এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • উপচলচ্চিত্রের ইতিকথা: ২০০৫-২০১১: বাংলা ভাষার প্রথম অপন্যাস

    Anamitra Roy
    সিনেমা | ১৯ এপ্রিল ২০১১ | ১৬১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anamitra Roy | 117.194.0.9 | ১৯ এপ্রিল ২০১১ ০৭:৫৪471181
  • প্রথম কিস্তি:

    পূর্বনির্দেশ অনুযায়ী, ডানলপ রেলব্রিজ পেরিয়ে বাঁ হাতে দ্বিতীয় রাস্তা। তারপর আবার ডানদিক এবং পুনরায় বাঁদিক। ডানদিক! বাঁদিক! সেখান থেকে একটু এগিয়েই রাতের চাঁদোয়ার নিচে দাঁড়িয়ে আছে বরানগরের বুড়ো ঘোড়া। খোলা মাঠ, হিম পড়তে শুরু করেছে তখন। বিকল্প জীবন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বেচে খাওয়া একটি দালাল প্রকৃতির গন্ডার এই রাস্তা বলে দিয়েছিল আমায়। আমি তখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি সেই বিশালাকায় ঈগলের পাঞ্জা থেকে। সকাল সাড়ে আটটা। ১১৬ ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল। বন্ধ জানলা। খ্‌ট খট খট। আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। সমুদ্রের শুরু যেখানে, নিস্করুণ কাঠের টুকরোর মত পড়ে থাকা মরা মানুষের হাড়, মাথার খুলি। আমার মা, আমার লাশ, দক্ষিন কোলকাতার ফুট্‌পাথে জীবন্ত জীবাশ্ম আমি। গন্ডার আমায় বলে " কিছুই তো দেখলে না জীবনে। তোমর মত আরো অনেকেই, আরো অনেক বছর আগে। অপরের নকল হয়ে এভাবে আর কদিন!' তার কাছ থেকে ভালো করে ঠিকানা বুঝে নিয়ে আমি বরানগর চলে আসি। সেদিন সন্ধ্যে নেমে গেছে শহরে। শরীরে আমার ব্যাঙের রক্ত ঢুকিয়ে দিয়েছে কারা যেন। বিজ্ঞাপন থেকে বিজ্ঞাপনে নীল ফানুস উড়িয়ে দিচ্ছে যেন কাহারা! সেখান থেকে মেপে মেপে পা ফেলে অন্ধকার মাঠ। মুখোমুখি, আমি, ভোম্বল আর বুড়োঘোড়া। ভোম্বল আমার এগারো ক্লাসের বন্ধু, বেশি কথা বলা অভ্যাস চিরকাল ই। ঈগলের অস্তিত্ব বিষয়ে সচেতন নয় তখনো। আমি বেশ বুঝছিলাম, ভোম্বলের এই স্বভাব্‌টায় বুড়ো ঘোড়া দিব্যি মজা পাচ্ছেন। নাম জানতে চাওয়ায় তিনি বললেন 'ঈশ্বর'। আমরা একটি বিদঘুটে পেয়ালা থেকে চুমুক দিচ্ছিলম বাংলা মদে। তিনি বললেন এই পেয়ালার নাম শৈল এবং এই মদের নাম শিলারস। এরপর তিনি একে একে তাঁর লুকোনো জহরত দেখাতে থাকলেন; যে জন্য তাঁর কাছে আসা মূলত। ভাঙা ছাতা, পুরনো মানিব্যাগ, ভাঙা ক্রিস্টাল বল। ফিরে আসার আগে তাঁর শেষ কথাটি মনে আছে আমার আজও। " এ সবই যাপন দিয়ে শুষে নেওয়ার। এই অঘ্রাণের মাঠ, এই সবুজ ঘাসের মদ, সারি সারি বহুতলের লাশ; সবই। যাপনের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ন করে পাওয়ার। তাই তো তুমি বেঁচে থাকো বহুকাল পাখ্‌সাটের আওয়াজ আর লক্ষ যুদ্ধ শেষে সঞ্চিত সন্ত্রাসের মাঝে অপরাধীর নিরহংকার উচ্ছাস নিয়ে। সাধুগণ, আবারও বলছি, সাধুগণ, পূব আকাশে আর কোনোদিন কোনও নক্ষত্র ভেসে উঠবেনা তোমাদের কথা ভেবে। দেখো, লাল আকাশে আহ্লাদিত হয়ে আছে তিরিশ লক্ষ যুদ্ধবন্দীর আর্তনাদ!'

    সেই প্রথম, আমি ত্রিশূল উপলব্ধি করি। নিজস্ব ত্রিশূল।
  • Anamitra Roy | 117.194.0.9 | ১৯ এপ্রিল ২০১১ ০৯:৩২471182
  • দ্বিতীয় কিস্তি: নিজস্ব বিপ্লব

    শক থেরাপি। স্বপ্নের ভিতর সাপ। শরীর ধরমড়িয়ে জেগে ওঠা। উঠে মনে পড়ে আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে মাঠে। ঘাসের শিষ চিবিয়ে দূপূর বিকেল সন্ধ্যে কেটে গেছে কত। আমার মা একটি ওঁচাটে ইস্কুলে পদার্থবিদ্যা পড়ায়। আমার আত্মীয়ার প্রতি আমি শারীরিক ভাবে ঘোর আকর্ষন বোধ করেছি এক সময়। এমনকি তার বোনের প্রতিও। টেলিভিশনের সাথে আমার জীবনের মৌলিক সত্যগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। একে একে নিজের আড়ালে এবং মূল্যবোধ নামক বুদবুদের ভিতর ফাঁপা অংশে লুকিয়ে রাখা সমস্ত কথা এবং শব্দেরা আমার শরীর ও মাথা জুড়ে খেলতে শুরু করে। আমি ওদের মুক্ত কোরে দিই। লোহার শিক ঢুকিয়ে দিই মাটির গর্ত্তে। মাংস পোড়াতে থাকি আগুনে। আমি বেজম্মা! এই বোধ আমায় ছুতিএ নিয়ে বেড়ায়। আমার কোনো শিকড় নেই। এমনকি ভোম্বলেরও। স্বর্ণাভ-র ব্যাপার টা অবশ্য আলাদা ছিলো। ওরা যেনো সম্পর্কে বিভূতিভূষণ দের কি একটা হত। তাই নিয়ে ওর দেমাক ও কম ছিলো না। তিমিরবরণ ততোদিনে দিব্যি চিনে গেছেন আমায়। বিজয়গড়ে ওনার পত্রিকা আপিসে ঘুরে এসেছি বেশ কয়েকবার। কেনো জানিনা মনে হত আমার মা আশাপূর্ণা হলে আমিও সালা! অবশ্যই তিমিরবরণ একজন আন্তর্জাতিক মানের গদ্যকার। কিন্তু, ঐ লাল কালোয় প্রচ্ছদ করা বই টা বাদ দিলে আর একটা কবিতাও আদেও পড়ার যোগ্য কি? নষ্ট আত্মার টেলিভিশন খুলে দেখি ফাল্গুনি রায়! আমায় আমার চাবি এগিয়ে দেওয়া হয়। মস্তিষ্কের কপাট খুলে জমাট শিয়াল্‌দা স্টেশনে
    চিত্‌কার কোরে উথি 'নারীমুখ দেখার আশায় মাইলের পর মাইল হেঁটে আমি দেখি শুধু মাগীদের ভীড়'। ফিসফিসানি শুরু হয়। কলোনিপাড়ায় ৬২ সালের ভূত ফিরে এসেছে। খুনীরা ঢুকে পড়ছে বইপাড়ায় বুক চিতিয়ে। আমি বেজম্মা। মুখ বুজে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য দেখিনি জীবনের। কেন রোজ সকালে আমার কোলকাতা যাওয়া বাধ্যতামূলক। সভ্যতার দায় আছে স্পষ্ট জানানোর এ পৃথিবী কি তবে আমার জন্য নয়? এত কিছু তৈরী কি নয় আমার জন্য তবে!

    I Can't Feel
    The way I did before
    Don't turn your back on me
    I won't be ignored!


    আমি শর্বরীকে অন্যান্য সমস্ত মেয়েদের কথা বলেছিলাম আগেই। কে কিভাবে কখন কার প্রতি কি।।। আমি জানিনা আমি কোনদিকে বয়ে যাবো। এই ছিলো আমার শেষ কথা। "সমুদ্রের উপর দিয়ে একটা ব্রিজ চলে গিয়েছিলো' অথবা "ময়দানে ঘুম নেমে আসবে ঋতুপর্না, ময়দানে ঘুম নেমে আসবে'। সেই আমিই আবার বিছানা থেকে নেমে পায়ে হেঁটে যাই শ্রীরামপুর ফেরিঘাটে। শর্বরীর পায়ের কাছে নোংরা কুকুরছানাটিকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে আমি বলতে চেয়েছিলাম "শীতকাল কবে আসবে সুপর্না'। চিত্রনাট্যে সেরকমই ছিলো। পরিবর্তে আমার সেই বুড়ো ঘোড়ার মাথা নাড়া মনে পড়ে যায়। আমি বলে উঠি "ফেরার আগে বনদেবী, আমি একবার আপনাকে বেশ্যার মত পেতে চাই!'
    আমার বয়স তখন আঠেরো।

    অগ্নি প্রঙ্কÄলিত হয়।
    ওঁ রতি। ওঁ রতি। ওঁ রতি।।
  • Update | 128.231.22.150 | ২১ এপ্রিল ২০১১ ০৫:০১471183
  • Name:AnamitraRoyMail:[email protected]Country:India

    IPAddress:117.194.0.249Date:21Apr2011 -- 03:10AM

    তৃতীয় কিস্তি: ডম্বরু এবং সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়

    আসল ব্যাপার হল তুমি ঠিক মত বিক্রি করতে পারছ কিনা; অথবা পুরোপুরি বিক্রি হয়ে যেতে --- স্বর্ণাভ বলত। তখন ডম্বরুর বাড়িতে থাকতাম আমি, টালিগঞ্জে। স্বর্ণাভও এসে জুটত মাঝে মাঝে। বস্তুত হুগলীর গন্ডগলিতে পোড়ে থেকে যে কোনো লাভ নেই সেটা ততোদিনে দিব্যি বুঝে নেওয়া গেছে। সেখানে কিনা সবেমাত্র বাংলা ব্যান্ডের গান পপুলার হওয়া শুরু করেছে আমাদের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে। আর আমরা আরও অনেক অপকর্মের মধ্যে একটা ব্যান্ড অলরেডি চালু করে বন্ধ অবদি করে ফেলেছি। ডিলান ক্রস কোরে ডেনভার-এ উঠে গেছি। রক ফক পুরোনো লাগছে। অন্য সুর অন্য গলা খুঁজে বেড়াচ্ছি। ডম্বরু মুলত আমারই বন্ধু। আমরা দুজনই মাস কমিউনিকেশনের স্যার জিগ্যেস করায় প্রিয় গায়কের নাম বলেছিলাম জন ডেনভার। তারপর ক্লাস থেকে বেড়িয়ে "আমি কি তোমার পাশে কিছুক্ষন হাটতে পারি?' গোটা কোলকাতায় তখন কেউ নেই আমার। মেজোমামা মারা গেছে বছর তিনেক আগে। হাবুমামাদের সাথে তখনও সেরকম ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়ে ওঠেনি। একটা মেয়ে আসত বটে ব্যান্ডেল থেকে। চিত্রা নাম, আমার বাড়ির কাছেই বাড়ি ছিল। কিন্তু সে ঐ হুগলীর মেয়েরা যেরকম হয় আর কি। প্রেমিক মদ খেলে রাগ করে সারাদিন গোঁজ হয়ে থাকে, কারো সাথে কথাটি বলেনাকো মোটে।

    তো, চিত্রা চলে গেল হাওড়া স্টেশন। আমি আর ডম্বরু টালিগঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাট্‌ফর্মে বোসে খানদশেক করে দুটাকা দামের ফটাস জল খেলাম। এর মাসখানেক বাদে আমি ডম্বরুর বাড়িতে পাকাপাকি ভাবে থাকতে চলে আসি। এতে ওর বাবা মাও খুব খুশি হয়। একজন বিজ্ঞানী, আরেকজন অধ্যাপিকা। একমাত্র ছেলে, একা একা থাকে, সারাদিন কি যে করে কে জানে। তার চেয়ে এই ব্যবস্থাই ভালো। তারপর আমি আর ডম্বরু আর প্রিন্স আনোয়ার শার গাঁজ, ট্রাম ডিপোর চোলাই থেকে গড়িয়হাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জ, ঢাকুড়িয়া রেললাইন থেকে এম জি রোডের বস্তি, এমনকি হেয়ার স্কুলের পোর্টিকো ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি আর ডম্বরুই প্রথম ঈগলের উপস্থিতি বিষয়ে সচেতন হই। স্বর্ণাভর ওসব চাপ ছিল না। সে হয় এলিট্‌গম্ভীর সেজে কেতা নিতে ব্যাস্ত আর নয় তো তুমুল খিল্লি জুড়েছে। একবার এক সাধুর সঙ্গে লাগতে গেছিল। সাধু বারণ করার পর ও শোনেনি। শেষটায় সাধু "তুম চালাকি পায়া হ্যায়' বলে এমন শাপ ঝাড়লো যে স্বর্ণাভ হাত দিয়ে দেখে তার সাধের টলজোড়া হাওয়া। এক্কেবারে ভ্যানিশ। তাই না দেখে পাব্লিকের কি উৎসাহ -- সারি সারি শাঁকালুর দোকান! স্বর্ণাভ বেচারা তো তখন আছাড়িপিছাড়ি 'লটা দো! লটা দো!' কিছু পরে সাধুবাবার বুঝি কি মায়া হল! "তুই বিভূতিভূষণের আত্মীয় বলে এযাত্রা বেঁচে গেলি' বলে যাওয়ার আগে সব আবার রিস্টোর কোরে দিয়ে গেল।

    এছাড়া ডম্বরুর বাড়ির ছাত না থাকলে আমার কোনোদিনই শর্বরীকে পেয়ে ওঠা হত না সেভাবে; ফোনে ফোনে উস্কানো আর বাস্তবে যাচাই কোরে নেওয়ার মজাটা অধরাই থেকে যেত, অন্তত সে পর্যায়ে। ডম্বরু বলতো "জানিস, আমার একটা ভাই থাকার কথা ছিল। মিসক্যারেজ হয়ে যায়। আমার তখন চার বছর বয়স। তুই আমার সেই ভাইটার মত। ও থাকলে ঠিক তোর মত দেখতে হত।' আর শর্বরী ওকে নাম ধরে ডাকলে বলত "টেনে একটা চড় মারব। তোকে বলেছি না আমায় মণিদা বলতে। নাম ধরে ডাকা কি রে! আমি ভবানী মুকুজ্জ্যের নাতি মণি মুকুজ্জ্যে। গৌতম চ্যাটার্জ্জী কেও সবাই মণিদা বলত।'

    তবে ডম্বরুর সাথে প্রথম পর্যায়ের বন্ধুত্ব আমার বছর দেড়েকের বেশি টেকেনি। হ্যাঁ, তার মধ্যে একটা গোটা শীতকালও ছিল। আর কারো সাথে গোটা একটা শীতকাল কাটানো খুবই খারাপ ব্যাপার। পরের বছর শীতের হাওয়াটা বইতে শুরু করলে পায়ের আঙুলগুলো ছট্‌ফট করতে থাকে, মাথা কুটতে থাকে। মনে হয় কোথাও যেন যাওয়ার কথা ছিল। পৃথিবীর কোনো উৎসব বুঝি আমায় বাদ দিয়েই পালিত হয়ে গেলো কোথাও। কিন্তু অনেক সময়ই কোথাও যাওয়ার থাকেনা। সে ভারী অদ্ভুৎ ব্যাপার।

    পরের বছর শীতের সময় ডম্বরু ছিল অজ্ঞাত কোনো এসাইলামে, সবার চোখের আড়ালে।

    সে অনেক কথা। পরে কখনো বলা যাবে সময় করে। আশা করি ডম্বরুর ব্যাপারটা মোটামুটি বোঝা গেছে যাই হোক। এছাড়া ওর গদ্যের হাত ছিল অসাধারণ। তবে আপাতত ফিরে আসি ভোম্বলের কথায়। না হলে নামকরণের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।
  • Anamitra Roy | 117.194.0.249 | ২১ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৪৯471184
  • বাংলা লিখতে প্রচুর সময় লাগছে। এই কিস্তি টা অসম্পুর্ন রইল। শূট সেরে এসে পরশুর পরের দিন লিখ্‌ব।
  • Anamitra Roy | 42.108.60.178 | ০৮ নভেম্বর ২০১১ ০৮:১৪471185
  • লেখাতা এখোনো আছে দেখে ভালো লাগ্লো
  • Anamitra | 42.108.60.178 | ০৮ নভেম্বর ২০১১ ০৮:৩৬471186
  • ম মম! ক:য হ: মঅ হ্‌প্‌ম:জ, :ই:ল :ম:উ ন:ম: ম:ল জ: ম ণম:!!!
  • Anamitra | 127.194.0.164 | ১৮ জুন ২০১২ ০৫:৪০471187
  • আপাতত লেখার সময় পাচ্ছি না। ণিজেরই একটা ছবির লিন্ক দিয়ে গেলাম। দেখে ফেলবেন, মতামত জানাবেন।

    স্মৃতি... মৃত জনপদ
    Memories... of a Dead Township

    http://www.cultureunplugged.com/documentary/watch-online/play/9078/Smriti----Mrito-Janopaud
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন