়ে নিয়ে ধুচ্ছিল। বাড়ির কর্তা হরিবাবু রান্নাঘরের সামনে অস্থির পায়ে পায়চারি করছিলেন আর নিজের মনেই বিড়বিড় করছিলেন। কিন্তু সশব্দে কিছু বলতে পারছিলেন না গৃহশান্তি ভঙ্গ হবার ভয়ে। অবশেষে আর থাকতে না পেরে মালাকে বলেই ফেলেন কথাগুলো। আর তখনই মালা মুখের ওপর অমন একটা জবাব দেয়।  

    ব্যস, গোমড়া মুখে মালা সেদিনের মতো চলে যাওয়ার পর গিন্নি হরিবাবুর ওপর প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। -“একে তো এ তল্লাটে কাজের মেয়ে পাওয়া যায় না। কত কষ্ট করে এ মেয়েটাকে পেয়েছি। কাজও ভালো করে শুধু একটু জল খরচ বেশি করে- এই আর কি! তা এমন তো ঘরে ঘরে জল অপচয় হচ্ছে- তাদের গিয়ে তো কিছু বলতে পারো না? সেদিন যে রূপম দাড়ি কাটার সময় কলটা খুলেই রেখে দিয়েছিল, কই ওকে তো কিছু বললে না! মালা যদি কাজ ছেড়ে দেয় তুমি করবে ওর কাজগুলো? একটা জানলা বন্ধ করতেও তো আমাকে সহযোগিতা করো না”!!

     কথাটা সত্যি। এইদিকের আবাসনগুলোতে কাজের লোক পাওয়া বড্ড দুষ্কর। অনেক কষ্টে এই মেয়েটিকে জোগাড় করেছেন গিন্নি। কিন্তু ফ্ল্যাট বাড়ির সুদৃশ্য কল ঘোরাতেই কেমন ঝরঝর করে জল পড়ে। তা দেখে মালা খুব খুশি হয়। সে কল পুরোটা খুলে রেখেই একটা করে বাসন তার তলে নিয়ে মেজে মেজে ধোয়। হরিবাবুর এসব দেখে গা-মাথা ঝিমঝিম করে। শরীর অস্থির লাগে! 
      
    এই গা-মাথা ঝিমঝিমের সমস্যাটা কিছুদিন হল শুরু হয়েছে ওনার। কোথায় কোন এক পত্রিকায় ‘জলশূন্য পৃথিবী’ নামে একখানি আর্টিকল পড়েছেন। বিষয়বস্তু ছিল, “খুব দ্রুত পৃথিবীর ভান্ডার জলশূন্য হতে চলেছে, এর ফলস্বরূপ মানুষে মানুষে খুনোখুনি হতে চলেছে”। ব্যস তারপর থেকেই ওনার এই সমস্যার শুরু। কোথাও জল অপচয় দেখলেই রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন আর আতঙ্কিত হয়ে  গিন্নীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন! 

    এই তো সেদিন যেমন দেখেছিলেন, ‘পানীয় জলের চরম হাহাকার চলছে! আবাসনের পাম্প চালিয়ে মাটির তল থেকে এক ফোঁটা জলও ট্যাংকিতে ওঠেনি। রাস্তাঘাটের টাইমকলের মুখ সব শুকনো! মানুষ নিত্যকর্মাদি, বাসি কাপড় কাচা, ঘরমোছা, রান্নাবান্না -কিছুই করতে পারছে না! সবার শরীরে ময়লার পুরু স্তর জমে গেছে! মাথার চুল নোংরা! বাথরুমের দুর্গন্ধ সারা ঘরময় ছড়িয়েছে। পুরসভা থেকে পরিবার পিছু মাত্র পাঁচ লিটার করে জল দিয়ে গেছে পাড়ার মোড়ে মোড়ে। ওপর থেকে আদেশ এসেছে, সেই জলেই সব সারতে হবে! হরিবাবু দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সেই জল নিয়ে বাড়ি ফিরছেন, এমন সময় চারটে ছেলে দিনের আলোয় প্রকাশ্যেই হাতে চাকু নিয়ে পথ আটকে দাঁড়িয়েছে! হরিবাবু খুব কাঁদছেন কাকুতি মিনতি করছেন, কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসছে না। যে যার জল বাঁচিয়ে পালাচ্ছে! আর ছেলেগুলো চাকু উঁচিয়ে তার সামনে এগোচ্ছে তো এগোচ্ছেই’! ভয়ে চিৎকার করে ঘেমেনেয়ে উঠলেন হরিবাবু। অগত্যা গিন্নীর ঘুম ভেঙে গেল! মধ্য রাতে শুরু হল এক প্রস্থ অশান্তি! 
    –“সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু শান্তিতে ঘুমবো তার উপায় নেই! সারাক্ষণ যত আলতুফালতু চিন্তা আর রাতে স্বপ্ন দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করে আমার ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়া! কোথায় এই বয়সে একটু ঠাকুর-দেবতার নাম করবে, তা নয়! আর যদি খবরের কাগজ পড়তে দেখেছি, তবে তোমার একদিন কি আমার একদিন এই বলে রাখলাম”!  

     সেদিন অবিনাশও বলেছিল হরিবাবুকে। অবিনাশ হরিবাবুর মাসতুতো দাদার ছেলে। দাদা বেঁচে নেই। হরিবাবু মাঝেমধ্যেই ওবাড়ি যান বৌদির সঙ্গে গল্পগুজব করে একটু সময় কাটাতে। বৌদি আর হরিবাবু প্রায় সমবয়সী। বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই এই বৌদির সঙ্গে যে বন্ধুত্ব, আজও তা অটুট। তা অবিনাশদের বাড়ি যে পাড়ায়, সে পাড়ায় বেশিরভাগই ঝুপড়ি বাড়ি। সে পাড়ার কাউন্সিলার জনগনের সুবিধার্থে দুহাত পর পরই পুরসভার কল বসিয়ে দিয়েছেন। পাড়ায় পা দিয়েই হরিবাবু প্রায় প্রতিদিনই দেখেন কল থেকে জল ঝরঝর করে পড়ে যাচ্ছে, আর তার সামনে বসে দুচারজন সাবান মাখতে মাখতে গল্প করছে। কিন্তু কল বন্ধ করছে না। অথবা, কেউ বালতি বসিয়ে দিয়ে রাস্তার পাশে ঝুপড়ি রান্নাঘরে বসে কুটনো কুটছে, এদিকে বালতি উপচে জল পড়ে যাচ্ছে। এসব দেখে হরিবাবুর গা-মাথা ঝিমঝিম করতে শুরু করে। শরীর অস্থির লাগে! একদিন তিনি সাহস করে এমনি একটি খোলা কল বন্ধ করেছিলেন, তা রান্নাঘর থেকে এক মহিলা তীর বেগে ছুটে বেরিয়ে এসে চিৎকার করে লোক জড়ো করে হরিবাবুকে খুব হেনস্থা করেছিল। তারপর থেকে হরিবাবু আর কিছু বলেন না। দাদার বাড়ি পৌঁছে অবিনাশকে এই কথা জানালে সে বলে,  
    -“আর কি বলছো কাকা। এর ফলে আমাদের পাড়ায় যাদের দোতলা বাড়ি তাদের ট্যাংকিতে জল ওঠে না। কিভাবে উঠবে? প্রেশার পায় না যে। সবাই তো আর নীচে রিজার্ভার তৈরী করেনি! আমরা কয়েকজন এই সমস্যা নিয়ে একবার বলতে গিয়েছিলাম কাউন্সিলারকে। তা তিনি দেখাই করেন নি। তার বর হাতে গলায় সোনার গয়না পরে কিছু ছেলেপেলেকে নিয়ে অফিস ঘরে বসেছিল। অগত্যা তাকেই বললাম সমস্যার কথা। আমাদের কথা ভালো করে শুনলোই না। আংটি পরা হাত নেড়ে ‘আচ্ছা দেখচি, এখন আসেন’ বলল। আজও গেল, কালও গেল! কই দেখলো? তুমি আর একা এসব ভেবে কি করবে কাকা? ভবিষ্যতে যখন যা হবে তখন দেখা যাবে। এখন থেকেই এসব নিয়ে ভেবে ভেবে আর মাথা খারাপ কোরো না তুমি”।
      
      কিন্তু বললেই কি আর হয়! ভাবনা যে এসেই যায়! ফেরার পথে মনে মনে বিড়বিড় করে ঝুপড়িবাসীদের বেশ করে অভিশাপ দেন হরিবাবু, “বিনা পয়সায় পাচ্ছিস তো, তাই নষ্ট করছিস! খুব শিগগির মা ধরিত্রী এই অপচয়ের প্রতিশোধ নেবে। একদিন ওই সাবান শ্যাম্পু মেখেই বসে থাকবি তোরা, পরিস্কার করার আর জল পাবি না। তরকারি ধোয়া, রান্না করার জল পাবি না, সেদিন বুঝবি আজকের জল নষ্ট করার ফল”।

    এদিকে বাড়িতে গিন্নীর মেজাজ গরম! ছাদে টবে শখ করে কিছু গাছ লাগিয়েছিলেন। ফল-ফুলে নুয়ে পড়া সেই গাছগুলোতে সকালে জল দেওয়ার দায়িত্বটা হরিবাবুর ওপরই ছিল। দিন কয়েক হল হরিবাবু আর ছাদে উঠছেন না। কারণটা অতি সামান্যই। সকালে গাছে জল দিতে উঠে দেখেন, আশেপাশের বহু আবাসনের ট্যাংকি উপচে জল পড়ে যায়। ব্যস, গা-মাথা ঝিমঝিম শুরু হয়ে যায়। শরীর অস্থির লাগে। ছাদ থেকে নেমে যান। গিন্নী ধমকে ওঠেন, “অন্যের ছাদে অত তাকাবার কি আছে তোমার? গাছে জল দেবে আর নেমে আসবে। হয়ত সুইচ অফ করতে ভুলে গেছে তারা! মনে পড়লে নিশ্চয়ই অফ করবে! পাম্পের সুইচ অফ করা ছাড়া মানুষের কি আর কোন কাজ নেই? সবাই তোমার মতো আর কি- হুঃ”! 

    মনেমনে প্রতিজ্ঞা করেন হরিবাবু, “দূর আর ভাববো না, যা সবার হবে, তা আমাদেরও হবে! কারো যখন কোন হেলদোল নেই, আমারই বা কি! তাছাড়া আরও কুড়ি বছর পড়ে আমি আর গিন্নি বেঁচে নাও থাকতে পারি! কিছুতেই আর ভাবব না!”- কিন্তু ভাবনা এসেই যায়। কিছুতেই রোধ করতে পারেন না।                     

    আর প্রায় রাতেই দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে ওঠেন। যেমন এর মধ্যেই একদিন দুঃস্বপ্ন দেখলেন, “তিনি গিন্নিকে নিয়ে কোথায় যেন চলেছেন প্রাতঃকৃত্য সারতে। হাতে এক গোছা টিসুপেপার। বাড়িতে জল নেই। যেটুকু আছে তা তেষ্টা নিবারণের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে হয়েছে। পুকুর খালবিল সব শুকনো। প্রাতঃকৃত্য সারতে মাঠঘাটও পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বত্র ইমারত আর ইমারত। একটু খোলা মাঠের অন্বেষণে মানুষ ছুটে বেড়াচ্ছে। কারণ, জলের অভাবে বাড়ির টয়লেট পূতিগন্ধময়। ভোর থাকতে থাকতে হরিবাবুও ফাঁকা জায়গার খোঁজে ছুটে চলেছেন তাঁর গিন্নিকে নিয়ে। ছুটতে গিয়ে খুব জোড় হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতেই ঘুম ভেঙে যায়”। গলগল করে ঘামতে থাকেন হরিবাবু। গিন্নি বিরক্ত হয়ে বলেন, “আর কোন স্বপ্ন পেলে না? শেষমেশ প্রাতঃকৃত্য সারতে মাঠে ছোটাছুটির স্বপ্ন! সারাদিন কি এসবই ভাবো? যত বয়স বাড়ছে তত মাথা খারাপ হচ্ছে! বলি অত ভবিষ্যৎ নিয়ে মাথাব্যথার কি আছে তোমার? যখন পৃথিবী জলশূন্য হবে, তখন কি আমরা বেঁচে থাকবো? তবে? এখন তো শান্তিতে থাকতে দাও”! হরিবাবু লজ্জিত হন। মনে মনে বিড়বিড় করেন। শুধু দুটো শব্দ শোনা যায় ‘পরবর্তী প্রজন্মের---’ 

    এ ব্যাপারে কারো সাথে কিছু আলোচনা করতে পারেন না, কেবলই হাতড়ে বেড়ান এমন একজনকে যিনি একটা কাজের মতো কাজ করতে পারেন। তা একদিন সেই সুযোগ পেয়েও গেলেন। সেদিন ওপাড়ায় ‘গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান’ নামক এক সভায় স্বয়ং পৌরপিতা এসে খুবই মনোগ্রাহী বক্তৃতা দিলেন। শুনে হরিবাবুর মন ভরে গেল! বক্তৃতা শেষ হতেই সাহস করে পৌরপিতার একদম কাছে এগিয়ে গিয়ে হাত কচলে বলেই ফেললেন মনের কথাটা, “আপনার বক্তৃতা আমার খুব ভালো লেগেছে স্যার! শুধু একটা বিষয় আপনি মিস করে গেছেন, সেটা হল জল অপচয় প্রসঙ্গ। আপনার কাছে আমার একান্ত আর্জি স্যার, ‘বাড়ি, অফিস আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, দোকান, শপিং মল- সর্বত্র জলের মিটার বসিয়ে দিন স্যার। যখন জল কিনে নিতে হবে, তখন এমনিতেই মানুষ জল অপচয় বন্ধ করবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাকে দুহাত তুলে আশির্বাদ করবে স্যার। আমার কথাটা একটু ভাববেন স্যার!”

     পৌরপ্রধান প্রথমে একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলেন, তারপর হাসিমুখে বললেন, “সে ভাবনা আমাদের আছে কাকু। ভবিষ্যতে সেভাবেই আমরা এগোবো ইত্যাদি ইত্যাদি”। পৌরপিতার সঙ্গে যে সব সাঙ্গপাঙ্গ ছিল, তারা এসে হরিবাবুকে দূরে ঠেলে সরিয়ে ওনার বেরোনোর পথ করে দিল।

    কমিশনারের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে কথা বলা- এই ব্যাপারটা ঝড়ের গতিতে পরিচিত মহলে ছড়িয়ে পড়লো। পাড়া পড়শি, বন্ধুবান্ধব সবাই হরিবাবুকে দেখলেই মুখ টিপে হাসাহাসি করে। গিন্নীকেও নানা কথা শুনতে হয় বান্ধবী মহলে। লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার যোগাড়। মনের দুঃখে হরিবাবু আজকাল পরিচিত রাস্তায় খুব একটা যান না। একটু দূরে মহানন্দা নদী, আজকাল সেখানে গিয়েই মনমরা হয়ে বসে থাকেন চুপচাপ। তবুও কি শান্তি পান? রাজ্যের নোংরা আবর্জনায় নদী বুজে এসেছে। নদী না নালা- বোঝার উপায় নেই। ব্যস, আবার শরীর অস্থির লাগতে শুরু করে। দ্রুত বাড়ির পথ ধরেন হরিবাবু। 

    রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন, ‘শহরে আর নদী নেই, সব বুজে গেছে! সামান্য বৃষ্টিতেই পথঘাট, বাড়িঘর সব ডুবে যাচ্ছে। মাসের পর মাস শহর জলের তলায়। জল কিছুতেই নামে না। যত্রতত্র সাপ ব্যাঙ পোকামাকড় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রায়ই একটা বিরাট সাপ হরিবাবুর পা জড়িয়ে ক্রমশ ওপর দিকে উঠতে থাকে আর হরিবাবু ভয়ঙ্কর চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠে পড়েন’। 

    আজকাল গিন্নী হরিবাবুর সঙ্গে এক শয্যায় থাকেন না। তিতিবিরক্ত গিন্নী আজকাল বিশেষ কথাও বলেন না স্বামীর সঙ্গে। বেশ কড়া একখানা হুমকি দিয়ে রেখেছেন, “জল-অপচয় বিষয়ে আর কোনরকম বাড়াবাড়ি তিনি বরদাস্ত করবেন না, ধরে বেঁধে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাবেন আর নইলে পাগলাগারদে দিয়ে আসবেন”। 

    আজকাল আর হরিবাবুকে পথেঘাটে খুব একটা  দেখাও যায় না। গিন্নী সত্যিই তাঁকে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন নাকি পাগলাগারদে দিয়ে এসেছেন- তা অবশ্য জানা যায়নি।

    #মৌসুমী_ঘোষ_দাস
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4d88:1833:ba67:2c2a | ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৪:১৯514942
  • ভাল লাগল 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন