এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অন্ধকারের সপক্ষে অথবা তেতো কথা

    Emanul Haque লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ মার্চ ২০২১ | ৬৮৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • অন্ধকারের সপক্ষে অথবা তেতো কথার ফুলঝুরি অথবা ভুলেও পড়বেন না


    ইমানুল হক


    আমরা যা শিখি ভুল শিখি! 


    অথবা যা শেখাই ভুল শেখাই!


    সত্যি অথবা সত্যি নয়।


    আসলে প্রশ্ন করানো শেখানোই যে শিক্ষকের কাজ তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু উত্তর এবং উক্ত উত্তরের জন্য প্রাপ্য উত্তরীয়টি তথা মার্কশিট তথা শংসাপত্র আমাদের লক্ষ্য।


    শিক্ষা উপলক্ষ মাত্র।


    দ্রোণাচার্যের নামে পুরস্কার।


    কেন?


    উচিত ছিল তো তিরস্কার চালু করা। কারণ এক শিষ্যের স্বার্থে একজন স্বশিক্ষিতর বৃদ্ধাঙ্গুলি কর্তন।


    ছেলেটি, তথা একলব্যের অপরাধ কী?


    সে দ্রোণাচার্যকে গুরু পদে মনে মনে বরণ করেছে।


    তার মনে তো ক্ষত্রিয় বা ব্রাহ্মণের প্রশংসালাভ লক্ষ্য।


    সেই লক্ষ্য যে ভুল তা তো তাকে কেউ বলে নি।


    বলে নি। কিন্তু বললেও যে খুব লাভ হতো তা নয়।


    কারণ তথাকথিত উচ্চ ও নীচের ধারণা তার মজ্জায় এমন ঢুকে গেছে বের হওয়া মুশকিল।


    আর্যটাই গালাগাল হওয়ার কথা হয়ে গেল অনার্যটা।


    আর্যরা অসভ্য যাযাবর জাতি।


    লিপি জানে না। পড়তে পারে না। শুনে শুনে মনে রাখে। বেদের অপর নাম শ্রুতি। এতো প্রশংসাবাক্য হওয়ার কথা নয়।


    শুনে শুনে মনে রাখে কেন? পড়তে পারে না বলে।


    অনার্য ময়দানব ইন্দ্রপ্রস্থ নির্মাণ করে। নগর সভ্যতা তিনি জানেন।


    ইন্দ্রের অপর নাম পুরন্দর। তিনি পুর বা নগর অনুসন্ধান করে ধ্বংস  করেন তাই।


    বৃত্র কোনো অসুর নয়। 'ঐতরেয় আরণ্যক' পড়ুন। বৃত্র মানে জলাধার।


    নগর নগরজীবনকে ধ্বংস করতে হলে জলাধার ধ্বংস জরুরি।


    ২.


    আমরা বলি কালো হাত ভেঙ্গে দাও।


    কারা বলি? কালোরা।


    মানে সাদা হাত ভালো।


    পৃথিবীর সবকটি মহাযুদ্ধ শ্বেতাঙ্গ অবদান।


    বড়ো বড়ো গণহত্যার সিংহভাগ শ্বেতাঙ্গদের সম্পাদিত।


    লিখি কালোবাজার, কালোবাজারি, কালোটাকা।


    কেন?


    আমাদের চিন্তা চেতনায় গলদ আছে। অন্ধকার বা কালো খারাপ হবে কেন?


    কালো যদি মন্দ তবে চুল পাকিলে কান্দ ক্যানে?


    তারাশঙ্করের 'কবি' নিতাইয়ের প্রশ্ন তো আমাদেরও।


    ৩.


    বাংলা ও বাঙালি নিয়ে দেশের কিছু লোকের ঘুম নাই।


    তাঁরা চার্টার্ড প্লেনের মান্থলি বা মাসিক টিকিট কেটে দৈনিক যাত্রা শুরু করেছেন।


    যাত্রাই বটে। 


    উঁচু তারে কন্ঠ বাঁধা। 'নামভূমিকা'য় যাত্রার শেখর গাঙ্গুলির মতো এক সংলাপে তিন রকম কথা বলেন।


    আসামে এক বাংলায় এক কেরলে আরেক।


    বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস ওঁদের জানতে হবে।


    বাঙালি বীরের জাতি। 


    বাঙালি শিক্ষা দীক্ষায় উন্নত জাতি।


    গৌতম বুদ্ধ তখন বালক।


    শিক্ষার জন্য গুরু বিশ্বামিত্র এসেছেন। গুরুকে জিজ্ঞেস করলেন: কোন লিপি শেখাবেন আমাকে। বলে ৬৪টি লিপির উল্লেখ করলেন।


    এর মধ্যে একটি বঙ্গলিপি।


    আপাতত ৬৪টি লিপির কথা জানি: 


    পাঠশালায় গিয়ে গৌতম গুরুকে জিজ্ঞেস করেন—“আপনি আমাকে কোন্ লিপি শেখাতে চান ?


    ৫. কিংবা বঙ্গের


    ১, এটা কি ব্রাহ্মী


    ২, অথবা খরােষ্ঠী


    ৩. অথবা পুষ্করশরি


    ৪. অথবা অঙ্গের


    ৬. অথবা মগধের


    ৭, অথবা মাঙ্গল্য


    ৮. অথবা মনুষ্য লিপি


    ৯, অথবা অঙ্গুলি লেখন


    ১০, অথবা শকারী লিপি


    ১১, অথবা ব্রহ্মবল্লীর লিপি


    ১২, অথবা দ্রাবিড়দের লিপি


    ১৩, অথবা কানাড়ীদের লিপি


    ১৪. অথবা দক্ষিণের


    ১৫, অথবা উগ্রাদের


    ১৬, অথবা আকার লিপি


    (চিত্র লিপি?)


    ১৭, অথবা অনুলােম লিপি


    ১৮. অথবা অর্ধধনু লিপি


    ৩৭, অথবা অন্তরক্ষিদেবদের


    ৩৮, অথবা উত্তর কুরুদের


    ৩৪৯, অথবা পূর্ণ বিদেহর


    ৪০, অথবা উৎক্ষেপ লিপি


    ৪১, অথবা নিচেপ লিপি।


    ৪২, অথবা বিক্ষেপ লিপি


    ৪৩, অথবা প্রক্ষেপ লিপি।


    ৪৪. অথবা সাগর লিপি।


    ৪৫. অথবা বজ্র লিপি।


    ৪৬. লেখ-প্রতিলেখ


    ৪৭. অথবা অনুদ্রুত লিপি



    ১৯, অথবা দারদ অথবা


    ২০. অথবা ফসদের অথবা


    ২১. অথবা চীনের


    ২২, অথবা হুনদের


    ২৩, অথবা মধ্যাক্ষর বিস্তরা।


    ২৪. অথবা পুষ্পল লিপি


    ২৫, অথবা দেবদের লিপি


    ২৬, অথবা নাগদের লিপি।


    ২৭. অথবা যক্ষদের।


    ২৮. অথবা গন্ধর্বের লিপি।


    ২৯. অথবা কিন্নরদের।


    ৪৮. অথবা শাস্রাবর্ত লিপি


    ৪৯, অথবা গণনাবর্ত লিপি


    (গণিত-সংখ্যা লিপি)


    ৫০. অথবা উৎক্ষেপাবর্ত লিপি।


    ৫১, নিক্ষেপাবর্ত লিপি।


    ৫২, পাদলিখিত লিপি


    ৫৩. দ্বিরুত্তর পদসন্ধি লিপি


    ৫৪. যবদ্দেসত্তরা পন্ধি লিপি


    ৫৫. অধ্যয়হরিনী লিপি।


    ৫৬. সর্বারুত সংগ্ৰহণী লিপি


    ৩০. অথবা মহােরগদের।


    ৩১, অথবা অসুরদের


    ৩২, অথবা গরুড়দের


    ৩৩, অথবা মৃগচক্রদের


    ৩৪, অথবা চক্রলিপি


    (উড়িয়া লিপি ?)


    ৩৫, অথবা বায়ুমরুদের


    ৩৬, অথবা ভৌমদেবদের


    ৫৭. অথবা বিদ্যানুলােম লিপি


    ৫৮. অথবা বিমিশ্রিত লিপি


    ৫৯. ঋষিতপস্তপ্তন লিপি।


    ৬০. রােচমনন ধারণী প্রেক্ষণ লিপি


    ৬১, অথবা গগনপ্রেক্ষণী লিপি


    ৬২, সবৌরসাধিনীস্যন্দ লিপি।


    ৬৩. সর্বসার-সংগ্ৰহণী লিপি।


    ৬৪, অথবা সর্বভূতরুত গ্রহণী লিপি।


    ( ঋণ: 'ললিতবিস্তার' নাটক এবং বাঙালা লিপির উৎস ও বিকাশের অজানা ইতিহাস: এস এম লুৎফর রহমান)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৮503571
  • একটু আগে বললেন, এগুলোর কোনো ঐতিহাসিক সত্যতা নেই। এখন বলছেন, আর্যদের ইতিহাস।
    কি লেখেন একটু পড়ে দেখেন তো?
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০৪503572
  • এটা রবীন্দ্রনাথের মত। ইতিহাসবিদ তো তিনি নন। প্রত্নতাত্ত্বিকও নন। ইতিহাসবিদরা রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণকে সিম্পলি গপ্পো বলেছেন। রবীন্দ্রনাথও 'পরস্পরবিরোধী' শব্দটা ব্যবহার করেছেন। ভাস, কালিদাস মহাভারতের কাঠামোটা নিয়েছেন। যেমন নিয়েছিলেন মধুসূদন।
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০৫503573
  • এবং এঁদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি মহাভারতের কাহিনিকে ব্যবহার করেছেন ভাস। 
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০৭503574
  • অ এখন রবীন্দ্রনাথ ইতিহাসবিদ নন। কিন্তু বহু প্রামাণ্য ইতিহাসগ্রন্থে তো রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণকে ইতিহাসের উপাদান বলে মেনে নেওয়া হয়েছে।
    এক‌ইভাবে বৌদ্ধ ও জৈন গ্রন্থগুলিকেও ইতিহাসের উপাদান রূপে গুরুত্ব দেয়া হয়।
     
     
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১০503576
  • রবীন্দ্রনাথ ইতিহাসবিদ? তা হবে। আর স্কুলপাঠ্য গ্রন্থে অনেক হাবজিগুবজি জিনিস আমাদের পড়তে হয়। এবং সেই পড়ার মাধ্যমে মহাভারত এবং রামায়ণকে ইতিহাস হিসেবে মাথায় গজাল গেঁথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ওই কারণেই অ্যাতো হ্যাজ নামে এখনও। এই আর কি। আপনি চালিয়ে যেতে পারেন। আমি কাটি আপাতত।
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১৩503577
  • সে তো বটেই। রবীন্দ্রনাথকে তো ঠিক টিয়াপাখি নিয়ে বসা জ্যোতিষীরূপে দেখানো যায়না, ভাগ্যে নোবেল পেয়ে গেলেন।
    অত‌এব কাটুন।
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১৭503578
  • একটা পুরোনো পোস্ট মনে পড়ল, ক্ষমা করিনি টই থেকে - https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=9752page=4&page=4#pages
     
    • santanu | 82.112.6.2 | ১৮ আগস্ট ২০০৯ ১২:০২415044
    • খড়গপুরের ফাইনাল ইয়ার, মল্লিক স্যারের ক্লাস। ওটা ওনার ও ফাইনাল ইয়ার। কু-লোকে বলে, ওনার ফাইনাল ইয়ার ছিল বলে আমাদের মতো কিছু অপোগন্ড Concrete Paper একবারে পাস করে বেড়িয়েছিলাম। আগে আগে অনেকের হয়েছে, চাকরি অপেক্ষা করছে, US Univ অপেক্ষা করছে, ছেলেরা খড়গপুরে বসে মল্লিকের পেপার ক্লীয়ার করছে।

      যাই হোক, কি একটা ক্লাস টেস্ট চলছে, ২৩ জনের ক্লাস, আমি এবং কয়েকজন উশ্‌খুস করছি, বাকিরা লিখছে। মল্লিক হঠাৎ বললেন,

      এই Chatterjee (santanu), Banerjee (Indraneel), Mukherjee (Krishnendu) বাঙ্গালি বামুন গুলো মোট্টে পড়াশোনা করে না, আর দেখো, বিহারী বামুনগুলোকে, ডুবে, চৌবে, সব কি ভালো, কেমন সুন্দর পরীক্ষা দিচ্ছে।

      আমি পেন মুখে দিয়ে বসে রইলাম, ইন্দ্রনীল কুই কুই করে বোধ্‌হয় বলল, করছি স্যার।

      শান্ত ক্লাসরুম, আবার মল্লিকের গলা,

      বাবা শান্তনু, তুমি কি বাবা SC/ST, না-হলে তুমি এত বোকা ক্যানো?
       
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১৮503579
  • "আমাদের মতে ‘কৃষ্ণচরিত্র’ গ্রন্থের নায়ক কৃষ্ণ নহেন, তাহার প্রধান অধিনায়ক, স্বাধীন বুদ্ধি, সচেষ্ট চিত্তবৃত্তি। প্রথমত বঙ্কিম বুঝাইয়াছেন, জড়ভাবে শাস্ত্রের অথবা লোকাচারের অনুবর্তী হইয়া আমরা পূজা করিব না, সতর্কতার সহিত আমাদের মনের উচ্চতম আদর্শের অনুবর্তী হইয়া পূজা করিব। তাহার পরে দেখাইয়াছেন, যাহা শাস্ত্র তাহাই বিশ্বাস্য নহে, যাহা বিশ্বাস্য তাহাই শাস্ত্র। এই মূল ভাবটিই ‘কৃষ্ণচরিত্র’ গ্রন্থের ভিতরকার অধ্যাত্মশক্তি, ইহাই সমস্ত গ্রন্থটিকে মহিমান্বিত করিয়া রাখিয়াছে। "
     
    বঙ্কিমের "কৃষ্ণচরিত্র" গ্রন্থের আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা নিবেদন। একটু কষ্ট করে মূল প্রবন্ধ
     
    অবশ্য বঙ্কিম, বিদ্যানিধিরা তো টিয়াপাখি নিয়ে বসা জ্যোতিষী- মহান্ গবেষকরা বলে দিয়েছেন।
  • dc | 223.190.199.16 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১৯503580
  • "মহাভারতে বর্ণিত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ কোথাও হয়নি, হওয়া সম্ভবও নয়"
     
    ইয়ে এদ্দিন আমিও তাই জানতাম, অর্থাত রামায়ন-মহাভারত কাল্পনিক কাহিনী, ইলিয়াড-ওডিসির মতো। এগুলো যে সত্যি সত্যি হয়েছিল তা তো জানতাম না! অবশ্য আগেই স্বীকার করে নি আমি খুবই কম জানি, রামায়ন আর মহাভারত পুরো পড়েও দেখিনি।  
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:২১503581
  • মূল প্রবন্ধ পড়ে নেবেন।
     
    এর আগে তো বিদ্যাসাগরের শ্রাদ্ধে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে এসেছিলেন। এখন কি রবীন্দ্রনাথে সুবিধা হলো না? আর ব্রিটিশ দালাল রামমোহন ই বা কেন?
    তাই কি কাটলেন?
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৩০503582
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৩২503583
  • রাজশেখর বসুর অনূদিত মহাভারতের ভূমিকা। অতিরঞ্জন থাকলেও মহাভারতের ঐতিহাসিকতা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
     
    তবে সবাই তো জ্যোতিষী!
  • dc | 223.190.199.16 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৩৫503584
  • মানে রামায়ন মহাভারত সত্যি সত্যি হয়েছিল!? (বিস্ময়ে চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়া ইমো) 
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪১503585
  • আপনি কি আঠারো অক্ষৌহিণী সৈন্য সমাবেশ, ভীষ্মের শরশয্যা, যোগশক্তির দ্বারা সূর্য থেকে দেওয়া- এগুলোকে আক্ষরিক অর্থে সত্য বলছেন? তাহলে নিশ্চয়‌ই নয়।
    কিন্তু মূল কাঠামোর ঐতিহাসিকতাকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
    অতিরঞ্জন, অলৌকিক ঘটনার মধ্য থেকে মূল ঐতিহাসিক সত্য খুঁজে বের করাই গবেষকের কাজ।
    বঙ্কিম প্রমুখ গবেষক সেটাই করেছেন।
    আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
  • Emanul Haque | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪১503586
  • Abhyu র মন্তব্য ও উজ্জ্বল উদ্ধার দেখে একটা ঘটনা মনে পড়ল। রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে কলেজ শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিমুখীকরণ ক্লাস। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্লাস নিতে এসেছেন‌। স্বশাসন নিয়ে বলার কথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সেই একদা অধ্যাপিকা এখন উপাচার্যের।
    দেখলাম, পড়াতে জানেন না।
    বিষয়ে যাওয়া নেই অপ্রাসঙ্গিক কথা।
    তো আমরা কয়েকজন এই সব ভালো ক্লাসে ছড়া লেখালেখি করতাম।
    কিন্তু সেদিন বাকিরা সে বিষয়ে আগ্রহী নন। উনি নাকি খড়্গহস্তা।
    বলতে বলতে উনি হঠাৎ এস সি/ এসটি সংরক্ষণ সম্পর্কে বলতে শুরু করলেন।
    সংরক্ষণের ফলে অযোগ্যরা ৪৫% পেয়ে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।
    ক্ষতি হচ্ছে ইত্যাদি।
    আমি ঠোঁটকাটা মানুষ।
    বলে বসলাম, এগুলো কি আপনার এই ক্লাসে বলার কথা? যদি আপনি আপনার বিষয়ে মন দেন।
    ওমা, রেগে ক্লাস ছেড়ে চলে গেলেন।
    তারপর শুনি উনি বলে গেছেন, আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাইলে সার্টিফিকেট পাবো না।
    অধিকর্তা পড়েছেন ফাঁপড়ে।
    ভদ্রমহিলা তৎকালীন শাসকদের হয়ে ভোটে লড়েছেন।
    আমি বললাম, অন্যায় তো উনি করেছেন। প্রথমত পড়াতে পারেন নি।
    দ্বিতীয়ত, এসসি/এসপি দের অপমান করেছেন।
    জল অনেকদূর গড়ায়।
     
    তখন সামাজিক মাধ্যম ছিল না, তাই ।
    না হলে। 
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪১503587
  • সূর্য ঢেকে
  • Emanul Haque | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪৩503588
  • এসসি/এসট হবে।
  • Emanul Haque | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪৩503589
  • এসসি/এসটি হবে । এসপি নয়।
  • dc | 223.190.199.16 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৩503592
  • "অতিরঞ্জন, অলৌকিক ঘটনার মধ্য থেকে মূল ঐতিহাসিক সত্য খুঁজে বের করাই গবেষকের কাজ"
     
    আমি জানতাম মূল কাঠামোটাই একটা গল্প, আসলে ওরকম কিছু হয়নি। তবে যাগ্গে, এ নিয়ে আমার আর মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এমনিতেও রামায়ন মহাভারতে আমার ইন্টারেস্ট নেই।  
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৯503594
  • আপনাকে সংযত সুরে কথা বলার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলাম প্রথমেই। এবং ওই কারণেই এনগেজ হয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সুর যদি পরিচিত দিকে টার্ন নেয় (যা নিতে শুরু করেছে) তাহলে চুপ করে যাওয়াই শ্রেয়। রঞ্জনবাবুর সঙ্গে গত ৪৫ মিনিট ফোনে কথা বলছিলাম। একটি বই প্রকাশ করার ব্যাপার নিয়ে। ফলত আমার জরুরি কাজ ছিল। এটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন।
     
    রবীন্দ্রনাথে কাটিনি তো। উনি কী বলেছেন সেটা আগে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। উনি স্পষ্ট লিখেছেন --- 
    ১. তাহার পরে আর্যসমাজে যত কিছু জনশ্রুতি খণ্ড খণ্ড আকারে চারি দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল তাহাদিগকেও একত্র করিয়া মহাভারত নামে সংকলিত করা হইল।
     
    তার মানে মহাভারত হচ্ছে আর্যসমাজের জনশ্রুতির সম্মিলিত রূপ। আর্যসমাজ, কেমন?
     
    আর কী বলেছেন? না ২. আধুনিক পাশ্চাত্ত্য সংজ্ঞা অনুসারে মহাভারত ইতিহাস না হইতে পারে কিন্তু ইহা যথার্থই আর্যদের ইতিহাস।
     
    মানে আধুনিক ইতিহাস অর্থে আমরা যা মনে করি, মহাভারত সেই অর্থে ইতিহাস নয়।
     
    আর রবীন্দ্রনাথ অরবিন্দ, রামকৃষ্ণ ইত্যাদিদের সম্পর্কেও চাল্লাইন লিখেছেন। বিবেকানন্দ সম্পর্কে যে চোথাটা ফেসবুকে সাঁটেন, জেনে রাখুন ওটি রবীন্দ্রনাথের অপ্রকাশিত রচনার খসড়া। আর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে যে গীতা আউড়ানো অবাস্তব, সে কথাও তিনি লিখে গেছেন। এখনই কোটটা দিতে পারছি না। তবে সুর চড়লে দিয়ে যাব নাহয়।
     
    প্রসঙ্গত, রামমোহন নিয়ে আমি একটা বই লেখায় ব্যস্ত। ব্রিটিশ দালাল-ফালাল পুরনো হয়ে গেছে। নতুন টার্ম বাজারে হাজির। বইটা প্রকাশিত হলে, না না কিনতে হবে না, একবার পাতা উল্টে রেফারেন্সগুলো আর গ্রন্থপঞ্জিটা দেখে নেবেন, কেমন?
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১৬503595
  • এই ডিসিজনাবকে আমার খুব হিংসে হয়। মশাই এত বিন্দাস থাকেন ক্যামনে? আপনি মোহায় একটা জিনিয়াস।
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২৪503596
  • হ্যাঁ আপনি রামমোহনের শ্রাদ্ধ করতে থাকুন।
    ওটাই আপনার আসল কাজ।
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২৫503597
  • যদি খুব ভুল না করি, তাহলে রবীন্দ্রনাথ এখানে 'ইতিহাস' অর্থে ইতি হ আস অর্থাৎ 'এমনই ছিল' বা 'এমনই হয়েছিল' হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তার মানে রবীন্দ্রনাথের কাছে সমগ্র মহাভারতই 'শোনা কথা' মাত্র, মানে যাকে বলে কিংবদন্তী।
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২৬503598
  • আর মহাভারতের উপর অসংখ্য প্রামাণ্য গবেষণা আছে, আপনাকে কষ্ট করে উপদেশ না দিলেও চলবে।
    আর রবীন্দ্রনাথের লেখার উপর আপনার ভাষ্যের প্রয়োজন নেই।
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২৯503599
  • শ্রাদ্ধ না করার কী হল? যিনি ব্রিটিশের বাণিজ্য স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখার পক্ষে সোচ্চার হন এবং যা কিছু তার বিরোধী, তাকে এড়িয়ে যান - তাঁকে কি পুজো করা হবে? লবণ আর নীলশিল্প নিয়ে যাঁর আদিখ্যেতা অথচ বস্ত্রশিল্প, রেশম শিল্প, আফিম ব্যবসা, দাস ব্যবসা নিয়ে যিনি টুঁ শব্দটি উচ্চারণ করেন না সারা জীবন, তাঁকে কি ফুল-বেলপাতা দিয়ে পুজো করতে হবে? যে 'যুক্তিবাদী' বেদ-কোরাণ-বাইবেলকে ঈশ্বর-প্রত্যাদিষ্ট শাস্ত্র বলে স্বীকার করে নেন, সেই যুক্তিবাদীর কাঁথায় আগুন। অ্যাদ্দিন কেউ যে কেন দেয়নি, সেটাই আশ্চর্যের।
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৩১503600
  • আর গীতার উপর প্রাচ্য , পাশ্চাত্য গবেষকদের অসংখ্য কাজ আছে, আপনার চোথা আওড়ানোর কোনো‌ প্রয়োজন নেই।
    আপনি বরং শ্রাদ্ধে মনোনিবেশ করুন!
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৩৪503601
  • কোনও কিছুই একতরফা নয় তো। এই যে বেদ থেকে মহাভারত, সেই বেদকেই তো নস্যাৎ করে দিয়েছেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। উনিও কি তাহলে বেদের শ্রাদ্ধ করলেন! কে জানে।
     
    মানবজাতির তখন শৈশবকাল; বাহ্যজগতে এখন তাহাদিগকে যেরূপ অসীম আধিপত্য জন্মিয়াছে, তখন সেইরূপ কিছুই ছিল না। তখন অগ্নি বায়ু মেঘ বজ্র বিদ্যুৎ বাত্যা সকলেই দেবতা। অগ্নির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা অগ্নি নহে, অগ্নিই দেবতা। অধিষ্ঠাত্রী দেবতা সম্বন্ধে সংস্কার জন্মিতে অনেক চিন্তার প্রয়োজন। শৈশবে সে চিন্তার ক্ষমতাও তাঁহাদের ছিল না। তাঁহারা জগতের যাবতীয় বস্তুকেই শিশুর চক্ষে দেখিতেন, সকলই উজ্জ্বল বিচিত্র বর্ণে চিত্রিত দেখিতেন। কবির চক্ষে দেখিতেন। অথচ হোমারের ন্যায় বৃহৎ কাব্যগ্রন্থ রচনায় যে জ্ঞান, যে পরিশ্রম, অন্তর্জ্জগতের উপর যে আধিপত্য প্রয়োজন, তাহা তাঁহাদের ছিল না। সুতরাং তাঁহারা কেবল হৃদয়ের গভীর ভাব ভয় ভক্তি স্নেহ আশঙ্কা আশা ভরসা ইত্যাদি মাত্র প্রকাশ করিয়াই ক্ষান্ত থাকিতেন।
     
    বেদের রচক দেবতা হইলেন, শেষ যখন দেবতা ঘুচিয়া একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্ম ব্রাহ্মণ্য ধর্ম্মের প্রধান মত হইয়া দাঁড়াইল, দেবতার বেদপ্রণেতৃত্ব ঈশ্বরের অর্পিত হইল। ঈশ্বর নিত্য, বেদও নিত্য হইয়া দাঁড়াইল। বেদ ঈশ্বরের বাক্য, উহাতে মিথ্যা নাই; উহা সত্যময়, ধর্ম্মময়, জ্ঞানময়; এইরূপে কতকগুলি গান ধর্ম্ম-পুস্তকরূপে পরিণত হইল।
  • এলেবেলে | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৩৭503602
  • আপনার পচুন্দের বিবেকানন্দের ভাইয়ের একটা বাণী দিই? এই যে - মহেন্দ্রনাথ দত্ত লণ্ডনে বিবেকানন্দ গ্রন্থে লিখছেন '১৮৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে গীতার বিশেষ প্রচলন ছিল না'। বিবেকানন্দের উৎসাহে হরমোহন মিত্র কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত থেকে গীতা অংশটি আলাদা করে নিয়ে মূল ও বঙ্গানুবাদ সমেত ছাপাতে শুরু করেন। 'তাহা হইতে বাংলাদেশে গীতার খুব প্রচলন হইল এবং লোকে সাগ্রহে পড়িতে লাগিল'।
     
    সেই নিয়ে বাতেলাও শুনতে হবে? বাঙালি যেটা পড়ছে মাত্র ১৩৫ বছর?
  • দীপ | 42.110.144.127 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৪১503603
  • হোমারের ইলিয়াড ওডিসির যুগ্ম আয়তনের চেয়ে মহাভারত দশ গুণেরো বড়ো।
    আর বেদের কিছু কিছু অংশ অনুবাদের সাহায্য নিয়ে পড়েছি, অসামান্য কাব্যগুণসম্পন্ন।
    বেদের নাসদীয়সূক্তম, দেবীসূক্তম দর্শন ও কাব্যের অসামান্য সমন্বয়।
    রবীন্দ্রনাথের গানে বৈদিক সূক্তের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে, রবীন্দ্রনাথের গানগুলি পড়লেই বোঝা যায়। এ নিয়ে গবেষণা ও হয়েছে।
    চোথা অন্য জায়গায় দেখাবেন!
  • Emanul Haque | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৪২503604
  • @,এলেবেলে ধন্যবাদ। যোগাযোগ করতে চাই। কীভাবে? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন