এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৬৭৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৪507830
  • পুজো ২০১৭


    ভোরের শ্মশানে দেখি একমাত্র পুরোহিত
    তার সবেধন প্রিয় ধুতি জোড়ে
    একাকী নদীর দিকে বহুক্ষণ থাকেন করজোরে-

    অদূরেই উৎসব শুরু, ঢাক শোনা যাবে কিছু পরে
    এদিকে চাল আটা বাড়ন্ত তার নিজস্ব কুটিরে,
    পুজোর কেনাকাটা দূরস্ত - দিন চলে মড়া যদি জোটে।

    তাকিয়ে থাকেন জলে, আলো ফোটে,
    দু-একটি নৌকার পাল রোদ্দুর ঠিকরোয়,
    এইখানে কেউ নেই, কয়েকটি বয়স্ক কাঙাল যাঁরা ছিল
    চলে গেছে পুজো প্যাণ্ডেলে-
    সেখানে এই ক’টা দিন সহজেই সংস্থান মেলে।

    তাঁর আর যাওয়ার কোথাও নেই, আজ তাই বহুক্ষণ ধরে
    স্বার্থ পরিপন্থী প্রার্থনা -
    এ’কদিনে অন্তত মৃত্যু না ঢোকে যেন আচমকা কোনও ঘরে।
  • ফরিদা | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৫507831
  • পুজো ২০১৭


    ভোরের শ্মশানে দেখি একমাত্র পুরোহিত
    তার সবেধন প্রিয় ধুতি জোড়ে
    একাকী নদীর দিকে বহুক্ষণ থাকেন করজোরে-

    অদূরেই উৎসব শুরু, ঢাক শোনা যাবে কিছু পরে
    এদিকে চাল আটা বাড়ন্ত তার নিজস্ব কুটিরে,
    পুজোর কেনাকাটা দূরস্ত - দিন চলে মড়া যদি জোটে।

    তাকিয়ে থাকেন জলে, আলো ফোটে,
    দু-একটি নৌকার পাল রোদ্দুর ঠিকরোয়,
    এইখানে কেউ নেই, কয়েকটি বয়স্ক কাঙাল যাঁরা ছিল
    চলে গেছে পুজো প্যাণ্ডেলে-
    সেখানে এই ক’টা দিন সহজেই সংস্থান মেলে।

    তাঁর আর যাওয়ার কোথাও নেই, আজ তাই বহুক্ষণ ধরে
    স্বার্থ পরিপন্থী প্রার্থনা -
    এ’কদিনে অন্তত মৃত্যু না ঢোকে যেন আচমকা কোনও ঘরে।
  • ফরিদা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৫507832
  • পুজো ২০১৭


    সবার বুকের সমান পাঁচিল
    আর ঘুলঘুলি দুই চোখ
    ভাবছে একলা একলা বাঁচি
    নিজের চড়ুই বাসা হোক।

    পৃথিবীর চরম চার অক্ষর
    ক্রমশ উষ্ণায়নের ফসল
    যুদ্ধে মিত্র বনাম অক্ষ
    যতই রংপেন্সিল ঘষো-

    এসব কাগজ কত নেবে
    তারও যাপনকালীন ভয়
    পাঁচিল পোক্ত করে দেবে
    রাষ্ট্রযন্ত্র মানতে হয়।

    শুধুই বুকের সমান পাঁচিল
    শুধুই ঘুলঘুলি দুই চোখ
    যদি, বটের চারায় বাঁচি
    চাই সবার ভালো হোক?
  • ফরিদা | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৪৯507833

  • আমি অনেকক্ষণ ধরে একটা নীল রঙের মাছ আর লাল রঙের মাছ জ্বলন্ত অ্যাক্যুয়ারিয়ামে গতিশীল। যেন ট্রাফিক লাইট, যেন ঘোর মেঘ করে এসেছে, পৃথিবীতে যাবতীয় একতারা সমস্বরে।

    অনেকক্ষণ ট্রাফিকে একটা নীলে রঙের মাছ, একটা লাল রঙের মাছ, নির্ধারিত বাসস্টপে একজন অন্যজনের জন্য অপেক্ষারত। ভিখারিরা ভিক্ষার জন্য, সমাজসেবক অস্থির ভোটে।

    আমি অনেকের মতো একটা নীল রঙের মাছ একটা লাল রঙের মাছ, খুঁটে খাই পৃথিবীতে, যখন যা জোটে
  • ফরিদা | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫১507834

  • অথচ অঙ্কের মধ্যেই ছিলাম,
    আরও স্পষ্ট হয় বীজগণিত বললে।
    এক্স এর মান বদলায় স্টেশন থেকে স্টেশনে
    গাড়ি ঠিকঠাক চললে।

    আমি ছাত্রটির উদভ্রান্ত চোখ দেখি-
    তার অঙ্কের ডালপালা ছড়িয়ে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে
    এক লাইনে আঁটছে না আর -
    আমিও সেই এক স্টেশনে অনেকক্ষণ
    ভাবছি পরের অঙ্কটা একটু সহজ হলে
    বেচারি চট করে ঘুরে আসতে পারে পুজো প্যান্ডেলে-

    আমারও এগিয়ে যাওয়ারই ইচ্ছে
    কতক্ষণ ধরে ইশারা করছি যদি সে ঠিক রাস্তায় ফেরে
    অথচ অঙ্কের মধ্যে, জানি ভুল হচ্ছে।
  • ফরিদা | 11.38.4.13 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ১০:০৪507835
  • বেতাল বেতাল

    “এ পর্যন্ত ভালোই, অন্যদের খবর দাও” – এই উক্তিটা ছিল বেতালের কোনও এক ইন্দ্রজাল কমিকসে । সেখানে সমুদ্রে ভাসমান এক গুন্ডাদের জাহাজে এক গুন্ডা অন্য এক সহকারীকে এই কথাগুলো বলছে, বেতাল এদিকে লুকিয়ে উঠে পড়েছে সেই জাহাজে, সে এই কথাগুলো একটা দরজার আড়াল থেকে শুনছে ।

    খুব বেশি কমিকসের বই ছিল না। তাই গোটা তিনেক বই অনেক অনেকবার পড়েছি। এই ক’টা কথা মাথায় ঢুকে বসে আছে। এদিকে মাঝসমুদ্রে জাহাজ ভাসছে। ঠিক জানি, বেতাল আড়াল থেকে সব শুনছে।
  • ফরিদা | 11.38.4.13 | ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ১০:০৫507836
  • বেতাল বেতাল

    “এ পর্যন্ত ভালোই, অন্যদের খবর দাও” – এই উক্তিটা ছিল বেতালের কোনও এক ইন্দ্রজাল কমিকসে । সেখানে সমুদ্রে ভাসমান এক গুন্ডাদের জাহাজে এক গুন্ডা অন্য এক সহকারীকে এই কথাগুলো বলছে, বেতাল এদিকে লুকিয়ে উঠে পড়েছে সেই জাহাজে, সে এই কথাগুলো একটা দরজার আড়াল থেকে শুনছে ।

    খুব বেশি কমিকসের বই ছিল না। তাই গোটা তিনেক বই অনেক অনেকবার পড়েছি। এই ক’টা কথা মাথায় ঢুকে বসে আছে। এদিকে মাঝসমুদ্রে জাহাজ ভাসছে। ঠিক জানি, বেতাল আড়াল থেকে সব শুনছে।
  • ফরিদা | 11.38.4.9 | ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ১০:৪৯507837
  • কাজের বাড়ি, সকালে

    ছাউনির নিচ দিয়ে গুঁড়ি মারে সকালের রোদ, দেখে, একমনে পেঁয়াজের খোসা ছাড়াচ্ছে একজন, একজন ভিতরের ঘর থেকে এল আদা রসুন বাটা নিয়ে - মাংসে মেশাবে। নতুন ওঠা ফুলকপি কেটে কেটে রাখছে অন্য কেউ বিরাট ডেকচিতে।

    একটা ফুলকপির ভেঙে নিলে অনেক ছোট ছোট ফুলকপি হয়। এরা কাটে, কাজের বাড়িতে, কার আছে এমন ফালতু সময়। কয়েকটা ফর্দে বাদ পড়া মশলা, টক দই, পেঁপে এখন হাজির হল। উনুন জ্বলে গেছে দেখে আর দাঁড়ায় না সে, তার অন্য অনেক জায়গার যাওয়ার আছে, তাছাড়া এখানে নেমন্তন্নও নেই।
  • ফরিদা | 192.77.19.190 | ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৩৯507838
  • ১২
    ঝাউবনে, চাঁদের আড়ালে

    সুতৃপ্ত নিলীমার কালো রাত্রিবাস আহ্বান আমি এড়াতে পারিনি। তাতে আবার লেসের কাজও ছিল। সাপ্তাহিক হাটে এমন দেখিনি আমি। চৌবাচ্চার নিচে শ্যাওলা পৃথিবীর কিছুটা উঠে আসে জল কমে গেলে। সেই জলও মাথায় ঢেলেছি নেশাতুর রাতে, সঙ্গে অর্থহীন প্রলাপ, কিছু চটুল গান। চুলে, বুকে গায়ে শ্যাওলার জড়িবুটি আঁকিবুকি নিয়ে প্রকৃত ভেষজ পদ্ধতিতে স্নান।

    ঝাউবনে চাঁদের আড়ালে তাঁর কালো রাত্রিবাস, হাটবারে সেল, সেই স্নান মনে আসে। কাছে যেতে পথ পাই না। বড় বড় পরিখা আঁকা আছে জায়গায় জায়গায়। হাঁ-মুখের কত নদী এক বুক বালি নিয়ে চওড়া হয়েছে। বড় অসুখের মতো মনে পড়ে সরে সরে কুমীরডাঙা খেলা। সংক্রান্তি স্নান। বন্ধুবিচ্ছেদ। এই পৃথিবীর শেষতম কোণ, কোনও একজন খুঁজে পায় যেন। সিনেমার শেষদিকে সুতৃপ্ত নিলীমায় চির-অবগাহন।
    *********************************************************----
    ১৩
    জল, আমি তাকে

    জল, আমি তাকে বাড়িতে পড়াতে যেতাম। ইস্কুলে একটা যেত বটে, পড়াশোনায় মন ছিল না, ছটফটে, বাচ্চারা যেমম হয় আর কী। আমি তাকে যতটা না শেখালাম, সে আমাকে তারও বেশি ফাজলামি, ইয়ার্কি।

    জলের বাড়িতে ওরা সবাই জল। বাবা জল কিছুটা হিসেবী, অল্প আলসে। বই পড়তে ভালোবাসলেও বই নিয়ে বসে থাকবেন, চশমাটা নিজে খুঁজে নিচ্ছেন না, বইয়ের অক্ষর শব্দের কিছু দূরে, যেহেতু চালশে।

    মা-জল উল বুনে চলেছেন সম্বৎসর। দু’কাঁটায় সোজা- উলটো, উলটো-সোজা বুনেছেন ঘর। তাতে চাষ, তাতে বসবাস, সংসার চলে। উল্টোদিকের কেউ মাছ ধরে নৌকায়, সারাদিন জলে।

    দাদা-জল, দিদি-জল, এদের খুব একটা দেখিনি। ওরা কেউ বাড়ি থাকত না সহজে। চাকরি বাকরি কলেজ রাজনীতি প্রেম নিয়ে প্রকৃত শহর চলে ব্যক্তিগত গরজে।

    আজকাল কোথাও যাই না আর। সে-সব কতদিন চুকেবুকে গেছে। তবুও জলের কথা বারবার ফিরে আসে, অঙ্ক কষতে, সালোকসংশ্লেষ জায়গাটা, আকবরের শাসনব্যবস্থা সহ নদীমাতৃক সভ্যতার ইতিহাসে প্রায়শই যেচে যেচে।
  • ফরিদা | 192.77.19.190 | ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:৩৬507840
  • ১৪

    শিশুরাও সব বোঝে

    শিশুরা সহজে শেখে ভাল-মন্দ লাগাগুলো সুস্পষ্টভাবে।
    জানে শুয়ে শুয়ে থাকবার চেয়ে, কেউ কোলে নিলে
    ঘরে সিলিঙের ঝুল আর বনবনে পাখা ছাড়া দেখা যাবে
    কত কী রয়েছে পৃথিবীতে। রান্নাঘরের কত রকমমের
    গন্ধের কারবার, জানলার বাইরে থ্যাবড়া বিড়ালের মুখ
    সে এও জানে কতটা চেঁচালে পাবে এই সব অনুভব সুখ।
    কান্না, চেঁচানটাও দুর্বোধ্য নয়, যারা তাকে আশকারা দেয়
    ভালোবাসে, সামান্য অসন্তোষ দেখে কোলে তুলে নেয়।

    কেউ ঘুরে বেড়িয়ে এসে নতুন গল্প বলে পুরোন ভাষায়
    কচ্চিত বিদেশি শব্দ তর্জমায় বা একলাই সহজ সুপাচ্য
    মেশে যেন দুধ কলা অথবা মাংস ভাত দিবানিদ্রা যোগে
    অথবা থ্রিলার খুন কী যেন অজানা রোগে উড়ন্ত চাকী
    থেকে দলে দলে এলিয়েন এসে পৃথিবী দখলে নেবে।
    এরা শুধু নিখাদ অপ্রেমে কবিতাকে দুর্বোধ্য বলে যাবে।
  • ফরিদা | 11.38.4.8 | ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০৯507841
  • জ্ঞান,
    তরঙ্গমাত্র....
  • ফরিদা | 11.38.4.9 | ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:৪৭507842
  • বারান্দায় লেখা কবিতা

    বারান্দায় টব রাখি ক’দিন হ’ল।
    কারি পাতা, লেবু গাছ, তুলসী বেলফুল চারা
    একটা পাতাবাহার এনেছিলাম, হয় নি, মরে গেছে।
    সকালে জল দিই, মাঝে মাঝে রবিবার পেলে
    মাটি খুঁড়ে খুরপিতে কিছু সার দিই ঢেলে।

    নতুন পাতা বেরোতে দেখলে ভালো লাগে,
    তবু মাঝে মাঝে এক একটা চারা মাঝপথে এসে
    ঝিমিয়ে পড়ে, শুকিয়ে মরে যায় শেষমেশ।

    বেলফুল গাছে কুঁড়ি এখনও আসেনি
    লেবুগাছটায় লেবুফুল, শিশু লেবু ধরেনি কখনও।
    মনে হয় সোজাসুজি মাটিতে না পুঁতলে
    আনাড়ি অযোগ্য হাতে নতুন পাতা ছাড়া
    ফুল ফল কিছুই মেলে না-
    বারান্দায় লেখা কবিতা রা যেমন
    শুকিয়ে ধুলো হয়ে বাতাসে উড়ে যায়
    ফসল ফলায় না।
  • কাছে | 233.186.41.235 | ১১ অক্টোবর ২০১৭ ১২:৩২507843
  • তোমার ভীষণ কাছেই আছি
    কাছেপিঠে, উপকণ্ঠ ঘেঁষে, ভোররাতে শুনতে পাই ঘড়ঘড় করে চলে যাচ্ছে ট্রামগাড়ী
    ভিস্তিওলা চলে যায় গলিঘুঁজি ধরে গুলের আগুন জ্বলে ফুটপাথে
    মিষ্টির দোকানে ভীড় করে চিল
    এফএমের নতুন পুরানো গান শুনতে পাই
    এইতো আধঘন্টার রাস্তা চলে গেলেই হয়
    কাছেই আছি খুব তোমার
    মনোস্থাপন হয়না তেমন ব্যস্ত এবং জটিল এবং বিষণ্ণ দিন কেটে যায়
    চায়ের দোকানে কুকুরছানা, সিগারেটটা ছেড়ে দিলেই হয়
    বৃষ্টিবাদলা হলে ফ্যাচাখেউ অবস্থা
    পুরনো বইয়ের দোকান শস্তার রুটিমাংস
    অটোরিক্সার সামনে পেছনে
    কাছেই তো আছি ইদানীঙ চলে গেলেই হয়
    আজকাল চারদিক পরিচিত মানুষেরা সহজপাঠ্য
    আসা যাওয়া সহজেই হয় এটিএম পেটিএম কতকিছু
    নতুন শহরে গিয়ে পর্দা টেনে ঘুম দেওয়া যায়
    গেলেই তো হয় এত কাছে।
    কাছেই তো আছি খুব, ভোররাতে দেখাশোনা হয় যেন
    দ্বিধাদন্দ্ব অভিমান দূরত্ব ভয় ও বিষাদগুলি ভুলে - কাছেই তো রয়েছি আমরা এতখানি।
    যখন স্পষ্ট দিনের আলো যখন স্পষ্ট হয় অন্ধকার যখন রাস্তা ঘিরে জ্বলে ওঠে আলো
    তখন গেলেই হয়, এইতো অল্পখানি পথ।
  • কাছে | 233.186.41.235 | ১১ অক্টোবর ২০১৭ ১৫:১৮507844
  • “ভালোবাসা দিতে পারি"

    কতকাল তোমার নিকটে আসি কেবলি দুঃখ বহন করে
    কতকাল তোমার নিকটে আসি দ্বিধার বোঝা নিয়ে
    তোমার নিকটে যাই একা কতকাল
    তোমার নিকটে আছে ভালোবাসা সঙ্গীত ও স্মৃতি
    তার কাছে কেবলি দুঃখ নিয়ে আসি এই অপয়া বিষাদ
    তোমার নিকটে যাই একাকী সন্ধ্যাবেলা হেঁটে
    ম্লান যখনই হয় চেনা প্রান্তর মানুষের বাড়িঘর
    গমক্ষেতে হরিণেরা আসে, ধোঁয়া ওড়ে দূরান্তে
    খামারে চাষের
    তোমার নিকটে যাই অপরের সঙ্গে যেন এড়াতে দৃষ্টিবিনিময়
    সাবধানে পারা যায়, আবছায়া ঘিরে থাকে যেন তোমারই বিপ্রতীপ।

    লীলাময়ী, এই করপুটে ঝরে যায় তোমার সকল ভালোবাসা
    শাশ্বত সহজতম দান,
    তোমার নিকটে যেতে কেবলই কাতর অপয়া এ বিষাদ
  • Ramiz Ahamed | 233.176.98.109 | ১২ অক্টোবর ২০১৭ ১২:৫৫507845
  • ক্রিয়াকষ্ট

    তরঙ্গ ইতিউতি
    অগ্রন্থিত জড়গহ্বরে
    বীজাণু মিছিল।

    একটানা মর্গসঙ্গীত
    গুঁড়ো গুঁড়ো নাভিশ্বাস
    ছড়িয়ে যায়,

    ঠান্ডা হতে হতে
    জমে যাওয়া কষ্ট,
    অসুখের গ্রাফিতি আঁকা
    দেওয়ালে,

    শীর্ষরাগ ঘেঁষে
    প্রয়োজনীয় অন্ধকারে
    মিথোজীবিদের ঝাপসা ডকুমেন্টরী
    নামছে, মগ্নছন্দে।
  • ফরিদা | ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৬507846


  • প্রেমে বিশ্বাস রাখি, সে আমাকে পথেই বসাল
    গাছের ছায়ায় যখন স্বপ্নের সুফল রসাল
    নদী বয়ে গেছে ধীরে, আজীবন ঘুরে ঘুরে
    এতদিন পরে সে কীসের খোঁজে ফিরে পথ আটকাল?

    ভেবেছি, যখন প্রায় সেরে গেছি, রোগব্যাধিহীন
    আচমকা দেখি না মেঘ, ফুলগুলি যা কী না যথেষ্ট রঙিন
    অজস্র মানুষের ভিড়ে, চেনা গানে জ্বলে হীরে
    তখনই কপালফেরে গ্রেপ্তার করেছে সে রাখবে অন্তরীণ।

    কেন প্রেম, তোমাকে কি যথেষ্ট জ্বালাতে দিইনি বলো
    মাঝরাতে জাগিয়েছ, বারবার জ্বেলে দিয়ে আলো
    অনুতপ্ত প্রণত শিরে, দিইনি কি আমার মৃত্যুবাণটিরে
    তুলে দিয়ে- প্রাণ নাও, আর একটু বাসতে দাও ভালো?

    যেমন কয়লাখণ্ড জ্বলে ক্রমে ভাবে সে হীরকজন্ম পেল
    প্রেম, যাকে ছোঁবে, ছোবলাবে, শেষমেশ পথেই বসাল।
  • ফরিদা | ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৪০507847
  • পল

    তুমি জানো জ্যোৎস্না ফটফটে হলে
    আশ্চর্য কথা বলে ওঠে গাছের পাতারা,
    তাতে শাবককে বুকে টেনে
    পক্ষীমাতারা খুশি হয়।
    নদীজলে রূপোলী রাংতা নাচে।
    জানো পল, তুমি কাছাকাছি হলে
    পৃথিবীর সব মন খারাপেরা মিলে মিশে -
    আনন্দে বাঁচে।

    আমি জানি, তুমি কিছু বলো না তো,
    তোমার অদ্ভুত দৃষ্টি,
    মনে পড়ে কিছু অব্যক্ত ক্ষত, মানুষ লুকিয়ে রাখে
    নিজস্ব গাছের গভীর গোপন সুড়ঙ্গে।
    সেই গাছ বড় হয়, ডালপালাপাতাময়,
    ভাড়াটে বসায় ক্রমে, যারা নিজের নিজের মতো শাড়িলুঙ্গিগেঞ্জিগামছাজামা বাচ্চার কাঁথাকানি
    রোদ্দুরে শুকোয়।
    পরে আর সেইসব কথাদের
    বাড়ি নিয়ে যেতে মানুষ ফেরেনা।

    তুমি সেই কথা বুকে নিয়ে নীরবে তাকিয়েছ।
    এ জ্যোৎস্নার শত প্রলোভন সত্বেও
    তুমি কখনোই সে কথা বলবে না।
  • ফরিদা | ২০ অক্টোবর ২০১৭ ১০:০৭507848
  • যথেষ্ট

    একদিন সখ্যতা ছিল, বয়সের ধর্ম -
    ছুট ছুট হরিণের পায়ে,
    দেওয়া নেওয়া করতে করতে
    দেখি আমি আর সে মুখোমুখি জেগে
    মাঝরাতে ঘটাং ঘটাং শব্দে পেরোয় নদী
    পূর্বা এক্সপ্রেস, থ্রি-টায়ার স্লিপার কোচের দরজায়।

    ক্রমে ঘর সংসার আসে, আনাচ কানাচ থেকে
    উপহারের বাক্স ভরে রাশি রাশি অতৃপ্ত বাসনা
    মেঘ করে সেইদিনে, যেদিন অফিসে কাজের চাপ
    কয়েকদিন জ্বরের পর ঘর থেকে বেরোতে পারিনা।

    দেখা আর কখনও হয় না,
    সেই নদী, সেই রাত, মুখোমুখি ট্রেনের দরজায়
    পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে এত ভাব ভালোবাসা
    কীভাবে বজায় রাখে মানুষ একটা সময়ের পর?

    আমারও যথেষ্ট’র মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়।
  • ফরিদা | ২০ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:১৩507849
  • শেষ কবিতার পরে

    আরও একটি বড়লোক বাপের
    অকালকুষ্মাণ্ড কবিতা জন্মের পর
    তেলতেলে সফল কবি দেখছেন-
    অবাধ অকুণ্ঠ স্তুতি বর্ষণে সভাস্থল পিচ্ছিল।
    তিনি তার শিশু কবিতার সঙ্গে বুকে হেঁটে
    নিজের স্মৃতির কাছে মার্জনা ভিক্ষা করেন।

    মনে পড়ে শেষ সফল কবিতাটি তাঁর
    এক বহুতল সিঁড়ির বারান্দায় পাওয়া
    যা উচ্চারণের পর সেই কবিতার সঙ্গে
    তিনি কার্ণিশ থেকে ঝাঁপ মেরেছিলেন
    স্বিধাদ্বন্দহীন, নিরাসক্ত সম্পূর্ণ নৈর্ব্যক্তিক।
    কবিতাটি তাকে পালকের ডানা দিয়ে
    শেষে এনে ফেলে এই তেলতেলে সভায়
    সফল কবিতার জন্মে, কবি ততটাই মরে যায়।
  • ফরিদা | ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫১507851

  • দুই-পা ঝুলিয়ে রেখেছে তেতলার কার্ণিশে চাঁদ
    কবিতার ছিরিছাঁদ থাকছে না,সে হা-ক্লান্ত ঘুমোয়
    চশমা মাটিতে পড়ে, চাদরটি এলোমেলো হয়ে আছে
    পাশ থেকে সরে আসি যত, ঘটেছিল আরও বিপর্যয়।

    কেন ভুল, কেন শীতকালে যাবতীয় পশম রঙিন ফুল
    ধীরে ধীরে সাজে? কী এমন কুয়াশা ঢাকা গূঢ় অভিপ্রায়
    রোদ্দুরে বেরোবে সকালে আপাতত নীল অহংকার
    প্রতিটি গাছের থেকে কীভাবে সে এত প্রেমপত্র পায়?

    ওই চাঁদ, তেতলার কার্ণিশ থেকে টুপ করে খসে যাবে
    শিশিরেই ধোওয়া রাজপথে তার জ্যোৎস্না রক্ত নীল
    মিলিয়েছে। পাতায় ঠিকানা লিখে সকাল শুরুর দিকে
    ঘুমন্ত কবিতার ঘরে হানা দেয় অপর্যাপ্ত আলোর মিছিল।

    মৃত চাঁদটির নীল রক্ত জ্যোৎস্নার সম্ভার যেন পায়ে পায়ে
    সাক্ষী দিতে এসে কুণ্ঠিত। রৌদ্রস্নাত তেতলার বারান্দায়।
  • ফরিদা | ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:৩০507852

  • যত দূরে তুমি যতিচিহ্ন গুলি রাখ,
    বাতিঘর, ডাকনাম, নৌকার খোল
    গল্পের ছেঁড়াফাটা মলাটে উতরোল
    জলদস্যু একচোখে সতত জাগ্রত।

    যত দূরে তুমি ফেলে আস প্রিয় ডাঙা
    পাটাতন বুকে চেপে সমুদ্রে ভেসেছি
    ভাড়াবাড়ি ফল ফুল বন কিছু মৌমাছি
    তাদের পাথর চোখ, ছবির কোণটি ভাঙা

    যত দূর থেকে ছোট হয়ে আসে রাত্রি ও দিন
    যত দূর থেকে গানে ভেসে আসে পৃথিবীতে
    আলো, যার আকাঙ্ক্ষাপূরণ করে দুই হাতে
    রূপকথা নাম দিলে ঝলমলে কথারা রঙিন।

    দূরে যাই ফুটো নৌকায়, ভেঙে যাওয়া হাল
    ছেড়ে দিলে ফের ফিরে আসে পুষ্যি বিড়াল।
  • kumu | 132.162.184.171 | ০১ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪৪507853
  • "দুই-পা ঝুলিয়ে রেখেছে তেতলার কার্ণিশে চাঁদ
    কবিতার ছিরিছাঁদ থাকছে না,সে হা-ক্লান্ত ঘুমোয়
    চশমা মাটিতে পড়ে,"
    সাংঘাতিক!!
  • ফরিদা | ০৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:১০507854
  • কুমুদিদি,
    থ্যাঙ্কু :)


    আমিও জলের কথা অল্পবিস্তর জানি
    অভিমানের কুয়াশা, কলেজের মেঘেরা
    সারি বেঁধে যেতে যেতে চিঠি পায় যত
    বাক্সে ভরেছি তার সব কুড়োন কানাকানি।

    নিসর্গ সঙ্কুল ভ্রমণে নদীপথ কিছুটা দেখেছি
    পাহাড়ের গায়ে জনপদ, রাতে আলো জ্বালে
    নলকূপ মেলা ঘিরে পাখিদের সাঁঝে ও সকালে
    কাকলির মর্মোদ্ধার না করে যদিও হেসেছি।

    তবু জল, প্রশ্রয় দেয়, এ দেহ নিছক ভাড়াবাড়ি
    কল খোলা থাকে, আলো জ্বলে সারা দিনমান
    নিছক বৃষ্টির দিন, প্রিয় গান শুনে শরীরী ভাসান
    কুয়োতলায় বালতির দড়ি বুঝি ছেড়ে দেবে গাড়ি।

    জলের কাছে, জল হয়ে ক্রমে কাছাকাছি আসি।
    কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টির নদী নালা কুয়ো ভালোবাসি।
  • ফরিদা | ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:৪১507855
  • বর্ষপূর্তি

    প্রকৃত হারামি জানে তারা ছাড়া বাকিরা হারামি
    যত পারে কাঠি করে আগুন লাগায় ঘরে ঘরে
    দুই চোখ কুতকুতে অশিক্ষা অবিশ্বাস্য ভাঁড়ামি
    সংক্রামক ব্যধি বাকিদের স্বধর্মে দীক্ষিত করে।

    প্রকৃত হারামি জানে তারা ছাড়া বাকিরাই ভুল
    অন্ধত্ব বধিরতা নিয়ে চালকের আসনে বসেছে
    খর জিভ শুধুই বোঝাবে বিচ্যুতি কার কত চুল
    ক্রমাগত অপপ্রচারে শুধু নিজ জয়গান গেয়েছে।

    প্রকৃত হারামি নিজের কোলেই সব ঝোল টানে
    অপব্যাখ্যা মিথ্যের ঝুড়ি বোনে তীব্র অবিশ্বাস
    যেহেতু বধির, বলে চলে কিছুই ঢোকেনা কানে
    সামান্য বিরোধীতা পেলে টেনে ধরে স্বধর্ম ফাঁস।

    প্রকৃত হারামি পৃথিবীতে আসে পাপে অমঙ্গলে
    অসন্তোষ সীমাহীন তার হারামিপনার ফলে।
  • সিকি | ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:০৬507856
  • চুমু।
  • ফরিদা | ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:৫৯507857
  • ১২
    তুমি যাকে সুস্বপ্ন বল, পদাবলী শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
    যথেষ্ট সঞ্চয় মজুত, পূর্ণিমায় সত্যনারায়ণ -
    সিন্নি মাখছে ঠাকুমা, সেই দিন টিভি চলছে না
    একটাই যন্ত্রণা আছে, কেন তার ফোন আসছে না।

    যত ঘুম বাকি থেকে যায় যে স্বপ্ন পারি নি মেলাতে
    যেখানে চেতনা পৌঁছবে, ঢের আগে হিসেব থেমেছে
    সে রাস্তা বড় দ্রুতগামী যদিও ছিলাম ফুটপাথে
    সাবধানীদের অনুগামী খাঁচা থেকে পাখি পালিয়েছে।

    পালিয়ে কোথায় বা যাবে, কমজোরি ডানা তালকানা
    যে রাত্রি ফেলে ছড়িয়েছি সারাদিনে ফিরে যাওয়া মানা।
    তবু আসে কুলপি বরফ রাতে ফেরিওয়ালা ডাকলেন
    কয়েক দশক পিছনে ঘটিপাড়া মতিলাল বসাক লেন।

    আমি তার খবর রাখি না, সেই পাড়া অধুনা অচেনা
    নারকেল গাছটাও নেই, তবু কেউ ঘুড়ি বাড়ছে না।
  • ফরিদা | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৮:৪৩507858
  • ১৩
    এক ঘুম থেকে অন্য ঘুমে আমি পাই ছুটি
    এক ঘুম অন্যটিকে জেগে ওঠা বলে
    দুই ঘুমের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ যদিও নেই তবু
    এক ঘুম থেকে অন্যতে অনায়াসে আসা যাওয়া চলে।

    একজন আরেকজনকে বলে ঘোর অবাস্তব
    একজন অন্যজনকে সূচ্যাগ্র মেদিনী ছাড়বে না
    যে ঘুমের মধ্যে আমি কাল যার হাত ছুঁয়ে থাকি
    অন্য ঘুমে সে আমায় চিনতেও চাইবে না।

    এক ঘুম থেকে অন্য ঘুমে তবু চলে যেতে হয়
    এক ঘুমে উৎসব, অন্যদিকে গরমের ছুটি
    কেউ কাউকে দু-চক্ষে দেখতে পারছে না
    মাঝরাস্তায় স্টেশনে আমি চিবোচ্ছি ডিম পাউরুটি।
  • ফরিদা | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:০৪507859
  • ১৪
    যে রাত্রি ফেরাই খালিহাতে
    যে রাত্রি ট্রেন ছেড়ে দিল
    যে রাত্রি আমি দোষারোপ শেষে
    কেটেকুটে রক্তাক্ত হল -
    ভোরের দিকে আচমকা টের পেয়ে
    ছুটে গেছি বারান্দা ধারে
    বলেছিল যন্ত্রণা চেপে
    সে আমাকে ভুলে যেতে পারে।

    আমি তাই রাত্রি জাগছি না।
    ট্রেনবাঁশি কানে আসছে না
    যে রাত্রি একলা হেঁটেছে
    তার ফোন কিছুতে ধরছি না।
  • ফরিদা | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:২৫507860
  • তিন নং লাইনে "আমি" নেই মনে করবেন প্লিজ।
  • ফরিদা | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ২০:৫০507862
  • ১৫
    অনেকের সঙ্গে দেখা হল তার সন্ধ্যায়
    আজ অনেক অনেক দিনের পর
    তারা সব কে কেমন আছে
    এই সব গল্পে ওরা মেতেছে পরস্পর।

    দল বেঁধে বসে ছিল ওরা
    বিছানায় ঘেঁষাঘেঁষি করে
    এতদিন পরে দেখা হলে খুব কাছাকাছি যারা
    ঠিক এভাবেই আড্ডাটি মারে।

    যেভাবে আচমকা এসেছিল,
    কিছু পরে তেমনিই গেল চলে
    ন্যাপথলিন গন্ধ মাখা গল্প-কথারা
    দেখা করে গেল আলমারি গোছানর ফলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন