এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 85.76.118.96 | ১৩ জুলাই ২০১২ ০৬:৩৮567727
  • খারাপ হলে পঞ্চার বাপের।

    আর ভালো হলে আমার।
  • pi | 147.187.241.6 | ১৩ জুলাই ২০১২ ০৭:৫১567737
  • যা হবার কথা ছিল, হতে পারতো, হতেই পারতো, তা হচ্ছে না। বা অতি অল্প হচ্ছে। বা, কোথাও তার দায় কার ?
    হ্যাঁ, অনেক কিছু নিয়েই এ প্রশ্নটা তোলা যেতে পারে। আপাততঃ একটা স্পেসিফিক ইস্যুতে ফোকাস করা যাক।
    গ্রামোন্নয়ন।
    ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট সোস্যাল ওয়াচ রিপোর্ট আর দয়াবতী রায়ের পার্টি পঞ্চায়েত ও গ্রাম রাজনীতি বইটা পড়তে পড়তেই লেখার কথা মনে হয়েছিল। এর মধ্যেই চলে এল পরশু আবাপ তে লেখা স্বাতী ভট্টাচার্যের প্রবন্ধটা। এই লেখা থেকে বেশ কিছু অংশ তুলব। কারণ, লেখাটা পড়তে পড়তেই বারবার এই প্রশ্নটা উঠে আসছে, দায় কার ?এই পোস্টে সেই লেখাগুলোতে তুলে ধরা কিছু তথ্য, বিশ্লেষণ নিয়েই কথা। আর মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্নও করবো। আশা করি, কারির কারুর কাছে কিছু উত্তর থাকবে।
    সময় নেই বিশেষ। গুছিয়ে লেখা হবেনা। খুব ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবেই কিছু কথা লিখবো, যেগুলো পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে।

    ১। উন্নয়নের মূল বাধা হিসেবে বেশিরভাগ সময়ই টাকার অভাব বলা হয়। সে তো আছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি তাই কী ? তথ্য কী বলছে ? বলছে যে, গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ টাকা এখন বলা যেতে পারে, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বই কম নয়।

    "গরিব মানুষ যে জীবনে নিতান্ত দরকারি জিনিসগুলো পান না, আর তার জন্য অত্যন্ত কষ্ট ভোগ করেন, তা একশোবার ঠিক। কিন্তু এও ঠিক যে সে অবস্থাটা বদলানোর যত সুযোগ গত দশ-বিশ বছরে গ্রামের মানুষের হাতে এসেছে, তা এ দেশের ইতিহাসে কখনও আসেনি। এমনকী বিশ্বের ইতিহাসেও গ্রামের মানুষের হাতে সরাসরি এত টাকা, এত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কি না, তা গবেষণার বিষয়। আজ এক একটা গ্রাম পঞ্চায়েত বছরে আড়াই-তিন কোটি টাকা খরচ করে হেসে-খেলে, আরও টাকা খরচ করতে পারলে আরও বরাদ্দ পাওয়ার দরজা খোলা তাদের। ...
    একশো দিনের কাজে এ রাজ্য সর্বোচ্চ আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে, ৩১ দিন কাজ দিয়ে। একশো দিনের কাছাকাছি কাজ দিতে পারলে তার তিন গুণ টাকা পাওয়া যেত। এ বছর রাস্তা তৈরি করতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র। পানীয় জলের জন্য চার হাজার কোটি টাকারও বেশি। "

    কিন্তু, 'তা সত্ত্বেও গ্রামের উন্নতি হচ্ছে না, এ দায় কার? '

    ২। এর উত্তরে যে কথাগুলো সবার আগে আসবে, লেখিকা তাদের উল্লেখ ও করে দিয়েছেন।
    'পঞ্চায়েতের প্রধান চোর, সচিব ঘুষখোর, ব্লক সভাপতি বিরোধী বলে কাজ করেন না'
    কিন্তু তা বলে পার পাওয়া যা বেনা। কারণ এরা কারা ? এদের উপরে নজর রাখার দায় কাদের ?

    সমস্যাটা কি তাহলে নজরদারির ? তো, সে নজরদারি করবে কে ? কী তার ব্যবস্থা হবে ?

    ৩। সমস্যাটা কি পরিকম্পনার ঠিকঠাক অভাবের ?
    নাকি গোড়াতেই গলদ ? পরিকল্পনা উপরের মহলে হবে, আর ইম্প্লিমেন্টশন নিচু তলায়, এই ভাটিকাল মডেলেই তো সমস্যা আছে।
    প্রকৃত ক্ষমতায়ন বলতে, গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে শুধু টাকা ই নয়, ক্ষমতাও দরকার। সেটা কী হয়েছে ?

    রিপোর্টগুলো তো বলছে, নাঃ।
    "In West Bengal this kind of decentralisation does not appear to be even in the realm of possibility,even though the state has earned laurels for its contribution in decentralising governance"

    মৈত্রীশ ঘটকের ইপিডাব্লুর পুরানো একটা পেপার বলছে ঃ "However, despite its pioneering status in
    terms of reforms of the panchayat system, West Bengal lags behind several other states
    today in terms of devolution of power, finances and functions to the panchayat"

    এনিয়ে আর কেউ আলোকপাত করলে ভাল হয়। এগুলো কিছুটা পুরানো রিপোর্ট। এখন কী কী দশা ?

    আমি হেল্থ সিস্টেম নিয়ে কিছু নাড়া ঘাঁটা করেছিলাম। তখন দেখেছিলাম, কীভাবে পঃবঙ্গে পঞ্চায়েতকে বাইপাস করা হচ্ছে। একটা রিপোর্ট থেকে কিছু অংশ তুলি। তালে বোঝা যাবে।
    "At the policy level there is an overall agreement that decentralisation of
    the delivery system is a necessary condition for improving the quality
    and quantity of health care services. This is one of the cardinal principles
    of the National Rural Health Mission. West Bengal government’s
    health policy also advocates decentralisation. But in practice
    whatever decentralisation has taken place in this state has practically bypassed
    the panchayat system. As mentioned, Health and Family Welfare
    Societies loaded with officials have been created at the district and
    Block levels to deconcentrate some of the health sector activities, ignoring
    the claims of the panchayats in being assigned the function of delivering health care services. Essentially, the delivery system is still highly centralised. In contrast, Kerala, which has the best record in the country in terms of most of the health indicators, has placed sub centres, primary health centres, hospitals, anganwadi centre etc under the control of the three-tier panchayat system. In West Bengal this kind of decentralisation does not appear to be even in the realm of possibility,even though the state has earned laurels for its contribution in decentralising governance. "

    এর দায় কার ?

    ৪। এরপরেও সাফল্যের জন্য আরেকটা জিনিস প্রয়োজন। যেটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত, ঠিক ততটাই কম গুরুত্ব পায় বোধহয়। সেটা হল, মানুষের নিজেদের ক্ষমতায় অঁশগ্রহণ।
    গ্রামবাসীদের নিজেদের পরিকল্পনা নিজেদের করার ক্ষমতা। এ না হলে ক্ষমতার প্রকৃত বিকেন্দ্রীকরণ তো হয় না। সেটা কী আছে ? দেওয়া হয়েছে ?

    উত্তর পাওয়া যাচ্ছে, প্রায় না। আর সেটা খুব অস্বাভাবিক ও বোধহয় না। কারণ, 'রাজনীতির নেতারা গ্রামবাসীর হাতে পরিকল্পনার ক্ষমতা, টাকা বরাদ্দ, খরচ, হিসেব দাখিলের ক্ষমতা ছাড়তে চাইবেন না, সে তো স্বাভাবিক।'

    অথচ এটা হলে যে ভাল হতে পারে, তার হাতে গরম উদাঃ ও কিন্তু রয়েছে।
    কেরালাতে People’s Plan Campaign চালু হয়েছিল ও সেটা নাকি বেস সফল। স্বাতী ভট্টাচার্যের লেখায় রয়েছে, পঃবগেও কিন্তু অনেক দিন আগেই একবার চালু হয়েছিল। তার কী হাল হল ?
    "আশির দশকে পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত মেদিনীপুরে ‘গ্রামবাসীদের দ্বারা গ্রাম পরিকল্পনা’ তৈরি করার কাজ হয়েছিল। নারায়ণগড় ব্লকে গ্রামের লোকেরা বসে তৈরি করেছিল নিজেদের গ্রামের উন্নয়নের পরিকল্পনা। কথা হয়েছিল, প্রতি পঞ্চায়েত হাতে পাবে এক লক্ষ টাকা, নিজের পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য। সে টাকা আর আসেনি --বামপন্থী নেতা আর সরকারি আমলাদের বাদ সাধায় ভেস্তে গিয়েছিল। "

    এটা নিয়ে কারুর আর কিছু জানা থাকলে জানতএ চাই।

    আবার কিছুদিন আগেও নাকি এমনি একটা পরিকল্পনা হয়েছিল। বেশ সফল হয়েছিল, কিন্তু তার কী হল ?
    'সম্প্রতি গ্রামের মানুষকে নিয়ে নকশা তৈরি করার আর একটা উদ্যোগ এসেছিল। ব্রিটিশ সরকারের অনুদানে গ্রামীণ বিকেন্দ্রীকরণকে আরও সবল করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকায় চলেছিল পাঁচ বছরের একটি প্রকল্প। প্রায় এক হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে গ্রামের মানুষকেই পরিকল্পনা করা, হিসেব রাখার কাজ শেখানো হয়েছিল যত্ন করে।
    যে সব গ্রামে মানুষ উৎসাহী হয়ে কাজে নেমে পড়েছিলেন, দেখা গিয়েছিল সে সব জায়গায় দলাদলিকে ডিঙিয়ে টাকা খরচ হয়েছে গ্রামের কাজে। উপরমহলে নেতারা যখন এ ওকে বয়কট করছেন, তখনও গ্রামে সব দলের লোক বসে একসঙ্গে পরিকল্পনা করছেন, টাকা কেমন করে খরচ হবে। কথাবার্তায় প্রধানরা অনেকে স্বীকার করেছেন, বিরোধী সংসদে টাকা খরচ হচ্ছে ভাল, তাই তাদের বরাদ্দও করা হচ্ছে বেশি। সেই সময় এক পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রশ্ন করা গিয়েছিল, ‘তবে কি উন্নয়ন অরাজনৈতিক?’ তিনি বলেছিলেন, ‘না, রাজনীতির বাইরে নয়, তবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে।’ নিজেদের মতো করে অন্তত কিছু গ্রামে মানুষ দলাদলি থেকে সরে এসে একটা জমি তৈরি করছিলেন, যেখানে দাঁড়িয়ে গ্রামের মানুষ গ্রামের টাকা গ্রামের কাজে খরচ করবে।
    ব্রিটিশ প্রকল্পের টাকা শেষ হল, সেই চেষ্টারও ইতি হল। গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা যা শিখেছিলেন, ভুলে গেলেন। এত টাকা, এত সময়, মানবসম্পদে এত বিনিয়োগ, সবই জলে গেল। "

    এর দায় কার ? এরকম প্রোগ্রামকে সাসটেইন করানোর দায় কার ?

    ৫। এবার সাধারণ মানুষ ও এ দায় পুরো এড়াতে পারেন না কিন্তু। কারণ দায়টা অনেক সময় তাঁরা নিতেই চান না।
    "‘প্ল্যানিং’ মানে অনেক খুঁটিনাটি কাজ, অনেক কথাবার্তা, অনেক ঝক্কি। তার চাইতে গরিব মানুষ বরাবরই আস্থা রেখেছেন রাজনৈতিক দলে। আন্দোলন করে টাকার উৎসে, ক্ষমতার উৎসে চাপ দিয়ে নিয়ে আসতে হবে নিজের পাওনা। দল যদি কথা না শোনে, দল বদলে দিতে হবে।

    ৬। আর, দলগুলো কীকরে ?
    "মুশকিল হল, গরিবের কথায় কান না দিলেও নেতাদের চলে যায় দিব্যি। গ্রামের জন্য কিচ্ছুটি না করে বছর বছর ভোটে জিতে আসা যায়। রামপুরহাটের যে সংসদে সে দিন মিটিং চলছিল, তার সদস্য এই নিয়ে চার বার জিতে এসেছেন। এখনও তাঁতিপাড়ার দিকে রাস্তা কাঁচা, সে দিন সভাশেষে ঝড়বৃষ্টিতে গ্রামের পথ কাদার তাল হয়ে গেল। সন্ধ্যা নামতেই পিচ-কালো অন্ধকারে ডুবে গেল গোটা এলাকা। গ্রামে কেউ ‘সমবায়’ কী জিনিস জানেন না। বিরোধী নেতারা শাসক দলের কারচুপি ধরিয়ে দেবেন, সে গুড়েও বালি। তাঁরা হাত মেলান, নইলে থাকেন তক্কে তক্কে। গ্রামের মানুষ কপাল চাপড়ে বলেন, সব দলই এক। ‘পরিবর্তন’ আসার পর সেই দীর্ঘশ্বাস আরও গভীর হচ্ছে।"

    রাজনৈতিক দলগুলির তাহলে কোন দায়ই নেই ? এই দায় না নিলেও ভোটে জিতে আসা যাবে, তাই ?
    তাহলে গণতন্ত্রের এই ফেল মেরে যাবার দায় কার ?

    ৭। আর মজা হল, এর ফলে যে যার মতন আখের টুকুনি গোছাতে ব্যস্ত। ফলে ‘ফলে ‘সকলের উন্নয়ন হলে আমারও হবে,’ সে আশা ছেড়ে দিয়ে হাসিম শেখ, রামা কৈবর্তরা সকলের বরাদ্দ থেকে নিজের জন্য দু-চার আনা আদায় করার জন্য চক্কর কাটেন। আয়লার এলাকায় দেখা গিয়েছে, যার ঘর বাঁধের পাশেই, সে-ও বাঁধ থেকে বাঁশ চুরি করে নিয়ে আসছে ঘরে। ও বাঁধ তো হবে না, সবাই চুরি করবে। বাঁধ ভাঙবেই, আমার ঘরও আবার ভাসবে, তা হলে এই বেলা দুটো বাঁশ ছাড়ি কেন? ও পাচ্ছে, আমি বাদ যাই কেন? "

    বাস। আর দলগুলোকে চাপ দেবার দায় ও সেভাবে নেই।

    অনেক কিছুই বাদ গেল। কিছুই কাজ হচ্ছে না তা তো না। কিন্তু 'কাজের কাজ' কতটা হচ্ছে। কেন হচ্ছে না। পরে কিছু কিছু লিখবো। বাকিদেরও অনেক কিছু বলার থাকবে, তারা লিখুক।

    পাইয়ে দেবার রাজনীতি দিয়েই বা কতটা কী পাওয়া যায়, তাতে উন্নয়ন কতটা হয়, সেসবও আসুক।

    গুঃগঃ এলে তাও আসুক :P
  • শ্রাবণী | 134.124.86.27 | ১৩ জুলাই ২০১২ ১১:২০567738
  • এটা কিছুদিন আগে পড়ে ভালো লেগেছিল....যদি সত্যিই চায় সংশ্লিষ্ট সবাই তাহলে যা টাকা পাওয়া যায় তার অর্ধেকেই করা যায়, পঞ্চায়েত নাকি শুরু করেছিল পাঁচ বছর আগে পঁচিশ হাজার মূলধন নিয়ে!

    http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2012-05-20/ahmedabad/31788127_1_gujarat-village-indian-village-cctv-cameras

    পঞ্চায়েতে যে দুর্নীতি হয়, নয়ছয় হয় সেটা কিন্তু গ্রামের লোকেদের মোটামুটি জানা থাকে, গ্রামের ব্যাপারই এরকম, কোনো কিছুই লুকিয়ে সম্ভব নয়, এবং এক্ষেত্রে গ্রামের সাধারণ লোকেরাও যদি স্ট্যান্ড নেয়, রুখে দাঁড়ায় তাহলে অনেক কাজ হয় কিন্তু সমস্যা কেউই ওভাবে ভাবে না, গ্রামের ভালো বা সবার ভালো ইত্যাদি, কিছু চালাক লোকে দলে ভিড়ে রুটির ভাগ নেয়, কিছু ভাবে এই অজ জায়গায় কে থাকবে, যাই হোক করে এখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে, যারা অন্য দলে ভাবে আমাদেরও দিন আসবে, তখন রুটির ভাগ পাব (যা এখন হচ্ছে, দিন এসেছে)....বাকী রা গা এলিয়ে যা হচ্ছে হোক বলে বসে থাকে......তবে সত্যি কারের যদি করতে চায়, উদ্যোগ নেয় তাহলে করা সম্ভব....ঐ মেরে হঠিয়ে দিচ্ছে দাদারা, পুলিশ দিয়ে ইত্যাদি কিন্তু গ্রামে এত সহজ নয়, এটা বাহানা.....সেখানে সবার রুট থাকে, লোকবল থাকে, শহরের মত নয়...
  • tatin | 80.172.225.205 | ১৩ জুলাই ২০১২ ১২:৫৮567739
  • সমস্যা একটাই, মানুষকে দিয়ে বড্ড বেশি চাওয়ানো হচ্ছে। ফলে যারা চাইছে দায় তাদেরই। ভাল কিছু এমনিতেও হবে না, তাই পঞ্চার বাপ বা পরের ছেলে পরমানন্দ
  • fevi | 227.162.214.78 | ১৩ জুলাই ২০১২ ১৩:১৫567740
  • যেমন ৪০০ একর। ঠিক কিনা তাতিন?
  • tatin | 80.186.189.128 | ১৩ জুলাই ২০১২ ১৯:১২567741
  • উহুঁ, হাজার একরই
  • ekak | 24.96.108.75 | ১৩ জুলাই ২০১২ ১৯:২০567742
  • যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে সে হারে প্রদাক্তিভ জনসংখ্যা না বাড়লে চেঁচামেচি-কান্নাকাটি করে কি লাভ ?
    হারাধনের দশটি ছেলে কেও ফেলু কেও কুঁড়ে কেও ব্যবসা ভয় পায় বলে কেরানিগিরি করে কেও দেশের বাইরে । খাওয়াবে কদ্দিয়ে শুনি । এরপর আছে উত্পেতে পরশী আর মজুমদারের বঁড়সী । চাইলেই হবা ?
  • Madhumita | 134.125.59.184 | ১৩ জুলাই ২০১২ ২২:৪৪567744
  • 'সমস্ত দায় আমার। আমি দোষ স্বীকার করে akaর কাছে ক্ষমা চাইছি'
  • pandu | 108.222.53.71 | ১৪ জুলাই ২০১২ ০৪:৪৬567728
  • ছি! তোমাকে ভর্ত্সনা করি।
  • aka | 85.76.118.96 | ১৪ জুলাই ২০১২ ০৭:১১567729
  • কিছুই তো বুঝলাম না। ঃ( মানে পুরো ট্যান গেল, লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে কিছুতেই ধরতে পারলাম না।
  • a | 132.179.99.205 | ১৪ জুলাই ২০১২ ১১:২৯567730
  • যে নেবে তার ঃ)
  • pi | 82.83.79.41 | ১৯ জুলাই ২০১২ ১৯:১৪567731
  • শ্রাবণীদি, পঞ্চায়েতের ঐ দুর্নীতির বখড়া যারা এখন পাচ্ছে না, তাদের প্রতিবাদ না করার কারণ , ঐ আমাদের দিন আসবে তখন দেখা যাবে, একটা গা এলানো ভাব থেকে , নাকি ভয় থেকে ? যে, এই নিয়ে সরব হলে নানাভাবে বাঁশ আসবে ইত্যাদি।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.27 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১১:৪৪567733
  • পাই,
    যারা স্টাডি রিসার্চ ইত্যাদি করে মতামত দেয়, তাদের সিদ্ধান্ত ইত্যাদিত সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মত মালমশলা আমার নেই.....পুরোটাই ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা ও অনুভব.....:)
    তবে আমার ও আমার অনেক আত্মীয়স্বজন সবই পশ্চিমবঙ্গের হওয়ার দরুন এখনও গ্রামে শিকড় যেখানে, সেখানে যোগাযোগ ভালো......এইটুকুই!
    তুমি যেগুলো বললে সব কটা কারণই কিছু কিছু আছে, তবে সামহাউ গ্রামের রাজনীতি টা একটু জটিল, অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে, শুধু পার্টি পলিটিক্স দিয়ে আজ শহরে যা হচ্ছে তা দিয়ে গ্রামের ব্যাপারটা বোঝা যায়না।
    তবে এসবই সেই গ্রামের কথা যেখানে সবাই মোটামুটি অনেককালের আদি বাসিন্দা.......!

    গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবার যারা, অনেক জমি জায়গা ছিল, এখনো মোটামুটি আছে, এই দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর ধরে শাসক দলের আদ্যশ্রাদ্ধ করে এসেছে, জমি ভেস্ট করে নিয়েছে বলে, ছোটোলোকের দল সব মাথায় চড়ে বসেছে বলে......কিন্তু সেই অর্থে এদের বিরুদ্ধে কিছু করা হয়েছে দেখিনি, অর্থাৎ বাঁশ দিতে দেখিনি....
    ক্ষতি কিছু হয়নি তবে তারই মধ্যে ছুটছাট , ছেলেপিলেরা কেউ দলে ভিড়ে, চাকরি ইত্যাদি অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে গেছে......
    বাঁশ দেওয়া হয় সেইসব লোকেদের যারা আর্থিক বা সামাজিক অবস্থানে অসুবিধেয় আছে, এদের বাঁশ সব জমানায় সবাই দেয় বা দেওয়ার চেষ্টা করে....
    তা সে এরাও আগেও দেখেছি এখনও দেখছি হাওয়া বুঝে ঠিক দিকে চলে যায় বা ছেঁড়া রুটির টুকরোর ব্যবস্থা করে নেয়, নিজেদের জন্যে, প্রাণের দায়ে।
    এবার কিছু মাঝামাঝি লোক অন্য দলের বা কোনো দলেই নেই এমন, তারা কেউ প্রতিবাদ করে, তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এদের জনসমর্থন থাকেনা। কেউ কেউ আবার ঐ গা এলিয়ে থাকে।

    আমাদের পাশের গ্রাম ধর, পুরো গ্রামটাতেই আমাদের চাষীদের বাস, বংশানুক্রমে জমি চাষ করে এসেছে, বা অন্য কাজ কর্ম, করে এসেছে, মজুরের কাজ, বেশীরভাগই গরীব ছিল, মহিলারা লোকের বাড়িতে কাজ করত।
    পুরাকালে আমাদের এদিকে ওরা প্রজা বলে উল্লেখ হত, একটা স্কুল বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাবুদের তরফ থেকে, পরে সেই স্কুল সরকারী হয়। পুকুর প্রতিষ্ঠা, এইসব করা হত প্রজাদের সাহায্যার্থে।
    এমনকি আমাদের দূর্গা বিসর্জন (এরাই করত যদিও মন্দিরে ওঠার অনুমতি ছিলনা) করিয়ে সেই শোলার গয়না নিয়ে গিয়ে ওরা ওদের সম্বচ্ছরের একটি উৎসব, শীতলা পুজো করত।
    দিন বদলের পরে জানা গেল, ওরা খাতায় কলমে একটি আলাদা গ্রামের বাসিন্দা, পঞ্চায়েত হল ওদের মধ্যে একজন, তার পাকা বাড়ি হল ঠিকই, তবু ওদের মধ্যে অসন্তোষ বা দুর্নীতির অভিযোগ তেমন দেখিনি, আসলে সবাই তখন যা পেয়েছিল, নিজেদের জমি, আরো ফসল, একটার বেশী জলের পাম্প, তাদের কাছে তা আশাতীত ছিল..................এখন এদের পরের জেনারেশনে ছেলেপিলেরা লেখাপড়া করছে, শহরে গিয়ে পড়ছে, কাজ করছে (নতুন জেনের দেখি চাষবাসে অনীহা প্রচন্ড)...
    ইদানীং কিন্তু অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, আরো চাই.....
    তবে এখনও সেই চার পুরুষ আগের গাঁয়ের প্রধানের কথা বা তার পরিবার মাই বাপ!
    এবং গত বছরের আগের বছরের পুজোতে গিয়ে শুনলাম এরা পুরো গাঁ এখন অন্য দলে চলে গেছে, কোনো রেষারেষিতে নয়, হাওয়া দেখে, প্রধান তার সারা গ্রাম কে নিয়ে !
  • pi | 138.231.237.8 | ২৫ জুলাই ২০১২ ০৭:২৮567734
  • চাষে অনীহা কি মূলতঃ চাষ অলাভজনক হয়ে যাচ্ছে বলে ? নাকি শহরের আকর্ষণ ?
  • ranjna roy | 24.96.27.247 | ২৫ জুলাই ২০১২ ০৮:২৮567735
  • শ্রাবণী,
    অসাধারণ! একটি শান্ত গড়পড়তা নিস্তরঙ্গ গাঁয়ের ছবি চমৎকার এঁকেছ। সেই যেখানে কয়েকপুরুষ ধরে গোটা ষাট-সত্তরটি পরিবার মিলেমিশে-ছোটখাট ঝগড়াঝাঁটিতে- পূজোপার্বণে -সামাজিকতায় বাস করে আসছে। এমন একটি গড়পড়তা গাঁয়ের ধারণা থেকেই হয়ত মার্ক্সের এশিয়াটিক সোসাইটির কনসেপ্ট গড়ে উঠেছিল।
    তোমার বর্ণনায় যেন আমি ওদের দেখতে পেলাম।
    মহারাষ্ট্রে এবং ছত্তিশগড়েও চোখে পড়েছে ( বরং বেশির ভাগই) এমন গাঁ। তুমি এনটিপিসি'র চাকরিসূত্রে যেখানে ছিলে ( জমনীপালী) বা তার পাশের আগারখার, গোপালপুর, দর্রি, টাংগামার , ছুরি, ছোটকি ছুরি সবই ওইরকম গাঁ। বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের অভিঘাত বা এমন কোন বাহ্যিক ক্যাটালিস্ট ছাড়া এদের মধ্যে কোন পরিবর্তন হয় না।
    পাই,
    আজকের প্রজন্মের চাহিদা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক। কারণ ইন্ফর্মেশন ও কমিউনিকেশন বিপ্লব। ফলে ওদের শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বেশি। স্কুলের সংখ্যাও বেড়েছে। চাষের উৎপাদন মূল্য বাড়ায় ছোট ছোট জোতের কৃষি লাভজনক নয়। আর ক্যাশ ক্রপ করতে হলে বাড়তি পুঁজি চাই। ওদের বাপ-ঠাকুর্দারা যেমন সম্বৎসরের খাওয়ার খোরাকিটুকু হলেই মোটামুটি সন্তুষ্ট থাকত, তাতে ওদের পোষাবে না। সেখানে শহরের জীবন অনেক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সাফল্যের সম্ভাবনা দেখায়।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ২৫ জুলাই ২০১২ ০৯:২৫567736
  • অন্য প্রদেশের কথা জানি না পঃবঃতে কৃষি অলাভজনক হয়ে গেছে। এমনিতেই জনসংখ্যার কারনে জমি উপর চিরকালই চাপ বেশী। অপারেশন বর্গা, বর্গাদারদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, কিন্তু তাতে উৎপাদনের কোন হেরফের হয়নি। সেটা করা যেতো কৃষিতে সমবায় করে। তাতে ক্যাশ ক্রপ ছাড়াই গ্রামে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার একটা জায়গা তৈরী করা যেতো। সেটা তো হোলোই না।
    অবশ্য এতে নতুন প্রজন্ম কতটা চাষে আগ্রহী হতো তা জানি না। টিভি নতুন প্রজন্মকে শহরের স্বপ্ন দেখিয়েছে। তাদের গ্রামে আটকে রাখা যেতো না হয়তো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন