এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • নতুন লিখতে এসেছি। গদ্যে হাত পাকে নি জানি। আপনাদের মতামত চাই।

    ফট টিং টিং
    বইপত্তর | ১১ এপ্রিল ২০১৩ | ৫৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফটটিংটিং | 127.194.194.49 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ০১:১৬599388
  • ক্রমশ
  • ফটটিংটিং | 127.194.194.49 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ০১:১৬599387
  • ফটটিংটিং
    পর্ব ১

    মোটা মোটা আঙ্গুল দিয়ে নেড়েচেড়ে দ্যাখে। দু’টো ফুটো আসছে যাচ্ছে। তার দুপাশে নম্বর লেখা। পাশে দুটো বোতাম। ছোট ছোট। ইচ্ছে হল বেশ করে টিপে দিতে। বিকেল পাঁচটা সন্ধ্যে সাতটা রাত্রি এগারোটা। ফটিক ফ্যালফ্যাল করে হাসে। বিছানায় শুয়ে পড়ে। চোখ দুটো চেপে ধরে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে। গান গায় ‘তুইংকেল তুইংকেল লিতিল স্তা...লিন বাবু লিয়ে যান’ ঘুমিয়ে পড়ে ফটিক। ঘড়ি নিয়ে ফটিকের এই ফাজলামি আছে। সময় ওলোটপালোট করে দেয়। এছাড়া আর কোন ভাবে লোকজনের পোদে লাগে না। কোন্‌ মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য, এসব করে, তাই নিয়েই রিসার্চ করছেন বুকু বাবু। বুকু মাঝে মাঝেই আসেন বিকেলের দিকে। আর আধঘণ্টা পরই খেয়াল করেন, রাত এগারোটা। অথচ দোকান পাট দিব্বি খোলা। খোলামেলা মেয়েছেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেটা এতো রাতে সম্ভব নয়। এই এলাকায়। এখানে রাত আটটা টপকাতে না টপকাতেই দোকানপাট চুকিয়ে বুকিয়ে সাট্টা খেলতে ছোটে। সাথে চোলাই।
    এলাকাটা বিশেষ বড় নয়। ভূগোলে কাচা। তাই ম্যাপ দেখিয়ে বলতে পারি না কোথায়। বাবি বলে জিওগ্রাফিকালি চ্যালেঞ্জড। তবে পাশ দিয়ে একটা নদী গেছে। নদীতে জল আছে। কালচে। মেকাপ করার সময় পুতলি তাই বেশি করে পাউডার মাখে। পুতলি হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু এসে যখন পড়েছে, একটা কিছু ভাবতে হয়। পুতলির দেহের বর্ণনা দেওয়া কি জরুরি? নাহ্‌ তেমন কোন সেক্স এপিল নেই। এপ্রিল ফুল। পুতলি ঘষে ঘষে পাউডার তোলে। এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে। নদীর পাশে বাঁশের ওপর ঘর। জোয়ারের সময় জল উঠে আসে ঘরের কাছাকাছি। তখন পুতলি বাসন মেজে নেয়। হাগে। স্নানও করে নেয়। কাছাকাছি কোন ঘাট নেই। যেটা আছে তাতে মড়া পোড়ানো হয়। পুতলি যায় না ওটায়। ধোঁয়া দেখলে ওর যেন কার কথা মনে পড়ে। সাথে একটা গন্ধ। এছাড়া তিন কূলে কেউ নেই। পুতলির পাউডার গলে গলে জলে পড়ছে। সাদা সাদা ফেনা। ঘাড় বেঁকিয়ে দেখে ওপরে একটা চাঁদ আছে। জিভ ভ্যাঙায়। বলে – শখ কত। নদীর দিকের পর্দাটা ফেলে দিয়ে শুয়ে পড়ে। নিচে জল চলে যাওয়ার শব্দ। পর্দার নীচ দিয়ে তাকিয়ে থাকে ওপারে। সূতো সূতো আলো নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে। কারখানার ধোয়া ওঠা। কেমন আগুনের মতো। বিরাট একটা মশাল জ্বলছে। কি মনে হয় উঠে বসে। একটা পলিথিনের ব্যাগ খোলে। ভাত মাখা, হলুদ কিছু দিয়ে। একদলা মুখে দেয়। চেবাতে হয়। শক্ত। এই সময় একটা নৌকা চলে যায়। গান ভেসে আসে। নৌকায় কেঁউ গান গাইছে। কথা বোঝা যায় না। একটা শব্দে সাথে আর একটা শব্দ মিশে আসছে। তাতে সুর আছে একটা। নামা ওঠা নেই। পুতলি মন দিয়ে শোনে। মুঠটা চাটতে চাটতে শুয়ে পড়ে মেঝেতে। সুরটা কাছে এগিয়ে আসে। জলের শব্দের সাথে ছন্দ মিলিয়ে। যেম্ন মাছের ঝাঁক খেলে বেড়ায়। পুতলি জলে হাত বাড়িয়ে দেয়। ঠিক তখনই একটা ভোঁ বাজে। হুশ করে সব লোপাট। কালো জল। তাতে সাদা চাঁদ। পুতলি ভাতের কাছে ফিরে যায়।
    ভাত খেতে ভালো লাগে না ফটিকের। আঠা আঠা, নরম, চ্যাটচ্যাটে। মাসি মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, কালকে তন্দুরি এনে দেবে। সাথে চিলি চিকেন বানিয়ে দেবে ঘরে। ফটিক হাসে। মাসির কোলে শুয়ে হা করে। একদলা ভাত ঢুকিয়ে দেয় মাসি। ছাদটা অনেক বড়। এলাকার সব থেকে বড় ছাদ। একদিক থেকে অন্যদিকে যেতে হাঁপিয়ে পড়ে। ভাত শেষ হয়ে যায়। মাসি মুখ ধুইয়ে মুছিয়ে দেয়। হাত ধরে ওঠাতে গেলে, মাথা নাড়ে। আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে দেখে, তুই কেল তুই কেল লিতিল স্তাল। পাঠকের মতো মাসিও বিরক্ত হয়। বলে, মশারি টানিয়ে দি। ফটিকের বাবা বলেছিল, ফটিকের যখন ছাদে শুতে ভালো লাগে তখন সারা ছাদটা নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া যায়। যাতে মশা না ঢোকে। তাই করা হল। কিন্তু ফটিক কেমন ছটফট করে। ঘুমোয় না। মাসি গান শোনায়। ফটিক মাথা নাড়ে। মুখ থেকে একটা আওয়াজ বার করে। সেটা কোন গান না। একটা মৃদু ভোঁ। পরে বোঝা যায় ওটা মশার গান। নেট তুলে দেওয়া হল। মশারা ফিরে এলো। গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ল ফটিক।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ১১:১৯599389
  • মৃগাঙ্কশেখর মনে হচ্ছে? ☺
  • siki | 132.177.34.253 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ১২:০৯599390
  • এটা মৃগাঙ্ক।
  • ফটটিংটিং | 127.194.206.198 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ১৭:৪০599391
  • দোষ ত্রুটি গুলো বল। গদ্য লিখি না তো। তাই ব্বেশ ভয়ে আছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন