এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৮৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 108.228.61.183 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:২২507896
  • বাহ, খুব ভালো লাগলো বি
  • de | 24.139.119.174 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:৪৬507897
  • খুব ভালো!
  • ফরিদা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৩৮507898
  • বি,
    দারুণ।
  • ফরিদা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৩৯507899
  • পুরনো লেখা নিয়ে বসেছিলাম। এটা পেলাম।

    কেন ক্ষোভ, বুভুক্ষা নিয়ে মাংশপিণ্ডগুলি
    হাঁটে চলে কথা কয়, আবহাওয়ার খবরও বলে?
    যেন ইতিহাস প্রবণ ঈর্ষারা বেড়াতে এসেছে
    ঝাঁটা চেপে উড়তে উড়তে এইখানে শূন্য দেখেছে।

    বহু নদী মরে গেছে, কত ভাষা, কারখানা বন্ধ হলে
    দরজা বন্ধ করে সপরিবার ফলিডল গেলে-
    কার সেই আশ্চর্য বাড়িগুলি, নিকোনো শহর থেকে
    শবদেহ খুঁজে পাওয়া গেল অগণন
    কার কাছে ধার ছিল যথেষ্ট সৌহার্দ্য আমার
    অনাবিল আশীষ চুম্বন?

    কত দিন বাঁচে মানুষেরা দূষিত সন্ত্রস্ত হয়ে অনৃতভাষণে?
    অন্তত সহনশীল এক চারাগাছ রোপণ করব ইহজীবনে।
  • রিভু | 114.191.245.191 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৪৬507900
  • বি অসাধারণ লিখছেন। বাকিরাতো চেনা, আলাদা করে বললাম না, বি এর লেখা মনে হয় এই টই এ আগে দেখিনি।
  • রুকু | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৮507901
  • ফরিদা,

    মাংস, আর আশিস :-)
  • এহ | 57.29.157.208 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:২৮507902
  • কবিতার টইতে এরকম টাইপো ধরলে তাল কেটে যায়!
  • ফরিদা | 116.212.146.120 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৯:১৬507903
  • কিন্তু বানান ভুল ধরালে যে সুবিধাই হয় আখেরে।

    থ্যাঙ্কু রুকু।
  • Ramiz Ahamed | 233.231.31.121 | ০২ মার্চ ২০১৮ ১৮:০৯507904
  •                              আবরণ

         দালান পেরিয়েছি, মন্ত্রঅতীত বিকেলে
         বিদেহীদের বৈঠকী,
         চৌখুপীতে জরাসন্ধ, জল-স্হল-আচমন
         নির্বাপিত স্তবকোচ্চারণ।
         বায়ুচর্চিত, তক্ষকদের দুয়ো
         ফাঁপা সন্ধ্যে নামায়---
         ঝুরোবটের আলখাল্লায়
         নোনাধরা গল্পসাজানো।
          লৌহমুখ, ছাইরঙা দুঃখ
          ঘিরে আসে, শাশ্বত আবরণী।
      
          শব্দবন্দরে ঈশ্বর নাবিক হয়ে ভূমিকা ঘাঁটেন, এখনো।
  • রুকু | 212.142.101.47 | ০২ মার্চ ২০১৮ ২১:৩২507907
  • যাক, রামিজ খুঁজে পেয়েছে ফাইন্যালি। :)
  • ফরিদা | ১৫ মার্চ ২০১৮ ২৩:৪৬507908
  • প্যাণ্ডেল হবে

    গুচ্ছ গুচ্ছ বাঁশ জমা হতে থাকলেই মনে হয়
    আশু প্যাণ্ডেলের কাজ শুরু হবে।
    উৎসব আসন্ন ভেবে প্রফুল্ল লাগে।

    এজমালি বাড়িটায় একটা চৌকো আকাশ ছিল
    সেই উঠোন ঘিরে বসবাসের ঘরগুলি
    একদিকে কলঘর রান্নাঘর।
    বাড়িতে বিয়েটিয়ে লাগলে ছাতে প্যাণ্ডেল হ’ত বলে
    দিনের বেলাতে বাড়িতে আর রোদ্দুর ঢুকতা না তখন।

    সেই থেকে আকাশ মেঘলা হলে খুব ফুর্তি হয়
    বাঁশ জড়ো হচ্ছে দেখলে আনন্দ হয়
    মনে হয় উৎসব আসন্ন, শীঘ্রই প্যাণ্ডেল হবে।
  • কালকেতু | 55.249.82.86 | ১৬ মার্চ ২০১৮ ০০:১০507909
  • যদিও এপাড়ায় নতুন, তবু আমিও খানদুয়েক ট্রাই করছি, কেমন? ;)

    # অথ সুখদুঃখ কথা

    পৃথিবীতে সুখের পরিমাণ নির্দিষ্ট, দুঃখও তাই।
    সেজন্যেই আমি কখনও বেশী সুখ চাই না,
    কখনও বেশী দুঃখকেও আমি ঠাঁই দিই না;
    পৃথিবীকে আমি নিরপেক্ষ রাখতে চাই —
    তবুও কেউ কেউ বেশী সুখী হয়ে পড়ে, যতটা হবার কথা ছিল না তার,
    কেউ কেউ আবার একটু বেশীই দুঃখী যতটা না হলেও চলত।

    # স্কোরবোর্ড

    চোখ খুলে ঘুম ভেঙে যদি দ্যাখো বাঙালি মধ্যবিত্তের ঘরে জন্মেছ,
    জীবনের স্কোরবোর্ডে সত্বর যোগ কর মাইনাস পাঁচশ;
    যদি মেয়ে হও তুমি, তবে তো সোনায় সোহাগা —
    ডানদিকে গায়ে লাগাও আরো একখানা বড়ো শূন্য।
    এইবার ওঠো; যাও, ব্রাশ করো —
    ব্রাশ করতে করতে বেসিনের আয়নাতে মুখ দ্যাখো। দেখতে দেখতে
    নিজেকে বলো — এইখান থেকেই খেলা শুরু করতে হবে, বস!
    পিচ তো খচরামি করবেই — এমনকি কখনো কখনো আম্পায়ারও।
    তা'বলে খবর্দার! মাঝপথে কিছুতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিওনা যেন।
  • ফরিদা | ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ১০:২৬507910
  • সেতু

    তুমি মনে রেখেছ এখনও?
    সেই রাস্তা পারাপার সেতুটির কাছে
    একত্র গিয়েছিলাম বহুদিন আগে।
    যা বলতে চেয়েছিলাম
    মুগ্ধতা পথরোধ হেতু কিছুই গোচর হ’ল না।

    প্রথম সমুদ্র স্নানে মানুষ আছাড় খায়
    মনে থাকে শুধু বালি নুন ঘোলাজল
    অথচ সামান্য দূরত্বে আজীবন কাটিয়ে দেয়
    জেলেবস্তিগুলি বিস্তারে চমৎকৃত হয়ে।

    আজকাল কোথাও যাই না আর
    খোড়ো চালে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা হয়ে
    শুধু দেখি দুই চোখে
    হাওয়া দেয়, ঝড় ওঠে, ভিত টলে,
    সমুদ্রসৈকতে পর্যটক ভিড় বাড়ে।
    তবু স্নান দূরস্ত, বালিতেও নামছি না আর -
    দূর থেকে বিস্তার দেখি মুগ্ধতার সঙ্গে বসে,
    মাঝখানে নড়বড়ে সেতু, আজীবন স্বপ্নে পারাপার।
  • nabagata | 116.203.156.183 | ২৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:১৬507911
  • হুদুর দুর্গা

    মেট্রোয় পাশাপাশি অসুর ও দেবী, কোলের গনেশ টিও অবিকল

    কষ্টিপাথরে কোঁদা ছিরিছাঁদ ঘাড় বেয়ে কোঁকড়ানো চুল দেখে

    অসুরকে চেনা যায়, দুর্গা আর তত গৌরী নেই তবু টিপে ঢাকা

    তৃতীয় নয়নটি চিনিয়ে দেয় ঠিক, ঘামে ভেজা চুলের দু এক কুচি

    সরাতে গিয়ে বুঝি হাত পড়ে, ব্যাথা লাগে তৃতীয় আঁখিতে?

    এখনো মাঝে মাঝে বিষাদে ধিক্কারে কেঁপে ওঠে ওই চোখ

    শত্রুর শেখানো ঘৃণা কুৎসা মিথ্যার বিষে নীল কাজলের টান

    কপালের গোপন পল্লবে, অথচ খোলা চোখে জীবন্ত দৃষ্টিতে

    দেখেছি তোমায় কত, প্রিয়তম, ঘাসে ভরা প্রান্তরের মতো

    উদার ও বুকে ডুবিয়েছি মুখ সে তো মিথ্যে নয়, মাটির সুঘ্রাণে

    বিবশ হয়েছি, ভেবেছি মাটি ছেনে তৈরী এ দেহ কত শত

    রোদেলা দুপুর শুষে পেয়েছে পাথুরে পেশী, সেই পাথরের বুকে

    নদীর উতল ঢেউ কখন যে জেগে ওঠে, পূর্ণিমা চাঁদের টানে

    গহীন সুখের বানে, ভেসে যেতে যেতে হঠাৎ তৃতীয় নয়ানে

    তক্ষকের গোপন ফনা, বিষ ঢালে কানে

    সেই সব ভীষণ কথা যা ভুলতে চেয়েছি

    দেবতার গৃহে নাগরিক সুচারু বয়ানে

    সেই সব দিনের আলোর মতো সত্যি মনে হতো

    পরে তা ভুলেছি অরণ্যের উদার আঁধারে

    জোয়ারের নিবিড় জল যেমন ঢেকে দেয়

    বালির পুঁজরক্ত ক্ষত

    তবু কোন স্নায়ু পথে উঠে এলো গরলের স্রোত

    লকলকে নীল লাভার মতন

    সন্দেহের সুচলো বর্শামুখ

    উদ্যত ফলায় তোমার পাঁজরে

    বিঁধলো মর্মস্থানে

    তারপর আর কিছু মনে নেই।।।

    স্বপ্নের ভেতর যেন সহস্র কণ্ঠের হাহাকার

    উল্লাসে সিংহনাদে আকাশ বাতাস

    ছিড়ে পড়ে তীব্র যন্ত্রণার মতো

    চোখ মেলে দেখি তুমি হাত ধরে মণ্ডপে মণ্ডপে

    শিকারী দৃষ্টির ভিড়ে আগলে চলেছো

    দশমীর রাতে

    রক্তের দাগ অনাবিল স্রোতে

    ধুয়েমুছে, এক সাথে

    ভেসে যাবে বলে
  • রুকু | 212.142.104.235 | ২৯ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:৪৮507912
  • নিষেধ

    বন্ধ জানলা দেখে বুঝে যাই শহরে দুপুর
    বালিশে নামানো মুখ, ক্লান্ত ছায়ায় ঘর কালো
    অথবা অসময়ের তীব্র স্বপ্নবিলাস
    ঘুমের আড়াল।
    বন্ধ জানলায় চোখ রেখে এই সব ভাবি
    কেননা এ জানালায় একবার তোমার আদল
    দেখা গিয়েছিল, আর তারপর এত সময় ধরে
    বন্ধ, বন্ধ, দেখে শ্বাসহীন চোখে মনে হয়,
    মনে হয়...
    জানালার ওই পারে অনন্ত শ্মশান শুয়ে আছে।
  • ফরিদা | ০৫ মে ২০১৮ ০৮:১৬507913
  • সে, আমাকে

    সে আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে মনে মনে
    অথচ সময় নেই, ব্যস্ত আছি, সাড়া দিচ্ছি না দেখে
    মাঝে মাঝে চৌকাঠেই থেবড়ে বসে পড়ে
    মিছিলের পিঁপড়েই গোণে।

    কাছে গেলে দেখেছি সে ফিরেও তাকায় না
    চুপচাপ উঠে শুরু করে চলা -
    পিছু নিতে হবে আমাকেই, রাস্তায় দেখা হবে
    অজস্র শব্দ না বলা, এতদিন পরে
    চেনা মুখ দেখে খিলমিল করে ওঠে।

    একবার সঙ্গে বেরোলে, কাজকর্ম শিকেয়
    হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে মারবে আমায়
    যতক্ষণ না রাতের জুঁইফুলগুলি ফোটে।
  • অনুপম পাত্র | 55.249.73.62 | ১৯ মে ২০১৮ ২০:৩৭507914
  • অনুপম অসুখ

    এই যে কেমন অ সুখ করলো বিকেল বেলায়,গা টা গরম গলাব্যাথা,এখুনি কি জ্বর আসবে ?

    আবার আকাশ টাও ঠিকঠাক নেই, কেমন মেঘলা, সঙ্গে গুমোট।পাতাও নিথর, ঝড় আসবে?

    আসলে তো আমার এখন বেঁচে থাকার কথাই ছিল, নাকি হয়নি কিছু,কথা দেওয়াই

    মরে গেছি, কবে কখন, মনে তো নেই
    বন্ধুরা বল, এপিটাফ টা কোথায় আছে, পড়ব আবার।

    আকাশ থেকে বৃষ্টি নামবে, চেয়েই আছি। কান ধরি নি, দু পায়ে ব্যাথা,
    রাগ করলি কি ?

    খুব রেগেছিস, কিশোর দুপুর ছিল যখন, বাগে পেলে কি করতিস, কলার ধরতিস, কিংবা চিমটি ??

    এখন কেমন চোখের তলায় কালি পড়ছে, চামড়ায় ভাঁজ, মাথার চুলে রুপালি রং চিকুর দিচ্চে,

    বিশ্বাস কর, বয়েস আমার একটুও তো বাড়ল না আর, এই তো সেদিন কুইজ হল, স্টেট ব্যাঙ্কে

    প্রশ্ন করল, সৎপাত্রের নামটা বলো, নামটা বলো, ভুলেই গেছি গঙ্গারাম হায়, কাকে দেখে !!

    এই দ্যাখ, ওই ঝড় উঠলো, বাজ পড়ছে, আমি ভীতু, ঘরের ভিতর আমার জীবন , সুসংঘত

    তুই আসছিস, তোরা আসছিস, অপেক্ষা কি ছিল কিছু, রংটা কেমন মনে পড়ছে না।

    দূরে দেখছি মেঘের ফাঁকে উড়ো জাহাজ, পাইলটের কি ভয় করে না ?
    ভয় করে না !

    পাখির চোখে কেমন লাগে এ দুনিয়া
    খুব কি ছোট, ভালো কথা ,আমি আজও প্লেন চড়ি নি !!

    মনটা ভীষণ ভালো নাকি খুব যে খারাপ কে বলবে আর, নাকি এখন স্বপ্ন দেখছি তৃষ্ণা নিয়ে।

    আবার যেন সকাল হল, রোদ উঠছে!, হয়তো ,জানিস ,রি ইউনিয়নে
    যেতে পারব না

    এবার দুঃখ দলা পাকাচ্ছে, গলার নীচে, পাঁজর কি আর দেখা যাচ্ছে
    সত্যি দুঃখ জমাট বেঁধে

    ওদের কথা মনে পড়ছে, ফুটফুটে দুই ফুলের মত, ওদের বাবা রাজারকুমার
    সত্যি ছিল

    সবাই বলছে জাস্টিস চাই, আসুন লড়ি, আমি তবু হারিয়ে যাচ্ছি,স্বপ্নে শুধু বোমা ফাটছে।

    তুই নামলি,আকাশ থেকে, অনেক দিনের পরে কি
    এই মাঠের উপর রোদ উঠলো, তবু পাচ্ছি বারুদ গন্ধ !!

    আমি কোনো সাবান শ্যাম্পু গায়ে মাখি না, মানুষ গন্ধ লেগে থাকুক নেই আক্ষেপ কোনো কিছুই

    কিন্তু দেখছি আমার ঘরে রম্য সুবাস, কি পারফিউম ইউস করিস , বিদেশি ঠিক, হবে হয়তো।

    কি বললি , চা ? মাটির ভাঁড়ে , নদীর ধারে, ওসব কি আছে এখন, তার চে যাই কফি শপেই

    ক যুগ পরে দেখা হবে, আঙ্গুল গুনি, আঙ্গুলে ঘা ,অনেকটা দ্যাখ সেরেই উঠলো তাড়াতাড়ি !!

    বলছিস তুই, এসব কথা লেখার কিছু প্রয়োজন নেই, আমার জানিস , সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি।

    অথবা, আর জানবি কেন, জানার মত কিছু কি ছিল, জানলা দরজা বন্ধ ছিল সে কৈশোরে ....

    অহল্যা নই, যে বদলে যাব, পাথর জীবন পারলে একটু ছুঁয়ে দেখিস,পারলে আসিস।
  • ফরিদা | ২৫ মে ২০১৮ ২১:৫৫507915
  • একটা মিহি চশমা কিনেছি
    যাতে শব্দের বানানগুলো ফের ঠাহর করা যায়
    এতদিন স্মৃতি হাতড়িয়ে কাজ চালাতাম।
    এটা খুব সুবিধার হ’ল,
    অক্ষরের বাঁক, চৌমাথা, রিক্সা স্ট্যান্ড
    সব কিছু গ্রীষ্মসকালের মতো স্পষ্ট, উচ্চকিত
    ইত্যবসরে, চোখে এল অনেক বদল-

    যেখানে বর্ষার বিকেলে শান্তিতে ফড়িং দেখতাম
    এখন সেখানে শ্বাপদসঙ্কুল কংক্রিট জঙ্গল।
  • ফরিদা | ০৬ জুন ২০১৮ ১৫:৩৮507916
  • ভেঙে পড়।
    কীসের ভয়?
    অবক্ষয় -
    শরীর জুড়ে বাস্তুসাপ
    ঘুরছে ফের।

    ভেঙেই পড়,
    আজ না হয়
    ওই ক’টা ভাত ফেলাই যাক গে
    রোজই যেন পরমান্ন মায়ের ভোগে।

    কী আসে যায়
    কার কী এতে
    দু’হাত বাঁধা থাক কপাটে
    হাড়হাভাতে -
    ভেবেই ম’ল।

    আর ভেব না
    ভেঙেই পড়
    আছাড়পিছাড়
    গাছের ডালও
    যেমন ভাঙে ব্যস্ত দিনে
    ঝড় না হলেও
    ফোঁপড়া হয়ে আমড়াগাছি
    দিন কয়েকের পথকষ্ট
    রাস্তা জুড়ে নয়া রোদ্দুর
    দু’দিন গেলেই ফের পুরনো
    জড়সড় -
    ভেঙেই পড়।
  • nabagata | 4512.139.232323.72 | ০৬ জুন ২০১৮ ১৫:৫৯507918
  • নটার মেট্রো
    হ্যাঁ এইবার খেয়াল করুন। চোখ রাখুন প্রজেক্টরের পর্দায়। আপনাদের ভীষণ চেনা মেট্রোরেলের প্লাটফর্ম, বুঝতেই পারছেন
    সকল নটার ট্রেনের অপেক্ষায় সবাই, এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেন কোনো তাড়া নেই , কচিমুখ সালোয়ার কামিজের সঙ্গে
    চশমা পরা রাশভারী মাসিমা কেমন খোশগল্প জুড়েছেন দেখুন, কলেজ পড়ুয়া জটলা নিজেদের মধ্যে মগ্ন, হাঁফাতে হাঁফাতে
    প্লাটফর্মে ঢুকে মোটাসোটা অফিসবাবু ঘাম মুছলেন, এখনো ট্রেন দেয় নি দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে চেনা মুখগুলোর দিকে একটু
    খেজুরে হাসি, হাইলাইট করে দেখুন মুখের পেশী, চিবুকের রেখা কেমন লতানে নরম; দেখুন দেখুন বিদ্যুতের ছোঁয়ায় রেখাগুলো
    টানটান হয়ে জেগে উঠেছে, ভিড়ের মধ্যে দিয়ে অদৃশ্য চাবুকের মতো একটা ঢেউ চলে যাচ্ছে; আসলে ডিসপ্লে বোর্ডে নটার ট্রেন
    দিলো এইমাত্র, ঘোষণার সঙ্গে টিং করে ঘন্টার আইডিয়াটা পাভলভের কাছে থেকে নিয়েছে কিনা কে জানে , বলতেই হবে খুব
    কার্যকরী। এলোমেলো ভিড়টা কয়েক সেকেন্ডের ভেতর হুড়মুড়িয়ে লাইনের সমান্তরালে সাজিয়ে গুজিয়ে টানটান। যারা প্রথম
    সারিটা ধরতে পারে নি কনুই আর গোড়ালির সূক্ষ্ম কারুকাজে একটু একটু করে ঢুকে আসার চেষ্টা করছে। এ সি দেবে কিনা
    জানা নেই, এ সি আর নন এ সি তে দরজার স্থানাঙ্ক ঈষৎ বদলে যায় এটা মাথায় রেখে জটিল সম্ভাবনার মানসাঙ্ক কষে
    দাঁড়াতে হবে; ওদিকে ট্রেন দেখা দিলো এইমাত্র: ব্যাসিলিস্ক-হলুদ চোখে আলো জ্বেলে এঁকেবেঁকে এগিয়ে আসছে, সামনের সারির
    পালস রেট হার্ট বিট আর নানান হরমোনের লেভেল গুলো লুকোনো যন্ত্রে ধরা হয়েছিল, ঠিক এই মুহূর্তটার আশপাশে গ্রাফগুলোর
    বল্লমের মতো সরু ও ধারালো লাফ, খেয়াল করুন চরম মানে কেমন নিপুন লক্ষ্যভেদ করেছে! এইবার ট্রেন থামলো। দরজা কিন্তু
    এখনো বন্ধই থাকবে। এটা সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক এক মুহূর্ত। জানলার চওড়া কাঁচের মধ্যে দিয়ে খালি সিট গুলো পরপর দেখা যায়,
    এক এক জন করে ঠিক করে নিয়ে ফোকাস করুন, না শুধু মুখে নয় সর্বাঙ্গে বিশেষ করে নিচের দিকটায়। সরু বিনুনি করা চিকন মুখের
    মেয়েটাকে যত নিরীহ ভাবছেন তা নয়, হাই হিল দিয়ে হালকা গুঁতোয় হলুদ রেখার ওপর কোনাকুনি এগোচ্ছে খুবই সাবলীল ভাবে ,
    মনে মনে লেডিস সিট এর ডিগ্রী মেপে নিয়েছে; ওদিকের ঝোলাব্যাগ কবি-কবি চেহারা শরীরটাকে আস্তে আস্তে হেলিয়ে, ফাস্ট বোলারের
    বল ছোঁড়ার ভঙ্গিমায় তৈরী হচ্ছে, সেকেন্ডের ভগ্নাংশ এদিক ওদিক হলেই গেলো-- এই সব দেখতে দেখহতে সপাং চাবুক টানে দরজা
    খুলেছে, কিন্তু একই সঙ্গে হালকা ঝাঁকিতে ট্রেন ফুট তিনেক এগিয়ে নিলো নিজের সর্পিল দেহ; রোজ যে এরকম হয় তা নয় তবে আজ
    বলাই ছিল; এতোক্ষনের হিসেবে নিকেশ তছনছ করে এবার পেশী ও স্নায়ুর আসল পরীক্ষা, আদিম হরমোনের খেলা। দাঁত-নখ বের করা
    হিংস্র আগ্রাসী রোখ, মোষের জেড আর বাঘের রিফ্লেক্স যার সেই সিকান্দর। একেকটা সিট জিতে যারা বসে পড়ছে তারা নিজেরাও
    একটু আগে জানতো না এতটা কিলার ইনস্টিংক্ট কোন কোষে লুকিয়ে রেখেছিলো। যেন একটা ডুব পাহাড়ের গোপন জ্বালামুখ খুলে
    লাল গনগনে আগুন ভলোকে ভলোকে বেরিয়ে আসছে, একবার খুলে গেলে আর চিন্তা নেই নিজে নিজেই পুড়িয়ে গড়েপিটে
    ন্যাতানো পাঁজর পেশিকে লোহা বানিয়ে নেবে, হাড়ের গভীরে ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা আধপোড়া অঙ্গার বয়ে নিয়ে যাবে ইস্কুল কলেজ
    অফিসে আর সারাদিন গরম বাতাসের প্রশ্রয়ে জ্বলতে জ্বলতেও একেবারে শেষ হবে না, ঘরে ফিরে ছড়িয়ে দেবার মতো যথেষ্ট আঁচ থাকবে।
    এভাবে, একদিন এ দেশের প্রত্যন্ত সব কোণ যে শানিত ইস্পাতের দীপ্তিতে আলো হয়ে উঠবে এ গ্যারান্টি দিতে পারি। ফলিত অর্থনীতির
    দিগন্ত খুলে দেয়া এই পরীক্ষা পৃথিবীকে একদিন পথ দেখাবে জানি, তবে তার চেয়েও বড়ো কথা লৌহপুরুষ দেশনায়ক ঠিক এমনটাই
    চেয়েছিলেন, নটার মেট্রো তাঁর স্বপ্নের ভারতবর্ষের দিকে অমোঘ রেখায় এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে দেখে আবেশে চোখ বুজে আসে...
  • ফরিদা | ২৪ জুন ২০১৮ ১৩:৪০507919
  • প্রেক্ষাগৃহ অন্ধকার হ’লে

    প্রেক্ষাগৃহ অন্ধকার হ’লে মঞ্চের একফালি যন্ত্রণার দিকে চেতনা নিমগ্ন হয়। আর কিছু নেই কোত্থাও, এর আগে বলে কিছুই ছিল না, পরের কথা বলে কিছু নেই। বাইরে তখন চড়া জৈষ্ঠ্য দুপুর অথবা শীতের রাত্তির হ'তে পারে, কিছু যায় আসে না।

    ওই কিছুক্ষণ, ওই যন্ত্রণা ঘিরে ওঠা পড়া নাওয়া খাওয়া চান খাওয়া ঘুম চলে। সে ছাড়া কিছুই নেই। ব্যথা বাড়ে কমে, লাল হয়ে যায় জায়গাটা। না কমলে ডাক্তার বদ্যি ওষুধ বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতাল-টাতাল...

    শেষ অবধি অনুষ্ঠান ভাঙে। স্মরণসভায় মাঝে মাঝে কেউ থাকে। কখনও তার আগেই দর্শকাশন শূন্য হয়ে যায়।
  • ফরিদা | ২৪ জুন ২০১৮ ১৩:৪১507920
  • সুতির কবিতা

    সন্ধের কিছু পরে বাড়ি ফেরে তারা
    ছোটখাট ক্ষয়াটে চেহারা
    চোখ নাক মুখ হাত পায়ে
    এমন কিছুই নেই, সামান্য বিসর্গ অন্তত
    যা মনে থাকে -
    দেখি সাইকেলে, হেঁটে
    সাদামাটা ঝোলা ব্যাগগুলি ফেরে ঝাঁকে ঝাঁকে।

    সন্ধ্যা পিছনে ফেলে ধীরে ধীরে বাড়ি ফেরে তারা
    থোড় বড়ি খাড়া বৈশিষ্ট্যহীন, সুতির কবিতারা।
  • AP | 232312.15.3467.241 | ২৭ জুন ২০১৮ ১০:০৭507921
  • # আশ্চর্য এক খাবারের কথা পড়েছিলাম আরবদেশের
    রান্না করা একটা ডিমকে ভরা হল মাছের পেটে, মাছটাকে
    একটা মুরগীর মধ্যে, মুরগীটাকে ভেড়ার ভেতরে
    আর ভেড়াটাকে (আহা ! মাপমত রান্না করা)
    শেষ পর্যন্ত একটা উটের পেটের মধ্যে ভরে গোটা উটটাকে ঝলসানো হল
    তারপর সারারাত খোলা আকাশের নীচে নাচ-গান-পানীয় আর উটের শরী্রের নানা জায়গা থেকে
    ইচ্ছেমত কেটে নেওয়া বিভিন্ন স্বাদের দুই তিন চার স্তরের মাংস।
    ব্যাপারটা বেশ অভিনব আর চমৎকার না !

    অথচ দেখুন একবার বিরাট বিরিয়ানির গামলায় ঝলসানো আস্ত ছাগল বসে আছে দেখে শিউরে উঠেছিলাম ছবিতেই
    তার মানে যে খাবারটা আসলে বিশাল একটা ছাল ছাড়ানো উট সেটা কেমন দেখতে আগে আদৌ বুঝিনি
    আর এই যে ঠিকঠাক না বুঝতে পারা এটা আমারই চরিত্র

    এই জন্যই কি, গুজরাট জুড়ে যারা আগুন লাগিয়েছিল
    ভাবতেই পারিনি তারা আমারই ঈশ্বরের নামে জয়ধ্বনি দেয়

    নভেম্বরের সেই সন্ধেয় আমি বুঝতেই পারিনি ঠিক কি ঘটে গেল
    কেন এক্ষুণি টাকা তুলে রাখা দরকার, জমিয়ে রাখা পাঁচশো হাজারের নোট বাতীল হলেই বা
    কি এমন সমস্যা !
    পরে অবশ্য সেজন্য খুব লজ্জা করেছিল

    হাত নেড়ে উঠে গেল কেউ, ট্রেন ছেড়ে দিল
    সেদিনও তো বুঝিনি ছেড়ে যাওয়া ঠিক কিরকম

    এত রকম অজ্ঞতা নিয়ে বেঁচে থাকা যে আসলেই অপরাধ সেটা এতদিনে বুঝতে পারছি কি !
  • ফরিদা | ০২ জুলাই ২০১৮ ১৬:০৩507922
  • যেদিন ব্রাজিল হারে

    যেদিন ব্রাজিল হারে, তার কথা বহুদিন মনে থাকে
    সারাদিন কি কি করেছিলাম, কোন জামা গায়ে
    কাকে কি বলেছিলাম, কাগজে কে কি লিখেছিল
    সে'দিন সকালে।

    বিশদে মনে পড়ে গোল খাওয়া গুলি একে একে
    ধীরে ধীরে অবশ হতে হতে চুপ করে যাওয়া
    একা একা নি:শব্দ ঝড়ে। পরদিনের সংবাদপত্রগুলি
    যন্ত্রণায় জ্বলন্ত কাঠ চেপে ধরে।

    জিতে গেলে অত মনে থাকে না কিছুতে
    সে তক্ষুণি খরচ হয় খোলাম কুচিতে
    অভাবের সংসারে। জানি এ কিছু গর্বের কথা নয়,
    বিষাদ-নক্ষত্রটি দূরতম বলে বড় কাছের মনে হয়
    তার আলো নিভে গেলে অনেকক্ষণ পাশে থাকা চলে
    কিছুই না বলে পৃথিবী ছাড়লে।

    আমার পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে পড়ে সেই সারাদিনটুকু -
    ব্রাজিল হারলে।
  • ফরিদা | ০৪ জুলাই ২০১৮ ২২:১৬507923
  • অনেক সময় হ’লে মানুষের আহ্লাদ বাড়তেও পারে
    চলতে ফিরতে পায়ে পায়ে কুকুরছানার মতো
    তুলতুলে অজস্র সময় খেলা করে যায়।
    লম্বা লম্বা ঘুম, না হাঁফিয়ে অনেকটা পথ
    বুঝি সে অক্লেশে এইবার হেঁটে যায়।

    যদিও সমুদ্রতটে এক একটি ঢেউ
    ভাঙতে ভাঙতে ভাঙতে তার তেষ্টা পেয়ে গেল -
    প্রিয় চিঠি, প্রিয় ছুটি, বন্ধুরা, অসীম সময়
    পার করে চটপট কেউ আসছে না।

    অনেক সময় হ’লে মানুষের, বুঝবে সে
    কেউ তাকে ভালোবাসছে না।
  • ফরিদা | ০৪ জুলাই ২০১৮ ২৩:৩৮507924
  • কলকাতা সাতলক্ষ আঁচ

    ও কলকাতা সাতলক্ষ আঁচ এর ঠিকানা,
    তোমার ছাতরাস্তা ভরা কালো শ্যাওলা শরীরে একসময়ে
    পৃথিবীর মানচিত্র আঁকা থাকত মনে পড়ে।
    বৃষ্টির পরেই শুধু স্পষ্ট হত অ্যান্টেনাবাগান পেরোন
    দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা বারান্দা -
    ওর মধ্যেই তাতে রামধনু, যদি তক্ষুণি শাড়ি মেলত সে।
    অথবা শীতের দুপুর ধরে লালচে, সাদা হলদে বড়িগুলি
    যখন শুকোতে শুকোতে খেলতে সে টোপাকুল রোদ্দুর।

    ইডেন উদ্যানের উলকাঁটাগুলি সাক্ষী আছে
    পৌনে পাঁচটা বাজতেই হাইকোর্টে সে রোদ্দুরের জেল
    তার কিছু আগে নির্জনে কারো চিঠি চুপিচুপি
    পৌঁছে দিয়েছে পিয়নের সাইকেল বেল।

    ও কলকাতা সাতলক্ষ আঁচ
    পুরনো বইয়ের গন্ধে পাগল পাগল
    প্রায় কপর্দকহীন অভিযাত্রীকে একা একা দেখি
    আলো আঁধারি কলেজ স্টীটের দোকানে হারিয়ে যাচ্ছে।
    বইমেলায় প্রেমের ভাণ্ডার ভাঙে গণ্ডার শিকারী
    কুমোরটুলির ঘরে রাঙতার ঝলমলে বিষাদ যেন
    আহিরিটোলার ঘাটে জোয়ার ভাটায়
    লাল নীল জাল নোটে ব্যবসায়ী খেলে।
    কেউ খুঁজে পেল আস্তানা, কেউ বোকা ভোকাট্টা এমন,
    লালবাতি জ্বেলে এ জীবনে আর কক্ষণও ফিরবে না।
    পাঁচিলের ওপর কেঁদো বেড়ালের মতো তুমি উদাসীন -
    মাঝেমধ্যে ফ্যাঁচ করবে। তার বেশি আহ্লাদ দেখাবে না।
  • ফরিদা | ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৭:০২507925
  • আমাকে চাও না তুমি, আমিও তোমাকে
    বহুদিন হয়ে গেছে সব জেনে শুনে নির্জলা
    একাদশী পালন করেছি। হাতের পাতায়
    কত বসতে দিয়েছি মশা, দেখেছি কীভাবে
    ফুলে ওঠে ধীরে, আর পালাতে পারে না।
    শুধুই চেয়েছি আমি, জানি তুমি কিছুই চাওনা।

    বুঝি চাহিদাও কম। দু-বেলার ভাত বিড়ি ঠিকঠাক
    পেলে বেঁচে থাকে সর্বস্বজীবন নাছোড় বটচারা
    পুরনো প্রাসাদ আগলে রাজত্ব বিছিয়ে সম্রাট যেন।
    ফি বর্ষার জলে লকলকে দু-একটি কচি ডাল, পাতা
    এবারেও বাড়িয়েছিল। ছাত ভেঙে পড়লে ভেবেছে
    যত্ন করে তার জন্য কে অত্যন্ত আলো বেড়ে দিল।
    আমি সব দেখি, জানি, খুব একটা বিশদে যাও না।
    তোমার কাছাকাছি এত, জানি তুমি আমাকে চাও না।
  • ফরিদা | ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৮:৩৩507926
  • এস, ঘরের ভিতর এসে কথা বলি
    কুশল বিনিময় অন্তে মিটে যাক
    মধ্যবর্তী নদী নালা গিরিখাতগুলি।
    আগের মতোই স্বতস্ফূর্ত হয়ে বল-
    “জানলার ধারে ফের ফুলদানি রেখেছ
    হাওয়ায় পর্দা উড়লে ফুলদানি উল্টোলে
    ভাঙা কাচ জলে থইথই পড়ার টেবিল-
    কেন এত অচেতন? কেন হুঁশ কিছুতে হল না?
    এত অগোছাল কেন? পোশাকের যত্ন নেই
    বিলিয়ে তো দিতে পার গরীব -দুঃখীকে…..”

    হয়ত মানি না সব, তবু সব শুনি -
    দাঁড়ি কমা উষ্মা সমেত সবটুকু দেখি যতক্ষণ
    তুমি বলো
    দরজায় নয়, বারবার কবিতার ভিতরে এসে
    বারবার কথা বলি, চল।
  • ফরিদা | ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৯:৩৩507927
  • সকাল হা-কুচ তেতো-
    কথা-টথা বলতেও ইচ্ছে করছে না কারোর সঙ্গে,
    কীভাবে ব্রাজিল হেরে গেল-
    এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।

    সত্যি বলতে কি -
    সকাল হা-কুচ তেতো
    কথা-টথা বলতে ইচ্ছে করছে না কারোর সঙ্গেই...

    নেহাৎ ব্রাজিল হারল, নয়ত এই দুটো লাইনকে
    কোথায় আড়াল করে ঘুম পাড়াতাম আমি?
  • Ramiz Ahamed | 342323.178.9006712.134 | ০৮ জুলাই ২০১৮ ১০:১৫507929
  •                             সামাজিক পুরুষ

                                                   এক
                           বিছানার ভিতরে রোজ রাতে
                           আমার পরিকল্পিত মৃত্যু হয়।
                           প্রত্যেকটা বিষাদস্পর্শ,
                           যে মূহুর্তে তাকাই, মিনারে দোলানো
                           মৃতচোখে,
                           ঝলসে ওঠা নৈমিত্তিক।
                           এ দায়ভার নিয়ে
                           কোন শহরতলির গর্ভে লুকোনো?
                           অন্তর্মুখী সমুদ্রের সংক্রামক মীনেরা
                           গালাগাল করেছে।
                           একটা ও খুচরো মুখ মেলাতে পারিনি।
                           আসলে যারা আমায় রঙিন অসুখগুলো
                           উপহার দিয়ে গেছে,
                           তারা প্রত্যেকে বিষাদনীল হয়ে উঠেছিল
                           শেষবারের পাপে।

                                           দুই
                          আত্মা খুঁড়ে খুঁড়ে দেখেছি
                             পিশাচমুখ, পাপীজ্বিহা--
                             লোলুপভূজ জুড়ে,একটা শীর্ণশহর টাঙানো
                             রয়েছে, ক্রমশ ঢালু হয়ে আসা লিঙ্গে।
             
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন