এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • একটু বেশি কিছু করা যায় কি?

    sosen
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০১৩ | ১৫৭৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ekak | 24.99.150.32 | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৩৪614935
  • অভাব অভিযোগ জানাবার একটা পাবলিক ফোরাম দরকার । সে মিথ্যে অভিযোগ হলেও । এমন বহু অঞ্চল আছে যেখানে মানুষ পুলিশের কাছে যায়না বা যেতে পারেনা বা গিয়েও কোনো লাভ হয়না । এখন যদি এমন হয় যে একটা পোস্ট কার্ডে অভিযোগ লিখে ড্রপ করে দিলে (মেইল ইত্যাদিও থাকবে ,পোস্ট কার্ড টা বেসিক ) সেটা একদল মানুষ অন্ধের মত কোনো কাঁচি না চালিয়ে ফোরামে আপলোড করে দেবে , তাহলে এই বিশাল ডেটা ব্যাপকহারে কাজে লাগানো যেতে পারে । এটাকেই ফাইনাল ধরে থানায় রিপোর্ট লেখাতে হবে এমন না ,কিন্তু রাজ্যের কোনো একটা কোনা থেকে ক্রমাগত একধরনের অভিযোগ এসেই যাচ্ছে অথচ প্রতিকার নেই এরকম ঘটনা কে ছোট করে এড্রেস করা যাবে । দরকারে টিম নিয়ে গিয়ে ফিল্ড স্টাডি করা যাবে । এই ধর সুটিয়া । বরুন বিশ্বাস প্রান না দিলে তো কেও জানতেও পারত না । এরকম সুটিয়া একটাই আছে ,বাকি সর্বর্ত্র ন্যায় এর শাসন চলছে এটা মোটেই বিশ্বাস যোগ্য নয় । অনেককিছু হচ্ছে যা মানুষের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে , মিডিয়াও জানতে পারছে না বা জানলেও চেপে যাচ্ছে । একদম ওয়ান টু ওয়ান এক্সেস করে ফেলা দরকার । সব মানুষ নেট এ আসবেন না ।দরকার নেই । একটা পোস্ট কার্ড ড্রপ করুন । যেটা দরকার তা হলো কয়েকজন কর্মী যাঁরা এগুলো পড়ে , ফোরামের ফরম্যাটে টাইপ করে আপলোড করবে এলং উইথ স্ক্যান্ড কপি । ম্যামথ টাস্ক । ১% ও ফুলফিল করা সম্ভব না । কিন্তু পয়েন্ট ফাইভ পার্সেন্ট ও করতে পারলে অনেক মানুষের অভিযোগ একজায়গা করা যাবে ।
  • Ekak | 24.99.150.32 | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৩৫614936
  • *চট করে
  • π | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৫২614937
  • হ্যাঁ, এটা নিয়েই কয়েকজনের সাথে কয়েকদিন আগে কথা হচ্ছিল। এটা করা খুব দরকার।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০৯:৫৭614938
  • Public Meeting against Attacks on Women and Overall Criminalization of Society
    Madhyamgram Janakalyan Manch (adjacent to Madhyamgram Raiway Station)
    Friday, April 25, from 5 pm
    Organized by
    Nari Nirjatan o Durbrittayan Birodhi Gana Manch
    in association with Kamduni Pratibadi Manch.
    --------------------------------------------------------

    Kamduni, Madhyamgram, Gede, Barasat, Sutia....various parts of north 24 Parganas district has been witness to brutal rapes and attacks on women over the past months. And people who have been protested against them, be they the brother of the victim, or a conscientious school teacher responsible for building resistance against the crimes, or school friends of the victim, they have been silenced either by murdering or by state repression or by harassment from the ruling party. There is an overall process of criminalization going on, in which the perpetrators of these crimes are moving around with impunity under the patronage of the political bosses. This is in a microcosm the reflection of the state of affairs in all districts of West Bengal. In this backdrop we are having the Lok Sabha elections, but these issues are getting lost in the cacophony raised by the major political parties taking part in the elections, for whom the only matter of importance is getting votes. And the same criminals are very important for getting the votes, hence the protection extended to them. However, we cannot keep silent when this is happening. As citizens of West Bengal, we have come forward to oppose the attacks on women and the overall criminalization of our society. We have decided to stand beside all those who are protesting against and resisting these processes, in small towns and villages of West Bengal. We want the people to expose the unconcern, the neglect, and the opportunism of the big political parties when they come asking for votes. Towards this aim, we have organized a public meeting in Madhyamgram, jointly with the Kamduni pratibadi mancha and other organizations, where we want to put these questions openly to the electoral candidates standing for elections in north 24 parganas: Why haven’t we got justice for the victims of the rapes and murders yet? Why are the perpetrators of these crimes still rampaging round under political protection? Why haven’t been the police officials guilty of negligence been punished? Why haven’t the basic demands of the people concerning the security of women, lights on roads, public transportation, been met yet? Why hasn’t a clear message gone out to the criminals that they will not be tolerated.
    In order to put these questions strongly and to bring attention to these issues of grave public importance please join the meeting and ask your friends and associates to come.
  • aka | 80.193.67.247 | ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ১৭:৪৮614939
  • আচ্ছা কামদুনির সেই পিটিশনটার কি হল? শেষ অবধি জমা দেওয়া হল কিনা মনে পড়ছে না। আজকাল সবসময় সবকিছু ফলোও করা হয় না। শেষ মনে আছে কামদুনিতে পিটিশন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
  • pi | 24.139.221.129 | ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:০০614940
  • রায়ার লেখা, শেয়ার করলাম।

    'আজ সন্ধ্যায় যাদবপুর থানার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, দেখি একটি মেয়ে ফুটপাতে বসে কান্নাকাটি করছে এবং তাকে একটি ছেলে ধরে আছে। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত অসুস্থ কিন্তু পরে যখন মেয়েটাকে এটা বলতে শুনলাম যে তাকে বাড়িতে অত্যাচার করা হয়, এবং তার ভয় তাকে মেরে ফেলবে বাড়ির লোকজন, মনে হল ব্যাপারটা আরও সিরিয়াস। মেয়েটি বলে যাচ্ছিল যে সে থানাতেও নালিশ করেছে একাধিক বার যে তাকে মারা হয়, কিন্তু সেই ছেলেটি, যে তার স্বামী, সে বলে যাচ্ছিল যে মেয়েটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। মেয়েটিকে সে ও মেয়েটির বাবা জোর করে নিয়ে যেতে চাইছিল, কিন্তু সেটা ঠেকানোর চেষ্টা করছিলাম। তাই একটিভিস্ট বন্ধুদের ফোন করছিলাম কিন্তু তারা এসে পৌছনোর আগেই অটো করে মেয়েটিকে নিয়ে চলে যেতে সক্ষম হয় ওরা দুজন। রাস্তার লোকেদের অধিকাংশই মেয়েটিকে পাগল বলে পাত্তা দিচ্ছিল না, মেয়েটির কান্না, অত্যাচারের কথাটা কানেই তুলছিল না। সেই দু এক জনের মদতেই আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে মেয়েটিকে নিয়ে চলে যেতে সক্ষম হয় ওই দুজন। অটোর নম্বর টা ছিল, তাই নিয়ে যাদবপুর থানাতেও জানাই আমরা কয়েকজন, কিন্তু তাদের উত্তর ছিল যে কালিঘাট থানায় মেয়েটি গিয়েছিল, সেখান থেকে তাকে যাদবপুর থানায় আনা হয় এবং তার কথা শুনে নাকি পুলিশের মনে হয়েছে যে তার মানসিক অবস্থা ঠিক নয়, তাই মেয়েটির বাবার কাছেই মেয়েটিকে তুলে দেওয়া ঠিক বলে তাদের মনে হয়েছিল, যদিও মেয়েটি বাবার সাথেও যেতে চাইছিল না। যাই হোক, মেয়েটির নাম, তার ভাই-এর নম্বর এবং বাড়ির ঠিকানা জানা গেছে, এবং যদিও পুলিশ তার বাড়ি গেছে, ওর ওপর কিন্তু অত্যাচার অব্যাহত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কাল বিকেলে ওই মেয়েটির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে [বাঁশদ্রোণিতে], তাই পারলে আসুন, বা খবরটা ছড়ান, কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখতে হবে, কারণ মেয়েটি হয়ত নিরাপদ নয়।
    ---

    আজ বিকেল চারটেয় মাস্টারস্দা সুর্য সেন মেট্রোতে মিট করে কী করা যায় ঠিক করা হবে।
  • pi | 176.62.53.94 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:১৮614941
  • রুণার লেখাটা রইলো। মোকাম্বোর কেসের মত অন্ততঃ কিছু যদি করা যেত ?

    'একটা নিতান্ত সাদামাটা (?!) অভিজ্ঞতা হোল দিন তিনেক আগে। লিখছি আজকে; কারণ মেয়ে খুব সুস্থ নেই। তার এই অসুস্থ হওয়া টাও যেমন মা বলে বেশ বুকে লাগে, সেদিন অই ঘটনাটাও তার চেয়ে কম বুকে লাগেনি একথা হলফ করে বলতে পারি। ঘটনা টার যথাসম্ভব সাদামাটা বিবরণ দিচ্ছি। তারপর আপনারাই বিচার করুন আদতে ঘটনাটা সাদামাটাই নাকি আমি ওভাররেট করছি !!!
    ***************************************

    শোভাবাজার মেট্রোর থেকে বেরিয়ে একটা কেক-পেস্ট্রি-প্যাটি র দোকান থেকে আমি খাবার কিনছিলাম। এম্ন সময় একজন মহিলা একটি পথের বাচ্চা কে নিয়ে দোকানে ঢোকেন খাবার কিনে দেবেন বলে; এবং বাচ্চাটাকে উনি জিজ্ঞাসা করেন যে ও কি খাবে। বললে বিশ্বাস করবেন না, এই ব্যাপারটা হওয়ামাত্র ই দোকানের মালিক লোকটি রীতিমত তেরিয়া ভাবে বলে যে কেন অই মহিলা বাচ্চা টাকে নিয়ে ঢুকেছেন; এবং খাবার দেওয়া তো দূরস্ত, লোক্টা অদের কে বেরিয়ে যেতে বলে। আমি আর থাকতে না পেরে বলি যে কেন ওরা বেরোবে। লোকটা তখন গাঁকগাঁক করে বলে ওঠে, " আপনি জানেন ওর গায়ে কত অসুখবিসুখ "। আমি অপাঙ্গে বাচ্চাটার নোংরা চেহারার দিকে তাকাই; কিন্তু বিশ্বাস করুন ওর চোখে খিদে আর নানা খাবারের হাতছানির জন্যে আমার আপনার বাচ্চার চোখেও যে ঔজ্জ্বল্য থাকে, তার চেয়ে বেশী কিছু চোখে পড়ে না। ওর মলিন পোষাক, নোংরা চামড়া আমার কাছে ব্লারড হয়ে যায়। দোকানের মালিক নামের গাম্বাট টা তখনও মহিলা কে ধুনে যাচ্ছে। উনিও বেরিয়ে যাচ্ছিলেন বাচ্চা টা কে নিয়ে। ততক্ষণে আমার অই লোক্টার মাথায় বেশ মুগুরের বাড়ি দিতে ইচ্ছে করছিল। বললাম, " আপনার এত গায়ে লাগছে কেন, খুব উঁচুমানের দোকান আপনার, ও ঢোকাতে আপনার মানহানি হোল নাকি?" ব্যাস....আর দেখতে হোল না। লোকটা চিড়বিড় করে বলল অই মহিলা এবং আমি নাকি খুবই জাতখোয়ানো মানে ডিক্লাসড ধরনের ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর আমরা বেরিয়ে আসি দোকান থেকে। বাইরে কিছু লোক এবারে আমাদের বাণী দিতে শুরু করে যে এই বাচ্চা গুলো অতি বদমাশ, লোকের হাত থেকে খাবারের প্যাকেট নাকি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি আবারও দেখি খিদে, খিদে আর খিদে। বাকীদের কেউ কেন দেখে না আমার জানা নেই। ওই মহিলা আর বাচ্চা টাকে ভীড়ের মধ্যে নজর করতে পারিনা। অটো ধরব বলে এগিয়ে যাই। ঠিক তখন ই নজরে পড়ে বাচ্চাটা সেদ্ধডিম খাচ্ছে। আমি ওর কাছে দাঁড়াতে হেসে বলল, অই মাসিটা কিনে দিল। তাঁকে আর দেখলাম না, নামটাও জানা হয়নি এই গজল্লার মধ্যে। আর হ্যাঁ জানেন, অই বাচ্চাটার মুখে যে আনন্দ ছিল ডিমটা খাওয়ার সময়, আমি নিশ্চিত তার সাথে আমার বাচ্চার মুখের আনন্দভাবের কোন তফাৎ নেই।

    ★ আচ্ছা অই আকাট লোক্টাকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া যায় না ?'
  • pi | 24.139.221.129 | ২২ এপ্রিল ২০১৮ ১০:৩৯614942
  • eTaa ekhaaneo thaak.

    এতক্ষণে নিশ্চই সবাই দেখে নিয়েছেন একটা বীভৎস নারকীয় ছবি ফেসবুকে ঘুরছে, ছবিটা সুলতানার, মানে দেহটা।যাদের সন্দেহ আছে তারা পরীক্ষা করে নিতে পারেন বা সোনারপুর থানায় গিয়ে যাচাই করে নিতে পারেন (Fir no.542)।মাত্র একশ টাকা রোজে সেই গড়িয়া থেকে রাজাবাজার প্রতিদিন ব্যাগের কারখানায় কাজ করতে যেত মেয়েটা।ছেলে জব্বারকে নিয়ে।বারো বছর বয়স।ওও মায়ের সঙ্গে যেত।বছর 35 বয়স সুলতানার।স্বামী মারা গেছে বেশ কিছু বছর।চারটে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে।তার ওপর শাশুড়ির ব্রেস্ট ক্যান্সার।নিজেও দুচোখে বেশ কিছুদিন হল কম দেখা শুরু করেছিল।গড়িয়া স্টেশন থেকে অটো ধরলে মিনিট পনেরো দূরে বাঁশতলা মসজিদ।সেখানেই চার ছেলেমেয়ে আর শাশুড়িকে
    নিয়ে একটা ভাড়ার ঘরে থাকতো সুলতানা।

    মায়ে আর ছেলেতে কাজ সেরে সেদিনও বাড়ী ফিরছিল।সতেরো তারিখ।গত মঙ্গলবার।ঝড়-জলে গোটা কলকাতা সেদিন অবরুদ্ধ হয়ে গেছে।বহুক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন।শেষ ১১টা৪৫এর ট্রেনও ছেড়েছে বহু দেরী করে।স্থানীয়দের হিসাব অনুযায়ী যদি সেটা এক ঘন্টা দেরী করেও ছেড়ে থাকে তবে গড়িয়া স্টেশনে ঢুকতে দেড়টা হওয়ার কথা।সারাদিনের কাজের চাপ আর তার ওপর ঝড়-বৃষ্টির ধকল।স্টেশনে পৌঁছনোর পর মেয়েটা অসুস্থ হয়ে এক জায়গায় বসে পড়ে।ছেলেকে বলে ঠাকমাকে একটু ডেকে আন।শরীরটা ভালো লাগছে না।সুলতানার এলাকার মানুষদের বক্তব্য সেদিন গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন ভদ্রকালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনেই সুলতানা বসে পড়েছিল।সেখান থেকে দুটো মিষ্টিও খেয়েছিল।যদিও আজ সোনারপুর এপিডিআর সহ আমরা যখন সেই মিষ্টির দোকানে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য যাই তখন সে সরাসরি সেদিনের এই ঘটনা অস্বীকার করে।হতে পারে ঝামেলায় না জড়াতে চাওয়ার কারণেই হয়তো।শাশুড়ি এবং নাতি দুজন যখন ফিরে আসে তখন তারা দেখে সুলতানা অকুস্থলে নেই।পাড়ার লোকেদের কাছে ছেলে যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে সে বলে যে সে সময় মিষ্টির দোকানের সামনে দুজন বসে ছিলো এবং তাদের মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করায় তারা দূরে হাত দিয়ে দেখায় যে ওখানে গেছে।বৃদ্ধা এবং বাচ্চা ছেলেটি তারপর এক ঘণ্টা স্টেশন চত্বরে,আশেপাশের এলাকায় তন্নতন্ন করে খোঁজার পরও সুলতানাকে পায় নি।নিরুপায় হয়ে তারা বাড়ী ফিরে যায় এই ভেবে যে মেয়ে হয়তো বাড়ী চলে আসতে পারে।কিন্তু সুলতানা ফেরে নি।ভোরের দিকে তারা খবর পায় যে সুলতানার খণ্ড-বিখণ্ড দেহ নৃশংসভাবে পড়ে আছে।ছবিতে যেভাবে দেখেছেন।গায়ে সুতোটুকু পর্যন্ত ছিল না।বডি যেখানে পড়ে ছিল তার থেকে কিছুটা দূরে সুলতানার সালোয়ার-কামিজ-চটি আবিষ্কার হয়।

    গতকাল বিকাল পাঁচটা থেকে আটটা পর্যন্ত প্রথম গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ও তারপর কন্দর্পপুর,বাঁশতলা যেখানে সুলতানার বাড়ী সেখানে আমরা একটি তদন্ত-অনুসন্ধান চালাই।ও তারপর সোনারপুর থানায়ও যাই।এলাকার বাসিন্দা সহ বহু মানুষের সাথে কথা বলি।উপরে যে তথ্য ও ঘটনা রাখলাম তা এর মধ্যে থেকেই উঠে এসেছে।কিছু সামান্য পরস্পরবিরোধিতা থাকলেও শতকরা ৯৯শতাংশ মানুষের মত যে এটি প্রথমে ধর্ষণ ও তারপর হত্যা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।যেভাবে সকাল সাড়ে ন’টা অবধি প্রকাশ্য রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত আর দলা দলা মাংসপিণ্ড পড়েছিল তাতে বহু মানুষ শিউরে উঠেছেন।এলাকার বৃদ্ধ-বয়স্করা পর্যন্ত মনে করতে পারছেন না তাঁরা তাঁদের জীবনে এমন নৃশংসতার সাক্ষী থেকেছেন কিনা।

    সুলতানার গ্রামের মানুষ,প্রতিবেশী ও গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন ছোট দোকানদার,ব্যবসায়ী,অটোচালক ও স্থানীয় রিকশাচালকদের বক্তব্য থেকে উঠে আসা কিছু তথ্য:
    1) রাত প্রায় দুটো নাগাদ জব্বার,সুলতানার ছেলে ছুটতে ছুটতে বাড়ীতে আসে ও ঠাকুমাকে জানায় যে মায়ের শরীর খারাপ করেছে।মাকে আনতে যেতে হবে।
    2)রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই এলাকায় একটি পুলিশ ভ্যান টহল দেয় ( সোনারপুর থানার Ic ও যা confirm করেছেন)এবং তারা সেই সময়ে কোনো বডি দেখে নি।
    3) ভোর চারটে নাগাদ ট্রেন ধরেন এমন কয়েকজনের সাথে আমরা কথা বলেছি যারা ওই রাস্তা দিয়েই গেছেন এবং তাঁদেরও কোন কিছু চোখে পড়ে নি।
    4)গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এর আগে এত বড় ঘটনা আগে না ঘটলেও মেয়েদের টিটকারি,হাত ধরে টানা,চটুল রসিকতা ছুঁড়ে দেওয়া নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    5)বেশীরভাগেরই মত সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই সুলতানার বডি ওখানে ফেলা হয়।হয় ট্রাক দিয়ে পিষে দেওয়া হয় আর নয়তো পরিকল্পনামাফিক ট্রাকের তলায় ফেলা হয়।
    6) পরিকল্পনামাফিক শরীরের নিম্নাংশ এমনভাবে পিষে ফেলা হয়েছে যাতে পোষ্ট -মর্টেমে ধর্ষণের চিহ্ণমাত্র না পাওয়া যায়।
    7)সমস্ত জামাকাপড় অবিকৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ধর্ষণের পক্ষেই প্রমাণ হিসেবে জোরালোভাবে হাজির হয়।
    8)রাত দেড়টার পরেই মেয়েটিকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় ও তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করা হয়।
    9)যে বা যারাই এই কাজ করে থাকুক না কেন স্থানীয় মুখ হওয়ার সম্ভাবনাই তাদের বেশী।

    এত বড় নারকীয় ঘটনা ঘটার পরেও এবং circumstantial evidenceএ ধর্ষণের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ এটিকে শুধুমাত্র অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হিসাবেই রুজু করেছে।এমনকি সোনারপুর থানায় যখন এই নিয়ে আমরা কথা বলতে যাই তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক পরেশ রায় পোস্টমর্টেম ও মেডিক্যাল রিপোর্ট না আসার আগেই confidently বলে দেন যে এটা unnatural death ছাড়া আর কিছু হতেই পারে না।পুলিশ কাকে/কাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে?অদ্ভুত লাগে আরও আমরা চেপে ধরার পর উনি এফআইআর কপি যখন পড়ে শোনান, যে ভাষায় ও যে শব্দচয়নে তা লেখা হয়েছে সুলতানার বৃদ্ধ শ্বশুরের পক্ষে তা কোনভাবেই লেখা সম্ভব নয় বলে আমাদের ধারণা।গোটা এফআইআরে দুটো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেই।জব্বার ও তার ঠাকুমা যখন সুলতানাকে খুঁজতে এসেছিল তখন যে দুজন তাদের সুলতানা অন্যদিকে গেছে বলে তথ্য দেয় সেটি এবং দ্বিতীয়ত ধর্ষণ যে হয়েছে সে সম্পর্কে তদন্তের কোনো দাবী এফআইআরে নেই।এলাকায় গিয়েও আমরা সুলতানার বাচ্চাদের ও তার শাশুড়িকে পাই নি।আমাদের আশঙ্কা কামদুনির ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছে( পরিবারকে প্রভাবিত করা,তাদের ভয় দেখানো,বাধ্য করা)এখানেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
    সুলতানার পরিবারের সাথে যোগাযোগ তৈরি করার চেষ্টা আমরা চালাবো।কারণ এফআইআর শক্তিশালী না করলে গোটা আইনী লড়াইটাই ভঙ্গুর হয়ে পড়বে।সুলতানার গ্রামের মানুষ তার প্রতিবেশীরা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন সরল,পরিশ্রমী এই মেয়েটির ইনসাফের জন্য যতদূর প্রয়োজন তাঁরা যাবেন।

    যখন ফিরছিলাম একটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো।সোস্যাল মিডিয়ার চারপাশে ধর্ষণ আর নারীনিগ্রহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যত বাড়ছে ধর্ষণ ও বাড়ছে তার চতুর্গুণ হারে পাল্লা দিয়ে।এই প্রতিবাদগুলো কি আদৌ কার্যকর?কোনো ছাপ কি সত্যিই রাখা যাচ্ছে?
    গরীবের মেয়ে সুলতানার জন্য মোমবাতি মিছিলের প্রয়োজন নেই।
    কিভাবে রুখবো আসিফা-সুলতানাদের শেষ হয়ে যাওয়া?
    এই গণনারীমেধ?
    বাস্তবসম্মত ভাবে এই প্রশ্নটার উত্তর পাওয়া আজ সবচেয়ে জরুরী।পারলে উত্তর দেবেন।

    তথ্যানুসন্ধানী টিমে অংশগ্রহণ করে÷দেবুদা,সুজয়দা,সরোজদা,জগদীশ,প্রদীপ, জুবি,অভিজিত অভিষেক,শৌভিক,সুরজিত,উত্তম,সঞ্চিতা,আশা,দেব ও দেবজিত।'
  • pi | 24.139.221.129 | ২২ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:৫৩614943
  • মলয় তিওয়ারির পোস্ট।

    সরিফুলের মৃতদেহ বসিরহাটে তার গ্রামে এসেছে। পরিবারের পক্ষে আরো এক আঘাত। মৃতদেহে নির্মম আক্রমণের চিহ্ন। অন্ডকোষ থেঁতলে দেয়া হয়েছে। ছবি পাঠিয়েছেন বসিরহাটের এক সাংবাদিক বন্ধু। দেখে শিউরে উঠেছি। দুস্কৃতীরা আক্রোশ মিটিয়েছে কিশোর ছেলেটির শরীরে। আক্রোশ এটাই যে স্থানীয় কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে একরকম জোর করেই তমলুকের শ্রীরামপুর কৃষি বিদ্যালয়ে সরিফুলকে ভর্তি করেছিলেন তার আব্বা। হেড মাস্টার ভর্তি নিতে চায়নি। হস্টেল সুপার চুড়ান্ত বিরোধ করেছে হস্টেলে মুসলমান ছেলেকে রাখতে। সেসবের বিরুদ্ধে গিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত ছেলেকে ভর্তি করেছিলেন, হস্টেলে রেখেছিলেন সফিকুল গাজী। অধিকার চেয়ে এরকম জেদ দেখানোকে কারা সংখ্যালঘুর ঔদ্ধত্য হিসেবে দেখে তা আমরা জানি। কারা এই আক্রোশ ছড়ায় আমরা জানি। এরকম প্রতিটি ধর্ষণ ও হত্যাকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে কারা সুসংগঠিতভাবে ব্যবহার করছে আমরা জানি। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন কেন যথাযথ ভূমিকা নেয়না তা জানিনা আমরা। বছর কয়েক আগে ভগবানপুর মাদ্রাসার ছেলেটিকে যারা পুড়িয়ে মেরেছিল তারা গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা নাই আমাদের। মোবাইল চোরের তকমা দিয়ে ক্লাবে ঢুকিয়ে এক কিশোরকে সারাদিন অত্যাচার চালানোর ছবিটিও আমরা ভুলতে পারিনি। অপরাধীদের শাস্তির খবর আমাদের জানা নাই। সরিফুলের কেসেও পুলিশ প্রথমে খুনের মামলা রুজু করতে চায়নি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও গণতান্ত্রিক মানুষের ব্যাপক জমায়েত ও বিক্ষোভের চাপে শেষ পর্যন্ত এফ আই আর নেয়। খুনিরা ধরা পড়বে কিনা জানা নাই। খুনিদের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে নাড়ছে যারা ক্রমাগত তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে তা অবশ্য বোঝা যায়। প্রধান শিক্ষক ও হস্টেল সুপার এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। কেন? তারা যদি এই খুনে জড়িত নাও থাকেন তবু তারা যে সরিফুলকে ভর্তি নিতে চাননি মুসলমান বলে, তার তো অনেক সাক্ষী আছে। এটা অপরাধ নয়? কোনও আইন নাই এই অপরাধের শাস্তি দেওয়ার? আছে। কিন্তু পুলিশ তা করছেনা কেন তা আমাদের জানা নাই। এটাতো উত্তর প্রদেশ নয়! এখানে তো যোগিরাজ চলেনা! তাহলে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন