এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • একটি সন্তানসম্ভবা হাতির মৃত্যু ও কয়েকটি প্রশ্ন

    সৈকত মিস্ত্রী
    অন্যান্য | ০৫ জুন ২০২০ | ২৮০০ বার পঠিত
  • " ওদের চোখ উপড়ে দেও" - সন্তানসম্ভবা হাতির মৃত্যুর পর কাউকে কাউকে বলতে শুনলাম।ভেবে দেখার, যে হিংসা হাতির প্রাণ নেয়, সেই একই হিংসা লালন করে,জাহির করে চলেছি আমরা। স্যাডিস্ট ঘটনা ও হিংসার পরিসরে এক গভীরতর অসুখে আজ আক্রান্ত আমরাও।নিজেদের দিকে ফিরে দেখার সময় এখন।

    সন্তানসম্ভবা হাতির মৃত্যু ও কয়েকটি প্রশ্ন
    "Revenge is a dish which is best Served cold"- কাফকা।
    একটি মর্মান্তিক হত্যার ঘটনা ঘটল কেরলে।কিছু গ্রামবাসী ঘটালেন ঘটানাটি।এমন স্যাডিস্ট ঘটনা হৃদয়ের গভীরকে ছুঁয়ে যায়। আমাদের করে তোলে ভাষাহীন।এমন ঘটনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় দাবি ওঠে তদন্ত হোক এই নির্মমতার।শান্তি পাক অপরাধীরা।এই প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক।মানবিকও বটে।তবে এই ঘটনাটি নিয়ে বলার আগে একটু পিছিয়ে আসা যাক।

    বর্তমান উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উদম সিং নগর রুদ্রপুরের কাছাকাছি।সময়টা নয়ের দশক।তখন অঞ্চলটি উত্তর প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত ছিল।রুদ্রপুর থেকে যেতে হয় দীনেশপুর।তারপর সেখান থেকে জঙ্গলের শুরু।এরাজ্য থেকে কাজে গেছিলেন আমার একজন পরিচিত X।গমকাটার কাজ।আর অনাবাদী জমিতে ইউক্যালিপটাস ও পাপলার গাছ লাগানোর কাজ।ইউক্যালিপটাস গাছ পিছু দশপয়সা, পাপলার গাছ পিছু একটাকা।পাপলার গাছ লাগানোর কাজটা বেশ শক্ত।একমিটারের উপর পাথুরে জমি খুঁড়ে লাগাতে হতো।গম কাটার দৈনিক মজুরি কুড়ি টাকার কাছাকাছি।গমকাটা কঠিন কাজ।চারিদিকে জঙ্গল।তার মাঝে হঠাৎ করে বন্যশুওর বা বাইসনের সামনে পড়ে যাওয়া।"বনের ধারে বাস ভাবনা বারো মাস"- এই আমার দেশ। সেখানে জমির মালিকানার বন্টনও অসম।কারো হাতে হেক্টর হেক্টর জমি,তো কারো হাতে বিঘামাত্র।সেই পাথুরে জমি চষে,কোথোও গাছ লাগিয়ে,দূরথেকে মজুর জুটিয়ে কাজ করানো।তার সাথে বন্যশুওর,হরিণের পালের উপদ্রব।হরিণ ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়। আর শুওরের জন্য থাকে অন্যদাওয়াই।ছোট সুতলিবোমা বানিয়ে বড় আটার ডেলার মধ্যে ভরে জমিতে রাখলেই হলো।শুওর আটার ডেলায় কামড় বসালে মোক্ষম বিস্ফোরণ। শুওর মারা গেলে ঘটা করে চলে মাংস খাওয়ার গ্রামীণ উৎসব।সেই ধারা আজও সেখানে চলছে।ভদ্রবিত্ত জীবনের খোলস ছেড়ে বেরতে হলে,নিজেদের দিকে ফিরে তাকালে নিজেরাই এই হিংসাকে খুঁজে পাব নিজেদের চারপাশে।
    [IMG-20200604-010620.jpg](https://postimg.cc/G8TBC00S)
    পশুর প্রতি হিংসার এই রীতি আমাদের সমাজে, চারপাশে ছিল।আমরা জানিনি।হয়ত শুওর- টুওরের মতো ছোট - খাটো প্রাণী মরলে আমরা গুরুত্ব দেইনা।তাহলে এবার কেন হিংসার জবাবে সংগঠিত হিংসার জন্য আমরাও এত হিংস্র হয়ে উঠলাম? এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না বলে? সামাজিক মাধ্যমে এমন ভয় চাপ মুক্ত রাগ ঝাড়ার সুযোগ সাধারণত আসেনা বলে? অথবা আরও গুঢ় কিছু,হয়ত আশপাশে গরুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া পরিসরে কিছুটা মানুষের বাসযোগ্য রাজ্য কেরল বলে? উত্তর ঠিক জানিনা।কেরলের ঘটনাটির পর ভারতীয় ফরেস্ট অফিসার এবি কায়ুম ব্যাখা দিয়েছিলেন - এক, বন্য জানোয়ার ধরার জন্য এমন ফাঁদ সাধারণত পাতা হয়। দুই, মানুষ বন্যপ্রাণীদের জীবন ও সম্পদের উপর হুমকি মনে করে।হ্যাঁ করে। এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, হত্যাকারীরা গর্ভস্ত হাতিটকেই মারার জন্য কি মারাত্মক ফাঁদ পেতেছিল?জানি না।তদন্ত হোক।

    আজ বা কাল হত্যাকারীরা শাস্তি পাবে।পাওয়াটা জরুরি। কিন্তু তাহলে কি মিটে যাবে? বরং ঘটনাগুলো আরও গভীর প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। বনভূমির পরিমাণ কমেছে।উন্নয়নের নামে জল- জঙ্গল- জমি বহুজাতিকদের হাতে বহুদিন ধরে তুলে দিয়েছে রাষ্ট্র। রোজ আমরা দেখছি।তারপরও চোখ বুজে থাকি।রাষ্ট্র আর কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে বললে ভয় লাগে হয়ত।চাষের জমি কমছে।বনভূমিতে খাদ্যের সংকট বাড়ছে।বনে আজকাল বড় বেশি আগুন লাগে।লকডাউনের সময়েও উড়িষ্যার বনভূমি সাফ হয়।অযোধ্যা পাহাড়ে কত লক্ষ গাছ উন্নয়ন খেল? নিয়মগিরি পাহাড়- বন কারা সাফ করল? সেই জঙ্গল - জমির জীবগুলো কোথায় গেল? না আমরা জানতে চাইনা।অথচ এই সমস্যার গভীরে আছে এসব সঙ্কটের শাখা- প্রশাখা।আর বিধ্বংসী অপরিকল্পিত উন্নয়ন আর মানুষের অপরিমেয় লোভ, আদিগন্ত হিংসা।

    রাতের বেলা পথ চলা যায়না একা একা।দল বাঁধতে হয়।মশাল জ্বালতে হয়।হঠাৎ করে আনমন পথ চলে পথের বাঁকে দেখা হয় শূর উঁচুকরা হাতির সাথে।প্রাণ নিয়ে পালালে ভালো।না হলে কি হবে কে জানে? ধান পাকলে গোলায় ওঠে ধান।মহাজনের ঋণ ফি বছর বাড়ে।ফি বছর হাতি আসে।যত খায় তার বেশি ছড়ায়।তবু গ্রামের লোক ওদের বলে - 'হাতি ঠাকুর'।সামনা সামনি হলে হাতটা কপালে উঠে যায়।আবার পটকা ফাটানো,মশাল জ্বালানো কোথাও বৈদ্যুতিক তার ওরা জড়ায়।কেন হিংস্র হয়ে ওঠে লোকগুলো? 'হাতি ঠাকুর ' মারা পড়লে ওদের মরদরা গুম হয়ে থাকে,মহিলারা ডুকরে ওঠে।এছবি বড় চেনা? আবার তারাই কখনো হিংসায় মাতে? কেন এমন হয়? এর উত্তর খোঁজাটা জরুরি।

    হিংসা বিগত সময় ধরে ডালপালা মেলেছে। কোথাও জনগণ,কোথাও রাষ্ট্র নিজে হিংসায় অবতীর্ণ। হিংস্র ব্যক্তি যদি প্রান্তিক হন আমরা গলা তুলি,তিনি কেউ কেটা হলে ফিসফিস। রাষ্ট্রীয় হিংসা হলে ' আমি তো এসব বুঝিনা' গোছের ন্যাকাপনাই আমাদের সংস্কৃতি।লক্ষ লক্ষ হেঁটেচলা মানুষের উপর বর্বরতা,একরত্তি ছোট ছেলেটির মৃত মায়ের নিথর শরীর প্লাটফর্মে পড়ে থাকার নিষ্ঠুরতা দেখেও চোখ বুজে থাকি।এখানে হিংসাকারী রাষ্ট্র। তাই জারিজুরি খাটেনা।এই পরিসরে অজ্ঞাত কুলহীন কোন অপরাধী দাঁড় করাতে পারলে কেল্লাফতে।শুধু শূলেচড়ানোর অপেক্ষা।

    অপরাধীকে চিহ্নিত করার থেকে অপরাধের কারণ খোঁজাটা জরুরি। তাহলে অপরাধ দূর করার কাছাকাছি পৌঁছোনো যায়।অপরাধ বিজ্ঞানের গোড়াকার কথা।অথচ হিংসার বিরুদ্ধে আমরা কোথাও হিংসাকে খাড়া করি। কয়েকদিনে কাউকে নাকি সুরে বলতে শুনলাম -
    " বাবা! কি হিংসা!" কেউবা " ভাগ্যিস কেরলে কখোনো ঘুরতে যাইনি" কেউ কেউ আরও একটু এগিয়ে বললেন - "ওদের চোখ উপড়ে নেওয়া দরকার।" এই হিংসা অন্তহীন। হিংসার,শাস্তির রেট্রিবিউটিভ এগুলি।রেট্রিবিউটিভ শাস্তি ন্যায় বিচারের ভিত্তি। আবার রেট্রিবিউটিভ শাস্তির মূলে প্রতিহিংসা।পশু ফসল খায়,অতএব হিংসা।এ হিংসাকারী অতএব এর মুন্ডচ্ছেদ।রাষ্ট্র বিষয়গুলোকে বেশ উপভোগ করে। জল- জঙ্গল- জমি কমুক।বন্যপ্রাণী খাদ্যহীন থাক,জন্তুরা লোকালয়ে আসুক।প্রাণহানি,সম্পদহানী হোক তার প্রতিক্রিয়ায় সেই জন্তুদের জীবনহানি এসব চলতে থাক।ভারতীয় রেল ফিবছর হাতি পিষে দিক।জঙ্গলের রেল পথটুকু থাকনা তাদের জন্য অসুরক্ষিত!এই রেট্রিবিউটিভ হিংসার সুবিধা লোকে এসব নিয়ে মাথা ঘামায়না সহজে।হাতের কাছে যাকে পাওয়া যায় তাকে নিকেশ করলেই হল। এবেলাও সেটাই দেখাগেল-
    " চমৎকার ধরা যাক দুএকটা ইঁদুর এবার।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আরো কয়েকটি প্রশ্ন | 103.216.221.5 | ০৫ জুন ২০২০ ০১:৩৪731831

  • একটা দৃশ্য কল্পনা করুন তো। সক্কাল সক্কাল বাজারের থলে নিয়ে বেরিয়েছেন। পথে হঠাৎ চোখে পড়লো শাসকদলের মদতপুষ্ট এলাকার কুখ্যাত এক মস্তানকে। শুনতে পেলেন সে বেশ গর্ব করে শাগরেদদের বলছে, “এলাকার কোন মেয়েটাকে ভাল লাগছে বল। তুলে আন, রেপ কর। বাকিটা আমি সামলে নেব।” আপনি অসহায়ের মত তাকিয়ে রইলেন। নিজের পরিবারের মহিলা সদস্যদের মুখটা মনে করার চেষ্টা করলেন। তারাও যে যখন তখন এদের ভোগ্যবস্তু হয়ে যেতে পারে সেটা ভেবে শিউরে উঠলেন। তারপর ব্যর্থ আক্রোশে মাথা নিচু করে চুপচাপ বাজার করার জন্য হাঁটা লাগালেন।

    কি? রাগ হচ্ছে? ধরুন যদি বলি একদিন বাংলার বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা ঠিক এই পরিস্থিতিতেই বসবাস করতেন ১৯৯৯ থেকে ২০০২ এর সময়টায়। শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকায় খোদ পুলিশেরও ক্ষমতা ছিল না সেই কুখ্যাত মস্তানের টিকি ছোঁওয়ার।

    আচ্ছা চলুন এক হতভাগ্য গ্রামবাসীর বয়ান শুনি প্রথমে।

    “দুজন বাবাকে মাটিতে ফেলে বন্দুকের নল তাঁর মুখে ঢুকিয়ে রেখেছিল। মা এর গলায় ভোজালি ঠেকানো ছিল। তারপর তাঁদের সামনেই তিনজন পরপর আমায় গণধর্ষন করে”।
    (পাঠকগনের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি ধর্ষিতার বয়স তখন ছিল ১৩ বছর।)

    ঘাবড়াবেন না। এরকম অনেক হতভাগ্যই শিকার হয়েছিলেন এই নরপিশাচদের। লোকচক্ষুর আড়ালে গুমরে কেঁদেছিলেন, বিধাতাকে দুষেছিলেন। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারেননি। সর্বহারার মহান নেতার এক বিখ্যাত উক্তি তখন ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল অপরাধীদের সামনে। “এরকম তো কতই হয়...”

    এবার একটা ভাল খবর শুনুন। ভক্তকে রক্ষা করতে যেভাবে স্বয়ং ভগবান ধরাধামে অবতীর্ণ হন যুগে যুগে, ঠিক সেভাবেই ভক্তকে রক্ষা করতে ভগবান দেবদূত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন এক ছিপছিপে চেহারার যুবককে।

    চলুন জেনে নিই।

    জিতেন বালা নামে স্থানীয় এক শিক্ষকের বাড়িতে বসে খুব গোপনে ‘সংগঠিত’ হতে শুরু করেছিলেন স্থানীয় কিছু মানুষ। ঠিক হয়, গ্রামের বাজারে মাইক বেঁধে সভা হবে। ভিড় উপচে পড়েছিল সে দিনের সভায়। পর দিন ফের সভা। সেখানেই ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ গড়ে আন্দোলনের ‘শপথ’ নেন গ্রামের মানুষ।

    কি ভাবছেন? রোমাঞ্চকর পটপরিবর্তন? আজ্ঞে না। অত সহজ ছিল না ব্যাপারটা। ধর্ষনগ্রামে (এটাই নাম হয়ে গেছিল সেই জমানায় লোকমুখে) ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ তো হল। সভাও হল। কিন্তু প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস তখনও হচ্ছিল না কারুর। হঠাৎ এক ছিপছিপে চেহারার যুবক মানুষের ভীড় ঠেলে এগিয়ে এসে প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দারের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে গর্জে উঠলেন,  “আমরা যদি নিজেদের মা-মেয়ে-বোনেদের সম্মান রক্ষা করতে না পারি তাহলে সভ্যসমাজে থাকার যোগ্য নই আমরা। ধর্ষকদের মুখোমুখী হওয়ার সাহস না থাকলে তাদের চেয়েও বেশি শাস্তি হওয়া উচিত আমাদের।”

    কি? বলেছিলাম দেবদূত?

    যাকগে, চলুন এগোনো যাক। সেই প্রথম শয়তানদের দুর্গ কেঁপে উঠল। ‘প্রতিবাদী মঞ্চের লাগাতার আন্দোলনের চাপে ধরা পড়ল পাঁচজন অপরাধী। শোনা যায় মূল পান্ডাকে সেই ছিপছিপে চেহারার প্রতিবাদী যুবক জেলে দেখা করে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’ দিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন “জেলে বসে পড়িস।”
     
    ইতিমধ্যে রাজনীতি আর রাজনীতিবীদরা পেয়ে গেছেন হাতে গরম ইস্যু। শুরু হয়ে গেছে রাজনীতির অনুপ্রবেশ। এতদিন ঘুমিয়ে থাকা বিরোধী রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে পড়েছে। শাসক দলের শরিকরাও বড় শরিকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা শুরু করেছেন। অথচ যে মানুষটা প্রথম লড়াইটা শুরু করেছিলেন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল না কিন্তু তাঁর।

    এবার ক্লাইম্যাক্সের পালা। গোবরডাঙা স্টেশনে নেমে গাইঘাটার পাঁচপোতায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন কলকাতার মিত্র ইন্সটিটিউশনের শিক্ষক সেই ছিপছিপে চেহারার যুবক।আচমকাই স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওপর কয়েকজন দুষ্কৃতী পেছন থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে গোবরাডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েন তিনি। দিনটা ছিল ৫ই জুলাই, ২০১২।

    আশা করি অনেকেই এতক্ষনে চিনতে পেরেছেন এই দেবদূতকে। তবুও যারা এখনও অন্ধকারে তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দিই, এনার নাম “‘বরুন বিশ্বাস”।

    রাজ্যে তখন গর্বের ৩৪ এর জমানা। ক্ষমতায় ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টি। জায়গার নাম গাইঘাটার সুটিয়া ও বিষ্ণুপুর, গাজনা, কানাপুকুর, কুঁটিপাড়া, পশ্চিম বারাসাত, স্বরূপনগর এর মত বেশ কয়েকটি গ্রাম। মূল অপরাধীদের নাম সুশান্ত চৌধুরি এবং তার বিশ্বস্ত কমরেড বীরেশ্বর ঢালি, রমেশ মজুমদার, রিপন বিশ্বাস, অনিল বালা এবং নন্দন তরফদার। রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।

    মনে পড়ছে, বলেছিলাম - সর্বহারার মহান নেতার এক বিখ্যাত উক্তি তখন ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল অপরাধীদের সামনে। “এরকম তো কতই হয়...”

    বরুন বিশ্বাসের ওপর আক্রমণের কারন নিয়ে যদিও দ্বিমত আছে। অভিযুক্তদের দলবলের তরফে এর আগে বরুণবাবুকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ আছেই। সাথে ইছামতী-যমুনা নদী সংস্কারের সময়ে ঠিকাদারেরা টাকা তছরুপ করছে বলে অভিযোগ ওঠে । সেখানেও প্রতিবাদীদের সামনের সারিতে ছিলেন বরুণ। তার জেরেই এই খুন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে এলাকায়। গোবরডাঙার জামদানি এলাকায় একটি জমি থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা নিয়ে গোলমাল পাকিয়েছিল। বরুণ সরব হয়েছিলেন ওই বাসিন্দাদের পক্ষ নিয়ে। তার জেরে আরও কিছু শত্রু তৈরি হয়েছিল তাঁর। খুনের ঘটনার প্রেক্ষাপট তৈরিতে এই বিষয়টি কোনও ভাবে কাজ করেছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। যদিও সেটা অন্য দিনের গল্প।

    ও হ্যাঁ, এত লম্বা গল্প বলার কারনটাই বলা হয়নি এতক্ষন। এবার বলে ফেলি। কেরলে সাম্প্রতিক অতীতে গর্ভবতী হাতিকে নৃশংসভাবে হত্যা করার সাফাই দিয়ে ন্যারেটিভ নামাচ্ছেন যে বামপন্থী বন্ধুরা, তাঁদের অনুপ্রেরনার উৎসও কিন্তু সেই সর্বহারার মহান নেতা। প্রসঙ্গক্রমে এটাও বলে রাখি, ১৯৬৯ সালে সন্তানের রক্তমাখা ভাত মায়ের মুখে গুঁজে দেওয়া পিশাচের দলও এই কমরেডকুলই। আর কমরেডদের প্রতিটা নারকীয়তার পর এনারই সাফাই ছিল “এরকম তো কতই হয়...”।

    এই হল বামপন্থা। এরাই হল বামপন্থী। আর এই পৈশাচিকতাই হল মুখোশের আড়ালে এদের আসল মুখ। এদের চিনে রাখুন। এদের ঘৃণা করুন। এদের থেকে দুরে থাকুন। বর্তমান প্রজন্মকে বুঝিয়ে বলুন তারা কতটা ভাগ্যবান। কারন গর্বের ৩৪ এর অভিশপ্ত দিনগুলো তাদের দেখতে হয়নি।

    #তথ্য_কৃতজ্ঞতা: আনন্দবাজার আর্কাইভস, The Indian Express, Pinaki Mukherjee

  • বিপ্লব রহমান | ০৫ জুন ২০২০ ০৮:৪৫731834
  • শিবের গীতে বামপন্থার গুষ্টি উদ্ধার ভালোই। 

    সময় এসেছে "পাশবিক" কথাটির সংগা বদলে ফেলার।         

  • Saikat Mistry | ০৫ জুন ২০২০ ১০:২৩731835
  • @বিপ্লব রহমান, তাহলে এখন থেকে আল্লাগীত গাইতে হবে?

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:19b3:8f2e:c121:72e9 | ০৫ জুন ২০২০ ১০:২৫731836
  • সৈকতবাবু, বিপ্লববাবুর মন্তব্য "আরো কয়েকটি প্রশ্ন | 103.216.221.5 | ০৫ জুন ২০২০ ০১:৩৪" নিয়ে।
  • @saikat mistry | 2402:3a80:a07:a64e:0:30:64a3:3c01 | ০৫ জুন ২০২০ ১০:৩০731837
  • মুসলিম পদবী দেখেই আল্লাগীত বলে খোঁচা মারতে হল কেন, তাও আবার অকারণে, যেখানে উনি বোধহয় আপনার লেখা নিয়ে কিছুই বলেননি, লেখার কাউন্টারে মন্তব্য নিয়ে বলেছেন। আপনার লেখা নিয়ে বললেও অবশ্য শিবগীতের পাল্টা আল্লাগীত দৃষ্টিকটুই লাগত।
  • বিপ্লব রহমান | ০৫ জুন ২০২০ ১১:১৩731838
  • মান্যবর সৈকত মিস্ত্রী, 

    নিছকই বোঝার ভুল। তবু যে সাম্প্রদায়িক নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন, তা আপনার মূল লেখার মানবিক আবেদনের সাথে যায় না।  এই মানসিকতার লেখক  গুরুচণ্ডালীতে নিজ নাম পরিচয়ে  চড়ে বেড়াচ্ছেন, ভাবতেই অবাক  লাগছে, এ-ও এক অভিজ্ঞতা।    

    নামের ওপরে ক্লিক করলেই জানতেন, চণ্ডালের ধর্ম বিশ্বাস অনেক আগেই "ইন্তেকাল ফর্মাইয়াছে", তবে কোনো ধর্মকে অশ্রদ্ধার চোখে দেখার প্রশ্নই  আসে না।   

    আর "ধান ভানতে শিবের গীত" নেহাতই একটা প্রবচন, এ নিয়ে কচলানো একই সংগে বালখিল্যতাও। 

    ভাল থাকুন                       

  • PM | 45.124.5.248 | ০৫ জুন ২০২০ ১১:৩১731839
  • সৈকত ও কি ৭৫ পয়্সার পাব্লিক নাকি ?

    যাক গে এই পোস্ট গুলো চলুক। লোকের কাছে আরো পরিস্কার হবে, পঃ বঃ এ বিজেপি র আসল সমস্যা কি
  • Saikat Mistry | ০৫ জুন ২০২০ ১১:৩৫731841
  • "শিবের গীতের বামপন্থার গুষ্ঠি উদ্ধার"- ধান ভানতে শিবের গীতের সাথে "বামপন্থার গুষ্ঠি উদ্ধার" নিয়ে বিপ্লব বাবুর এত আপত্ত, বাকি থাকে সঙ্ঘীদের গুষ্ঠি উদ্ধার অথবা তিনু মনু বা " আল্লাগীত" বা " গাজীর গীতে"র গুষ্ঠি উদ্ধারের প্রসঙ্গ।" বাম পন্থার গুষ্টি" উদ্ধারে আপত্তি আছে মানলাম।তা কার গুষ্ঠি উদ্ধার করবেন স্পষ্ট করুন। পুনশ্চ " বামপন্থার গুষ্ঠি উদ্ধারক শিবের গীতের" বিপরীতে " আল্লা গীত", সঙ্ঘীগীত, মমতাময়ী গীতের " গুষ্টউদ্ধার"কে  যুক্ত করলাম।  দেখুন কার গুষ্টি আপনি উদ্ধার করেন? 

    ভালো থাকুন।পছন্দ মতো " বামপন্থার গুষ্ঠি উদ্ধারের  বিপরীতে" খুশি মতো " গুষ্ট উদ্ধার" করে চলুন।                

  • @ saikat mistry | 2402:3a80:a07:a64e:0:30:64a3:3c01 | ০৫ জুন ২০২০ ১১:৩৯731842
  • আপনি কি সত্যিই বুঝতে পারছেন না, ওই গুষ্টি উদ্ধার শিবের গীত আপনাকে বলা নয়, আপনার পোস্টের নিচে যিনি এই প্রসংগে বামপন্থা নিয়ে এসেছেন, তাঁকে বলা?
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:f543:865e:b618:2b3e | ০৫ জুন ২০২০ ১১:৫১731843
  • সৈকতবাবু বাজে ছড়াচ্ছেন। সেটা এখনো বুঝতে না পারলে বিপ্লব রহমানের নামের লিংকে ক্লিক করে তাঁর অন্য লেখাপত্র পড়লে একটু ধারনা হতে পারে।

    আর নামের শেষে রহমান দেখেই শিবের গীত-এর মত একটা প্রচলিত বাগধারার উত্তরে আল্লাগীতের খোঁচা আউটরাইট চাড্ডিপনা। সৈকতবাবু উদার, মুক্তচিন্তক বলেই জানতাম। এই প্রতিক্রিয়াতে আশ্চর্য হলাম।

    আর পিএমকে বলি, এটা থেকে যদি কারো সমস্যা বোঝা যায় তাহলে সেটা একজন বাম কর্মী সমর্থকের।

  • মুক্তচিন্তক | 51.15.95.135 | ০৫ জুন ২০২০ ১২:২১731844
  • অনেক মুক্ত চিন্তকদের দেখছি আজকাল মুখোশচিন্তক হয়ে যেতে 

  • Saikat Mistry | ০৫ জুন ২০২০ ১৩:৫১731847
  • @ বিপ্লব বাবু আপনার কাছে নিঃশর্তে দুঃখ প্রকাশ করছি আপনার প্রতি করা আমার মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যের আগে পিনাকী মুখার্জির " শিবের গীত" ও বামপন্থার " মুন্ডচ্ছেদ" করার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মন্তব্যটি আমি দেখিনি।ব্যস্ততার ফাঁকে আপনার উদ্দেশ্য মন্তব্যটি করেছি।বলাবাহুল্য  তা কদর্য ইঙ্গিত পূর্ণ। 
    হাতির মরার পর আঁটি সেল হানি নিয়ে হাতাহাতি করছিল।সাধারণ  সমাজবিমুখ লোক তাতে জুড়ে যাবে সেটা স্বাভাবিক। দিল্লিদাঙ্গা,লক্ষ লক্ষ  অভিবাসী শ্রমিককের প্রতি রাষ্ট্রের পাশবিকতার পরও এরও চুপ থাকে।কারণ এই অসমাজিকরা একদিকে ভিতু অন্যদিকে ধান্দাবাজ।এরাই ঘরে ফেরা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি চরম পাশবিক আচরণ করে।এদের এমন কাজে ক্ষুব্ধ হলেও চুপ ছিলাম।যারা সামাজিক মানুষ,কাণ্ডজ্ঞান আছে তারাও আঁটির  নাকি সুরে হাতি নিয়ে পোঁধরছিল।যা নেওয়া যায়না।
    আপনার লেখা পড়েছি।সচেতন মানুষ আপনি।এই নাকি ছঁদো" পশুপ্রেমিদের" মতো ( আগেরটা না দেখে, বামপন্থার গুষ্টিদ্ধোরের শিবের গীত এটুকুতে ফোকাস করে) আপনার বিচলন দেখে ধৈর্য হারিয়েছিলাম।আঁটির পোর সুর মনে করে একটা বিশেষ ইঙ্গিত করায় আমি যারপর নাই লজ্জিত।
    খুব শান্ত ভাবে সবটা দেখলাম।কদিন ধরে আঁটির হাতাহাতির পর দুঃখিত যন্ত্রণার্ত হয়ে প্রায় শেষরাত ভর লিখে,কেটে লেখাটা নামিয়েছিলাম জবাবহিসেবে।আপনার মতো সচেতন মানুষকে ভুল বুঝে খিস্তি করতে চেয়েও, শেষে হয়ত তারচেয়েও কদর্য ইঙ্গিতে গালাগালই করলাম।
    অত্যন্ত অস্বস্তি বোধকরছি,একটা অপরাধবোধ কাজ করছে।পারলে মার্জনা করলে কিছুটা মানসিক যন্ত্রণা লাঘব হতে পারে।
    অন্তত আপনার সাথে একবার কথা বলতে পারলে স্বস্তি বোধ করতাম।হাল্কা হতাম।ভালোথাকুন।

  • Saikat Mistry | ০৫ জুন ২০২০ ১৪:০৯731848
  • @বিপ্লব বাবু মান্যবরেষু, আপনি আমার পত্র দেখেছেন কিনা জানিনা।আপনি হয়ত ব্যথিত হয়েছেন।সেটা লাঘব করা সম্ভব নয়।কথা তীরের মতো।ছুঁড়লে ফেরত হয়না।কিন্তু বেখেয়ালে, আর লক্ষ্যস্থির করে ছোঁড়া তীরের  মধ্যে ফারাক থাকে এটুকুই বলার।হাতির মৃত্যুতে ভীষণ বিচলিত হয়েছি।তার থেকেও বিচলিত,ব্যথিত হয়েছি আঁটিসেলের ঘটনাটিকে নিয়ে ছড়ানো হিংসা, নোংরামি।আর গ্রামবাসীদের চোখ উপরে দেওয়ার মতো ন্যারেটিভ।সেই প্রেক্ষিতে আগাপাশতলা না দেখে একটা মন্তব্যের কিছুটাকে ফোকাস করে, ক্ষতিকর আঁটির সুরে ছেঁদো পশুপ্রেমে ডুবে যাওয়া " শত্রু" হিসেবে দাঁড়করিয়ে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে মন্তব্যটি করেছি।হয়ত এটা সাফাই।

    পুনশ্চ, এই ঘটনাটা আমাকেও বিচলিত করেছে।আবারও মনের অবচেতনে ফিরে ফিরে দেখতে হবে। সেখানে কোথায় জমে আছে অন্ধকার? উপড়ে ফেলতে হবে।আপনি না দেখে থাকলে,আপনার পরিচিত কোন সুধীজন এই পত্রটি দেখলে, আমার বার্তাটি আপনার কাছে পৌঁছেদিলে তাঁর প্রতিও কৃতজ্ঞ থাকব।

    বিনীত 

    সৈকত মিস্ত্রী    

  • Saikat Mistry | ০৫ জুন ২০২০ ১৪:১২731849
  • আর হ্যশট্যাগের টাইটেলে 'মুক্তচিন্তক' বলে ব্লগে যারা বা যিনি একপ্রকার 'টিজ' করলেন - আপনাদের পুরষ্কা, তিরষ্কার মাথা পেতে গ্রহণ করলাম। 

  • বামাল খ্যাপা | 52.66.211.131 | ০৫ জুন ২০২০ ১৫:৩৫731850
  • সত্যিই আজ অবচেতন কে খঁওজার সময় এসেছে এই সমাজের 

    ও মন তোর বাহির অঙ্গে ময়ূরপুচ্ছ অবচেতনে মাকড়শা 

    বাইরে সেকু চমক ঠমক অন্তঃপুরে অমিত শা 

  • বিপ্লব রহমান | ০৫ জুন ২০২০ ১৭:১৩731851
  •  সৈকত মিস্ত্রী, 

    দেরীতে হলেও বোঝার জন্য ধন্যবাদ।  কিল খেয়ে হজম করা রীতিমতো অভ্যাসে পরিনত হয়েছে, আর এ-তো ব্লগ বারান্দায় সামান্য ভুল বোঝাবুঝি।         

    আপনার মূল লেখার মানবিক আবেদনের সাথে ওই সাম্প্রদায়িক কটুক্তি যায় না দেখে খুবই অবাক হয়েছিলাম। 

    যা হোক,  আপনি সত্যিই উদার মনের মানুষ। আর আমিও মনে খেদ রাখিনি। 

    শুভ কামনা                

  • Saikat Mistry | ০৬ জুন ২০২০ ০১:২৬731853
  • "বামাল খ্যাপা" এমন পরিচিতি কে বা কারা নিতে পারেন, এই ব্লগ ঘেঁটে অনুমান করা গেল।অকারণ ছদ্মবেশ না নিলে বরং স্বচ্ছতা থাকত।

  • স্বচ্ছ খ্যাপা | 52.47.114.51 | ০৬ জুন ২০২০ ০৩:০৩731855
  • হে হে 

    ছদ্মবেশ কার খুলে মাটি তে গড়াগড়ি খেলো আর অবচেতন এর   চেতনা দিয়ে সাম্প্রদায়িক অপমানজনক মন্তব্য মেরামত করতে হলো সে তো স্পষ্ট . বুর্জোয়া আর প্রলেতারিয়েত এর বিভাজন এক কমেন্ট এ প্রকট হয়ে পড়লো তো .

    ম্যানিফেস্টো ভেসে যায় সাম্প্রদায়িক জলে 

    দাস ক্যাপিটাল মোহময়ী প্রিন্সিপল তার ভোলে 

    সেই তো ঘুরেফিরে একই গন্তব্যে সবার মোক্ষ লাভ , অন্তঃপুরে সবার ই মোটাভাই , তো কিসের বিভেদ ? কিসের বিপ্লব ? কোন সেই চেতনা যা অবচেতনায় আজো বিদ্যমান ? 

    আসুন না শ্রী রাম আর শ্রী শ্রী নরেন্দ্র জি র আশ্রয়ে , কিসের দ্বিধা ? এখন মুখোশ খুলে পড়ার পর তো আর যাদবপুরের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই . আপনি তো এখন মুক্তমনা থেকে গীতা র সেই মুক্তপুরুষ 

    রুপাদির আশ্রয়ে আসুন শ্রী শ্রী দিলীপ দা র সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করুন 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন