এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তথাকথিত শ্লীল কবিতাগুচ্ছ

    Sam
    অন্যান্য | ০৯ জুন ২০১২ | ৮২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sam | 127.192.228.97 | ০৯ জুন ২০১২ ১৯:২৭548494
  • একক দা র পরীক্ষা নিরীক্ষা মাথায় রেখে পাঠকের মাথা চিবিয়ে খাওয়ার জন্যে ফাঁদ পাতলাম।
  • Sam | 127.192.228.97 | ০৯ জুন ২০১২ ১৯:২৮548505
  • পাথর থেকে পাথরে হয় ঘোরা,
    দিগন্ত আজ আষার মাসের মত,
    রঙের মাঝে হালকা তুলি র হাসি-
    দীপান্বিতা, শ্যাওলা সবুজ সাজো.

    বিস্ফোরণের আগে ই পাথরকুচি-
    ওড়ার সময় ভিজিয়ে দেবে চুল,
    নরম গায়ে ক্লেদাক্ত সংক্রমণ-
    আমার প্রেমের ভুল.
    দীপান্বিতা, সবুজ হতে পারো.

    পাথর থেকে পাথর ভেঙ্গে পড়ে,
    রঙিন কাঁচে সেপিয়া সংবেদ-
    শরীর যেন শরীর ছোঁয়া মাটি,
    অপর্যাপ্ত খেদ,
    দীপান্বিতা, সবুজ তো নও তুমি.

    দীপান্বিতা সবুজ কাঁচে আঁকা-
    দীপান্বিতা নরম সংকেত -
    দীপান্বিতা তীক্ষ্ণ নিবিড় তারা-
    সোনালী ধানক্ষেত-
    সবুজ থেকে সবুজ হবে কবে?
  • Sam | 127.192.228.97 | ০৯ জুন ২০১২ ১৯:৩২548512
  • রাতের বেলা আমার ঘরে একটি পেঁয়াজ-
    গোল চাকারা ঘুরতে ঘুরতে ফুরিয়ে যাবে,
    তোমার গলায় তানপুরাতে মিষ্টি রেয়াজ-
    গরম তেলে নরম ধুলো মুড়িয়ে নেবে.

    রাতের বেলা একটি ঘরে নগ্ন পেঁয়াজ-
    তোমায় ভেবে কলতলাতে কাপড় কাচি,
    দিনের শেষে হুতুম প্যাঁচার নকশাবাজি-
    বিড়াল আলোর আস্কারাতে পালিয়ে বাঁচি.

    গভীর রাতে বাড়ির ছাতে নীলচে পেঁয়াজ-
    পেঁয়াজ তুমি প্রেমিক হবে দিনের আলোয়?
    সেদিন আমার রাজার মত ফর্সা মেজাজ-
    আজ দুচোখে জল জমেছে ভালোয় ভালোয়.
  • Sam | 127.192.228.97 | ১০ জুন ২০১২ ০০:৩৮548513
  • যেমন করে নেমেছে নদী- সরু হয়ে উপত্যকায়,
    তেমন রক্ত নামে যদি- অযাচিত শিল্পের গায়?
    বিপ্লব তখন সাবেকি-
    ধুলো হয়ে যাবে শ্যাম্পেন,
    লাশকাটা ঘরে পড়ে আছে - নগ্নিকা বনলতা সেন .
  • aranya | 78.38.243.161 | ১০ জুন ২০১২ ০৬:৪২548514
  • এই তিনটে সো-সো লাগল। আরও কিছু পড়ুক পাতে।
  • sam | 127.216.202.226 | ১০ জুন ২০১২ ১৩:০৩548515
  • সুতরাং এখানে ই সকলের মত শুয়ে থাকো .
    ধীর বাতাসের থেকে অনেকটা দূর দিয়ে যখন জংলি শব্দের আনাগোনা -
    শুকনো পাতার অন্তরালে নুয়ে পড়া কবিতা কে স্পর্শ করে না। তার পাশে -
    সোচ্চার শব্দরূপ বাস্তবিকতার জলাশয় থেকে শ্যাওলা র তৃষ্ণা ভরে আনে।
    আমাদের ধুসরতা বই থেকে বই এ চলে যায়-
    ফিরে আসা কোনো পরিযায়ী প্রেম থেকে ধার করে নিই উষ্ণতা।
    এখানে শোয়ার গন্ধ নাকে লেগে থাকে-
    এখানে বুকপকেটের প্রেম ঘাম মাখে-
    এখানে কলমের অনুভূতি আনাগোনা করে-
    আমাদের বাক্যেরা ঘুম থেকে ঘুমে চলে যায়।
    বসন্তের সাদাকালো স্বপ্ন কখনো নির্মোক খুলে দিলে-
    আগ্রহের সাথে তুলে নিও স্বেদবিন্দু, যার উত্স পান্ডুলিপি, কাম।
    দলছুট শরীরের থেকে বেছে নাও সন্দিগ্ধ প্রেম।
    তারপর এখানে ই সকলের মত শুয়ে থাকো.
  • Sam | 127.192.244.184 | ১৩ জুন ২০১২ ২১:৪৪548516
  • দরজারা জেগে থাকে রাতভোর,
    হয়ত সোনালী বার্নিশে, হয়ত মায়াবী কার্নিশে-
    কোনো ভালবাসা বসে থাকে কাক হয়ে.
    সন্তর্পনে চৌমাথা মোড়-
    ভিজে যায় বাস্তবে, বুকে মাথা রেখে শোবে-
    জানলারা, পৌষালি গন্ধের অব্যয়ে.
    পাহাড়ের সানুদেশে কুয়াশা কখনো জমে থাকে,
    লন্ঠন জ্বলে আর স্নায়ুর অতলে থাকে মেঘ.
    হাইওয়ে জমে যাবে কম্পাঙ্কের মত-
    যেভাবে আঁচড়ে দিয়েছিলে কোনো উদ্বায়ী ক্ষত-
    মহালয়া রাত্তিরে.
    ছাদে বসে তারাগোনা, বাতাসের আনাগোনা-
    সবকিছু ছেড়ে চলে যাব যদি দরজা বানাও.
    তখন ও মনন জুড়ে কুয়াশা, মায়াবী কার্নিশ-
    কোনো ব্যথা বসে থাক কাক হয়ে.
    জলে ভেজা চোখের উপত্যকা-
    জমে যাবে চৌমাথা মোড়ে-
    বুকে মাথা রেখে শোবে আবার কখনো মহালয়া.
    ক্ষতগুলো সেরে যাবে, উষ্ণতা হেরে যাবে-
    দরজায় জমবে কুয়াশা.
  • নামদেও ধাসাড়, দলিত কবি | 130.60.44.50 | ১৬ জুন ২০১২ ১২:১৯548517
  • একটা শার্টের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা
    ( 'গান্ডু বাগাইচা' কাব্যগ্রন্হ থেকে )

    যন্ত্রণাদায়ক এক সঙ্গম-খেলার পর
    পরম্পরার বাগানটাকে ত্যাগ করা যাক
    ইভ-এর ষৌনতার বদল ঘটানো যাক।
    অ্যাডামকে পোয়াতি করে ফেলা যাক।
    জান্তব উদ্বেগ থেকে বেরিয়ে পড়া যাক
    গুলজার নরকে
    চাঁদ তো ভেড়ুয়ার ভূমিকায়
    মানবসম্পর্কের ইতিহাসে ।
    যৌন আবেগের ষাঁড়টার অরগ্যাজম ঘটুক
    কোনো এক ধ্বসেপড়া ঢিবির ওপর।
    আমরা ভাসছি ডুবন্ত জাহাজে
    আর পালটে যাচ্ছি বুনো জন্তুতে।
    আমাদের জিভেতে জ্বলছে লবঙ্গফুল
    আর আমরা আলোকে ভয় পাচ্ছি ।
    এইভাবেই মানুষকে শাস্তি দ্যায় স্বাধীনতা ।
    মানুষের কলঙ্কহীন হওয়া উচিত নয়
    শার্টে নোংরা লেগে থাকা দরকার ।
    নিজের গায়ে অন্তত একচিলতে ময়লা থাকা উচিত।
  • Sam | 127.192.244.3 | ১৬ জুন ২০১২ ১৬:০৪548518
  • এইটা গুরুপাক এ দিন।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.247.129 | ১৭ জুন ২০১২ ০২:৪২548495
  • ধাসাড় না, ধাসাল।.
  • ranjan roy | 24.99.125.40 | ১৭ জুন ২০১২ ০৫:৪১548496
  • হ্যাঁ, মরাঠি সাহিত্যের দলিত শাখাটির অগ্রগণ্য কবি--- নামদেও ধসাল। দলিত সাহিত্যের আগ্রহী পাঠকেরা আরেকজন অগ্রণী লেখক অর্জুন দামলের সংকলিত "poisoned bread" পড়ে দেখতে পারেন। গল্প-কবিতা-স্মৃতিকথার প্রতিনিধি সংকলন।
  • নামদেও ধাসাড় | 130.60.39.108 | ১৭ জুন ২০১২ ১১:১১548497
  • মরাঠি ভাষায় একটি বাড়তি 'ল' আছে যার উচ্চারণ 'ল' এবং 'ড়' এর মাঝামাঝি । তাই ধসাল নয় ; ধাসাড় ।
  • ranjan roy | 24.99.7.211 | ১৭ জুন ২০১২ ২০:৪৯548498
  • ভেরিফাই করলাম, আপনিই ঠিক!
  • cb | 126.89.121.11 | ১৭ জুন ২০১২ ২১:০০548499
  • আরে কি অদ্ভুত, নিজের নামের বানান জানবে না? এ কখনো হয় নাকি :P
  • ranjan roy | 24.99.56.99 | ১৭ জুন ২০১২ ২৩:০৪548500
  • অয়! অয়! Zআন্তি পারো না! উনি আসলি নামদেও ধসাড় নাকি?
  • অরুণেশ ঘোষ | 130.60.4.86 | ১৮ জুন ২০১২ ১২:৪৪548501
  • স্বপ্ন শোকগাথা
    ...................
    বয়স্কের হাড়ে
    লোলচর্ম বৃদ্ধের ভেতরে
    কালকের সেই সব দ্রোহী বালিকারা
    আজকের এই সব ন্যাংটো স্রোতধারা
    যে কুয়াশা ঢুকে গেছে
    যে শীতের বাতাস গিয়ে কামড়ে ধরেছে
    তারই সাথে যুদ্ধ করে -- করে করে --- ঝরে পড়ে লালা
    তরল, আঠালো, তিক্ত -- তীব্র জ্বালা, তবু সে তো বহমান ধারা

    যদি কোনও অর্থ হয় --- সেই অর্থ লুপ্ত-হওয়া হোগলা বন
    ফের এও বলা যায় -- ছুটে গিয়ে পান করি মুগ্ধ মৃত্যুস্তন
    আমরা তো জেনেও জানি না
    বৃদ্ধ ও বালিকা
    আগুনের স্ত্রী
    ক্ষুধার নিবৃত্তি
    তারই পৌরুষজাত শিখা
    কে কার ঔরসজাত -- জেনে নিয়ে, ছিন্ন হয়ে একা !
    সে আগুন নিভু-নিভু আজ
    ফুঁ দিয়ে উসকে দ্যায় উষ্ণতর হাত
    কোন এক অবোধ জঘন
    মোম হয়ে গলে-গলে পোড়ে আদি নগ্নটুকু
    আত্মা -- দুটি স্তন
    মুঠো করে ধরতেই আঠালো উদ্বেগ
    উচ্ছ্রিত করবে তারা, করবেই, জেদ আর হাঁটু পেতে বসে
    মুখে পুরে নিয়ে হোক --- কিংবা বুকে ঘসে
  • Sam | 127.192.224.131 | ২২ জুন ২০১২ ২০:৪৯548502
  • দিনের আলোয় মদন কটকটি,
    রাত্রিবেলা বেশ্যা হবে চাঁদ,
    লাল আলোতে ভেসেছে ভটভটি,
    ব্রেসিয়ারে আটকে প্রতিবাদ.

    পতিতপাবন শ্রাবন নিয়ে খেলা,
    ড্রেনের জলে নৌকাতে কনডম,
    মধ্যরাতের চাটনি গেছে ফেলা,
    দুধ্সাযরে প্রমত্ত সঙ্গম.

    ঠিক বিকেলে কি খেলে তা মিছে,
    শকুন থেকে শকুন ঘোরাঘুরি,
    প্রেমিক পুরুষ আটকে আছে পিছে,
    হিসেব করে লাগবে পুরোপুরি.

    চাঁদ খুলেছে পরনে নাকছাবি,
    তারার মেলা কলার ভেলা সাজে,
    মাথায় বালিশ, কাঁথায় শুয়ে ভাবি,
    ফিউসন চাই সি কর্ডে-খাম্বাজে.

    উপত্যকায় লঙ্কা গাছের সারি,
    সুর্পনখার হালকা রঙের দেহে-
    নীল রেঙেছে অজস্র ঘরবাড়ি,
    চড়াই পাখি তাকাচ্ছে সন্দেহে.

    মুষলধারে সংগোপনে বাঁচা,
    ইচ্ছেরা তো পাখনা ছাড়া ভাসে,
    শরীর ঘিরে শরীর তোলা খাঁচা,
    মৃত্যু হবে একঘেয়ে অভ্যাসে.
  • Sam | 127.216.200.219 | ২৪ জুন ২০১২ ০০:৫৩548503
  • লুকানো ঘরবাড়ি র থেকে জানলা খুলে আসিস,
    দুই পাহাড়ের মাঝের নদি, আমায় ভালবাসিস।
    শুকিয়ে যাওয়া জল্পনাদের মাঝের ঘরে ঢ্যাঁড়া,
    সেপিয়া হয়ে লুকিয়ে আছে অলীক সন্ধ্যেরা।
    সাজিয়ে রাখা দেব্দারুতে আসিস আলো খুঁজে,
    রঙ্গিন কোন মাছের মতন খাঁড়িতে চোখ বুজে।
    দেখব না আর গভীর বুকে আঁকড়ে ধরে বালি,
    কতখানি ভরতি হৃদয় আর কতটা খালি।
    যে বালিশে ঠোঁট রেখেছিস, আটকে ছিল ধুলো,
    নীহারিকায় মুখ ডুবিয়ে ঘনিয়েছে মেঘ গুলো।
    উজিয়ে রাখা সাতকাহনে হোয়াইট ব্যালেন্স ঢাকে,
    তুই আলেয়া ধ্রুবতারায়, বাসব ভালো কাকে?
  • চণ্ডাল | 130.60.36.237 | ২৪ জুন ২০১২ ১০:১৯548504
  • অরুণেশ ঘোষের কবিতা
    দুষ্টক্ষতে ভরা
    -----------------------
    এখন দেবতা কবি দুষ্ট ক্ষতে ভরে
    নিষ্কলুষ আত্মা তার -- ব্যাধি মৃত্যু জরা
    তাকে ঘিরে নাচে --- যেমন টিভিতে
    অর্ধনগ্ন রমণীরা নগ্ন হতে হতে
    সবটা হয় না শুধু কবিকে বাঁচাতে
    চিঠি সে লেখে না আর --- কী আছে চিঠিতে
    খুলেও দেখবে না আর -- যদি তবু আসে
    সাদা খাম, নীল খাম -- রক্তছোপ ছাপে

    দেবতা বাজারে যায় --স্পর্শ পণ্যতায়
    তৃতীয় চোখের পরে -- চতুর্থ জন্মায়
    মাথার পিছনে তার -- দিব্যদৃষ্টি এক
    ইচ্ছে নেই, তবু দেখে --- আততায়ীদের

    দেবতা কলহ করে -- প্রৌঢ়া স্ত্রীর সাথে
    বলে দেব -- তার পথ, সে পারে দেখাতে
    পুরানো মানুষ-বন্ধু যদি আসে ঘরে
    সস্নেহে আদর করে আপন ক্ষতকে

    দেশে দুঃস্বপ্ন দেখে -- এক নীল পরী
    তাকে নিয়ে চলে গেছে স্কুলে সরাসরি
    পরীদের পাঠশালা -- ভুটকি দি'মণি
    তাকে দেখে খুব হাসে --- বিছানায় হিসি
    গেঁয়ো কবি শোনে এক মৃদু দৈববাণী
    দেবতা না কচু তুই -- দাঁড়া আমি আসি...
    এভাবেও আসে যদি দূরের মিতুল
    আত্মাহুতি দিয়ে ভাবে হয়ে গেছে ভুল --- !
  • একক | 24.96.45.178 | ২৪ জুন ২০১২ ১৬:০১548506
  • অরুনেশ বাবুর গোটা লেখাটা দারুন দারুন ভেবে চলে শেষ দুই লাইন এ অক্ষরবৃত্তের ফাঁদে পড়ে জাত খোয়ালো.
    এ যেন রিমলেস সুন্দরী বেশ কেটে কেটে নিজের মনের ভেতর থেকে প্রেমনিবেদন করতে করতে হটাত ব্যাকগ্রাউন্ড এ ফিচেল হারমনি , গান গেয়ে উটলো "আঁমি তমাআআর প্রেমে হবো সবার ....." . পুরো খাণ্ডব দহন কেস মশাই :ক্ষ
  • Sam | 127.213.178.157 | ২৪ জুন ২০১২ ২১:৫৬548507
  • সুন্দর শ্রাবনের স্বপ্ন দেখেছিলে কবি? যখন বাদল ধারা ঝরেছে-
    প্রমত্ত কাম পান করে মিশেছিলে আবৃত্ত সরলরেখা হয়ে? সেসব দিনে-
    দেখেছিলে নিষ্ক্রমণ? দলেদলে যারা আসে স্রোতের বিপরিতে, পাঁজরার-
    হাড় থেকে বিদ্যুৎ বানাত যারা, অথবা বিদ্যুৎ ধরে পাঁজরে জমাত বর্ষায়,
    তাদের সংগোপনে কবিতায় নির্বাসন? শকুনের নিস্পলক, নির্বিরোধ চাহনির-
    ছন্দে ছন্দে মেতে লিখেছিলে আষাঢ়ের প্রথম বর্ণনা? কখনো কি পাঁজরা গুনেছ?
    শুনেছ কি হাল্কা হাড়ের ক্যাকফনি? স্ফীতোদর শিশুরা ও বৃষ্টিতে ভেজে-
    আর ভিজে যায় অনেক আগুন। ভেজা আগুনের গান শোনাতে কখনো-
    কলম ভিজিয়ে দেখো, মারণাস্ত্র লেখনিতে ও থাকে।
  • Sam | 127.213.178.157 | ২৪ জুন ২০১২ ২২:৩৫548508
  • গালের উপর তীক্ষ্ণ ব্লেডের ছোঁয়ায়,
    অনেকসময় তোমার চুম্বন-
    পড়ছে মনে, সমুদ্রসৈকতে-
    গত বছর তোমার আলিঙ্গন.

    রেশ টা আজ ও শরীর ছুঁয়ে থাকে,
    যেমন থাকে ঘামের দুপুরগুলো,
    তোমার চুলে কাব্য যথারীতি,
    আমার চোখে অপ্রস্তুতির ধুলো.

    রাতের চাঁদের ধুসর বালিয়ারী,
    তোমার কানের টুকরো আলোর ছটা,
    নীলচে হাসি ভাসিয়েছে ঘরবাড়ি,
    ঢেউ এর কাছে প্রেম এর দু এক ফোঁটা.

    ইচ্ছে ছিল সমুদ্রে শেষ হবে-
    তোমার আমার গল্পগাছার ছুটি,
    আমার হবে কলমদানি তুমি,
    আমি হব উলের কাঁটা দুটি.

    এখনো সেই সমুদ্রতট পাবে,
    বালিয়াড়ির চাঁদের দুপুরবেলা,
    তোমার হাতে অচেনা হাত কিছু,
    আমার গালে ব্লেড চালানোর খেলা.
  • Sam | 127.192.255.159 | ২৬ জুন ২০১২ ২৩:১০548509
  • উল্লিখিত নামগুলো কাগজে খোদাই-
    করে বসে থাকো. "কখন মরণ আসে কে বা জানে"?
    কখন টিফিন খাবে - কখন বরণ ডালা , টোপর , ফুলের মালা,
    সব নিয়ে চলে যাবে মাসের তিন হাজারী ছাপ.
    হাজার বছর পরে প্রমোশন হবে এক ধাপ-
    এই আশা নিয়ে তুমি কাগজে খোদাই কর,
    চেনা পরিচিত ছবি মগজে খোদাই কর.
    চারিপাশে বিচ্ছুরিত আলোর মধ্যে বসে বড়বাবু -এঁঠো কফি কাপ.
    কলমে কলমে তুমি বিদ্রোহী হবে -
    তবে-
    বিদ্রোহে সিপাহীরা ফাইলের ভাঁজে ভাঁজে -
    দেওয়ালের রংচটা, পুরনো পাখার মত -
    মজে আছে সনাতনী গুহ্য মন্তাজে.
    সন্ধ্যাভাষার মত কিছু কিছু লোক আসে- চলে যায় গভীরের দলে-
    হালকা হাওয়াই চটি, কিছু বাস, কিছু ট্রাম-
    ভেদ করে বয়ে আসে অগনিত শরীরের দল-
    কিছু নাম, এড্রেস অথবা আবক্ষ ছবি খোদাই চলেছে ছেনি-
    হাতুড়ির পথে,
    ভাস্কর কেরানি সমাচার.
  • কাজু | 131.242.160.180 | ২৮ জুন ২০১২ ১২:৩০548510
  • একক, 'দুষ্টক্ষতে ভরা' তো সব জায়গাতেই পয়ার ফলো করেছে, থার্ড লাইন ছাড়া। শুধু শেষ দু লাইনে তো নয়।

    অরুণেশবাবু কি নিজেই পোস্ট করছেন? নবপত্রিকায় ১৪১৭ শারদীয় সংখ্যায় আপনার 'কোনো এক মনোরমা' পড়েছিলাম।
  • :-) | 69.160.210.2 | ২৮ জুন ২০১২ ১৬:৩৫548511
  • জ্জিও কাজু।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন