এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবি ও রঞ্জনঃ একটি অলীক পত্রালাপ

    Somen Dey
    অন্যান্য | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ১৪৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somen Dey | 125.187.32.45 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২০:১১584458
  • রবি ও রঞ্জনঃ একটি অলীক পত্রালাপ

    রঞ্জনের চিঠি
    ----------------------

    মান্যবরেষু নাট্যকার মহাশয় ,

    আপনাকে পত্র লেখার ধৃষ্টতা দেখাবার সাহস আপনার কাছেই পাওয়া।আপনিই বার বার সামান্যকে অসামান্য , নগন্যকে গন্য হবার প্রেরনা দিয়েছেন। আমি আপনারই সৃষ্ট একটি চরিত্র মাত্র। না চরিত্র বা বলিই কি করে । আপনার নাটকে আমাকে আপনি নাম দিয়েছেন কিন্তু দেননি কোনো সংলাপ । আপনার রচিত নাট্য পরিচয়ে আমার উল্লেখ ও করেন নি। তাই আমি আপনার সৃষ্ট একটি চরিত্র এমন দাবী করতে পারিনে। তবু আমি ছিলাম আপনার নাটকে , ভীষন ভাবে ছিলাম । নন্দিনীর ভালবাসা হয়ে , বিশু পাগলের প্রেরনা হয়ে , এমন কি মহা শক্তিধর রাজার ঈর্ষা হয়ে ছিলাম সমস্ত নাটক জুড়ে। তবু একবারের জন্য আমাকে মঞ্চে আসতে দেননি ,দেননি কোনো সংলাপ। কেন এমন হল ?

    একবার নয় দুবার নয় দশ বার খসড়া পাল্টেছেন এই নাটকের ।তিন বার নামও পাল্টেছেন। আপনার এত মনোযোগ আর কোনো রচনা হয়তো পায়নি । । খুব জানতে ইচ্ছে করে কোনো একটি খসড়ায় কি আমাকে দিয়ে ছিলেন কোনো সংলাপ ? নাকি প্রথম থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন আমাকে এমন একজন ট্রাজিক হিরো করবেন যে শুধু 'মিথ' হয়েই বেঁচে থাকবে। কিন্তু সেই অর্থে আমি তো ট্রাজিক নায়কও হইনি ।
    গোটা নাটক জুড়ে যার প্রসঙ্গ বার বার উঠেছে , নন্দিনী বলেছে আমি নদীর মতন হাসতেও পারি আবার ভাঙ্গতেও পারি , রাজা আমাকে ভয় পেয়ে বলেছে -তার মধ্যে আছে জোর আর আমার মধ্যে আছে জাদু , আর বিশু বলেছে সে আমার ও পিঠ ।
    তবু সেই আমি গোটা নাটকে মঞ্চে অনুপস্থিত থেকে শেষ দৃশ্যে মঞ্চের এক কোনে মৃতদেহ হয়ে আবিস্কৃত হই।
    যে নন্দিনী ভাবতো আমি দু হাত দিয়ে দুই দাঁড় ধরে তাকে তুফানের নদী পার করে দি , বুনো ঘোড়ার কেশর ধরে বনের মধ্যে তাকে ছুটিয়ে নিয়ে যাই , লাফ দেওয়া বাঘের দুই ভ্রুর মাঝখানে তীর মেরে তার ভয় উড়িয়ে দিয়ে আমি হা হা করে হাসি - সেই আমার মৃত্যু কেমন যেন অভিঘাতহীন । নন্দিনীর তেমন কোনো বিলাপ নেই , ক্রোধ নেই। যেন সে প্রস্তুত ছিল তার সমস্ত শক্তি দিয়ে রাজার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে।
    কেমন যেন মনে হয় আপনি নিজেই নন্দিনীর প্রেমে এত মত্ত ছিলেন যে শুধু তাকেই পাদ প্রদীপের আলো তে আনতে চেয়ে ছিলেন। রাজাকে রেখেছিলেন অন্তরালে -তবু তাকে সংলাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি তো একেবারে আড়ালেই রইলাম।
    মেয়েদের প্রতি আপনার কিছুটা পক্ষপাতিত্ব ছিল । কি জীবনে কি সাহিত্যে। আপনার কি ভয় ছিল আমাকে মঞ্চে আনলে কোথাও নন্দিনী একটু ম্লান হয়ে যেতে পারে।
    আমাকে মঞ্চে আনতে হলে আমাকে এমন সংলাপ দিতে হত যাতে আমার প্রাণশক্তি দুন্দুভির মত বেজে উঠতো , জোয়ারের মত ভাসিয়ে দিত সব সংশয়। কারন আপনি বলুন না বলুন দর্শকতো ভেবেই নেবে - আমি রুপক নই , মিথ নই , অসম্ভবের স্বপ্ন নই - আমিই বিপ্লব , আমিই বিদ্রোহী , আমিই যৌবন জলতরঙ্গ ।
    তাহলে কেন আমায় নেপথ্যে রাখলেন , কেন এমন একটা একটা আড়ম্বরহীন মৃত্যু দিলেন।
    প্রতিবাদ করতে আপনিতো কখনো পিছপা হননি । তা সে যত অপ্রিয়ই হোক ,যতই গড্ডলিকা প্রবাহের বিপক্ষেই হোক , তাসে যতই বাস্তবের রাজার রক্তচক্ষুর কারন ই হোক। লাবন্য , এলা , বিমলা , শ্রীমতি , চিত্রাঙ্গদা এরা সবাই প্রতিবাদী । সবাই নিজের মত করে গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে বেরিয়ে তাদের নিজের মত করে অমান্য করেছে সমাজের শাষন। হয়তো নন্দিনীর মত তারা যুদ্ধ ঘোষনা করেনি অচলায়তনের বিরুদ্ধে ।
    তবু কোথাও যেন মনে হয়েছে আপনি সত`্র্ক করে দিতে চেয়েছেন চারি দিকে প্রবহমান জীবনধারা থেকে নিজেকে ছিন্ন করে কোনো একটি আইডিয়ার পিছনে ছুটে যাওয়ার প্রবনতা সন্মন্ধে। গোরা ছুটেছিল তার সনাতন ভারতবর্ষের ধারনার পিছনে । পরে সে বুঝতে পারে ধর্ম চারিপাশের মানুষ কে বাদ দিয়ে ধর্ম নয়। সচীশ তার গুরুর প্রভাবে ছুটেছিল কোনো এক রসের স্বর্গলোকের সন্ধানে । পরে মাটির পৃথিবীর সঙ্গে সেই আইডিয়ার লাগলো সংঘাত। রুপের সঙ্গে রুপকের ঠোকাঠুকিতে সেই আইডিয়ার ভঙ্গুর পাত্র ভেঙ্গে যায়।
    বিমলার হটাৎ জেগে ওঠা নিজেকে আবিস্কারের আবেগ তার মনে সৃষ্টি করে এক দেশপ্রেমের আইডিয়া। সেই আইডিয়ার পিছনে ভেসে যায় তার আজন্মলালিত ন্যায় অন্যায়ের মাপকাঠি । যখন তার ভুল ভাঙ্গে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছলো । এলা তার প্রেম না বিপ্লব , এই দুই আইডিয়ার মধ্যে কার জন্যে সে বলি প্রদত্ত এই টানাপোড়েনে রয়ে গেল।
    লাবন্য সে দিক দিয়ে অনেক বেশি পরিনত। সে নিজেই তার মর্তের মৃত্তিকা দিয়ে তৈরী অমৃত মুরতি একদিন ভেঙ্গে যেতে পারে কঠিন বাস্তবের সঙ্গে টোকাঠুকিতে এটা বুঝে ফেলে ছিল । সে ঐ আইডিয়ার জাল থেকে নিজেই বেরিয়ে এসেছিল।
    কিন্তু রঞ্জন কি নন্দিনীর শুধু আইডিয়া।
    নন্দিনী যখন অধ্যাপককে প্রশ্ন করে এরা আমাকে এখানে নিয়ে এল রঞ্জনকে আনলোনা কেন ? অধ্যাপক বলেন সব জিনিষ কে টুকরো করে আনাই এদের পদ্ধতি ।
    নন্দিনীর আশা ছিল রঞ্জন যক্ষপুরীতে এলে সে তাদের মরা পাঁজরে প্রাণ সঞ্চার করতে পারতো।
    কিন্তু রঞ্জন নিজেই যক্ষপুরীতে এলো প্রাণহীন অবস্থায়। আপনি কি নন্দিনীর আইডিয়া নির্মম ভাবে ভাঙ্গতে চেয়ে ছিলেন ?
    আপনি চেয়ে ছিলেন নন্দিনী তার নিজের মত করে যুদ্ধ করুক রঞ্জন মোহ মুক্ত হয়ে ?

    খুব জানতে ইচ্ছে করে এই ভীষন দু`হ্সময়ে যদি আপনি আপনার এগারো নম্বর খসড়াটি লিখতেন তাহলে কি লিখতেন - এখন রাজা আর দ্বিধা বিভক্ত নয় । সর্দার আর রাজার মধ্যে ক্ষমতার বিরোধ থাকলেই উদ্দেশ্যের কোনো বিচ্যুতি নেই । দুজনের লোভ মিলে প্রচন্ড শক্তিমান এক দৈত্য মানুষের থেকে মানবতাকে বিচ্ছিন্ন করে দেবার জন্যে লড়াই করছে ।
    আপনার এগারো নম্বর খসড়ায় কি রঞ্জনের হাতে এমন কোনো অস্ত্র তুলে দিতেন যা নিয়ে সে নন্দিনীর পাশে এসে দাঁড়াতো এক অসম যুদ্ধের সহযোদ্ধা হয়ে ? মানুষ কে তার আদর্শ থেকে , বিবেক থেকে , বিচার শক্তি থেকে টুকরো করে রাখার পদ্ধতি যার কথা অধ্যাপক বলেন , তা তো আজ সর্বব্যাপী এবং অনেক শক্তিশালী।
    রঞ্জনকে তো বাঁচিয়ে রাখতেই হবে । এ যে বড় কঠিন যুদ্ধ ।

    আর একবার আমার ষ্পর্ধার জন্যে ক্ষমা চেয়ে শেষ করলাম এই চিঠি ।

    একান্ত আপনার

    রঞ্জন

    নাট্যকারের উত্তর
    --------------------------

    স্নেহের রঞ্জন ,

    তোমার অনেক প্রশ্ন , অনেক অভিমান । সত্যি কথাটা আগেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো তোমার কোনো প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আমার কাছে নেই । আমার কখনো কখনো সংশয় হয় আমার লেখা চরিত্র গুলোকে আমি সৃষ্টি করেছি নাকি এই চরিত্রগুলিই আমাকে একটু একটু করে সৃষ্টি করেছে ।যখন লিখতে বসেছি ওরাই আমাকে নিয়ে গেছে ওদের জগতে । ওদের কথা ওদের ভাবনা গুলো আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে । তবু যে টুকু পারি বলতে চেষ্টা করি । রঞ্জন তুমি আমার খুব আপনার মানুষ । নন্দিনী যাকে ভালোবাসে সে কি সাধারন হতে পারে । সে এতটাই অনন্য যে আমার মনে হয়েছিল তার রক্ত মাংসের শরীরটাকে মঞ্চে নিয়ে আসলে বাকি সকলকে কিছুটা ম্লান হয়ে যেতে হবে । যাকে নিকে এত প্রত্যাশা এত আগ্রহ নাটকের প্রত্যেক চরিত্রের , তাকে আনবো কি ভাবে ? সে এলে তো সেই সব প্রত্যাশা পূরনের কথা উঠবে । আর প্রত্যাশা পুরন হয়ে গেলে তো নাটকের গতিপথ পাল্টাতে হত ।রাজার সঙ্গে নন্দিনীর লড়াইয়ের তো কোনো পরিনতি নেই ।
    রক্তকরবী নিয়ে অনেকের অনেক অভিযোগ শুনেছি । তোমার অভিযোগটিও তার সঙ্গে যুক্ত হল । মৃত্যুতো জীবনের সব চেয়ে বড় সত্যি । কিন্তু কেও কেও মৃত্যুকে ছাপিয়ে বেঁচে থাকে মানুষের ভাবনায় , কালস্রোত তাকে মুছে দিতে পারে না । তুমিও তাই রঞ্জন । তোমাকে লোকে জানতে চাইবে বুঝতে চাইবে আর যতদিন তোমাকে পুরোটা না জানা যাচ্ছে তোমাকে নিয়ে আগ্রহ থাকবে মানুষের মনে । এই বা কম কি রঞ্জন ।

    আশীর্বাদক

    রবি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন