এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৬০২৩১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্ব | 53.224.129.41 | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪০507763
  • মিডলাইফ ব্লুজ # ৩
    _____________

    যাবো বলেও টিকিট বাতিল করি,কী হবে আর
    ও মুখ দেখে , কাউন্টারের লোকটি তিরিশ শতাংশ হারে
    জরিমানা কেটে নেয় ফলত বিকেলের দিক করে মেঘ ওঠে
    হোসাহাল্লির মাঠে ,

    রতনের কাকা ডেকে বলেন দুটো খই নাড়ু
    পাঠানোর ছিলো হাত দিয়ে সেত আর হলনা কী দিনকাল, এই যদি
    সিপিএম আমল হত তাহলে এমন করে শেষমুহূর্তে টিকিট বাতিল ছি ছি , সেই

    যে ভুজঙ্গদের ছোট পিসে সেবার পঁয়তাল্লিশ মিনিটের জন্যে দেশে এসে
    ফিরে গ্যালো না কখনো, তার জন্যে সকলেই ইংরিজিতে কেঁদেছিলো , সকলেই
    বলেছিলো আর কিছু না হোক জীবেগজা বিক্রি করে তো শেষ অবধি কাকাতুয়া
    হওয়া গ্যালো নাকি , কী বলো আর্যতমা ,

    কথান্তিকা, মঞ্জুলপরিবৃতাভৃত...? তোমাদের
    নামগুলো কেন কেন ক্রমশই স্টিলেটোর শার্ঙ্গ গ্রীব হতে চেয়ে এলইডি লাইট
    হতে বিশীতল নিষ্ক্রমণ হয়ে থেকে গ্যালো ? এই সব নিয়ে কিন্তু রতনের কাকা ও
    খুড়ির অনুযোগে খামতি নেই , দিন নেই , দণ্ড নেই সিটি প্ল্যাটফর্ম জুড়ে খুঁজেই

    চলেছে , কে কখন ফিরে যাবে, সেই কিছু নেই কিছু ,পুড়ে পুড়ে শেষ হয়ে গেলে ,আমি
    সোজা উল্টো হাঁটি , খুব জোর বেঁচে আছি , দুমুঠো লঙ্কাভাজা খেতে খেতে কিনে তুরতুরে
    লাফ দিই ,

    ট্র্যাফিকে নতুন আলো , তিরিশ শতাংশ গ্যালো যাক , দ্য থ্রিল ইস গন , দ্য থ্রিল ইস গন এওয়ে ।।
  • dd | 59.207.56.153 | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৮:২৭507764
  • বিখ্যাত কবি আবার শ্ব মহিমায়। বেশ বেশ।
  • ফরিদা | ২১ মার্চ ২০১৭ ২১:১৬507765
  • শুধু দেখে যাব কত ধানে হয় কত চাল
    কতখানি স্তূপীকৃত হলে পৃথিবীর সমূহ জঞ্জাল
    উড়ে, পুড়ে, ভেসে ডুবে ধুলো হয়ে যায়।
    দূর থেকে দেখে যাই ভুল পথে যারা হেঁটেছিল
    দলবল নিয়ে, একদিন রাস্তার শেষ দেখে
    আটকিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছে বলে ভোর হয়।

    কি বললে? অলসতা, অধিকার আদায়ের কথা?
    জানি কিছু সময়ের অসীম ক্ষমতা, মিলিয়ে দেবে সে
    একদিন অনায়াসে হিসেবের কড়ি গুণে গেঁথে
    যে টুকু অতৃপ্তি থাকে তারও বেশি নিজে থেকে
    দরজায় কড়া নেড়ে ঘুম থেকে তুলে দেবে দেখো।
    আমি তাই সিনেমার মাঝপথে চেঁচিয়ে উঠব কি
    পাগলের মতো? তার চেয়ে ভালো সুসভ্য দর্শক হই
    মিলনান্তক সিনেমাটি, শেষ দৃশ্যেই জয় মনে রেখো।
  • ফরিদা | ২১ মার্চ ২০১৭ ২১:৫৯507766
  • এখনই

    এখনই কোথাও হয়ত বৃষ্টি নামছে বলে অন্য কোথাও খেলা দেখান শেষ করে জাদুকর ঝোলায় ভরছেন টুকিটাকি সামগ্রী তাঁর। সাদামাটা গুটিকয় দর্শক ততক্ষণে সরে গেলেও লিকপিকে কুকুরটা সে সব দেখছে একঠায়ে। এখনই আর এক জায়গায় ভীষণ ব্যস্ত হয়ে চা খেতে গিয়ে জামায় ফেলল, ক্যাঁচ করে বিরাট শব্দ তুলে গাড়ি থেমে গেল হঠাৎ রাস্তার ধারে জুঁইফুলের মালা বিক্রি হতে দেখে আর সেই মূহুর্তেই আর একজনের মনে পড়ল ঘরে চা পাতা ফুরিয়েছে, এদিকে চেনা দোকানে আগের দিন অনেক কথা শুনিয়েছে আর সে ধারে জিনিস দেবে না।

    এখনই বারান্দায় দেখা গেছে তাকে বলে ফুরফুরে হাওয়া দিল, অন্য কোথাও একজন আজও অফিসে আটকে গেল কাজের চাপে। এসব সত্বেও কেউ এখনই কবিতা লেখার চেষ্টা করে চূড়ান্ত বিফল, অন্যপ্রান্তে কেউ পড়তে গিয়ে বিড়বিড় করছে। তার পাশেই কেউ হিসেব কষছে, কেউ বেহিসেবী ভুল করেই চলছে। এই মূহুর্তেই সিগন্যাল সবুজ হয়ে গেল কোথাও, কেউ মুড়িতে পেঁয়াজ নেই কেন বলে বাড়ি মাথায় করে। কারও অঙ্ক অনায়াসে মিলেছে, কেউ ইতিহাস ভুলেছে, মোজা ছিঁড়ে গেছে কারোর তো কেউ আবার আজকেও মাইনে পায় নি।

    ঠিক এখনই, লেখা হচ্ছে আর হয়েই যাচ্ছে, রাস্তার কলে জল বয়ে যাচ্ছে দেখে পার্ক থেকে একটা ক্যাম্বিস বল দৌড়ে এসে তার পাশে এসে লুকাল। এখনই ফুল ফুটছে কোথাও, কেউ লাট কে লাট জঙ্গল সাফ করে দিচ্ছে। কেউ শেষ কথা স্পষ্টাস্পষ্টি বলে দিল, কোথাও প্রথম কথাটি এতদিনেও বলা হয় নি বৃদ্ধ দোকানির। সে দিকেই আজ বহুদিন পরে ঝাড়া হাত পায়ে আসছেন সেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা কতকালের পুরনো রাইকিশোরী। এখনই।
  • শিবাংশু | ২১ মার্চ ২০১৭ ২৩:১৭507767
  • তুমি মৃগশিরা
    -------------------
    আমার রোদেলা ইচ্চ্ছে সব হ্যাক করে নিয়ে গেলে। তুমি মৃগশিরা রাতের বৃষ্টি। বারান্দার ওপারে কলাবন। একান্ত সবুজের ভিতর মেরুন মোচাফুল হেন ব্যক্তিত্ব তোমার। লুকিয়ে রয়েছো। আমার জামাগুলি ভিজে গেছে। কোঁচকানো, সোঁদা, অগোছালো। তাদের কোনও মানে তৈরি হয়নি এখনও। অচেনা এপিটাফ লেখা ঢেকে দেওয়া ছাড়া কোনও কাজে আসেনি। কখনও। তোমার বিজয়ী ভব তপ্ত ব্যারেলের ধোঁয়া দেখে হাঁসগুলি উড়ে গেছে। জামায় অস্পষ্ট রক্তের দাগ। জোড়াসাঁকো সব জানে। জলের ওপারে তুমি থাকো। লালমাটি পায়ে চলা ভেজা ইঁটপাতা। টপকে যাওয়ার তাল তেওড়ার মতো। জামাগুলি পেতে দিই তোমার কাদামাখা চটির তলায়।

    বেঁচে থাকা সব হ্যাক করে নিয়ে চলে গেলে। সাইবার থানা আর নালিশ নেবেনা। শুধু বিদ্রূপ। তুমি কৃত্তিকা নক্ষত্রের বৃষ্টি। ভেবে দেখো। রোদ ছাড়া শেফালিগন্ধ ফিরবে কীভাবে....
  • nabagata | 24.139.222.72 | ২২ মার্চ ২০১৭ ১০:০৯507768
  • মাসিকে : রোগশয্যায়

    .ভীষ্ম বললেন, ``বৎস্যগণ, আমি মানুষের ভোগ্যবস্তু নিতে পারি না". তারপর তিনি অর্জুনকে বললেন,
    ``...তুমি আমাকে বিধিসম্মত জল দাও." ...অর্জুন ... পর্জন্য অস্ত্রে বাণ সন্ধান করে ভীষ্মের দক্ষিণ পার্শ্বের ভূমি
    বিদ্ধ করলেন। সেখান থেকে অমৃততুল্য দিব্যগন্ধ স্বাদু নির্মল শীতল জলধারা উত্থিত হল।
    মহাভারত, ভীষ্মপর্ব (রাজশেখর বসু অনূদিত সারসংক্ষেপ)

    এখন উদ্ভিদ-শরীর। জল মাটি হাওয়া হয়ে
    যেতে যেতে, মাঝে মাঝে স্নায়ুপ্রান্তে ফেলে-যাওয়া
    চেতনার মৃদু টানে চোখ মেলছ। নলপথে
    শরীরে যে অন্নজল অনুপান সেসবই
    বাহুল্য মাত্র। আসলে ভালোবাসা ছাড়া কোনো
    ওষধি তরল নামবে না গলা দিয়ে।
    স্বার্থের জটিল ত্বক ফুঁড়ে গভীর খননে
    হৃদয়ের উৎস থেকে যদি কেউ আনে
    সুপেয় সুগন্ধি ধারা, হয়তো শুষ্ক তালু
    ঈষৎ ভিজবে। পিপাসা যেটুকু আসলে তো
    অনাবিল অশ্রুর জন্যেই। শিথিল পান্ডুর
    ত্বকে অন্তরের শিশির ছাড়া আর্দ্রতার কোনো
    বাসনা নেই আর। যদিও জানা নেই কতটুকু
    পাবে, কম কালো জমা তো হলো না
    চারপাশে, কিমাকার নীচতার বিষ অন্ধকার
    তবু তুমি, গোধূলির আলোর বিভ্রম যেমন
    লেগে থাকে ছায়ার সীমানায়
    দেখে নিতে নিতে কতটুকু চায়
    তাকে পৃথিবী এখনো
    জাগতিক অম্লজান ফুসফুসে প্রয়োজন
    নেই আর, শিয়রে স্বজন
    যদি কেউ থাকে, আকুল নিঃশ্বাসে
    নিখাদ ভালোবাসা মেশায় বাতাসে
    সেইটুকু বুক ভরে একবার
    টেনে নেবে বলে
    এখনো আলগোছে ইন্দ্রিয়ের দ্বার
    খোলা, তারপর চলে
    যাবে। আবির ছড়ানো পথে।
    কৃষ্ণচূড়া মাথা তোলে
    ইতস্তত আকাশের ফাঁকে
    চেনা কণ্ঠের ডাকে
    শেষবার সারা দেবে, তারপর
    মিশে যাবে জল মাটি হাওয়া
    হয়ে জড় পৃথিবীতে।

    মাসিকে: হাসপাতালে
    যখন খবর আসে ফুরোতে চায় না পথ
    সাইটস্ক্রিনে দ্রুত সরে সরে যায়
    সময়ের টুকরো টুকরো ছবি
    সাদা কালো ধূসর শপথ
    অপসৃয়মান মেঘের আয়নায়

    চেতনার সূক্ষ্ম টানে ঝুলে আছে প্রাণ
    রক্তে বাঁচার ইচ্ছে হয়ে যে অম্লজান
    মিশে থাকে, ক্ষীণতর তার আয়ু
    শিয়রে যান্ত্রিক পর্দায় আঁকাবাঁকা রেখা
    সীমিত স্পন্দনে অস্তিত্বটুকু জানান
    দিয়ে যাচ্ছে, ভেতরে কোন সংবেদী
    তন্ত্রী ছিঁড়ে ঝরছে রক্ত, ভিষগ
    ও যন্ত্রের চোখকে ফাঁকি দিয়ে
    অলক্ষ্য অমোঘ এক রক্তক্ষরণ

    শুরু হয়েছিল কবে, ঠিক কতদিন আগে ?
    ছোট ছোট অবহেলা অভিমান ক্ষতে
    বাইরের ঝড়জল, শিলার আঘাতে
    যুঝেছ বিরাট বটের মতোই।
    পাতার ছায়ায় রেখেছো আগলে
    ঘরের মানুষজন। শেকড়ের গূঢ় ক্ষত
    ভাঙা ডালের আগা থেকে ঝরে পড়া
    তারল্য জমে জমে উদাসীন বল্কল।
    আমিও তো সেই কোন সুদূর আকাশে
    মাঝে মাঝে ডালে এসে
    বসেছি হয়তো, মামুলি কুশল
    বয়সী শাখায় হাসির দু একটি মুকুল
    কদাচিৎ। কখনো বাকলের কঠিন
    অভিমান। কতটা ক্ষরণ গহন শিকড়ে
    সুযোগ ছিল না জানার, এখন শিয়রে
    না বলা কথারা
    ভাষাহীন অশ্রু হয়ে, চেতনার
    ওপার থেকে দু একটি ইশারা
    চেনা কণ্ঠের ডাকে এখনো তো সাড়া
    দেয় ভ্রু, মুখ, কপালের ভাঁজ
    বাকি সব ফসিল অস্তিত্ত্ব। পাথরের নিচে
    রক্ত ঝরে ক্রমাগত রক্ত ঝরে যায়
    অদৃশ্য সূক্ষ্ম পথে সহস্রধারায়
    যেন যত জমা কথা, স্মৃতি, অভিমান
    গলে গলে মিশে যাবে
    মাটিতে আকাশে, চেতনার ঋণ শোধ দিয়ে
    তুমি এক উদ্ভিদ শরীর পাবে।
    ....
    আমরা এসেছি মাসি, পেরেছো চিনতে ?
    তোমার চোখ দিয়ে চিনেছি পরস্পর
    মায়াবী কৈশোরে, তোমার স্নেহের সেতু
    আমাদের মন থেকে মনে অগোচর
    সংযোগে জেগে ছিল বলে
    সময় উজান বেয়ে নিজেদের চিনে নিতে
    পেরেছি, নীড় বেঁধে নিতে একদিন
    স্মৃতির প্রত্যুষ থেকে রক্ত-চিহ্ন-হীন
    অক্ষত শুভ্রতার উজ্জ্বল যাপন
    আমাদের আঙ্গুল বেয়ে তোমার শিরায়
    প্রাণের দু একটি বীজ যদি রেখে যায়
    ধমনীর ক্ষতে দেবে মায়ার বাঁধন
    শেকড় জড়াবে প্রতি রক্তকণিকায়।
  • nabagata | 24.139.222.72 | ২৪ মার্চ ২০১৭ ১৩:৫০507769
  • শ্রীজাত সংক্রান্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার নিজের এই পুরোনো কবিতা তা শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো। মোদী র এক পঁচিশে বৈশাখে কলকাতা যা আসা র সময় লেখা, একটি ম্যাগাজিনে এ বেরিয়েছে আগে। গুরু তে বোধহয় তুলি নি আগে, ঠিক মনে নেই।

    ``...While lying unborn in my mother's thigh, I heard the doleful cries of my mother and other women of the Bhrigu race who were then being exterminated by the Kshatriyas. ...It was then this wrath filled my soul! My mother and the other women of our race, each in an advanced stage of pregnancy, and my father, while terribly alarmed, found not in all the worlds a single protector!...The fire of my wrath...is ready to consume the world”

    Mahabharata, Chitra-ratha Parva

    উড়িয়ে গৈরিক ধ্বজা অভ্রভেদী রথে
    ওই যে তিনি, পুরুষোত্তম , একরোখা রাজপথে

    দেখতে পাচ্ছি তাঁর উজ্জ্বল উষ্ণীসে সুমহান প্রাচীন
    প্রভাত-সূর্য, ওই তাঁর রথচক্রে গুঁড়িয়ে গেল
    অধর্মের প্রাকার; বিজাতীয় বিষাক্ত আগাছা দলিত
    মথিত, তীব্র কটু ঘ্রাণ অবশ করছে সমস্ত ইন্দ্রিয়

    প্রগতির দুন্দুভি বাজে, আবাহন শাঁখে,
    সিগনালে বন্দী সুরে, পঁচিশে বৈশাখে!

    আকাশ ছুয়েছে দর্পিত কিরীট, জ্যোতির্মন্ডলি
    গ্রাস করে নিচ্ছে সকল নক্ষত্রের দীপ্তি, ওই যে
    সপ্তর্ষিগণ একে একে লীন হলেন তাঁর অগ্নিময়
    অবয়বে, মুছে গেলেন কালপুরুষ, ধ্রুব, অরুন্ধতী
    বিগত বৈশাখী পূর্নিমায় তাঁর আণবিক তেজে ভস্ম
    হয়েছিল মৈত্রেয়-করুনার কানন, আর বাউল-কবির
    জন্মতিথি তো আজ বেছে নিয়েছেন ইচ্ছে করেই,
    দোতারার মরমিয়া সুর ছিন্নভিন্ন রথচক্রের ঘর্ঘরে;

    চরণে প্রনত জাতি, এক দেহে লীন
    পথপার্শ্বে কৃপাপ্রার্থী বাম ও দক্ষিণ

    অশ্বক্ষুরধুলি কুন্ডলী পাকিয়ে উঠে দৃষ্টি
    আচ্ছন্ন করে, ফাঁকে ফাঁকে বিদ্যুত - বহ্নির ঝলকে
    দেখা যায় দাউ -দাউ জ্বলন্ত আকাশ, সংক্ষুব্ধ নীহারিকার
    করল গ্রাসে নিক্ষিপ্ত জাত ও অজাত নারী-পুরুষ,
    যাদের বিনাশ পূর্ব-নির্দিষ্ট। কম্পমান শিখার আবছায়ায়
    ভেসে উঠেই মিলিয়ে গেল শূলবিদ্ধ পূর্বজার ভ্রুণ
    ধর্ষিতা পিতামহীর দগ্ধ শরীর, পিতৃপুরুষের ছিন্নভিন্ন
    অসহায় শব ; লোলুপ লেলিহান অগ্নির তাড়নায়
    গহন অরণ্য থেকে ছুটে বেরোনো মানুষ, খান্ডব-উল্লাসে
    তাদের ঘিরে ফেলছে হিংস্র সশস্ত্র শ্বাপদ-বাহিনী।
    আর্তস্বর ক্ষীণ হয়ে এলো প্রলয়পয়োধীজলের কল্লোলে
    বিস্মৃতির ত্রিকালপ্লাবী তরঙ্গ, সম্মোহনী বাষ্পের মত
    সুষুপ্তির প্রগাঢ় মেঘ ঢাকলো চেতনাকে। তারপর ঢেউহীন
    নিস্পন্দ সমুদ্র। মৃত-মীনাক্ষী আকাশ। দৈবকণ্ঠে ওম শান্তি।

    দিকশুন্য প্রাণশূন্য এ ভুবনে কোথায় ধরাবো
    জাতিস্মর ক্রোধের দহন, সজীব উন্মাদ ঘৃণা

    সলিলে ডোবালে বাড়বাগ্নি হয়ে মাথা ফোঁসে
    আকাশে ভাসালে ফেটে পড়ে বজ্রগর্ভ মেঘের আক্রোশে
    ধরিত্রীর সহিষ্ণু বুকেও তোলে কম্পন নাগিনীর রোষে।

    ক্রোধের আঁচ থেকে ওম ধার নেবে
    গর্ভিণী সময়, সতর্ক মশাল জ্বেলে
    বিজন দ্বীপে, থাকব অতন্দ্র প্রহরায়
    যেখানে দগ্ধ অতীত পুনর্জন্ম চায়
    নাড়ি ছিঁড়ে বেরোবে এক আগ্নেয় সত্তায়।
  • ফরিদা | ২৪ মার্চ ২০১৭ ২২:১৩507770
  • মিসতুতো ভাই

    আজকেও এসেছিল, উঁকি দিয়ে ফিরে গেছে
    যেখানে সবাই যায়, জানি এতক্ষণে গেছে জমে
    পাথরের গুহার ভেতরে, নিরেট পাথর হয়ে যেন
    অভিমানে  শক্ত হয়ে, যখন পড়েছে মনে ক্রমে।

    এত দিন এত বছরের পরে জানি
    সেই এক জায়গায় চাপ চাপ হয়ে জমে থাকে
    আমাদের ভুলে যাওয়া প্রেমের কাহিনি-
    অথবা এখন যেমন কিছু কবিতার লাইন।
    তার সঙ্গে আলাপ জুড়েছে যেন আচমকা
    ভুলে যাওয়া গ্রাম, নদী গল্পের বইটির নাম,
    গত বসন্তের অবকাশে সেই জায়গাটি  সদলবলে
    যেখানে খেতে গেছিলাম। মনে করি পিছু পিছু যাই-
    অভিমানে পৃথিবীর এককোণে মিলে মিশে থাকে
    ভুলে যাওয়া গুলি পরস্পর বন্ধুত্বে মিসতুতো ভাই।  
  • ফরিদা | ২৬ মার্চ ২০১৭ ০৬:১১507771
  • ইতিহাস ও জীবন বিজ্ঞান

    আমাদের ইতিহাস পড়াতেন জীবন বাবু
    অথচ শান্তিবাবু জীবন-বিজ্ঞান।
    একটা বয়স্ক সবুজ সোয়েটার ছিল জীবন বাবুর
    আস্তে আস্তে হাঁটতেন, ক্লাসে এসেই প্রশ্ন করতেন
    প্রায় সবাইকেই। ইতিহাসের এক কথার প্রশ্ন
    না পারলে স্বল্প শাস্তি, পর পর ক-দিন না পারলে
    পেটে চিমটি পাওয়া যেত।
    একটু ভয় ভীতি ছিল, তাই বোধ হয়
    ইতিহাসের ওই তিন চার পাতা পড়া থাকত
    না থাকলে স্কুলে গিয়ে পড়ে ফেলতাম
    নির্ধারিত ক্লাসটির আগে।
    স্কুল শেষ হয়ে গেল। শুনলাম জীবন বাবু মারা গেছেন
    ভয় ভীতি হীন স্বাধীন ইতিহাস আর মনে নেই খুব
    সে এখন অনেক বদলে গিয়েছে।

    শান্তিবাবু ক্লাসে আসতেন চারটে চক নিয়ে।
    শক্তিশালী মানুষ, ক্লাসে এসেই বলতেন -
    “বাবারা, বুঝলে বিষয়টা একেবারে মাথায়
    ঢুকিয়ে দেব। বাড়ি গিয়ে একবার পাতা ওল্টালে
    দেখবে আর সারা জীবনেও ভুলবে না। “
    তারপর ক্লাসের বাকি সময়টায় ওই চারটে চক
    ক্ষয়ে যেত। আর পুরো ব্ল্যাকবোর্ডের জুড়ে থাকত
    সেই ক্লাসের পাঠটুকু। খাতায় তুলতাম।

    এখন দেখি সত্যিই মনে থাকে জীবন-বিজ্ঞান
    অনায়াসে আমাদের শান্তি কালীন সময়ে
    আর জীবন বিমুখ হলে দেখেছি ক্লাস হবে না জেনে
    ইতিহাস প্রায়শই বদলিয়ে যায়।
  • ফরিদা | ২৬ মার্চ ২০১৭ ০৭:৪৯507773
  • ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবক

    সেই ভাষা যতক্ষণ শিখি-
    কেউ আলো জ্বেলে বসে থাকে শরীর অভ্যন্তরে
    ঘুম নেই, বিশ্রাম নেই তার, আমার যাবতীয়
    দরকার, অদরকার খুঁটিনাটি হাতের কাছেই
    সে মজুত করেই রাখে।

    এদিকে অক্ষর, প্রকরণ, ব্যবহার বিধি ব্যাকরণ
    বিজ্ঞান ও ভাষাটির ইতিহাস নির্দয় শিক্ষক যেন
    অমনোযোগীতা দেখলেই ক্ষেপে যান,
    শাস্তি বিধান দেন - “আগামী সাত দিন থাকো ভাষাহীন”।

    তাই যতটুকু পারি, লড়ে যাই, সাঁতরাই, হাবুডুবু নাকে মুখে
    লোনা জল ঢোকে
    অথবা পাহাড়ের চড়াই বেয়ে দৌড়ে উঠতে হয়
    ফুসুফুস ফেটে গেলেও।

    তবু জানি, সেই একজন আলো জ্বেলে ভাত বেড়ে
    অপেক্ষায় থাকেন- আমি যতক্ষণ সেই ভাষা শিখি
    হাঁটু মুড়ে একঠায় ভয়ানক নির্দয় কবিতাটি লিখি।
  • ফরিদা | ২৬ মার্চ ২০১৭ ১২:২৯507774
  • ভয়

    শুধুমাত্র অসুস্থ মানুষ ও মাতালদের বলতে শুনেছি
    “আমি ঠিক আছি, কিছুই হয় নি”।
    এক নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে যখন বলতে শুনি বারবার
    “জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্য হবে না” -
    বাড়ছে কাঁপুনি।

    এমন তো নয়, এর আগে কেউ এ কথা বলে নি-
    এর আগে আস্ফালন দেখায় নি কেউ, এতটা ক্ষমতা-
    ভয় কেঁপে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষ সার্বভৌম
    সাতান্ন বছরের কাঠামোটি-
    তার হাড়ের দুব্বো চিবোয় গো-মাতা।
  • ফরিদা | ২৭ মার্চ ২০১৭ ২১:৫৮507775
  • পাখি

    আসলে প্রতিটি পাখি, তোমারই রচিত
    ভোরবেলা, তুমি চেয়ে দেখেছিলে বুঝি
    তারা গুলি অদৃশ্য হল, শূন্য লেগেছে বলে
    সঙ্গীত হলে কিছু ভালো হয়, ভেবেছিলে
    তখনই করতে চাও আকাশটি রত্নখচিত
    ভাবি পাখিগুলি, একে একে তোমার রচিত।

    সেই সব পাখিদের জন্যই গাছ এঁকেছিলে
    ডালপালা, পাতার আশ্রয়, কীটপতঙ্গগুলি
    চলাচল করে, ধীরগতি, খাদ্য সুলভ হয় তার।
    কাছাকাছি জলাভূমি, পাখিরা আয়না দেখে
    উড়ে যেতে যেতে স্বাদ বদলের জন্য সাঁতরায়
    সীমাবদ্ধ মানুষ, সব লিখে রাখে ডানায় ডানায়।
    উড়ে যায়, গান গায়, দোল খায় ওরা সচকিত
    পাখি মনোমুগ্ধকর, প্রতিটি সযত্নে তোমার রচিত।
  • শ্ব | 53.224.129.61 | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:৪১507776
  • সাংসারিক #১১
    ~~~~~~~~~

    পুরনো বইতে ঠাসা , অগোছালো ,
    কোণ ভাঙ্গা সিডি
    ("কেন প্রেম দিলে না প্রাণে") আর
    "সহজ ডাম্বেল চর্চার
    নয়টি মুদ্রা" নামে বইএর মাঝে, পোড়া-

    মোমবাতি হয়ে,
    সেই কবে থেকে, শেলফের দক্ষিণে রাখা ।

    কবে তা মনেও পড়ে, বইখানা
    এবাড়ি আসার পথে কেনা, তখন
    ফুর্তি কত । আর সিডি..টা কোনো এক
    কুঁটুদি প্রদত্ত, থাক, তাকে নিয়ে চর্চা করা মানা।

    তারপর,

    কত রঙ্গীন মোমের দল এলো,
    কত দীঘল মোমের খাটো ছায়া ; আজকাল
    আবার, মোমে ভারী গন্ধ দেওয়া থাকে,
    আজকাল আবার
    মোমবাতি কিনলে সাথে কেক ফ্রি, একটুকরো চেরি

    দূর থেকে দেখি, সব,
    জিজ্ঞেস করলে বলি : না ভয় করে
    না, ভয় করবে কেন ?
    এত মোমবাতির ভীড়ে এক
    পড়ে থাকা টুকরোমাত্র, খরচাতেই
    পোষাবেনা । লোকটা রসিক, হাসে, হেসে ফ্যালে ।

    শুধু পাওয়ারকাট হয় যখন,
    মানে ওই প্রথম ক' মিনিট, সামান্য
    সময়, তবু, লোকটা হঠাত খুব অন্ধ হয়ে
    যায়, আর দেশলাই খুঁজে পায়না, আর মোমবাতি
    খুঁজে পায়না আর হাতড়াতে থাকে অন্ধকার, পরিচিতি..

    ওইটুকু মিথ্যে ভয় পার
    করে দিলে, আর চিন্তা নেই, শেল্ফের
    দাক্ষিণাত্যে, অজানা কুঁটুদি সঙ্গী, তাঁর মুদ্রাদোষ,ডাম্বেল...আশ্বাস ।।
  • nabagata | 24.139.222.72 | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১০:৩৯507777
  • চাঁদিপুর
    নিজেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিয়েও রেহাই মেলে না বড়ো ক্লান্তিতে তেষ্টায়
    ছাতি ফেটে যায় তখন দূর থেকে আবছা স্মৃতির মতো হাওয়ায় নোনা সুবাস আসে
    দিগন্তে অপেক্ষার দু এক পলক বেগুনি আভায় জেগে উঠেই মিলিয়ে যায়; ততক্ষনে
    কোলাহল থামে বাঁধানো চাতালে কয়েকটা ঘুমন্ত কুকুর আর বেওয়ারিশ ছাগল ছাড়া
    কেউ নেই নোনা হাওয়া গড়িয়ে গড়িয়ে শেষ ঘাটের একটু আগে থমকে দাঁড়ায়। জল
    আসে না অতদূর। ছায়ার হাত টেনে লম্বা করেও নাগাল পায় না। আজ সব অন্যরকম।
    জল বেড়েই চলেছে ঘাট ডুবছে একে একে ফেনার উদ্বাহু সাহসী ডাক চাতাল ছাড়িয়ে
    উঠে আসছে শেওলা মাখা ঝিনুকের মুখ খুলে অন্ধকারের নেশা ধরানো নিজস্ব ঘ্রাণ

    বাতিস্তম্ভ থেকে নেমে এল জল ছুঁলো, এই প্রথম, অথচ যেন জন্মের চেনা সমুদ্র-শরীর
    ডুবতে ডুবতে ভাসতে ভাসতে প্রত্যাগত জলের সাথে ঢেউয়ের গায়ে মাথায় ফেনার মতো
    জড়াতে জড়াতে আলো নিজের সুপ্রাচীন উৎসের দিকে বয়ে চলে গেলো।
    ছায়াটিকে চাতালে ফেলে রেখে পরিত্যক্ত বস্ত্রের মতো
  • nabagata | 24.139.222.72 | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১০:৪০507778
  • চাঁদিপুর
    নিজেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিয়েও রেহাই মেলে না বড়ো ক্লান্তিতে তেষ্টায়
    ছাতি ফেটে যায় তখন দূর থেকে আবছা স্মৃতির মতো হাওয়ায় নোনা সুবাস আসে
    দিগন্তে অপেক্ষার দু এক পলক বেগুনি আভায় জেগে উঠেই মিলিয়ে যায়; ততক্ষনে
    কোলাহল থামে বাঁধানো চাতালে কয়েকটা ঘুমন্ত কুকুর আর বেওয়ারিশ ছাগল ছাড়া
    কেউ নেই নোনা হাওয়া গড়িয়ে গড়িয়ে শেষ ঘাটের একটু আগে থমকে দাঁড়ায়। জল
    আসে না অতদূর। ছায়ার হাত টেনে লম্বা করেও নাগাল পায় না. আজ সব অন্যরকম।
    জল বেড়েই চলেছে ঘাট ডুবছে একে একে ফেনার উদ্বাহু সাহসী ডাক চাতাল ছাড়িয়ে
    উঠে আসছে শেওলা মাখা ঝিনুকের মুখ খুলে অন্ধকারের নেশা ধরানো নিজস্ব ঘ্রাণ

    বাতিস্তম্ভ থেকে নেমে আলো জল ছুঁলো, এই প্রথম, অথচ যেন জন্মের চেনা সমুদ্র-শরীর
    ডুবতে ডুবতে ভাসতে ভাসতে প্রত্যাগত জলের সাথে ঢেউয়ের গায়ে মাথায় ফেনার মতো
    জড়াতে জড়াতে আলো নিজের সুপ্রাচীন উৎসের দিকে বয়ে চলে গেলো।
    ছায়াটিকে চাতালে ফেলে রেখে পরিত্যক্ত বস্ত্রের মতো
  • nabagata | 24.139.222.72 | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১০:৪৩507779
  • দুটো পোস্টেই প্রথম লাইন ব্যাড পরে গিয়েছিলো। এইটা সঠিক ভার্সন, আগের দুটো প্লিজ ইগনোর করুন

    চাঁদিপুর

    আজ জল বড়ো অন্যরকম। রোজ বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে জেগে থাকা শুরু হয়
    নিজেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিয়েও রেহাই মেলে না বড়ো ক্লান্তিতে তেষ্টায়
    ছাতি ফেটে যায় তখন দূর থেকে আবছা স্মৃতির মতো হাওয়ায় নোনা সুবাস আসে
    দিগন্তে অপেক্ষার দু এক পলক বেগুনি আভায় জেগে উঠেই মিলিয়ে যায়; ততক্ষনে
    কোলাহল থামে বাঁধানো চাতালে কয়েকটা ঘুমন্ত কুকুর আর বেওয়ারিশ ছাগল ছাড়া
    কেউ নেই নোনা হাওয়া গড়িয়ে গড়িয়ে শেষ ঘাটের একটু আগে থমকে দাঁড়ায়। জল
    আসে না অতদূর। ছায়ার হাত টেনে লম্বা করেও নাগাল পায় না. আজ সব অন্যরকম।
    জল বেড়েই চলেছে ঘাট ডুবছে একে একে ফেনার উদ্বাহু সাহসী ডাক চাতাল ছাড়িয়ে
    উঠে আসছে শেওলা মাখা ঝিনুকের মুখ খুলে অন্ধকারের নেশা ধরানো নিজস্ব ঘ্রাণ

    বাতিস্তম্ভ থেকে নেমে আলো জল ছুঁলো, এই প্রথম, অথচ যেন জন্মের চেনা সমুদ্র-শরীর
    ডুবতে ডুবতে ভাসতে ভাসতে প্রত্যাগত জলের সাথে ঢেউয়ের গায়ে মাথায় ফেনার মতো
    জড়াতে জড়াতে আলো নিজের সুপ্রাচীন উৎসের দিকে বয়ে চলে গেলো।
    ছায়াটিকে চাতালে ফেলে রেখে পরিত্যক্ত বস্ত্রের মতো
  • nabagata | 24.139.222.72 | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ১৬:৩৮507780
  • হৃদয়ের বিন্দু বিন্দু রক্তের মূল্যে
    একেকটি দিন কেনা
    স্বার্থের কুটিল মুঠি থেকে
    মুখোশ সরে গিয়ে ক্রমশ অচেনা
    হয়ে উঠছে চারপাশের মুখগুলো
    হৃদয়ের সরল প্রত্যয়ে যেসব
    সম্পর্কের ছবি, এমনকি ধুলো
    ঝেড়েও দেখো নি, এতো বিশ্বাস
    অথচ লোভের সর্পিল নিশ্বাস
    গোপনে ঢেলেছে বিষ
    আত্মপর ক্ষুদ্রতার বেড়া দিয়ে
    তোমাকেও ঘিরেছে অহর্নিশ

    বাইরের উদার আলো থেকে
    বিচ্ছিন্ন করেছে তোমাকে
    সন্তর্পনে, মিথ্যের জাল বুনে
    দখলে রাখতে তোমার রাজ্যপাট
    মাড়াতে দেয় নি চৌকাঠ
    তাদের, যারা রক্তের ঋণ
    বহন করেছে চিরদিন
    ওরা সতর্ক পাহারা
    বসিয়েছে তোমার চেতনায়
    যেন উদারতা, ভালোবাসা
    আলো-হাওয়া না পেয়ে মরে যায়
    দু একটা স্ফুলিঙ্গ সহসা
    উড়ে এসে ঝামেলা না বাধায়

    বোধহয়, চলে যাওয়া ভালো
    এতো কম হৃদয়ের আলো
    কুমীরের চোখের মতো মেঘ
    নেহাত না হলে নয়, তাই কালো
    আসলে বেহায়া অপেক্ষায়
    দেহ থেকে কখন বিদায়
    নেবে চেতনার রেশটুকু
    তারপর, হাত পা ঝাড়া ফুরফুরে
    শরতের নিশ্চিন্ত নির্দায়
    অকরুণ আকাশ, আন্তরিক আলো
    জ্বলে না যেখানে, এইবার তাই
    চলে যাওয়া ভালো
    প্রকৃত অশ্রু যেটুকু ঝরেছিল
    তার সোঁদা গন্ধের রেখায়
    চরণের চিহ্ন ফেলে
    জানা নেই, জেনে গেলে
    কিনা, ফুলমালা ছবি নয়
    হৃদয়ের দীপ জ্বেলে
    সাজাবে তোমার স্মৃতি
    কেউ কেউ, কোনো গৃহকোণে

    ভালোবাসা, স্নেহ প্রীতি
    আজ নয়, কোনো একদিন
    পেয়েছিলো বলে, যারা রক্তের গহীন
    বীজ বুনে দেবে কচি দূর্বাঘাসে
    এই আশ্বাস টুকু ফুসফুসে নিয়ে
    মিশে যেও অমল বাতাসে।
  • ফরিদা | ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ১০:০৭507781
  • ১৫ই এপ্রিল, পয়লা

    না হয় ভ্রমণে বেরোই আজ, মাপসই ঘুরে আসি, দেখি
    প্রতিটি জুতোতে, দেখি কারটি তে পেরেক উঁচিয়েছে
    কোনটি বা ফোসকা এনেছে?
    হয়ত যেতেও পারি দেখে নিতে পৃথিবীকে প্রতি চশমায়
    কার ডাঁটি আলগা হয়ে ঝুলে পড়ে নাকে
    আচমকা লেখার সময়ে? কোনটি তে কোন রঙ আছে
    সুচতুর গোপনে তার ভিতরের কাচে?

    সে সবই দেখব আমি, মানব-ভ্রমণ কাহিনি বিশদে লিখব, কপালে থাকলে প্রকাশিত হবে তা পত্র-পত্রিকায়।
    তারও আগে একবার ঘুরে যাব প্রিয় বন্ধুর বাড়ি

    খালি পায়ে, বিনা চশমায়।
  • শিবাংশু | ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ২১:৩৮507782
  • চৈত্র'তমাম
    --------------------
    হে গতবছর, তুমি কি উৎসন্নে গেছো? তবে আমার নৌকোয় এসো। ঋণ নিয়ে অভাগীর স্বর্গ লিখেছো কখনো? বাসনায় ভস্ম লোশন দিয়ে আগুন মুছেচো গ্র্যানাইটে?

    যাবে, তাই অন্য চশমা পরেছিলে। যার কাচ কিছু ধূসর। আগুনে পোড়েনা। হঠাৎ মাচার থেকে একরাশ তমিস্রা, মানে অন্ধকার ঝরে আঁধার করেছে। কী ভেবেছো, জুড়িগাড়ি সওয়ার নিয়ে রেডি। ব্যথাবেদনার দিন শেষ। পূর্বমেঘ ভেবে দেখো। বিনিদ্র উৎসবরাতি কাটিবে বিরহ শয়নে। উৎসন্নে গিয়ে দেখো, তৃতীয় উল্লাসে শান্তিজল।

    যে অহং নিয়ে গুহাবন্দি হতে হলো প্রিয়তমে ডোম্বিনী আমার, তার কথা ভুলে যাবে? মনে রেখো বিকল্প খুব মাপা। সকালের কান্নারব বিকেলে স্তব্ধ মেঘমালা। এসব খেয়াল রেখো। আমার নৌকোয় আজ বহাল হয়েছে ঈশ্বর পাটনী। কমল ও কামিনী নিয়ে আমার সংসার। যদি যেতে চাও, তৈরি থেকো। শাকপাতা, ধানচাল, কাঁঠাল ও সিন্দুক।

    যাহা আছে নিয়ে যাবে উৎসন্নপুর। হয়তো সোনার ধানে ভরে যাবে সব খালি স্পেস। কূলে একা বসে রবে... শুধু নাহি নাহি।
  • b | 135.20.82.164 | ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ১৫:১৪507784
  • দোলপূর্ণিমা
    -------------------------
    কাঁধের নিচে ঠান্ডা আঁচিল ছোটবেলায় খুঁটলে বিরক্ত হত খুব নদী ভাঁটার টানে সরে গেছে অনেকটা দূরে জল আনতে কাদা মাড়িয়ে যেতে হবে ফ্রেঞ্চকাট দাড়িতে মুখটা জব্বর মানাতো কালই বোধ হয় শেভ করেছিলো অধৈর্য্য একজন টাগরায় শব্দ করে ইস আরেকটু আগে এলে শুক্লাচতুর্দশীর অন্ধকারে কয়েকটা অবোধ্য সংস্কৃত কথা হারিয়ে যায় ঐ তো ওপাশে একটা কল আছে পায়ে কাদা লেগে গেলে ধুয়ে নেওয়া যাবেখন ঠান্ডা হাওয়ায় গায়ের চাদর সরে সরে যাচ্ছে আহাঃ পাটকাঠিগুলো কিছুতেই জ্বলতে চায় না দেওয়ালের পাশে গিয়ে ধরাও একলা মুখটা এতো শান্ত কেন দরজা বন্ধ হবার দমাস শব্দ হবে রবিবাবুর গানগুলো ফোঁপরা বাচালতা যেরূপ সুগতকথিত আর্য্যসত্য অশোকসর্ষপ।
  • শ্ব | 53.224.129.50 | ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:৪০507785
  • যখ # ৫
    ~~~~~

    পাথর কুরে কুরে হাওয়া ,
    হাওয়ার মধ্যে সাপ,আমরা
    দুধকলা ঘিরে বসলুম উঠোনে,আর

    সাতটা বেগনি টিয়া উড়ে গেল কিড
    স্ট্রিট জঙ্গলের দিকে ,

    রেলপাতালের সিঁড়ি,
    প্রত্যেকটা লোক নাবার
    সময় আমাকে লাথি মেরে যাচ্ছে,তুই কানে

    ঢেলে দিচ্ছিস : এতদিন একসঙ্গে থাকার পরেও
    শহরটাকে কীরকম ভয় করে , জানো !

    শেষ মেট্রোর পেট , আমি ফোন
    নাম্বারের দুটো ডিজিট

    ভেবে বল্লুম ,

    আর ইয়াহু আইডিটা
    তুই চেক করিস না বহুকাল ;

    শুধু হাওয়ার মধ্যে সাপ .. শুধু হাওয়ার মধ্যে সাপ ।।
  • শ্ব | 137.0.0.1 | ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ১১:১৬507786
  • প্যাকার্স এন্ড
    ~~~~~~~~

    বাড়ি থেকে কিছু দূরে
    ছেড়ে আসা বাড়ি পড়ে থাকে ,

    উঠোনে তপ্ত ঘাস, বালকের
    হাতে কেও
    আতাবীজ ছড়িয়ে গিয়েছে ,গত

    মনসুনে, না কী আরও আগে ,
    হলুদ বিকেলে কোনো ফ্রেজাইল
    টেম্পোলা হাঁক পাড়ে, আর কতো
    মাল , দাদা
    ভাড়া তো ডবোল হবে , তাকে বলি

    ধীরে,

    এ লেখা আমার নয় , পরস্ব প্রণয়
    বোঝো ?
    নিতান্ত শব্দ তন্তু জাল, বহে যেতে

    হবে বলে, যেমন বিকেল গলে তরলিত
    অন্ধকারে মেশে,যেমন
    অন্ধ এসে কা ত র তা স্পর্শ্ব চায়,

    সেইরূপ

    নয়াবাড়ি গড়ে ওঠে
    আমাদের যকৃতের ধারে, ওপাড়ার
    অগ্রদানী, এপাড়ার যজ্ঞভাগ নেন, তাকে
    বলি এইসব ; এই ঝিম কথা

    যদিও

    ষণ্ণবাক প্রৌঢ়দের ইয়ারানা যুগধর্ম
    নয় , যদিও পেট্রলপ্রতি
    তিন পয়সা কুঞ্জ পায় , দেড়টি
    কুসুম পেয়ে থাকে, অতঃপর

    মধ্যরাতে,

    সকলে হোটেলে ফেরে ,
    টেম্পোরাল দু বাড়ির মাঝে -

    বাড়ি থেকে কিছু দূরে,

    উঠোনে তপ্ত ঘাস জুড়ে , বালকের মৃদু
    হাতে কেও যেন আতাবীজ ছড়িয়ে রেখেছে ।।
  • ফরিদা | 181.78.206.215 | ০৫ মে ২০১৭ ০৭:২৩507787
  • ফুটপাথে কুটনো কোটা ফেলে ছুটে যান মা।
    ছোটোটি একা আছে আজ,  ঝুপড়িতে।
    ঘেমো বাসে গজগজ করে ওঠেন নীল ফতুয়া মাঝবয়সী ব্যবসায়ী,  
    মুটে পাওয়া যাবে না। আজও শালা গস্তের দিনে এন্তার গ্যাঞ্জাম।
    ট্রাফিক পুলিশ আচমকা ছাউনির দিকে হেঁটে চলে যান।
    অচিরেই জ্যাম লেগে যাবেন বলে বাস ড্রাইভার
    গতি বাড়িয়ে পার করতে চান রাস্তার সংকীর্ণ গিরিখাত।
    এসি বন্ধ করে কাচ নামালেন অফিসবাবুটি-
    যদি বেলফুল পাওয়া যায়, সুগন্ধ মনে পড়ে-
    বৃষ্টি পড়লে ভেজা ভেজা এজমালি জলছাত।

    কালবৈশাখীর ঠিক আগে রঙ বদলান দ্রুত জোড়াসাঁকো -
    বৈশাখ এলে মনে পড়ে তুমিও এখানে থাকো।
  • ফরিদা | 11.38.4.11 | ০৫ মে ২০১৭ ০৮:২৭507788
  • লেখ তুমি, মানুষের কাছাকাছি যখন সুসংবাদ আসে
    অযাচিত সারেঙ্গিবাদক। তুমি দেখ তার গৃহকাতরতা
    ছিঁড়ে খায় চিঠির বাক্সগুলি। সাধারণ নীল রঙা জামা
    পরা ক’টা লোক দেখেছিলে আজ রাস্তায় সারাদিনে?
    ক’টা ঘরে আলো জ্বলছিল? খাঁ খাঁ ঘরে পাখা একা একা
    লেখ তুমি, যতক্ষণ আলো, যতটুকু শোনা যায়, দেখা।

    আসলে শব্দ বড় একা নিজস্ব গুহায় বসে বহুদিন
    দেখেছে সে হিমযুগ পার হয়ে শ্যাওলা জন্মাতে গায়ে
    ক্রমে বন্য জন্তুরা এল, আদিম মানুষ আগুন জ্বালালেও
    তখনও সে উচ্চারণ রহিত, বস্তুত অর্থহীন। ভাষা এসে
    তাকে বাইরে ডেকেছে, যেখানে উৎসব তখন, দূরদূরান্ত
    থেকে শব্দ এসেছে। সারাদিন ঘুরে ঘুরে সে কি কোনো
    নিজস্ব সঙ্গী পায়? নাকি দলে ভিড়ে আমাদের মতো
    অফিসে বাজারে যায় ভিন্ন পোশাকে? তুমি লেখ তাকে।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০৮ মে ২০১৭ ০১:০৩507789
  • তুল্লাম।
  • nabagata | 24.139.222.72 | ০৮ মে ২০১৭ ১৪:১৪507790
  • সমান্তরাল রেখার সংজ্ঞা দু ভাবে দেয়া যায়
    এক, যারা কখনো মেলে না, আর দুই,
    যারা শুধু অসীমেই পরস্পরকে পায়।
    আসলে এ দুটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রকল্প
    দ্বিতীয়টি বেশি প্রচলিত। পথ চলতে চলতে
    দূরে দৃষ্টি স্থির, ঐখানে অদেখা অন্তিম
    দুপাশে ভ্রুক্ষেপ না করে হেঁটে গেলে
    অভিসারী পথ চরিতার্থতা ছোঁবে
    অথচ, যত দূরেই যাওয়া হোক অসীম
    অলীক উপহাসের মতো সমান অধরা
    পক্ষান্তরে, অন্য সংজ্ঞাটি মেনে নিলে
    স্বতঃ চোখ চলে যায় দু ধারের প্রান্তরে
    গন্তব্য নয়, পথকেই আপন করে নিলে
    মাটির মৃদুতম কম্পনও টের পাওয়া যায়
    পথ ছেড়ে অনায়াসে হারিয়ে যাওয়া যায়
    ঘাসের নিরালায়, মেঘের নির্লিপ্ত চলনে
    বিষন্ন সবুজ পুকুর ঘাটে গোড়ালি ডুবিয়ে
    বসে থাকা যায় সারাবেলা। মেঠো রাস্তা
    ধরে আল ধরে সোঁদা হাওয়ায় উন্মনা
    বেভুল হেঁটে যাওয়া যায় একটানা।
    যাওয়ার ঠিকানা নেই জেনে চলার
    প্রতিটি মুহূর্তকে স্পর্শ করে থাকা যায়
    আঙুলে জড়িয়ে নিয়ে প্রতিটি ঘাসের শিশির।

    যাবতীয় গাণিতিক ও ভৌত নিয়মের মতো
    সমান্তরাল রেখা বিষয়ক ধারণা এভাবেই
    আমাদের জীবনের দিক নির্ণয় করে থাকে।
  • ফরিদা | ১৭ মে ২০১৭ ১৮:৪৮507791
  • প্রচুর প্রবন্ধ দেখি চারপাশে স্বাভাবিক চলাফেরা করে
    অফিস কাছারি যায়, কাজ সারে,
    মৃদু রাজনীতি প্যাঁচ খেলে টেলে বাড়ি গিয়ে
    গেরুয়া আলখাল্লা গায়ে সাধু হয়ে যায়।

    গল্পেরা স্কুলে কলেজে যাতায়াত কালে যথেষ্ট রঙিন।
    ভাষা বদলায় তারা প্রায় রাত্রি পোহালে, ভালো লাগে
    আবেগ ও কিছুটা বিস্ময় মিশ্রিত ঘৃণা ভালোবাসা ভয়।
    কিছুটা প্রগলভতা থাকে বটে, যদিও তা খুব বেশি
    পাঠক্রম বহির্ভূত নয়।

    আরও লেখালেখি থাকে, খবরের কাগজে -
    সেই এক থোড় বড়ি খাড়া হয়ে দোকান দিয়েছে দেখি
    মিটিঙে মিছিলে মেলা পার্বণে এরা ভিড় করে খুব
    এদের জ্বালায় ওঠা দায় অফিস টাইমে বাসে ট্রেনে।

    এছাড়াও শহরে কিছু গাছ থাকে, ধুলোমাখা পার্ক
    ভাঙা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে রাখে কিছুটা জঙ্গুলে জমি
    নিয়ে ইঁটখসা ঢিপি - এক প্রাজ্ঞ মরচে ধরা লৌহদুয়ার।
    একটা অপ্রয়োজনীয় আখাম্বা আকাশ-
    গল্প প্রবন্ধের পরও চাই অবকাশ
    পৃথিবীর শেষপাতে যে রোজ একটি কবিতা দরকার।
  • ফরিদা | ১৯ মে ২০১৭ ১৫:৪৯507792
  • কার অন্নজল কেড়ে খাই আমি
    দু’হাতে ছড়াই কার কষ্টার্জিত উপার্জন
    কার ভিটে মাটি চাটি করে ধুলো মাখি গায়ে সারাদিন,
    ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠি, তবু
    কে আমার চুলে বিলি কাটে –
    কে সেই প্রত্যক্ষসূদন?

    যতদিন আমি হেঁটে গেছি এই পৃথিবীতে
    নিকোনো উঠোনে দাগ পড়ে
    এলোমেলো কোদালে পায়ের ছাপ
    ঘেঁটে ঘেঁটে ঘোলা করে ফেলেছি যত
    স্বচ্ছ পুষ্করিণীর জল ভালো লাগে বলে –
    যাবতীয় জলজের বিরক্তি জাগিয়ে মারি ঝাঁপ
    কীসের অভ্যাসে ?
    তবু কেউ টুঁ শব্দটি করে নি – শুধু ভালোবেসে?

    তবু দেখি প্রতি ভোরে পাখি ডাকে, যেন তার সুস্বপ্নের সুখ
    ঘোলা জল থিতোলেই হরিণেরা আসে দল বেঁধে
    অপেক্ষায় থেকে সন্ধ্যায় দেখবে তার মুখ।

    জানি, আমি লোক ভালো নই, কেড়ে খাই –
    অযথা দুষিত করি পরিবেশ ও তৎসংলগ্ন সমাজ
    শাস্তি পাই না – বরং সর্বংসহা তুমি মুখ টিপে হেসে যাও -
    না হয় বকলে একটু, না হয় ডাকলে কাছে আজ।
  • ফরিদা | ১৯ মে ২০১৭ ২২:০৭507793
  • তবুও চমৎকার এই চেয়ে থাকা
    নির্জন প্রান্তরে যাযাবর কুঁড়ের সামনে
    টাট্টু ঘোড়ারা চরে,
    আজকে আকাশে মেঘ, তাই ঘাস ছায়া মাখা
    বিস্তীর্ণ নদী অববাহিকায় কী ভাবে স্নিদ্ধতা ধরা পড়ে?

    আমাদের প্রিয় অবকাশ, বিষাদের গোপন কারণগুলি
    বুঝি ওই কুঁড়েঘরে থাকে?
    নিজেরাই ভেঙে দেয়, ফের নিজে নিজে গড়ে।
    যেভাবে পৃথিবীতে নানা ভাঙা গড়া চলেছিল
    এমনই কিছু নদী বাঁকে বাঁকে।

    তবে আমাদের ঘরে অজান্তে বাস করে
    অন্যের বিষাদসমূহ? পরস্মৈপদী সুখস্মৃতি চিঠি?
    আমাদের ঘোড়াগুলি আনন্দে ঘাস খায় ভেবে
    সারাদিন খেটে যাই- যাযাবর মানব প্রতিটি।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২০ মে ২০১৭ ০৪:২৪507796
  • আহ, অপূর্ব ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন