এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বুড়ি ছুঁয়ে যাই 

    Samarjit Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ অক্টোবর ২০২১ | ৬৫০ বার পঠিত
  • ।। *বুড়ি ছুঁয়ে যাই*।।
     
     
    ।। *জলছবি*।। (১)
     
    । । প্রথম পর্ব। ।
     
    মাধু, মাধু, এই মাধু।। কোথায়  গেলি,শুনতে পাস না।
    অনেকক্ষণ থেকেই সেতারের তারগুলো অন্যমনস্ক হয়ে নাড়াচাড়া করছে মাধু, যার ইস্কুলের পোষাকী নাম মাধবীলতা। 
    আচারের বোয়েমগুলো নামিয়ে আন তো মা। বেলা যে পড়ে এল।  শীত আসি আসি করছে, পড়ন্ত বিকালের রোদ্দুর এর তেজ কম, মাধবীলতা ওরফে মাধু বসেছিল মাদুর পেতে সেতারটি নিয়ে রেওয়াজ করতে, কার্তিক পূর্ণিমার পরে একটা পাড়ারই অনুষ্ঠানে বাজাতে হবে মালকোষ,  ও বাড়ির রবিদা বলেছে সামনের সপ্তাহে তবলার সাথে একবার ঝালিয়ে নিতে হবে, লোকে বলে মাধুর হাতে সুরের যাদু আছে। গেলবারও বাজিয়েছিল রবীন্দ্র ভবনে বৃন্দাবনী সারং, কাগজেও উঠেছিল মাধুর বাজনার ছবি।   
     
    কিন্তু মনটা আজ বড় উতলা মাধবীলতার, বড়দাদা বলছিল মাকে কাল রাতে চুপিসাড়ে মাধুর তো এবার বিয়ের উদযোগ করতে হয়, সম্বন্ধ এসেছে একটা। ছেলে ডাক্তার, গোল্ড মেভালিস্ট, ঐ বাদাবনের দিকে নদী নালায় ঘেরা কোথায় যেন গাঁ গঞ্জে বাড়ি, কিন্তু এই জুয়েল ডাক্তার ছেলে কি আর ঐ গন্ডগ্রাম এ পড়ে থাকবে ? মাও নিরুত্তর, একবার বিড়বিড় করে বলল যেন আমার মেয়ে টা কি পারবে ঐ গন্ডগ্রামে  মানিয়ে নিতে ? যতই হোক শ্বশুরবাড়ি তো বটে । আমার একটামাত্র মেয়ে, দুই ভাই এর পর বড় আদরের।। 
     
    দশ ক্লাশে পড়া মাধবী  কথাটা হঠাতই শুনে ফেলেছে। সামনের বছর স্কুল ফাইনাল দেবে, সেতারে প্রয়াগ থেকে ডিপ্লোমা, সব চিন্তা গুলো যেন কেমন ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে হঠাত্ আসা ঘূর্ণিঝড় এ আকাশে জমা কালো মেঘের মতো ।
    বাবা মারা গেছেন সেই মাধুর কোন ছোটবয়সে, মার কাছে শুনেছে মাধু মায়ের শ্বশুরবাড়ি ছিল ভেড়ামারা কুষ্টিয়া জেলায় বাংলাদেশে। দেশ যখন ভাগ হোল মা তখন খুব কষ্ট করে তিন ছেলেকে নিয়ে সম্পত্তি বিনিময় করে অধুনা এই কেশনগরের বসতবাড়িটা পায়। কত কষ্ট করে ট্রেনে লুকিয়ে আনা এই এত এত কাঁসা পিতলের বাসন, খাবার নিয়ে আসার অছিলায়, বড়দাদার তখন বছর বারো বয়স, ভাইয়ের বয়স দুই।  মাধুর সেই ভেড়ামারার কথা ভাল করে মনেই পড়ে না। মাত্র দুই তিন মাস সাকুল্যে ছিল মাধু মা বাবার কাছে বাংলাদেশে আধা গ্রাম আধা মফস্বলে।।
     
    মাধুর জন্ম গিরিডিতে, দিদিমার কাছে, দুই ছেলের পর মেয়ে; বড় আদরের। তাই দিদিমাই কাছে রেখেছিলেন মাধুকে বছর এগারো পর্যন্ত গিরিডিতে; দাদামশাই ছিলেন রেলের ওভারসীয়ার বড়বাবু ; সুরতিয়া, যমনা লছমনিয়ার সাথে এক্কা দোক্কা খেলে বড় হয়েছে, লাটাখাম্বা র ক্যাঁচকোঁচ শুনতে শুনতে, মটরছিম্মির আর সরগুজার খেতে লুকোছুপি আর হলুদ রঙা সরষো কি ক্ষেতের হলুদ দিগন্ত দেখে, কাঠবেড়ালির ওম পরখ করে আর ইস্টিশন মাষ্টার লছমন তিওয়ারি দাদার তুলসীদাসী রামায়ণ আর হনুমান চালিষা শুনে।
    কেশনগরে তো লেডি কারমাইকেল ইস্কুলে ভর্তি হল ক্লাশ ফাইভে, তার আগে গিরিডিতে বাংলা ইস্কুলেই পড়েছে।
    সেই মাধু যে মফস্বলের শহরে আজন্ম লালিত বড় যতনে, তার বিয়ে হবে গন্ডগ্রাম এ। সেতারের তারগুলিতে হাত মাঝে মাঝেই এলোমেলো পড়ছে অন্যমনস্কতায়। 
    হেমন্ত ছাড়িয়ে শীত আসি আসি করছে , ভোর সকালে ঘাসের পাতায় শিশিরের মুক্তো র ফোঁটা।ভাইফোঁটার দিন ভাই ও ছোড়দারা ঐ শিশিরের ফোঁটাই তো শুকনো পরিষ্কার সাদা রুমাল ভিজিয়ে তুলে নিয়ে আসে কালি শেষ হয়ে যাওয়া পরিষ্কার ধোয়া দোয়াতে,
    ভাইফোঁটার চুয়া-চন্দন। ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা।
    রোজ গলি দিয়ে ফেরিওয়ালা ডাকছে তিলতক্তি আর খাজা নিয়ে, ধূনুরিরা তুলোর বস্তা কাঁধে টং টং করে জানান দিচ্ছে লেপ, বালিশ তোষক বানাও, বাক্সওয়ালা শাঁখারিদাদু কাঁচের চুড়ির জানান দিচ্ছে হেঁকে, নাদুসনুদুস মেনি বেড়ালটা যে রোজ মাধুর খাওয়া না হলে চুপটি করে বসে থাকে। বড়দাদা, ছোড়দা, ভাই; সরকার বাড়ির জয়া বিজয়া মাধুর এক ক্লাসের সহপাঠিনী। 
     
    এদের সওব সব্বাইকে ছেড়ে চলে যেতে হবে কোথায় এক নাম না জানা ভড়ভড়ে গাঁয়ে ? মাধবীলতা মনে মনে পণ করলো সে বিয়েই করবে না। মাধুর যতই ভয় লাগুক, যতই তার গলা শুকিয়ে যাক্, বড়দাদা আর মাকে বলতেই হবে সাহস করে যে সে আর বিয়েই করবে না ।।
     
    শীত এসে গেল, পৌষ মাসের শেষ, পৌষপাব্বন, উঠানে ধানের শীষ, কুলো আর ধানের গোলার আলপনা দিচ্ছে মাধু; আজ যে পিঠেপুলির দিন, মা রান্নাঘরে কত ব্যস্ত। মাধুকেও হাত লাগাতে হবে, আস্কে পিঠে, মালপুয়া, সিদ্ধ পুলি রসের পুলি, দুধ পুলি, গোকুল পিঠে, পাটিসাপটা আরও কত কি ? ভাইটা বড় ভালবাসে পিঠে, আর ছোড়দা, মাধুর পাত থেকে পিঠে চুরি করবেই, মাধু রাগ করে যখন গাল ফুলিয়ে বসে থাকবে, তখন ওর রাগ ভাঙাবে ছোড়দা কারেন্ট চূরন লজেন্স দিয়ে, মাধুর যত খুনসুটি ঐ ছোড়দার ই সাথে।
     
    পিঠেপুলির পরব শেষ হওয়ার পরে রাত্রে বড়দাদা হঠাতই বলল ছেলেপক্ষ আসবে আগামী পরশু মাধুকে দেখতে, মাধুর সমস্ত পৃথিবীটা আবারও কিরকম দুলে উঠল, বাইরে পূর্নিমা, তাও আকাশটা কি কালো, নিকষ অন্ধকার ? 
    ঘুম এলোনা মাধুর, সারা রাত জানালার বাইরে শীতের নিহরে জোনাকির ওড়াউড়ি দেখতে দেখতে চোখের জলে বালিশ ভিজল, মিথ্যা সবাই তাকে ভালবাসে, পরের ঘরে তাড়াতে পারলে বাঁচে।।
     
    পরশু এসেই গেল, মা'র কথামতো সাবান আর রিঠা দিয়ে স্নান করে ডুরে শাড়ী ছেড়ে মার একটা তুলে রাখা কমলা বেনারসী পরে মাধু মাথা নীচু করে ইন্টারভিউ দিতে এল, মনে মনে প্রতিজ্ঞা কিছুতেই জবাব দেবেনা মাধু।  বিয়েই করবেনা সে। ছেলের বাবা কাকা আর ছেলে। কত কি প্রশ্ন, বড়দাদা মাধুর সেতার বাজানোর কথাও জানাল, ছেলের বাবা বললেন আমাদের ঘরের লক্ষ্মীমন্ত ঘরোয়া  বৌ চাই, গাইয়ে বাজিয়ে কি হবে ? 
    নিজের নাম বলা ছাড়া আর কোন প্রশ্নের উত্তরই দেয়নি মাধু। শুধু কখনও সখনও একবার দুবার ঘাড় নেড়েছে। একবার চোখ যায় ছেলেটির দিকে, অকুণ্ঠ লজ্জা ও অপরিসীম অপরাধ বোধ নিয়ে চুপ করে বসে আছে, এ কিরকম ডাক্তার ? বড়দাদা প্রস্তাব দিল যদি ছেলে মেয়ের সাথে কথা বলতে চায়। বলতে পারে পাশের ঘরে, মাধুর মনে হোল ধরনী দ্বিধা হও, লজ্জায় লাল মাধু ঠিকই করে ফেলল আর কোনদিনই এই ইন্টারভিউ সে জীবনেও দেবে না। 
    ছেলের বাবা বললো এর কোন প্রয়োজনই নেই, আমার কথা বড়খোকা ফেলবে না, তবুও খুড়োমশায়ের প্রবল উদ্দীপনায় মাধুরা পাশের ঘরে, সেই নব্য ডাক্তার বলল ধরা ধরা গলায়, আপনি এই বিয়েতে কক্ষনোই মত দেবেন না, বাবার কথায় আমি কিছুতেই মানা করতে পারিনি, আমি বা আমাদের পরিবার আপনার যোগ্যই নয়। আমি ক্ষমাপার্থী। মাধুর মুখে কোন কথাই সরল না ।
     
    মাধুর হঠাতই ছেলেটিকে বড়  অসহায় বলে মনে হোল। দশ ক্লাশ পাঠরতা মাধু কোন কথা না বলে স্থানুবৎ বসে রইল আপনমনে আলভোলা হয়ে, কানের মধ্যে হাজার ঝিঁঝিপোকার কলতান; কখন যে পাত্রপক্ষ বিদায় নিল মাধু জানতেই পারল না ।। 
     
    সরস্বতী পূজাও এসে পড়ল। মাঘ মাসের শেষ, পাত্রপক্ষের দিক থেকে কোন সাড়াশব্দই নেই, সবাই ধরে নিল মাধুকেও পাত্রপক্ষের পছন্দ হয় নি। মাধুর কিন্তু মাঝে মাঝেই ঐ ডাক্তার ছেলেটির অসহায় অপরিসীম কুন্ঠাভরা মুখচ্ছবি মনে পড়ে। সেতার অভ্যাস করে মাধু প্রায় ই মারুবেহাগ অথবা আহিরভৈরব।
     
     
    ।। স্বপ্নময় ।। (২)
     
    (দ্বিতীয় পর্ব)
     
    পড়ন্ত শীতশেষের প্রায়শই মাধু  ইস্কুল থেকে ফিরেই মুখে দুটি ডালভাত দিয়ে যায় জয়াদের বাড়ি। জয়া আর বিজয়া মাধুর হরিহর আত্মা। 
    ওদের স্কুলের গপ্পো, নূতন নূতন মিশ্র রাগের গুনগুনানি জয়া বিজয়ার সাথে মাধুর এক খোলা বাতায়ন। 
    মাস যায়, বেলা বড় হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে, সূর্যের উত্তরায়ন থেকে দক্ষিনায়নে গমন, বৈশাখের রৌদ্র তাপ ক্রমশঃ রক্তচক্ষু  হয়ে ওঠে, জ্বালাধরানো শুকনো গরম মাধুকে মাঝেমধ্যেই উন্মনা করে তোলে, ছাইরঙা আকাশ যেন আগুন বর্ষণ করে, মাধু ছোট্ট সবজে কালো কাপড়ে ছাওয়া ছাতাটি সযত্নে জড়িয়ে ধরে, বড়দাদা এনে দিয়েছে বারোদোলের মেলা থেকে গেল বৎসর। কেশনগরের গ্রীষ্মকাল ও মাধুর ছোটবেলার দিদিমার কাছে  গিরিডিতে থাকা গ্রীষ্মকালীন পরিবেশ কতই আলাদা, গিরিডিতে ঘরে ঘরে খসখস ঝুলত, ভিস্তিওয়ালা রা সকালে একবার বৈকালে একবার জল দিয়ে ভিজিয়ে দিত, সকাল সকাল নাহানা, নয়তো রোদ উঠে গেলে কূয়াপাঁড় এ পা ই রাখা মুশকিল, পলাশ আর শিমূলের রাঙা আগুনপারা হোলি ছোট্ট মাধুকে বার বার চকিত করতো। দিদমা গল্প বলতেন মাধুকে রাত্রে, আগে এই অঞ্চলে দূর দূর থেকে সিল্লী হাঁসের চরা আসত, সব জায়গায় নীচূ জলাতে জল জমে বাঁওড় থাকত, আধি অঞ্চল ছিল গহীন জঙ্গল, লোকবসতি আর গাঁও ছিল নগন্য।।
     
    জৈষ্ঠ মাসের প্রথমেই খবর এল ঐ ডাক্তার পাত্রপক্ষের পছন্দ হয়েছে মাধুকে, কিন্তু ওরা আষাড়েই  বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলতে চায়, মাধুর মা অনুক্ত বিড়ম্বিত স্বরে বললেন বর্ষাকালে বিয়ে দেব মেয়ের ঐ গন্ডগ্রামে ?
     
    বড়দাদা বললেন এত ভাল উচ্চশিক্ষিত ডাক্তার ছেলের সম্বন্ধ  এসেছে মাধুর জন্য, ওরা সম্মত  হয়েছে; মা কোনমতেই এই ছেলে হাতছাড়া করা উচিৎ হবেনা, আমরা আষাঢ়েই বিয়ে দেব। আমাদের কেশনগরে তো কোন অসুবিধা ই নেই। অসুবিধা তো পাত্রপক্ষের হতে পারে।
     
    সেদিন রাতেই নামল আকাশ ভাঙা কালবৈশাখীর বৃষ্টি অঝোরধারে, মাধুর দুচোখ বেয়েও, তাহলে সত্যিই মেয়েটাকে মা দাদারা পাঠিয়ে দেবে অজানা অচেনা এক নূতন পরিবেশে যেখানে তার সব কিছুই আবাল্যচর্চিত সম্পর্ক অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।।
     
     
    ক্রমশঃ
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৯:৫৪499393
  • ধারাবাহিক গল্প? বেশ ভাল হচ্ছে,  তারপর? 
     
    #
    ইচ্ছে হলে শিরোনামে গল্পের নামকরনের পর একটি হাইফেনসহ এক ("-০১") জুড়ে দিতে পারেন, এতে ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব বোঝাবে। শুভ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন