এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফিল্ডার - ২ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ জুলাই ২০২২ | ৪৮৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  •  শশী ঠাকুরমার পুরো নাম শশীবালা ভট্টাচার্য্য। বয়স পঁচাশি পেরিয়ে গেছে ।  শরীর ঝুঁকে গেছে। একটা লাঠি নিয়ে ঠুক ঠুক করে চলেন । চোখে মোটা ঘোলাটে কাঁচের মান্ধাতার  আমলের চশমা । তিনকূলে তেমন কেউ নেই । দূর সম্পর্কের এক ভাগ্নে আছে , শিবশঙ্কর । বড় ভাল লোক । তারও বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে । সে আহিড়িটোলা থেকে প্রায় প্রতিদিন এসে মামীর দেখাশোনা করে ।
     যতদিন মামী বাঁচবে শিবশঙ্করকে বিবেকের তাগিদে এ কর্ত্তব্য পালন করে যেতেই হবে ।  
           আজও লাঠিটায় ভর দিয়ে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শশীবালা । বোধহয় শিবশঙ্করের আগমনের অপেক্ষা করছিলেন । শিবশঙ্কর সাধারণত সন্ধে সাতটার আগে আসে না । কিন্তু শশীবালা তার জন্য বিকেল পাঁচটা থেকে হা পিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকেন । লোকজন কেউ ওখান দিয়ে যাতায়াত করলে তাকে বলেন, ' ও বাবা .... রাস্তায় শিবুকে দেখলে নাকি .... এখনও তো এল না .... আহিড়িটোলা আর কতখানি রাস্তা .... '
    যারা তার এই ভাগ্নের জন্য অপেক্ষা করার ব্যাপারের সঙ্গে পরিচিত তারা বলে , ' আপনার শিবুর তো এখনও আসার সময় হয়নি ঠাকুমা ... আপনি ঘরে গিয়ে বসুন না ... শিবু ঠিক সময়ে এসে যাবে ... '
    ---- ' ঘরে বসব বাবা ? কিন্তু শিবু যদি না আসে আমার ওষুধ কিনে দেবে কে ? '
    ---- ' না না ... কোন চিন্তা করবেন না ঠাকমা ... শিবু ঠিক আসবে ... আপনার ওষুধও এনে দেবে .... '
    ---- ' তাই তো ... ভাগ্যিস শিবু ছিল ... ' বলে তার শতাধিক বার বলা কথার পুনরাবৃত্তি করেন , ' আর আমার পোড়া কপালের কথা কি বলব বাবা ... সেই কবে বিধবা হয়েছিলাম ... তারপর থেকে সারাজীবন একইভাবে কেটে গেল বাবা । ছেলে দুটোও আমাকে ফেলে ওপরে চলে  গেল ... কি কপাল নিয়ে জন্মেছিলাম .... ভগবান  যে কবে নেবে আমাকে  ... ' শশী  ঠাকুরমা আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে থাকেন ।
         টোপাই প্রায় ছুটতে ছুটতে বাড়ি ফিরছিল । মায়ের শরীরটা ভাল নেই । গলির মাঝামাঝি আসতে শশীবালার  মুখোমুখি পড়ে গেল । শশী ঠাকুরমা হাঁ করে চোখ কুঁচকে টোপাইয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে তাকে ঠাওর করার চেষ্টা করতে লাগলেন । টোপাই বেরিয়ে যেতে পারল না । দাঁড়িয়ে গেল । 
     ---- ' ভাল আছেন ঠাকুমা ... '
     ----- ' এই আছি বাবা ... আমার আর থাকা আর না থাকা ... এখন গেলেই হয় ... তুমি লোকনাথের ছেলে না ? '
    ---- ' হ্যা  ঠাকমা ... '
     ---- ' শিবুকে দেখলে বাবা.... এখনও তো এল না .... ঘরে একটু কেরোসিন নেই , কি করে রান্না করি .... '
     ----- ' ওনার তো এখনও আসার সময় হয়নি ... '
    ------ ' হ্যা ... তা  ঠিক । আমি শুধু শুধু ভেবে মরছি ... সময় পেলে বুড়ি ঠাকমার একটু খোঁজ নিস বাপধন ... '
     ----- ' হ্যা ... নিশ্চয়ই ঠাকমা ...  আসব আবার ... ' 
    ----- ' কি আর বলব ... সেই কোনকালে উনি চলে গেলেন ....তারপর সারাজীবন একইভাবে কেটে গেল .... ' ইত্যাদি ।
    শশীবালা দেবী সেই একই বেদনার উৎসরন করতে লাগলেন টোপাইয়ের কাছে ।
    টোপাই আর কি বলবে । এ সব ব্যথাতুর আক্ষেপে  প্রলেপ দেওয়ার মতো বিচক্ষণতা সে অর্জন করেনি এখনও । সে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ । তার দেরি হয়ে যাচ্ছে । মা দুপুরে খেয়েছে কিনা কে জানে ।  
    সে বলল, ' তুমি কোন চিন্তা কোর না ঠাকমা... ঘরে গিয়ে বস । শিবু মামা ঠিক সময়ে আসবে ... আমি যাচ্ছি এখন ... আবার আসব'খন ... '
    ---- ' যাচ্ছি বলতে নেই বাবা ... বল , আসছি ... '
    ----- ' হ্যা ... আসছি ... '
    শশীবালা শিবশঙ্করের আগমনের প্রতীক্ষায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন ।  

         বাড়ি ফিরে দেখল, মা শুয়ে আছে । বাবা এখনও বাড়ি ফেরেনি । আর তো ক'দিনের ব্যাপার । ভাই বসে বসে মোবাইল ঘাঁটছে । বারো বছরের বোনটা রান্নাঘরে কি করছে ।  বোধহয় চায়ের জল চড়িয়েছে । মাকে শুয়ে থাকতে দেখে টোপাই জিজ্ঞাসা করল , ' শুয়ে আছ এখনও ... শরীর খারাপ ? ' 
    ---- ' না ... এই একটু গা ম্যাজম্যাজ করছে ... রুকুকে চা করতে বলেছি .... খেলে যদি একটু মাথাটা ছাড়ে ... '
    ----- ' কই দেখি .... ' রুকু মিনতির কপালে, গলায় হাত দিয়ে দেখে ... ' হাল্কা জ্বর আছে মনে হচ্ছে ... দাঁড়াও ঘরে প্যারাসিটামল আছে কিনা দেখছি ... ছিল তো দুটো ... '
    টোপাই খুঁজে পেতে একটা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বার করল ওষুধ রাখার কৌটো থেকে।
    ----- ' এই নাও ... চা খেয়ে এটা খেয়ে নাও ... '
    ---- ' হ্যা  খাব ... তুই ব্যস্ত হসনি ... তুই কোথায় গিয়েছিলি ? প্র্যাকটিস না কি বললি তখন ... '
    ---- ' হ্যা ... প্র্যাকটিস ছিল দীপেন স্যারের ক্লাবে। ওরা খেলতে বলছে ... '
    ----- ' দেখিস ... সাবধানে ... ব্যথা ট্যাথা না লাগে ... তুইই তো আমাদের একমাত্র ভরসা এখন ...কিছু হয়ে গেলে অন্ধকার একেবারে ... '
    ---- ' না মা ... ওসব কিছু হবে না ... অনেকরকম ব্যবস্থা থাকে ... '
    রুকু চা নিয়ে ঘরে ঢুকল । মিনতি উঠে বসে চায়ের কাপ হাতে নিল । 
    রাত বারোটা নাগাদ মিনতির জ্বর বাড়ল । ঘরের সবাই ঘুমিয়ে কাদা । মিনতি জড়ানো স্বরে কাতরাতে লাগল --- ' টোপাই ... টো .. পাই ... ' । সামান্য আওয়াজেই টোপাইয়ের ঘুম ছুটে যায় এবং চট করে পরিস্থিতিও আন্দাজ করে নেয় , ঠিক তৎপর স্লিপ ফিল্ডারের মতো । থার্মোমিটারটা ভেঙে গেছে অনেকদিন হল । নতুন আর কেনা হয়ে ওঠেনি । টোপাই তাড়াতাড়ি উঠে মিনতির কপালে গলায় হাত দিল । জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে । ঘরে আর একটা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট পড়ে আছে । আলো না জ্বেলে মোবাইলের টর্চ জ্বেলে সেটা বার করে মিনতিকে কোনরকমে ধরে বসিয়ে ট্যাবলেটটা খাইয়ে দিল । কাল সকালেও জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখাবার ব্যবস্থা করতে হবে । একগাদা টেস্ট করতে দেবে । সে যাই হোক, যা দরকার করতে হবে । দীপেনবাবুকে বলতে হবে টাকার দরকার হলে । তার টিমকে কিছু দিতে হবে অবশ্যই । সন্ময়দা বলছিল , এটাই তোর অস্ত্র .... । এইসব নানা কথা ঘুরপাক খেতে লাগল মাথায় ।  তারপর ভাবে, কিন্তু তার ক্ষমতা কতটুকু । তার অস্ত্রের ধার কতখানি সে তো নিজেই জানে না । 
    মিনতি বলল মৃদু স্বরে বলল, ' তুই শুয়ে পড় ... জ্বর নেমে যাবে একটু পরে .... শুয়ে পড় ... '
    টোপাই মোবাইলের টর্চ নিবিয়ে দেয় । বাবার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ল । নানা চিন্তায় জর্জরিত লোকনাথ অকাতরে ঘুমিয়ে যাচ্ছে । টোপাইয়ের চোখের পাতা আবার জড়িয়ে আসে । সে দেখতে পায় শশী ঠাকুমা তার ঘরের সামনে একটা বাঁকা লাঠিতে ভর করে তীর্থের কাকের মতো দাঁড়িয়ে আছে শিবুমামার জন্য । শিবু মামা যদি না আসে কে তাকে কেরোসিন তেল এনে দেবে, ওষুধই বা কে এনে দেবে  ।  কেরোসিন ছাড়া শশী ঠাকুমা কি করে রান্না করবে .... 
    ঘুম নেমে আসছে টোপাইয়ের দুচোখে ....
    মাঠে কভার পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছে জন্টি রোডস । উইকেটে শেষ জুটি ব্যাট করছে । জিততে আর দুরান বাকি । শুধু একটা স্ট্রোকেই
    গেম ওভার .... 
    অফ স্টাম্পের একটু বাইরে থ্রি কোয়ার্টার লেংথের স্ট্রেটার । সেট ব্যাটসম্যান । চালালো .... রকেট গতির স্কোয়্যার কাট । গেম ওভার .... সবার চোখ কভার পয়েন্ট বাউন্ডারির দিকে । মিড অফে দাঁড়ানো ক্যাপ্টেন টুপি খুলে হাতে নিয়েছে । পয়েন্টের একটু বাঁ পাশ ঘেঁসে দাঁড়ানো একটা ছোটখাটো শরীর বুলেটের মতো ছিটকে গেল ডানদিকে । সাতফুট দূর দিয়ে যাওয়া লাল গোলাটা মাটির ঠিক এক ইঞ্চি ওপর থেকে তুলল ডান হাতের মুঠোয় । ব্যাটসম্যান অবিশ্বাসের ধাক্কায় স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইল ও দিকে তাকিয়ে .....
    গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে টোপাইয়ের মনে হল ক্যাপ্টেন সন্ময় রক্ষিত তার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলছে ,  'দেখে রাখ..... এভাবেও ম্যাচ বের করা যায় ... এমনকি জীবনের ম্যাচও ... '
        ( ক্রমশঃ )
    ************************************************************************************

       
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aranya | 2600:1001:b00c:563a:d944:9a31:738d:14a0 | ১৭ জুলাই ২০২২ ০৮:২৫509962
  • দারুণ 
  • Anjan Banerjee | ১৭ জুলাই ২০২২ ১২:৫৭509974
  • ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন