এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শ্যামের পাঠশাল

    Parolin
    অন্যান্য | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ | ১১১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:২৮694618
  • মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল আমি কমলা রঙ্গের টিউনিক পরে বাংরিজি মিডিয়াম ইশ্‌কুলে পড়তে যাই। হয় নি। তার বহু কারণ ছিল -
    এক - ইশকুল বাড়ি থেকে বহুদ্দুর। চঞ্চল মেয়ে কখন পড়ে গিয়ে হাত-পা ভাঙ্গে, কে দেখতে পাবে। ঐ তো দিদিমনিদের খেয়াল।উল বুনতেই ব্যস্ত।
    দুই- বড় রাস্তার পাশেই ইশকুল। দৌড়ে যদি রাস্তায় নেমে যায় ?
    তিন- ইশকুলের আমনেই ঘুগনি-আলুদ্দম-চটপটিয়ালারা। খেয়ে কলেরা হোক আর কি।
    ইত্যাদি ইত্যাদি।

    দাদু অবিশ্যি অল্টারনেট রেডি করেই ছিলেন।
    শ্যামের পাঠশাল।
    আদতে মনোহরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেও ক বছর আগের নতুন নামকরণ। তাই লোকে এখনো ও ডাকে শ্যামের পাঠশালা , ছোটো করে পাঠশাল। দাদু পড়েছেন। জেঠ্যু-বাবা-পিসিরা পড়েছেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই বেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। অতয়েব আমরাই বা না কেন। অকাট্য যুক্তি।অবশ্য যৌক্তিক না হলেই বা কি। মায়ের ক্ষমতা আছে দাদুর মুখের ওপর কথা বলার। সুড়সুড় করে আমাকে মা বেশ সাজিয়ে গুজিয়ে দিলেন। ভত্তি হতে যাবো বলে।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:৪৩694629
  • এক গরমের সন্ধেয় দাদু ভেতরের উঠোনে ইজি চেয়ার পেতে আধশোয়া হয়ে শুয়ে , মা-দিদা-বড়মারা চায়ের কাপ হাতে এপাশ-ওপাশে , কেউ রান্নাঘরের দাওয়াই, কেউ বা বেতের মোড়াতে। আমরাকুচোগুলো গড়াগড়ি খাচ্ছি এদিক ওদিক। দাদু সেদিন আমাদের তারা চেনাচ্ছিলেন। কালপুরুষের বেল্ট , আলফা-বিটা-গামা। আলফা আলফা। বেশ লেগেছিল শব্দটা। নতুন শব্দ , নতুন ছন্দ। "দাদু , আলফা বানান কি?"।
    বানান শিখবি। দাদু হঠাৎ ই বেশ উত্তেজিত। "ওরে পুরুত ঠাকুরকে খবর দে কাল , সন্ধ্যেবেলায় যেনা আসেন একবার"।
    তার পরেরদিন হল আমার হাতেখড়ি। এইসান মোটা একখান খড়ি দিয়ে তুলসিতলায় লিখলাম অ, আ , ই , ঈ।
    তারপর দিন থেকেই শুরু হল পড়াশোনা। দাদু শেখাতেন ইংরিজী , বাবা এক-দুই-তিন আর দিদা অ-আ-ক-খ। বই নেই , খাতা নেই , শুধু কোলের ওপর জমিয়ে বসে হাতের আঙ্গুল নিয়ে খেলতে খেলতে শুরু হল আমার শিক্ষা।
    ইশকুলে যাবার কথা উঠলো তারও বছর খানেক পরে। তখন আমি পাঁচ কি ছয়।
    স্কুলে যাবার কথা কেউ ভাবেই নি। হঠাত ই বোধহয় মা কি বাবার রিয়েলাইজেশন হল আমি নাকি বাঁদর হয়ে গেছি। সারাদিন পেয়ারা গাছে বসে থাকি আর পাঁচিলের ওপর দৌড়ে দৌড়ে ছোঁয়াছুয়ি। এবার ইশকুলে না দিলেই নয়। ভবিষ্যত এক্কেবারে ঝরঝরে হয়ে যাচ্ছে। অত:পর বাংরাজী ইশকুল। না না , দাদু সে আগেই খন্ডন করে দিয়েছেন। অত:পর সেজেগুজে শ্যামের পাঠশাল।
    ভত্তি হতে। বাবার হাত ধরে।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:২৩694631
  • তোমরা কেউ কি পাঠশালায় পড়েছো ? অ্যাট লিস্ট দেখেছ ? মাটির দাওয়াতে একপাল রোগাসোগা ছেলে আর চেয়ারের ওপর ধুতিপরা থুপুস মাস্টার ? হাতে বেত ?
    না: রে না। শ্যামের পাঠশালা রীতিমত ভালো। সবাই বলে আটচালা। আসলে চাদ্দিক খোলা একটা বিরাট চৌকো ঘর বলতে পারো।দেওয়াল নেই , পিলার আছে। একেক দিকে খান চার করে। সামনে দিকে আবার বিনা ছাদের একটা বিশাল বারান্দা।ফাইভের ছেলেরা বসে ওখানে। ছদ না থাকেলে কি হয় , রোদ এক্‌দম লাগে না। দুটো বিশাল গাছ আছে না। একটা বট আর একটা অশত্থ। ঝিরি ঝিরি রোদ-ছায়া। আর তেমনি প্রাণ জোড়নো হাওয়া।শুধুই কি হেড স্যার পিলারে ঠেস দিয়ে অমন ঘুমিয়ে পড়ত বারের বার।
    বাকী সব সার সার দিয়ে আটচালার ভেতরে।ওয়ান , টু আর থ্রীর ছেলে-মেয়েরা।
    সামনের দিকে আবার আর একটা ছোট্টো আটচালা। তবে এটা বেশ উঁচু। আমি ঝুলে পড়লেও উঠতে পারি না। মাস্টারমশাইরা বেশ দু হাত গেদে টুপ করে উঠে বসে পড়েন। সেখানেও একটা গাছ আছে।বকুল গাছ। লোকে বলে বোল গাছ। মাস্টারমশাইরা সব লোহার টুল পেতে সেখানেই বসেন গোল হয়ে। বকুল ফুলের গন্ধে ম ম হয়ে থাকে চাদ্দিক। ফুল পড়তেও থাকে সব সময় । টুপ টাপ। মাস্টারমশাইদের মাথায় গায়ে।দু একটা জেদী ফুল আবার আটকে যায় চুলের মধ্যে। আটচালার ভেতরের ছেলেগুলো দেখতে পেয়ে মুখে হাত চাপা দিয়ে গড়িয়ে পড়ে হাসিতে।
    এর মধ্যেই আমি আর বাবা গিয়ে পৌঁছই। হেড্‌স্‌য়ার তাড়াতাড়ি টুল খালি করিয়ে বসতে দ্যান বাবাকে। আমি টুক করে একটা প্রণাম করেই বাবার গা ঘেঁসে দাঁড়াই। ভত্তি হব শুনেই হেডস্যার কি খুশি। বা: বা: বা: বলেই যান। কম হলেও গোট দশবার। তাপ্পর প্রশ্ন। নাম কি ।বাড়িতে বই আছে? ওয়ান-টু জানো ? অ-আ সব ? ছড়া জানো ? বলতে পারবে। তা আর পারবো না। গাদাও ছড়া তখন মুখস্থ আমার। বেশ শুনিয়ে দিলেম দু একটা। দুই আর চারে যোগ করলে কত হয় সেটাও বোধহয় বলতে হয়েছিল।
    ক মিনিটেই ভত্তি শেষ।
    আমার না কি হেব্বি বুদ্ধির পরিচয় পেয়েছিলেন হেডস্যার ঐ দুই আর চারে যোগ করা দেখে , তাই আমি ক্লাশ টুয়ে ভত্তি হয়ে গেলাম। তখোনি ক্লাশে যেতেও বলেছিলেন , বাবা বললেন চান-খাওয়া হয় নি , কাল থেকেই আসব। এবার সব মাস্টারমশাইদের প্রণাম করে লাফাতে লাফাতে বাড়ি। সে কি ফুত্তি আমার , ক্লাশ টুয়ে চান্স পেয়েছি বলে কথা।
  • Rana | 212.158.75.199 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২১694632
  • জ্জিও। হেব্বি হচ্ছে! চালিয়ে যা...... !

    আমার ভর্তি হওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। ঐ এক-ই... সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়াতাম, আর বাবা বড়ি ফেরার সময় রাস্তায় ছেলের নাম-এ কমপ্লইন শুনতে শুনতে আসতো। তো শেষে মা-বাবা ষড়যন্ত্র করে স্কুলে ঢুকিয়ে দিলো।

    আমাকে ঐ দু-চারটে কি জিগ্গেস করার পর হেড স্যার বল্লেন ঠিক-ই আছে। কিন্তু ৬ বছর না হলে ওয়ান-এ ভর্তি হবে না। আমর তখন বয়স ৫। বাবা তৎক্ষনাৎ ১ বছর বয়স বাড়িয়ে গরুকে গোপাল-এ দিয়ে নিশ্চিন্ত হলেন...!!
    :-))
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ২০:০৫694633
  • তা গেলুম পরের দিন। সক্কাল সক্কাল উঠেই মাকে বললুম , চান করিয়ে দাও , ভাত খেতে দাও। দাদা আর টুটুদিদিদের মতন দশটাতে খেয়ে ইশকুল যাবো।
    ধুর বোকা , তুই তো পাঠশালা যাবি। টিফিন খেয়ে যাবি আর দুপুরে বাড়ি এসে চান করে ভাত খাবি।
    প্রথম মজা মাটি হল। কপালে আরো ছিল। বলছি সব আস্তে আস্তে।
    এদ্দিন পর্যন্ত সারাদিনের সবচেয়ে খারাপ সময়্‌টা ছিল দুপুর। খেয়ে দেয়ে যখন সারা পৃথিবী আয় আয় ডাকে , পেয়ারা গাছে কাক-টিয়া-কাঠবিড়ালীর লুকোচুরি সেই শুরু হব হব করে , রোদটা কেমন ঝিমিয়ে যায় , ঠিক সেই অমোঘ সময়ে মায়ের রান্নাঘর পরিষ্কার শেষ এবং ঘুমের তোড়জোড়।ঘরের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দুখানা ফ্যান চালিয়ে এক পাশে আমি আর এক পাশে ভাই। মায়ের নি:শ্বাস ঘন হতেই আমি আস্তে আস্তে পা টিপে উঠেছি কি উঠিনি , দুম দুম করে মা উঠে হিড় হিড় করে টানতে টানতে বিছানায় আছড়ে দিয়ে হুংকার " আর একবার উঠলেই কসকস করে কান মুলে দেবো , সারা দুপুর জ্বালানো, একটু ঘুমোতেও দেয় না"।। রোজ দুপুরে এক কেস। পাঠশালায় ভত্তি হবার সবচেয়ে বড় আনন্দ এটাই ছিল , দুপুরে ঘুমের অত্যাচার বুঝি শেষ হল।
    তা নাচতে নাচতে গেলুম পাঠশালা। বগলে কাল রাতে বাবার এনে দেওয়া শ্লেট আর সহজপাঠ। আর হাতে একখানি আসন। রংটাও পরিষ্কার মনে আছে। হাল্কা কমলার ওপর চাঁপা রঙ্গের প্রিন্ট। চারদিকে আবার থুপি থুপি বেরিয়ে আছে।
    আসন কেন ?? ওমা , পাঠশালাতে কি আর বেনচি হয় গো ? তোমরাও যেমন।
    তা গিয়ে দেখলুম আমি একাই বোধহয় আসন , বেশিরভাগই চটের টুকরো। কারোর আবার তাও নাই , আটচালার ধুলোর ওপরেই থুপুস হয়ে বসা। আমি গেছিলুম বেশ সেজেগুজে , আলমারী থেকে বোধহয় একটা ভালো জামাও বের করিয়েছিলুম মাকে দিয়ে। বাকীরা সব মোটামুটী জামা কাপড় পরা , ছেলেগুলোর অনেকে আবার উদোম গা , শুধু হাফ পেন্টুল। বোতামের জায়্‌গাতে সেফটিপিনও ছিল দু এক জনের আবার। তারাই আমার বন্ধু হল।
    আমি তো তখন আনন্দে টগবগ করে ফুটছি। নতুন ইশকুল , নতুন বন্ধু। আমি কাদের কাদের সাথে গিয়ে বসে পড়েছিলুম , হেডস্যার আমাকে ডেকে উঠিয়ে বললেন পাপায়ের পাশে গিয়ে বসতে। বহুত চুপচাপ , ফর্সা , মিষ্টি মতন একটা ছেলে। তার বাবা নাকি মিন্সিপাল্টির অফিসার। নতুন এসেছে ট্যানেসফার নিয়ে। তাই অমন চুপচাপ। যা হোক পাপায়ের সাথে আমার জমে নি। আমি ফেরত গিয়ে বসেছিলুম সেই আগের দলেই। সুনীল , রবি , চম্পা, জলধর , গোরাদের কাছেই।

  • Samik | 125.23.127.39 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:০১694634
  • পাল্লিন,

    এই লে:, পোকাশ্যে তর টাকে তিনখান FC দিলাম। কী কর্বি কর গ্যে বট্যে।

    কী লিখছিস যাদু আমার !!
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৩৯694635
  • তখোনো স্যার আসেন নি। তাই সেই ফাঁকে নতুন বন্ধুদের একটু পরিচয় করিয়ে দিই তোমাদের সাথে।

    চম্পা পাড়ারই মেয়ে। আগে দেখেছি পুজো-টুজোতে। একসাথে লুকোচুরিও খেলেছি। কাজেই তাকে নতুন বন্ধু বলা যায় না।

    রবি ছিল দু জন , রবি দাস আর রবি বাউরি। রবি দাসকে সবাই ডাকছিল রবে বলে। আমার মতন হাইট। চুলগুলো সব কটা। রোজ তেল না দিয়ে পুকুরে চান করলে যে রকম কটা হয় সেরকম আর কি।রবি বড় হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হয়েছে এখন। এর বাড়ি ওর বাড়ি টুকটাক সারানোর কাজ করে।

    আর একজন রবিকে সবাই ডাকছিল খোঁড়া বলে। রবির অবিশ্য তাতে কোনো হেলদোল নেই।রবির কোমরের তলা থেকে শরীরের নীচের দিকটা পোলিওর কারণে পঙ্গু। রবি হাঁটতো দুহাতে ভর করে। মানে প্রথমে দুহাত মাটীতে ভর করে বাকী শরীরটা হেঁচড়ে চলা। রবির হাতগুলো ছিল দেখার মতন। এইসান বড় হাতের চেটো।কখন একবার যেন আমি আমার এইটুকুন চেটো রবির হাতে রেখে তুলনা করায় রবি আমাকে বুঝিয়েও দিয়েছিল যে সব কাজ হাতে কত্তে হয় বলে ভগবান ওকে বড় বড় হাত দিয়েছেন। হক কথা। আর তেমনি ছিল তার হাতের লেখা। মুক্তোর মত বললে কম বলা হয়। রবি ক্লাশে ফার্স্ট হত।রবি ই পরে পরে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়।প্রায় ই আমার বাবা রবির হাতের লেখা দেখিয়ে আমার অখদ্য লেখার জন্যে বহুত বকাঝকা করতেন , আমার তাতে আনন্দ বই দু:খ এতটুকু ছিল না। আজ বহুবছর রবিকে দেখি না। শেষ দেখেছিলুম চেন্নাই এ পড়াকালীন। তেচাকা হাতগাড়ি চালিয়ে গড়গড়িয়ে কোথায় যেন যাচ্চিল। আমাকে খুব খুঁটিনাটি সব বুঝিয়ে ছিল তার গাড়ির সম্বন্ধে , ওদের পাড়ার কাউন্সেলার নাকি দিয়েছে সরকারী অনুদান থেকে।

    রবির পরে ছিল সুনীল ডোম। দলের সবচেয়ে শান্ত ছেলে। শুধু পড়াশুনা নাকি একেবারেই ভালো লাগে না। পরিষ্কার বলে দিয়েছিল টাকা পয়্‌সা গুনতে শিখলেই পড়া ছেড়ে দেবে। বহুত ভালো দৌড়ত সুনীল। পাঁই পাঁই করে। জীবনেও ছোঁয়াছুঁয়ি তে আমি সুনীলকে ধরতে পারি নি। সুনীল কিন্তু আলটিমেটলি ফোর পজ্জন্ত পড়েছিল। শেষ হয়েচে রঙ্গের মিস্ত্রী। দিদির বিয়েতে দেখি আমাদের বাড়িতে রং করছে সুনীল। বিয়েও হয়ে গেছিল তখনই। আমি তখন ইলেভেন না টুয়েলে্‌ব্‌হ পড়ি। খুব খুশি হয়ছিল আমাকে দেখে। আর যেন অনেক পড়াশুনা করে ভালো চাকরি করি সেটাও বলে দিয়েছিল।

    তারপর জলধর কৈবর্ত্য। কৈবর্ত্যকে সোনামুখির কেউ কৈবর্ত্য বলে না , বলে ক্যাওট। মানে যারা মাছ-টাছ ধরে আর কি। জলধরের বাড়িও ছিল ক্যাওট পাড়াতেই। আমি খুব চিনতুম ওদের পাড়া। আমাদের বাড়িতে ছিল না , কালো বৌ ? তার বাড়িও ঐ খানেই। আমি খুব ভালবাসতুম কালো বৌয়ের বাড়ি যেতে।পুকুরপাড়ে ছোট্ট একটা চালাঘর। তকতকে ঝকঝকে। একটা দোলনামতন কিসে কালোবৌয়ের বিছানাপত্র ঝোলানো থাকতো। আমি গিয়ে খুবসে দোল খেতুম। সে যা হোক , জলধর পরে ফুল-ফ্লেজেড ক্যাওট হয়ে যায়। আমার বাবা নাকি তার কাছ থেকেই বেশির ভাগ মাছ কিনতেন। মেয়ের বন্ধু বলে কথা। জলধরও বাবাকে বহুত খাতির করত। বাজারে ভালো মাছ এলে ফেরার পথে জলধর বাবাকে দিয়ে যেত। না নেবার থাকলে সে কি রাগ "তোমার জন্যে সারাদিন রেখে দিলুম আর তুমি নেবে না বলছ , বট বাবু"। অগত্যা , খাও আর না খাও, কিনে ফ্রিজে চালান।
    সেইবার আমি বোধহয় ব্যাঙ্গালোর থেকে বাড়িতে এসেছি আর জলধর ঢুকলো এইসান বড়া একখান ইলিশ নিয়ে" কাকু তোমার জন্যে মাছ এনেছি"। আমাকে দেখেই সে আর কিছুতেই মাছের দাম নেবে না , " ঐটে আমার বন্ধুকে খেতে পেজেন্ট করলুম"। উফ সেদিন যে আমি কি ভালো হুপুসহাপুস খেয়েছিলাম কি বলব। পেজেন্ট বলে কথা।

    শেষ জন হল গোরা। আমাদের বাড়ির এক্কেবারে উল্টোদিকের বাড়ি। অমন গুন্ডা জগতে খুব কম দেখা যায়। সব্বাইকে মেরে ফাটিয়ে দিত । আমার সাথে অবিশ্যি একবারও ঝগড়া হয় নি গোরার। আজ পজ্জন্ত না। এইবার পুজোতে নামতে না নামতেই হতচ্ছাড়া আমার কাছে চাঁদা নিতে এয়েছিল। আওয়াজ দিয়ে ভাগিয়ে দিয়েছি। পরে অবিশ্য দিয়েওছি। অনেক তক্কাতক্কির পর।
  • J | 84.73.112.208 | ০৯ নভেম্বর ২০০৬ ০২:০৫694636
  • তারপর?
  • RATssss | 82.120.1.133 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ০৬:৫৩694637
  • পাল্লিন,
    এত্তো ছন্দর লেকাটা ছেছ কর মা আমার।
    এখনো তোকে মেরে ধরে টিকির টিকির করে নেকাতে হবে?
    পুচ্‌কু ছানাটা কি শিকবে বল তো।
    তাত্তারি নেক
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৬:৩২694619
  • পাঠশালে ক্লাশ হত দুবেলা। সকালে একবেলা ক্লাশ হয়ে ঘন্টাখানেক মতন "ভাত খাবার" ছুটি আর তারপর দুপুরে দুবেলা।সকালে থাকতো নানা রকমের ক্লাশ বাংলা , অংক , ইতিহাস , ভুগোল ইত্যাদি ইত্যাদি আর দুপুরে থাকতো ছড়ার ক্লাশ আর নামতা। মাস্টারমশাই ছিলেন জনা পাঁচেক। ছোট্টোখাট্টো মোহন্তস্যার। হাসি হাসি মুখ। ক্লাশে এসেই দুবার বলে নিতেন "গোল করিস না , গোল করিস না"।তাপ্পার দুপাতা পড়িয়ে পড়া ধরতেন। মোহন্তস্যারের পড়া সবাই বেশ টকাটক বলতে পারতো।রামবোকা রবেও।
    হেডস্যারও ছিলেন ভালোমানুষ। ছেলেরা অমুক পাতা থেকে তমুক পাতা রিডিং পড় বলেই পিলারে ঠেস দিয়ে বেশ ঘুমিয়ে নিতেন। আর আমরা রিডিং ছেড়ে স্লেটে খেলতুম কাটাকুটি।
    ছেলেরা সবচেয়ে ভয় পেত মোহনস্যারকে। একেই পড়াতেন অংক তার উপর চেহারাখানাও ছিল দেখনসই। কালো কটকটে গায়ের রং , মাথার পাতলা চুল সর্বদা উড়ু উড়ু , টকটকে লাল চোখ আর পারতেন হাল্কা সবজে রঙ্গের পাঞ্জবী আর বিশাল ঘেরওয়ালা ফ্যাতফ্যাতে সাদা পায়জামা।আর হাতে থাকতো লিকলিকে কঞ্চি। মোহনস্যরকে মারধোর করতে খুব একটা দেখেছি বলে মনে পড়ে না , শুধু ঐ বেত নাচানো আর চোখ গোলানোতেই প্রাণপাখি খাঁচাছাড়া হবার জোগাড়। সেই একবার ক্লাশ টু না থ্রীতে সরল ভুল করার জন্যে মোহনস্যর শুধু আমাকে কাছে ডেকে জিগিয়েছিলেন "এইটে কি হয়েছে , অ্যাঁ ? " ব্যাস। আমি মাটীর দিকে মুখ করে ফ্যঁচফেঁচিয়ে খুব কেঁদেছিলাম একচোট।তাইতে আমার বন্ধু রুনুও ভ্যাঁ। সে কি মুশকিল। যত মোহনস্যার তড়পাচ্ছেন " কাঁদছিস কেন , আমি কি তোকে মেরেছি"। ততই আমাদের ভ্যাঁ বাড়ছে। অত:পর মোহনস্যার আমাদের দুজনকে বললেন আর পড়ে কাজ নেই ঘার যা আজকের মতন। খুশি হবার জায়্‌গায় আমি আর রুনু সেটাকে আরো বড় শাস্তি ভেবে হাত ধরাধরি আর গলা জড়াজড়ি করে ফ্যঁচফেঁচিয়ে হেঁচকি তুলতে তুলতে বাড়ি।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৭:০৪694620
  • লাবুস্যারকে এককথায় ভালো কি মন্দ বলে দেওয়া কঠিন। যখন পড়ান তখন লাবুস্যার হলেন গিয়ে "বেস্টো স্যার"। যত্ন করে ধরে ধরে শেখান প্রতিটি ছেলেমেয়েকে। কিন্তু পড়া ধরার সময় না পারলেই জুলপি ধরে এক মহাটান। তাতে কাজ না হলে দু আঙ্গুলের মাঝে চক বা পেন্সিল ঢুকিয়ে হাল্কা করে নিষ্পেষন। গাঁট্টা তো ছিলই। অবিশ্যি লাবুস্যার বুড়ো হয়ে বেশ নিপাট ভালোমানুষ হয়ে গেছেন।শেষের দিকের চাকরির বছরগুলোতে নাকি কাউকে মারেন-টারেন নি। আর গত বছর যখন আমি আর ভাই গেলাম ওনার বাড়ি। সে কি খাতির। তালের লুচি টুচি খাইয়ে একেবারে একাকার।
    আর ছিল গোপালস্যার।উনি ছিলেন এক ক্যারেকটার। আমার রাঙ্গাপিসীর ক্লাশমেট। লোকে ডাকতো খনা গোপাল বলে। অ্যালেজেডলি সত্তরের দশকের মা কিম্বা উমা পরেক্ষায় গোপালস্যার ইংরাজীতে ফেল করে পিসীর মার্কশিটে ভালো নম্বার দেখে তর্জনী আকাশের দিকে তুলে খুব সিরিয়াসলি চিৎকার করে বলেছিলেন
    "নোঁট ছাঁড়াঁ ইঁংরিঁজীতেঁ পাঁশ কঁরাঁ শুঁধু অঁসঁম্ভবই নঁয়, রীঁতিঁমঁত ইঁমপঁসিঁবঁল ইঁমপঁসিঁবঁল ইঁমপঁসিঁবঁল" !
    তুমি যদি প্রথমবার গোপালস্যরকে কথা বলতে শোনো তাহলে গ্রান্টী দিচ্চি একটি কথাও বুঝতে পারবে না। শুনে শুনে বোঝা প্র্যাক্টিশ করতে হয়।আমরাও তাই করতুম।যেমন ধরো গোপালস্যার ইংরিজী পড়াতে খুব ভালোবসতেন। তখন ইংরিজীর ক্লাশ হবারই কথা নয় , কিন্তু গোপালস্যার মাঝে মাঝেই ইংরিজীর ক্লাশ নিয়ে নেতেন। সেটা হত খানিকটা এই রকম -
    বল । মাঁদাঁর। মাঁদাঁর মাঁনে মাঁ।
    আমরা সমস্বরে তারস্বরে - মাদার , মাদার মানে মা।
    বল , হিঁস্টাঁর । হিঁস্টাঁর মাঁনে বোঁন।
    আমরা - হিস্তার। হিস্তার মানে বোন।
    আঁরে নাঁ নাঁ বোঁকা পাঁঠারা এবং বোর্ডে লিখে ভুল সংশোধন।
    আবার ,
    বল বেঁরাডাঁল।বেঁরাডাঁল মাঁনে ভাঁই।
    আমরা - বেরাডাল । বেরাডাল মানে ভাই।
    আবার ছাঁগঁলগুলো........... এবং আবার বোর্ডে লিখে ভুল সংশোধন।
  • vikram | 193.52.109.12 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৮:২১694621
  • এই মহিলা এতো ভালো ভালো লেখা নামাচ্ছে!

    বিক্রম
  • s | 141.80.168.31 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৮:০৩694622
  • তাপ্পর?
  • d | 202.54.214.198 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৭:০৪694623
  • সামনে এনে দিলাম।
  • pipi | 141.80.168.31 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৭:১০694624
  • হ্যাঁ হ্যাঁ এবার হোক।
  • P | 163.244.63.121 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৭:৩৫694625
  • পাঠশালে যাওয়ার সবচাইতে মজা ছিলো পুকুরপাড়ে যাওয়া।
    ক্লাশ চলাকালীন হামেশাই কুচোগুলো সটান দাঁড়িয়ে দুহাত বুকের কাছে জোড়া করে গলা ফাটিয়ে বলত " স্যার প্যাচ্ছাব যাবো" ।
    প্রথমবার ঐ হাত জোড়া দৃশ্য দেখে আমি হেসে কুটিপাটী। আমার হাসি দেখে হাতজোড়া কুচোর সে কি রাগ। আমার দিকে একবার কটমটিয়ে চেয়ে জোড়া হাত মাথার উপরে তুলে আর একটু গলা তুলে আরো একবার আবেদন
    " ও মোহন স্যার, বেরিয়ে গেল যে"।
    এইবার মোহনস্যারের চটক ভাঙ্গে।
    "লেখাপড়ার নামে নবডংকা। কেবল পুকুর ধারে যাওয়া। বেরিয়ে গেল না ছাই। গিয়ে যে ব্যাং লাফানি খেলবি সে কি আমি জানি না। দু মিনিটে ফেরত না এলে , কসকসিয়ে কান মুলে ফেরত আনবো বলে দিলুম"।
    ভালোমানুষ কুচো প্রবল ঘাড় নেড়ে এক হাতে ঢলঢলে প্যান্ট ধরে দে দৌড়।
    আমার ভাগ্য অবিশ্যি অত ভালো ছিলো না যে পুকুরপাড়ে গিয়ে ব্যাং লাফানি খেলবো।চ্যাপ্টা খোলামকুচি পেলেই আমি রবে-জলধর আর সুনীলের জন্যে জমিয়ে রাখতাম। বাবার স্ট্রিক্ট আদেশ ছিলো "বাথরুম পেলেই" যেন স্যারকে বলি একটু বাড়ি যাবো।তাপ্পর সাঁ সাঁ করে দৌড়ে বাড়ি পৌঁছাতে আর কতক্ষণ ? পাঠশালা , মনোহরের মন্দির , বাদুদের বাড়ি পেরলেই তো আমাদের বাড়ির গেট।অত কাছে বলেই না আমার পাঠশালা যাওয়া। নইলে তো আমিও কমলা রঙ্গের টিউনিক পরে যেতাম সেই ইংরিজি মিডিয়াম ইশ্‌কুলে। আর বাথরুম পেলেই ডানহাত মাথার কাছে তুলে কেমন কোলকতার নুপুরের মতন গ্যাঁটম্যাঁট করে বোল্‌তাম "মিস , মে আই গো টু দি টয়লেট প্লীজ" !!
    অবশ্য মজাটা আমাদের পাঠশালাতেই বেশি। নুপুরদের ইশকুলটা মোটেও ভালো নয়। মেন রাস্তার ওপরে এককাট্টা একটা চারতলা বাড়ি আর পুচকে একটা মাঠ। আমাদের পাঠশালার সামনেই মস্ত কুলি। নরম নরম ধুলো। কত্ত লোকজনের যতায়াত। পড়াতে মন না গেলে দ্যাখো না কত দেখবে। নইলে পুকুরগুলো তো আছেই। দুপুরবেলা সব কেমন সুনসান। ঠান্ডা ঠান্ডা জলে ছোট্টো ছোট্ট রুপোলী রুপোলী মাছ ছিরিক ছিরিক নাচানাচি। দু মিনিট তাকিয়ে থাকলে পা আপনা-আপনি ই জলের দিকে এগিয়ে যায়।
    এমন মজার জায়্‌গা ছেড়ে সাধ করে শুধু গ্যাঁটম্যাঁট ইংরিজী বলার জন্যে কি কেউ অমন ইশকুলে যায়? ম্যাগো !

  • MM | 86.97.221.26, 213.42.21.81 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৮:৩৬694626
  • শ্যামের পাঠশালায় রাধিকা র গল্পো বেশ ভালো লাগছে পড়তে, লিখে যাও। :)
  • pipi | 141.80.168.31 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৯:৫৬694627
  • হি হি হি হা হা হা.. পড়ে নির্মল আনন্দ পেলুম।
  • d | 115.117.206.223 | ১৫ মে ২০১০ ১০:৫৯694628
  • তুলে রাখলাম। পাল৯বুড়ির যদি আরেকটু লিখতে ইচ্চা হয় .....
  • Samik | 122.162.75.73 | ০২ জুলাই ২০১০ ০৯:৪৩694630
  • ওয়ে হতভাগা পাল্লিন ... ফিরিতে তুলে দিলাম, এইবার লেখ, নয় তো গুলি করে টাক থেকে সব পাকাচুল উড়িয়ে দেব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন