এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ২১:৩৩626493
  • লেখো লেখো। বসলাম শতরঞ্চি পেতে।
  • সায়ন | 24.194.59.88 | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ২১:৩৯626504
  • একসময় প্রতিদিন সন্ধ্যেয় অচেনা টিমটিমে আলো জ্বলা সেই বুড়ো স্টেশনটায় বসে ইস্পাত লাইনগুলোকে দেখতাম, প্ল্যাটফর্মের অ্যাসবেস্টসের ছাদের কোণ দেখে একটা কাক আর কাকির পরিবার, গমগমে জড়ানো মাইকে দূর্বোধ্য কিছু অ্যানাউন্সমেন্ট, ধূলো উড়িয়ে চলে যাওয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটা, তারপর শ্লথগতি প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলো... পায়ে পায়ে চলা কিছু মানুষ তাদের চটিজুতোর খসখস নিয়ে কিছু ভীড়, তারপর আবার সব খালি হয়ে যাওয়া। দাদা বলতো, চাকার আবিষ্কার বড়ো আবিষ্কার। আমি রন্ধ্রে রন্ধ্রে বুঝি বাক্যটাকে, বাক্যটার প্রতি তিক্ততাকে। কিছু চাকা একজোট হয়ে কিছু লোককে কিছু মানুষের থেকে দূরে পাঠিয়ে দেবে - এ কোথাকার সভ্যতা! যা দূরে পাঠায়, সময়ের তিক্ততা মিটলে তা নিকটবর্তীও করে। করে? জানি না। অনেক লেখার আছে। জানি আমাদের প্রায় সবাইই এরকম অন্তত কিছু ঘটনার সঙ্গে নিজেদের রিলেট করতে পারবো। বাদবাকি কিছু জিবারিশ।
  • siki | 132.177.87.37 | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ২৩:১৭626513
  • ঘুমিয়ে পড়লি?
  • সায়ন | 24.194.58.121 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০০:৪৯626514
  • শয়নযান শ্রেণী
    **************

    বেশ কিছুকাল আগে ব্যাঙ্গালোর থেকে হায়দ্রাবাদ যাওয়ার পালা। আপিস থেকে হাতে ট্রেনের টিকিট ধরিয়ে দিয়েছে। ডেট পরীক্ষা করে বুঝলাম বন্ধুর রিসেপশনের ঠিক পরের দিন এখান থেকে বোর্ডিং। না গেলে কপালে অশেষ দূর্গতি, জানা কথা। তার মানে যাদের টিকিট তাদের তা ফেরত দিয়ে নিজে টিকিট কাটো। আমার তৎকাল-ভাগ্য বরাবরই অতিশয় নির্দয়। ও সিকে ছিঁড়বে না। স্লীপার নাইট বাসে যাবো - কভি নহী। অতএব পাড়ার মোড়ের ঝন্টুদা। পৃথিবীতে যে কোনও যান যাতে টিকিট কাটা যায়, ঝন্টুদা তার টিকিট কেটে দিতে পারবে - অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ! পরখ করে দেখলাম ব্যাপারটা মিথ্যে নয়। দু'দিনের ব্যাবধানে হাতে কাচেগুড়া এক্সপ্রেসের কনফার্মড টিকিট চলে এল। সাধারণ স্লীপার ক্লাস। ভালোই তো। হাওয়া খেতে খেতে যাবো।

    [এখানটায় একটু এটা বলে রাখা দরকার, প্ল্যাটফর্মে পা-রাখা থেকে নিজের বার্থে চড়ে বসা - এই পাঁচ-সাত মিনিট সময়টা একইসঙ্গে উত্তেজক এবং আশাবাদী। ট্রেনের দরজার পাশে সাঁটা প্যাসেঞ্জার্স ম্যানিফেস্ট, নিজের সীট নাম্বার আর তার পাশে যদি কোনও কিউট xxF (যেখানে xx একজিস্টস বিটুইন ২৫ অ্যান্ড ২৭ অ্যান্ড F রিমেইনস আ কনস্ট্যান্ট) থাকে তার সঙ্গে কিছুটা রাস্তা গল্প করে যাওয়া... ধুর, ও শুধু সিনেমায় হয়। কিন্তু মানুষ আশাবাদী প্রাণী।]

    আশায় একবাটি ঠান্ডা জল ঢেলে আমার জন্য বরাদ্দ আপার বার্থটিতে চড়ে বসলাম, অই নীচে দেখা যায় মোটাসোটা পরিবার। মোটাসোটা মানে অনেক ব্যাগ নিয়ে আর কি। দুটো লোয়ার আর একটা মিড্‌ল তাদের দখলে - 4F (একটা ছোট্ট পুঁচকি মেয়ে), 30F (তার মা), 58F (তার দিদা) আর 37M (তার বাবা)। বাকি একটা মিড্‌লে একজন 30M আর আমার উল্টোদিকের আপারে একজন 38M।

    অন্যান্য আর পাঁচটা পরিবারের মত এরাও নীচের অংশে নিজেদের সাম্রাজ্যস্থাপন করলো। লোয়ার বার্থদুটোর নীচে গোটা জায়গাটা তাদের। তিনটে মোটা সুটকেস, দুটো বড়ো গোব্দা ব্যাগ গায়ে নাইকি এডিডাস এইসব লেখা, তিনটে মাঝারি/মাঝারি-ছোট ব্যাগ বিভিন্ন কোম্পানীর নাম-ঠিকানা লেখা, দুটো বাঁশের হাতল লাগানো পাটের ব্যাগ যেগুলোর গায়ে বিজাতীয় ভাষায় কোনও শাড়ির দোকানের ছাপ মারা, এবং একটা বড়ো প্লাস্টিকের শপার। লোয়ার বার্থদুটোর মাঝে জুতো, গুটলি পাকানো মোজা, পাশে পাঁচ লিটারের জলের ক্যান, সামনে ছড়িয়ে রাখা ইয়া মোটা রোমশ পা, এবং ভাজাভুজির প্যাকেট, কোকাকোলা ইত্যাদি। শুধু জায়গা দখন কি, এদের আশেপাশে থেকে মানসিকভাবে কোণঠাসা-করা একটা বাতাবরণের উপস্থিতি বেশ টের পাচ্ছিলাম। উল্টোদিকের 38M দিব্যি চাদর পেতে শুয়ে পড়েছে। ঘড়িতে চারটে। বুঝলাম, এ যাত্রার শেষে আমার মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়া ঠেকায় কার সাধ্য! উল্টোদিকের মিড্‌ল বার্থের 30M নীচে ঠাঁই না পেয়ে আমার বার্থে উঠে এসেছে কখন। এখানে বসে থাকা আমার দ্বারা হবে না। লাফ মেরেই নীচে নামতাম। কী মনে করে মই বেয়ে নেমে এলাম।

    ক্যান্টনমেন্টে ট্রেন থামলে ধারের সাইড আপারে একজন 29F এসে উঠেছেন (তখন ঠিক খেয়াল করিনি)। এরই মধ্যে একজন এসে এনার তদারক করে বার্থে সেট্‌ল করে দিয়ে গেছে। কান খাড়া করে শুনে যা বুঝেছি, তিনি এঁর "হাবি" (মাইরি এমন শব্দ কে বানায়!)। এই কামরায় নয়, হাবি ভদ্রলোক তিন কম্পার্টমেন্ট পিছনে S8'এ। তা ইনি সাইড লোয়ারের একপাশে। অন্যপাশে আমি গিয়ে বসি। যথেষ্ট সংযতভাবে, পা-হাঁটু ইত্যাদি মুড়ে। বাদবাকি বিকেল আর সন্ধ্যে জানলা দিয়ে বাইরে রুক্ষ ধূসর রায়ালাসীমা ল্যান্ডস্কেপ দেখতে দেখতে যাই, সেই বছর ভালো বৃষ্টির জন্য বন্ধ্যা ভূপ্রকৃতিতেও যেন সবুজের টান লেগেছে। বেশ রিসেন্টলি গোকর্ণ থেকে কোঙ্কণ উপকূল ধরে হাম্পি যাওয়ার সময় ড্রাইভ অনেকটা এরকম ছিল। বেলারি ছাড়িয়ে তীরের মত সোজা রাস্তা, পাশে গাঢ় ছাই রঙের প্রাণহীন মাটি মাইলের পর মাইল। এখানে অন্ততঃ কিছু হলেও সামান্য সাহসী সবুজ ফেটে যাওয়া পাথরের বুক চিরে মাথা উঁকি দিয়ে শ্বাস নিচ্ছে, দোল খাচ্ছে যাদের প্রাণের স্রোত খামখেয়ালি কিছু জলের কুন্ড, প্রকৃতিদত্ত পানীয় জল, পাথরের কোলে এখানে ওখানে।

    অবশিষ্ট সোনারোদটুকু মেখে টিটি ভদ্রলোক হেলতে দুলতে এলেন। আমার টিকিট চেকার ভদ্রলোককে দেখানো মাত্র 29F বুঝে গেল সাইড লোয়ার বার্থটি আমার নয়। তৎক্ষণাৎ কল করা হয়ে গেল S8'এ। মাত্র এক গজ দূরে আমি জলজ্যান্ত বসে থাকা সত্বেও হাবি'কে বলা হয়ে গেল সাইড লোয়ারটা ফ্রী। বুঝলাম, আমাকে উৎখ্যাত করার প্ল্যান চলছে। একটু বাত্তুম ঘুরে আসি। দরজায় দাঁড়াই কিছুক্ষণের জন্য। ফিরে এসে দেখি হাবি ভদ্রলোক ফিরে গেছেন। আর এদিকে ইনি আমার দিকের মধ্যে প্রায় এক ফুট ঢুকে এসেছেন। খুবই সাট্‌ল হিন্ট, কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী শক্তির এ এক প্রাচীন মেসেজিং সিস্টেম। এর পরের এক ঘন্টা খুব সতর্ক থাকি আমি।

    পাশের ক্যূ'তে আরেক জয়েন্ট ফ্যামিলি - দুই ভাই, তাদের মিসেজরা, বাচ্চা, এক ব্যাচেলর ভাই (নাম লিঙ্গা) সব মিলে "তাম্বোলা" খেলছে। ইতি-উতি ছড়ানো-ছেটানো স্ন্যাকের পাহাড়। প্রথম দুটো গেম মনে হল মজা করার জন্য খেলছে। তারপর দেখলাম কেমন একটু যেন সিরিয়াসনেস চলে এল। টাকা রেখে খেলা শুরু, কম ডিনমিনেশনের। একবার মনে হল আমি ইনট্রুড করছি না তো! একবারে ওদের মাঝে গিয়ে যদি বলি, আমাকেও খেলতে নিন, খুব ভেবলে যেতে পারে। তার চাইতে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আসি। পরোক্ষভাবে ঢুকতে হবে খেলায়। প্রথমদিকে বাচ্চা ছেলেটাকে শেখাই কীভাবে মিকি মাউসের ডুড্‌ল করতে হয় (নোটঃ ইনডাইরেক্ট পার্টিসিপেশনের সময় মেইন প্লেয়ারদের সঙ্গে অকেশনাল আই কন্ট্যাক্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ জেসচার)। তাছাড়া ওদের মজারুতে হাসাহাসি, সেসব তো ছিলই। একসময় আমার সদিচ্ছার কথা বুঝতে পেরে আমন্ত্রণ জানিয়েই ফেলে, আমি আর কী করি। অগত্যা। তাম্বোলার টিকিট প্রতি দশ টাকা।

    এর পরের দেড় ঘন্টায় আমি ওদের খাবার খেয়ে, ওদের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলে, লিঙ্গাকে নিয়ে মজা করে, তাম্বোলায় তিরিশ টাকা খুইয়ে সাইড লোয়ারে ফিরে এলাম। 29F সাইড লোয়ারের তিনের চতুর্থাংশ বাগিয়ে ফেলেছে। একে এখন সরাই কী করে। গলা খাঁকারি আলতো করে। মুখে একটা বিরক্তির ভাব ফুটিয়ে জাস্ট একটুখানি সরে বসে। আচ্ছা! শত্রু হলাম তবে। ভাবতে কেমন অবাক লাগে, আমরা একে অপরের সম্পর্কে কত অল্প জেনে অথবা কিছু না জেনেও তার বক্তব্য বা ইচ্ছার সঙ্গে আপোষ বা বিরোধিতা করি।

    এর মিনিট কুড়ি (সিকি কানে আঙুল দে) পর হাবি'র জন্য কল যায়। নৈশাহারের। ফোনে কাল্পনিক বার্তালাপ থেকে বুঝলাম তার একদম খাওয়ার ইচ্ছে নেই। সম্ভবত আগে ট্রেন থামতে বাসি সিঙাড়া সাঁটিয়েছে, এখন অম্বল। 29F বলে "ফার্স্ট সিট হিয়ার নো দেন উই ক্যান ডিসাইড হোয়েন উই ওয়ান্ট টু ইট"... আমাকে শুনিয়ে। বেশ ঝঙ্কারময় গলায়। আড়ি পাতা একটা আর্ট। বেশ বুঝতে পারি এখানে ডাকার মানে আমাকে হঠানো। অবশ্যাম্ভাবীভাবে হাবি আসে, আর আসে আমার প্রতি বাক্যবন্ধ "সিট সামহোয়্যার এলস, উই উইল ইট ডিনার নাউ"। আমি টিপিন ক্যারিয়ারগুলো মানসচক্ষে দেখতে পাই। নাকে বিরিয়ানির গন্ধও আসে। তবুও আমাকে উঠে যেতেই হবে। কিছু করার নেই।

    সাইড আপার বার্থটায় চড়ে বসি। নীচে বসে ওরা পরের এক ঘন্টা পর্যন্ত ডিনার করে না। তবুও, নীচে নেমে ওদের বার্তালাপে থোড়াই ব্যাঘাত ঘটাতে পারি। নাহ্‌, সে হয় না। একটা বইয়ের পাতা ওল্টাই। কিছু পরে লোকটা ফিরে যায়। আর আমি ভাবি এবার নীচে নেমে একটু শুই তাহলে। 29F পুরোদস্তুর পা মেলে গোটা সাইড লোয়ার জুড়ে শুয়ে ছিল। আমি যে পাশে এসে দাঁড়িয়েছি সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই।

    আমিঃ এক্সকিউজ মি?
    29F: হোয়াট?
    আমিঃ আই ওয়ান্ট টু সিট হিয়ার
    29F: ইজ দিস ইয়োর বার্থ?
    আমিঃ আই ওয়াজ সিটিং হিয়ার বেফোর ইউ রিকোয়েস্টেড মি টু সিট সামহোয়্যাস এলস হোয়াইল ইউ হ্যাড ডিনার। আই নোটিস দ্যাট ইউ হ্যাভ হ্যাড ডিনার।
    29F: হোয়াই ডোন্ট ইউ সিট ইন ইয়োর প্লেস?
    আমিঃ দ্য মিড্‌ল বার্থ গাই ইজ স্লীপিং ইন মাই বার্থ। আই ওয়াজ সিটিং হিয়ার সীনস দ্য বিগিনিং!
    29F: দিস ইজ নট ইয়োর বার্থ।
    আমিঃ দিস ইজ নট ইয়োর বার্থ আইদার।
    29F: মাইন ইজ সাইড আপার।

    তর্কাতর্কিটা এরকম আগুপিছু চলে খানিকক্ষণ পর্যন্ত। নিজের সাইড লোয়ার বার্থ হওয়ার দৌলতে 29F সাইড লোয়ার বার্থ'এর আদ্ধেকটা দাবি করে। আমি বলি সেটা সম্ভব হত যদি সাইড লোয়ার ফ্রী থাকত তাহলে। আরও বুঝিয়ে বলতে যাই রাত দশটার পরে সাইড লোয়ারে সাইড আপারের কোনও শেয়ার থাকে না। রেলের নিয়ম অনুযায়ী।

    কেউ কারুর কথা না শুনে আমরা সাইড লোয়ারে যে যার এক্তিয়ার নিয়ে সিট কামড়ে, চোখে ভস্ম-করে-দেওয়া রাগ নিয়ে বসে থাকি। আর পরের মুভের জন্য জল্পনা করি। আধ ঘন্টা পরে তিনি ঘোষণা করার ভঙ্গীতে বলেন, এবার আমার ঘুম পাচ্ছে, আমি ঘুমোব, তুমি নিজের বার্থে ফিরে যাও। সেটি হচ্ছে না। আমি প্যান্ট্রীর দেওয়া ডিনারের প্যাকেট খুলি। খুব মন দিয়ে তিনটে রুটি আর চিকেন কারি পরের এক ঘন্টা ধরে খাই। ফোনে ফেসবুক করতে করতে।

    পরের ক্যূ থেকে একটা ছেলে এই গোটা সময়টা জুড়ে হওয়া এই এপিসোডটায় নজর রাখছিল। এবার সে ফীল্ডে নামে। আমি যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি, স্লীপার ক্লাসের নিয়ম অনুযায়ী "অ্যান এম্পটি বার্থ বিলংস টু ইটস ফার্স্ট অক্যুপ্যান্ট"। জেনার‍্যাল কম্পার্টমেন্ট, ওয়েট-লিস্টেড টিকিট হোল্ডার - সবার ক্ষেত্রে এই রুল প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে সেটা কেন আলাদা হবে! ছেলেটা সহমত হয় আমার সাথে। আমার তাম্বোলা-পার্টনারদের কেউ কেউ আমাকে সমর্থন জানায়। আমি জনমত তৈরী করছি! ওয়াহ্‌! যুদ্ধ প্রায় জিতে গেছিলাম, এমন সময় 29F বলে "রুলস অন্থা সেরি আন্ডি কানি লেডিজ রিকোয়েস্ট চেস্তে কোঞ্চম অ্যাডজাস্ট আভালি কদা?" (রুল ইত্যাদি সব ঠিক আছে কিন্তু লেডিজ রিকোয়েস্ট করলে একটু অ্যাডজাস্ট করা উচিত নয় কি, আপনারা কী বলেন?)

    গোটা দক্ষিণ ভারতে "লেডিজ" শব্দের মর্ম সুদূরপ্রসারী, বিশেষতঃ আন্ধ্রা আর কর্নাটকে। ক্ষেত্রবিশেষে বহুবচনে এর প্রয়োগ মহা মহা যুদ্ধের ইনস্ট্যান্ট ফলাফল ঘোষণা করে দেয় আর আমি তো নিমিত্ত মাত্র। একটাই রুল, পাবলিক প্লেসে, লেডিজদের যেন কোনওমতেই অসুবিস্তা না হয়।

    আমি তবু একটু ক্ষীণ চেষ্টা চালিয়েছিলাম, নারী পুরুষ সমান ইত্যাদি। ওঁর সাথে বাচ্চা ইত্যাদিও নেই। উনি সিনিয়র সিটিজেনও নন (29F আফটার অল)... কিছুই আর ধোপে টিকলো না। যে গুটিকয় সাপোর্ট ছিল আমার সঙ্গে এতক্ষণ তারাও দেখলাম ভোজবাজির মত উবে গেছে!

    আমি ওয়াশ বেসিনে যাই, গিয়ে হাত ধুই, মুখে জলের ঝাপটা দিই। ফিরে এসে দেখি ম্যানিপুলেটিভ 29F গোটা সাইড লোয়ার জুড়ে ফুল ফুল বেডশীট পেতে ঘুমিয়ে পড়েছে।

    ----- *** -----

    গল্পটা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু দেশের নাম ইন্ডিয়া এবং পিকচার অভি বাকি হ্যায়।

    আমি আমার অরিজিনাল আমার বার্থে উঠে যাওয়ার দশ মিনিটের মাথায় পরের স্টেশন থেকে একটা কলেজ-পড়ুয়া ছেলে ওঠে। ওই সাইড লোয়ারের আসল দাবিদার। 29F সাইড লোয়ার বার্থ খালি করে সাইড আপারে উঠে যায়। ওঠার সময় আড়চোখে আমার দিকে তাকাতে ভোলে না। আর আমার ঠোঁটের কোলে একটা জিঘাংসামূলক হাসি তো ছিলই।
  • 4z | 152.176.84.188 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০১:০৬626515
  • সান্দাকে আবাজ দেওয়ার জন্য সিকির বাইক কেড়ে নেওয়া হোক
  • b | 135.20.82.164 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৭626516
  • আহাহা। স্লীপার ক্লাসের সাইড লোয়ার। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। কিন্তুক বার্থটি ট্রেনের মাঝামাঝি হওয়া চাই, নইলে বড্ড লোকজন এসে বিরক্ত করে। অ্যাডযাস্ট ইত্যাদি। আমি একবার চেন্নাই মেলে বাড়ি ফেরার সময় ম্যাড্রাস সেন্ট্রাল থেকে ভদ্রক অবধি দুটো ছোঁড়া আমার পায়ের উপরে বসে বসে এসেছিলো। অবশ্যই পূজোর সময়। তা সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছিলো পঞ্চমীর চাঁদ আর চিলিকা লেকের একটা দুর্ধর্ষ কম্বো।

    এখানে যাঁরা ট্রেনে চেপে ঘুরতে ভালোবাসেন, বা বলা ভালো, ট্রেনে চাপতে ভালোবাসেন (ঘোরাটা সেকেন্ডারি ইম্পর্ট্যান্স), তাঁদের জন্যে গ্যারান্টী রইলো। একবার জব্বলপুর থেকে হাওড়া অবধি শক্তিপুঞ্জে চেপে আসুন। স্লীপার ক্লাস। সাইড লোয়ার বার্থ।
  • siki | 132.177.183.206 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৪626517
  • আবে আমি কোথায় আবাজ দিলাম? সান্দাই তো আমায় কুড়ি টুড়ি বলে আবাজ দিল! হাঃ, লেডিজ রিকোয়েস্ট চেস্তে কোঞ্চম অ্যাডজাস্ট আভালি ইঃ।
  • π | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৫626519
  • স্লীপার ক্লাসের সাইড লোয়ার। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।

    ক।
  • siki | 132.177.183.206 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৫626518
  • তবে জমে গেছে। সান্দা আর ঘুমোস না।
  • dd | 132.167.15.3 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:১০626494
  • স্লীপার ক্লাসের সাইড লোয়ার। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।

    তার সাথে চাই সরেস গাঁজা।প্রতিটি শব্দ আলাদা আলাদা আলাদা করে চিত্তে সেঁধিয়ে যায়। আত্মাটাই রেলগাড়ী হয়ে যায়। আর সেরম হবে না কখনো ।

    এখনো স্লীপার ক্লাসের সাইড লোয়ার ভাল্লাগবে যদি কামরায় আর একটাও মনিষ্যি না থাকে।

    দেখি, যদি সস্তায় একটা অস্স্তো রেলগাড়ী কিনতে পাওয়া যায়।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:১৮626495
  • স্লীপার ক্লাসের সাইড লোয়ারেই ভগবান আরএসি-দের বসান। কোনওদিন আরএসি হয়ে স্লীপার ক্লাসের সাইড লোয়ারে বসে দেখবেন, কেমন ঈশ্বরের আশ্চর্য সৃষ্টি মনে হয়।
  • kumu | 133.63.144.54 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:২৪626496
  • আহা সেইসব দিন।দুই বাচ্চাকে বাবু করে জানলার ধারে বসিয়ে পা ছড়িয়ে তাদের আটকে সাইড স্লীপারের লোয়ারে শুয়ে থাকা আর তাদের প্রশ্নের জবাব দেয়া ।
  • সায়ন | 170.83.97.83 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৫৪626497
  • বি, "স্লীপার ক্লাসের সাইড লোয়ার। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।" - ক্যানট এগ্রী মোর। কিন্তু সমসাময়িক কালে একজন লেসার গডেস সাইড আপার আর সাইড লোয়ারের মাঝে সাইড মিড্‌ল সৃষ্টি করে ফেলেছিলেন। এই যে, এভিডেন্স রইল --
  • সায়ন | 170.83.97.83 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৫৫626498
  • আরে আরে, এটা এটা --

  • b | 135.20.82.164 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ১০:০৪626499
  • হ্যাঁ, জানি তো। কিন্তু সেটাকে আবার ফেরৎ নিতে বাধ্য হন।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ১০:১৪626500
  • গডেস না। ওটা লালুর কীর্তি ছিল। গডেস ব্যাপারটাকে তুলে দেন।

    যাই হোক, আমরা ট্র্যাক থেকে সরে যাচ্ছি, তুই লেখ।
  • Arpan | 190.215.57.207 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ১০:১৫626501
  • এখনো একটা ট্রেনে আছে। কোন একটা গরীব রথে।
  • রোবু | 177.124.70.1 | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ১০:২৮626502
  • বেশিরভাগ গরিব রথে আছে, ঠিক কথা।
    লালু এনেছিলেন। মনে হয় লালুই তুলে ন্যান। লেসার গডেসও তুলে থাকতে পারেন।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ১০:৪৭626503
  • না। ২০০৮এ এটা ইন্ট্রোডিউস করা হয়, তখন লালু মন্ত্রী, পরে ২০০৯ সালে এটা তুলে দেওয়া হয়, তখন গডেস মন্ত্রী।
  • সায়ন | 24.194.59.227 | ২৯ নভেম্বর ২০১৩ ২১:০৮626505
  • আজ দিনভর বৃষ্টি হলে ভালো হত। নভেম্বর রেইন। সন্ধ্যে নামত একটা ভিজে, গুটিসুটি হওয়া ঝুপ্পুস লোক্যাল ইএমইউ'এর মত যার কাঠের সীটে গতিবেগ সম্মুখে রেখে বসা যায়, বৃষ্টির ফোঁটাগুলো হাওয়ার ভেঙে পড়ে, লৌহগন্ধী জানালার শিক থেকে জলের গুঁড়োমাখা ঝাপটা চুলের মত এলোমেলো হাওয়া, রড থেকে ঝুলে থাকা সারি সারি হাতল কেমন সুদক্ষ করিওগ্রাফ মেনে এদিক থেকে ওদিক ঝুঁকত, দরোয়াজাহীন খোলা জায়গাটা টানতো ক্রমশঃ আরও, আরও কাছে... আর একটু আয়, দ্যাখ আমার পায়ের নীচে গতি কোথায় কতদূর বয়ে নিয়ে যাবে তোর নিজস্ব সময়... চাইলেও আটকাতে পারবি না।
  • সায়ন | 24.194.59.227 | ২৯ নভেম্বর ২০১৩ ২১:৩৯626506
  • একটা গোটা সমুদ্র বয়ে এনেছে ক্যাকটাসভরা রেললাইন, আধচেনা, অজানা ভিন্‌ জঙ্গুলে সাহেবসুবোহীন জনপদ আর জলাশয় পার হয়ে। সমুদ্রের গভীরে টেকটনিক প্লেট কেঁপে সুনামি আনে, এই নামহীন চাকাগুলোয় শুধুই জলোচ্ছ্বাস, বাঁধ ভেঙে পড়া শোকবার্তা অথবা খুশীর আতিশয্যের মত প্রেডিক্টেব্‌ল অনুরনণ। "আমি কান পেতে রই"। যখন ব্রীজ পার হয়ে যাও আলোড়ন তুলে, যখন সাঁৎ সাঁৎ করে পার হয়ে যায় পেরিয়ে আসা অংশগুলো... আমি দেখি তোমারও অনেক অনেক নীচে বহমান জল। এইসব স্থির হয়ে যাক। নিয়ম মেনে ভাঙনের সময় ট্র্যাক পালটানো অবশ্যম্ভাবী, নইলে মুখ থুবড়ে যদি পড়ো এরকম পিচ্ছিল গতি নিয়ে। এসব নৈতিকতাহীন অস্থিরতা দূরে সরিয়ে রেখে আরও গতি তুলে অনেক দূরে চলে যাও যেখানে খাদের নীচ বলে কিছু হয় না, নদীর তলায় শুধুই বালি থাকে। চারপাশের লম্বা ঘাস মাথা নীচু করবে তোমার যাওয়ার সময়, যদি ফিরে পাই দমবন্ধ হারানো শ্বাস, যদি আর একা না লাগে তোমার কামরার মত বিস্তৃত চারণভূমি, সদর্পে রচনা করতে পারবো তোমার আমার অন্ধ, বধীর সময়ের নামহীন রূপকথা।
  • | ২৯ নভেম্বর ২০১৩ ২১:৪৬626507
  • অঘ্রাণের এই সময়টায় তখন নরম করে শীত পড়ত সকাল আর সন্ধ্যের দিকটায়। হাওড়া মেইন আর কর্ড লাইনের সবুজ হলুদ রঙের লোকালগুলোর সবুজ শেষ হয় জানলার সাথে সাথে। ছাদ পর্যন্ত বাকীটুকু হলুদ বা বলা ভাল অফ হোয়াইট। জানলায় দুরকম পাল্লা, কাচের আর লোহার। পৌষের শীতে লোহার শাটার নামাতে হয়, অঘ্রাণে কাচ বন্ধ করলেই শীতসন্ধ্যা চুপচাপ দৌড়ায় জানলার পাশে পাশে। স্ট্র্যান্ড রোড আর পোস্তার জ্যাম ঠেঙিয়ে আসা ক্লান্ত দেহগুলো দৌড়ে ঝাঁপিয়ে 'শেওড়াফুলি' কিম্বা 'ব্যান্ডেলে' উঠেই খোঁজে একটুখানি কাঠীর সিটের স্পর্শ, তারই সাথে চকিত চোখগুলি ছুঁয়ে যায় জানলার ধার --- খালি আছে কি একটাও? জানলার থেকে এক মানুষ দূরে বসলেও জানলার ধারে বসা মানুষটির দিকে প্রশ্ন ধেয়ে যায় 'কোথায় নামবেন'? সঙ্গে সঙ্গে আশার ধুকপুকুনি --- যাদি কাছাকাছি নেমে যান উনি --' আচ্ছা তাহলে আপনার পরে আমিই কিন্তু বসব ঐ সিটে, আগে থেকেই বলে রাখলাম কিন্তু' । সিট বুক করে ফেলতে পারলে শাড়ির আঁচল কিম্বা ওড়না দিয়ে শ্রান্ত, হয়ত বা ঈষৎ ঘর্মাক্ত মুখটা মুছে নেওয়া একবার।

    হ্যাঁ এটা লেডিজ কম্পার্টমেন্টের গল্প।

    বাড়ী পৌঁছে আবার ঘানিতে যুতে যাওয়ার আগে একটু থাকবে নিজস্ব সময়, হু হু করে উল্টোদিকে চলা অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আনমনে কি যেন ভাবা --- 'ঐটুকুই তো আমার বিলাস রে'
  • siki | 132.177.212.78 | ২৯ নভেম্বর ২০১৩ ২২:১৬626508
  • গতিকে সম্মুখে রেখে জানলার ধারের সীট, একে বলি প্রাইজড সীট। তাও সব জানলাধারের সীট নয়। মাঝামাঝি একটা কামরা আছে যার গায়েই মোটররুম। ট্রেন থামলেই বিরক্তিকর শব্দে মোটর চালু হয়ে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে শব্দটাকে সহ্য করে যাও যতক্ষণ না ট্রেন ফুল পীক আপ নেয়। তক্গন মোটর আপনাআপনিই থেমে যায়।
  • সায়ন | 24.194.59.227 | ৩০ নভেম্বর ২০১৩ ০০:১৫626509
  • দমদি, অতি অল্প হইল। সিকিকেও ডিট্টো।

    শেষবেলা এই আপলোডটা দেখলাম। তবে এক্কেবারে দি এন্ডে শান্তিপুর জং দেখে মন জাস্ট হু-হু করে উঠলো। হায় শান্তিপুর। হায় তর্কবাগীশ লেন। হায় সর্বানন্দীপাড়া। হায় অ্যামেচার ক্লাবের কালিপূজো। রাসযাত্রা। নিখুঁতি। ডাকঘরের মোড়...... :-( :-(

  • শঙ্খ | 169.53.174.141 | ৩০ নভেম্বর ২০১৩ ০০:২৮626510
  • ও সান্দা, আর দুয়েকটা রেলগাড়ির গপ্প হবে না? (ঘ্যান্ঘ্যান্ঘ্যান্ঘ্যান)
  • সায়ন | 24.194.59.227 | ৩০ নভেম্বর ২০১৩ ০০:৩৮626511
  • অত্যন্ত অনিয়মভরে হবে। মানে ওইসব বুজকুড়ি দিয়ে উঠলে হবে। ততক্ষণ বুঁদির গড় সামলাও না ক্যানো? নাকি তুমিও সিকির মত সব আত্মজীবনীতে লিখবে! :-/
    লেখো, লেখো :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন