এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে দু-চার কথা

    Dipankar
    অন্যান্য | ০১ এপ্রিল ২০১৬ | ১৩৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipankar | 213.197.123.130 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৬:৫৫704580
  • কাল গিরিশপার্কের কাছে ফ্লাইওভার ভেঙে পড়েছে। সব জায়গাতেই দেখছি ইঞ্জিনিয়ার দের কি করা উচিৎ ছিল, আর তারা কি করেনি, তা নিয়ে অনেক আলোচনা। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এবং খেলোয়াড় - এই তিন শ্রেণীর মানুষের বড় সমস্যা। কারণ এরা যাই করে, আর পাঁচজন নাকি সে কাজ অনেক ভাল করে করতে পারত!
    আমি শিবপুর থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বেরোবার দুবছরের মাথায় বাবা আমাদের বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেয়। যথারীতি রাজমিস্ত্রি ডেকে তার পরামর্শ মতোই সব কিছু হচ্ছিল। আমিও খুব একটা গা করিনি, বাবাও আমাকে জড়ায়নি। আমি নিজে থেকেই মাথা গলিয়েছিলাম দোতালার হল ঘরের ছাদ টা ঢালাই হবার আগে। এই হল ঘরটা লম্বায় এবং চওড়ায় অনেকটা বড়। প্রায় ত্রিশ ফিট লম্বা, ষোলো ফিট চওড়া। মাঝে একটা বীম দেওয়া হবে, যাতে লম্বা টা দুভাগ হয়ে যায়। মিস্ত্রি সেই বীমের যা খাঁচা বেঁধেছিল তা দেখে আমার মন টা কেমন করে উঠল। আমি নিজে অঙ্ক করে দেখলাম বেশ বড় ডেপথ দরকার। তার সাথে দরকার বাড়তি লোহার রড। বাবা কে বললাম সে কথা। বাবা রাজমিস্ত্রির সাথে কথা বলল। রাজমিস্ত্রি তো আমার দাবী শুনে হেসে অস্থির। বাবা কে বললল, বাবু, ওনার কথা অনুযায়ী চললে তো আপনার খরচ তিনগুন হয়ে যাবে।আমরা কি আর এ কাজ প্রথম করছি?
    আমার বাস্তব বিদ্যেবুদ্ধির ওপর তেমন ভরসা বাবার কোনদিনই ছিল না। বলা বাহুল্য, এবারও বাবা খুব একটা পাত্তা দিতে চায়নি আমার কথা। আমিও একটু হতাশ। নিজে দেখছি অঙ্ক করে, কি করে বোঝাই সেটা। আমার কলেজ তথা অফিসের বন্ধু স্বপন কে ধরলাম। ভাই, তুই একবার দেখ তো অঙ্ক টা। স্বপন ও একই কথা বলে। বাবা কে এসে সে কথা বলতে এবার একটু লাভ হল। মিস্ত্রি ও কিছু একটা বুঝলো। আবার সেই বীমের খাঁচা খুলে নতুন করে বাঁধা হলো। তবে বাড়ালেও আমার হিসেব পুরোটা নেয়নি।
    যে কারনে এসব ঘরের কথা পাঁচকান করলাম তা হল ইঞ্জিনিয়ার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং - এই দুটো আমরা সাধারণ মানুষ কি চোখে দেখি আর কি মনে ভাবি তা বোঝাতে। আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং টাকে আমরা খুব সস্তা একটা বিষয়ে নামিয়ে এনেছি। ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে এখানে আমি অবশ্য বোঝাতে চাইছি কোর সেক্টর, মানে সিভিল, ইলেক্ট্রিকাল আর মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথা। ছোট বড় যে কোন প্রোজেক্ট-এর যথাযথ রূপায়নের জন্যে এই তিন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং ভাল ভাবে হওয়া এবং তাদের মধ্যে মেলবন্ধন ভীষণ জরুরি জিনিষ। দু ধরনের ইঞ্জিনিয়ার হয়। একদল, যারা অঙ্ক ইত্যাদী করে ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যানিং এবং ডিজাইন করবে। আর দ্বিতীয় দল, যারা এই সব কিছুর মধ্যে যথাযথ মেলবন্ধন ঘটাবে। সাধারণ ভাবে দ্বিতীয় শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ারিং কে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বলে। এরাই প্রাথমিক ভাবে ক্লায়েন্টের সাথে আলোচনা করবে তার চাহিদা নিয়ে। সেই চাহিদা ব্যাখা করবে কোর ইঞ্জিনিয়ারিং টিম কে। কোর টিম তখন সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রাথমিক প্ল্যানিং এবং এস্টিমেশন করবে। সেই তথ্য একত্রিত করে সাজিয়ে তা ক্লায়েন্টকে ব্যাখা করবে দ্বিতীয় টিম। আলোচনা শেষে এগ্রিমেন্ট হবে, তার আগে দর-কষাকষি হবে।
    আর এক তৃতীয় ধরনের ইঞ্জিনিয়ার আছে। যারা ডিজাইনের কাজ হয়ে গেলে কন্সট্রাকশন এর দায়িত্ব নেবে। সাধারণত, এদেরই আমরা চোখের সামনে দেখতে পাই। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে এরা রাস্তাঘাট মাঠময়দানে কাজ করে, কাজ করায়।
    মোটামুটি সরকারী বা বেসরকারী, যাই বলুন, কোন প্রোজেক্ট ভাল ভাবে হওয়ার এটাই নিয়ম।
    এবং এই ব্যাবস্থায় যদি সবাই তার নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে, এবং ক্লায়েন্টের সহযোগীতা ঠিকমত পায়, তাহলে সঠিক সময়ে, নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে এবং সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হতে অসুবিধা হয় না।
    কিন্তু কোথাও তা হয় না। খরচ বেড়ে চলে। সময় বেড়ে চলে। মাঝে কাজ বন্ধ থাকে। আবার শুরু হয়। যারা কাজ শুরু করেছিল, কাজের মাঝাখানে তাদের অন্য কোথাও চলে যেতে হয়।
    সেও ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা আরো গভীরে। ধরুন, ক্লায়েন্ট প্রথমে ভেবেছিল কাজ শেষ হবে ২০১৬ র জুন মাসে। কিন্তু পরে দেখা গেল জুন মাসে তার বউ এর গুরুদেব আমেরিকা তে থাকবেন। কাজেই ডেট এগোতে হবে। ২০১৫ এর অক্টোবর। সে কথা জানিয়ে দিল। এদিকে কাজ অনেকদূর এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এত আগে তো সম্ভব হবে না। প্রোজেক্ট ম্যানেজার রা সে কথা বলতেই পারবেনা কাউকে। না ক্লায়েন্টকে, না নিজের কম্পানির মালিক কে। তারা নতুন ডেট মেনে নিয়ে প্রোজেক্টের মাঝপথে হঠাৎ সবাইকে জানিয়ে দেবে সেকথা। ডিজাইন আর কন্সট্রাকশন এ যারা আছে, তাদের কথা শোনাই হবে না। ক্লায়েন্ট ভগবান। মেনে না নিলে অন্য দশ টা কম্পানি বসে আছে কাজ লুফে নেওয়ার জন্যে। অতএব ডিজাইন অফিসে অলিখিত নোটিশ জারি হল, কেউ রাত ন'টার আগে বেরোতে পারবেনা। যে ভাবেই হোক ৬ মাসের কাজ ২ মাসে করা চাই। শনি- রবি মাথায় উঠে গেল। সবার মাথা কাজ করে না, চোখ লাল। তবু কাজ শেষ করা চাই।
    গোদের ওপর বিষফোঁড়া। একই সময়ে ম্যানেজারের দল আরেকটা বড় কাজ ধরে এনেছে। সেটাতেও সময় দিতে হবে। আবার, আগের কোন প্রোজেক্টের সাইট থেকে ডাক এসেছে, সেখানে সমস্যা। সেখানেও যেতে হবে।
    এতকিছু করে, ধরে নিলাম ২ মাসে না হলেও ৩ মাসে সব ডিজাইন শেষ করে ড্রইং পাঠানো হল সাইটে। সেখানে তো ড্রইং অনুযায়ী কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু সে শুনলে তো কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারদের চলে না। তারা ওসব ড্রইং এর তোয়াক্কা না করেই সব খাড়া করে বসে আছেন নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে। হ্যাঁ, ড্রইং এর সারমর্ম টুকু বজায় আছে, কিন্তু অনেক খুঁটিনাটি বিষয়কেই তারা দেখেও দেখেন না। ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার যখন সাইটে গিয়ে এসব দেখায়, তখন তাকে ভোলাবার জন্যে কিছু কিছু কাজ করা হয় অবশ্যই, কিন্তু অনেকটাই না করা থেকে যায়। ডিজাইনার আর কি করে? সে এত রাত জেগে, ছুটির দিন কাজ করে যে ডিজাইন করেছে তার এই পরিনতি দেখে মনের দুঃখে হোটেলে বসে বিয়ারের বোতল খুলে সিগারেট ধরায়।
    এভাবেই কাজ হয় আমাদের দেশে। বিশ্বাস করুন। আজ ছাব্বিশ বছরের ওপর হয়ে গেল এই ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে। আমাদের এক সিনিয়র দাদা বলতেন, ডিজাইনার রা গর্বিত, কারন তারা এক পিরামিডের শীর্ষে বসে আছে। হয়তো পয়সা কম, কিন্তু সম্মান বেশি। তা হয়তো ছিল এককালে। আজ থেকে বছর কুড়ি আগে এমন দিন সত্যিই ছিল। তখন ডিজাইনার মানে ইঞ্জিনিয়ার। তাকে সম্মান করতো, তার যুক্তি শুনতো আর সকলে। এখন সব ম্যানেজার দের যুগ। ইঞ্জিনিয়ার আর কেউ হতে চায় না। ম্যানেজার হতে গেলে বেশ ভাল ইংরাজি বলতে হয়, ডিও মেখে টাই পড়ে ক্লায়েন্টে কে পার্টি দিতে হয়। সেই পার্টির নেশায় অনেক আলো-অন্ধকারের খেলা চলে। ম্যানেজারের কম্পানিতে কাজ আসে। তার পদোন্নতি হয় রকেটের গতি তে। আর বেচারা অঙ্ক কষা ইঞ্জিনিয়ার, সে অনেক ভালবেসে এই চাকরি বেছে নিয়েছিল একদিন। বাবা-মা বারণ করেছিল। শোনেনি। পিরামিডের শীর্ষে বসে দেখতে চেয়েছিল দুনিয়া। আমার আর এক বন্ধু বলে, শালা, পিরামিডের খোঁচাতে যে প্যান্টটাই ফূঁটো হয়ে গেল!
  • কিন্তু | 132.177.67.198 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:১২704588
  • এই কথাটা লেখার জন্য যে একসাথে দশখানা টই খুলে ফেললেন, সেটা কি অনিচ্ছাকৃত নাকি ফ্লাডিং করর উদ্দেশ্যে?
  • দশটা কোথায় | 131.242.160.210 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:১৩704589
  • ১৭ টা !!
  • করঞ্জাক্ষ চাকলাদার | 203.51.104.95 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪০704590
  • খুললেনই যখন আরো সাতটা খুলতে পারতেন। বেশ হাতের লেখা প্র্যাকটিশের খাতার মত দেখাত।
  • pi | 24.139.209.3 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪৩704591
  • উনি জানিয়েছেন অনিচ্ছাকৃত, নেটে আপডেটে অসমর্থ দেখিয়েছিল। ডিলিট করে দিতে বলেছেন।

    আগে থেকেই লোকে এমন রে রে করে আসে কেন কে জানে।
  • cb | 208.147.160.75 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:৪৫704592
  • এই আপডেটে অসমর্থ তো আমাদের 404 এররের মতই বিখ্যাত :)
  • ?? | 113.5.218.50 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:০৭704593
  • খুবই ওঁচা লেখা। উনি শিবপুর শিভিল ছাড়া আর কিছু জানতে পারলাম না। আজ থেকে ২৬ বছর আগে শিভিল ইঞ্জিঃ এর চাকরীর বাজার বেশ খারাপ ছিল। আর ম্যানেজারদের গালি দেওয়া আজকাল ফ্যাশনেবল হয়ে গেছে মনে হচ্ছে।
  • Debabrata Chakrabarty | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:০৯704594
  • আমার লাইনের অধিকাংশ ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার এমন সব ডিজাইন করে ভারতের বিখ্যাত সব প্রোজেক্ট নামিয়েছে সেই সব প্রজেক্টে এখনো কিছু দুর্ঘটনা হয়নি কেন সেই দেখে ভগবানে ভরসা বেড়ে যায় ।
  • Nita | 34.248.74.254 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ২১:৪৬704595
  • খুব ভালো লেখা। আমার বাবা civil engineer ছিলেন। অনেক গল্পো শুনেছি - সেগুলো আপনার experience এর সঙ্গে বেশ মিলে যায়।
  • ঈশান | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ২১:৫৫704581
  • আমারও ভালই লাগল। যদিও অনেকগুলো টই ধরে ডিলিট করতে হবে। :-)

    আর ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ঠিকই লেখা হয়েছে, আমার মতে। ম্যানেজ করা সবসময়েই দরকার, আগেও দরকার ছিল, এখনও আছে। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট একটা আলাদা মাথায় জ্যোতি লাগানো স্পেশালিটি, যার সঙ্গে মূল কাজটার বিশেষ সম্পর্ক নাই, এ ফালতু হাইপ ছাড়া আর কিছু না।
  • Abhyu | 78.117.213.128 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৪১704582
  • টই ডিলিট যখন করছই তখন ধরে ধরে আরো অনেক টই ডিলিট করে দিও। আজকাল মানে একটা টই == ভাটিয়ালীর একটা পোস্ট হয়ে যায় মাঝে মাঝে। কি তাও হয় না।
  • to Dipankar | 212.142.106.182 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৯704583
  • আপনার গুরুতে কিছু লেখা ভুল হয়েছে। জানি, আপনি সরলমনে আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞ্তা শেয়ার করতে চেয়েছেন। কিন্তু আপনি খেয়াল করেননি, গুরুর পাঠক্বেরা বাঙালী, আমরা "কী জানি না" ছাড়া সব জানি। দেখলেন না, একজন জানিয়েছেন আপনার পোস্ট পড়ে উনি একমাত্র নতুন জানলেন যে আপনি শিবপুরের সিভিল।

    আপানি হয়তো জানেননা গুরুতে লেখার প্রথম নিয়ম - "কোন ভুল করা চলবে না"। ব্যতিক্রম আছে, তবে শুধু ইনার সার্কলের সদস্যদের জন্যেই রিজার্ভড। তাই ভবিষ্যতে এখানে কিছু লেখার আগে সাবধান। আপনাদের মত নিম্নমেধা লেখকদের জন্যে নিশ্চয়ই অন্য কোন সাইট আছে, খুঁজে নিন।

    জ্জয় গুরু!

    পি এসঃ আমি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম। অবশ্য আমিও আপনার মত নিম্নমেধার লোক। ও হ্যাঁ, আমিও শিবপুরের।
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২২704584
  • আগের পোস্টটি যিনি করেছেন তিনি নিশ্চয়ই জানেন ঈশান কে। ঈশানের 09:55 PMএর পোস্টটা দেখুন। লেখাটা আমারও ভালোই লেগেছিল। দীপঙ্করবাবু আপনি আরো লিখুন, অনুরোধ করি।
  • :( | 74.233.173.181 | ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:০৩704585
  • কেমিকাল কে কোর সেক্টর না বললে খেলব না। যদিও শিবপুরে নেই।
  • kc | 198.70.8.242 | ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:০৬704586
  • আইইএসে না থাকলে কোর সেক্টর নয়। সুতরাং....
  • kumu | 11.39.34.136 | ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:০৩704587
  • লেখাটি ও ১ এপ্রিল ৬ ০৯ পি এম ভাল লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন