এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হ্যালো ল্যান্ডলাইন টেলিফোন থেকে বলছি।

    Bhudeb Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ জুন ২০২২ | ৭৮৩ বার পঠিত
  • পুরানো দিনের ল‍্যান্ড লাইন টেলিফোনের ও তারপরের যুগের গল্প! 
    হ‍্যালো বন্ধুরা। টেলিফোন বা দূরভাষ যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন গ্রাহাম বেল সাহেব। সম্ভবত ১৮৭৬ সাল নাগাদ।
    ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে এই সঙ্গে দেওয়া  ছবির মতো একটি ল‍্যান্ড লাইন টেলিফোন সংযোগ  ছিল। কি বলব সারা পাড়াতে তখন ঐ একটিই। আমাদের কোলাহল মুখর  বিশাল বাড়িতে ঐ ফোন ছিল আর এক কোলাহলের বস্তু। অনেকেই খুব জোরে জোরে ঐ ফোনে কথা বলতেন। ফোন ধরে এত জোরে হ‍্যালো বলতেন যে অপর  দিকের লোকও বোধহয়  একটু হেলে যেতেন! তারপর কারোর ফোন এলে তিনি ধারেকাছে না থাকলে তার নাম ধরে ডাকতে হতো। সেই ডাক প্রায় রাস্তা দিয়ে শোনা যেত। রাস্তার লোকও জানত একতলার দাদামণির  একটা ফোন এসেছে।
     এমনও হতো কেউ ফোন করে বলত আমি দিল্লি থেকে বলছি। আমি একটু পরে আবার ফোন করছি। আপনাদের পাড়ার ভাস্করদাকে  একটু ডেকে দেবেন? হ‍্যা এই ডেকে দেবার সারভিস ও ছেলেবেলায় দিয়েছি বৈকি। পাড়ার একমাত্র ল‍্যান্ড ফোনের বাড়ির ছেলে বলে কথা ? একটা সামাজিক দায়িত্ব আছে না! না ডাকলে পরে বলবে না তোমাদের পায়া ভারি হয়েছে বাপু। একটু ডেকে দিলে কি এমন ক্ষতি হয়  ? 
        এ  জাতীয় ল‍্যান্ড ফোনের অনেক গল্প না বললে এখন ঠিক বিশ্বাস হবেনা। প্রথমে ছিল এইরকম কালোরঙের ফোন। ১ থেকে ০ এই সংখ্যা গুলি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডায়াল করতে হতো। অনেক পরে অন‍্য রঙের ফোন বাজারে আসতে  শুরু করে। ল‍্যান্ড লাইন নম্বর কেমন ছিল ? যতদূর মনে আছে আমাদের প্রথম ফোন নম্বর ছিল ৫৭-৩২২২।এখানে ৫৭ টা এক্সচেঞ্জ বোঝাত।বাকি নাম্বার গ্রাহকের।এরপর এক্সচেঞ্জের নাম্বার ফোনের গ্রাহক বাড়ার সাথে সাথে তিন ও চার সংখ‍্যার হয়ে যায়,ধীরে ধীরে। 
    একছত্র কারবার ছিল কলকাতা টেলিফোন কতৃপক্ষের। সে আমলের কলকাতার ফোন ডাইরেক্টরি ছিল এক বিস্ময়।মোটা হতে হতে একসময় ঐ ডাইরেক্টরি আর ছোটরা হাতে তুলতে পারতনা। ওখানে পরিচিত লোকের নাম্বার খুঁজতে গেলে মনে হতো পথিক তুমি কি পথ হারায়েছো ? 
     বিজয়া দশমির পরে প্রায় দিন দশ পনের ফোনে মহিলা কন্ঠে সমধুর স্বরে  ডায়াল টোন শোনা যেত : নমস্কার! বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন! 
    মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কারনে যেমন বৃষ্টির জল জমা,রাস্তা সারাই এইসব দূর্ভোগের জন‍্য কড়কড় করে আস্তে আস্তে ল‍্যান্ড ফোন নীরব হয়ে যেত। তাকে সরব করার জন‍্য আবার এক্সচেঞ্জে খবর দিতে হতো।  ফোন ঠিক হয়ে গেলে এক্সচেঞ্জ থেকে ফোন করে জানাত আপনাদের ফোন ঠিক হয়ে গেছে। এরকম বহুবার হয়েছে যে ঐরকম ঠিক হয়ে গেছে জানানর পরেই ফোন আবার জবাব দিয়ে দিত। 
         কিছু লোক ছিলেন যাদের পেশা ছিল মাঝেমধ্যে ফোন মুছেটুছে পরিস্কার করে দিয়ে যাওয়া। আবার একটি আতর দেওয়া তুলোও গুজে দিয়ে যেত। ফোন ধরলে বেশ দু একদিন সুগন্ধ  টের পাওয়া যেত !  
     তখন এস টি ডি ছিলনা। দুরের কারোর সাথে কথা বলতে গেলে ট্র‍্যাঙ্ককল বুক করতে হতো নাম্বার জানিয়ে। একবার বুক হয়ে গেলে প্রতীক্ষায় থাকতে হতো কখন দুরের বন্ধুকে বা আত্মীয় কে ধরা যাবে ফোনে। কানেকশন পেয়ে গেলে লটারি লেগে গেল আরকি! তবে অনেক সময়েই ঠিক মতো কথা শোনা যেতে না। থেমে থেমে আসত। সে এক ছিল এক যন্ত্রণা।
      ছিল ক্রস কানেকশন ও রঙ নাম্বারের উদ্ভট গোলযোগ। কত রকমের রঙ নাম্বার যে আসত তা আর বলে শেষ করা যাবেনা !  আমি অমুক বলছি,একটু তমুক কে ডেকে দেবেন? ভাগ‍্য ভালো থাকলে এমনকি পরিচিত বিখ‍্যাত ব‍্যক্তিদের  থেকেও রঙ নাম্বার কল পাওয়া যেত।  আমার এক কলেজের অন্তরঙ্গ বন্ধু এমন কোন রঙ নাম্বার পেলে একদম ছাড়ত না। কেস নিয়ে নিত ও সম্ভব হলে কথা চালিয়ে যেত। ধরুন এটা কি অমুক জিনিসের শোরুম ? হ‍্যা। আপনাদের স্টকে ঐ জিনিসটা এখন হবে? পাকা খেলোয়াড় বন্ধু :  স্টক খাতাটি দেখে বলছি! বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, তার খাতা উল্টানোর আওয়াজ ও পাওয়া যেত অপর প্রান্ত থেকে। তারপর তার চোস্ত কেতাদুরস্ত জবাব:  না সরি ওটা এখন স্টকে নেই। এলে আবার ফোন করবেন। এইভাবে কে জানে আমার ঐ বন্ধু(বহাল তবিয়তেই আছেন এখনো,এই লেখাও পড়বেন বেশ জানি) বেশ কয়েকটি ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান কে হয়তো  চিরতরে লাটে পাঠিয়ে দিয়েছেন কিনা কে জানে? 
             আর আরো মজার ব‍্যাপার ছিল ক্রস কানেকশন। দিব‍্যি কথা বলছিলেন।মাঝে কোথা থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ পক্ষের উদয়। তারপর একেবারে কেলোর কীর্তি। কথা হচ্ছিল প্রেমিক শ্রীকান্ত দা আর তার কাবেরীর মধ্যে। এরমধ্যে ঢুকে গেলেন খাটি ব‍্যবসায়ী ঘনশ‍্যাম বাবু আর কিশোরিমল বাবু।  নিরীহ নিপাট ভদ্রলোক হলে ফোন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকত না। কিন্তু আমার সেই ওস্তাদ বন্ধু এরমধ্যেই অবলীলায় চালিয়ে যেত!  বিশ্বাস না হয় এই ব‍্যাপারে ভানুবাবুর কমিক আছে। ইউ টিউবে শুনে নিতে পারেন। একদম সত্যি ঘটনার প্রতিচ্ছবি। ঐ রঙ নাম্বার থেকে আলাপ হয়ে কেস প্রেম পরিনয় অব্দি পৌঁছেছে এরকম ঘটনাও শুনছি। আশ্চর্যের কি আছে। কথায় আছে প্রেমের ফাঁদ পাতা আছে এ ভুবনে।
       আস্তে আস্তে প্রযুক্তির অভাবনীয় বিবর্তন হলো। ল‍্যান্ড ফোন থেকে,এস টিডি সুবিধা যুক্ত ফোনলাইন, তাতে ন‍্যাশনাল ইন্টার ন‍্যাশনাল কল করা যেত। অনেকে তখন এস টি ডি বুথ চালিয়ে অথবা সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। তারপর এলো ভারতে শ‍্যাম পিত্রোদার যোগাযোগ বিপ্লব । প্রথমে পেজার পরে বেসিক মোবাইল আর এখন পকেটে পকেটে স্মার্ট ফোনের যুগ। ল‍্যান্ডফোন এখন লুপ্তপ্রায়। আর কলকাতা টেলিফোন পরে বিএস এন এল ? সেই একছত্র সম্রাট  রাজ‍্যপাট হারিয়ে এখন গ্রাহকের দয়ার উপর নির্ভর শীল। একটি বিএসএন এল সীম নেবেন প্লিজ,প্রায় এই দশা। আমার অবশ্য একটি আছে। দেশভক্তির ব‍্যাপার আর কি।
       যখন ল‍্যান্ডফোন বা ফিক্সড ফোনলাইন ছিল,আপনি হাটেবাজারে,বেড়াতে বা অফিসে গেলে কেউ বলতো না এখন কোথায় ? আর এই মোবাইলের যুগে? হাসপাতালে ভর্তি হয়েও নিস্তার নেই। তুই কোথায় ? আমি হাসপাতালে রে? কেন তোর আবার কি হলো? ঐ একটু লিভারে ক‍্যানসার হলো আরকি? ও আচ্ছা, ভালো থাকিস আর খবর জানাস আমাদের। আচ্ছা ছাড়ি তাহলে। আর ছাড়ি ! বন্ধুর যে দুনিয়া ছাড়ার সময় উপস্থিত তার খবর  আর কে রাখে ?
    আর  যদি কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি থাকেন,তাহলে অবস্থা গুরুতর না হলে ঐ ফোনই শেষ ভরসা।  হাসপাতালে কেউ এসে সশরীরে দেখে যাবার প্রশ্নই নেই। যাই হোক সেতো অন‍্য গল্প। 
    মাঝে মাঝে ঐ  সে যুগের ঐ কালোমানিক ল‍্যান্ডফোনের কথা ভাবি। কত স্মৃতি যে ভীড় করে আসে । ছায়াছবির সুনীল দত্তের ফোন করে জ্বলতে হ‍্যায় জিসকে লিয়ে গান গাওয়া কিন্তু বাস্তবেও হতো। একদম দাড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারের মতো ব‍্যাপার ।এইসব স্মৃতি তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । আজ ছাড়ি তাহলে বন্ধুরা !
    চিত্র: ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় | 223.236.232.223 | ২২ জুন ২০২২ ১০:২৩509252
  • অনবইদ্য লিখা। আমাগো ছাত্র জীবনের রোম্যান্স ছিল ওই কৃষ্ণকলি। 
  • Bhudeb Sengupta | ২২ জুন ২০২২ ১০:২৪509253
  • হ,তুমি সব জান এ ব্যপারে ।
  • Probhat chatterjee | 2401:4900:3ee1:af9d:258c:6f63:3ce0:553f | ২২ জুন ২০২২ ১১:০৮509255
  • পুরানো দিনের ল্যান্ড লাইন টেলিফোন প্র্রসঙ্গে আর এক ধরনের টেলিফোনের কথা মনে হলো হ্যানডেল ওয়ালা।   হ্যানডেল ধরে দম দিতে হতো, ততক্ষণ দম ততক্ষণ কথা তাই আওয়াজ চরিয়ে ও দ্রুততার সঙ্গে কথা বলতে হোত।                                                                              আপনার লেখা মন ছুঁয়ে যায় তাই মা মনে এলো তাই লিখে জানালাম।                                                                                                                                                                                     প্রভাত 
  • Bhudeb Sengupta | ২২ জুন ২০২২ ১১:১৩509256
  • ধন্যবাদ । এখন আমাদের স্মৃতির ঝাপি উপুড় করে দিয়ে যাবারই সময় যে।
  • সমীরা সাহামুস্তাফী | 202.142.114.147 | ২২ জুন ২০২২ ১১:৩৩509257
  • এককালের  দারুণ কায়দার রঙবিরঙ্গী ও ডিজাইনার  টেলিফোঁ ও এখন প্রায় ব্রাত‍্য। হোস্টেলে ফোন থাকত একতলায়। চাবি দেওয়া। করতে হলে পয়সা দিয়ে চাবি খুলে সীমিত  সময়ে_ বোধহয়  তিনমিনিট। কারো ফোন এলে দারোয়ানজি যদুদার.......দি বলে  চিৎকার চারতলা  পেরিয়ে ছাদে।আমার আসত ট্রাঙ্ককল। দীর্ঘ অপেক্ষায় অপারগ  বাবা কর্তব‍্যরত মানুষটিকেই অনেকসময় যোগাযোগের  ভার দিতেন। গভীর রাতে  যদুদার "সমীরাদি...."ডাক আসত। কুশলবিনিময়  হত। বাবা সকালে খবর পেতেন। তাঁকে কখনো দেখিনি। তারপর যখন এস টি ডির সহজ যুগ এলো_ খবর নেবার লোকটি  নিজেই  নেই।
  • Bhudeb Sengupta | ২২ জুন ২০২২ ১১:৩৮509258
  • বড় সুন্দর মায়াময় সেই সব দিনের স্মৃতি। খুব ভালো লাগল এই স্মৃতি চারণ। কত সুখ ও কষ্টের মুহুর্ত যে ফোনে ফোনে তৈরী হয়ে যেত তা আর বলার নয়।
  • শৌভিক সেনগুপ্ত | 2405:201:800b:c18b:a00b:2ef4:76d8:e336 | ২২ জুন ২০২২ ১২:০৬509259
  • খুব ভালো লাগলো পড়ে! কত স্মৃতি!
  • Bhudeb Sengupta | ২২ জুন ২০২২ ১২:১১509260
  • সহৃদয় পাঠক কে ধন্যবাদ।
  • তাপস কুমার দাস | 2405:201:8004:c9eb:f8f4:4bff:f9a0:3ae4 | ২২ জুন ২০২২ ১২:৩০509262
  • আমরা যখন গ্রাম থেকে শহরে এলাম তখন কলকাতায় ৬ সংখ্যার ফোন ছিল। গ্রামের দিকে ৪ আর আধা শহর যেমন দুর্গাপুর বা আসানসোল e বোধ হয় ৫ সংখ্যার। যখন স্যাম পিত্রোদার ফোন পেলাম মালদাতে ১৯৯৬ e তখন ও আমাদের ৫ সংখ্যার নম্বর ছিল। অনেক কিছু কথা ভিড় করে আসছে। Nostalgic। ভাল লাগল। চালিয়ে যাও বন্ধু।
  • Bhudeb Sengupta | ২২ জুন ২০২২ ১২:৩৯509263
  • ধন্যবাদ বন্ধুবর। যা মনে আছে লিখে রাখি এই বেলা। 
  • যোষিতা | ২২ জুন ২০২২ ১৫:৩০509265
  • প্রথম দিকের ফোনে ডায়াল করবার ব্যবস্থা ছিল না তো!
    ফোন তুলে এক্সচেঞ্জকে বলতে হত কত নম্বর চাই। 
    যেমন — হ্যালো এক্সচেঞ্জ, পুট মী অন টু বড়বাজার৪৭।
    এখানে বড়বাজার হচ্ছে এক্সচেঞ্জ এবং নম্বর ৪৭।
    এরকম ফোনের আভাস পাওয়া যায় "সাড়ে চুয়াত্তর" ছবিতে।
  • যোষিতা | ২২ জুন ২০২২ ১৫:৩২509266
  • এটা কোলকাতার ব্যাপার।
    সত্তরের দশকেও বাঁকুড়া বা মফস্বল অঞ্চলে দেখেছি ডায়ালের ব্যবস্থা নেই। ফোন করে বলতে হতো - ডবল ওয়ান ফোর প্লীজ।
  • Tandra Chatterjee | 2402:3a80:1cd0:a057:3043:5645:ff72:1547 | ২২ জুন ২০২২ ২১:৩৩509274
  • বড় ভাল লাগল . কলেজ জীবন  এর  অনেক কথা  মনে   পড়ে  যাচ্ছে 
  • Bhudeb Sengupta | ২২ জুন ২০২২ ২১:৩৭509275
  • ধন্যবাদ বন্ধু। সত্যিই। সে আমলের ল্যান্ড লাইন টেলিফোন একটা পর্ব ছিল বটে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন