এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্ল্যাকমেল

    J
    অন্যান্য | ২৫ আগস্ট ২০০৬ | ২৯১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • J | 84.72.41.162 | ২৭ আগস্ট ২০০৬ ১৩:৫৭672245
  • "বিন্দুমাত্র অনুমতি না নিয়ে" - কথাটার ওপর কোনো মন্তব্য আমি এমুহূর্তে করবো না। তবে, এই উক্তিটিও বিন্দুমাত্র না জেনে করা হয়েছে সেটা বুঝলাম।
    সবশেষে, যা বুঝছি তা হলো এমন অবিচার চলতেই থাকবে। আমরা সবাই ই পরের ব্যাপারে নাক গলাতে চাইবো না, নানান অজুহাত দেখিয়ে।
    আর কোনো মন্তব্য করবার প্রবৃত্তি হচ্ছে না।
  • indo | 59.93.202.13 | ২৭ আগস্ট ২০০৬ ১৬:৩১672246
  • আমরা অনেকেই আবার পরের ব্যাপারে নাক গলাতে চাইবো-ও, নানা অজুহাত দেখিয়ে।
    কাকের কথায় মনে পড়ল, নিছকই কাকতালীয় হলেও, এটা পাকা তালেরই সিজন। অবশ্য যার পিঠে পড়ছে, তার কতটা আরাম লাগছে বলতে পারি না।
  • dam | 61.246.16.124 | ২৭ আগস্ট ২০০৬ ১৭:৪৬672247
  • ইন্ডো এবং a x এর সাথে একমত হয়ে আরো দু একটা কথা।

    ১। ইন্ডো "বিন্দুমাত্র অনুমতির অপেক্ষা না করে' কথাটা ঠিক বলেছে। আমার মেলবাক্স অন্তত তাই সাক্ষী দিচ্ছে। পরামর্শ চেয়ে, বেআব্রু হয়ে যাওয়া অসহায় একটি বার্তা।

    ২। পরিচয় না দেওয়া আর অফিশিয়াল ডকুমেন্টে ভুল তথ্য দেওয়া এক নয়। অফিশিয়াল ডকুমেন্টে ভুল তথ্য দেওয়াটা Cognizable offense। এটার মোকাবিলা করাও সহজ, তার জন্য পাড়ায় পাড়ায় পোস্টার মেরে জনমত তৈরী করার দরকার হয় না।
    দুটো কেস হতে পারে ----
    ক) ছেলেটি সেই দূর্লভ বোকাদের একজন, যে ভাবে সমস্যাকে উপেক্ষা করলে সেটা নিজে নিজেই মিলিয়ে যায়। (হ্যাঁ এরকমও কিছু লোক আছে)। এক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়ে বলা "বাপু হে, এটি প্রকৃতপক্ষে জালিয়াতি অতএব দন্ডনীয় অপরাধ। কাজেই ইহা করিও না। বরঙ ঠিক করে ফেলো কিভাবে বাবা মা কে জানাবে"। সে এক্ষেত্রে বুঝে যাবে আশা করা যায়। নাহলে তাকে ধৈর্য্য ধরে বোঝাতে হবে।
    খ) ছেলেটি অসদুদ্দেশ্যে এটি করছে। সেক্ষেত্রেও তাকে বলা "এটি জালিয়াতি। অতএব এটা করলে তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে"।

    এই দুটোর জন্যই সেই ব্যক্তিদের সাথে কথা বলা দরকার। মাঠে গিয়ে চোঙা ফুঁকে চেঁচানোর চেয়ে সেটা ঢের বেশী জরুরী।

    ৩। প্রত্যেকটি সম্পর্কের একটি করে ইϾট্রকেট প্যাটার্ন থাকে। আমার সাথে আমার বাবার সম্পর্ক আর পাশের বাড়ীর টিয়ার সাথে তার বাবার সম্পর্ক --- দুটিই বাবা মেয়ের সম্পর্ক হলেও একরকম নাই হওয়া সম্ভব। টিয়া তার বাবার সাথে বন্ধুর মত। সমানে সমানে তর্ক করে চেঁচায়। এদিকে আমি হয়ত বাবাকে বেদম ভয় পাই। তর্ক করার কথা ভাবতেও পারি না। আমরা দুজনেই আমাদের বাবাকে খুব ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি --- কিন্তু তবুও দুটো সম্পর্ক ঠিক একই প্যাটার্নের নয়।

    তাই কোন দুজন ব্যক্তির সম্পর্কের মধ্যে বাইরের অনেক অনেক লোকের ঢুকে যাওয়াটা অনেক জটিলতার সষ্টি করতে পারে। "সাত পাকে বাঁধা" গল্পটা আর তার ৩ খানা রিয়াল লাইফ এগজাম্পল এক্ষুণি মনে পড়ল।

    মলি আর মনোজ আমার বন্ধু। ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একদিন দেখি তারা বিয়ে করে ফেলল। কবে যে তাদের মধ্যে প্রেম হয়েছিল টেরই পাই নি। কিন্তু তারা খুব সুখী। সবসময় ঝলমল করে দুজনেই। তারপর হঠাৎ ই একদিন জানতে পারি মলির মনে নানা আশঙ্কা। অনিশ্চয়তায় ভুগছে মেয়েটা। আমি খুব আবেগপ্রবণ। আমি মলিকে খুব ভালবাসি। আমার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া কি এটাই হবে না যে মনোজের সাথে কথা বলা। তার কি সমস্যা? সত্যিই তার বাবা মা তাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করছে কিনা? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, সেক্ষেত্রে তো আমার কর্তব্য মনোজের বাবামায়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা। অথবা একজন বয়োজ্যষ্ঠ কাউকে অনুরোধ করব মনোজের বাড়ীর সাথে কথা বলতে।

    যেহেতু আমি খুব আবেগপ্রবণ, আমি অবশ্যই মলিকে সুখী দেখতে চাইব। অহেতুক ওদের সম্পর্কটা বিষিয়ে যাক, তা চাইব না কখনই। আর তার জন্য টেলিফোন বা যাতায়াতের খরচ নিয়েও মাথা ঘামাবো না খুব একটা।

    সমস্যা মিটে গেলে রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার টাঙিয়ে লোককে সজাগ করতে তো অসুবিধে কিছু নেই।

    ৪। অন্যায় বা ভুল কাজের প্রতিকার করতে গেলে সেই কাজটার পাশে দাঁড়িয়ে, সেই জমিতে দাঁড়িয়ে করতে হয় বলে আমি মনে করি। আমার মতে, পরের সমস্যায় নাক গলাতে গেলে পরের পাশে দাঁড়িয়ে সেটা করাই অপেক্ষাকৃত ভাল, পরকে হাটের মাঝে টেনে আনার চাইতে।

    ৫। যে কোন জিনিষ ভাঙা খুব সহজ, কিন্তু গড়াটা বড্ড কঠিন। শুধুমাত্র এই বোধ থেকেও কেউ কেউ বিরত থাকতে ছেয়েছেন, সেটা তাঁদের ভয় নয়, ডিসেন্সি।

    ৬। যতদূর মনে পড়ছে "সূর্য্যনারায়ন' নিয়ে এখানে সেরকম কোন আলোচনাই হয় নি, দু একটা স্ট্রে কমেন্ট ছাড়া। একবার কেউ, বোধহয় শমীকই আলোচনা করতে চেয়েছিল, রঙ্গন মনে করায় তার বহু আগে হয়ে যাওয়া 'পলিগ্যামী'র দুটো থ্রেড এর কথা। ব্যাস সেই শেষ।

    কাজেই সূর্য্যনারায়নবাবুর সময় কেউ ধমক দেয় নি ---- কথাটার কোন মানেই হয় না।

    কেউ বারেবারে আলোচনা করতে চাইতেই পারেন, সেটা যদি ধমক দেওয়া না হয়, তাহলে আলোচনা না করতে চাওয়াটাও ধমক দেওয়া নয়।
  • tan | 131.95.121.127 | ২৭ আগস্ট ২০০৬ ২১:২৪672248
  • রিয়েল লাইফ এক্‌জাম্পল চাইছিলেন না? মানুষে মরে যাবে,মনে বা সত্যি সত্যি, আমরা গান গাইবো মানুষ বড়ো কাঁদছে কোথায় মানুষ বড়ো অসহায়!আমাদের পাশে মানুষটিএ বাঁচাতে পারতাম কিন্তু তখন আমি বিশ্বের যুদ্ধ ইত্যাদি সমস্যায় ব্যস্ত ছিলাম। অথচ হয়তো বাঁচানো যেতো, এত বন্ধু ছিলো ওর!
    আমার পিসতুতো দিদি,অবন্তিকা।অগুনতি বন্ধু ছিলো তার,নিজের শহরে আর পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে।বহুবার তাদের নিয়ে অনেক আমোদ আহ্লাদ করেছে সে,নেমন্তন্ন করে খাইয়েছে।যে শহরে সে থাকতো সেখানে আপন বলতে কেউ ছিলো না তার,নিজের বুড়ো বাবামা ছিলো অসুস্থ আর প্রায় অচল,সে শহর থেকে বহুদূরে গ্রামে।শহরে এই বন্ধুরাই তার সব ছিলো।
    একদিন অবন্তিকার বিয়ে হলো বিজয়ের সঙ্গে,সুখী ছিলো কিছুদিন দুটিতে।পরে বিজয় নিজের বাবামায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলো একা একাই,অবন্তিকা যেতে চেয়েছিলো,কিন্তু বিজয় নেয় নি। পরে অবন্তিকা জানতে পারলো বিজয় নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে ছাড়পত্র যোগাড় করে দেশত্যাগ করতে তৈরী। অবন্তিকা শকড হয়ে ছুটে গেলো বিজয়ের অপিসে দেখা করতে, বিজয় বললো আরে তোমাকে তো আমি চিনিই না! কোথায় দেখা হয়েছিলো আমাদের?
    অবন্তিকার টাকা নেই, সে উকিলমোক্তার চেনে না বিশেষ,নিজের বলতে কেউ নেই শহরে,সে ছুটে গেলো ঐ বন্ধুদের দুয়ারে দুয়ারে,যারা শহরে ছিলো তাদের কাছে সাহায্য চাইলো আর যারা দূরের তাদের কাছে পরমর্শ চাইলো।সে তখন এত বিভ্রান্ত যে ঠিক করে কিছু চিন্তা করতে পারছিলো না।নিজের সিদ্ধান্তে সে বিয়ে করেছিলো,এখন কি করবে?
    সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত আঘাত হলো এই, বন্ধুরা কেউ অবন্তিকাকে সাহায্য করলো না,দুয়ার বন্ধ করে দিলো,বললো তোমার নিজের সমস্যা নিজে ভোগো।
    তারপরে কি হলো অবন্তিকার? আর কোনো খবর মেলে নি অবন্তিকার,আমার পিসে পিসে আর তাদের অন্য ছেলেমেয়েরাও কেউ ওর নামও উচ্চারণ করে না আর।
    বিজয় কিন্তু দিব্যি চাকরি পেয়ে চলে গেছিলো,নি:শেষ মুছে ফেলেছিলো ঐ সম্পর্ক আর তার সব দায়।কি অনায়াসে!
    এই পাপ যেন আর না হয় কোনো অবন্তিকার উপরে, বন্ধু শব্দটার তাহলে মানে কি? বন্ধু কি শুধু সুখের দিনের বন্ধু,দু:খের দিনে দরজা বন্ধা করে দেয়?

  • mita | 69.134.231.58 | ২৭ আগস্ট ২০০৬ ২১:৪২672249
  • এতোক্ষনে নিশ্চয় সকলেই বুঝে গেছেন যে এই টইয়ের আলোচনা টা ভার্চুয়াল থেকে রিয়াল এ এসে দাঁড়িয়েছে।
    ছেলেটা হয়ত বা বোকা,ইম্প্রাক্টিক্যাল, মেয়েটা হয়তো বা একটু বেশিই গালিবল, এবং অসহায়। এর কোনোটার জন্যেই কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবন কে হাটের মাঝে আনার অধিকার আমাদের নেই, বিশেষ করে জালিয়াতি, প্রতারনা ইত্যাদি বলে।
    এই সব আলোচনার পরে এই সম্পর্কটা ভেঙে গেলে কে তার দায়িত্ব নেবেন?

    অনেক সময়ে আমরা প্রিয় জনের কথা ভেবে তাদের ভালোর জন্যে কিছু করার কথা ভাবি, আমার মনে হয় সেই ভালো করার আগে তাদের সাথে সেটা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে।
  • tan | 131.95.121.127 | ২৭ আগস্ট ২০০৬ ২২:১৬672250
  • অনেকেই দেখছি রিয়াল।
    আমার অনুরোধ,আপনারা যারা উভয়কেই জানেন,উভয়েরই বন্ধু, কথা বলার বা দেখা করার সুবিধে আছে যাদের, তাঁরা ওদের সঙ্গে কথা বলুন। পারলে অনেকে মিলে দেখা করুন।
    মানুষকে এত সহজে হেরে মরে যেতে দেবেন না।তাহলে বন্ধু শব্দটার অর্থ কি?
    আমি কে হরিদাস পাল এলাম লোককে কর্তব্য জানাতে? না না কর্তব্য জানানো না, অনুরোধ মাত্র।অনুরোধ মাত্র।
    যিনি ঈশ্বর মানেন তার ঈশ্বর আর যিনি মানেন না তার মানবধর্মের দোহাই।

  • dam | 61.246.16.124 | ২৭ আগস্ট ২০০৬ ২২:৩০672251
  • তনু,

    ভেবো না। আমি সম্পুর্ণ দায়িত্ব নিয়েই বলছি একথা।

    কিন্তু একটু সময় ধৈর্য্য ধরে চুপ করে থাকো। প্রোজেক্ট শেষ হলে তার পোস্টমর্টেম করতে হয়, মাঝখানে নয়।
  • mita | 69.134.231.58 | ২৮ আগস্ট ২০০৬ ০২:৫৪672252
  • ট্যান, " অনেকেই দেখছি রিয়াল" কথাটার মনে বুঝলাম না। আপনি আমাকে এতোদিন ভার্চুয়াল ভেবে এসেছিলেন নাকি?????
    কি মুস্কিল!!
  • tan | 131.95.121.127 | ২৮ আগস্ট ২০০৬ ০৪:০৯672253
  • না,ভার্চুয়াল ভাবি নি।
  • indo | 59.93.202.13 | ২৮ আগস্ট ২০০৬ ১২:০৭672255
  • তনুর "অবন্তিকা'-র মর্মস্পর্শী গল্প- থুড়ি, সত্য কাহিনী ও তার পরবর্তী পোস্টিংটি পড়ে খানিকক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম। চোখের জল চাপতে পারলাম না। তারপর একটু ধাতস্থ হলে মণিভূষণ ভট্টাচার্যের একটা কবিতার লাইন মনে পড়ল :
    ""যখন পড়ি, 'কমরেড কানু সান্যালকে জেল ভেঙে ছিনিয়ে আনুন'-
    তখন ভাবি এঁরা অন্যের উপর দায়িত্ব দিয়ে
    চলে গেলেন কেন?''

    আর, একটা (un)রিয়েল লাইফ এক্সাম্পল-ও মনে পড়ে গেল। আমার মাসতুতো দিদি মালবিকা। অগুণতি বন্ধু ছিল তার , নিজের শহরে , আর পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে। বহুবার তাদের নিয়ে অনেক আমোদ-আহ্লাদ করেছে সে, নেমন্তন্ন করে খাইয়েছে। যে শহরে সে থাকতো, সেখানে আপন বলতে কেউ ছিল না তার, নিজের বুড়ো বাবা-মা ছিল অসুস্থ আর প্রায় অচল, সে শহর থেকে বহুদূরে গ্রামে। শহরে এই বন্ধুরাই তার সব ছিল।
    একদিন মালবিকার বিয়ে হল অগ্নিমিত্রের সঙ্গে, সুখী ছিল কিছুদিন দুটিতে। পরে অগ্নিমিত্র নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেল একা একাই, মালবিকা যেতে চেয়েছিল, কিন্তু অগ্নিমিত্র নেয় নি। পরে মালবিকা জানতে পারল অগ্নিমিত্র নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে পাসপোর্ট যোগাড় করে বিদেশে চাকরি করতে যেতে চায়।
    মালবিকা শকড হয়ে গেল; অগ্নিমিত্র এখনো অবশ্য রাজা দুষ্মন্ত অথবা অবন্তিকার বিজয়ের মত বলে নি-আরে, তোমাকে তো আমি চিনি-ই না! কোথায় দেখা হয়েছিল আমাদের ?
    কিন্তু বলতে কতক্ষণ!-একথা সে, মালবিকা, ভেবেছিল কিনা আমরা জানি না।
    মালবিকার টাকা নেই, সে উকিল-মোক্তার চেনে না বিশেষ, নিজের বলতে কেউ নেই শহরে, সে ছুটে গেল ঐ বন্ধুদের দুয়ারে দুয়ারে, যারা শহরে ছিল তাদের কাছে সাহায্য চাইল আর যারা দূরের তাদের কাছে পরামর্শ চাইল। সে তখন এত বিভ্রান্ত যে ঠিক করে কিছু চিন্তা করতে পারছিল না। নিজের সিদ্ধান্তে সে বিয়ে করেছিল, এখন কি করবে?
    বন্ধুরা কেউ কেউ মধ্যস্থতা করার কথা ভাবলেন, কেউ কেউ সময়ের ওপর ভরসা রাখতে চাইলেন, অনেক বড় বড় ক্ষতও তো সময়ে মেরামত হয়ে যায়। দুজন ব্যক্তিমানুষের সমস্যার মধ্যে না চাইতেই ঢুকে পড়লে সমস্যার সমাধান হওয়ার বদলে আরো জট পাকিয়ে ওঠে, ক্ষত সারবার বদলে বিষিয়ে যায়-এমন ভাবলেন কেউ কেউ।
    দূরের বন্ধুদের মধ্যে কারো কারো কিন্তু চোখ চকচক করে উঠল। এই তো সুযোগ-ভাবলেন তাঁরা-পাজী ভন্ড পুরুষটার দিই মুখোশ খুলে । বহুদর্শী অভিজ্ঞ ডাক্তার তাঁরা, টেলিফোনে-ইমেলেই রোগনির্ণয় করে ফেললেন। আশ্চর্য হবার কিছু নেই, টেলিমেডিসিনেরই যুগ এখন।
    তারপর খবরের কাগজে -ইন্টারনেটে কিছুদিন চিঠিচাপাটির ঝড় বইল। মালবিকা তো অবাক- এ পৃথিবীতে এখনো কিছু ভালো ডাক্তার তাহলে রয়েছেন-শেষ ডাইনোসরদের মত-যাঁরা রোগী না চাইতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে চিকিৎসা শুরু করে দেন। নিছকই ফিলানথ্রপির কারণে।
    আমার একটু খটকার মত লাগছিল প্রথমদিকে; তারপরে ভাবলাম এত বিজ্ঞ বিবেচক ডাক্তার, এঁরা কি আর হিপোক্রেটিক ওথ পড়েন নি- ডাক্তার, তুমি কারো উপকার করতে না পারো, ক্ষতি করো না।
    চিকিৎসা পুরোদমেই চলত, বাদ সাধল কিছু দুষ্টু লোক-দুষ্টু লোক তো সবদেশে সবকালেই গাদাগাদা থাকে ! এমন একটা মহৎ উদ্দেশ্যের পেছনে কাঠি করতে উঠেপড়ে লাগল তারা। যা হয়, সেবাব্রত গেল ভেস্তে। কেস জন্ডিস দেখে একজন ডাক্তার তো আবার স্টেথোটেথো থলেয় পুড়ে মেরিবাবা সেজে পবিত্র সব সার্মন দিতে লেগে গেলেন।

    খবরে প্রকাশ, ডাক্তারদের ডাক্তারি এবং দুষ্টু লোকেদের দুষ্টামি সত্তেও মালবিকাগ্নিমিত্র এখন একটু ভালো আছে। ওদের বোধহয় আর না ঘাঁটানৈ ভালো, অন্তত এই মুহূর্তে।

    ও, আরেকটা কথা। কোথা থেকে পেয়েছি জানি না-পুঁথির পাতা না জীবন থেকে- সত্যি-মিথ্যাও জানিনা- কথাটা কিন্তু প্রায়ই আমার মধ্যে কুড়কুড় করে। যে, কাজটাজ যাঁদের করবার, তাঁরা নীরবেই সেসব করে থাকেন, হাটের মাঝখানে বক্কাবাজি করে বেড়ান না।

    কাকসমাজের কথা অবশ্য আলাদা।
  • r | 61.95.167.91 | ২৮ আগস্ট ২০০৬ ১৩:০৫672256
  • আমার পক্ষ থেকে একটা বিনীত আবেদন:

    আমরা কয়েকজন অবিরত এবং সাধ্যমত চেষ্টা করছি যাতে গুরুচন্ডালী কিছু বিশেষ পাঠক-পাঠিকার সীমা অতিক্রম করে আরও বেশি মানুষের মাঝে পৌঁছে যেতে পারে। যাতে আরও বেশি মানুষ পড়েন এবং আরও বেশি মানুষ লেখেন। যেহেতু আমরা "আড়ালবিহীন কমিউনিটিতে" বিশ্বাস করি, তাই কারুর কোনো কথার উপর সেন্সরশিপ চাপিয়ে দেব না। কিন্তু আমাদের এই কমিউনিটিতে যাঁরা অনেকদিন ধরে লেখালেখি করছেন তাঁদের এইটুকু ভেবে দেখতে বলি, আমাদের প্রার্থিত ভবিষ্যৎ পাঠকদের সংখ্যা বিপুল এবং তাঁরা স্রেফ একটা ভালো, একটু অন্যরকম পত্রিকা পড়ার লোভে এই পাতা খুলবেন। তাঁদের এই জাতীয় বিষয় এবং চাপানউতোর প্রচন্ড উত্যক্ত করবে এবং করাই উচিত। আমরা যেহেতু এখনও প্রতিষ্ঠিত নই, আমরা সেই সব অনাগত পাঠকদের এই কথাও বলতে পারার স্পর্ধা রাখি না, যে পছন্দ না হলে পাতা উলটে চলে যান। আমাদের ভবিষ্যৎ চরিত্র নির্ভর করবে এই সব পাতার সম্মিলিত চরিত্রের উপর। তাই বিনীত অনুরোধ গুরুচন্ডালীর সেই সব অগুন্তি নীরব পাঠক এবং লেখকদের পক্ষ থেকে, যাঁরা আমাদের ভবিষ্যৎযাত্রা আরও সার্থক করে তুলবেন তাঁদের পক্ষ থেকে: এই জাতীয় ফোরামে বোধ হয় কোনো কিছু লেখার আগে কিঞ্চিৎ আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আত্মবীক্ষা প্রয়োজন।

    (এই বক্তব্যর যাবতীয় দায় কেবলমাত্র আমার। অন্য কেউ এই বক্তব্যের সাথে কোনোভাবে এবং কোনোমাত্রায় জড়িত নন।)
  • Parolin | 213.94.228.210 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৪:৩১672257
  • একটা গপ্প বলি শোনো। সত্যি গপ্প , বানানো নয়।
    হয়তো অপ্রাসঙ্গিক , কিন্তু আজ টই খুলে এই গপ্পটাই মনে পড়ে গেল।
    আমার এক বন্ধু আর এক বান্ধবী দুজন দুজনকে পাঁচ-ছবছর ধরে ভালোবাসে। ছেলেটির বাবা বড়লোক। মেয়েটি উচ্চ মধ্যবিত্ত। ছেলেটি সুন্দর , মেয়েটি সাধারণ।মেয়েটি ছেলেটির চেয়ে পড়াশোনায় অনেক ভালো। ছেলেটি বাবার খাচ্চায় বিদেশে পড়তে গেল , মেয়েটি জি আর ই দিয়ে পাওয়া অনেক ভালো ইউনিভ ছেড়ে ছলেটির কলেজেই গেল। ছেলেটিরও তাই ইচ্ছা ছিল।পড়া শেষে মেয়েটি কলেজে পড়ানোর চাকরি পেল , ছেলেটি একটি মোটামুটি কর্পোরেট জব। মেয়েটির এবং মেয়েটির বাড়ির ইচ্ছা এবারে বিয়ে হোক। ছেলেটি বলব বলব কোরেও দুবছর কাটিয়ে দিল। ছেলেটির বাড়িতে সম্পর্কটার কথাও জানে না ।ছেলেটি ভালোবাসে কিন্তু বাবা-মাকে বলার ক্ষমতা নাই।
    এক সন্ধ্যেতে মেয়েটি টেবিলে ডিনার সাজিয়ে বলে , "খাওয়া শুরু কর , একটা ফোন করতে হবে"। ফোনে করল ছেলেটির বাড়ির নম্বরে , ছেলেটির মা ফোনে তুলতেই , মেয়েটি বলল , আপনার ছেলে আর আমি দু দুজনকে আটবছর ধরে ভালোবাসি এবং বিয়ে করতে চাই। আপনার ছেলে একথা আপনাদের বলতে ভয় পায়। আমি আমার ধৈর্য্যর শেষ সীমায় এবং আর কিছুদিনের মধ্যে রক সলিড ডিসিশন না নেওয়া হলে আমি অন্য উপায় দেখবো। নিন এবারে আপনার ছেলের সাথে কথা বলুন।
    যা হোক , কদিনের মধ্যেই বিয়ে হয়েছিল।
    সুখে থাকুক , ভালো থাকুক।

  • s | 141.80.168.31 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৯:১৬672258
  • J, অর্কুটে আপনার প্রোফাইলে ইদানীং কৌতুহলী লোকের আনাগোনা বেড়ে গেছে... কিছু উপরে আপনার এই পোস্টিংটা এইমাত্র আপনার চোখে পড়ল। আপনার প্রোফাইল কাদের পায়ের ছাপে নোংরা হয়েছে বা হচ্ছে জানা নেই তবে ওর্কূটে এঘর সে ঘর ঘুরতে ঘুরতে 'আমোদ' নামটি দেখে অত্যন্ত মজা পেয়ে ও কৌতুহলী হয়ে (তখনো বুঝি নি ওটি আপনি) আপনার ঘরে কাদা পা নিয়ে ঢুকেছিলাম এবং সেকথা স্পষ্ট করে আপনার স্ক্র্যাপবুকে লিখেও এসেছিলাম। একমাত্র ঐ নামটি ছাড়া আর কোন কৌতুহল আমায় টানে নি - বিশ্বাস করা না করা আপনার হাতে। আপনাকে না জানিয়ে আপনার ঘরে আসাটা যদিও অন্যায় (আর অর্কূট বলেই এই অন্যায় কার্যটি করতে প্ররোচিত হয়েছিলাম) এবং আপনার স্ক্রাপবুকে লিখে আসার পরেও দেখা যাচ্ছে যে ভ্রান্ত ধারনা কিছু থাকলেও থাকতে পারে। অতএব খোলা পাতায় আবারো মাফ চাইছি - মাফ করবেন।

    পারমিতা (আদি), পারোলিন আপনাদের ঘরেও গেছিলাম এবং আপনাদের স্ক্র্যাপবুকেও ধূলো পায়ের ছাপ রেখেছি আপনাদের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই। যদি কিছু মনে করে থাকেন তো মার্জনা চাইছি।
  • vikram | 134.226.1.136 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ১৬:১২672259
  • ধুর, অর্কুট তো ওপেন ফোরাম। তাতে ডুকতে আবার অনুমতি লাগে নাকি? তার ওপরে অবার এমন অপশান সেট করা যায় যে আমি ঢুকলে কেউ দেখতেই পাবে না!

    আর অর্কুটে সোন্দর সোন্দর মেয়েদের দ্যাখতে পাওয়া যায় - মাইরি!

    বিক্রম
  • trq | 58.107.216.189 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ১৬:৩৮672260
  • ভিকিদাকে ডিটো।
    আমিও মাউস চেপে চেপে কোনখান থেকে যে কোনখানে চলে যাই, নিজেও জানি না।
    এভাবে ক্ষমা চাইতে গেলে ওখানকার সব সুন্দরীদের কাছেই হাজারবার করে ক্ষমা চাইতে হবে।
    পোষাবে না।

  • bumper | 213.110.242.6 | ০৮ মে ২০১৭ ২০:৩১672261
  • মনোজ্ঞ আলোচনা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন