এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিউক্লিয়ার যুদ্ধ-ভয়টা কোথায় ?

    bip
    অন্যান্য | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ | ৮৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:২৯721513
  • নিউক্লিয়ার যুদ্ধ-ভয়টা কোথায়?
    (১)
    ২৭ শে অক্টবর ১৯৬২। কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস চূড়ান্ত লগ্নে। আমেরিকার ৪০ টি ডেস্ট্র্যয়ার এবং ৪ টি ক্যারিয়ার ঘিরে রেখেছে গোটা কিউবাকে। নেভাল ব্লকেড। খাবার এবং মেডিসিন ছাড়া অন্যকোন জাহাজকে কিউবাতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্রশ্চেভ মস্কো রেডিওতে বলছেন কেনেডি নেভাল ব্লকেডের মাধ্যমে কমিনিউস্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। অন্যদিকে আমেরিকা বলছে সোভিয়েত ইউনিয়ান কিউবাতে এস এস -৪ ইন্টারমিডিয়েট নিউক্লিয়ার ব্যালাস্টিক মিসাইল স্মাগল করে বসিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি টার্গেট এখন মস্কোর বাটন থেকে দশ মিনিট দূরে। সুতরাং সোভিয়েত ইউনিয়ানকে কিউবা থেকে নিউক্লিয়ার মিসাইল তুলতে হবে আগে। নইলে আমেরিকান নেভি সম্পূর্ন প্রস্তুত কিউবা আক্রমন করতে। আর তার জন্য যদি সোভিয়েত ইউনিয়ান নিউক্লিয়ার যুদ্ধে যায়-আমেরিকাও পালটা মার দিতে রেডি। বিশেষত তার হাতে ৫০০০ নিউক্লিয়ার ব্যালাস্টিক মিসাইল যেখানে সোভিয়েতের হাতে সেই ৬২ সালে মোটে শ তিনেক মিশাইল । এবং তাদের লক্ষ্যভেদের ক্ষমতাও দুর্বল।

    কিউবার পতন প্রায় আসন্ন। সেই দিনই ফিদেল ক্যাস্ত্রো ক্রসচেভের কাছে নিবেদন পাঠিয়েছেন, কিউবাতে জমা করা নিউক্লিয়ার মিসাইলগুলি দিয়ে ক্যাপিটালিজমের পিতৃভূমি আমেরিকা ধ্বংস করুক।

    I believe the imperialists' aggressiveness is extremely dangerous and if they actually carry out the brutal act of invading Cuba in violation of international law and morality, that would be the moment to eliminate such danger forever through an act of clear legitimate defense, however harsh and terrible the solution would be,--Castro , Telegram to Khruschev , Oct 26

    কিউবার প্রতিটি সক্ষম নাগরিককে অস্ত্র তুলে দেওয়া হল কাস্ত্রোর নির্দেশে। আমেরিকান নৌবহর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে কিউবার দিকে। কিউবার দাবী তত প্রবল হচ্ছে যাতে সোভিয়েত ইউনিয়ান নিউক্লিয়ার মিশাইল ছুঁড়ে প্রতিহত করে, বাঁচিয়ে রাখে এই নবীন কমিনিউস্ট রাষ্ট্রকে

    Direct aggression against Cuba would mean nuclear war. The Americans speak about such aggression as if they did not know or did not want to accept this fact. I have no doubt they would lose such a war. —Ernesto "Che" Guevara, October 1962

    নিউক্লিয়ার যুদ্ধে আসন্ন ধরে নিয়ে আমেরিকার স্কুল কলেজে নিউক্লিয়ার এটাক হলে কি কি করতে হবে তার মহড়া শুরু গোটা আমেরিকা জুরে। কেনেডি বারংবার ভাষন দিচ্ছেন কিভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ান গোটা বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ানে ক্রশ্চেভের হোলদোল নেই। তারকাছে ফিদেল এবং কিউবা তার মাস্টার চালের বোরে। কিউবাতে নিউক্লিয়ার মিশাইল পাচার করার একটাই উদ্দেশ্য। কিউবাকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকার সাথে দরাদরি করা-যাতে ইটালি এবং তুরস্কে বসানো আমেরিকান মিসাইল তুলে নিতে বাধ্য করা যায়।

    যুদ্ধ প্রায় শুরু, এমন অবস্থায় চারটে সোভিয়েত সাবমেরিনের উদয় হল ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে। এগুলো ডিজেল সাবমেরিন, কিন্ত সাথে নিউক্লিয়ার টর্পেডো। উদ্দেশ্য, যুদ্ধ শুরু হলে, আমেরিকার নেভাল ব্লকেডকে আক্রমন করা।

    কিন্ত ডিজেল সাবমেরিন লুকিয়ে রাখা মুশকিল বিশেষত যেখানে আমেরিকার ১১ টি ডেস্ট্রয়ার সাবমেরিনগুলোকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ডিজেল প্রযুক্তির সমস্যা এই যে, সাবমেরিনগুলোর ব্যাটারি চার্জ করার জন্য জলের ওপরে তিনদিনে একবার উঠতেই হয়। এই নয় যে সোভিয়েত ইউনিয়ানের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ছিল না তখন। কিন্ত কিছু দিন আগেই তাদের প্রথম প্রজন্মের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কে-১৯ এ ঘটেছে বিপুল এক্সিডেন্ট। নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর ব্ল্যাস্ট হওয়া থেকে বেঁচে গেছে। কিন্ত নিয়ে গেছে ৩০ টি সাবমেরিনার সেনার প্রাণ। ফলে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তখন কিছুদিনের জন্য ডিকমিশনড।

    ওই চারটি সাবমেরিনের একটি বি-৫৯। দুদিন জলের তিনশো ফুট নিচে। অসহ্য গরম। এই সাবমেরিনগুলো আর্টিক সাগরের প্রবল ঠান্ডায় অভ্যস্থ। ফলে এদের এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম বাজে। দুদিন ধরে জলের তলায় প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগেড তাপমাত্রায় ভাজা হচ্ছেন সাবমেরিন সেনারা। জলের রেশন শেষ হয়ে আসছে। কিন্ত ওপরে উঠলেই ধরা পরে যাবে আমেরিকার নেভির কাছে। এদিকে ব্যাটারি চার্জ মাত্র ২০% বাকি।

    আমেরিকান ডেস্ট্রয়ারগুলো ক্রমাগত ডেপথ চার্জ করে চলেছে। এর যেকোন একটা লাগলেই পঞ্চাশজন সেলরের সলিল সমাধি নিশ্চিত।

    আমেরিকান নেভির হাতে মৃত্যু নিশ্চিত-সাবের ভেতরে সাব হিউমান কন্ডিশন, এমন অবস্থায় সাবের ক্যাপ্টেন ঠিক করলেন, এবার নিউক্লিয়ার টর্পেডো ছাড়া উপায় নেই। সোভিয়েত প্রোটোকল অনুযায়ী নিউক্লিয়ার মিশাইল সাব থেকে ছাড়ার জন্য তিনজনের সহমত দরকার--ক্যাপ্টেন, পলিটিক্যাল অফিসার এবং সেকন্ড অফিসার ভ্যাসিলি আর্কিপভ। ভ্যাসি আর্কিপভ সেকন্ড অফিসার হলেও, গোটা ফ্লিটের সর্বাধিনায়ক-এবং সেই সূত্রে তিনি ক্যাপ্টেনের বস।

    ক্যাপ্টেন এবং পলিটিক্যাল অফিসার একমত-এত যখন ডেপথ চার্জ মারছে আমেরিকান নেভি, যুদ্ধ নিশ্চয় শুরু হয়ে গেছে। ফলে নিউক্লিয়ার মিসাইল ছাড়া যাক।

    ভ্যাসিলি একমত হলেন না। নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং রেডিয়েশন কি ভয়ংকর হতে পারে, তা সাক্ষাত দেখেছেন ভ্যাসিলি কে-১৯ বিস্ফোরনে-যাতে হারিয়েছেন ৩০জন কমরেড। মস্কোর সাথে কথা না বলে, নিউক্লিয়ার ট্রিগারে হাত দিতে চাইলেন না ভ্যাসিলি।

    এবং পৃথিবী বেঁচে গেল এক মহাযুদ্ধ থেকে, যার ফলে পৃথিবীর মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত ছিল।

    কিন্ত নিউক্লিয়ার টেনশন শুরু হলে সর্বত্র পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য ভ্যাসিলি আর্কিপভ থাকবেন না । বরং ফিদেল, চে বা রুজভেল্টের মতন রাজনৈতিক লোকজনই ক্ষমতায় সর্বত্র-যারা তাদের রাজনৈতিক গোলকে মানুষের জীবনের থেকেও বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা ইম্পিয়ারিলিস্টিক, কমিনিউস্ট, হিন্দু এবং ইসলামিক রাজনীতির হলমার্ক। এবং সেইজন্যই নিউক্লিয়ার যুদ্ধের আবহ শুরু হওয়া বেশ ভয়ংকর।

    (২)

    অনেকেই দেখছি লেখা লেখি করছে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে, ভারতে খুব বেশী হলে কিছু লোক মারা যাবে, কিন্ত পাকিস্তান সম্পূর্ন ধ্বংস হবে।

    খুব ভুল ভাবছেন জনগণ। পাকিস্তান নিজেও জানে নিউক্লিয়ার যুদ্ধে তাদের এডভ্যান্টেজ নেই। এবং নেই বলেই এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাটা বেশ ভয়ংকর -বিশেষত শক্র রাষ্ট্রের নাম যদি হয় পাকিস্তান।

    এর কারন স্যুটকেস নিউক। নিউক্লিয়ার মিশাইল ছুঁড়বে না পাকিস্তান-কারন তাতে তাদের নিজের দেশই ধ্বংস হবে। ভারতের হাতে কোনঠাসা হলে পাকিস্তান নিউক্লিয়ার সন্ত্রাসবাদকে কাজে লাগাবে।

    সুটকেস নিউক বহু পুরাতন প্রযুক্তি। এটোমিক ডিমোলিশন মিউনিশন বলে মিনি এট্মিক বম্ব প্রযুক্তি নিয়ে আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ান কোল্ড ওয়ারের সময় বহু আকারে ছোট ছোট এটমিক বম্ব বানিয়েছিল। এর মধ্যে সব থেকে ভয়ংকর সোভিয়েতের তৈরী সুটকেস বম্ব । এগুলোর ওজন মোটে ত্রিশ কিলো-একটা ২০ বাই ২০ ইঞ্চির স্যুটকেস বা ল্যাপটপের সমান সাইজ। ১ কিলোটনের কাছাকাছি ক্ষমতা। ব্ল্যাস্ট রেডিয়াস তিনশো ফুট।

    এগুলো শহরের মধ্যে ফাটালে সঙ্গে সঙ্গে ১০০ মিটারের বিল্ডিং ধ্বসে যাবে। এক স্কোয়ার কিলোমিটারের মতন জায়গা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। ধরুন এটা নিউমার্কেট বা হাওড়া স্টেশনে ফাটল। সঙ্গে সঙ্গে কয়েক লাখ লোকের মৃত্যু অবধারিত। এবং এই বোম ফাটানো কোন ব্যাপার না। কারন একটা হ্যান্ড সুটকেস স্মাগল করা এক দেশ থেকে অন্যদেশে খুবই সহজ।

    যার জন্য ২০০৮ সালে ইউ এনএর ভাষনে এটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান এল বারাদি জানিয়েছিলেন, নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রায় নেই। কিন্ত নিউক্লিয়ার টেটরিজম সময়ের অপেক্ষা মাত্র। যদি নিউক্লিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়, তা নিউক্লিয়ার টেটরিজম দিয়েই হবে।

    কতটা বাস্তব স্যুটকেস নিউক? আমেরিকাতে ১৫ টা এমার্জেন্সি কোড আছে। যেমন সাইক্লোন, প্লেগ এপিডেমিক ইত্যাদি। এর মধ্যে নাম্বার -১ কোড নিউক্লিয়ার টেটরিজম। আমেরিকা এই নিয়ে একটা ইন্টালিজেন্স কমিটি বসিয়েছিল। তারা জানিয়েছে স্যুটকেস নিউক স্মাগল আটকানো কঠিন। ফলে স্যুটকেস নিউক কোন না কোন দিন টেররিস্টরা ফাটাবে এটা ধরে নিয়েই, আমেরিকা প্রস্তুতি নিয়েছে।

    ভারতের এই ধরনের কোন প্রস্তুতি নেই। ভারত বিপুল খরচ করেছে মিসাইল ডিটারেন্টে। এগুলো ফালতু খরচ। পাকিস্তান মিশাইল ছুঁড়বে না-কারন তাহলে তাদের মৃত্যুও নিশ্চিত। তারা স্যুটকেস নিউক বানিয়ে টেররিস্টদের দেবে। এদ্দিন দেয় নি, তার কারন সম্ভবত একটাই যে মিলিটান্টরা পাকিস্তানে তা উলটে ফাটাবে না, তার নিশ্চয়তা সম্ভবত নেই। কিন্ত কোনঠাসা হলে এসব বদলাবে।

    শান্তির কোন বিকল্প নেই। ভারত এবং পাকিস্তানের সাধারন লোকজন যাতে নিউক্লিয়ার অস্ত্র মুক্ত, ধর্মের জঞ্জাল মুক্ত , মিলিটারী মুক্ত একটা ভবিষ্যত পায়, সেটাই কাম্য হওয়া উচিত।
  • avi | 37.63.184.160 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:২৪721517
  • ভালো লেখা।
    ওই ৬২র কিউবান ক্রাইসিস পড়ে দুটো কথা একসাথে মাথায় এল। এক, ওই সময়টাতেই একদম দিনক্ষণ মিলিয়ে ভারত চীন যুদ্ধ শুরু ও শেষ হয়। দুই, এই যুদ্ধটাকে আটকেই না অনুকূল ঠাকুর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিহত করেছিলেন?
  • সিকি | 165.136.80.172 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৩১721518
  • হ্যাঁ হ্যাঁ, সেই নিকিতা ক্রুশ্চেভ তাল ঠুকিতেছিলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়-হয় ... টি কই?
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ১০:০৫721520
  • ঐতিহাসিক দিন - ঐ দিন দুটো ঘটনা ঘটেছিল।

    প্রথমটি - এক আমেরিকান U-2 স্পাই প্লেন, আলাস্কা থেকে ভুল করে রাশিয়া ঢুকে পরে - কারণ অরোরা বোরিয়েলিস বা নর্দান লাইট্‌স সেদিন এত উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল আকাশে যে পাইলট চার্ল্‌স মল্ট্‌সবি কিছুক্ষণের জন্যে পথভ্রষ্ট হন। সোভিয়েত ভেবেছিল যে ওটি নিশ্চয়ই কোনো নিউক্লিয়ার বম্বওয়ালা প্লেন, তাই সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি মিগ বিমান পাঠায় ওটিকে ধ্বংস করার জন্য। সেই দেখে আমেরিকা দুটি এফ-১০২ বিমান পাঠায়, পেটের মধ্যে নিউক নিয়ে। যাই হোক, কিছু হবার আগেই মল্ট্‌সবি প্লেনটি আমেরিকার ভূমিতে নামিয়ে আনেন।

    ঐ একই দিনে, আমেরিকার অন্য প্রান্তে কিউবার কাছে বি-৫৯ সাবমেরিনের ঘ্টনাটি ঘটে, বিপ যা লিখেছে।

    দুটির যে কোনোটিতেই নিউক্লিয়ার যুদ্ধ শুরু হতে পারত। ঐ দিনটিতেই নাকি ক্লোজেস্ট কল হয়েছিল।

    এর পরের দিনই, কেনেডি আর ক্রুশ্চেভ এর মধ্যে বার্তা প্রদান হয়। কেনেডির শান্তি প্রস্তাবের উত্তরে, ক্রুশ্চেভ যে চিঠিটি লেখেন সেটি মস্কো রেডিও থেকে প্রচারিত হয় ---

    "Dear Mr. President, I have received your message of October 27. I express my satisfaction and thank you for the sense of proportion you have displayed and for realization of the responsibility which now devolves on you for the preservation of the peace of the world. I regard with great understanding your concern and the concern of the United States people in connection with the fact that the weapons you describe as offensive are formidable weapons indeed. Both you and we understand what kind of weapons these are. In order to eliminate as rapidly as possible the conflict which endangers the cause of peace, to give an assurance to all people who crave peace, and to reassure the American people, who, I am certain, also want peace, as do the people of the Soviet Union, the Soviet Government, in addition to earlier instructions on the discontinuation of further work on weapons construction sites, has given a new order to dismantle the arms which you described as offensive, and to crate and return them to the Soviet Union."
  • ranjan roy | 192.69.185.198 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ২০:৩৬721521
  • লসাগুকে ধন্যবাদ, বক্তৃতাটি তুলে দেবার জন্যে।
    ঘটনাটি ওপর ওপর জানতাম, সঠিক বক্তব্যটি নয়।
    কৈশোর ও যৌবনে ক্রুশ্চেভকে অনেক গাল দিয়েছি ওঁরঃ
    শান্তিপূর্ণ সহাব্স্থান,
    শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতা,
    শান্তিপূর্ণ উত্তরণ
    এর মাধ্যমে সমাজতন্ত্রে পৌঁছনোর শর্টকাট বাতলানোর জন্যে।
    এখন দেখছি এক দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতার ছবি--- মার্কিন নৌবহর কিউবা থেকে রাশিয়ান জাহাজ ও সামরিক হার্ডওয়ার খানাতল্লাসী করে তবে ফিরে আসতে দিয়েছিল। এই আপাত হিউমিলিয়েশন বিশ্বশান্তির জন্যে মেনে নেওয়া কম কথা নয়।
  • দেব | 135.22.193.148 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ২০:৪২721522
  • গপ্পোটা শেষ করুন। কেনেডি ক্রুশ্চেভের দাবী মেনে তুরস্ক ও ইটালী (নিশ্চিত নই) থেকে মিসাইল তুলে নিলেন। কিন্তু দেশদুটোতের নিউক বোমাওয়ালা প্লেন রেখে দিলেন। এইটা ক্রুশ্চেভ মেনে নিলেন কারণ তুরস্ক থেকে প্লেন উড়ে রাশিয়ার বড় শহর গুলোতে পৌঁছতে অনেক সময় লাগবে। যুদ্ধ বাধলে তার আগেই সব শেষ। রাশিয়াও কিউবা থেকে আস্তানা গোটালো।

    এই ব্যাপারটা অবশ্য পাবলিকের কাছে চেপে যাওয়া হয়েছিল।

    পাকিস্তান যে নিউক যোগাড় করেছে এটা একদিন না একদিন হতই। হয়ে একরকম স্টেবিলিটিও এসেছে। যুদ্ধ হওয়া আর সম্ভব নয়। পরস্পরকে খোঁচানো চলবে অবশ্য।
  • avi | 113.220.208.35 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ২০:৫২721523
  • তুরস্ক থেকে দনেৎস্ক, বাকু বা সেবাস্তিপোল তো খুব একটা দূর না। কিয়েভ বা খারকভও তো ম্যাপে মোটামুটি কাছেই লাগে।
  • দেব | 135.22.193.148 | ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ২১:১৭721524
  • @অভি

    হ্যাঁ তবে ঐটুকু সহ্য করেছিলেন আরকি। তাছাড়া মিসাইলের থেকে বোমারু বিমান অনেক ধীরতর এবং গুলি করে নামানো সহজ। লিমিটেড নিউক ওয়ার বলে তো কিছু হয়না তাই ধরে নেওয়াই ছিল নিউক ছুঁড়লে সবচেয়ে বড় শহরগুলোর ওপরেই পড়বে এবং সেটা মিসাইলই হবে।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ১২:২৮721514
  • Khruschev was winner..he got what he wanted out of Cuban missile crisis.
    But communist party thought it otherwise...
  • :-O | 190.179.40.51 | ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ১২:৫০721515
  • তুরস্ক থেকে না হয় তুলে নিলো কিন্তু পশ্চিম ইউরোপের কোনো জায়গায় আর কোনো মার্কিন নিউক মিসাইল মোতায়েন ছিল না ? ;-)
  • bip | 183.67.3.44 | ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ১৯:২১721516
  • অনেক জায়গাতেই ছিল। কিন্ত তুরস্ক আর ইটালিরগুলো ছিল সব থেকে কাছে। ৫০০০ মিসাইল তাক করা ছিল মস্কোর দিকে। দুর্জনেরা বলে নিজের মিসাইলের কার্যক্ষমতার ওপরে ভরসা ছিল না ক্রসচেভের। ফলে যা পাওয়া যায়, তাই ভাল বলে মেনে নিয়েছিলেন আর কি। তাছাড়া আমেরিকার অনেক কার্যকরি বাঙ্কার ছিল-যা সোভিয়েতের ছিল না। নিউক্লিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে আমেরিকাতে ১০০-২০০ মিসাইল পড়ত-এলো পাথারি। তাতে আমেরিকার ক্ষতি হলে অধিকাংশ শহর বেঁচে যেত সেই ১৯৬২ সালে যখন সোভিয়েতের হাতে মোটে ২৫০ নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড। কিন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ানের কোন শহর বাঁচত না। কিউবাত দশ মিনিটেই ধ্বংশ হত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন