এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হেফাজত এর ঢাকা অবরধ এবং তারপর

    শিমুল
    অন্যান্য | ০৭ মে ২০১৩ | ৫৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিমুল | 190.234.158.185 | ০৭ মে ২০১৩ ১৬:৫১606431
  • গত ০৫/০৫/২০১৩ তারিখ রোববার ছিলো হেফাজত এ ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি ।
    তারা শান্তিপূর্ণ অবরোধ এর ক্তহা বললেও তা ছিলো শুরু থেকেই অশান্তিপূর্ণ। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সাথে খন্ড খন্ড সংঘর্ষ ও শুরু হ্যে যায়। তারা এক পুলিশের সাথে দেন দরবার করে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের ওণূমটী লাভ করে।
    এরপর ডেখা জায় টাডেড় আসল রূপ। তারা পুরো এলাকা জুড়ে ষূড়ূ করে তাণ্ডব। কোটি টাকাড় সম্পত্তি পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে হেফাজতের ৫-৬ জন কর্মী মৃত্যু বরণ করে। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যেতে থাকলে প্রশাসন তাদের অত্র এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা না করায় রাত ১.৩০ টার দিকে পুলিশ, বিজিবি এবং RAB তাদের ধাওয়া দিয়ে ঢাকার বাইরে বের করে দেয়। এর পরদিন হেফাজত এর আমির আল্লামা শফি কে বিমান এ করে চট্টগ্রাম এ পৌছিয়ে দেয়া হয় ।
  • শিমুল | 190.234.158.185 | ০৭ মে ২০১৩ ১৬:৫১606422
  • গত ০৫/০৫/২০১৩ তারিখ রোববার ছিলো হেফাজত এ ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি ।
    তারা শান্তিপূর্ণ অবরোধ এর ক্তহা বললেও তা ছিলো শুরু থেকেই অশান্তিপূর্ণ। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সাথে খন্ড খন্ড সংঘর্ষ ও শুরু হ্যে যায়। তারা এক পুলিশের সাথে দেন দরবার করে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের ওণূমটী লাভ করে।
    এরপর ডেখা জায় টাডেড় আসল রূপ। তারা পুরো এলাকা জুড়ে ষূড়ূ করে তাণ্ডব। কোটি টাকাড় সম্পত্তি পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে হেফাজতের ৫-৬ জন কর্মী মৃত্যু বরণ করে। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যেতে থাকলে প্রশাসন তাদের অত্র এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা না করায় রাত ১.৩০ টার দিকে পুলিশ, বিজিবি এবং RAB তাদের ধাওয়া দিয়ে ঢাকার বাইরে বের করে দেয়। এর পরদিন হেফাজত এর আমির আল্লামা শফি কে বিমান এ করে চট্টগ্রাম এ পৌছিয়ে দেয়া হয় ।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৭ মে ২০১৩ ১৭:৪৯606432
  • সাভারে রানা প্লাজা ধসে তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিক ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত সহস্রাধীক শ্রমিককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। এই শোকের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেক দফায় মৌলবাদী আস্ফলনে কেঁপে উঠলো দেশ।

    গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে জামাত-বিএনপি ও ব্লাসফেমীর দাবিদার মৌলবাদীরা ঢাকা অবরোধের নামে যথেচ্ছ তান্ডব চালিয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আরো দু-এক জায়গায় গতদুদিনে সেনা, বিজিবি, পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শত শত। জেহাদী মুজাহিদদের "নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর" ধ্বনীতে প্রকম্পিত হয়েছে ভীত-সন্ত্রস ঢাকা নগরী। মতিঝিলে হেফাজতিতের অগ্নিলীলায় আবারো এদেশ প্রত্যক্ষ করেছে, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের পাক-সেনা অভিযান "অপারেশন সার্চ লাইট" এর আগুন।

    কয়েকটি সংবাদ সংক্ষেপ [প্রতিটি খবরের সংগে ছবিযুক্ত] :
    _______________________________________

    তাণ্ডবে নিহত ৩
    মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ঘিরে পল্টন, গুলিস্তান, বিজয়নগর ও কাকরাইল এলাকা রোববার বিকালে গুলি-বোমা-সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621655.bdnews

    নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষে বিজিবি-পুলিশসহ নিহত ১৪
    নারায়ণগঞ্জে হেফাজতকর্মীদের মহাসড়ক অবরোধের সময় সংঘর্ষে বিজিবি ও পুলিশের তিন সদস্যসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

    পুলিশের পক্ষ থেকে আট জনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করা হলেও বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ১৪ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক।

    মতিঝিল থেকে সরতে বাধ্য হওয়া হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানারপাড় ও কাচপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে এবং গাড়ি ভাংচুর শুরু করে বলে স্থানীয়রা জানায়।

    রোববার ঢাকা অবরোধের পর মতিঝিলে টানা অবস্থানে বসলে ভোররাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে হেফাজতকর্মীদের তুলে দেয়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621918.bdnews

    সাঁড়াশি অভিযানে ফাঁকা মতিঝিল
    টানা অবস্থানের ঘোষণা দেয়া হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের মধ্যরাতে ১৫ মিনিটের সাঁড়াশি অভিযানে মতিঝিল থেকে উৎখাত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    রোববার দিনভর সংঘাতে কয়েকজন নিহত হওয়ার পর সোমবার ভোররাতে মতিঝিলে অভিযান শুরু করে র‌্যাব ও পুলিশ, তার আগেই ওই এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হয়।

    কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেটে টিকতে না পেরে বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়েন মতিঝিলে অবস্থানকারীরা। এদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে পুলিশের দাবি।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621810.bdnews

    আহমদ শফী চট্টগ্রামে, বাবুনগরী গ্রেপ্তার
    হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী তার আটক হওয়ার গুজবের ফলে সৃষ্ট সংঘর্ষে প্রাণহানির মধ্যে হাটহাজারী পৌঁছলেও আটক হয়েছেন তার সংগঠনের নেতা জুনাইদ বাবুনগরী।

    সোমবার রাতে হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব বাবুনগরীকে আটক করে পুলিশ। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল আলম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস। ওই মাদ্রাসারই মহাপরিচালক আহমদ শফী।

    এর আগে সন্ধ্যায় বিমানে করে চট্টগ্রাম রওনা হন আহমদ শফী, পুলিশ পাহারায় তাকে লালবাগ থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নেমে তিনি গাড়িতে করে হাটহাজারী যান।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622008.bdnews

    গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দিল পুলিশ
    রাজধানীতে দিনভর হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের পর ভোরে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ।

    যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে গত তিন মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা এই মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে পুলিশ এসে আমাদের শাহবাগ মোড়ের বেরিকেডের বেইরে নিয়ে যায়। তারপর মুলমঞ্চ, মিডিয়া সেলসহ সব ক্যাম্প ভেঙে দেয়।”

    তিনি জানান, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে আবারও শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন।

    মারুফ রসুল বলেন, “সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।”
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621871.bdnews

    দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার বন্ধ
    জামায়াত-বিএনপি জোট সংশ্লিষ্ট হিসাবে পরিচিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

    দিগন্ত টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক জিয়াউল কবির সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোরে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা এসে সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন এবং কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে নিয়ে যান।”
    সোমবার ভোর ৪টা ২৪ মিনিট থেকে সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621888.bdnews

    ‘হুজুররা না জানিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান’
    কোনকিছু না জানিয়েই নরসিংদীর একটি মাদ্রাসা থেকে হুজুররা ছাত্রদেরকে ঢাকায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন এক নিহতের পরিবার।

    সোমবার ভোরে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ছাত্র মাহমুদুল হাসান জুবায়েরের (২০) লাশ শহরের সাটিরপাড়ার বকুলতলার বাসায় আনার পরই পরিবারের লোকজন তার ঢাকা যাওয়া এবং সেখানে মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622028.bdnews

    বুধ-বৃহস্পতিবার হরতাল
    পুলিশি অভিযানে হেফাজতে ইসলামের কর্মী হতাহতের প্রতিবাদে দুদিন হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।

    বিএনপির সমর্থন পাওয়া হেফাজতকে মতিঝিল থেকে তুলে দেয়ার পর সোমবার রাতে দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করেন খালেদা জিয়া।

    কর্মসূচি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “রোববার রাতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির যৌথ অভিযানে শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হাজার হাজার আলেম-উলামাকে হত্যা করা হয়েছে।”

    শাপলা চত্বরে অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ আটজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে বিএনপির দাবি নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি।

    হরতাল শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার বাদ আসর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা হবে।
    http://bangla.bdnews24.com/politics/article622257.bdnews

    ‘হেফাজত আমাদের পথে বসাল’
    হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের দেয়া আগুনে আয়ের একমাত্র অবলম্বন দোকানটি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকার ফুটপাতের হকাররা।

    পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন পাঁচ শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নতুন করে আবার দোকান করার সঙ্গতিও নেই তাদের অধিকাংশেরই।

    রোববার ঢাকা অবরোধ শেষে মতিঝিলে সমাবেশে যোগ দিতে আসা হেফাজতের কর্মীরা নির্বিচারে আগুন দেয় পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা হয়ে মতিঝিলের ফুটপাতের দোকানে। বায়তুল মোকাররমের তিন দিকের ফুটপাতের দোকানগুলোও পুড়ে ছাই হয় তাদের আগুনে।

    তাদের কয়েক ঘণ্টার ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ভবন, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, ওই ভবনে থাকা জনতা ব্যাংকের শাখা, বায়তুল মোকাররম মার্কেটের বেশ কয়েকটি জুয়েলারি দোকানও হয় ক্ষতিগ্রস্ত।

    চোখের সামনেই জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ফুটপাতের দোকানটি পুড়ে যেতে দেখেছেন অনেক হকার। অসহায়ভাবে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তাদের। দোকান হারিয়ে পরিবার নিয়ে টিকে থাকার অনিশ্চয়তার কথা উঠে এসেছে তাদের কথায়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622396.bdnews

    বাবুনগরী ৯ দিনের হেফাজতে
    লুটপাট, মারধর ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীকে নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

    ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম ভূঁইয়া মতিঝিল থানা পুলিশের এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    জুনাইদ বাবুনগরীর জামিন আবেদনও নাকচ করে দেন তিনি।

    মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মফিজুর রহমান মঙ্গলবার বাবুনগরীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন।

    রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের মূল পরিকল্পনা, অর্থ যোগানদাতা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের উৎস এবং কী ধরনের পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল তা জানতে জুনাইদ বাবুনগরীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

    শুনানি শেষে আদালত এই হেফাজত নেতাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622474.bdnews

    হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে দুই থানায় ১২ মামলা
    হত্যা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সম্পদ ধ্বংসসহ বিভিন্ন অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়েছে।

    রাজধানীর পল্টন এবং মতিঝিল থানায় এসব মামলা করা হয়েছে বলে সোমবার রাতে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার নাজমুল আলম।

    পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার রাতে এই মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

    ওই কমর্মকর্তা বলেন, “এর মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে পাঁচটি মামলা করেছে। আরা বাকি মামলাগুলো করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।”

    হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

    এসব মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা বলে জানান তিনি।

    রোববার হেফাজতে ইসলামি রাজধানীতে অবস্থানকালে হত্যা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ সম্পদ নষ্টসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই মামরা করা হয়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622297.bdnews

    তাণ্ডবে জামায়াত-বিএনপি দায়ী: সিপিবি
    হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের জন্য সরাসরি জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে সিপিবি বলেছে, ওই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারে না।

    হেফাজতকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়ায় সরকারেরও কঠোর সমালোচনা করেছে দলটি। রোববার পল্টন, গুলিস্তানে দিনভর তাণ্ডবের সময় সিপিবি ভবনেও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ।

    মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “রোববার ঢাকাবাসী যে তাণ্ডব দেখেছে তার জন্য প্রধানত দায়ী জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্রশিবির। ওই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারে না।”

    তিনি বলেন, “হেফাজতের এজেন্ডা ধারণ করে দেশকে অস্থিতিশীল করে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে চায় জামায়াত। আর বিএনপি তাদের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয়।”

    জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘ব্যর্থতার’ জন্য সরকার ও প্রশাসনকে দায়ী করেন সিপিবি সভাপতি।

    সেলিম বলেন, “হেফাজত যা করেছে তা ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান। আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জানি কীভাবে যুদ্ধ করতে হয়। সারপ্রাইজ এলিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে তারা (হেফাজত) আরো বড় হামলার ষড়যন্ত্র করছিল। তারা ভেবেছিল, রুশ বিপ্লবের মতো অভ্যুত্থান করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে নেবে।”
    http://bangla.bdnews24.com/politics/article622440.bdnews

    27 more killed
    Hefajat runs amok in N'ganj, Ctg; 4 law enforcers among dead; overnight death toll 13

    At least 27 people, including three lawmen, died in clashes between law enforcers and Hefajat activists who struck terror in Narayanganj, Hathazari and Bagerhat yesterday, hours after Hefajat men were flushed out of the capital’s Motijheel.
    Twenty of the victims, including two policemen and a BGB soldier, were killed in Narayanganj, six at Hathazari in Chittagong and one in Bagerhat during the running battles that also left more that 200 people injured, relatives and hospital sources said.
    One of the Hathazari victims is an army sergeant who had been on leave and had been visiting his village home in the area’s Alimpur.
    Earlier on Sunday, and in the wee hours yesterday, 13 other people, including a police sub-inspector, were killed in clashes between Hefajat, police and Awami League activists and in a raid to drive away the Islamist group’s men from Shapla Chattar.
    Home Minister Muhiuddin Khan Alamgir, however, told reporters at his secretariat office yesterday afternoon that in all nine people, including three law enforcers, died in the clashes over the last two days in the capital.
    To avoid further violence, the Dhaka Metropolitan Police imposed a ban on all rallies and processions in the city till midnight yesterday.
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/22-more-killed/

    TUESDAY, MAY 07, 2013
    Train torched in Ctg
    2 held; 4 railway officers suspended

    Miscreants set fire to five compartments of a Dhaka-Chittagong inter-city train at the Chittagong Railway Station Tuesday morning.

    None was injured as there was no passenger inside the train—Subarna Express—at 4:35am when the arson took place, reported our Chittagong correspondent.

    Law enforcers detained two persons—Mohammad Ehsan, 23, and Mohammad Mithu, 25—for their alleged involvement with the arson, said Ahsan Habib, officer-in-charge of Government Railway Police (GRP) at Chittagong Railway Station.

    Ehsan is a student of a private university in Dhaka. He went to the railway station to see off his sister, our correspondent reported, adding that Mithu is a vendor.

    The train was scheduled to leave for Dhaka at 7:00am.
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/subarna-express-torched-in-ctg-2-held/

    TUESDAY, MAY 07, 2013
    MAYHEM IN CAPITAL
    Several thousand Hefajat, Jamaat, Shibir men sued

    Police and victims have sued several thousand leaders and activists of Hefajat-e Islam, Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir for murder, vandalism, loot, arson and police assault during Sunday’s violence.

    Sixteen cases were filed –10 with Paltan Police Station and the rest Motijheel Police Station — from Monday night to Tuesday afternoon in connection with the deadly violence that shook the whole nation for its extent of destruction and cruelty.

    The accused include Junaid Babunagari and Moinuddin Ruhi, secretary general and joint secretary general respective of Hefajat, the Qawmi madrasa-based Islamist group that blocked Dhaka and held a rally later at Motijheel to press home its 13-point demand.

    http://www.thedailystar.net/beta2/news/several-thousand-hefajat-jamaat-shibir-men-sued/

    হুজুর কইছিলেন বড় একখান ওয়াজ মাহফিল আছে, জনেরে ২০০০টেহা দিবো। হের লাইগা আইছি। আর এইখানে দেখি যুদ্ধ শুরু।’ এভাবে কেঁদে বলছিলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্র। চোখে মুখে তখনও আতঙ্কের ছাপ। জিজ্ঞেস করা হল, কত টাকা পেয়েছে সে? তার উত্তর, “টেহা পামু কই, হুজুরেরা যে কই ভাগছে দেখবার পারিনাই।”madrasa

    এভাবেই টাকার লোভ দেখিয়ে রবিবার হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্রদের নিয়ে আসে কওমী মাদ্রাসার হুজুরেরা। http://www.banglareport.com/2013/05/07/news-bd-28864

    MONDAY, MAY 06, 2013
    Hefajat Strikes Horror
    Offices, shops in downtown Dhaka burnt, looted; 3 dead; over 200 hurt

    Bangladesh has seldom experienced brute violence of this scale. Several parts in downtown Dhaka now resemble a burned-out and looted zone.
    Thousands of radical Hefajat-e Islam men, instigated and bolstered by Jamaat-Shibir activists, exploded into an awe-striking force and set fire to hundreds of shops and police outposts as the evening fell.
    Dhaka’s night skyline turned orange, as flames leaped from burning establishments after power supply was cut off. The Hefajat men forced into a parking lot at Dilkusha and torched at least 50 government buses yesterday.
    As police and Hefajat men fought on the streets — from Paltan to Bangabandhu Avenue, and from Motijheel to Bailey Road — at least three people were killed in the violence.
    Hefajat and Jamaat men pelted law enforcers with brickbats and set off bombs, while police rained thousands of teargas shells and rubber bullets on the marauding Islamists.
    A few thousand shops, including jewellery, electronics and furniture outlets, were looted in Paltan, Baitul Mukarram and stadium markets.
    Hefajat had earlier promised to hold a non-violent rally at Shapla Chattar to protest what it called anti-religion write-ups by “atheist bloggers” and press home its 13-point charter of demands, including introduction of a blasphemy law.
    But it eventually turned nasty after police tried to block a procession of Shibir men at Nayapaltan around 11:30am.
    The clash there soon spread to Bangabandhu Avenue, as Shibir and Hefajat men tried to attack the Awami League office there around 1:30pm.
    Violence broke out in the Paltan area, and the office of the deputy commissioner (traffic) was set ablaze.
    The government issued a warning to the Hefajat men that they either leave the capital immediately or face stern action. But the zealots ignored it and vowed to stay put.
    As their Dhaka siege programme was over, Hefajat men started marching towards Motijheel for attending the rally. Wielding sticks, thousands of men in white robes converged in Motijheel by the afternoon.
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/hefajat-strikes-horror/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৭ মে ২০১৩ ১৭:৫০606433
  • সাভারে রানা প্লাজা ধসে তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিক ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত সহস্রাধীক শ্রমিককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। এই শোকের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেক দফায় মৌলবাদী আস্ফলনে কেঁপে উঠলো দেশ।

    গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে জামাত-বিএনপি ও ব্লাসফেমীর দাবিদার মৌলবাদীরা ঢাকা অবরোধের নামে যথেচ্ছ তান্ডব চালিয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আরো দু-এক জায়গায় গতদুদিনে সেনা, বিজিবি, পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শত শত। জেহাদী মুজাহিদদের "নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর" ধ্বনীতে প্রকম্পিত হয়েছে ভীত-সন্ত্রস ঢাকা নগরী। মতিঝিলে হেফাজতিতের অগ্নিলীলায় আবারো এদেশ প্রত্যক্ষ করেছে, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের পাক-সেনা অভিযান "অপারেশন সার্চ লাইট" এর আগুন।

    কয়েকটি সংবাদ সংক্ষেপ [প্রতিটি খবরের সংগে ছবিযুক্ত] :
    _______________________________________

    তাণ্ডবে নিহত ৩
    মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ঘিরে পল্টন, গুলিস্তান, বিজয়নগর ও কাকরাইল এলাকা রোববার বিকালে গুলি-বোমা-সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621655.bdnews

    নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষে বিজিবি-পুলিশসহ নিহত ১৪
    নারায়ণগঞ্জে হেফাজতকর্মীদের মহাসড়ক অবরোধের সময় সংঘর্ষে বিজিবি ও পুলিশের তিন সদস্যসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

    পুলিশের পক্ষ থেকে আট জনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করা হলেও বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ১৪ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক।

    মতিঝিল থেকে সরতে বাধ্য হওয়া হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানারপাড় ও কাচপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে এবং গাড়ি ভাংচুর শুরু করে বলে স্থানীয়রা জানায়।

    রোববার ঢাকা অবরোধের পর মতিঝিলে টানা অবস্থানে বসলে ভোররাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে হেফাজতকর্মীদের তুলে দেয়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621918.bdnews

    সাঁড়াশি অভিযানে ফাঁকা মতিঝিল
    টানা অবস্থানের ঘোষণা দেয়া হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের মধ্যরাতে ১৫ মিনিটের সাঁড়াশি অভিযানে মতিঝিল থেকে উৎখাত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    রোববার দিনভর সংঘাতে কয়েকজন নিহত হওয়ার পর সোমবার ভোররাতে মতিঝিলে অভিযান শুরু করে র‌্যাব ও পুলিশ, তার আগেই ওই এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হয়।

    কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেটে টিকতে না পেরে বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়েন মতিঝিলে অবস্থানকারীরা। এদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে পুলিশের দাবি।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621810.bdnews

    আহমদ শফী চট্টগ্রামে, বাবুনগরী গ্রেপ্তার
    হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী তার আটক হওয়ার গুজবের ফলে সৃষ্ট সংঘর্ষে প্রাণহানির মধ্যে হাটহাজারী পৌঁছলেও আটক হয়েছেন তার সংগঠনের নেতা জুনাইদ বাবুনগরী।

    সোমবার রাতে হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব বাবুনগরীকে আটক করে পুলিশ। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল আলম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস। ওই মাদ্রাসারই মহাপরিচালক আহমদ শফী।

    এর আগে সন্ধ্যায় বিমানে করে চট্টগ্রাম রওনা হন আহমদ শফী, পুলিশ পাহারায় তাকে লালবাগ থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নেমে তিনি গাড়িতে করে হাটহাজারী যান।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622008.bdnews

    গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দিল পুলিশ
    রাজধানীতে দিনভর হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের পর ভোরে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ।

    যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে গত তিন মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা এই মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে পুলিশ এসে আমাদের শাহবাগ মোড়ের বেরিকেডের বেইরে নিয়ে যায়। তারপর মুলমঞ্চ, মিডিয়া সেলসহ সব ক্যাম্প ভেঙে দেয়।”

    তিনি জানান, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে আবারও শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন।

    মারুফ রসুল বলেন, “সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।”
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621871.bdnews

    দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার বন্ধ
    জামায়াত-বিএনপি জোট সংশ্লিষ্ট হিসাবে পরিচিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

    দিগন্ত টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক জিয়াউল কবির সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোরে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা এসে সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন এবং কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে নিয়ে যান।”
    সোমবার ভোর ৪টা ২৪ মিনিট থেকে সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article621888.bdnews

    ‘হুজুররা না জানিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান’
    কোনকিছু না জানিয়েই নরসিংদীর একটি মাদ্রাসা থেকে হুজুররা ছাত্রদেরকে ঢাকায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন এক নিহতের পরিবার।

    সোমবার ভোরে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ছাত্র মাহমুদুল হাসান জুবায়েরের (২০) লাশ শহরের সাটিরপাড়ার বকুলতলার বাসায় আনার পরই পরিবারের লোকজন তার ঢাকা যাওয়া এবং সেখানে মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622028.bdnews

    বুধ-বৃহস্পতিবার হরতাল
    পুলিশি অভিযানে হেফাজতে ইসলামের কর্মী হতাহতের প্রতিবাদে দুদিন হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।

    বিএনপির সমর্থন পাওয়া হেফাজতকে মতিঝিল থেকে তুলে দেয়ার পর সোমবার রাতে দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করেন খালেদা জিয়া।

    কর্মসূচি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “রোববার রাতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির যৌথ অভিযানে শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হাজার হাজার আলেম-উলামাকে হত্যা করা হয়েছে।”

    শাপলা চত্বরে অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ আটজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে বিএনপির দাবি নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি।

    হরতাল শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার বাদ আসর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা হবে।
    http://bangla.bdnews24.com/politics/article622257.bdnews

    ‘হেফাজত আমাদের পথে বসাল’
    হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের দেয়া আগুনে আয়ের একমাত্র অবলম্বন দোকানটি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকার ফুটপাতের হকাররা।

    পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন পাঁচ শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নতুন করে আবার দোকান করার সঙ্গতিও নেই তাদের অধিকাংশেরই।

    রোববার ঢাকা অবরোধ শেষে মতিঝিলে সমাবেশে যোগ দিতে আসা হেফাজতের কর্মীরা নির্বিচারে আগুন দেয় পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা হয়ে মতিঝিলের ফুটপাতের দোকানে। বায়তুল মোকাররমের তিন দিকের ফুটপাতের দোকানগুলোও পুড়ে ছাই হয় তাদের আগুনে।

    তাদের কয়েক ঘণ্টার ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ভবন, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, ওই ভবনে থাকা জনতা ব্যাংকের শাখা, বায়তুল মোকাররম মার্কেটের বেশ কয়েকটি জুয়েলারি দোকানও হয় ক্ষতিগ্রস্ত।

    চোখের সামনেই জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ফুটপাতের দোকানটি পুড়ে যেতে দেখেছেন অনেক হকার। অসহায়ভাবে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তাদের। দোকান হারিয়ে পরিবার নিয়ে টিকে থাকার অনিশ্চয়তার কথা উঠে এসেছে তাদের কথায়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622396.bdnews

    বাবুনগরী ৯ দিনের হেফাজতে
    লুটপাট, মারধর ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীকে নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

    ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম ভূঁইয়া মতিঝিল থানা পুলিশের এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    জুনাইদ বাবুনগরীর জামিন আবেদনও নাকচ করে দেন তিনি।

    মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মফিজুর রহমান মঙ্গলবার বাবুনগরীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন।

    রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের মূল পরিকল্পনা, অর্থ যোগানদাতা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের উৎস এবং কী ধরনের পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল তা জানতে জুনাইদ বাবুনগরীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

    শুনানি শেষে আদালত এই হেফাজত নেতাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622474.bdnews

    হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে দুই থানায় ১২ মামলা
    হত্যা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সম্পদ ধ্বংসসহ বিভিন্ন অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়েছে।

    রাজধানীর পল্টন এবং মতিঝিল থানায় এসব মামলা করা হয়েছে বলে সোমবার রাতে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার নাজমুল আলম।

    পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার রাতে এই মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

    ওই কমর্মকর্তা বলেন, “এর মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে পাঁচটি মামলা করেছে। আরা বাকি মামলাগুলো করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।”

    হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

    এসব মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা বলে জানান তিনি।

    রোববার হেফাজতে ইসলামি রাজধানীতে অবস্থানকালে হত্যা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ সম্পদ নষ্টসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই মামরা করা হয়।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622297.bdnews

    তাণ্ডবে জামায়াত-বিএনপি দায়ী: সিপিবি
    হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের জন্য সরাসরি জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে সিপিবি বলেছে, ওই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারে না।

    হেফাজতকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়ায় সরকারেরও কঠোর সমালোচনা করেছে দলটি। রোববার পল্টন, গুলিস্তানে দিনভর তাণ্ডবের সময় সিপিবি ভবনেও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ।

    মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “রোববার ঢাকাবাসী যে তাণ্ডব দেখেছে তার জন্য প্রধানত দায়ী জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্রশিবির। ওই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারে না।”

    তিনি বলেন, “হেফাজতের এজেন্ডা ধারণ করে দেশকে অস্থিতিশীল করে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে চায় জামায়াত। আর বিএনপি তাদের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয়।”

    জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘ব্যর্থতার’ জন্য সরকার ও প্রশাসনকে দায়ী করেন সিপিবি সভাপতি।

    সেলিম বলেন, “হেফাজত যা করেছে তা ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান। আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জানি কীভাবে যুদ্ধ করতে হয়। সারপ্রাইজ এলিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে তারা (হেফাজত) আরো বড় হামলার ষড়যন্ত্র করছিল। তারা ভেবেছিল, রুশ বিপ্লবের মতো অভ্যুত্থান করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে নেবে।”
    http://bangla.bdnews24.com/politics/article622440.bdnews

    27 more killed
    Hefajat runs amok in N'ganj, Ctg; 4 law enforcers among dead; overnight death toll 13

    At least 27 people, including three lawmen, died in clashes between law enforcers and Hefajat activists who struck terror in Narayanganj, Hathazari and Bagerhat yesterday, hours after Hefajat men were flushed out of the capital’s Motijheel.
    Twenty of the victims, including two policemen and a BGB soldier, were killed in Narayanganj, six at Hathazari in Chittagong and one in Bagerhat during the running battles that also left more that 200 people injured, relatives and hospital sources said.
    One of the Hathazari victims is an army sergeant who had been on leave and had been visiting his village home in the area’s Alimpur.
    Earlier on Sunday, and in the wee hours yesterday, 13 other people, including a police sub-inspector, were killed in clashes between Hefajat, police and Awami League activists and in a raid to drive away the Islamist group’s men from Shapla Chattar.
    Home Minister Muhiuddin Khan Alamgir, however, told reporters at his secretariat office yesterday afternoon that in all nine people, including three law enforcers, died in the clashes over the last two days in the capital.
    To avoid further violence, the Dhaka Metropolitan Police imposed a ban on all rallies and processions in the city till midnight yesterday.
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/22-more-killed/

    TUESDAY, MAY 07, 2013
    Train torched in Ctg
    2 held; 4 railway officers suspended

    Miscreants set fire to five compartments of a Dhaka-Chittagong inter-city train at the Chittagong Railway Station Tuesday morning.

    None was injured as there was no passenger inside the train—Subarna Express—at 4:35am when the arson took place, reported our Chittagong correspondent.

    Law enforcers detained two persons—Mohammad Ehsan, 23, and Mohammad Mithu, 25—for their alleged involvement with the arson, said Ahsan Habib, officer-in-charge of Government Railway Police (GRP) at Chittagong Railway Station.

    Ehsan is a student of a private university in Dhaka. He went to the railway station to see off his sister, our correspondent reported, adding that Mithu is a vendor.

    The train was scheduled to leave for Dhaka at 7:00am.
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/subarna-express-torched-in-ctg-2-held/

    TUESDAY, MAY 07, 2013
    MAYHEM IN CAPITAL
    Several thousand Hefajat, Jamaat, Shibir men sued

    Police and victims have sued several thousand leaders and activists of Hefajat-e Islam, Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir for murder, vandalism, loot, arson and police assault during Sunday’s violence.

    Sixteen cases were filed –10 with Paltan Police Station and the rest Motijheel Police Station — from Monday night to Tuesday afternoon in connection with the deadly violence that shook the whole nation for its extent of destruction and cruelty.

    The accused include Junaid Babunagari and Moinuddin Ruhi, secretary general and joint secretary general respective of Hefajat, the Qawmi madrasa-based Islamist group that blocked Dhaka and held a rally later at Motijheel to press home its 13-point demand.

    http://www.thedailystar.net/beta2/news/several-thousand-hefajat-jamaat-shibir-men-sued/

    হুজুর কইছিলেন বড় একখান ওয়াজ মাহফিল আছে, জনেরে ২০০০টেহা দিবো। হের লাইগা আইছি। আর এইখানে দেখি যুদ্ধ শুরু।’ এভাবে কেঁদে বলছিলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্র। চোখে মুখে তখনও আতঙ্কের ছাপ। জিজ্ঞেস করা হল, কত টাকা পেয়েছে সে? তার উত্তর, “টেহা পামু কই, হুজুরেরা যে কই ভাগছে দেখবার পারিনাই।”madrasa

    এভাবেই টাকার লোভ দেখিয়ে রবিবার হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্রদের নিয়ে আসে কওমী মাদ্রাসার হুজুরেরা। http://www.banglareport.com/2013/05/07/news-bd-28864

    MONDAY, MAY 06, 2013
    Hefajat Strikes Horror
    Offices, shops in downtown Dhaka burnt, looted; 3 dead; over 200 hurt

    Bangladesh has seldom experienced brute violence of this scale. Several parts in downtown Dhaka now resemble a burned-out and looted zone.
    Thousands of radical Hefajat-e Islam men, instigated and bolstered by Jamaat-Shibir activists, exploded into an awe-striking force and set fire to hundreds of shops and police outposts as the evening fell.
    Dhaka’s night skyline turned orange, as flames leaped from burning establishments after power supply was cut off. The Hefajat men forced into a parking lot at Dilkusha and torched at least 50 government buses yesterday.
    As police and Hefajat men fought on the streets — from Paltan to Bangabandhu Avenue, and from Motijheel to Bailey Road — at least three people were killed in the violence.
    Hefajat and Jamaat men pelted law enforcers with brickbats and set off bombs, while police rained thousands of teargas shells and rubber bullets on the marauding Islamists.
    A few thousand shops, including jewellery, electronics and furniture outlets, were looted in Paltan, Baitul Mukarram and stadium markets.
    Hefajat had earlier promised to hold a non-violent rally at Shapla Chattar to protest what it called anti-religion write-ups by “atheist bloggers” and press home its 13-point charter of demands, including introduction of a blasphemy law.
    But it eventually turned nasty after police tried to block a procession of Shibir men at Nayapaltan around 11:30am.
    The clash there soon spread to Bangabandhu Avenue, as Shibir and Hefajat men tried to attack the Awami League office there around 1:30pm.
    Violence broke out in the Paltan area, and the office of the deputy commissioner (traffic) was set ablaze.
    The government issued a warning to the Hefajat men that they either leave the capital immediately or face stern action. But the zealots ignored it and vowed to stay put.
    As their Dhaka siege programme was over, Hefajat men started marching towards Motijheel for attending the rally. Wielding sticks, thousands of men in white robes converged in Motijheel by the afternoon.
    http://www.thedailystar.net/beta2/news/hefajat-strikes-horror/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৭ মে ২০১৩ ১৭:৫৫606434
  • শিমুল,

    এই থ্রেডটি খোলায় আপনাকে সাধুবাদ। কিন্তু আপনার দুটি পোস্টেই ব্যপক টাইপো দেখা যাচ্ছে। ফনেটিক বিভ্রাট? কেমনে কি? :)
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৭ মে ২০১৩ ১৮:০০606435
  • এই থ্রেডে এক টুকরো মতিকণ্ঠ-ও থাকুক। স্যাটেয়ার পোস্ট। :ডি

    _______________

    ‘মতিঝিলে আর নহে’: হেফাজত
    নিজস্ব মতিবেদক

    মতিঝিল এলাকা তেগ করে সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাসভবন অভিমুখে বিকালে যাত্রা শুরু করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মী বৃন্দ।

    হাজার হাজার হেফাজত কর্মী এ সময় নানা হুংকারে চারদিক প্রকম্পিত করে তুলেন।

    ঢাকা মেট্রপলটন পুলিশ ও রেবের কয়েকটি দল বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে বের্থ হয়। সকল বাধা পায়ে দলে বর্তমানে এরশাদের গুলশানস্থ বাসভবনের দিকে এগিয়ে চলছে হেফাজতের মিছিল।

    হোটেল রূপসী বাংলার বিলাস বহুল আরাম দায়ক লাউনজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমরা গত সমাবেশে এরশাদ ছাহেবকে হুশিয়ারী জানিয়ে বলেছিলাম, শুধু খানার বেবস্থা করলেই চলবে না, পাইখানার বন্দবস্তও করতে হবে। তিনি আমাদের কথার কুন দামই দেন নাই। আজ আমাদের লাখো মুজাহিদ ময়দানে জেহাদে লিপ্ত। তাদের চারি পাশে পুলিশের বন্দুক কামান গর্জন করছে। বাকশালী নাস্তিক গুন্ডারা বৃস্টির মত ককটেল পাটকেল নিক্ষেপ করছে। হিংস্র নাস্তিক সাংবাদিক গন আগুনের মত গরম ফ্লেশ মারিয়া মুজাহিদদের ছবি তুলার নামে চামড়া পুড়াইয়া দিতেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বোরখা পরিধান না করা হুরপরীর নেয় সুন্দরী ললনারা মদির ইশারায় মুজাহিদদের বাতিলের পথে আহোভান জানাইতেছে। এই গেল বাইরের চাপ। তার উপর রয়েছে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখা কর্তৃক সরবরাহ কৃত নিম্নমানের রুটি কলা খিরাই বিস্কুটের কারনে ভিতরের চাপ। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা কিরুপে পাইখানা সারিব?

    আবেগঘন কণ্ঠে বাবুনগরী বলেন, বৃহত্তর জামায়াতের নেতা নেত্রীগন সুসজ্জিত বিলাস বহুল পাইখানায় জগজিত সিংহের গজল শুনিতে শুনিতে এই কাজ গুজরান করেন। অথচ হেফাজতের মর্দে মুজাহিদদের গুলি টিয়ার গেসের মাঝখানে জিহাদের ময়দানে এই কর্ম হাছেল করতে বলেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তিতে দুদন্ড পাইখানা করতে না পারলে এই জংগে আমাদের পরাজয় সুনিশ্চিত। ইসলাম সাম্যের ধর্ম। তাই আমরা সব মুজাহিদ আজ এরশাদ ছাহেবের শৌচাগারে পাইখানা করব।

    বাকশালী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বাবুনগরী বলেন, শাহবাগে নাস্তিকরা রেপ করে, ড্রাগস করে, গাড়িতে পাইখানা করে। আর আমরা মুমিন মুজাহিদরা মতিঝিলের অলিতে গলিতে পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুজে মরি। পা টিপে এগোতে গেলেই গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক।

    এ বেপারে পল্লীবন্ধুর সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, মতিঝিল হতে গুলশান বহু দুর রাস্তা। কাছেই মগবাজার আছে। অধ্যাপক গোলাম আজমের বাসায় সুবন্দবস্ত রয়েছে। হেফাজত কর্মীদের উচিত মগবাজারে যাওয়া। গুলশান আসতে আসতে তাদের পাইখানার সংগে গোছলের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিতে পারে।

    এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আজমের বৈধ পুত্র আবদুল্লাহিল আমান আজমী বলেন, আমি একজন সৈনিক। পদাতিক বাহিনীতে বছরের পর বছর কঠর প্রশিক্ষন নিয়েছি। রোদে পুড়ে বৃস্টিতে ভিজে মহড়া করেছি। জংগলে হারাম সাপ বেং রন্ধন করে পেট চালিয়েছি। ঘরে পাইখানা করার বিলাস আমার নাই। তাই আমার বাড়িতেও কুন পাইখানা নাই। যখন দরকার হয়, কারওয়ানবাজারে মতিচুর রহমানের সংগে দেখা সাক্ষাত করতে যাই, এক কাপ চা আর এক পিছ কেক খাই, আসল কাজও করিয়া আসি।
    http://motikontho.wordpress.com/2013/05/05/%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%9D%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4/
  • PM | 233.223.156.228 | ০৮ মে ২০১৩ ১৩:০৭606436
  • বাংলাদেশ এক অদ্ভুত টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে আছে। শুভোবুদ্ধী সম্পন্য মানুষের জয় কামনা করি। স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিবিপ্লব ব্যর্থ হোক।
  • siki | 132.177.145.231 | ০৮ মে ২০১৩ ১৩:২৪606437
  • অ্যাঃ, ঘরে পাইখানা থাকাটা কোনও বিলাসিতা নয়, ওটা নেসেসিটি। হাইজিন বলে তো একটা ব্যাপার আছে, নাকি?
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৮ মে ২০১৩ ১৬:০১606438
  • বিএনপি-জামাত-হেফাজত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে, ৫ মে রাতে নাকি মতিঝিলে ৩,০০০ লাশ পড়েছে। যৌথ বাহিনী সে সব লাশ গুম করেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাল তোলপাড়। হেফাজতি ফেবু পেজগুলোতে ফটোশপ কারচুপি করে চালানো হচ্ছে যথেচ্ছ প্রচারণা।

    মতিকণ্ঠও বসে নেই। তারাও এর সমুচিত জবাব দিয়েছে। :পি :পি :পি

    তার আগে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের জবানীতে পড়ুন সেই রাতে পুলিশি অভিযানের বয়ান:
    ____________________________________

    যেভাবে খালি করা হলো শাপলা চত্বর

    কাদির কল্লোল
    বিবিসি বাংলা, ঢাকা
    সর্বশেষ আপডেট সোমবার, 6 মে, 2013 11:22 GMT 17:22 বাংলাদেশ সময়

    মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে সোমবার ভোররাতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হটিয়ে ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

    সোমবার প্রথম প্রহরে হেফাজতের কর্মীদের সরিয়ে দিতে অভিযান শুরু করে র‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র যৌথ বাহিনী।

    এই তিন বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মিলে শাপলা চত্বরের দিকে এগোতে শুরু করেন ভোররাত একটার দিকে। আমি নিজে সেখানে পৌঁছাই রাত সোয়া একটায়।

    দেখলাম, প্রথমে পুরো শাপলা চত্বরটি ঘিরে ফেলা হলো। তার পর সেখানে জড়ো হওয়া হাজার হাজার লোককে সরে যেতে বলা হয়।

    কিন্তু প্রথমেই কেউ সরে যায়নি। পুলিশ এর পর শত শত রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং টিয়ার গ্যাস শেল ছুঁড়তে শুরু করে। সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করা হয়।

    এর পরই ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীসমর্থকরা।

    তাদের অনেকেই মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নেন। ভোর বেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরা সেই শত শত হেফাজত কর্মীকে ওই সব ভবন থেকে নামিয়ে আনেন, এবং মতিঝিল এলাকা ছেড়ে চলে যেতে সহায়তা করেন।

    ভোরবেলা অনেক হেফাজত-কর্মীকেই আমি মাথার উপর দু-হাত তুলে লাইন ধরে পুলিশের কর্ডনের মধ্যে দিয়ে ওই এলাকা ছেড়ে যেতে দেখেছি। এদের মধ্যে কিছু ছিলেন আহত, এবং তারা অন্যের সাহায্য নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, এমনটাও দেখতে পেলাম।

    শাপলা চত্বরের ভ্রাম্যমাণ মঞ্চটি তখন পুলিশের দখলে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হটিয়ে দেবার পর এই মঞ্চের কাছেই একটি ভ্যানের ওপর কাফনের কাপড় এবং পলিথিন দিয়ে মোড়ানো চারটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। আমরা কয়েকজন সাংবাদিকও মৃতদেহগুলো দেখেছি।

    কিন্তু তাদের পরিচয় এবং কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে সেসম্পর্কে পুলিশ বা চলে যেতে থাকা হেফাজতের কর্মীরাও কিছু বলতে পারে নি।

    ভোর পর্যন্তও শাপলা চত্বরে কয়েক হাজার পুলিশ র‍্যাব ও বিজিবি সদস্য অবস্থান করছিলেন এবং তারা মাঝে মাঝে ফাঁকা গুলি করছিলেন।

    পুরো মতিঝিল এলাকার পরিবেশটা একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার মতোই লাগছিল, গতকাল সারাদিনের সহিংস বিক্ষোভের অনেক চিহ্ন আশপাশে ছড়িয়ে ছিল।

    পুলিশ ও সাংবাদিকের গাড়ি ছাড়া আর কোন যান বা লোকজনের চলাচল ছিল না।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শাপলা চত্বর খালি করার সময় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

    কেন, তা ব্যাখ্যা করে এ অভিযানে অংশগ্রহণকারী র‍্যাব কর্মকর্তা লে: কর্নেল জিয়াউল আহসান পরে বিবিসিকে বলেন, তাদেরকে গ্রেফতার করা যেতো, কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম যে যার বাড়ি চলে যাক। সে কারণেই আমরা শক্ত অবস্থান নেই নি।

    http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/05/130506_pg_motijheel_operation.shtml
  • PM | 233.223.156.228 | ০৮ মে ২০১৩ ১৬:০৫606424
  • প্রচারের কায়্দাটা পুরো নন্দীগ্রামকে মনে করাচ্ছে। "ভালো জিনিষ" যে দেশ কালের গন্ডিতে আটকে থাকে না তা দেখাই যাচ্ছে
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৮ মে ২০১৩ ১৬:০৫606423
  • এবার মতিকণ্ঠের খবর।
    মতিকণ্ঠ/সংবাদ বদলে দেয়। :ডি :ডি :ডি

    _____________________________
    ৫০ হাজার মুজাহিদের লাশের পর এবার গুম হল লক্ষাধিক মিছিলকারী: ফখা
    নিজস্ব মতিবেদক

    বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির কমপ্লান বয় সদ্য জামিনপ্রাপ্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৬ মে মতিঝিলে কাল রাত্রির অপারেশন সার্চলাইটে ৫০ হাজার হেফাজতে ইসলামীর সদস্য মুজাহিদকে গুম করার পর এবার বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মিছিলে লক্ষাধিক নেতা কর্মীকে গুম করল বাকশালী সরকারের ফেসিবাদী পুলিশ।

    আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ফখা ইবনে চখা এ কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ৬ মে কালরাত্রিতে যা ঘটেছে তা একাত্তরকে হার মানায়। একাত্তরের কাল রাত্রিতে শুনেছি কিছু দুমদাম ঠুশঠাশ হয়েছিল। কিন্তু ৬ মে মতিঝিলে বয়ে গিয়েছিল রক্তের বন্যা। ৫০ হাজার মুজাহিদ সেদিন প্রান হারায়। বাংলাদেশ ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি বাকশাল করে। সে ট্রাকের পর ট্রাক পাঠাইয়া সেই মুজাহিদদের মৃতদেহ গুম করিয়াছে। আর আজ গুম হইল বিএনপি শাখার প্রতিবাদ মিছিলের লক্ষাধিক কর্মী।

    আবেগঘন কণ্ঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, আমরা ১ লক্ষ ১৪ জনের একটি মিছিল লইয়া নয়া পল্টন হইতে রওয়ানা করিয়াছিলাম। সংসদ ভবনের কাছে আসিয়া দেখা গেল মিছিলে আছে মাত্র ১৪ জন। বাকি ১ লক্ষ কুথায় গেল? প্রশ্নটি সহজ আর উত্তরও ত জানা। বাকশালী সরকারের ফেসিবাদী রেব পুলিশ তাদের এক এক করিয়া গুম করছে।

    গুম করে এদের কোথায় নেওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখা বলেন, প্রশ্নটি সহজ আর উত্তরও ত জানা। কিন্তু কিছু কথা থাক না গুপন। চাঁদ কেন উঠে? সূর্য কেন ডুবে? বসন্তকালে কেন শরীল চাবায়? কিছু উত্তর না বলাই ভাল।

    http://motikontho.wordpress.com/2013/05/08/%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৮ মে ২০১৩ ১৬:১০606425
  • গুজব। গুজব। গুজব।

    গুজবে কান পাতা দায়। সর্বত্র চলছে লাশ গননার হিসেব। শেষে ঢাকা মহানগরী পুলিশ প্রধান (ডিএমপি কমিশনার) সাংবাদিকদের কাছে বিবৃতি দিতে বাধ্য হলেন। ডেইলি স্টারের খবর। ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত।
    _________________________________________

    WEDNESDAY, MAY 08, 2013
    CRACKDOWN ON HEFAJAT RALLY
    11 died, not 2,500: DMP

    Trashing the claim of death of 2,500 to 3,000 Hefajat-e Islam activists merely as a rumour, Dhaka Metropolitan Police has said 11 people, including a policeman, died in Motijheel between Sunday and early Monday.

    A vested ill-motivated group was campaigning that over 2,500 to 3,000 people had died during law enforcers’ drive to flush out Hefajat men from Shapla Chattar and adjoining areas, DMP Commissioner Benazir Ahmed said at a press briefing in the afternoon.

    “Had the death figure reached so high (2,500-3,000), families of the victims would rush to Dhaka and claim for the bodies,” he told journalists at DMP Media Centre.

    There were intelligence reports that Hefajat activists might have carried out rampage and looted Bangladesh Bank, the Secretariat and other important offices, Benazir said.

    “It is on the basis of that report that we conducted the drive without carrying any lethal weapons to ensure zero casualty,” he added.

    http://www.thedailystar.net/beta2/news/dmp-bins-2500-death-claim/
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৮ মে ২০১৩ ১৬:২১606426
  • # PM,

    এ ক ম ত। পুরো পরিস্থিতির চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সহ-সাংবাদিক মাহবুব রশিদ। ফেবুতে তার নোট:
    __________
    ["বাহ আওয়ামীলীগ, ওয়েল প্লেইড।

    ৫ ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ আন্দোলন শুরু হইছিল লীগ জামায়াতের সাথে আতাঁত করেছে এমন অবস্থায়। সরকার বুঝল আর জামাতের সাথে প্রকাশ্য আতাঁত সম্ভব না। গজা মঞ্চ আওয়ামীকরণ হল। সরকারই আন্দোলনকারী হয়ে গেল।

    হারিয়ে গেল পদ্মাসেতু-হলমার্ক-বিশ্বজিৎ-রামু-তাজরীন সবকিছু।

    কিন্তু শাহবাগে মাঝে একটা সরকার বিরোধী বীজ রয়েই গেছে। তাই একে ট্রাস্ট করা যায় না।

    মাঝখানে চলল মাহমুদুর নাটক- ফোকাস সরানোর জন্যে।

    শাহবাগ আন্দোলন প্রশমিত করতে এজেন্সি মেড হেফাজতকে দিয়ে তোলা হল নাস্তিকতার ধুয়া। শাহবাগকে দমাতে ব্লগারদের ধরা হল। শাহাবগ আন্দোলনকে একটা মরা ঘোড়ায় পরিণত করা হল।

    ওইদিকে আবার হেফাজত বেশি বেড়ে উঠলে তাদের পিটিয়ে খ্যাদানো হল। শাহবাগকে তো সহজে পিটিয়ে খ্যাদনো যেত না।

    হারিয়ে যাচ্ছে প্রায় আট শত শ্রমিকের লাশ, সুন্দরবন। আরো না জানি কত কিছু।
    ফোকাস তো সরে গেছে।

    চমৎকার রাজনৈতিক খেলা একদিকে - আরেকদিকে দেশটাকে ঝামা ঝামা করে ফেলা।

    এমন স্মার্ট লুটপাট আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কে করতে পারে?

    বিয়েনপি তো একটা গান্ডুদের দল। ওদের আরো সাত বার পয়দা হতে হবে লীগের সাথে টেক্কা দিতে।"]

    ম ন্ত ব্য নি স্প্রো জ ন।।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৮ মে ২০১৩ ১৬:৩২606427
  • লাশের কারবারী হেফাজতি মিথ্যে প্রচারণায় বিশিষ্ট চিন্তক পিনাকী ভট্টাচার্য খুব ক্ষিপ্ত হয়েছেন [হেফাজতিরা অনেক আগেই ফেবুতে ঘোষণা দিয়ে তাকে হিটলিস্টে রেখেছে]।

    ফেবুতে তার নোট:

    ["সকল মৃত্যুই অনাকাঙ্খিত এবং দুঃখজনক। কিন্তু মৃত্যুকে নিয়ে মতলববাজি শুধু অসহ্যই নয় ঘৃণ্য। যারা দাবী করছেন ৬ তারিখ দিবাগত রাতে ৩০০০ লাশ গুম করা হয়েছে তাদের কয়েকটা হিসাব মিলিয়ে দিতে বলছি।

    ১। তিন হাজার মৃতদেহের ওজন হবে ২০০ টন, ফুল লোডে এই মৃতদেহ সরাতে ৪০ টা ৫ টনি ট্রাক লাগবে।
    ২। ৩০০০ মৃতদেহ থেকে ১৫০০০ লিটার রক্ত ক্ষরিত হবে। সব ধুয়ে ফেললেও মতিঝিল সংলগ্ন এলাকায় এখন রক্তের দুর্গন্ধে কেউ টিকতে পারতো না।
    ৩। ৩০০০ মৃতদেহ সরানো এবং রাতের মধ্যে ডিসপোজ করতে কমপক্ষে ১৫ হাজার এই কাজে প্রশিক্ষিত কর্মী প্রয়োজন।
    ৪। একসাথে এতোগুলো মৃতদেহ কবর দিতে গেলেও ৩ থেকে ৪ লক্ষ ঘন ফুট মাটি সরাতে হবে। কতক্ষণ লাগবে সেটা করতে? এই কাজ সর্বোচ্চ দ্রুততায় করলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে।
    ৫। যে সংখ্যায় মৃত্যুর দাবী করা হয়েছে সেই সংখ্যায় মৃতদেহ শুধু গুম করলেই চলবে না, মৃতদেহের কবর ও লুকাতে হবে। এই ঘন বসতি পূর্ণ দেশে তেমন জনমানুষ হীন স্থান কী আছে? সেটা কী সম্ভব?
    ৬। মৃতদেহ গুমের কাজে সংশ্লিষ্ট সাম্ভব্ব্য ১৫ হাজারের মধ্যে একজনকেও কী সাক্ষ্য দেয়ার জন্য খুজে পাওয়া যাবেনা?
    ৭। দিগন্ত টি ভি সকাল চারটা পর্যন্ত সম্প্রচার করেছে তার অনেক আগেই মতিঝিল সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। তাই যে সময়টার কথা বলা হচ্ছে সে সময় পর্যন্ত দিগন্ত বহাল তবিয়তেই সম্প্রচার করছিল।
    ৮। ৩০০০ নিহতের পরিবার কী এতক্ষন বসে থাকতো?
    ৯। স্বাধীন দেশে ওপেন প্লেসে ২ঘন্টার মধ্যে ৩০০০ মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলতে এইর্যা ব-পুলিশ-বিজিব রাজী হতো?

    তাই মাঠ গরম করার মতলব বাজি বাদ দিয়ে ৩০০০ জনের তালিকা দিন। যদি বলেন তৈরি হচ্ছে; তাহলে যে কয়জনের তালিকা হয়েছে সে কয়জনেরই তালিকা দিন। অভিযোগ গুরুতর। এই অভিযোগের সত্যতা খুজে বের করা আরো গুরুত্বপূর্ণ। সেই তালিকা ধরে নিহতের সংখ্যার সত্যতা দরকার হলে সবাই মিলে খুঁজবো। যদি অভিযোগ মতে ৩০০০ মানুষ সেই রাতে নিহত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয় তবে সরকারকে জবাব দিতে হবে; আর যদি এই প্রচারণা মিথ্যা হয় তবে সেটার শাস্তি অভিযোগকারীকে মাথা পেতে নিতে হবে। ক্যাচাল বাদ দিয়ে তাই তালিকা দিন।

    ওদের মৃত্যুকে নিয়ে আপনাদের যে গভীর আগ্রহ তার ভগ্নাংশ ও যদি আপনাদের ওদের জীবন নিয়ে থাকতো তবে কখনোই শাহবাগের প্রতিপক্ষ হিসেবে ওদের দাঁড় করাবার বিপদজনক খেলায় লিপ্ত হতেন না।"]

    https://www.facebook.com/pinaki.bhattacharya.9/posts/649574225068461
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ০৮ মে ২০১৩ ১৭:২৩606428
  • সহব্লগার মাসকাওয়াত সাম্প্রতিক বিষয়ে ফেবুতে একটি ছোট্ট কিন্তু চমৎকার নোট লিখেছেন।

    "বাংলাদেশের বর্তমান লড়াইটি ইসলাম বনাম জিহাদী ইসলামের। আওয়ামী লীগ ইসলামকে ধারণ করে। ভাবনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এখনো পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক হতে পারেনি। ভোটের জুজু এবং জেনারেশন গ্যাপের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসিকভাবে নাস্তিকতাকেও একটি অন্যতম দর্শন হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত নন। কিন্তু সংবিধান যেখানে সব ধর্ম গোষ্ঠীর (নাস্তিকগোষ্ঠীসহ) সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে; সরকারকে তা মেনে চলতে হবে। নাস্তিকরা সৃষ্টিকর্তায় আস্থা রাখেনা সেটা তাদের ফ্রিডম অফ চয়েস। ধার্মিকরা যেখানে তাদের ধর্ম-দর্শন প্রচার করার অধিকার রাখে; সেখানে নাস্তিককে তার দর্শন প্রচারের কারণে গ্রেফতার করা হলে সেটা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লংঘন। ইসলাম ধর্ম-দর্শন নিয়ে বিতর্ক বা বাহাজকে উতসাহিত করে। পবিত্র কোরানে বার বার বলা হয়েছে 'প্রশ্ন করো'। ইসলাম অসাম্প্রদায়িকতার সমার্থক হতে চেয়েছে। কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ীরা সেটা হতে দেয়নি। একবিংশ শতকে ইসলামের অন্ধকার যুগের যে তান্ডব চলছে সেখান থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে অসাম্প্রদায়িক মুক্তচিন্তার পক্ষে আওয়ামীলীগের সক্রিয়তা দেখতে চাই। ব্লগারদের মুক্তি চাই।"

    https://www.facebook.com/biplob.CHT/posts/10151460011823165

    আমার ধারণা, গত ৫ মে মৌলবাদীরা অসংখ্য টাইম বোমা চালু করেছে মাত্র। এটি সবে শুরু। এর পর একের পর বিস্ফোরণ ঘটতেই থাকবে। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা না গেলে শুধু বন্দুকের জোরে এই অপশক্তিকে দমন সম্ভব নয়। কারণ সেটিই মৌলবাদ-জঙ্গি তৈরির কারখানা।

    বোধগম্য কারণেই বিএনপি এই কাজে অক্ষম। ভোট হ্রাসের শঙ্কা অতিক্রম করে সব ধরণের স্ববিরোধীতার ধারক আওয়ামী লীগও মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কারে অপারগ। তাই বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? এটিই এখন গুরুতর প্রশ্ন। ...
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৮ মে ২০১৩ ২১:৫৫606429
  • আম্মো তাই ভাবছিলাম, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার। মাদ্রাসা বন্ধ করা বোধহয় ঠিক সমাধান নয়, অনেক গরীব ছাত্রের ভরণপোষনের দায়িত্ব নেয় মাদ্রাসাগুলো ..
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ২৪ মে ২০১৩ ১৭:৪৭606430
  • আওয়ামী মুসলীম লীগ সরকার ফেবু, টুইটার, ব্লগের গলা টিপে ধরতে বছর খানেক আগে মাঠে নামিয়েছিলেন বিজিনিউজের তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে। এই ইন্টারনেট সর্দার এক বছর ধরে এটি বাস্তবায়নে নানা কসরত চালাচ্ছেন।

    দেখা যাচ্ছে, সম্মিলত প্রতিবাদ, ব্লগার রাজিবের লাশ, চার ব্লগার গ্রেপ্তারের পরেও শেষ পর্যন্ত তিনি কামিয়াব হতে চলেছেন।

    শাবাশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।
    জয় মোল্লাতন্ত্র।

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article628230.bdnews
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন