এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ১১:৪৭514181
  • ঐ আর্টিকেল থেকে: 
     
    "The Ambassador says he has “beautiful memories of the time my children were growing up”. These included “feeding them with my hands”. He was lucky he did not suffer the surveillance of the English social worker in Stavanger, Norway, who told Sagarika, the Indian mother, that Indians were “barbarians” who “ran around naked” until the British civilised them, and that she knew how Indian families treated their children as she had seen Slumdog Millionaire! Despite clear evidence that the case worker was quite untrained and unfit for the sensitive tasks given to her, the Norwegian child welfare institutions ranging up to and including the judiciary stood four-square behind her. It was only intervention at the level of the Indian foreign minister that enabled the children to be repatriated to the extended family in India. The Indian lawyer then arranged through the Indian judiciary for the infants to be reunited with their mother."
  • Amit | 121.200.237.26 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৭:৩৩514177
  • তবে কোন দেশে থাকতে এলে সেখানকার আইন , কাস্টমস এসব কিছুর সাথে পরিচিতি থাকা দরকার  সবার জন্যেই। নিজের দেশে যা যা দেখে বা করে এসেছি সেটা যেখানে সেখানে জোর করে চাপাতে গেলে সমস্যা হতে পারে। বাচ্চা নিজের ​​​​​​​যখন, দায়িত্ব ​​​​​​​টাও ​​​​​​​নিজের থাকা ​​​​​​​দরকার। 
     
    ইন জেনারেল যেটুকু দেখেছি বাইরের দেশে চাইল্ড কেয়ার সিস্টেম টা প্রচুর চেকস এন্ড ব্যালান্স সিস্টেম এর মধ্যে দিয়ে কাজ করে। এবার কেস বাই কেস তো ডিফারেন্ট হবেই। দুনিয়ায় কিছুই ১০০-% ফুলপ্রুফ নয়।
     
    একটা পুরোনো টোয়ী তোলা হয়েছে দেখলাম এই ইস্যুটা নিয়ে। কিছু কিছু কমেন্ট পড়ে পুরো হুৱা হয়ে গেলুম। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৭:২৬514176
  • হ্যা- পয়েন্টটা বুঝতে পারলাম। সহমত। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৭:২৪514175
  • অমিত, সহমত।
    আমরা যেহেতু কোথাও কেউ আদর্শ, ত্রুটিহীন সমাজে থাকিনা, নানা সময় নানা সদিচ্ছা, শ্রেয় আইন মিসিউজ হয়, অ্যাবিউজ হয়, ভুল হয়ে যায়। সুযোগ-সন্ধানীরা সিস্টেমকে বাঁকানোর চেষ্টায় থাকে বলেও খবর হয়। কাজেই ঠিক কতটা কি ঘটেছে, তাই নিয়ে জনমনে একাধিক দৃষ্টিকোণের সমান্তরাল অবস্থান চলতে থাকে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৭:২৪514174
  • আপনাদের মতন ভালো চাকরিবাকরি ভালো অবস্থার লোকেদের উপরেই যদি এত নজরদারি হয়, তাহলে যেসব অভিবাসী সেরকম স্টেবল চাকরিবাকরি ছাড়া আছে, নানা রাষ্ট্রীয় দয়াদাক্ষিণ্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে আছে, হয়তো তারা নিরুপায় হয়ে আশ্রয় নিয়েছে নিজের দেশে ফেরার উপায় নেই, এইরকম পরিবারগুলোর উপরে নজরদারি নির্ঘাৎ অনেক বেশি। আর ওদের ছেলেমেয়েদের উপরে মিসট্রিটমেন্ট ধরা পড়লে হয়তো বেশি রিস্ক নেয় না চাইল্ড সার্ভিসের লোকেরা, নিরাপদ আশ্রয়ে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেয়।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৬514173
  • দ্যাখেন  আমার নিজের যেটুকু অভিজ্ঞতা , এসব দেশে চাইল্ড সার্ভিস থেকে এরকম দুমদাম বাচ্চা নিয়ে চলে যায়না কখনো। কাউন্সেলিং হয় রীতিমতো। ইনভেস্টিগেশন হয়। স্কুল /নার্সারি ইভেন আশেপাশের লোকজনের থেকে ফিডব্যাক নেয় যদি কখনো প্রতিবেশীরা চেঁচামেচি হলে কমপ্লেন করে থাকে। যদি এভিডেন্স পায় বাপমা এবিউসিভ বা ঝগড়া করে প্রচুর বা ড্রাগ এডিক্ট ইত্যাদি সেক্ষেত্রে এমন এক্সট্রিম স্টেপ নেয়। একবার একটা চড় ​​​​​​​মরলে ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​যায়না। ​​​​​​​
     
    আমার ​​​​​​​সাথেই ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​বড়ো ​​​​​​​মেয়ে ​​​​​​​যখন ​​​​​​​ক্লাস ফাইভে ​​​​​​​পড়ে ​​​​​​​, একবার ​​​​​​​সকালে স্কুলে যাওয়ার ​​​​​​​সময় ​​​​​​​দেরি ​​​​​​​করাতে রেগে ​​​​​​​গিয়ে একটা ​​​​​​​চড় ​​​​​​​মেরেছি। ​​​​​​​স্কুলে ​​​​​​​যেই ​​​​​​​গালে আঙুলের ​​​​​​​ছাপ ​​​​​​​দেখেছে , সোজা টিচার ​​​​​​​পুলিশ ​​​​​​​এ ​​​​​​​জানিয়েছে। ​​​​​​​সেদিন ​​​​​​​বিকেলে ​​​​​​​দুজন ​​​​​​​পুলিশ ​​​​​​​এসে ​​​​​​​হাজির। ভাগ্যিস মেয়ে ঘরে ছিল। সবার সাথে অনেকক্ষন কথা বলে ওরা যখন কন্ভিন্সড হলো এটা রেগুলার অ্যাফেয়ার নয় , তখন চলে গেলো। কোন থ্রেট টেট কিচ্চু নয়। পরে আমার নেবার বললো ওদেরকেও জিগেস করেছে আমরা রেগুলার ঝগড়া বা বাচ্চা পেটাই কিনা। মেয়েকে স্কুলে তার পর কিছুদিন রেগুলার ফলো আপ করতো আর মেরেছি কিনা। 
     
    আর সেই ভুল করি ? আজ অবধি করিনি। 
     
    আর ফস্টার কেয়ার এ নেওয়াটা ওতো সোজাও নয়। যে ফ্যামিলি নেয় তাদের ঘরে এসে প্রচুর চেক করা হয় রেগুলার। তাই সিনেমায় বাচ্চা কেড়ে নিয়ে ব্যবসা র অ্যাঙ্গেল টা  ওভারহাইপ্ড বা ভুলভাল লাগতেই পারে। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৩514172
  • @অমিত
    ঐ প‍্যরালাল ইউনিভার্স-এর মত বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল-ও প‍্যরালাল চালু থাকে মনে হয়।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৫:৫৯514171
  • ট্রেইলার দেখলাম। কমেন্টগুলো কিছু কিছু পড়লাম। আরও অনেক অভিবাসী জানাচ্ছেন তাদের সন্তানদের নিয়ে গেছে সোশাল ওয়ার্কাররা। এই অভিবাসীরা কেউ নরওয়েতে কেউ সুইডেনে আছেন। একজন বললেন তাঁর একটি তিন বছরের আর একটি এগারো মাসের বাচ্চাকে নিয়ে গেছে।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৫:৫৮514170
  • এখানে তো ভিলেন বানিয়েছে নরওয়ে সরকারকে আর ওদের ফস্টার সিস্টেম কে। অন্যের বাচ্চা নিয়ে ব্যবসা করছে। সিনেমা টা দেখে ইন্ডিয়ায় নরওয়ের আম্বাসাডর বলাই দিয়েছে ভুলভাল। ইভেন সিনেমাটা ​​​​​​​নরওয়েতে ​​​​​​​রিলিজ ​​​​​​​করেছে ​​​​​​​আর ​​​​​​​ভালোই চলছে। ​​​​​​​ইন্ডিয়ার ​​​​​​​মতো ​​​​​​​ব্যান করে ​​​​​​​দেয়নি ​​​​​​​দেশ ক্ষতরে ​​​​​​​মে হ্যায় ​​​​​​​বলে। আর কিছু করবে বলে মনে হয়না।
     
    সিনেমাটা দেখিনি। উইকেন্ড এ হলে দেখবো হয়তো। এক বন্ধু দেখে এসে বললো ওই ফস্টার কেয়ার এ অন্যের বাচ্চা নিয়ে ব্যবসা করছে সরকারি গ্রান্ট পাওয়ার জন্যে - এই অ্যাঙ্গেল টাই পুরো ফালতু। বাইরের দেশে চাইল্ড রাইটস আর প্রটেকশন সবকিছু একটা সিস্টেম্যাটিক ওয়ে তে কাজ করে। সেগুলো না জেনে টিপিক্যাল ইন্ডিয়ান মেনটালিটি নিয়ে এসব দেশে যাওয়াটাই ভুল। আর দেশের মিডিয়া তিলকে তাল করতে ওস্তাদ। 
     
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৫:৩৪514168
  • অন্যপক্ষ যারা ভিলেনও হল, টাকাও পেল না, তারা তো দ্বিগুণ মামলা ঠুকবে। একে তো তাদের কন্সেন্ট নেয় নি, টাকাও দেয় নি, তার ওপর বানিয়েছে ভিলেন।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪৬514167
  • তবে ০৪:০৬ এ যেটা জিগালেন , সিনেমাটা বানাতে নিশ্চয় আসল মা সাগরিকা চক্রবর্তীর কনসেন্ট নেওয়া হয়েছে  বা আর্থিক এগ্রিমেন্ট হয়েছে। নাহলে তো তিনি মামলা করতেই পারতেন রিলিস আটকানোর জন্যে। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪১514166
  • আইন ও তো সে কথাই বলে ? যেমন কর্ম তেমন ফল। 
     
    বাস্তবে অবশ্য দাড়ায় যেমন উকিল তেমন ফল। সব দেশেই। 
  • &/ | 107.77.237.98 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৪:৩৯514165
  • হরে দরে সেই 'কর্মফল' এই দাড়াচ্ছে 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৪:৩২514164
  • বিচার আইন শাস্তি এসব কোনোটাই তো গসপেল বা অ্যাবসলিউট কিছু নয়। সবই ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস। যুগে যুগে পাল্টাতে থাকে। আগে কাজীর বিচারের সময় সক্কলের জন্যে এক আইন এই কনসেপ্ট টাই ফিক্শনাল ছিল। এপ্লিকেশন তো অনেক দূরের কথা। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর জন্যে সেকশন ৪৯৮ চালু হলো তো এই কয়েক বছর আগে। 
     
    আর অনেক ক্ষেত্রেই কনসেন্ট ব্যাপারটাও  একটু ধূসর , যেমন ইন্ডিয়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ইত্যাদি। সিনেমা বা বিনোদন জগতে তো আরোই আবছা। কে সুযোগ পাওয়ার জন্যে নিজের থেকে কম্প্রোমাইস করছেন , পরে সুযোগ না পেলে অভিযোগ করছেন আর কারা সত্যিকারের ভিক্টিম - সেগুলোকে ফুল প্রুফ ইডেন্টিফাই করার আইন বা টেকনোলজি এখনো আসেনি। এর মানে এই নয় যে অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ইচ্ছে করে। তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার মতো প্রমান জোগাড় করা যায়নি। আর মিডিয়া ট্রায়াল এর ওপর ভিত্তি করে শাস্তি দেওয়া যায়না।  
  • &/ | 151.141.84.152 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৪:১৪514162
  • অমিতাভদা, বিচারে যদি নাই টেনে আনা যায় তাহলে তো শেষ পর্যন্ত সেই বিভূতিভূষণের ঠ্যাঙাড়ে বীরুরায়ের গল্পের মতনই বলতে হয়, সমস্ত অনুনয় অগ্রাহ্য করে সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণ আর তার একমাত্র ছেলেকে খুন করে তো কলমীদামের আড়ালে ডুবিয়ে দিল বীরু। কিন্তু পরে তার একমাত্র ছেলেকে কুমীরে টেনে নিয়ে গেল। "অদৃশ্য বিচারক তাঁর বিচার শেষ করিলেন।" অধিকাংশ সাধারণ লোক তাহলে দৈব বিচারে বিশ্বাসী না হয়ে কী করবে বলুন?
  • &/ | 151.141.84.152 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৪:০৬514161
  • এই যে প্রাইভেসি টাইভেসি শিকেয় তুলে দিয়ে লোকের জীবন নিয়ে খোলা বাজার করে দেওয়া হচ্ছে সিনেমা বানিয়ে, এটাও তো আইনে আটকানোর কথা। নয় তো প্রচুর অর্থ দিয়ে তাদের কন্সেন্ট কিনতে হবার কথা।
  • &/ | 151.141.84.152 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৩:৫৯514160
  • অমিতাভদা, এর একটা অন্যদিকও আছে। অনেকে আবার এসব ভাঙিয়েও খায়।
    অবাক হয়ে ভাবছিলাম উইনফ্রে এখন এতখানি ক্ষমতা ধরেন, অথচ যে কাজিনরা তাকে বহুবার রেপ করেছিল নাবালিকা অবস্থায়, তাদের কেন বিচারে টেনে আনেন না?
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৩:৫১514159
  • সেটা হয় গো &/, সবাই যে অপরাধীদের বিচারের মুখ দেখাতে পারবে সেটা হয়ে ওঠেনা। বাস্তবে খুব অল্প অত‍্যাচারীই বিচারের মুখোমুখি হয়। এত যে বিরাট ব‍্যাপ্তির মিটু আন্দোলন, কতজনকে মুখোশ খোলার চেষ্টা হল, কটা অপরাধী তার কাজের শাস্তি পেয়েছে, বলো ত? প্রতিটি সাফল্য যেমন সাহস যোগায়, প্রতিটি ব‍্যর্থতা বা পিছিয়ে পড়া তেমনি ভয়ও ধরায়। তারপরেও আরও কত টানাপোড়েন থাকে! 
  • &/ | 151.141.84.152 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৩:৪৮514158
  • একজনের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস পড়ছিলাম এক ব্লগে, সেখানে একজায়্গায় আছে "বাড়ি ফিরলেই আগুনে পা", সে তাই কলেজ ফেরৎ লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়ত বা অন্য কাজের চেষ্টায় ঘুরত। যতটা বাড়ি না ফিরে থাকা যায়। পরে বিয়ে হল, স্বামীর অত্যাচার প্রতারণা ইত্যাদির কাহিনি। অর্থাৎ আমাদের সমাজে বাইরে তো মেয়েদের নিরাপত্তা নেইই, অনেক্ক্ষেত্রে ঘরেও নিশ্চিন্ত আশ্রয় নেই। আপন লোকেরাই অত্যাচার করে, তারপরে বেড়াল পার করার মতন বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর সেখানে অত্যাচারিত হলে বাড়িতে যে ফিরবে, তারও কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা আগেই বিড়াল পার করেছে। এইরকম ঘরে আগুন বাইরে আগুন নিয়েও যে মেয়েরা লড়াই করছে বেঁচে থাকার, এটাই তো একটা নিত্য যুদ্ধে রত থাকা!
  • &/ | 151.141.84.152 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৩:৩৫514156
  • এই তো কিছুদিন আগে একজন লিখলেন ছোটোবেলা তাকে বাড়িতে নিজের মা-বাবা অকথ্য মারধোরই শুধু করতেন না, সেটা তাকে সবক শেখানোর জন্যই করা হচ্ছে, সেটাও ভাবতেন। মাবাবার এক পরিচিত প্রৌঢ় ভদ্রলোক তাকে শিশুবেলায় নানাভাবে অ্যাবিউস করতেন বলে সে ওই লোকের বাড়ি যেতে চাইত না। তার মা তাকে 'যে মুখে 'না' বলার সাহস হয় সে মুখ ভেঙে দেবো' বলে অকথ্য মেরে কপাল ঠোঁট কেটে দিয়ে কালশিটে ফেলে দিয়ে ওই বাড়িতে পাঠাতেন।
    (আমার খালি মনে হয় যখন বড় হয়ে নিজস্ব অধিকার হয়েছে, সামর্থ্য হয়েছে তখন কেন উনি এইসব লোকগুলোকে টেনে আনলেন না বিচারালয়ে? )
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ০২:৪৭514155
  • ইন্টারভিউটি বাবা আর তার বাড়ির দিকের মানুষদের কাজের অসংলগ্ন সাফাই বলে লেগেছে। চ‍্যানেলটির ভূমিকা বা উপস্থাপন নিয়ে কোনকিছু বলা থেকে বিরত থাকলাম। 
     
    চলচ্চিত্রটি দেখেছি। তার সমগ্ৰ শক্তি ও দুর্বলতা নিয়েই ভালো কাজ হয়েছে বলে মনে করি।
  • যোষিতা | ২২ মার্চ ২০২৩ ০২:২৫514154
  • ভারতে প্রচুর শিশু নিয়মিত ভায়োলেন্স দেখে বেড়ে ওঠা। চেঁচামেচি, বাপমায়ের ওপেন ঝগড়া, পাশের বাড়ির সঙ্গে  দীর্ঘমেয়াদি কলহ,  অটোচালকের সঙ্গে খুচরো নিয়ে তর্কাতর্কি, ময়লা ফেলা নিয়ে মেথর বা প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলা, ঝিচাকরদের সঙ্গে খিটিমিটি, ধমকধামক, এর কোনওটাই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তারপরে ভয় দেখানো, "তোর বাবা আসুক আজ অফিস থেকে, তারপর তোর হচ্ছে"। 
    পরীক্ষায় ফেল করে আমাদের ইস্কুলের মেয়েরা হাঁউহাঁউ কাঁদত বাড়ি ফিরে মার খাবার ভয়ে। একটা মেয়ে রেজাল্ট বেরোনোর দিন ব্যাগে লুকিয়ে শাড়ি ইত্যাদি নিয়ে এসেছিল, করবী সাহা। ফেলের রেজাল্ট পেয়েই পোশাক বদলে পালিয়ে যায়। বর্ধমান না নৈহাটি কোথায় যেন কাদের বাড়ি ঝিয়ের কাজ নিয়েছিল। কদিন পরে কাগজে হারানো-প্রাপ্তি-নিরুদ্দেশে ওর ফোটো দেখতে পেয়ে সেই বাড়ির লোকেরা ওকে বাড়ি ফেরৎ দিয়ে আসে। এর বছরখানেক পরে করবী আত্মহত্যা করেছিল।
  • যোষিতা | ২২ মার্চ ২০২৩ ০২:১০514153
  • যে রেটে চুরি হচ্ছে দেশে। 
    ওসব ভাববার টাইম কারো নেই।
  • kk | 2601:14a:500:e780:9916:4f6:548:402d | ২২ মার্চ ২০২৩ ০২:০৮514152
  • যোষিতা | ২২ মার্চ ২০২৩ ০২:০২
     
    হ্যাঁ সেটাই। কাউকে এমনও বলতে শুনেছি যে "যেখানে মানুষ খেতে পায়না সেখানে ঐসব বিলাসিতার কথা ভাবা চলেনা।" বাচ্চাদের (ইন ফ্যাক্ট ,বড়দেরও) শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তাও যে খাবারের মতই একটা জরুরী ব্যপার সেটা অনেকেই মনে করেননা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত