এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শুভময় ভট্টাচার্য্য | 11.39.56.199 | ১০ জুলাই ২০১৬ ১৩:০৬717789
  • বিশুবাবু ও পুঁটি বিষয়ক একটি অরাজনৈতিক কথন।

    বাঁশ আর বাঁশের চাটনি যেমন এক নয় তেমনি আসন সামঝোতা আর জোট আলাদা ফান্ডা,। ঘাসফুলিয় ঠাপে যে হাতে হাতুরি অবস্থা তা দেখে আমার পোষা অলস বিড়ালের কথা মনে পরে যে বিপদে পড়লে গাছে উঠতো,তো একদিন হয়েছি কি পাশের বিশু বাবুর বাড়ি থেকে একটি ইলিশ মাছের টুকরো নিয়ে পুঁটি(আমার পোষ্য বিড়াল) পালায়, বিশুবাবুও ছাড়ার পাত্র নন, হাতে লাঠি নিয়ে পুঁটিকে তাড়লেন, সে এক সিন সামনে পুঁটি, পেছনে বিশু,হাতে লাঠি, পুঁটি বিপদ বুঝে, সপাটে উঠিলো আম গাছে, ঐ গাছে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির একটি মই লাগানো ছিলো, বিশুবাবু আগুপিছু, নাহি ভাবিয়া কিছু, মই বেয়ে উঠিলেন
    পুঁটির পিছুপিছু। পুঁটি মগডাল পানে ধাববান, পশ্চাতে বিশুবাবু আগুয়ান,।»হঠাৎ ক্লাইম্যাক্সে মই মালিকের আমদানি এবং মই নিয়ে নির্বিকার রপ্তানি।»পুঁটি ততক্ষনে মগডালে, বিশুবাবুও যতাক্রমে ঐ মগডালে হাতে উধ্যত লাঠি, এমন সময় পুঁটি অবিকল মানুষের গলায় বলে উঠলো
    "মই তো গেছে সরে
    বিশু তুই নামবি কি করে
    গাছ থেকে পরে
    প্রান যাবে বেঘোরে"
    শুনে বিশুর ফেরে হুঁস
    মাথা ঘুরে প্রায় বেহুশ।তাদেখে পুঁটির হলো মায়া। বিশুবাবু ও বিপদ বুঝে নিপাট বাঙালিদের মতো পুটিকে আরো মাছ খাওয়ানোর প্রস্তাব দিলেন, পরিবর্তে পুঁটি যেন তাকে গাছ থেকে
    হেল্প করে, পুটি রাজি হয় বাড়িয়ে দেয় সাহাজ্যের থাবা।»এরপর গাছ থেকে পুঁটির সাহাজ্যে বিশুবাবুর অবতরণ।
  • Subhamoy Bhattacharyya | ০৪ আগস্ট ২০১৬ ০৯:২৭717790
  • মহান গোসন্তানদের হাতে ক্যালান খেয়ে গুজরাটি দলিতরা নাকি মৃতগোমাতার দেহ থেকে চামরা ছারাবে না ? ঐ নামানুষ ছোটোলোকের দল গুলি না কি মৃতপশু দেহ ভাগাড়ে নিয়ে যাবে না। তো কি ভেবেছিস শ্লা নরকের কিটের দল, তোরা আগের জন্মে পাপ করেছিলি তাই এ জন্মে দলিত হয়েছিস। সেকি আমাদের দোষ, মহান মনুই তো এ ব্যাবস্থা করে গেছেন, তোরা পা থেকে জন্মেছিস, ঐ পায়ের তলাতেই থাকবি, আমরা আমাদের গোমাতার দেহ চিতাতেই পোড়াবো, দেখি তোরা কি ছিঁড়িস? এই ভেবে এক গোসন্তান তার মৃত গোরুটিকে চিতাস্ত করলেন,এ বার্তা দিকে দিকে গেলো রটে, এরপর যা ঘটলো তা ঐ গোশাবকের কল্পনাতীত ছিলো, যা ঘটলো তা নিম্নরূপ,
    গোরক্ষা দপ্তরের দিকপালরা হাজির হলেন ঘটনাস্থলে, প্রবল ক্রোধে তারা ফরমান জারি করলেন যে মৃত গোরু পোড়ানো, শাস্ত্রমতে গোকাবাব রন্ধনের মতোই অপরাধ, তারা ঝাপিয়ে পরলেন ঐ গোশাবকের উপর, চল্লো এলোপাথারি মার, রড, ত্রিশুল আর তলোয়ার সহযোগে, অল্প প্রচেষ্টাতেই ঐ গোসন্তান ইহলোক ত্যাগ করলেন, তার নশ্বরদেহ একই চিতাতে ছুড়ে ফেলে বীরদর্পে গৃহমুখি হলেন গোরক্ষা সমিতির দিকপালেরা, আর আবহে ঐ গোশাবকের খুড়তুতো ভাই তার লোলুপ দৃষ্টি দিয়ে মেপে নিলেন গোশাবকের ফেলে রাখা জমিন জায়দাদ।
  • শুভময় ভট্টাচার্য্য | 52.106.175.148 | ১৪ মে ২০১৭ ১৩:০২717792
  • মাথা ঘেঁটে যায় বিজ্ঞাপনে।।
    শুভময় ভট্টাচার্য্য

    দুনিয়া বহুতি আজিব চিস হ্যায়, সাদা পোষাকের মানুষের দাম বেশি, কিন্তু সাদা মুরগির দাম রঙিন মুরগির থেকে কম, দিশি সবজির ঘ্যাম বিদেশি সবজির থেকে বেশি, তো দেখা যাচ্ছে যে সাদা বা বিদেশি হলেই যে তার মুল্য বেশি হবে তার কোনো মানে নেই, এ কথা বেশ ভালোই বুজেছিলো পতান্জলী, স্বদেশী সেন্টুর সাথে আয়ুর্বেদ মিশিয়ে, ল্যাঙ্গট পরিহিত দাঁড়িবাবাকে মডেল করে, যে ব্যাবসার বা বিজ্ঞাপনের নতুন দিগন্ত খোলা যায়, তা আমাদের দেশের বৃহৎ শিল্পপিতারা বুঝতে পারেননি, ফলে ডাবরের সাবেকি মধু দশ গোল খেলো পতান্জলীর কাছে, সোসালমিডিয়া যতই খিল্লি করুক না কেন, ধুতি চাদর সজ্জিত বালযোগী সুটেডবুটেড সিইওদের রাতের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছেন, নিন্দুকেরা একে দেশপ্রেমের পন্যায়ন বলতেই পারেন কিন্তু তাতে বানিজ্যের কিছু যায় আসেনা, যেমন ম্যাগিতে যে রসায়ন ব্যাবহার করা হয়, পতান্জলীর নুডলসেও সেই একই রসায়ন থাকে, কিন্তু স্বদেশিয়ানার মোড়কে তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়না, পতান্জলীর টুথব্রাশকেও আমাদের আয়ুর্বেদিক বলেই মনে হয়, যাক গে সে কথা, পন্যের মোড়কের( যেখানে পন্যের বিবরন দেওয়া থাকে) থেকে আমরা বিজ্ঞাপনকেই ধ্রুব সত্য বলে মানি, সাধে কি আর কয়েক হাজার টন ফেয়ার এ্যান্ড লাভলি মেখেও বাস্তবের কালো মেয়েরা ফর্সা হয়না, তবুও বিক্রি কমেনা,কমবেও না, বস্তুত বিজ্ঞাপনও একটি পন্য যা আমরা নিরন্তর কিনেই চলি খবরের কাগজে বা টিভিতে, যেহেতু নিজের কেনা মাল তাই অবিশ্বাস করতেও মন চায়না, আবার দোলাচলেও দুলি, ঘেঁটে ঘঁ হয়ে যায়,
    তাই শঙ্খবাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলি,
    মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে
    "মাথা ঘেঁটে যাক বিজ্ঞাপনে"
  • শুভময় ভট্টাচার্য্য | 52.106.175.148 | ১৪ মে ২০১৭ ১৩:০২717791
  • মাথা ঘেঁটে যায় বিজ্ঞাপনে।।
    শুভময় ভট্টাচার্য্য

    দুনিয়া বহুতি আজিব চিস হ্যায়, সাদা পোষাকের মানুষের দাম বেশি, কিন্তু সাদা মুরগির দাম রঙিন মুরগির থেকে কম, দিশি সবজির ঘ্যাম বিদেশি সবজির থেকে বেশি, তো দেখা যাচ্ছে যে সাদা বা বিদেশি হলেই যে তার মুল্য বেশি হবে তার কোনো মানে নেই, এ কথা বেশ ভালোই বুজেছিলো পতান্জলী, স্বদেশী সেন্টুর সাথে আয়ুর্বেদ মিশিয়ে, ল্যাঙ্গট পরিহিত দাঁড়িবাবাকে মডেল করে, যে ব্যাবসার বা বিজ্ঞাপনের নতুন দিগন্ত খোলা যায়, তা আমাদের দেশের বৃহৎ শিল্পপিতারা বুঝতে পারেননি, ফলে ডাবরের সাবেকি মধু দশ গোল খেলো পতান্জলীর কাছে, সোসালমিডিয়া যতই খিল্লি করুক না কেন, ধুতি চাদর সজ্জিত বালযোগী সুটেডবুটেড সিইওদের রাতের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছেন, নিন্দুকেরা একে দেশপ্রেমের পন্যায়ন বলতেই পারেন কিন্তু তাতে বানিজ্যের কিছু যায় আসেনা, যেমন ম্যাগিতে যে রসায়ন ব্যাবহার করা হয়, পতান্জলীর নুডলসেও সেই একই রসায়ন থাকে, কিন্তু স্বদেশিয়ানার মোড়কে তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়না, পতান্জলীর টুথব্রাশকেও আমাদের আয়ুর্বেদিক বলেই মনে হয়, যাক গে সে কথা, পন্যের মোড়কের( যেখানে পন্যের বিবরন দেওয়া থাকে) থেকে আমরা বিজ্ঞাপনকেই ধ্রুব সত্য বলে মানি, সাধে কি আর কয়েক হাজার টন ফেয়ার এ্যান্ড লাভলি মেখেও বাস্তবের কালো মেয়েরা ফর্সা হয়না, তবুও বিক্রি কমেনা,কমবেও না, বস্তুত বিজ্ঞাপনও একটি পন্য যা আমরা নিরন্তর কিনেই চলি খবরের কাগজে বা টিভিতে, যেহেতু নিজের কেনা মাল তাই অবিশ্বাস করতেও মন চায়না, আবার দোলাচলেও দুলি, ঘেঁটে ঘঁ হয়ে যায়,
    তাই শঙ্খবাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলি,
    মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে
    "মাথা ঘেঁটে যাক বিজ্ঞাপনে"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন