এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৪৬১৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ২২ মে ২০১৭ ২২:৫২507797
  • যেহেতু বেতনভূক সর্বোপরি নিকটজন নিতান্ত উন্মুখ
    অতএব বাঁচিয়ে চলতে হয় নির্ধারিত একমাত্র সলতে কে
    ঘাড় নেমে গেলে দেখা যায় বুকের সামান্য খাঁচা, পেট
    অদূরে দারোয়ান বসান গেট, ধুলিসাৎ বিপ্লব অভিপ্রায়।
    মাঝখানে স্বল্প বাগানে মরশুমি ফুল নিয়মিত সার জলে
    মাথা তোলে, দুলে পড়া শেখে স্কুলের জামা পড়া ছেলে।

    যেহেতু বেতনভূক, ল্যাজ নড়ে ডাইনে ও বাঁয়ে, প্রতিটি কথায়
    কুনকুনে অম্বুলে ভয় চাপা দিতে মৃদু টোকো হাসি সাজান
    নিজস্ব মলাট। সাধারণ ললাট দইফোঁটা মঙ্গলে ফললাভ হেতু
    কুণ্ঠায় মৃতবৎ থাকে। মাঝে মাঝে ঠারেঠোরে চোখে দেখে
    রাস্তার ধারে গাছগুলি গত শীতে নিস্পত্র হলেও বেঁচে যায়।
    কিছু যাযাবর তাঁবু টাঙিনে দিন কয়েক তামাশা দেখিয়ে গেল
    সে বেতনভূক, জানে আজ মার খেয়েছিল যারা মিছিলে গেছিল
    ভাবছিল, তবে কি আদর্শ এখনও জীবিত বলেই সংঘাত হয়েছিল?
  • ফরিদা | ২৩ মে ২০১৭ ০৭:৫৪507798
  • যেভাবে আপ্লুত হয় মাটির শরীরগুলি নবধারাজলে
    শোণিতে বিদ্যুৎপ্রবাহ এলে, আলো জ্বলে-
    যেভাবে ভাঙছে ঢেউ বারবার সৈকতে সৈকতে
    সকালের দিকে বুঝি বা উদ্বেল হয় সেই আলো পেলে।

    গভীরে নক্ষত্র থাকে, অদৃশ্য পর্দানশীন
    মানুষের চাওয়া পাওয়া গুলি আজও-
    যেন শুধুমাত্র তাঁরই ইচ্ছার অধীন।
  • ফরিদা | ২৩ মে ২০১৭ ০৮:২৯507799
  • দেওয়ালেতে পিঠ ঠেকে গেলে
    সে দেওয়াল সামনে ঠেলবে
    এই কালরাত্রি পোহালে-
    কথা দিন, দিন বদলাবে।

    শাসকের শিং খুর দাঁত
    যতই তীক্ষ্ণতর হবে
    শোষিতের প্রতিটি আঘাত
    কথা দিক দিন বদলাবে।

    কথা দিন, দিন বদলাবে
    কাস্তে ও হাতুরির শ্রম
    লাঠিগুলি খসেই পড়বে
    ইতিহাসে লেখা কালক্রম।
  • ফরিদা | ২৩ মে ২০১৭ ২০:১১507800
  • ঠিকানা জানি না

    কী এক আশ্চর্য কৌশলে সন্ধ্যা নামলে
    রঙিন পতাকা- পোশাকগুলি খসে গিয়ে মানুষেরা
    নিজ নিজ সাদা কালো বাদামী হয়ে যায়।
    তখন যে যার বাড়ির দিকে পা
    ফাটা মাথা, কালশিটে শরীর কারো বা রক্তাক্ত গা
    ঘরে ফেরে নির্জনে মানুষেরই বাবা, মামা মাসি পিসি মা।।

    কী এক আশ্চর্য কৌশলে তাপপ্রাবাহ দীর্ঘায়িত হলে
    কোথা থেকে কালো কালো মেঘ জড়ো হয়?
    ঝড় তোলে ক্রমে, রাজপথে সবলে আছড়ায়
    খুঁড়ে যায় মাথা - স্লোগানের ঝঙ্কারে নেচে ওঠে পা।
    বৃষ্টির ফোঁটাগুলি, কালো কালো মেঘের জঙ্গল
    নি:শেষিত হয়ে বুঝি সন্ধ্যায় নির্জনে ঘরে ফেরে?

    আমি তার ঠিকানা জানি না।
  • ফরিদা | ২৪ মে ২০১৭ ২৩:২৯507801
  • এত জল এই পৃথিবীতে, এত সাদা পাতা
    এতখানি ঘাসের স্থিরতা মানোমুদ্ধকর লাগে -
    কিশোর হরিণের কাছে, বিশ্বাস করতে পারে কি সে
    এত স্নিগ্ধতা সত্বেও আশেপাশে কেউ ওঁত পেতে আছে?

    তাই ভয় থাকে অভিজ্ঞ দলনায়কের-
    সে শুধু সন্ত্রস্ত হয়ে তাকিয়ে রয়েছে ঠায়
    নিকটবর্তী ঘন হলদেটে ঘাসের জঙ্গলে
    ঠাহর করতে চায় বিচ্যুতি সামান্য পাতাটি নড়লে।

    তবু লেখা হয়, লেখাগুলি ভাঙে আর গড়ে
    গোধূলির সোনারং ঘাসে এসে পড়ে-
    দেখে পাখিরা ফিরছে, জঙ্গল সঙ্গীতমুখরিত
    কিশোর হরিণ একা একা দূরে চলে যায় বলে
    কবিতাটি আশঙ্কা-জনকভাবে জীবন বহির্ভূত।
  • ফরিদা | ২৪ মে ২০১৭ ২৩:৩২507802
  • এত জল এই পৃথিবীতে, এত সাদা পাতা
    এতখানি ঘাসের স্থিরতা মানোমুদ্ধকর লাগে -
    কিশোর হরিণের কাছে, বিশ্বাস করতে পারে কি সে
    এত স্নিগ্ধতা সত্বেও আশেপাশে কেউ ওঁত পেতে আছে?

    তাই ভয় থাকে অভিজ্ঞ দলনায়কের-
    সে শুধু সন্ত্রস্ত হয়ে তাকিয়ে রয়েছে ঠায়
    নিকটবর্তী ঘন হলদেটে ঘাসের জঙ্গলে
    ঠাহর করতে চায় বিচ্যুতি সামান্য পাতাটি নড়লে।

    তবু লেখা হয়, লেখাগুলি ভাঙে আর গড়ে
    গোধূলির সোনারং ঘাসে এসে পড়ে-
    দেখে পাখিরা ফিরছে, জঙ্গল সঙ্গীতমুখরিত
    কিশোর হরিণ একা একা দূরে চলে যায় বলে
    কবিতাটি আশঙ্কা-জনকভাবে জীবন বহির্ভূত।
  • ফরিদা | ৩১ মে ২০১৭ ১৮:৫৪507803
  • কেন ক্ষোভ, বুভুক্ষা নিয়ে মাংশপিণ্ডগুলি
    হাঁটে চলে কথা কয়, আবহাওয়ার খবরও বলে?
    যেন ইতিহাস প্রবণ ঈর্ষারা বেড়াতে এসেছে
    ঝাঁটা চেপে উড়তে উড়তে এইখানে শূন্য দেখেছে।

    বহু নদী মরে গেছে, কত ভাষা, কারখানা বন্ধ হলে
    দরজা বন্ধ করে সপরিবার ফলিডল গেলে-
    কার সেই আশ্চর্য বাড়িগুলি, নিকোনো শহর থেকে
    শবদেহ খুঁজে পাওয়া গেল অগণন
    কার কাছে ধার ছিল যথেষ্ট সৌহার্দ্য আমার
    অনাবিল আশীষ চুম্বন?

    কত দিন বাঁচে মানুষেরা দূষিত সন্ত্রস্ত হয়ে অনৃতভাষণে
    অন্তত সহনশীল এক চারাগাছ রোপণ করব ইহজীবনে
  • সিকি | 158.168.96.23 | ০১ জুন ২০১৭ ১৬:২০507804
  • তুললাম।
  • b | 135.20.82.164 | ০২ জুন ২০১৭ ১১:০৭507805
  • একদিন সমস্ত শব্দগুলি ফিরে আসবে, পুরনো বন্ধুর মত হাত বাড়িয়ে দিগন্তজোড়া মাঠে নীলসাইকেল এনে বলবে চল বৃষ্টির সুরঙ্গ বেয়ে চলে যাই , ইলশেগুঁড়ি রোদে ভিজে আলস্যির লম্বা টানা বারান্দা পোষমানা বেড়ালের মত ঈশ্বরীর পুরনো গির্জা থেকে ভুলে যাওয়া বিলিতি তরুণ কবির একাকী ঘন্টাধ্বনি ছোটোবেলার সাতটা চল্লিশ এমন আপন কেহ নাই।
  • nabagata | 24.139.222.72 | ০৫ জুন ২০১৭ ১৩:২৬507807
  • বৃষ্টিরা সব জানে। কেমন করে ঝড়ের রাতে
    শরীরের দ্বার খুলেছিলো, অযাচিত বাদল
    দিনের প্রথম কদম হস্টেলের ছাদে
    তোমার গলায় `` কোথায় যে উধাও হলো "

    তারপর, গনগনে কঠোর রোদের বেলা
    স্মৃতিকণা বাস্প হয়ে মিশে ছিল মেঘে
    অন্য কোনো তীরে ঝরেছিল, হয়তো জেগে
    ছিল স্বপ্নের শিয়রে, সুপ্তির গভীরে
    .... .... ....

    আর এক বাদল রাতে, প্রবাসী আকাশে
    শ্রাবনের ধারাপাত যেখানে অচেনা
    এসেছিলো মেঘে মেঘে সঘন গহন
    বৃষ্টির মতোই তোর গলা দুরভাষে

    বেজেছিল, ``এখানেও নেমেছে বরষা"
    সাগর পেরিয়ে আসা সেই ঝড়জল
    জেনেছিলো আমাদের মনের অতল
    সেঁচা, তখন অস্ফুট, ভালোবাসা।

    .... .... ....

    বহুদিন পার হয়ে, জানালায় আবার
    ঝড় দেখা সদ্য-কিশোরী চোখ আত্মজার
    ঈষৎ পাল্লা খোলে, অমনি বৃষ্টিরা
    চোখে চুলে মাখামাখি, মেঘের ইশারা

    জাগায় বিদ্যুৎ, `` বাবা, আমি বুঝে গেছি
    ঝড়কে করবো মিতা এ গানের মানে "!
    বাইরে দামাল হাওয়া, আমাকেও গানে
    পায় , ``চিত্ত আমার হারালো" , মনে আছে ?

    তোমাকে প্রথম শোনা আমার এ গানে ?
    বৃষ্টিরা মৃদু হাসে। ওরা সব জানে।
  • b | 135.20.82.164 | ০৫ জুন ২০১৭ ১৩:২৭507808
  • এভাবে শব্দরা নামে। পুরোনো বাগান, বইয়ের শেল্ফ, দরজা জানালা, খোলা রাখা যাবে না আজ। ত্রস্ত পিঁপড়ের সারি ক্লান্ত চোখের কোণায় আশ্রয় খোঁজে। আজ পাখিদের ফিরে আসার দিন ছিলো, ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে যায়, কখন কিভাবে যেন আমাদের ঘরে, খাটে বিছানায় , মোজাইকের মেঝেতে রাত সাড়ে তিনটেয় সাইরেন বাজিয়ে শেষতম অ্যাম্বুলেন্সের মত ঢুকে পড়ে ভাদ্রমাসের কোটাল, চোখে, মুখে, বুকে ভরে যায় জল। ভাঙনের তীরে ঘর, কিবা ফল
  • ফরিদা | ০৫ জুন ২০১৭ ২২:৩৩507809
  • প্রেম, শুধু কাহিনী নির্ভর

    হরিদ্রাভ সভাঘর থেকে ঘণ্টাধ্বনি ভেসে আসে বলে
    আমরা কিছু উৎসুক ঘটনাপিপাসু নড়েচড়ে বসি
    তখন পাইন বনের দিক থেকে বাতাস উঠবে জানি
    ঠিক মাঝপথে বৃষ্টি নামবে বলে কথা বলা ছিল যেন
    তাতে কিছু মুখ চাওয়াচাওয়ি, দোষারোপ ছিল পরস্পর
    সব কথা পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে নেই, প্রেম শুধু কাহিনী নির্ভর।

    আমরা ফিরেছি তাও বহুদিন হল, ইত্যবসরে পিচঢালা
    রাস্তারা চওড়া হয়ে ছুটিয়েছে গাড়ি। পাইনের সারি
    পিছু হেঁটে পাহাড়ের দিকে চলে গেছে, সেই সব সভাঘর
    পরিত্যক্ত হতে গিয়ে অগম্য এতদিনে। তবু ঘন্টাধ্বনি
    বেজে ওঠে আজ পথপার্শ্বের দোকানে দোকানে, ফোনে।
    কলকাকলিতে মুখরিত অধুনা উন্নত পাহাড়ি শহরতলী
    শিরা উপশিরা অলিগলি বেয়ে অন্ধকারে খুঁজে পায় ঘর
    পাইনের বনে ঝড়। প্রেম যেন আজকেও কাহিনী নির্ভর।
  • ফরিদা | ০৬ জুন ২০১৭ ২২:৫৬507810
  • কাকতালীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক

    প্ল্যাটফর্মে বসে থাকা প্রতিটি ইঁদুর জানত
    কিছু দেরি হবে তবু একসময়ে তিমিমাছ আসবে
    তাদের সবাইকে গুণেগঁথে শান্তিতে নিয়ে যাবে গ্রামে
    আগত উৎসব দিনের সামান্য আগে।

    হা পিত্যশ করে বসে থাকা কাকগুলি জানত
    তিমিমাছ ইঁদুর খেয়ে যা বর্জ্য উৎপাদন করবে
    তাতে তার মামা খুড়ো পিসেশ্বশুর সমেত
    অধস্তন অষ্টআশি প্রজন্ম দেঁড়েমুশে কুচকুচে হবে।

    এদিকে প্রতিটি পোকামকড়েরা চিরবিশ্বস্ত ছিল
    মেদবহুল কাকগুলি টুপটাপ খসে পড়বে
    অনন্ত জ্যোৎস্নায় পাকা ফলের মতো
    তলতলে উষ্ণ স্বাদু চলচ্ছক্তিরহিত।

    সেই কথামতো তিমিমাছ আসে, বারংবার।
    কিছু দেরি হয় বটে, তা ঠিক
    যেহেতু কথাগুলি কাকতালীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক।
  • শিবাংশু | ০৯ জুন ২০১৭ ১১:১৭507811
  • তুমি মেঘ
    ------------------
    তুমি কি অমিয় মেঘ? ধারাপাত বইয়ে তোমার একটা কবিতা লেখা ছিলো। পিছন মলাটে, পেন্সিলে । তুমি আরশির সামনে নিবিড়। ভাসান বৃষ্টি ভেবে রাস্তায় নেমেছো কতোবার।
    তখন কোথায় ছিলে? অথচ তোমার ছবি । চশমায় আলো নেভে। সনাতন রাত্রি যেন পরবাসে মরুজ্যোৎস্নার মতো শাদা। তুমি কি মেঘ কিম্বা একাকী উৎসব।কখনও লিখেই দ্যাখো। লাইকের অভাব হবেনা।
    নিরন্তর প্রিজমবন্দি আলো বেঁকে গেছে গুলাবি তোমার আঁখেঁ। এভাবে কবিতা হয়? বাংলায় ধক কম। ক্যানভাস ছেঁড়া হাওয়াকল যেন। ধ্বসে যায় বসন্তসমীরে।
  • শ্ব | 53.224.129.60 | ১০ জুন ২০১৭ ০২:০১507812
  • বৈড়াল # ১৪
    ~~~~~~~~

    অথবা বিড়াল যদি জলতলে দেখে ফেলে
    হাঁড়িমুখ , দুচোখের নীল ?

    ঝাঁঝালো পুলের মাঝে
    প্লাস্টিক পদ্ম জেগে ওঠে ?
    এগারো তলার লাশে
    বুদবুদ কেটে যায় কানাঘুষো সূর্যমুখী ভাষা !

    এসব হয়না কিছু , দীর্ঘতম আলো আর আলেয়ার
    পিছু হেঁটে হেঁটে , অন্তত বিড়াল জানে -
    কিছু নয় , জলখেলা , বাকি সব এই রোদ এই জল..মায়া ।।

    বৈড়াল # ১৬
    ~~~~~~~~

    নবান্নের দিন গেলে
    পাকা ধানে উঠে আসে মই

    উষ্ণতার কথাগুলি
    ঝুল পড়া বারান্দায়
    ক্যাকটাস হয়ে বেঁচে থাকে ,

    যদিও ভিতরে
    কোনো মাছ নেই , তবু কাঁটা দৃশ্যমান রেখে ,
    শ্রান্ত মার্জার ওঠে , গলিতহস্ত যোগ আজ ।।

    বৈড়াল # ১৭
    ~~~~~~~~

    আলো চলে গেলে আমি অন্ধকার
    হাতড়িয়ে থাকি । তোমার মতই ;

    টর্চ জ্বালতে ভয় হয় , বিড়ালের
    অনির্বাণ চোখে -
    যতটুকু আলো , এসিড কি জানে তার কথা ?

    তুমিও জাননা , তবু আলো কে
    জ্বালাতে হয় , পথ আসে

    পথ যায় , দিনান্তে যার যার ক্রুশ ।।

    বৈড়াল # ১৮
    ~~~~~~~~~

    বড় সাধ শফরীবিলাসে
    বড় ঘুম মাঠময় আলো

    গোল টেবিলের চাঁদ, ঘিরে রেখে
    নিয়নের অর্থ চেনালো,

    স্বপ্নে মুদ্রা দোষ ,
    বিনিময় তামাদি কড়ির ;
    দ্বিখন্ড ঘড়ি

    আর কাঁটা বেছে গ্রহণের তাড়া -
    আজকে মত্স্যমুখী , নিমন্ত্রিত বিড়ালের পাড়া ।।
  • সিকি | ১২ জুন ২০১৭ ১৭:৩৭507813
  • ফরিদার কবিতা, ১৭ই মে-র দেশ পত্রিকায়।

  • | ১২ জুন ২০১৭ ১৭:৫৪507814
  • বাহ বাহ।

    সিকিকে কটা নকুলদানা দাও
  • ফরিদা | ১৫ জুন ২০১৭ ০৬:৪৪507815

  • সীমা দেখলেই কেমন একটা পেরোই পেরোই ভাব হয়, না থাকলে হয়ত অনেক আগেই থেমে যেতাম আচমকা জলার ধারে ফড়িংটি উড়ন্ত দেখে। ধুলো বালি নেচে ওঠে বলে দেখেছি সূর্যালোক দৃশ্যমান হয়।


    ট্রাম শব্দটার একদিকে জীবনানন্দের কবিশরীর পাকাপাকি রঙের মতো লেগে থাকে। ট্রমা মনে পড়ে। মনে পড়ে উড়ন্ত ফুটবলগুলি সকালে গড়ের মাঠের ঘাসে নেমে আসে মহাশূন্য থেকে।

    ৩,৪, ৫…...
    যে কাপটায় গত বছর খানেক চা খেয়েছি সেটা ভেঙে গেল গতকাল। শুরুর কয়েক দিনের পর তাকে আলাদা করে দেখিই নি। আজ থেকে অন্য একটা কাপ বরাদ্দ হল। বদলের রেশ দিন তিনেকের বেশি থাকে না। শূন্যতা গিলে খাওয়া মুশকিল।
  • শ্ব | 53.224.129.50 | ২৭ জুলাই ২০১৭ ০৪:৩৮507816
  • যখ # ১৭
    ----------

    বিকেলের আলোয় মারওয়া ,
    তসরের ডেডবডি বেড়চ্ছে
    কমোলা উঠোন জুড়ে ; আর তুমি
    কবিতা লিখছো মঞ্জরীদের বাড়ি ,

    আমার পায়ের তলায় মেঝে , মেঝের
    তলাময় ডিসি ফ্যান ,
    শেষ যেবার জেট প্লেন আছড়ে
    পড়লো আমাদের ছাদে ,

    তোমার মনে আছে ?

    পাইলটের কথা বলছিনা , সেতো
    সত্যেনের ছোটমাসিমণি, তবে জঙ্গল
    জুড়ে ছড়ানো সেই আগুন ? আর এরোপ্লেন
    গলানো কড়াই , ডাবু হাতা ,
    লুচি ভাজার ঝাঁঝরি
    আর খৈ আর উদোম হাওয়া আর খৈ আর
  • ফরিদা | ২৭ জুলাই ২০১৭ ১৮:০১507818
  • ফ্যাসিস্ট ঈশ্বর

    ঈশ্বর আসলে ফ্যসিস্ট
    কাউকে পাত্তা ফাত্তা দেন না বিশেষ
    খেয়ালের ঘোরে স্তরে স্তরে জীবজন্তু পশুপাখি
    গাছপালা, মানুষকে বানিয়ে কিছুক্ষণ ধরে দেখে টেখে
    কোথায় একটা কেটে পড়েছেন।

    মাঝে মাঝে আসেন, ঘুরে টুরে দেখেন মনে হয়
    টফি বেলুনের মতো উজবুগ রঙিন পাখি টাখি আনেন
    ইচ্ছেমতো আকাশের বোর্ডে রংপেন্সিল ঘষেন
    পরে বৃষ্টির জলে ধুয়ে দেন।

    মানুষের লাভ ক্ষতি আনন্দ দু:খগুলি স্পর্শ করে না তাকে
    অনেকটা বিখ্যাত কবিদের মতো -
    যাদের অসহ্য সুন্দর কবিতারা বাতাসে উড়ে যায়,
    ঝলমল করে তারপর টুপ করে খসে পড়ে গায়ে ধুলো মাখে।
  • ফরিদা | ২৭ জুলাই ২০১৭ ১৮:০৮507819
  • ফ্যাসিস্ট ঈশ্বর

    ঈশ্বর আসলে ফ্যসিস্ট
    কাউকে পাত্তা ফাত্তা দেন না বিশেষ
    খেয়ালের ঘোরে স্তরে স্তরে জীবজন্তু পশুপাখি
    গাছপালা, মানুষকে বানিয়ে কিছুক্ষণ ধরে দেখে টেখে
    কোথায় একটা কেটে পড়েছেন।

    মাঝে মাঝে আসেন, ঘুরে টুরে দেখেন মনে হয়
    টফি বেলুনের মতো উজবুগ রঙিন পাখি টাখি আনেন
    ইচ্ছেমতো আকাশের বোর্ডে রংপেন্সিল ঘষেন
    পরে বৃষ্টির জলে ধুয়ে দেন।

    মানুষের লাভ ক্ষতি আনন্দ দু:খগুলি স্পর্শ করে না তাকে
    অনেকটা বিখ্যাত কবিদের মতো -
    যাদের অসহ্য সুন্দর কবিতারা বাতাসে উড়ে যায়,
    ঝলমল করে তারপর টুপ করে খসে পড়ে গায়ে ধুলো মাখে।
  • nabagata | 24.139.222.72 | ২৮ জুলাই ২০১৭ ১২:০৩507820
  • তবে কি কবিতা কেবল
    বেদনার পথ চেয়ে জাগে ?
    গাঢ় রক্তে কলম ডুবিয়ে
    উঠে আসে একেকটি অক্ষর ?

    আনন্দ, উড়ে যায় মেঘের পালকে ?

    বহির্মুখী উড়ানে উদ্বেল, কলস্বরে
    পরিযায়ী হাঁসের মতন
    সংহত শব্দের নীড়ে
    ধরা দিতে চায় না সহজে

    বেদনাও, সেরকম ভারী হলে নেমে আসে
    অতলান্ত জলে
    বোধের উপরিতলে
    শব্দ, ধ্বনি, চেতনার আওতায়
    সামান্য পৌঁছায় তার গহন ঢেউ

    সময়ে সয়ে আসে, ক্ষয়ে আসে
    পাষাণের ভার, তীক্ষ্ণদন্তী মাছের মতন
    যন্ত্রণার ধার কুরে কুরে খায়
    মাংসল স্মৃতির আদল

    তখন সে বাচিক প্লবতায়
    বোধের সীমায় ভেসে ওঠে

    পক্ষান্তরে, আনন্দও অপার লঘুতায় ভেসে
    অবশেষে, প্রাবৃট-প্রগাঢ় চোখে চেনে
    জলের শান্ত ডাক, ফেনার মুকুটে
    উদ্বাহু বেদনার পাশে সহৃদয় নেমে আসে
    আকাশ ও জলের স্পর্শকরেখায়
    সস্মিত প্রভার মতো কবিতা জন্মায়
  • ফরিদা | ৩০ জুলাই ২০১৭ ২২:০৭507821
  • কথা হবে, আগে অস্ত্র সম্বরণ হোক।
    প্রতিটি কাঠি করা ওপরচালাকদের অসভ্যতাগুলি
    প্রকাশিত হয়ে কাঁপিয়ে দিক যুদ্ধবাজ কুতকুতে চোখ।

    ঘুম থেকে জেগে উঠুক চেতনারা, আর গলে যেতে থাক
    মুখ থেকে মুখোশেরা, যাকে পৃথিবীর লোকে -
    এতদিন মুখশ্রী বলে জেনে এসেছে।
    আগে পরশপাথরেরা বাটনা বাটা শিল নোড়া হয়ে থাক।
    অথবা রাস্তা তৈরি করুক।
    আর সেই প্রতিটি রাস্তা বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যাক।

    শুধু গোলাপের বাগিচা নয়, প্রতিটি বুনো ঝোপঝাড় জঙ্গলে
    বেড়ে ওঠা নাম না জানা কিশোর কিশোরী ফুল
    প্রতি বর্ষায় পর্যাপ্ত জলটুকু পাক।

    কথা হবে পরে, আগে একসঙ্গে রান্নাটি হোক
    সীমান্তের কাঁটাতার দিয়ে জমাটি পাঁচমিশালি চচ্চড়ি।
    প্রতিটি মানুষের মঙ্গল ছাড়া কিছু নয় তেমন দরকারি।
  • ফরিদা | ০৪ আগস্ট ২০১৭ ২৩:২৯507822
  • ১৩

    ফের তবে চাঁদজন্ম হোক আমাদের
    পাশাপাশি ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিশ্চিহ্ন হলে তো
    তারারা ফুটবে আকাশে জুঁইকুঁড়িদের  মতো।

    ফের যদি বটচারা হই, তুমি ভাঙা কার্ণিশ ঝুটমুট
    মুঠোয় আঁকড়ে ধরি, মায়ের আঁচলের খুঁট।
    অবেলায় ঘরে নেমন্তন্ন করে বসি
    পায়রা ও শালিখের ছানা-
    তুমি কি একটু ভাত বেড়ে দেবে না?

    অথবা দিঘির জল সুসময়ে ঘাটের চারটে সিঁড়ি
    ঢেকে দেয় অনায়াসে। ঢেউ দিলে খুশি হও তুমি
    পথের বৃষ্টিজল ঢেলে দিলে দোল শুরু হয়।

    কবিতা পঙক্তির এ মাথা থেকে ও মাথার সীমাবদ্ধতায়
    আমাদের বহু জন্মজন্মান্তর কেটে যায়।
  • শ্ব | 53.224.129.43 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ০৩:১০507823
  • ~

    অধুনা চঞ্চল আছি অসাবর্ণ ঘুর্নাবর্ত ওড়ে জেতবনে -
    কে আর দাঁড়ায় এসে অনাহত চন্দ্রিকায় হেথা , এইখানে

    কে আর মধ্যযামে অন্ধ, কার পথে ফেরে সদ্য কেতকী
    ঘন এ ঘুমের ঘোর, কোজাগর, ঘুম নেই ঘুঙুরে সচকি'

    ঝিরি জল ফিরি অলা অন্ধ বাতাস ঘোরে আলোতে গলিতে
    তানক ধীরনা ধীর, ঈত ঈতত ধীম তি তাতে তিততে

    আলো জল কালো জল জলৌকা চলিয়াছে হৃদয় প্রাকার
    সেকি জানে এই রূপ, কী তার কৃতি বা কারু, কী তার আকার !

    ঋ তে রে নোম তিন দুই এক ঘিরি ঘিরি কালাচে রুমাল
    সজলে সজল থাক, জলে নীল ,লাল মদে রাজপথকাল ;

    দশদিশ জলময় , চতুর্দিক জলাক্রান্ত ,জলাজলসার
    তাকে বলো না আসতে কখন কী ভেঙ্গে পড়ে মাথায় আবার !

    যদিচ শীতল , তবু শান্ত নয়তো এই মহা জেতবন ; সেকি
    জানে শ্যামদেশ, বর্ণঘুম, কোথা হতে কথা হয়, কে জাগে কখন

    অধুনা চঞ্চল আছি, শব্দসম্ভব , তবে ভীষণ বুখার
    সে বরং দুরে থাক , যেইমত : ডুবজলে ওফেলিয়া , ধূসরের বন ।।
  • Ramiz Ahamed | 233.191.0.119 | ২৭ আগস্ট ২০১৭ ১৯:৫০507824
  • সাবলীল

    সিদ্ধান্ত

    চিত্তির বিচিত্তির
    সিদ্ধান্ত গাঁথছো ইশ্বরের কাঠামোয়
    চেয়ে দেখো, বৃহন্নলার রঙিন শব
    করতালি দিয়ে চলেছে
    আকাশের প্রাচীন ক্ষতে
    পথঘাট গলে যাচ্ছে
    না ভিজে সেরে ওঠার ভণিতায়
    শিরা উপশিরাদের অভিশাপে।

    প্রেত

    চ্যাটচ্যাটে পরমাত্মার শুদ্ধিকল্যাণ
    হয় , প্রেতপুরুষের অন্তরীক্ষ
    গলাধঃকরণে
    আমেজ খোঁড়া ক্ষীপ্ত পেশীর
    ঘাসহীন মসৃণে,
    দৃঢ়চেতা হওয়া বারবার
    পোড়ামোমের সহনীয় ছ্যাঁকায়
    যোগিনীদের সম্মোহিত আর্তনাদ ফুঁড়ে উঠলে
    শূন্যঅঙ্ক ধারাস্নান খায় ।
  • জিজি | 127.194.201.190 | ৩১ আগস্ট ২০১৭ ১৬:৪৬507825
  • বর্ষাসংসার

    ১.
    মেঘেদের গোলবৈঠক।
    আলোচনা- গা ঘেঁষাঘেঁষি কফিতে,
    স্মৃতি নরম হলে দু'মিনিট নীরবতা পালন করে সখীচুল।

    চিরুনির দাঁতে দাঁতে জটলা, কথা কাটাকাটি, সংখ্যাপ্রদর্শন
    এপারে সীমন্তরেখা আগল, ঘুম ঘুম ফাঁকা।

    মধু আর ডিম, ডিম আর লেবু
    পেয়াঁজের খোসা খোসা এগোই জীবনে, মৃত্যুমুখী জীবন, সাদামাঠা জীবন, বিষাদসিন্ধু জীবন।
    এই ধ্যানসুন্দরী, বর্ষা তো তুই
    মুখ ফেরাস না, হিংসুটে নিষ্ঠুর!

    ২.
    দড়িতে দড়িতে দুঃখ আটকে আছে
    বিষণ্ণ মোড়কে, স্থবির।
    মধুমেহ সন্ধ্যা, সেল্ফি সন্ধ্যা, একা একা
    অতিমানবীয় সজ্জা
    সব লেপ্টে আছে ভ্যানিটি কোলাহলব্র্যান্ডে।

    বর্ষা রে তুই শ্রাবণশ্রেষ্ঠ
    এসব জড়ানো দুঃখের কথা নাইবা ভাবিস।

    বরফসোহাগে দুঃখ গাঢ় হোক
    গুছিয়ে বিছিয়ে পাট পাট তুলে রাখবো ঠিক
    কেয়ারি ধামাচাপায়।

    ৩.
    কোলনের নীচে কমা পেতে পেতেই
    এ ভরা বর্ষায় পা ডুবে যায়।
    বাড়িগুলো ঘর হয়
    ভেসে যাবার অছিলায়।

    আমরা দুঃখবিলাস করি
    মেকিহাসি শাড়ি-দুলে
    আমরা তীব্র রাবীন্দ্রিক হই একদিন, এই ঘোর বর্ষায়।
  • ফরিদা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২১:২০507826
  • অপরাধী ফেরে একবার অন্তত নিজস্ব ঘটনাস্থলে
    ভালো লাগা গানের কাছে এলে মানুষ ডানা মেলে
    স্মৃতিসরণীতে সাবলীল ফেরে শোনার প্রথম ক্ষণে।
    বর্ষার দিনে জল ভাঙতে ভাঙতে, আবছা দৃষ্টিতে
    দেখা যায় ছোটবেলা টিনছাত জুড়ে ধারাবিবরণী।
    জ্বরজ্বালা এলে মনে পড়ে জলপটি বিশল্যকরণী।

    যেতে যেতে থমকালে, ফিরে ফিরে আসা যাওয়া চলে
    দোকানে বাজারে হাফপ্যান্ট রেশনের ব্যাগ ভারে নত
    গত বিকেলের ফুটবল হেতু গোপনীয় ক্ষত, ফুলে উঠে
    ব্যথা বেড়ে গেলে লুকিয়ে রাখতে হয় স্বাভাবিক চলে।
    অথবা প্রেমের শুরু আড়াল আবডালে মনে মনে রচিত
    কথোপকথন গুলি নিতান্ত কাঁচা হাতে নির্মিত কুঁড়েঘর
    বড়রাস্তার ধারে দ্রুত সরে যেতে দেখি সকাল বিকেলে
    প্রথম কবিতায় কেউ কেউ ফিরেছেন আত্মরক্ষাকালে।
  • Sambuddha Acharyya | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২১:১১507827
  • এখনো সময় আছে,
    বৈরাগ্য রেখে যাও সন্তানের কাছে।
    এখনো সময় আছে,
    মন্দিরের দেওয়াল ভাঙার।
    এখনো সময় আছে,
    কাঠ হোক ইস্পাত কৃপাণ।
    এখনো সময় হলে ঈশ্বর-হত্যা ই শেষ আশা।
    যে বিচারে সবাই জহ্লাদ,
    সেই হাত, হাতুড়ির সাথে,
    জ্বলন্ত পেট্রোলের মতো পোড়াবে প্রথম সাক্ষাতে-
    ধর্ম মন্দির আর কোরান বা ভগবৎ গীতা-
    ধুলোয় গুঁড়িয়ে দেবে নির্বিকার মনুসংহিতা।
    এখন সময় করে -
    সন্তানের চোখে চোখ রাখো।
    ঈশ্বরের মৃতদেহ ই অমূল্য গুপ্তধন হোক।
  • ফরিদা | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:২৮507829
  • পুজো ২০১৭


    চাঁদসহ পৃথিবীর বুকে একা একা আঁচড়ে অযথা
    খুঁজে ফিরি মরে যাওয়া প্রেম, যত বলে ফেলা কথা -
    মাটিতে পড়ত ঝরে বহুদিন আগে শিউলির মতো
    বৃথা সাইকেলে রক্তকণিকা নিয়ে ছুটে ক্ষত বিক্ষত
    তোমার বাড়ির কাছে, খুব ভোরে, রাস্তা নির্জন।
    শিউলি ঝরতে থাকে, পৃথিবীতে সে প্রথম অনন্ত ক্ষণ।

    কেউ যদি দেখে ফেলে, কিছু জিজ্ঞেস করে, সেই ভয়ে
    সব ফেলে চলে আসি ঢাক বাজে বুকের বারান্দায়
    তখন হয়ত তুমি সকালের রোদ্দুর ছিলে, সাইকেল বেল
    কিম্বা বেড়াতে যাওয়া ইচ্ছেরা মানুষের দার্জিলিং মেল
    আচমকা ছুটি পায় কেউ পুজোটির শেষ দুই দিন
    তুমি যেন তার কাছে এ সকাল বসন্ত, সতত রঙিন।
    সেই ঘর বাড়ি রাস্তা নদী নালা মানুষের গোলাপি অধ্যায়
    অন্ধকারে খুঁটে খুঁটে তুলে রাখতে জেরবার বাদামী সময়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন