এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রীশুভ্র | 126.203.187.160 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৩২656601
  • বহুগামিতা মানুষেরই সহজাত প্রবৃত্তি, নাকি তাবৎ জীবকুলেরই সহজাত প্রবৃত্তি; সেটা অবশ্য বলতে পারবেন জীব বিজ্ঞানীরাই। আমরা যারা সাধারণ দিন আনি দিন খাই গোছের মানুষ, কিংবা মাসিক কারবারী, তারা অবশ্য বহুগামিতাকে সমাজ সংসার আইন আদালত চক্ষুলজ্জার দায়ে এড়িয়ে চলতেই অভ্যস্ত! সেটা যতটা না নীতিগত আদর্শের কারণে, তার থেকেও বেশি উপায়হীনতার কারণেই। কিন্তু যাদের উপায় অনন্ত! সমাজের তথাকথিত অভিজাত শ্রেণীর জীবকুল! সিনেমার হিরো হিরোইন সুপারস্টার মার্কা আইকনিক ফিগার? তাদের লাইফস্টাইলে একটু আধটু বহুগামিতার টাচ না থাকলে লাইমলাইটে থাকার সামান্য অসুবিধেই বুঝি ঘটে! বহুগামিতার গুজব- যে সুপারস্টারকে ঘিরে যত বেশি, তার জনপ্রিয়তার টি আর পি যেন ততই উর্দ্ধগতির হয়! অর্থাৎ সাধারণ জণগনের অবদমিত আকাঙ্খা প্রিয় স্টারদের ঘিরে কিছুটা তৃপ্ত হয়! বস্তুত আমাদের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের মধ্যেই বহুগামীতার প্রতি একটি চোরা আবেগ সামাজিক সুবোধ পরিচয়ের আড়ালে সুপ্ত থেকেই যায়!

    এই যে সামাজিক সুবোধ পরিচয়, আমরা অধিকাংশ মানুষই এইটির অধীনে নির্ঝঞ্ঝাট থাকতে ভালোবাসি। তাই আমরা সাধু! কিন্তু সামাজিক সাংসারিক বেড়াজালের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে একটু আধটু সাহসী, কিছুটা শরমহীন হতে পারলেই আমাদের অবদমিত আবেগের যে বহিঃপ্রকাশ ঘটে না তা নয়। তবে সবটাই পর্দার আড়ালে, লুকোচুরির সেন্টের মৌতাতে! কিন্তু কেন এই লুকোচুরি? সামাজিক বিধিনিষেধের ঘেরাটপের জন্যেই তো? তা বিধিনিষেধ থাকলেই লুকোচুরিরই বা কি দরকার? বিধিনিষেধের লৌহকপাট ভঙ্গে ফেলে লোপাট করলেই তো হয়! না! তা যে হয় না সেটা আমরা সবাই মানি। ঐ বিধিনিষেধটুকু না থাকলে আমাদের নিজেদেরই বিপদ! বিপদ কারণ, আমার প্রিয় মানুষটিও তো তখন সেই সুযোগটি নিতে দ্বিধ্বা নাও করতে পারেন। অর্থাৎ নিজের জন্যে বহুগামিতার মৌতাতটুকু আমাদের অধিকাংশেরই আকাঙ্খার চোঁয়া ঢেকুড়ে জায়মান থাকলেও সেইটি আমাদের প্রিয়জনেদের ক্ষেত্রেও থাকবে- এইটি আমরা ভাবতেও পারি না! এ যেন নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা!

    তাই আমাদের সমাজ সংসারে বহুগামিতাকে আমরা অনৈতিকতার তকমায় মুড়ে রেখে নিশ্চিন্তে নিদ্রা দিতে পছন্দ করি! আর মনের সঙ্গোপনে স্বপ্নের আলোছায়ায় তাকে লালন করি! এই যে দ্বিচারিতা এইটিই আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট! বিশেষতঃ বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর। বস্তুত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা আগারও খেতে যেমন ভালোবাসি, তেমনই গোড়ারও কুড়োতে ভালোবাসি, তবে লোকচোক্ষুর অন্তরালেই! সেটাই আমাদের স্বভাব ধর্ম। কিন্তু এইখানেই আরও একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের, একটু যদি বিষয়ের গভীরে যেতে চাই। বহুগামিতার প্রতি এই যে সহজাত আকর্ষণ, এইটি কি নারী পুরুষ নির্বিশেষেই? আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ সংসারে সামাজিক ভাবে নারী পুরুষের অবস্থানগত ফারাকটা কি আকাশ পাতাল নয়? পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় আবিশ্ব সকল দেশেই পতিতালয়গুলি কি এই বহুগামীতারই চর্চাকেন্দ্র নয়? কিন্তু এইগুলিতে কাদের ভীড়, সে কথা আমরা সবাই জানি। তবে তো একথাই বলা যায়, বহুগামিতা মানুষের নয়, শুধুমাত্র এবং শুধুই পুরুষেরই সহজাত প্রবৃত্তি! নারীর বহুগামিতাকে প্রশ্রয় দেবার জন্যে তো আর পতিতালয় নয়! যদিও বিতর্কের নেশায় কেউ কেউ এই বলে কূটতর্ক জুড়ে দিতে পারেন যে, পতিতালয়ের যৌনকর্মীরা কি বহুগামী নয়? তারা কি প্রতিদিন একটিই খদ্দেরের সাথে ব্যাবসা করে চলে? তা তো নয়? তাহলে! তাহলেই তো কথাটা উঠছে, পতিতালয়গুলি যাদের দাক্ষিণ্যে রমরমিয়ে চলে, সেই পুরুষসম্প্রদায়ের অধিকাংশেরই ঘরসংসারে দাম্পত্য ভালোবাসার সুখী গৃহকোণ থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রবৃত্তির অভিমুখ পতিতালয়মুখী হলেও, অধিকাংশ যৌনকর্মীরই কোনো সুখী দাম্পত্য গৃহকোণ থাকে না। থাকলে পতিতালয়গুলি ফাঁকা পড়ে থাকতো! তাই আমাদের সমাজ সংসারে বহুগামিতা পুরুষেরই একটি রোগ! যাকে আমরা প্রবৃত্তি বলে দোষারোপের পরিসরটিকে কিছুটা হালকা করতে চাইছি! আবার অনেকে একথাও বলবেন, সভ্যতার ঊষালগ্নে সমাজ তো বহুগামিই ছিল! ছিল, কিন্তু সেটা কি কোনো সমাজ ব্যবস্থা ছিল আদৌ? না কি সমাজ সংসার গড়ে উঠেছিল বহুগামিতাকে পরিহার করার হাত ধরেই!
    আর এইখানেই ইতিহাস আমাদেরকে আরও একটি ভয়াবহ সত্যের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়! বহুগামিতাকে পরিহার করার জন্যেই কি সমাজ সংসার গড়ে উঠেছিল? নাকি নারীকে পুরুষের অধীনে তার নিয়ন্ত্রণে বেঁধে ফেলার জন্যেই এবং সম্পত্তির ভোগসত্ত্ব পুরুষের এক্তিয়ারে ধরে রাখার জন্যেই সমাজ সংসার গড়ে উঠেছিল! অর্থাৎ বাহুবলে বলীয়ান পুরুষ তার সম্পত্তি ভোগবাদের ধারণায় নারীকেও একই সূত্রে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যেই কি বহুগামিতার বিরুদ্ধে সমাজ সংসার গড়ে তোলেনি? তবে তো প্রশ্ন উঠতেই পারে, নারীকে বহুগামিতা থেকে আটকাতেই অন্যান্য সম্পত্তির মতোই তাকে নিজের এক্তিয়ারে বেঁধে ফেলার জন্যেই পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ সংসারের উৎপত্তি! আর তাই বহুগামিতার বিরুদ্ধে এত বিধিনিষেধের কড়াকড়ি।

    সবটাই নারীকে নিজের অধীনে বেঁধে রাখার জন্যই। তাই বহুবিবাহ পুরুষের ক্ষেত্রে আজও কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়ে প্রচলিত থাকলেও নারীর ক্ষেত্রে কোনো কালেই তা স্বীকৃত ছিল না! যারা এই প্রসঙ্গে দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামীর দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাইবেন, তাদের সবিনয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে, সেই ঘটনা দ্রৌপদীর ইচ্ছাধীনে ঘটেনি! অর্থাৎ আমরা পুরুষরা বহু মহিলাতে আসক্ত হলেও সেটা চলে যায়, কিন্তু আমার গৃহলক্ষ্মী যেন দ্বিতীয় কোনো পুরুষের স্বপ্নও না দেখে! দেখলেই পাপ! এই যে পাপ পূণ্যের ধারণা সেটাও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নারীকে অবদমিত রাখার কৌশল মাত্র! কিন্তু নারী! নারী কি পুরুষের মতোই বহুগামী? প্রকৃতি নারীকে যেমন দুহাত ভরে উজাড় করে সাজিয়ে দিয়েছে, ঠিক তেমনই নারীকে মতৃত্বের লক্ষণ রেখায় আবদ্ধ করে রেখেছে স্নেহ মায়া মমতার সৌকর্যে। পুরুষের গর্ভধারণ করতে হয় না বলেই তার পক্ষে বহুগামিতা যতটা রমণীয়, নারীর পক্ষে ততটাই অসুবিধেজনক। নারী তাই সহজাত ভাবেই একটি সুখী গৃহকোণের স্বপ্নেই বিভোর থাকতে ভালোবাসে আজীবন, সেখানেই তার নিশ্চিন্তি! এই নিশ্চয়তা, বিশেষতঃ আমাদের মতো অনুন্নত দেশে, যেখানে নারীকে স্বামীর খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্যে নির্ভর করতে হয়, নারী জীবনের প্রধানতম বিষয়! নারী তাই আত্মরক্ষার তাগিদেই বহুগামী হয়ে উঠতে পারে না সহজাত ভাবেই। আবার সেই আত্মরক্ষার তাগিদেই অবস্থাবৈগুণ্যে তাকে বাসা বাঁধতে হয় পতিতালয়েও!

    অর্থাৎ এইখানে অর্থনৈতিক স্বঅভিভাকত্বের বিষয়টিই নারীর জীবনে প্রধানতম বিচার্য বিষয়! তাই সবাই অপর্ণা সেন বা তসলিমা নাসরীন হয়ে উঠতে পারেন না! আর তখনই বিতর্কবাদীরা নড়েচড়ে বসবেন! তবে তো এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজেই নারীরও বহুগামী হয়ে উঠতে বাধা নেই! আলোচনার শুরুতেই সেকথার উত্তর দেওয়া আছে! সমাজের অভিজাত শ্রেণীর পক্ষে যা সহজ শোভনীয়, সাধারণ জনজীবনে, সেইটিই চূরান্ত কঠিন ও সামাজিক লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় না কি? তাই বাস্তবতার ছবিটা স্পষ্ট দেখতে পেলে আমরা অনুধাবন করতে পারি আমাদের সমাজ সংসারে নারী পুরুষের অবস্থানগত বৈষম্য কতটা গভীর! এবং সেই বৈষম্যের হাত ধরেই নারী পুরুষের মানসিকতার পরিসরেও আকাশ পাতাল তফাৎ! তফাৎ তাদের সহজাত প্রবৃত্তিতেও! তাই বহুগামীতা পুরুষেরই সহজাত প্রবৃত্তি, নারীর নয়। অন্তত পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ ব্যবস্তার প্রতিদিনের বাস্তবতার পরিসরে!
  • বিপ | 80.192.192.237 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২২656602
  • আমিও মনে করি নারী পুরুষের বহুগামিতা বৈধ হওয়া উচিত-তবে কোন ফর্মে সেটা আবিস্কার করতে পারি নি। সব ঘেঁটে মনে হচ্ছে, যা আছে তাই ভাল । লুকিয়ে চুরিয়ে একটু দুরু দুরু বুক্কে কথা না বলতে পারলে আর কি প্রেম হইল!! দেহটাত বাজারেও পাওয়া যায়!! তাই একগামীতাই সই । একটা বৌ এর জন্য পুরুষের প্রোডাক্টিভিটি কমে ৯০%-দুটো হলে নেগেটিভ হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন