এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • Y2K বা সেক্স ক্রমে আসিতেছে

    r
    সিনেমা | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ | ৩৭৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 72.207.211.44 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:৪৭563649
  • তাছাড়া, সেন্সর বোর্ড নিয়ে আর কিছুই বলছিনা, কারণ আমরা বেড়েখানকিদের বেড়েখানকি বলি না।
  • a | 220.226.7.183 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২১:১৮563650
  • তাতিন তোমার নামটা তাতিন হল কেন?
  • Somnath | 59.93.254.101 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:১৩563651
  • দ্রি এর সাথে কয়েকটা জায়গায় দ্বিমত রাখছি, সেগুলো লিখে ফেলি।

    শ্রীলেখা (নীলা) র সীনটায় আমার ইন্টারপ্রিটেশনে কোথাও মনে হয় নি চঞ্চল ভুল জায়গায় প্রেম নিবেদন করছে বলে সিম্প্যাথেসাইজড হয়েছে, বা নীলা কে ক্রিটিসাইজ করার কোনো ইঙ্গিত আছে। বরং ঠিক উল্টো। প্রথম সীনেই যখন থেকে চঞ্চল ফোনে প্রেম নিবেদন করতে থাকে পরের পর মেয়েদের, পকেট থেকে কাগজ বের করে, চোথা দেখে রিডিং পড়ে,ই তখন থেকে সে সমস্ত বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় ও আতাক্যালানে, সেক্সস্টার্ভড, সিউডো ইন্টালেকচুয়াল, সেন্সর সেনগুপ্ত হয়ে ওঠার পথ পরিষ্কার করে। যেখানে গার্গী ওকে পরীক্ষা আছে বলে কাটিয়ে দিচ্ছে, নীলা নিজেকে "ডাইনি" বলে কাটিয়ে দিচ্ছে, নমিতা চঞ্চলকে জাস্ট পাত্তা না দিয়ে ওর সামনেই ভুতোকে চুমু খাচ্ছে, প্রীতি চুমু অবধি অনেক চেষ্টা চরিত্র করে গিয়েও শেষ মেশ বিরক্তি নিয়ে কাটানোর যুক্তি দেয় "শ্যাম্পু করতে হবে", কারণ নাকি মশা হয়েছে খুব (!! ) , আর শেষে, এমনকি লীনাও যেখানে "তোমার কোনো আবদার ই অন্যায় নয়" অবধি এগোনো র পরে রিপ্লাই পায় - "তবে একগ্লাস জল এনে দাও" --- আমরা বুঝতে পারি মালটার কিচ্ছু হবার নেই। প্রভূত সেক্স স্টার্ভেশন ও বিন্দুমত্র সাহসের , সততার অভাবে চঞ্চল ক্রমশ: অসহ্য হতে থাকে। যতগুলো মেয়ের সাথে সে যোগাযোগ করে তাদের কাছে তো বটেই, আমাদের, দর্শকদের কাছে, এমনকি , যেমন দেখা যায় ভগবানের কাছেও। কিংবা ওকে অমন ছাড়া গরুর মত রাখা যায় না আর, কারণ চঞ্চলের দিক থেকে দেখলে সে ও তো ক্রমশ দেওয়ালে ঠেকতে চলেছে। সে সামনে দেখছে ভুতোর মত ঈর্ষণীয় ইয়ে, যাকে তাচ্ছিল্য করলে বা যাকে নিয়ে হাসাহাসি করলেও আরাধ্য আসন থেকে নড়ানো কষ্টকর। দেখছে হীরুর মত সেন্টার অফ অ্যাট্রাকশন ইয়ে, যার কনসেপ্ট ক্লিয়ার, ডিজায়ার সৎ, বন্ধু ও চ্যালাবেষ্টিত অকুণ্ঠ ফুর্তিমোচ্ছব। এই প্রচণ্ড খুশি ও সুখি বাওয়ালদের ভিড়ের থেকে থকথকে ফ্রাসটেশনে একলা হতে থাকা চঞ্চলের, বা হয়তো হিরণেরও, বা হয়ত প্রফুল্লেরও অন্ধ হয়ে যাওয়া - "আশির্বাদ না অভিশাপ", কে ঠিক করবে? কার বাপ? ভগবান, দ্বিজেন, এই প্রশ্ন, যাদিও হিরণকে করেন, শেষতক তবু সেই কোশ্চেনমার্ক স্ট্যাণ্ডিং থেকে যায়।

    সেদিক থেকে ভুতো বা হীরু ও তাদের ডাবলস্ট্যাণ্ডার্ডহীনতা সম্পর্কিত দ্রির পুরো বক্তব্য ও ২২ তারিখের ১ ট ৫৭ র পুরো পোস্টটাকে ডিটো দেবো। দুটো জায়গা বাদে।

    ১। ইচ্ছে করলেই তিন মিনিটে যেকোনো মেয়ে তুলে ফেলতে পারি - এই ভাবনাটাকে গ্লোরিফাই করার ব্যপারে আমার মনে হয়েছে - ডায়লগটা ভুতোর ইমেজ প্রোজেকশন - বন্ধুদের কাছে, কিন্তু প্রতি মুহুর্তে প্রতিটি মহিলার কাছে সে আলাদা আলাদা ভাবে সৎ। সিডাকশনের যে ধারাপাত তার রচনা, তাতে সামনের মহিলাটিকে পূর্ণ সম্মান দেওয়া আছে, তাদের প্রত্যেককে ইন্ডিভিজুয়ালি স্টাডি করে তাদের জন্যে কমপ্লিমেন্টগুলোকে কাস্টমাইজড করে নেওয়া আছে। সামনের মহিলাটিকে সে মুগ্‌ধ করছে, তার পূর্ণ সম্মতিতে সে সেক্স করছে, তাকে তৃপ্ত করছে। কোনো গায়ে পড়া, বাধ্য করা, অযাচিত আক্রমণ নেই। তিন মিনিটে তুলে নিলাম বলে সে বন্ধুদের চাপ দেয়, ঈর্ষান্বিত করে, কিন্তু সামনের মহিলাটির প্রতি কোনো অ্যারোগেন্স বা অপমান তৈরি হতে দেয় না। এই অ্যাপ্রোচটার গ্লোরিফিকেশনকে আমি সমর্থন করব। এই অ্যাটিচুডটাকে ডিফেণ্ড করা হয়েছে বললে আমি মেনে নেবো। "যে কোনো পানুবতী স্রেফ তিন মিনিট -ঢিচ্যাঁও" এই কেত কে নয়।

    ২। ডিরেক্টর নীলার প্রতি সিম্প্যাথেটিক নয়, বা শুধুমাত্র ম্যচিজমোর জয়গান গাওয়া হয়েছে বললেও আমার আপত্তি থাকছে। এটা আমি মানছি না। আমার উল্টোই মনে হয়েছে। সিনেমাটিতে যে কজন মহিলাকে দেখানো হয়েছে, বরং তারা সবাই নিজের নিজের ডিজায়ার প্রসঙ্গে সৎ, স্বচ্ছ ও স্ট্রেটফরোয়ার্ড। ঠিক যে জিনিসটাকে নারীবাদীরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, এই সিনেমায় প্রতিটি নারী চরিত্রই কোনো অবদননের শিকার না হয়ে সোজা কথা সোজা ভাবে বলেছে।

    প্রথম গার্গী, যে সোজা ভাষায় বলে সেই মুহুর্তে তার ফার্স্ট প্রায়োরিটি পরীক্ষা। তিনটে বাক্যে সে তিনবার ""না"" বলে, এবং সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব ও দৃঢ়তা সহযোগেই বলে। তারপর নমিতা, যখন বলে "দু মিনিট বল্লে না কেন", সেও যথেষ্ট সৎ ও ক্লিয়ার তার স্যাটিসফ্যাকশনের বয়ানে ও ডিজায়ারের স্বীকারোক্তিতে, এমনকি চঞ্চলের সামনেও। নীলা তো আরো স্পষ্ট, যখন সে জোরে ভুতোর মুখ নিচের দিকে ঠেলে দেয়। সে চঞ্চলের ক্যালানেপনাকে রিজেক্ট করে ও ভুতোকে গ্রহণ করে। স্বেচ্ছায় করে, কোনো বাইরের প্রেশার বা কনফিউশন ছাড়াই করে। তার অথরিটিকে, ডিসিশনকে ডাইরেক্টর শ্রদ্ধা দেখান ও সমর্থন করেন বলেই মনে হয় এখানে। প্রীতি চঞ্চলকে যতটা প্রশ্রয় দেয়, তাকে যতটা এগোতে দেয়, সেটা যেমন স্বেচ্ছায়; চঞ্চলের ক্যাপা-র শেষতক যাওয়ার জন্যে যে স্পেস দেয়, ও শেষে বিরক্ত হয় চুমু খাওয়ার "কম্পিটিশন সাকসেস" টিপস দেয় ও রিজেক্ট করে সেটাও স্বেচ্ছায়। এখানে ম্যাচিজমো কোথায়? এ তো পুরোটাই বোল্ড অ্যাণ্ড আণ্ডারলাইনে ফেমিনিজম। নারীর ক্ষমতায়নের আন-অ্যামবিগুয়াস স্টেটমেন্ট। "এবার এসো, আমার মাথায় একটু শ্যাম্পু করতে হবে, খুব মশা হয়েছে" এই লাইনটাকে আমি একজন মেয়ের এমপাওয়ারমেন্টের লাস্ট সেনটেন্স বলতে টেম্পটেড হচ্ছি।
    এমনকি নমিতার মা, যখন নমিতার সামনে নমিতার প্রশ্নের ("মা চা কফি কিছু ..." ) উত্তরে "" হাত নেড়ে জানান "না", অর্থাৎ "এখন ওসব হবে না" "", যখন মেয়ে ঘরে ঢুকে ও তিনি মেয়ের বন্ধুর সাথে চুম্বন ও আলিঙ্গনাবদ্ধ খাটে পড়ে, একে কি বলবেন? নারীর ডিজায়ার কে সম্মান জানানো নয়? বিশেষত: যখন নমিতা এর পরেও ভাবলেশহীন আয়নায় চুল ঠিক করে বেরিয়ে যায় ! পুরুষতান্ত্রিক সমাজনির্দেশিত মরালিটির দ্বারোয়ান বিহীন নিজের ইচ্ছে ও চাহিদাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া - একে নারীমুক্তি আন্দোলনের ম্যানিফেস্টোর সাথে মেলানো যাচ্ছে না?
    আমি তো বলব লীনা, হ্যাঁ লীনাও যখন বলে, হ্যাঁ যা বলবে তাই, বা তোমার কোনো আব্দারই অন্যায় নয়, বলো না, আর উন্মুখ থাকে সেই চুম্বনটির জন্যে, আর জল আনার বরাত পেয়ে অভিমানবশে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়িয়ে বলতে পারে "এই বুঝি!" এই বলতে পারাটার মধ্যে দিয়েই চঞ্চলের চেয়ে বশি সিম্প্যাথেটিক অন্তত ডিরেক্টরের কাছে। কারণ চঞ্চলের তো সেটুকুও স্পষ্ট বলার সাহস হল না, প্রায় নিবেদিত মেয়েটিকে একটা পবিত্র চুম্বন ও সে দিয়ে উঠেতে পারল না - না জানি কি কনফিউশনে, দ্বিধায় দ্বন্দ্বে, ন্যাকামোয়, ক্যালানেপনায়। তার কৃতকর্মে কোনো মহত্ব আরোপ তো চোখে পড়ল না আমার, অন্তত ডাইরেক্টরের তরফ থেকে। বরং আওয়াজ চোখে পড়ল, খোরাক করা, আওয়াজ দেওয়া আর হ্যাটা দেওয়া চোখে পড়ল। চোখে পড়ল এইসব চারিত্রিক দুর্বলতা গুলো আঙুল দেগে দেগে দেখিয়ে শেষপর্যন্ত পরিচালক ভগবানের হাত দিয়ে চঞ্চলকে রিজেক্ট করলেন। তার শেষ হাহাকারটাও তাই মেঘে ঢাকা তারার আর্তনাদের প্যারোডি, প্যারোডি বলেই এবং ,হাস্যকর। খোরাক তার জীবনে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার প্রশ্নে কাজলের মুখ ভেসে ওঠার সাথে সাথেও, যখন দাঁড়িয়ে গেল তার এই এতগুলো প্রেমপ্রচেষ্টা সবই জালি, মিথ্যা, ভণ্ড। শেষতম সহানুভুতিটুকুও চঞ্চল হারিয়ে ফেলে এই মুহুর্তে, আমার থেকে। সিনেমাটির দর্শকের থেকে। তাই, বেদনা, ট্রাজেডি না আমার সেরকম মনে হল না। একটু ম্লান হলাম ঠিকই, যতটুকু দারুন হ্যাপি এণ্ডিং না হলে মানুষ হয় আর কি।।
  • tan | 131.95.219.102 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৩:৫৮563652
  • স্যা স্যা স্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা,য্যামন সিনেমা তেমনি তার দর্শক!আবার তার ত্যামন বখা ব্যখ্যা!
    হি হি হি হি ।

  • tania | 76.247.107.162 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৩:০৭563653
  • ট্যান, তোমার লাস্ট কমেন্টটা ভাল লাগল না, বিশেষ করে তুমি যখন সিনেমাটা দেখনি এবং স্ক্রিপ্টও পড়নি।

    সিনেমাটা আমারও হজম হয়নি। কিন্তু, আমার অপছন্দ হলেই সেটা খারাপ বা আমার মতের বিপরীত হলেই সেটা বখাটে, এটা আর যেখানে চলে চলুক, গুরুতে দেখতে কষ্ট হয়, তাই বললাম, কিছু মনে কোরনা।
  • tan | 131.95.219.104 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৩:৪০563654
  • হ্যাঁ, তাতো অবশ্যই। সব মতের জন্য দরজা খোলা বলেই তো এটা এত আদরের জায়গা আমাদের।
    আমি আমার মতটুকু জানিয়েছি,একটি (অ)সিনেমার এইসব আলোচনা দেখে, আমার কাছে বখা বলে মনে হয়েছে বলে সেটা বলেছি, অন্য কারুর কাছে আদরণীয় হতেই পারে।
    ঠিক বোঝা যায় নি কি তা? হয়তো আমার বক্তব্যে জিনিসটা পরিষ্কার হয় নি। এখন তবে আবার বলি আলোচনাগুলো বখাটে লাগছে(ব্যক্তিগত মত),তাতে বিরোধীপক্ষের বিচলিত হবার কারণ নেই।
    প্রাসঙ্গিক আরেকটা কথা বলে যাই, সব মতের পন্থীদের সমান জায়্‌গা দেবার তন্ত্র হলে অবশ্য ভিন্নরুচির(তথাকথিত ভদ্ররুচির) লোকেদের ও জায়গা দেবার কথা। আজকাল দেখি খারাপ জিনিসকে বিকৃত যৌনতাকে বখাটেমিকে গ্লোরিফাই করে উঁচুতে তোলা আর যেকোনো ভদ্রতাকে ভন্ডামি ও হিপোক্রিসি বলে নালিফাই করে দেবার একটা সূক্ষ্ম প্রবণতা প্রায় সর্বত্র। এটাও একধরনের অ্যান্টিভিক্টোরিয় জোরজবরদস্তি বলেই ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়। তথাকথিত ভদ্রতাকে জোর করে গেলানো যদি নিন্দার্হ হয়, তবে জোরকরে কুৎসিত জিনিস গেলানো ও নিন্দার্হ হবে না কেন?
  • ranjan roy | 122.168.72.246 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:২২563655
  • Tan8,
    তোমার লাস্ট প্যারাকে সর্বান্তকরণে ডিটো দিলাম।
  • Blank | 203.99.212.224 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৩:২৩563656
  • দ্রি আর সোমনাথের লেখা পড়ে বেশ মজা পাচ্ছি। দ্রি র কিছু কিছু জিনিস পছন্দ হয় নি, আর সোমনাথ সেগুলো কে যুক্তি দিয়ে পছন্দ করিয়েই ছারবে :)
  • Somnath | 59.160.220.131 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:০৬563657
  • পছন্দ করানো, ভাষান্তরে গেলানো - কোনো বিশেষণেই প্রোভোকিত হচ্ছি না।

    কারো কারো কিছু কিছু জিনিস ভালো লাগেনি। আমার আবার সেই সেই জিনিসগুলোই হয়তো খারাপ লাগেনি। তো, আমার কেন খারাপ লাগেনি, বা ঐ সব জিনিসগুলো দেখে আমার ইন্টারপ্রিটেশন কি সেইসব লিখছিলাম।

    যেমন নামটা। কমলকুমার মজুমদারের অন্তর্জলি যাত্রা র প্রথম লাইন "আলো ক্রমে আসিতেছে"। ধ্রুবক লাইন। আমার দাবি নামটা সেখান থেকে প্যারোডি করা। এমনকি মাঝে একবার ভুতো চঞ্চলকে বলেও যে, "কি রে কমলকুমার, কমলিকুমারী জুটল?"

    রানা এসএমএস করে যে কারণটা বলল, সেটাই মোটামুটি দ্রি বলেছেন - " ল্যাও গুলো সব অন্ধ হয়ে গেল, কিন্তু বাওয়াল গুলো সব বহাল তবিয়তে রইল। অর্থাৎ সেক্স ক্রমে আসিতেছে।"

    এই দিক থেকে দেখলে সোডোম ও গোমোরা-র রেফারেন্সটা বিশেষ ইম্পর্ট্যান্ট। "সোডোমে সোডোমি চলিত ও গোমোরায় সকলে গোমড়া হইয়া থাকিত। উভয়ই বেঁচে থাকার পরিপন্থী। তাই, ঈশ্বর উহাদের শাস্তি দিলেন।" "আলোকহীন অগ্নিতে প্রজ্জলিত হও, উজ্জল অন্ধকারে পল্লবিত হও, তবে ঠেলা বুঝিবে" এই ভাবে অন্ধ করে দেওয়াটা জাস্টিফাই করা হল। ইন্টারেস্টিং নয়?

    শিলাজিতের মুখের গোটা ডায়ালগটাই একটা জাস্টিফিকেশন বা চ্যালেঞ্জ টু সেন্সরশিপ - এই সিনেমাটা বানানোর, মোটামুটি। "ফেলিনি করলে কাউন্টার কালচার, আর আমি করলে ভালগারিটি?"
  • Arijit | 128.240.229.3 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:০৯563555
  • প্যারডি মানেই মজার কিনা সেটা ভাবার বিষয়। ভালো প্যারডি মজার অবশ্যই, আবার অনেক শস্তা দরের প্যারডিও হয়। পসন্দ আপনা আপনা;-)
  • tan | 131.95.121.132 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২১:৩১563556
  • স্রেফ চড় দিয়ে চাপার দাঁতগুলো ফেলে দিতে হয় এইধরনের অম্বুলেগোছের হ্যাহ্যা পার্টিদের! ঝাড় খেতে খেতে বখাটে বনে গিয়ে নাচাগানার দল খুললেই যদি বিখ্যাত হাওয়া যেত, তাইলে তো হয়েই যেত।
  • Du | 67.111.229.98 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:২০563557
  • চঞ্চলের মধ্যে সত্যি অভাব ছিল যেটার সেটা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস।
    সেটা ভুতোগিরি করার আত্মবিশ্বাস শুধু নয়,
    আত্মবিশ্বাস, 'মানে, মানে' না করে বলিষ্ঠ কন্ঠে বলার যে হ্যাঁ , তুমি করলে অবশ্যই ভালগারিটি বলে আমি মনে করি কারণ তুমি নিজেও মনে মনে ওগুলোকে সাপোর্ট করো না। করো কি না সেটা পরখ করে দেখে নিতে পারো ( না নিজেকে রিসিভিং পজিশনেও বসাতে হবে না) শুধু ভুতোর সঙ্গীদের জায়গায় নিজের প্রিয়জন (ঐ ঐ বয়সের) দের বসিয়ে ভাবার চেষ্টা করো যে বাহবা দিতে ইচ্ছে করে কিনা ?
    কাউন্টার কালচার করার জন্যও একটা অনেস্টি বা কমিটমেন্টের প্রয়োজন আছে বোধহয়।

    এ ছবিকে একটা 'এও আছে' জায়গা অবশ্যই দেওয়া উচিত, কিন্তু কাউন্টার ঈশপের ফেবল উইথ নীতিকথা না বানানোর পক্ষেই থাকবো।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৩৯563558
  • নিজের ও চারপাশের রুচি, দৃষ্টিভঙ্গী, মতামত এইসবের পরিবর্তন নিয়ে ভাবি মাঝে মধ্যে, গুরুর পাতার পুরনো আলোচনা বেশ ভালো ইন্ধন দেয়। তো কিছু অন্য জিনিস খুঅঁজতে গিয়ে এই টইটা চোখে পড়লো।

    আমার নিজের যদিও চন্দ্রবিন্দু সম্পর্কে মতামত ২০০৮ এর পর থেকে, বা সেই নব্বইয়ের শেষ থেকেই পাল্টায়নি (ভালো লাগা মুগ্ধতা ইত্যাদি আরকি, যদিও অনেক গান পচা লাগে, অনেক লেখা অপাঠ্য লাগে, তবুও), আর আমি সিনেমাটাও দেখিনি, শুধু স্ক্রিপ্টই পড়েছি, তাও তুলে দিলাম। যাঁরা দেখেছেন তাঁরা এতদিন পর এটাকে আলোচনার যোগ্য মনে করেন কিনা সেটাও জানিনা যদিও। আজকাল নৈতিকতা, জনগণেশ, যুবসমাজ এইসব নিয়ে আলোচনা বেশী হচ্ছে সেটাও হয়তো আমাকে একটু উৎসাহিত করলো
  • debu | 180.213.132.253 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:৩৬563559
  • film টা তো অসকার জন্য নমিনেট হয়েছে !@#$%^&*
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৩:১৯563560
  • @Somnath
    অবধি এগোনো র পরে রিপ্লাই পায় - "তবে একগ্লাস জল এনে দাও"

    এই একগ্লাস জল এনে দাও-এর মধ্যে সেক্স সাম্যবাদী সমাজে একগ্লাস জল খাওয়ার মতন-ই সহজ, এরকম আলোচনা ঢুকে আছে মনে হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন